গোলাম ওয়াদুদ, ঢাকা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই দেখা যায় অনেকে কিছু একটা লিখে বলছে, এটা রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, এটা আইনস্টাইন বলেছেন বা কাজী নজরুল বলেছেন। অধিকাংশ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী পাঠক তা বিশ্বাস করেন। কারণ, এ বিষয়ে তাঁদের পড়ালেখা কম অথবা জানাশোনাই নেই। এমনটা যে হবে, সেটা নিয়ে আগেই ভেবেছিলেন আইনস্টাইন।
নিজের মৃত্যুর পরে কী হবে তা নিয়ে চিন্তিত আইনস্টাইন বলেন, ‘আমার মৃত্যু পর সেদিনের কথা ভেবে খুব ভয় হয়, যেদিন লোকজন আমার ভুয়া উক্তি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট বানাবে। আসলে আইনস্টাইনের যে উক্তি এখানে লেখা হয়েছে, সেটাও তিনি বলেননি। তাঁর নামে এত এত মিথ্যা প্রচারণা! তাই তাঁর পক্ষে কেউ একজন প্রচারণাটি করেছেন।’
আইনস্টাইনের নামে যেমন সত্য-মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়, তেমনি অন্য বিষয়গুলো নিয়েও নিয়মিত ছড়ানো হচ্ছে। এমন তথ্য ছড়ানোকে আপনি দুভাবে দেখতে পারেন। প্রথমত, গুজব, দ্বিতীয়ত, প্রোপাগান্ডা।
প্রথমেই জেনে নেই গুজব কী। গুজব হলো কোনো ঘটনা সম্পর্কে লোকমুখে প্রচারিত সত্যতা যাচাই বিহীন কিছু কথা বা ব্যাখ্যা। যার কোনো সত্যতা নেই। রাজনৈতিক গুজব এখন বেশি দেখা যায়। গুজব বরাবর রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়ে এসেছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ইতিবাচক গুজবের পরিবর্তে নেতিবাচক গুজব অধিক কার্যকর হতে দেখা গেছে।
আর প্রোপাগান্ডা হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা। এমন ধরনের পক্ষপাতমূলক ও ভ্রান্ত তথ্য, যা একটি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বা উদ্দেশের প্রচারণায় ব্যবহৃত হয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা সাধারণত আংশিক সত্য বা আংশিক মিথ্যা প্রচার করে। জনগণের আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণার পুনরাবৃত্তি ঘটানো হয় এবং সব ধরনের প্রচারমাধ্যম ব্যবহার করা হয়।
২০১৩ সালের কথা নিশ্চয় মনে আছে। কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ হঠাৎ রাতের বেলা ছড়িয়ে দিল যে চাঁদে জামায়াত নেতা মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীকে দেখা যাচ্ছে বা গেছে। এর পর থেকে শুরু হলো এর প্রচারণা। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ল এ তথ্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বদৌলতে বিদ্যুতের গতিতে এদিক থেকে সেদিক ছুটল তথ্যটি। এ ঘটনাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা। যেটা থেকে অনেকে ফায়দা নিতে চেয়েছে। আর এই প্রোপাগান্ডাটি একশ্রেণির মানুষ গ্রহণ করেছিল, যার কারণে ৩৪ জেলায় ব্যাপক সহিংসতায় নিহত হয় ৭৮ জন মানুষ।
দেশে আরও অনেক সমস্যা তৈরি হয়েছে গুজব ছড়ানোর কারণে। মতিন সাহেবের মনে প্রশ্ন, গুজব কারা ছড়ায়, কেন এত গুজব ছড়ায়? হুট করে এই প্রশ্নের উত্তর মতিন সাহেবের মাথায়ই চলে এল। নিজেই নিজেকে বলছেন, ওহ সামনে তো জাতীয় নির্বাচন, তাই তো এত প্রোপাগান্ডা-গুজব। এতে করে আখেরে লাভ তো রাজনৈতিক দলগুলোর।
মতিন সাহেবের হঠাৎ মনে হলো এসব তো বহুকাল ধরে চলে আসছে। হিটলারের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণাকারী জোসেফ গোয়েবলসের কথা মনে পড়ল তাঁর। এরপর ব্রিটিশদের পলিটিক্যাল ওয়ারফেয়ার এক্সিকিউটিভ এবং যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব ওয়ার ইনফরমেশনের কথা ভাবছেন, আর মনে মনে বলছেন কেউই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা ব্যবহারে কারও থেকে কম ছিল না।
ভিনদেশের কথা ভাবতে ভাবতে আবার দেশের চিন্তায় বুদ মতিন সাহেব। বেশ কিছুদিন হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন সত্য-মিথ্যা তথ্য ঘুরপাক খাচ্ছে। আবার এসব যে মিথ্যা বা গুজব বা প্রোপাগান্ডা সেটা সবাই বুঝে যাচ্ছে। মতিন সাহেব নিজ মনে হাসছেন আর ভাবছেন, এরা এত মেধাশূন্য কেন? একটা প্রোপাগান্ডা অল্প সময়ের মধ্য সবাই বুঝে যায় যে এটা আসলে প্রোপাগান্ডা। গোয়েবলসকে দেখে, পড়ে শেখা উচিত বঙ্গদেশের প্রোপাগান্ডা সেলের সদস্যদের।
সম্প্রতি বঙ্গদেশের কিছু প্রোপাগান্ডার কথা মনে পরে গেল মতিন সাহেবের। কয়েক দিন আগের একটি প্রোপাগান্ডার কথা ভেবেই হতাশ তিনি। এ দেশের প্রোপাগান্ডা বাহিনী এত মূর্খ যে ঠিকঠাক মতো মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে না। কয়েক দিন আগে লোডশেডিংয়ের সময় বলা হচ্ছিল ওমান থেকে ৭৭ জাহাজ কয়লা আসছে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। কিন্তু গুজব বা প্রোপাগান্ডা সেলের লোকজন জানেই না কোন দেশ কী আমদানি বা রপ্তানি করে। গুজব বা প্রোপাগান্ডা ছড়াতে হলেও পড়ালেখার প্রয়োজন সেটা তারা বোঝে না।
এরপর গত রাতে দেশের প্রথম সারির একটি গণমাধ্যমের কার্ড ব্যবহার করে একটি প্রোপাগান্ডা ছড়ায়। যেখানে বল হয়, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ হিরো আলমকে ঢাকা-১৭ নির্বাচনের জন্য ২০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় সে টাকা ফেরত চাইছেন পার্থ বলেন হিরো আলম। কিন্তু এ-সংক্রান্ত কোনো সংবাদ ওই গণমাধ্যম প্রচার করেনি এবং তারা সঙ্গে সঙ্গে এটার প্রতিবাদ জানিয়েছে। এটা যে প্রোপাগান্ডা, সেটা অল্প সময়ের মধ্য মানুষ জেনে গেছে। এ ছাড়া আরও অনেক ঘটনা আছে, যেগুলো মানুষ অল্প সময়ের মধ্যেই বুঝতে পারছে যে এটা সত্য নয়। যার কারণে যারা বা যে পক্ষ ছড়াচ্ছে, তাদের ভাব ও মূর্তি উজ্জ্বল না হয়ে আরও ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
মতিন সাহেব মনে মনে ভাবছেন, এরা কি এটা জানে না যে প্রোপাগান্ডা এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন আমজনতা বুঝতে না পারে এটা মিথ্যা। এটাই সত্য এবং শতভাগ সত্য তা যেন মনে করে জনতা, তাহলেই তো উদ্দেশ্য হাসিল হবে, অন্যথায় তাদের ভাব ও মূর্তির অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতর হবে। দলের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য নেমে ক্ষুণ্ন করে ফেলছে তারা।
এখন আবার মতিন সাহেবের আইনস্টাইনের একটি কৌতুক বা হাস্যরসের কথা মনে পড়ে গেল। একবার এক অনুষ্ঠানে আইনস্টাইনকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি একটু সহজ করে আপনার তত্ত্বটা আমাদের বোঝাবেন? আইনস্টাইন তখন একটি গল্পটা শোনালেন। আমি একবার বন্ধুর সঙ্গে হাঁটছিলাম। বন্ধুটি ছিল অন্ধ। আমি বললাম, ‘দুধ পান করতে ইচ্ছা করছে।’ বন্ধুটি বলল, ‘পান করা বুঝি, কিন্তু দুধ কী জিনিস?’
আমি বললাম, ‘একটা সাদা তরল পদার্থ।’ বন্ধুটি বলল, ‘তরল আমি বুঝি, কিন্তু সাদা জিনিসটা কী?’ বললাম ‘বকের পালকের রং।’ বন্ধুটি বলল, ‘পালক আমি বুঝি, কিন্তু বক কী?’ আমি বললাম, ‘ঘাড় কুঁজো বা বাঁকানো ঘাড়ের এক পাখি।’ সে বলল, ‘ঘাড় সে তো বুঝি। কিন্তু এই কুঁজো কথাটার মানে কী?’ এরপর আর ধৈর্য থাকে, বলুন! আমি তার হাতটা ধরে এক ঝটকায় টান টান করলাম। বললাম, ‘এটা এখন একদম সোজা, তাই না। তারপর ধরো, কনুই বরাবর এটা ভেঙে দিলাম। এবার তোমার হাতটা যেমন আছে সেটাকেই কুঁজো বা বাঁকানো বলে, বুঝলে?’ ‘আহ্!’ অন্ধ বন্ধু বলল, ‘এবার বুঝেছি, দুধ বলতে তুমি কী বুঝিয়েছ।’
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই দেখা যায় অনেকে কিছু একটা লিখে বলছে, এটা রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, এটা আইনস্টাইন বলেছেন বা কাজী নজরুল বলেছেন। অধিকাংশ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী পাঠক তা বিশ্বাস করেন। কারণ, এ বিষয়ে তাঁদের পড়ালেখা কম অথবা জানাশোনাই নেই। এমনটা যে হবে, সেটা নিয়ে আগেই ভেবেছিলেন আইনস্টাইন।
নিজের মৃত্যুর পরে কী হবে তা নিয়ে চিন্তিত আইনস্টাইন বলেন, ‘আমার মৃত্যু পর সেদিনের কথা ভেবে খুব ভয় হয়, যেদিন লোকজন আমার ভুয়া উক্তি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট বানাবে। আসলে আইনস্টাইনের যে উক্তি এখানে লেখা হয়েছে, সেটাও তিনি বলেননি। তাঁর নামে এত এত মিথ্যা প্রচারণা! তাই তাঁর পক্ষে কেউ একজন প্রচারণাটি করেছেন।’
আইনস্টাইনের নামে যেমন সত্য-মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়, তেমনি অন্য বিষয়গুলো নিয়েও নিয়মিত ছড়ানো হচ্ছে। এমন তথ্য ছড়ানোকে আপনি দুভাবে দেখতে পারেন। প্রথমত, গুজব, দ্বিতীয়ত, প্রোপাগান্ডা।
প্রথমেই জেনে নেই গুজব কী। গুজব হলো কোনো ঘটনা সম্পর্কে লোকমুখে প্রচারিত সত্যতা যাচাই বিহীন কিছু কথা বা ব্যাখ্যা। যার কোনো সত্যতা নেই। রাজনৈতিক গুজব এখন বেশি দেখা যায়। গুজব বরাবর রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়ে এসেছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ইতিবাচক গুজবের পরিবর্তে নেতিবাচক গুজব অধিক কার্যকর হতে দেখা গেছে।
আর প্রোপাগান্ডা হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা। এমন ধরনের পক্ষপাতমূলক ও ভ্রান্ত তথ্য, যা একটি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বা উদ্দেশের প্রচারণায় ব্যবহৃত হয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা সাধারণত আংশিক সত্য বা আংশিক মিথ্যা প্রচার করে। জনগণের আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণার পুনরাবৃত্তি ঘটানো হয় এবং সব ধরনের প্রচারমাধ্যম ব্যবহার করা হয়।
২০১৩ সালের কথা নিশ্চয় মনে আছে। কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ হঠাৎ রাতের বেলা ছড়িয়ে দিল যে চাঁদে জামায়াত নেতা মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীকে দেখা যাচ্ছে বা গেছে। এর পর থেকে শুরু হলো এর প্রচারণা। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ল এ তথ্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বদৌলতে বিদ্যুতের গতিতে এদিক থেকে সেদিক ছুটল তথ্যটি। এ ঘটনাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা। যেটা থেকে অনেকে ফায়দা নিতে চেয়েছে। আর এই প্রোপাগান্ডাটি একশ্রেণির মানুষ গ্রহণ করেছিল, যার কারণে ৩৪ জেলায় ব্যাপক সহিংসতায় নিহত হয় ৭৮ জন মানুষ।
দেশে আরও অনেক সমস্যা তৈরি হয়েছে গুজব ছড়ানোর কারণে। মতিন সাহেবের মনে প্রশ্ন, গুজব কারা ছড়ায়, কেন এত গুজব ছড়ায়? হুট করে এই প্রশ্নের উত্তর মতিন সাহেবের মাথায়ই চলে এল। নিজেই নিজেকে বলছেন, ওহ সামনে তো জাতীয় নির্বাচন, তাই তো এত প্রোপাগান্ডা-গুজব। এতে করে আখেরে লাভ তো রাজনৈতিক দলগুলোর।
মতিন সাহেবের হঠাৎ মনে হলো এসব তো বহুকাল ধরে চলে আসছে। হিটলারের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণাকারী জোসেফ গোয়েবলসের কথা মনে পড়ল তাঁর। এরপর ব্রিটিশদের পলিটিক্যাল ওয়ারফেয়ার এক্সিকিউটিভ এবং যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব ওয়ার ইনফরমেশনের কথা ভাবছেন, আর মনে মনে বলছেন কেউই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা ব্যবহারে কারও থেকে কম ছিল না।
ভিনদেশের কথা ভাবতে ভাবতে আবার দেশের চিন্তায় বুদ মতিন সাহেব। বেশ কিছুদিন হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন সত্য-মিথ্যা তথ্য ঘুরপাক খাচ্ছে। আবার এসব যে মিথ্যা বা গুজব বা প্রোপাগান্ডা সেটা সবাই বুঝে যাচ্ছে। মতিন সাহেব নিজ মনে হাসছেন আর ভাবছেন, এরা এত মেধাশূন্য কেন? একটা প্রোপাগান্ডা অল্প সময়ের মধ্য সবাই বুঝে যায় যে এটা আসলে প্রোপাগান্ডা। গোয়েবলসকে দেখে, পড়ে শেখা উচিত বঙ্গদেশের প্রোপাগান্ডা সেলের সদস্যদের।
সম্প্রতি বঙ্গদেশের কিছু প্রোপাগান্ডার কথা মনে পরে গেল মতিন সাহেবের। কয়েক দিন আগের একটি প্রোপাগান্ডার কথা ভেবেই হতাশ তিনি। এ দেশের প্রোপাগান্ডা বাহিনী এত মূর্খ যে ঠিকঠাক মতো মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে না। কয়েক দিন আগে লোডশেডিংয়ের সময় বলা হচ্ছিল ওমান থেকে ৭৭ জাহাজ কয়লা আসছে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। কিন্তু গুজব বা প্রোপাগান্ডা সেলের লোকজন জানেই না কোন দেশ কী আমদানি বা রপ্তানি করে। গুজব বা প্রোপাগান্ডা ছড়াতে হলেও পড়ালেখার প্রয়োজন সেটা তারা বোঝে না।
এরপর গত রাতে দেশের প্রথম সারির একটি গণমাধ্যমের কার্ড ব্যবহার করে একটি প্রোপাগান্ডা ছড়ায়। যেখানে বল হয়, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ হিরো আলমকে ঢাকা-১৭ নির্বাচনের জন্য ২০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় সে টাকা ফেরত চাইছেন পার্থ বলেন হিরো আলম। কিন্তু এ-সংক্রান্ত কোনো সংবাদ ওই গণমাধ্যম প্রচার করেনি এবং তারা সঙ্গে সঙ্গে এটার প্রতিবাদ জানিয়েছে। এটা যে প্রোপাগান্ডা, সেটা অল্প সময়ের মধ্য মানুষ জেনে গেছে। এ ছাড়া আরও অনেক ঘটনা আছে, যেগুলো মানুষ অল্প সময়ের মধ্যেই বুঝতে পারছে যে এটা সত্য নয়। যার কারণে যারা বা যে পক্ষ ছড়াচ্ছে, তাদের ভাব ও মূর্তি উজ্জ্বল না হয়ে আরও ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
মতিন সাহেব মনে মনে ভাবছেন, এরা কি এটা জানে না যে প্রোপাগান্ডা এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন আমজনতা বুঝতে না পারে এটা মিথ্যা। এটাই সত্য এবং শতভাগ সত্য তা যেন মনে করে জনতা, তাহলেই তো উদ্দেশ্য হাসিল হবে, অন্যথায় তাদের ভাব ও মূর্তির অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতর হবে। দলের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য নেমে ক্ষুণ্ন করে ফেলছে তারা।
এখন আবার মতিন সাহেবের আইনস্টাইনের একটি কৌতুক বা হাস্যরসের কথা মনে পড়ে গেল। একবার এক অনুষ্ঠানে আইনস্টাইনকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি একটু সহজ করে আপনার তত্ত্বটা আমাদের বোঝাবেন? আইনস্টাইন তখন একটি গল্পটা শোনালেন। আমি একবার বন্ধুর সঙ্গে হাঁটছিলাম। বন্ধুটি ছিল অন্ধ। আমি বললাম, ‘দুধ পান করতে ইচ্ছা করছে।’ বন্ধুটি বলল, ‘পান করা বুঝি, কিন্তু দুধ কী জিনিস?’
আমি বললাম, ‘একটা সাদা তরল পদার্থ।’ বন্ধুটি বলল, ‘তরল আমি বুঝি, কিন্তু সাদা জিনিসটা কী?’ বললাম ‘বকের পালকের রং।’ বন্ধুটি বলল, ‘পালক আমি বুঝি, কিন্তু বক কী?’ আমি বললাম, ‘ঘাড় কুঁজো বা বাঁকানো ঘাড়ের এক পাখি।’ সে বলল, ‘ঘাড় সে তো বুঝি। কিন্তু এই কুঁজো কথাটার মানে কী?’ এরপর আর ধৈর্য থাকে, বলুন! আমি তার হাতটা ধরে এক ঝটকায় টান টান করলাম। বললাম, ‘এটা এখন একদম সোজা, তাই না। তারপর ধরো, কনুই বরাবর এটা ভেঙে দিলাম। এবার তোমার হাতটা যেমন আছে সেটাকেই কুঁজো বা বাঁকানো বলে, বুঝলে?’ ‘আহ্!’ অন্ধ বন্ধু বলল, ‘এবার বুঝেছি, দুধ বলতে তুমি কী বুঝিয়েছ।’
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
গোলাম ওয়াদুদ, ঢাকা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই দেখা যায় অনেকে কিছু একটা লিখে বলছে, এটা রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, এটা আইনস্টাইন বলেছেন বা কাজী নজরুল বলেছেন। অধিকাংশ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী পাঠক তা বিশ্বাস করেন। কারণ, এ বিষয়ে তাঁদের পড়ালেখা কম অথবা জানাশোনাই নেই। এমনটা যে হবে, সেটা নিয়ে আগেই ভেবেছিলেন আইনস্টাইন।
নিজের মৃত্যুর পরে কী হবে তা নিয়ে চিন্তিত আইনস্টাইন বলেন, ‘আমার মৃত্যু পর সেদিনের কথা ভেবে খুব ভয় হয়, যেদিন লোকজন আমার ভুয়া উক্তি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট বানাবে। আসলে আইনস্টাইনের যে উক্তি এখানে লেখা হয়েছে, সেটাও তিনি বলেননি। তাঁর নামে এত এত মিথ্যা প্রচারণা! তাই তাঁর পক্ষে কেউ একজন প্রচারণাটি করেছেন।’
আইনস্টাইনের নামে যেমন সত্য-মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়, তেমনি অন্য বিষয়গুলো নিয়েও নিয়মিত ছড়ানো হচ্ছে। এমন তথ্য ছড়ানোকে আপনি দুভাবে দেখতে পারেন। প্রথমত, গুজব, দ্বিতীয়ত, প্রোপাগান্ডা।
প্রথমেই জেনে নেই গুজব কী। গুজব হলো কোনো ঘটনা সম্পর্কে লোকমুখে প্রচারিত সত্যতা যাচাই বিহীন কিছু কথা বা ব্যাখ্যা। যার কোনো সত্যতা নেই। রাজনৈতিক গুজব এখন বেশি দেখা যায়। গুজব বরাবর রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়ে এসেছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ইতিবাচক গুজবের পরিবর্তে নেতিবাচক গুজব অধিক কার্যকর হতে দেখা গেছে।
আর প্রোপাগান্ডা হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা। এমন ধরনের পক্ষপাতমূলক ও ভ্রান্ত তথ্য, যা একটি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বা উদ্দেশের প্রচারণায় ব্যবহৃত হয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা সাধারণত আংশিক সত্য বা আংশিক মিথ্যা প্রচার করে। জনগণের আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণার পুনরাবৃত্তি ঘটানো হয় এবং সব ধরনের প্রচারমাধ্যম ব্যবহার করা হয়।
২০১৩ সালের কথা নিশ্চয় মনে আছে। কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ হঠাৎ রাতের বেলা ছড়িয়ে দিল যে চাঁদে জামায়াত নেতা মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীকে দেখা যাচ্ছে বা গেছে। এর পর থেকে শুরু হলো এর প্রচারণা। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ল এ তথ্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বদৌলতে বিদ্যুতের গতিতে এদিক থেকে সেদিক ছুটল তথ্যটি। এ ঘটনাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা। যেটা থেকে অনেকে ফায়দা নিতে চেয়েছে। আর এই প্রোপাগান্ডাটি একশ্রেণির মানুষ গ্রহণ করেছিল, যার কারণে ৩৪ জেলায় ব্যাপক সহিংসতায় নিহত হয় ৭৮ জন মানুষ।
দেশে আরও অনেক সমস্যা তৈরি হয়েছে গুজব ছড়ানোর কারণে। মতিন সাহেবের মনে প্রশ্ন, গুজব কারা ছড়ায়, কেন এত গুজব ছড়ায়? হুট করে এই প্রশ্নের উত্তর মতিন সাহেবের মাথায়ই চলে এল। নিজেই নিজেকে বলছেন, ওহ সামনে তো জাতীয় নির্বাচন, তাই তো এত প্রোপাগান্ডা-গুজব। এতে করে আখেরে লাভ তো রাজনৈতিক দলগুলোর।
মতিন সাহেবের হঠাৎ মনে হলো এসব তো বহুকাল ধরে চলে আসছে। হিটলারের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণাকারী জোসেফ গোয়েবলসের কথা মনে পড়ল তাঁর। এরপর ব্রিটিশদের পলিটিক্যাল ওয়ারফেয়ার এক্সিকিউটিভ এবং যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব ওয়ার ইনফরমেশনের কথা ভাবছেন, আর মনে মনে বলছেন কেউই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা ব্যবহারে কারও থেকে কম ছিল না।
ভিনদেশের কথা ভাবতে ভাবতে আবার দেশের চিন্তায় বুদ মতিন সাহেব। বেশ কিছুদিন হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন সত্য-মিথ্যা তথ্য ঘুরপাক খাচ্ছে। আবার এসব যে মিথ্যা বা গুজব বা প্রোপাগান্ডা সেটা সবাই বুঝে যাচ্ছে। মতিন সাহেব নিজ মনে হাসছেন আর ভাবছেন, এরা এত মেধাশূন্য কেন? একটা প্রোপাগান্ডা অল্প সময়ের মধ্য সবাই বুঝে যায় যে এটা আসলে প্রোপাগান্ডা। গোয়েবলসকে দেখে, পড়ে শেখা উচিত বঙ্গদেশের প্রোপাগান্ডা সেলের সদস্যদের।
সম্প্রতি বঙ্গদেশের কিছু প্রোপাগান্ডার কথা মনে পরে গেল মতিন সাহেবের। কয়েক দিন আগের একটি প্রোপাগান্ডার কথা ভেবেই হতাশ তিনি। এ দেশের প্রোপাগান্ডা বাহিনী এত মূর্খ যে ঠিকঠাক মতো মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে না। কয়েক দিন আগে লোডশেডিংয়ের সময় বলা হচ্ছিল ওমান থেকে ৭৭ জাহাজ কয়লা আসছে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। কিন্তু গুজব বা প্রোপাগান্ডা সেলের লোকজন জানেই না কোন দেশ কী আমদানি বা রপ্তানি করে। গুজব বা প্রোপাগান্ডা ছড়াতে হলেও পড়ালেখার প্রয়োজন সেটা তারা বোঝে না।
এরপর গত রাতে দেশের প্রথম সারির একটি গণমাধ্যমের কার্ড ব্যবহার করে একটি প্রোপাগান্ডা ছড়ায়। যেখানে বল হয়, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ হিরো আলমকে ঢাকা-১৭ নির্বাচনের জন্য ২০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় সে টাকা ফেরত চাইছেন পার্থ বলেন হিরো আলম। কিন্তু এ-সংক্রান্ত কোনো সংবাদ ওই গণমাধ্যম প্রচার করেনি এবং তারা সঙ্গে সঙ্গে এটার প্রতিবাদ জানিয়েছে। এটা যে প্রোপাগান্ডা, সেটা অল্প সময়ের মধ্য মানুষ জেনে গেছে। এ ছাড়া আরও অনেক ঘটনা আছে, যেগুলো মানুষ অল্প সময়ের মধ্যেই বুঝতে পারছে যে এটা সত্য নয়। যার কারণে যারা বা যে পক্ষ ছড়াচ্ছে, তাদের ভাব ও মূর্তি উজ্জ্বল না হয়ে আরও ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
মতিন সাহেব মনে মনে ভাবছেন, এরা কি এটা জানে না যে প্রোপাগান্ডা এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন আমজনতা বুঝতে না পারে এটা মিথ্যা। এটাই সত্য এবং শতভাগ সত্য তা যেন মনে করে জনতা, তাহলেই তো উদ্দেশ্য হাসিল হবে, অন্যথায় তাদের ভাব ও মূর্তির অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতর হবে। দলের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য নেমে ক্ষুণ্ন করে ফেলছে তারা।
এখন আবার মতিন সাহেবের আইনস্টাইনের একটি কৌতুক বা হাস্যরসের কথা মনে পড়ে গেল। একবার এক অনুষ্ঠানে আইনস্টাইনকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি একটু সহজ করে আপনার তত্ত্বটা আমাদের বোঝাবেন? আইনস্টাইন তখন একটি গল্পটা শোনালেন। আমি একবার বন্ধুর সঙ্গে হাঁটছিলাম। বন্ধুটি ছিল অন্ধ। আমি বললাম, ‘দুধ পান করতে ইচ্ছা করছে।’ বন্ধুটি বলল, ‘পান করা বুঝি, কিন্তু দুধ কী জিনিস?’
আমি বললাম, ‘একটা সাদা তরল পদার্থ।’ বন্ধুটি বলল, ‘তরল আমি বুঝি, কিন্তু সাদা জিনিসটা কী?’ বললাম ‘বকের পালকের রং।’ বন্ধুটি বলল, ‘পালক আমি বুঝি, কিন্তু বক কী?’ আমি বললাম, ‘ঘাড় কুঁজো বা বাঁকানো ঘাড়ের এক পাখি।’ সে বলল, ‘ঘাড় সে তো বুঝি। কিন্তু এই কুঁজো কথাটার মানে কী?’ এরপর আর ধৈর্য থাকে, বলুন! আমি তার হাতটা ধরে এক ঝটকায় টান টান করলাম। বললাম, ‘এটা এখন একদম সোজা, তাই না। তারপর ধরো, কনুই বরাবর এটা ভেঙে দিলাম। এবার তোমার হাতটা যেমন আছে সেটাকেই কুঁজো বা বাঁকানো বলে, বুঝলে?’ ‘আহ্!’ অন্ধ বন্ধু বলল, ‘এবার বুঝেছি, দুধ বলতে তুমি কী বুঝিয়েছ।’
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই দেখা যায় অনেকে কিছু একটা লিখে বলছে, এটা রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, এটা আইনস্টাইন বলেছেন বা কাজী নজরুল বলেছেন। অধিকাংশ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী পাঠক তা বিশ্বাস করেন। কারণ, এ বিষয়ে তাঁদের পড়ালেখা কম অথবা জানাশোনাই নেই। এমনটা যে হবে, সেটা নিয়ে আগেই ভেবেছিলেন আইনস্টাইন।
নিজের মৃত্যুর পরে কী হবে তা নিয়ে চিন্তিত আইনস্টাইন বলেন, ‘আমার মৃত্যু পর সেদিনের কথা ভেবে খুব ভয় হয়, যেদিন লোকজন আমার ভুয়া উক্তি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট বানাবে। আসলে আইনস্টাইনের যে উক্তি এখানে লেখা হয়েছে, সেটাও তিনি বলেননি। তাঁর নামে এত এত মিথ্যা প্রচারণা! তাই তাঁর পক্ষে কেউ একজন প্রচারণাটি করেছেন।’
আইনস্টাইনের নামে যেমন সত্য-মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়, তেমনি অন্য বিষয়গুলো নিয়েও নিয়মিত ছড়ানো হচ্ছে। এমন তথ্য ছড়ানোকে আপনি দুভাবে দেখতে পারেন। প্রথমত, গুজব, দ্বিতীয়ত, প্রোপাগান্ডা।
প্রথমেই জেনে নেই গুজব কী। গুজব হলো কোনো ঘটনা সম্পর্কে লোকমুখে প্রচারিত সত্যতা যাচাই বিহীন কিছু কথা বা ব্যাখ্যা। যার কোনো সত্যতা নেই। রাজনৈতিক গুজব এখন বেশি দেখা যায়। গুজব বরাবর রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়ে এসেছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ইতিবাচক গুজবের পরিবর্তে নেতিবাচক গুজব অধিক কার্যকর হতে দেখা গেছে।
আর প্রোপাগান্ডা হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা। এমন ধরনের পক্ষপাতমূলক ও ভ্রান্ত তথ্য, যা একটি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বা উদ্দেশের প্রচারণায় ব্যবহৃত হয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা সাধারণত আংশিক সত্য বা আংশিক মিথ্যা প্রচার করে। জনগণের আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণার পুনরাবৃত্তি ঘটানো হয় এবং সব ধরনের প্রচারমাধ্যম ব্যবহার করা হয়।
২০১৩ সালের কথা নিশ্চয় মনে আছে। কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ হঠাৎ রাতের বেলা ছড়িয়ে দিল যে চাঁদে জামায়াত নেতা মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীকে দেখা যাচ্ছে বা গেছে। এর পর থেকে শুরু হলো এর প্রচারণা। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ল এ তথ্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বদৌলতে বিদ্যুতের গতিতে এদিক থেকে সেদিক ছুটল তথ্যটি। এ ঘটনাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা। যেটা থেকে অনেকে ফায়দা নিতে চেয়েছে। আর এই প্রোপাগান্ডাটি একশ্রেণির মানুষ গ্রহণ করেছিল, যার কারণে ৩৪ জেলায় ব্যাপক সহিংসতায় নিহত হয় ৭৮ জন মানুষ।
দেশে আরও অনেক সমস্যা তৈরি হয়েছে গুজব ছড়ানোর কারণে। মতিন সাহেবের মনে প্রশ্ন, গুজব কারা ছড়ায়, কেন এত গুজব ছড়ায়? হুট করে এই প্রশ্নের উত্তর মতিন সাহেবের মাথায়ই চলে এল। নিজেই নিজেকে বলছেন, ওহ সামনে তো জাতীয় নির্বাচন, তাই তো এত প্রোপাগান্ডা-গুজব। এতে করে আখেরে লাভ তো রাজনৈতিক দলগুলোর।
মতিন সাহেবের হঠাৎ মনে হলো এসব তো বহুকাল ধরে চলে আসছে। হিটলারের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণাকারী জোসেফ গোয়েবলসের কথা মনে পড়ল তাঁর। এরপর ব্রিটিশদের পলিটিক্যাল ওয়ারফেয়ার এক্সিকিউটিভ এবং যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব ওয়ার ইনফরমেশনের কথা ভাবছেন, আর মনে মনে বলছেন কেউই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা ব্যবহারে কারও থেকে কম ছিল না।
ভিনদেশের কথা ভাবতে ভাবতে আবার দেশের চিন্তায় বুদ মতিন সাহেব। বেশ কিছুদিন হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন সত্য-মিথ্যা তথ্য ঘুরপাক খাচ্ছে। আবার এসব যে মিথ্যা বা গুজব বা প্রোপাগান্ডা সেটা সবাই বুঝে যাচ্ছে। মতিন সাহেব নিজ মনে হাসছেন আর ভাবছেন, এরা এত মেধাশূন্য কেন? একটা প্রোপাগান্ডা অল্প সময়ের মধ্য সবাই বুঝে যায় যে এটা আসলে প্রোপাগান্ডা। গোয়েবলসকে দেখে, পড়ে শেখা উচিত বঙ্গদেশের প্রোপাগান্ডা সেলের সদস্যদের।
সম্প্রতি বঙ্গদেশের কিছু প্রোপাগান্ডার কথা মনে পরে গেল মতিন সাহেবের। কয়েক দিন আগের একটি প্রোপাগান্ডার কথা ভেবেই হতাশ তিনি। এ দেশের প্রোপাগান্ডা বাহিনী এত মূর্খ যে ঠিকঠাক মতো মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে না। কয়েক দিন আগে লোডশেডিংয়ের সময় বলা হচ্ছিল ওমান থেকে ৭৭ জাহাজ কয়লা আসছে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। কিন্তু গুজব বা প্রোপাগান্ডা সেলের লোকজন জানেই না কোন দেশ কী আমদানি বা রপ্তানি করে। গুজব বা প্রোপাগান্ডা ছড়াতে হলেও পড়ালেখার প্রয়োজন সেটা তারা বোঝে না।
এরপর গত রাতে দেশের প্রথম সারির একটি গণমাধ্যমের কার্ড ব্যবহার করে একটি প্রোপাগান্ডা ছড়ায়। যেখানে বল হয়, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ হিরো আলমকে ঢাকা-১৭ নির্বাচনের জন্য ২০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় সে টাকা ফেরত চাইছেন পার্থ বলেন হিরো আলম। কিন্তু এ-সংক্রান্ত কোনো সংবাদ ওই গণমাধ্যম প্রচার করেনি এবং তারা সঙ্গে সঙ্গে এটার প্রতিবাদ জানিয়েছে। এটা যে প্রোপাগান্ডা, সেটা অল্প সময়ের মধ্য মানুষ জেনে গেছে। এ ছাড়া আরও অনেক ঘটনা আছে, যেগুলো মানুষ অল্প সময়ের মধ্যেই বুঝতে পারছে যে এটা সত্য নয়। যার কারণে যারা বা যে পক্ষ ছড়াচ্ছে, তাদের ভাব ও মূর্তি উজ্জ্বল না হয়ে আরও ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
মতিন সাহেব মনে মনে ভাবছেন, এরা কি এটা জানে না যে প্রোপাগান্ডা এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন আমজনতা বুঝতে না পারে এটা মিথ্যা। এটাই সত্য এবং শতভাগ সত্য তা যেন মনে করে জনতা, তাহলেই তো উদ্দেশ্য হাসিল হবে, অন্যথায় তাদের ভাব ও মূর্তির অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতর হবে। দলের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য নেমে ক্ষুণ্ন করে ফেলছে তারা।
এখন আবার মতিন সাহেবের আইনস্টাইনের একটি কৌতুক বা হাস্যরসের কথা মনে পড়ে গেল। একবার এক অনুষ্ঠানে আইনস্টাইনকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি একটু সহজ করে আপনার তত্ত্বটা আমাদের বোঝাবেন? আইনস্টাইন তখন একটি গল্পটা শোনালেন। আমি একবার বন্ধুর সঙ্গে হাঁটছিলাম। বন্ধুটি ছিল অন্ধ। আমি বললাম, ‘দুধ পান করতে ইচ্ছা করছে।’ বন্ধুটি বলল, ‘পান করা বুঝি, কিন্তু দুধ কী জিনিস?’
আমি বললাম, ‘একটা সাদা তরল পদার্থ।’ বন্ধুটি বলল, ‘তরল আমি বুঝি, কিন্তু সাদা জিনিসটা কী?’ বললাম ‘বকের পালকের রং।’ বন্ধুটি বলল, ‘পালক আমি বুঝি, কিন্তু বক কী?’ আমি বললাম, ‘ঘাড় কুঁজো বা বাঁকানো ঘাড়ের এক পাখি।’ সে বলল, ‘ঘাড় সে তো বুঝি। কিন্তু এই কুঁজো কথাটার মানে কী?’ এরপর আর ধৈর্য থাকে, বলুন! আমি তার হাতটা ধরে এক ঝটকায় টান টান করলাম। বললাম, ‘এটা এখন একদম সোজা, তাই না। তারপর ধরো, কনুই বরাবর এটা ভেঙে দিলাম। এবার তোমার হাতটা যেমন আছে সেটাকেই কুঁজো বা বাঁকানো বলে, বুঝলে?’ ‘আহ্!’ অন্ধ বন্ধু বলল, ‘এবার বুঝেছি, দুধ বলতে তুমি কী বুঝিয়েছ।’
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই দেখা যায় অনেকে কিছু একটা লিখে বলছে, এটা রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, এটা আইনস্টাইন বলেছেন বা কাজী নজরুল বলেছেন। অধিকাংশ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী পাঠক তা বিশ্বাস করেন
১৯ জুন ২০২৩
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই দেখা যায় অনেকে কিছু একটা লিখে বলছে, এটা রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, এটা আইনস্টাইন বলেছেন বা কাজী নজরুল বলেছেন। অধিকাংশ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী পাঠক তা বিশ্বাস করেন
১৯ জুন ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই দেখা যায় অনেকে কিছু একটা লিখে বলছে, এটা রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, এটা আইনস্টাইন বলেছেন বা কাজী নজরুল বলেছেন। অধিকাংশ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী পাঠক তা বিশ্বাস করেন
১৯ জুন ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই দেখা যায় অনেকে কিছু একটা লিখে বলছে, এটা রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, এটা আইনস্টাইন বলেছেন বা কাজী নজরুল বলেছেন। অধিকাংশ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী পাঠক তা বিশ্বাস করেন
১৯ জুন ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে