
পিরেনিজ পর্বতমালার কোলে আশ্চর্য সুন্দর এক গ্রাম মন্টোইয়ু। ৮০০-র কিছু বেশি জনসংখ্যার গ্রামটিতে কোনো এটিএম বুথ নেই। তবে এখানে পাবেন ১৫টি বইয়ের দোকান।
স্বাধীনভাবে পরিচালিত এসব বইয়ের দোকানের করণে গ্রামটি পেয়েছে দক্ষিণ ফ্রান্সের একমাত্র ভিলেজ ডু লিবরে বা বইয়ের গ্রামের স্বীকৃতি।
অবশ্য এটিই পৃথিবীর একমাত্র বুক ভিলেজ বা বইয়ের গ্রাম নয়। ওয়েলসের হে-অন-উইয়িতে আছে ২০টির বেশি বইয়ের দোকান। ১৯৬৩ সালে প্রথম বইয়ের গ্রাম হিসেবে স্বীকৃতি পায় এটি। বেলজিয়ামের রেদ্যু এমন স্বীকৃত পায় ১৯৮৪ সালে।
মন্টোইয়ু এমনকি ফ্রান্সেরও একমাত্র বুক ভিলেজ নয়। ব্রিটানির ব্যাসেরো দেশের প্রথম বুক ভিলেজের মর্জাদা পায় ১৯৮৯ সালে। তারপর ১৯৯০ সালে এই তালিকায় যুক্ত হয় মন্টোইয়ু। বর্তমানে দেশটিতে এমন আটটি গ্রাম আছে।
তবে একটি কারণে এটি ফ্রান্সের কিংবা অন্য জায়গার বইয়ের গ্রামগুলি থেকে আলাদা। অন্যদের মতো মন্টোইয়ু কখনও বই বিক্রির দিকে মনোযোগ দেয়নি, বরং এর আগ্রহ বই তৈরিতে।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
বুকবাইন্ডার মিশেল ব্রেবোঁর ১৯৮০-র দশকে প্রথম এমন এক বইয়ের জগত গড়ে তোলর স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন এমন একটি গ্রাম যেটি বই তৈরির সংরক্ষণাগার হিসাবে বেশি বিবেচিত হবে।
‘এটি সম্পূর্ণরূপে ধারণার বাইরের একটি বিষয়,’ বলেন মন্টোইয়ুর বই তৈরি শিল্প ও এর কলা-কৌশল নিয়ে কাজ করা যাদুঘর মিউজে দেজ আর্টস অ্যান্ড মেটিয়োর ডু লিবরের নতুন পরিচালক গেয়াল ফেরাদিনি, ‘এটি ব্রেবোঁর কৃতিত্ব। লোকেরা আমাকে বলে যে তিনি সে ধরনের ব্যক্তি ছিলেন যার সঙ্গে যে কেউ কাজ করতে চাইবেন।’
আজ, জাদুঘরটি শুধুমাত্র হাইডেলবার্গ প্রিন্টিং প্রেসের মতো লিখন পদ্ধতি এবং যন্ত্র প্রদর্শনের জন্য নয়। বরং নিয়মিত তিন ঘন্টার কর্মশালা হয়। দক্ষিণ ফ্রান্সের ১২ জন কারিগর এই শেখানোর কাজটি করেন। বই বাঁধাই শেখান ক্যামিল গ্রিন। সম্ভবত গ্রামটিতে বাস করা ব্রেবোঁর সবচেয়ে সরাসরি উত্তরসূরি তিনি।
মন্টোইয়ুর বইয়ের দোকানগুলি হয়তো ব্রেবোঁর স্বপ্নের মূল জায়গায় থাকেনি। তবে তাঁরা পর্যটকদের বিশেষ করে বইপ্রেমীদের যে আকৃষ্ট করতে পারছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
১৯৯০-র দশকের গোড়ার দিকে, ব্রেবোঁ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠা করা সংস্থাটির অন্যান্য সদস্যরা বই বিক্রেতাদের আগ্রহী করে তুলতে সক্ষম হন। তাঁদের দোকানের সামনের অংশটি চমৎকারভাবে সাজিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রলুব্ধ করেন। গ্রামের কিছু মানুষ অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার পর বছর কয়েক ধরে এই জায়গাগুলি ফাঁকাই পড়ে ছিল।
এখন একজন ভাবতেই পারেন ছোট্ট একটি গ্রামে এত এত বইয়ের দোকান! তুমুল প্রতিযোগিতা হয় নিশ্চয় বিক্রেতাদের মধ্যে। নিশ্চয় রেষারেষিও থাকে? তবে ঘটনা মোটেই তা নয়। বরং বেশিরভাগ বই বিক্রেতা একটি নির্দিষ্ট ঘরানার বইয়ের সন্ধানে তাদের সহকর্মীদের কাছে ক্রেতাদের পাঠাতে পারলে খুশিই হন। এভাবে তাঁদের মধ্যে চমৎকার একটি সম্প্রীতি বজায় থাকে।
এখানে বইয়ের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে মানুষের জীবন। যেমন রব ক্লাইস নিজের বইয়ের দোকান অ্যাবেলার্দের ওপরে এক দশকের বেশি সময় বাস করেন। এখন ২০১৭ সালে কেনা একটি বাড়িতে উঠেছেন। আর বইয়ের দোকানের ওপরের তলাকে বানিয়ে ফেলেছেন বইপ্রেমীদের রাত কাটানো এবং খাওয়ার জায়গায়।
দ্বিতীয় তলায় মাচা-সদৃশ রুমটিতে আলো ঢুকার প্রচুর জায়গা আছে। শেলফে রাখা চামড়ার বাঁধা বইগুলিতে যখন আলো পড়ে চকচক করে ওঠে খুশিতে ভরে ওঠে একজন বইপ্রেমীর মন।
দুই নদী দ্যুরে আর আলঝেউয়ের মাঝখানে গ্রামটির অবস্থান। এই নদীর জল থেকে উৎপন্ন হওয়া বিদ্যুৎ একে বিংশ শতকে মিলের একটি কেন্দ্রে পরিণত করে। একপর্যায়ে দ্যুরে নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল একটি-দুটো নয় ছয়টি কাগজের মিল। অবশ্য এ সব ঘটনার সবই এখন অতীত।
ব্রেবোঁ ১৯৯২ সালে মারা যান। তবে যতদিন বইয়ের গ্রাম হিসেবে পরিচিতি থাকবে গ্রামটির ততদিন তাঁকে মনে রাখবে এখানকার মানুষ। তাঁর প্রচেষ্টার দরুনই এই ছোট্ট গ্রাম বইপ্রেমীদের জন্য গুপ্ত এক স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। যারা একে খোঁজে তাকে স্বাগত জানাতে যে সদাপ্রস্তুত।

পিরেনিজ পর্বতমালার কোলে আশ্চর্য সুন্দর এক গ্রাম মন্টোইয়ু। ৮০০-র কিছু বেশি জনসংখ্যার গ্রামটিতে কোনো এটিএম বুথ নেই। তবে এখানে পাবেন ১৫টি বইয়ের দোকান।
স্বাধীনভাবে পরিচালিত এসব বইয়ের দোকানের করণে গ্রামটি পেয়েছে দক্ষিণ ফ্রান্সের একমাত্র ভিলেজ ডু লিবরে বা বইয়ের গ্রামের স্বীকৃতি।
অবশ্য এটিই পৃথিবীর একমাত্র বুক ভিলেজ বা বইয়ের গ্রাম নয়। ওয়েলসের হে-অন-উইয়িতে আছে ২০টির বেশি বইয়ের দোকান। ১৯৬৩ সালে প্রথম বইয়ের গ্রাম হিসেবে স্বীকৃতি পায় এটি। বেলজিয়ামের রেদ্যু এমন স্বীকৃত পায় ১৯৮৪ সালে।
মন্টোইয়ু এমনকি ফ্রান্সেরও একমাত্র বুক ভিলেজ নয়। ব্রিটানির ব্যাসেরো দেশের প্রথম বুক ভিলেজের মর্জাদা পায় ১৯৮৯ সালে। তারপর ১৯৯০ সালে এই তালিকায় যুক্ত হয় মন্টোইয়ু। বর্তমানে দেশটিতে এমন আটটি গ্রাম আছে।
তবে একটি কারণে এটি ফ্রান্সের কিংবা অন্য জায়গার বইয়ের গ্রামগুলি থেকে আলাদা। অন্যদের মতো মন্টোইয়ু কখনও বই বিক্রির দিকে মনোযোগ দেয়নি, বরং এর আগ্রহ বই তৈরিতে।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
বুকবাইন্ডার মিশেল ব্রেবোঁর ১৯৮০-র দশকে প্রথম এমন এক বইয়ের জগত গড়ে তোলর স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন এমন একটি গ্রাম যেটি বই তৈরির সংরক্ষণাগার হিসাবে বেশি বিবেচিত হবে।
‘এটি সম্পূর্ণরূপে ধারণার বাইরের একটি বিষয়,’ বলেন মন্টোইয়ুর বই তৈরি শিল্প ও এর কলা-কৌশল নিয়ে কাজ করা যাদুঘর মিউজে দেজ আর্টস অ্যান্ড মেটিয়োর ডু লিবরের নতুন পরিচালক গেয়াল ফেরাদিনি, ‘এটি ব্রেবোঁর কৃতিত্ব। লোকেরা আমাকে বলে যে তিনি সে ধরনের ব্যক্তি ছিলেন যার সঙ্গে যে কেউ কাজ করতে চাইবেন।’
আজ, জাদুঘরটি শুধুমাত্র হাইডেলবার্গ প্রিন্টিং প্রেসের মতো লিখন পদ্ধতি এবং যন্ত্র প্রদর্শনের জন্য নয়। বরং নিয়মিত তিন ঘন্টার কর্মশালা হয়। দক্ষিণ ফ্রান্সের ১২ জন কারিগর এই শেখানোর কাজটি করেন। বই বাঁধাই শেখান ক্যামিল গ্রিন। সম্ভবত গ্রামটিতে বাস করা ব্রেবোঁর সবচেয়ে সরাসরি উত্তরসূরি তিনি।
মন্টোইয়ুর বইয়ের দোকানগুলি হয়তো ব্রেবোঁর স্বপ্নের মূল জায়গায় থাকেনি। তবে তাঁরা পর্যটকদের বিশেষ করে বইপ্রেমীদের যে আকৃষ্ট করতে পারছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
১৯৯০-র দশকের গোড়ার দিকে, ব্রেবোঁ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠা করা সংস্থাটির অন্যান্য সদস্যরা বই বিক্রেতাদের আগ্রহী করে তুলতে সক্ষম হন। তাঁদের দোকানের সামনের অংশটি চমৎকারভাবে সাজিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রলুব্ধ করেন। গ্রামের কিছু মানুষ অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার পর বছর কয়েক ধরে এই জায়গাগুলি ফাঁকাই পড়ে ছিল।
এখন একজন ভাবতেই পারেন ছোট্ট একটি গ্রামে এত এত বইয়ের দোকান! তুমুল প্রতিযোগিতা হয় নিশ্চয় বিক্রেতাদের মধ্যে। নিশ্চয় রেষারেষিও থাকে? তবে ঘটনা মোটেই তা নয়। বরং বেশিরভাগ বই বিক্রেতা একটি নির্দিষ্ট ঘরানার বইয়ের সন্ধানে তাদের সহকর্মীদের কাছে ক্রেতাদের পাঠাতে পারলে খুশিই হন। এভাবে তাঁদের মধ্যে চমৎকার একটি সম্প্রীতি বজায় থাকে।
এখানে বইয়ের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে মানুষের জীবন। যেমন রব ক্লাইস নিজের বইয়ের দোকান অ্যাবেলার্দের ওপরে এক দশকের বেশি সময় বাস করেন। এখন ২০১৭ সালে কেনা একটি বাড়িতে উঠেছেন। আর বইয়ের দোকানের ওপরের তলাকে বানিয়ে ফেলেছেন বইপ্রেমীদের রাত কাটানো এবং খাওয়ার জায়গায়।
দ্বিতীয় তলায় মাচা-সদৃশ রুমটিতে আলো ঢুকার প্রচুর জায়গা আছে। শেলফে রাখা চামড়ার বাঁধা বইগুলিতে যখন আলো পড়ে চকচক করে ওঠে খুশিতে ভরে ওঠে একজন বইপ্রেমীর মন।
দুই নদী দ্যুরে আর আলঝেউয়ের মাঝখানে গ্রামটির অবস্থান। এই নদীর জল থেকে উৎপন্ন হওয়া বিদ্যুৎ একে বিংশ শতকে মিলের একটি কেন্দ্রে পরিণত করে। একপর্যায়ে দ্যুরে নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল একটি-দুটো নয় ছয়টি কাগজের মিল। অবশ্য এ সব ঘটনার সবই এখন অতীত।
ব্রেবোঁ ১৯৯২ সালে মারা যান। তবে যতদিন বইয়ের গ্রাম হিসেবে পরিচিতি থাকবে গ্রামটির ততদিন তাঁকে মনে রাখবে এখানকার মানুষ। তাঁর প্রচেষ্টার দরুনই এই ছোট্ট গ্রাম বইপ্রেমীদের জন্য গুপ্ত এক স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। যারা একে খোঁজে তাকে স্বাগত জানাতে যে সদাপ্রস্তুত।

পিরেনিজ পর্বতমালার কোলে আশ্চর্য সুন্দর এক গ্রাম মন্টোইয়ু। ৮০০-র কিছু বেশি জনসংখ্যার গ্রামটিতে কোনো এটিএম বুথ নেই। তবে এখানে পাবেন ১৫টি বইয়ের দোকান।
স্বাধীনভাবে পরিচালিত এসব বইয়ের দোকানের করণে গ্রামটি পেয়েছে দক্ষিণ ফ্রান্সের একমাত্র ভিলেজ ডু লিবরে বা বইয়ের গ্রামের স্বীকৃতি।
অবশ্য এটিই পৃথিবীর একমাত্র বুক ভিলেজ বা বইয়ের গ্রাম নয়। ওয়েলসের হে-অন-উইয়িতে আছে ২০টির বেশি বইয়ের দোকান। ১৯৬৩ সালে প্রথম বইয়ের গ্রাম হিসেবে স্বীকৃতি পায় এটি। বেলজিয়ামের রেদ্যু এমন স্বীকৃত পায় ১৯৮৪ সালে।
মন্টোইয়ু এমনকি ফ্রান্সেরও একমাত্র বুক ভিলেজ নয়। ব্রিটানির ব্যাসেরো দেশের প্রথম বুক ভিলেজের মর্জাদা পায় ১৯৮৯ সালে। তারপর ১৯৯০ সালে এই তালিকায় যুক্ত হয় মন্টোইয়ু। বর্তমানে দেশটিতে এমন আটটি গ্রাম আছে।
তবে একটি কারণে এটি ফ্রান্সের কিংবা অন্য জায়গার বইয়ের গ্রামগুলি থেকে আলাদা। অন্যদের মতো মন্টোইয়ু কখনও বই বিক্রির দিকে মনোযোগ দেয়নি, বরং এর আগ্রহ বই তৈরিতে।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
বুকবাইন্ডার মিশেল ব্রেবোঁর ১৯৮০-র দশকে প্রথম এমন এক বইয়ের জগত গড়ে তোলর স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন এমন একটি গ্রাম যেটি বই তৈরির সংরক্ষণাগার হিসাবে বেশি বিবেচিত হবে।
‘এটি সম্পূর্ণরূপে ধারণার বাইরের একটি বিষয়,’ বলেন মন্টোইয়ুর বই তৈরি শিল্প ও এর কলা-কৌশল নিয়ে কাজ করা যাদুঘর মিউজে দেজ আর্টস অ্যান্ড মেটিয়োর ডু লিবরের নতুন পরিচালক গেয়াল ফেরাদিনি, ‘এটি ব্রেবোঁর কৃতিত্ব। লোকেরা আমাকে বলে যে তিনি সে ধরনের ব্যক্তি ছিলেন যার সঙ্গে যে কেউ কাজ করতে চাইবেন।’
আজ, জাদুঘরটি শুধুমাত্র হাইডেলবার্গ প্রিন্টিং প্রেসের মতো লিখন পদ্ধতি এবং যন্ত্র প্রদর্শনের জন্য নয়। বরং নিয়মিত তিন ঘন্টার কর্মশালা হয়। দক্ষিণ ফ্রান্সের ১২ জন কারিগর এই শেখানোর কাজটি করেন। বই বাঁধাই শেখান ক্যামিল গ্রিন। সম্ভবত গ্রামটিতে বাস করা ব্রেবোঁর সবচেয়ে সরাসরি উত্তরসূরি তিনি।
মন্টোইয়ুর বইয়ের দোকানগুলি হয়তো ব্রেবোঁর স্বপ্নের মূল জায়গায় থাকেনি। তবে তাঁরা পর্যটকদের বিশেষ করে বইপ্রেমীদের যে আকৃষ্ট করতে পারছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
১৯৯০-র দশকের গোড়ার দিকে, ব্রেবোঁ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠা করা সংস্থাটির অন্যান্য সদস্যরা বই বিক্রেতাদের আগ্রহী করে তুলতে সক্ষম হন। তাঁদের দোকানের সামনের অংশটি চমৎকারভাবে সাজিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রলুব্ধ করেন। গ্রামের কিছু মানুষ অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার পর বছর কয়েক ধরে এই জায়গাগুলি ফাঁকাই পড়ে ছিল।
এখন একজন ভাবতেই পারেন ছোট্ট একটি গ্রামে এত এত বইয়ের দোকান! তুমুল প্রতিযোগিতা হয় নিশ্চয় বিক্রেতাদের মধ্যে। নিশ্চয় রেষারেষিও থাকে? তবে ঘটনা মোটেই তা নয়। বরং বেশিরভাগ বই বিক্রেতা একটি নির্দিষ্ট ঘরানার বইয়ের সন্ধানে তাদের সহকর্মীদের কাছে ক্রেতাদের পাঠাতে পারলে খুশিই হন। এভাবে তাঁদের মধ্যে চমৎকার একটি সম্প্রীতি বজায় থাকে।
এখানে বইয়ের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে মানুষের জীবন। যেমন রব ক্লাইস নিজের বইয়ের দোকান অ্যাবেলার্দের ওপরে এক দশকের বেশি সময় বাস করেন। এখন ২০১৭ সালে কেনা একটি বাড়িতে উঠেছেন। আর বইয়ের দোকানের ওপরের তলাকে বানিয়ে ফেলেছেন বইপ্রেমীদের রাত কাটানো এবং খাওয়ার জায়গায়।
দ্বিতীয় তলায় মাচা-সদৃশ রুমটিতে আলো ঢুকার প্রচুর জায়গা আছে। শেলফে রাখা চামড়ার বাঁধা বইগুলিতে যখন আলো পড়ে চকচক করে ওঠে খুশিতে ভরে ওঠে একজন বইপ্রেমীর মন।
দুই নদী দ্যুরে আর আলঝেউয়ের মাঝখানে গ্রামটির অবস্থান। এই নদীর জল থেকে উৎপন্ন হওয়া বিদ্যুৎ একে বিংশ শতকে মিলের একটি কেন্দ্রে পরিণত করে। একপর্যায়ে দ্যুরে নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল একটি-দুটো নয় ছয়টি কাগজের মিল। অবশ্য এ সব ঘটনার সবই এখন অতীত।
ব্রেবোঁ ১৯৯২ সালে মারা যান। তবে যতদিন বইয়ের গ্রাম হিসেবে পরিচিতি থাকবে গ্রামটির ততদিন তাঁকে মনে রাখবে এখানকার মানুষ। তাঁর প্রচেষ্টার দরুনই এই ছোট্ট গ্রাম বইপ্রেমীদের জন্য গুপ্ত এক স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। যারা একে খোঁজে তাকে স্বাগত জানাতে যে সদাপ্রস্তুত।

পিরেনিজ পর্বতমালার কোলে আশ্চর্য সুন্দর এক গ্রাম মন্টোইয়ু। ৮০০-র কিছু বেশি জনসংখ্যার গ্রামটিতে কোনো এটিএম বুথ নেই। তবে এখানে পাবেন ১৫টি বইয়ের দোকান।
স্বাধীনভাবে পরিচালিত এসব বইয়ের দোকানের করণে গ্রামটি পেয়েছে দক্ষিণ ফ্রান্সের একমাত্র ভিলেজ ডু লিবরে বা বইয়ের গ্রামের স্বীকৃতি।
অবশ্য এটিই পৃথিবীর একমাত্র বুক ভিলেজ বা বইয়ের গ্রাম নয়। ওয়েলসের হে-অন-উইয়িতে আছে ২০টির বেশি বইয়ের দোকান। ১৯৬৩ সালে প্রথম বইয়ের গ্রাম হিসেবে স্বীকৃতি পায় এটি। বেলজিয়ামের রেদ্যু এমন স্বীকৃত পায় ১৯৮৪ সালে।
মন্টোইয়ু এমনকি ফ্রান্সেরও একমাত্র বুক ভিলেজ নয়। ব্রিটানির ব্যাসেরো দেশের প্রথম বুক ভিলেজের মর্জাদা পায় ১৯৮৯ সালে। তারপর ১৯৯০ সালে এই তালিকায় যুক্ত হয় মন্টোইয়ু। বর্তমানে দেশটিতে এমন আটটি গ্রাম আছে।
তবে একটি কারণে এটি ফ্রান্সের কিংবা অন্য জায়গার বইয়ের গ্রামগুলি থেকে আলাদা। অন্যদের মতো মন্টোইয়ু কখনও বই বিক্রির দিকে মনোযোগ দেয়নি, বরং এর আগ্রহ বই তৈরিতে।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
বুকবাইন্ডার মিশেল ব্রেবোঁর ১৯৮০-র দশকে প্রথম এমন এক বইয়ের জগত গড়ে তোলর স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন এমন একটি গ্রাম যেটি বই তৈরির সংরক্ষণাগার হিসাবে বেশি বিবেচিত হবে।
‘এটি সম্পূর্ণরূপে ধারণার বাইরের একটি বিষয়,’ বলেন মন্টোইয়ুর বই তৈরি শিল্প ও এর কলা-কৌশল নিয়ে কাজ করা যাদুঘর মিউজে দেজ আর্টস অ্যান্ড মেটিয়োর ডু লিবরের নতুন পরিচালক গেয়াল ফেরাদিনি, ‘এটি ব্রেবোঁর কৃতিত্ব। লোকেরা আমাকে বলে যে তিনি সে ধরনের ব্যক্তি ছিলেন যার সঙ্গে যে কেউ কাজ করতে চাইবেন।’
আজ, জাদুঘরটি শুধুমাত্র হাইডেলবার্গ প্রিন্টিং প্রেসের মতো লিখন পদ্ধতি এবং যন্ত্র প্রদর্শনের জন্য নয়। বরং নিয়মিত তিন ঘন্টার কর্মশালা হয়। দক্ষিণ ফ্রান্সের ১২ জন কারিগর এই শেখানোর কাজটি করেন। বই বাঁধাই শেখান ক্যামিল গ্রিন। সম্ভবত গ্রামটিতে বাস করা ব্রেবোঁর সবচেয়ে সরাসরি উত্তরসূরি তিনি।
মন্টোইয়ুর বইয়ের দোকানগুলি হয়তো ব্রেবোঁর স্বপ্নের মূল জায়গায় থাকেনি। তবে তাঁরা পর্যটকদের বিশেষ করে বইপ্রেমীদের যে আকৃষ্ট করতে পারছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
১৯৯০-র দশকের গোড়ার দিকে, ব্রেবোঁ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠা করা সংস্থাটির অন্যান্য সদস্যরা বই বিক্রেতাদের আগ্রহী করে তুলতে সক্ষম হন। তাঁদের দোকানের সামনের অংশটি চমৎকারভাবে সাজিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রলুব্ধ করেন। গ্রামের কিছু মানুষ অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার পর বছর কয়েক ধরে এই জায়গাগুলি ফাঁকাই পড়ে ছিল।
এখন একজন ভাবতেই পারেন ছোট্ট একটি গ্রামে এত এত বইয়ের দোকান! তুমুল প্রতিযোগিতা হয় নিশ্চয় বিক্রেতাদের মধ্যে। নিশ্চয় রেষারেষিও থাকে? তবে ঘটনা মোটেই তা নয়। বরং বেশিরভাগ বই বিক্রেতা একটি নির্দিষ্ট ঘরানার বইয়ের সন্ধানে তাদের সহকর্মীদের কাছে ক্রেতাদের পাঠাতে পারলে খুশিই হন। এভাবে তাঁদের মধ্যে চমৎকার একটি সম্প্রীতি বজায় থাকে।
এখানে বইয়ের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে মানুষের জীবন। যেমন রব ক্লাইস নিজের বইয়ের দোকান অ্যাবেলার্দের ওপরে এক দশকের বেশি সময় বাস করেন। এখন ২০১৭ সালে কেনা একটি বাড়িতে উঠেছেন। আর বইয়ের দোকানের ওপরের তলাকে বানিয়ে ফেলেছেন বইপ্রেমীদের রাত কাটানো এবং খাওয়ার জায়গায়।
দ্বিতীয় তলায় মাচা-সদৃশ রুমটিতে আলো ঢুকার প্রচুর জায়গা আছে। শেলফে রাখা চামড়ার বাঁধা বইগুলিতে যখন আলো পড়ে চকচক করে ওঠে খুশিতে ভরে ওঠে একজন বইপ্রেমীর মন।
দুই নদী দ্যুরে আর আলঝেউয়ের মাঝখানে গ্রামটির অবস্থান। এই নদীর জল থেকে উৎপন্ন হওয়া বিদ্যুৎ একে বিংশ শতকে মিলের একটি কেন্দ্রে পরিণত করে। একপর্যায়ে দ্যুরে নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল একটি-দুটো নয় ছয়টি কাগজের মিল। অবশ্য এ সব ঘটনার সবই এখন অতীত।
ব্রেবোঁ ১৯৯২ সালে মারা যান। তবে যতদিন বইয়ের গ্রাম হিসেবে পরিচিতি থাকবে গ্রামটির ততদিন তাঁকে মনে রাখবে এখানকার মানুষ। তাঁর প্রচেষ্টার দরুনই এই ছোট্ট গ্রাম বইপ্রেমীদের জন্য গুপ্ত এক স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। যারা একে খোঁজে তাকে স্বাগত জানাতে যে সদাপ্রস্তুত।

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৪ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

পিরেনিজ পর্বতমালার কোলে আশ্চর্য সুন্দর এক গ্রাম মন্টোইয়ু। ৮০০ জনসংখ্যার গ্রামটিতে কোনো এটিএম বুথ নেই। তবে এখানে পাবেন ১৫টি বইয়ের দোকান।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

পিরেনিজ পর্বতমালার কোলে আশ্চর্য সুন্দর এক গ্রাম মন্টোইয়ু। ৮০০ জনসংখ্যার গ্রামটিতে কোনো এটিএম বুথ নেই। তবে এখানে পাবেন ১৫টি বইয়ের দোকান।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৪ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

পিরেনিজ পর্বতমালার কোলে আশ্চর্য সুন্দর এক গ্রাম মন্টোইয়ু। ৮০০ জনসংখ্যার গ্রামটিতে কোনো এটিএম বুথ নেই। তবে এখানে পাবেন ১৫টি বইয়ের দোকান।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৪ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

পিরেনিজ পর্বতমালার কোলে আশ্চর্য সুন্দর এক গ্রাম মন্টোইয়ু। ৮০০ জনসংখ্যার গ্রামটিতে কোনো এটিএম বুথ নেই। তবে এখানে পাবেন ১৫টি বইয়ের দোকান।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৪ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে