Ajker Patrika

আকাশ থেকে পড়ল মাছ, ব্যাঙ, টাকা

ইশতিয়াক হাসান
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৩, ১২: ৫৯
আকাশ থেকে পড়ল মাছ, ব্যাঙ, টাকা

আকাশ থেকে কী পড়তে পারে? ভাবছেন বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, শীতের দেশ হলে তুষার—এই তো, আর কীই বা পড়ার আছে! আজও যেমন বৃষ্টি হয়েছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। কিন্তু যদি বলি মাছ, মাকড়সা, টাকা এমনকি রক্তের মতো টকটকে লাল পদার্থও পড়তে পারে, তাহলে নিশ্চয় চোখ কপালে উঠবে। শুধু এগুলোই নয়, আকাশ থেকে পড়ার তালিকায় আছে আরও অনেক অদ্ভুত বস্তুও। তাহলে বরং লেখাটি পড়ুন আর অবাক হতে থাকুন।

মাছ
আকাশ থেকে মাছ পড়ার দৃশ্যটা দেখতে যতই অদ্ভুত লাগুক, এটা কিন্তু একেবারে অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। এমনকি এর পেছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটে। টর্নেডোর মতো একধরনের ঝড় সাগর, হ্রদের মতো জায়গা থেকে মাছসহ জলজ প্রাণী উঠিয়ে নেয়। তারপর ঝোড়ো বাতাসে ভাসিয়ে বেশ কিছুটা দূরে মাটিতে নিয়ে ফেলে। দৃশ্যটা দেখলে যে কারো মনে হবে আকাশ থেকে মাছবৃষ্টি হচ্ছে। শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, মেক্সিকোসহ বিভিন্ন দেশেই এভাবে আকাশ থেকে মাছ পড়ার রেকর্ড আছে। কখনো কখনো এভাবে পড়া মাছ খাওয়ার উপযোগী হলে যে এলাকায় ঘটনা ঘটে, সেখানকার মানুষ রীতিমতো ডাঙায় মাছ ধরার উৎসবে মেতে ওঠে। হন্ডুরাসের ছোট্ট গ্রাম ইয়রোতে এ ধরনের মাছবৃষ্টির ঘটনা এত বেশি যে, প্রতি বছর একবার ‘লুভিয়া দ্য পেসেস’ বা মৎস্যবৃষ্টি উৎসব পালন করতে পারেন এখানকার বাসিন্দারা।

ব্যাঙ
মাছের মতো ঝড়ে ব্যাঙ উড়িয়ে এনে ফেলার ঘটনাও ঘটে। আধুনিক কালে তো বটেই, প্রাচীন কালেও এমন কাণ্ডের নজির আছে। প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক হেরাক্লিডস লেমবাস লেখেন, আকাশ থেকে ব্যাঙ পড়ে রাস্তা-ঘাট ও বাড়ি-ঘর এই প্রাণীতে পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। ২০০৫ সালে সার্বায়ার ওডজাসির বাসিন্দারা ঝড় ও মেঘের মধ্য থেকে হাজার হাজার ছোট ছোট ব্যাঙ পড়তে দেখেন তাঁদের শহরে। কখনো অনেক ওপর থেকে পড়ায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও অনেক সময়ই এদের নতুন বাসস্থানে লাফিয়ে বেড়াতে দেখা যায়। সার্বিয়ার গ্রামবাসী জানান, পতনের সঙ্গে সঙ্গে কোনো জলাধারের খোঁজে লাফিয়ে লাফিয়ে সরে পড়ে ব্যাঙের দল।

টাকা
শুনতে যতই অদ্ভুত লাগুক, ইতিহাসে টাকার বৃষ্টির ঘটনা একেবারে কম নয়। এর মধ্যে কয়েকটি আবার সাম্প্রতিক।

১৯৫৭ সালে ফ্রান্সের ছোট্ট শহর বোর্গেসে এক হাজার ফ্রাংকের কয়েক হাজার নোট আকাশ থেকে পড়তে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বর শিকাগোতে এভাবে এক ডালারের  কয়েক শ নোট আকাশ থেকে পড়তে দেখা যায়।

১৯৬৮ সালের ৩ ডিসেম্বর। ইংল্যান্ডের রামসগেটের এক দোকানের সামনে হঠাৎ ওপর থেকে স্থানীয় মুদ্রা পেনি পড়তে থাকে। দোকানের এক ক্যাশিয়ার দাবি করেন, প্রায় পনেরো মিনিট ধরে একটা-দুটো করে এমন পেনির পতন অব্যাহত ছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনক ব্যাপার, আশপাশে কোনো উঁচু দালান ছিল না, তেমনি উড়ে যেতে দেখা যায়নি কোনো বিমানকেও।

খোলা মাঠে ওপর থেকে মাকড়সা পড়তে দেখলে অবাক হবেন না

২০১৫ সালে কয়েক লাখ ডলারের সমমূল্যের আরব আমিরাতের দিরহাম পড়তে দেখা যায় কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটিতে। তবে এই টাকা পড়ার কোনো ঘটনারই সে রকম কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

মাকড়সা
মাকড়সা বৃষ্টির ঘটনাও আছে। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ায় এবং আরও সাম্প্রতিক সময়ে বিবেচনা করলে ২০১৯ সালে ব্রাজিলে এমন কাণ্ড ঘটেছে। তবে মাছ বা ব্যাঙের মতো মাকড়সাদের বাড়িছাড়া হওয়ার পেছনে দায়ী প্রবল ঝড় নয়। মাকড়সা বৃষ্টির কারণ ‘বেলুনিং’ নামের এক বিশেষ প্রক্রিয়া। মাকড়সারা জাল তৈরি করে বাতাসে। আসলে তারা এভাবে ঝোড়ো বাতাসের নাগাল পেয়ে নতুন জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করে। সেক্ষেত্রে মাকড়সা বৃষ্টি আরও বেশি সাধারণ ঘটনা হওয়ার কথা ছিল, তাই তো ভাবছেন? তবে ঘটনা হলো, একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে মাকড়সা ‘বেলুনিং’ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় না। যখন একসঙ্গে অনেক মাকড়সা এভাবে জাল তৈরি করে বাতাসের সাহায্য পেতে, তখনই কেবল মাকড়সা বৃষ্টির দেখা মেলে। 

ইগুয়ানা
আকাশ থেকে ইগুয়ানা পতনকে মাছ ও ব্যাঙ পড়ার সঙ্গে মেলাতে পারবেন না। এটা আসলে আরও অনেক বেশি অদ্ভুত এক ব্যাপার। দক্ষিণ ফ্লোরিডায় ২০১৮ সালের শীতে যে বম্ব সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় (সাধারণত শীতকালেই এ ঝড় হয়) হয়, সেটার একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ওই সময় ইগুয়ানা বৃষ্টি হয়। ব্যাপারটা হলো, এ সময় তাপমাত্রা এতটা কমে যায় যে, শীতল রক্তের প্রাণীগুলো বেঁচে থাকলেও শরীরের কল-কবজাগুলো সাময়িকভাবে কর্মক্ষমতা হারায়। অর্থাৎ কোনোভাবেই আর যে গাছে ছিল তার ডালপালা আঁকড়ে ধরে আটকে থাকতে পারেনি। গাছের ওপর থেকে টপ টপ করে মাটিতে পড়তে থাকে।

গাছের ওপর ইগুয়ানামাংস
১৮৭৬ সালের মার্চের ৩ তারিখ আমেরিকার কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের অলিম্পিয়া স্প্রিংসে মাংসবৃষ্টির ঘটনা ঘটে। দুই থেকে চার বর্গ ইঞ্চির মাংসের টুকরোগুলো অ্যালেন ক্রাউচ নামের এক ব্যক্তির বাড়ির পেছনের উঠানে পড়ে। ওই সময় ঘটনাস্থলে যেসব মানুষ জড়ো হন, তাঁদের দুজন সাহস করে ওই মাংস চেখেও দেখেন। অনেকটা ছাগলের মাংসের মতো লেগেছিল এর স্বাদ তাঁদের কাছে। তবে পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ধারণা করা হয়, এগুলো ঘোড়ার মাংস। এ ঘটনার ব্যাখ্যা হিসেবে যেসব তত্ত্ব সামনে আসে, এর মধ্যে সবচেয়ে যুক্তিসংগত হলো বাজ পাখিদের একটা দল এ ঘটনার ঠিক আগেই মরা ঘোড়ার মাংস খেয়েছিল। পরে উড়ে যাওয়ার সময় একটা বাজ সদ্য খাওয়া মাংস উগড়ে দেয়, বাকিগুলো অনুসরণ করে তাকে।

গলফ বল
গলফ বলের আকারের শিলাবৃষ্টির কথা শুনে থাকতে পারেন, তাই বলে সত্যি সত্যি গলফ বল? ১৯৬৯ সালে ফ্লোরিডার পান্টা গর্ডায় এভাবে কয়েক ডজন গলফ বল ওপর থেকে পড়ার খবর আসে সংবাদমাধ্যমে। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো, স্থানীয় কোনো গলফ কোর্স থেকেই গলফ বল হারায়নি এ সময়। ওই ঘটনার পুরোপুরি রহস্যভেদ করা সম্ভব হয়নি। তবে বেশির ভাগের ধারণা কোনো এক জায়গায় খেলার সময় গলফারদের এলোমেলো শটে বেশ কিছু বল পানিতে গিয়ে পড়ে। এগুলোই ঝড়ে এনে ফেলে ডাঙায়, মানে মাছ আর ব্যাঙকে যেভাবে ফেলেছে আরকি!

ওপর থেকে গলফ বল পড়ার ঘটনাও ঘটেরক্ত নয়!
উত্তর-পশ্চিম স্পেনের জামোরা শহরে রক্তবৃষ্টির একটা ঘটনা ঘটেছিল। অন্তত আকাশ থেকে পড়া লাল রঙের ওই তরল রক্তের মতোই ছিল। বিষয়টি জামোরার বাসিন্দাদের রীতিমতো হতভম্ব করে দেয়। অবশ্য পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণায় বেরিয়ে আসে, লাল রঙের ওই তরল রক্ত নয়, বরং প্রাকৃতিক এক উপাদান। লাল রং এসেছে আণুবীক্ষনিক একধরনের উদ্ভিদ থেকে। এর রেনু বাতাসে ভেসে মেঘের স্পর্শ পায়। পরে লাল বৃষ্টি হয়ে ঝরে। তবে এই ব্যাখ্যায় একটা ঝামেলা ছিল, সেটি হলো, এই উদ্ভিদ মোটেই স্পেনের এই অঞ্চলের নয়। জামোরার ওপরে কীভাবে এগুলো এলো, সেই রহস্য অবশ্য সমাধান করা সম্ভব হয়নি বিজ্ঞানীদের পক্ষে।

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট, লিস্টভার্স, লাইভসায়েন্স, স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কখনো চাকরিই করেননি, সেই প্রতিষ্ঠান থেকে পেলেন বরখাস্তের চিঠি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ই-মেইল চেক করছেন একজন নারী। ছবি: পেক্সেলস
ই-মেইল চেক করছেন একজন নারী। ছবি: পেক্সেলস

একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো! ভাবতে ভাবতে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় এ সময় চোখে পড়ল, যে কোম্পানি থেকে এই ই-মেইল এসেছে, সেখানে আপনি চাকরিই করেন না, কখনো করেনওনি! ভাবুন তো কেমন লাগার কথা।

এমনই ঘটনা ঘটেছে এক নারীর সঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ সাইমন ইনগারি নামের একজন ক্যারিয়ার কাউন্সিলর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা শেয়ার করেছেন।

সাইমন ইনগারি তাঁর টুইটে জানান, তাঁর স্ত্রী এমন একটি কোম্পানি থেকে ছাঁটাইয়ের ই-মেইল পেয়েছেন, যেখানে তিনি কখনো কাজই করেননি। ইমেইল পাওয়ার পর তিনি এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যে তিনি পুরো স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।

ইনগারি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ভাবতে শুরু করেছিল, সে কি কোনো ডেডলাইন মিস করেছিল, নাকি তাঁর বড় কোনো ভুল হয়েছিল। পরে চেক করে দেখে ই-মেইল প্রেরক কোম্পানিটি তাঁর কর্মস্থলই নয়।’

ইনগারি তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘আমার স্ত্রী একটি টার্মিনেশন ইমেইল পেয়েছে। ইমেইলটি দেখেই তাঁর বুক ধক করে ওঠে। এক সেকেন্ডের জন্য সে থমকে যায়। কোনো ডেডলাইন মিস করেছে? কিছু ভুল বলেছে? শেষে জানা গেল, যে কোম্পানিতে সে কখনো চাকরিই করেনি, সেখান থেকেই তাঁকে “বরখাস্ত” করা হয়েছে।’

এই ঘটনার মাধ্যমে ওই কোম্পানির এইচআর বিভাগের অসতর্কতার বিষয়টি তুলে ধরে ইনগারি অনুরোধ জানান, ভবিষ্যতে ইমেইল পাঠানোর সময় যেন প্রাপকের আইডি আরও ভালোভাবে যাচাই করা হয়। তিনি লেখেন, ‘প্রিয় এইচআর, দয়া করে পরেরবার ইমেইল আইডিটা একটু ভালো করে দেখবেন। এমন ভুলে তো কারও সত্যিই হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে।’

এই পোস্ট নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী এমন ভুলের সম্ভাব্য গুরুতর পরিণতির কথা তুলে ধরেন। কেউ কেউ ঘটনাটিকে হাস্যরসের চোখে দেখলেও, অন্যরা এটিকে আধুনিক করপোরেট দুনিয়ায় বাড়তে থাকা অসতর্কতা ও চাকরির অনিশ্চয়তার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন।

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘তাঁর উচিত একটি অপ্রত্যাশিত এবং কঠোর জবাব দেওয়া। এতে করে অন্তত তাঁরা বুঝতে পারার আগেই যে ভুল ঠিকানায় ইমেইল পাঠানো হয়েছে, তিনি নিজের ক্ষোভ উগরে দেওয়ার সুযোগ পাবেন।’

আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘এটা কোনো ছোটখাটো ভুল নয়। একটি ভুল ইমেইল কারও পুরো দিন, সপ্তাহ—এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। এইচআর সারাদিন সহমর্মিতার কথা বলে, অথচ স্প্যামের মতো করে বরখাস্তের ইমেইল পাঠায়।’

আরেকজন বলেন, ‘মানবিক কোনো মান যাচাই ছাড়াই যখন কোম্পানিগুলো সব অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় করে ফেলে, তখনই এমনটা ঘটে। এটি অত্যন্ত নিম্নমানের পরিচালনা এবং ব্র্যান্ডের জন্য ক্ষতিকর। ভাগ্য ভালো যে এটি কেবল একটি ভুল সতর্কবার্তা ছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চীনের গ্রামে লিভ টুগেদার ও গর্ভধারণ নিয়ে ‘অদ্ভুত’ আইন জারি, সমালোচনার ঝড়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৩৭
গ্রাম মাতবরদের এই নতুন আইন নিয়ে সারা দেশে সমালোচনার ঝড় বইছে। ছবি: সংগৃহীত
গ্রাম মাতবরদের এই নতুন আইন নিয়ে সারা দেশে সমালোচনার ঝড় বইছে। ছবি: সংগৃহীত

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্ক।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামের শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে স্থানীয় গ্রাম কমিটি। ভাইরাল হওয়া ছবির ভিত্তিতে জরিমানার তালিকাটি নিচে দেওয়া হলো:

প্রাদেশিক বৈষম্য: ইউনান প্রদেশের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে দম্পতিকে ১ হাজার ৫০০ ইউয়ান (প্রায় ২৩,০০০ টাকা) জরিমানা দিতে হবে।

বিয়ের আগে গর্ভধারণ: কোনো নারী বিয়ের আগে গর্ভবতী হলে তাঁকে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

লিভ ইন রিলেশন: বিয়ে ছাড়াই কোনো যুগল একত্রে বসবাস করলে প্রতিবছর ৫০০ ইউয়ান জরিমানা দিতে হবে।

সন্তান জন্মের সময়: বিয়ের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে কোনো দম্পতি সন্তান জন্ম দিলে তাঁকে ‘অকাল গর্ভধারণ’ হিসেবে গণ্য করে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানা করা হবে।

পারিবারিক কলহ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে এবং তা মেটাতে গ্রাম কর্তাদের ডাকলে উভয় পক্ষকে ৫০০ ইউয়ান করে জরিমানা দিতে হবে।

সামাজিক আচরণ: মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা করলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার ইউয়ান এবং গুজব ছড়ালে ১ হাজার ইউয়ান পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘উইবো’-তে এই নোটিশ শেয়ার হওয়ার পর নেটিজেনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। অনেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘গ্রাম কমিটি কি এখন মানুষের শোবার ঘরের পাহারাদার হতে চায়?’ কেউ কেউ এটিকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। সমালোচকদের মতে, আধুনিক চীনের আইনি কাঠামোয় এ ধরনের নিয়মাবলি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং মধ্যযুগীয় বর্বরতার শামিল।

বিতর্ক তুঙ্গে উঠলে স্থানীয় মেংডিং টাউন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। ১৬ ডিসেম্বর রেড স্টার নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, নোটিশটি গ্রাম কমিটির নিজস্ব উদ্যোগে টাঙানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই নিয়মগুলো অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং ইউনিয়ন বা টাউন সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রকার পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি। আমরা ইতিমধ্যেই নোটিশটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি এবং এটি এখন কার্যকর নেই।’

লিংক্যাং গ্রামটির জনসংখ্যা বা বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাম কমিটিগুলো নিজেদের ছোটখাটো ‘রাজা’ মনে করে এ ধরনের অবৈধ নিয়ম জারি করে থাকে। এই ঘটনাটি চীনের গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসনের সীমাবদ্ধতা এবং সাধারণ মানুষের আইনি অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৩০ বছর পর প্রথম শিশুর জন্মে খুশিতে মাতোয়ারা ইতালির এক গ্রাম

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মা-বাবার কোলে লারা বুসি ত্রাবুক্কো। ছবি: দ্য গার্ডিয়ানের সৌজন্যে
মা-বাবার কোলে লারা বুসি ত্রাবুক্কো। ছবি: দ্য গার্ডিয়ানের সৌজন্যে

ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম হয়েছে।

লারা বুসি ত্রাবুক্কো নামের এই শিশুটির আগমনে গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। তার খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষাদান অনুষ্ঠানে পুরো গ্রাম ভেঙে পড়েছিল। এমনকি ৯ মাস বয়সী লারা এখন ওই অঞ্চলের প্রধান পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। লারার মা সিনজিয়া ত্রাবুক্কো বলেন, ‘যারা আগে এই গ্রামের নামও জানত না, তারাও এখন লারাকে দেখতে আসছে।’

লারার জন্ম এক দিকে যেমন আশার প্রতীক, অন্য দিকে এটি ইতালির ভয়াবহ জনসংখ্যা হ্রাসের চিত্রকেও ফুটিয়ে তুলেছে।

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইতালিতে জন্মহার সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে (৩,৬৯,৯৪৪ জন)। প্রজনন হার প্রতি নারী পিছু মাত্র ১.১৮, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন।

২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসের উপাত্ত অনুযায়ী, আব্রুজ্জো অঞ্চলে জন্মহার গত বছরের তুলনায় আরও ১০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পরিস্থিতির জন্য একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে—তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কর্মসংস্থানের অভাব ও দেশত্যাগের প্রবণতা। কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে-কেয়ার বা নার্সারির অভাব। অনেক নারী মা হওয়ার পর আর কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারেন না। পুরুষদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধ্যাত্ব এবং অনেকের সন্তান না নেওয়ার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ট্যাক্স বেশি হলেও সেই অনুযায়ী সামাজিক সেবা বা উন্নত জীবনযাত্রার অভাব।

জর্জিয়া মেলোনির সরকার এই পরিস্থিতিকে ‘জনসংখ্যার শীতকাল’ (Demographic Winter) হিসেবে অভিহিত করেছে। সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতিটি শিশুর জন্মের পর এককালীন ১ হাজার ইউরো ‘বেবি বোনাস’ এবং প্রতি মাসে প্রায় ৩৭০ ইউরো শিশু ভাতা দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে লারার মায়ের মতে, শুধু অর্থ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়; পুরো ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।

এদিকে, জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক শহরে প্রসূতি বিভাগ (Maternity Unit) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পালিয়ারা দে মার্সি থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত সুলমোনা শহরের হাসপাতালটি এখন বন্ধের ঝুঁকিতে। নিয়ম অনুযায়ী বছরে অন্তত ৫০০ শিশুর জন্ম না হলে সেই ইউনিট চালু রাখা কঠিন। ২০২৪ সালে সেখানে মাত্র ১২০টি শিশুর জন্ম হয়েছে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে গর্ভবতী নারীদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অন্য শহরে যেতে হবে, যা জরুরি অবস্থায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

গ্রামের মেয়র জিউসেপিনা পেরোজি আশা প্রকাশ করেন, লারার জন্ম অন্যদেরও পরিবার গঠনে অনুপ্রাণিত করবে। কিন্তু লারার ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। গ্রামটিতে কয়েক দশক ধরে কোনো শিক্ষক নেই, এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্কুলগুলোও শিক্ষার্থীর অভাবে বন্ধ হওয়ার পথে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জরায়ুর বাইরে বেড়ে উঠল শিশু, অলৌকিক জন্ম দেখল ক্যালিফোর্নিয়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১: ১১
২০২৫ সালের আগস্টে লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই হাসপাতালে সুজ লোপেজের মেয়ে কাইলা সুজ, তাঁর কোলে রিউ ও অ্যান্ড্রু লোপেজ (ছবিতে বাম দিক থেকে)। ছবি: এপির সৌজন্যে
২০২৫ সালের আগস্টে লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই হাসপাতালে সুজ লোপেজের মেয়ে কাইলা সুজ, তাঁর কোলে রিউ ও অ্যান্ড্রু লোপেজ (ছবিতে বাম দিক থেকে)। ছবি: এপির সৌজন্যে

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।

লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’

৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।

সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।

সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।

অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।

হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।

গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।

সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’

বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত