Ajker Patrika

গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার সত্যিকারের গল্প

আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২২, ১৫: ৪৩
গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার সত্যিকারের গল্প

গুপ্তধন কথাটি শুনলে মনে হয় কেবল রূপকথার গল্পের মাঝেই এর অস্তিত্ব রয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, গল্পের মতো কিছু গুপ্তধন আধুনিক যুগে খুঁজে পাওয়া গেছে, যা বহন করে ইতিহাসের সাক্ষী। এগুলোর মূল্যও নেহাত কম নয়। 

ইংল্যান্ডের পূর্বে সংরক্ষিত এলাকা দ্য ওয়াশের একটি মোহনার কোথাও কিং জনের মধ্যযুগীয় রাজকীয় রত্নভান্ডার রয়েছে। ১২১৬ সালে তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা ধনসম্পদ সংবলিত ট্রেনে করে উপসাগর পার হওয়ার সময় জোয়ারের কবলে পড়েন এবং অমূল্য রত্ন সংবলিত মালবাহী ট্রেনটি ভেসে যায়। এরপর গুপ্তধন শিকারিদের স্বপ্ন থেকে যায় সেসব রত্ন খুঁজে বের করার। কেউ কেউ দাবি করেন, তাঁরা উদ্ধার করেছেন এসব গুপ্তধন। যদিও সপক্ষে প্রমাণ খুব কম। তবে কয়েকটি গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার সত্যিকারের ঘটনা রয়েছে, যা আশা জাগানিয়া। 

সাটন হু
স্টাফোর্ডশায়ার হোর্ড নামেও পরিচিত সাটন হু ভান্ডার কখনো হারিয়েই যায়নি। বরং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে একজন অ্যাংলো-স্যাক্সনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অংশ হিসেবে অনেক জায়গা জুড়ে সমাহিত করা হয়েছিল। মনে করা হয়, তিনি ছিলেন রেডওয়াল্ড (যিনি ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে মারা যান)। জমির মালিক এডিথ প্রিটি, ১৯৩৯ সালের গ্রীষ্মে অপেশাদার প্রত্নতাত্ত্বিক ব্যাসিল ব্রাউনকে জায়গাটি দেখতে বলেছিলেন। সেখানকার ঢিবির নিচে সপ্তম শতাব্দীর প্রথম দিকের একটি জাহাজের ছাপ পাওয়া যায়, যার কেন্দ্রে একটি বিশেষ সমাধিকক্ষ ছিল। ক্ষয়িষ্ণু ধরনের মাটির কারণে জাহাজ ও দেহ উভয়ই অদৃশ্য হয়ে গেলেও সমাহিত করা রেডওয়াল্ডের ২৬৩টি নিদর্শনে অবশিষ্টাংশ থেকে যায়। এর মধ্যে ছিল রৌপ্য বাইজেন্টিয়ামের বাটি, গ্রিক লিপি খোদাই করা চামচ, একটি বড় রুপার থালা, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান একটি ঢাল, ফ্রান্সের মুদ্রার একটি পার্স এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি তলোয়ার ও গৃহস্থালির জিনিসপত্র। এ ছাড়া রাজার পায়ের কাছে একটি বর্ম রাখা হয়েছিল। সব থেকে আইকনিক ছিল রাজার শিরস্ত্রাণ, যা অ্যাংলো-স্যাক্সন যুগের মুখের প্রতীক। 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে এই সম্পদের সন্ধান মেলে। ফলে ঝুঁকি বিবেচনায় এসব গুপ্তধন লন্ডনের একটি অব্যবহৃত আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের গভীরে লুকিয়ে রাখা হয়। ১৯৫১ সাল পর্যন্ত সেগুলো সর্বজনীন প্রদর্শনে যায়নি। তবে বর্তমানে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে নিদর্শনগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত। 

১৬৯৩ সালে একটি খেত চাষ করার সময়, সমারসেটের একজন বাসিন্দা ‘আলফ্রেড জুয়েল’ খুঁজে পানদ্য আলফ্রেড জুয়েল
 ১৬৯৩ সালে একটি খেত চাষ করার সময়, সমারসেটের একজন বাসিন্দা অ্যাংলো-স্যাক্সন জুয়েলারির একটি অসাধারণ টুকরো খুঁজে পান, যা এখন ‘আলফ্রেড জুয়েল’ নামে পরিচিত। আড়াই ইঞ্চি পরিমাপের টুকরাটির গোড়ায় একটি প্রাণীর মাথা রয়েছে। প্রাণীর মুখের ভেতরে একটি ছোট গর্ত যেখানে একটি কাঠের বা হাতির দাঁতের রড সুরক্ষিত করা হতো। এর ওপরে খোদাই করা সমতল পিঠের সঙ্গে একটি সোনার ফ্রেম। এটি কোনো পাঠ নির্দেশনায় ব্যবহৃত হতো বলে মনে করা হয়। আলফ্রেড জুয়েলটি ইংরেজ ইতিহাসের অন্যতম উল্লেখযোগ্য রাজার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার কারণে অনন্য রয়ে গেছে। এর প্রান্তের চারপাশে সোনার ফ্রেমে লেখা শিলালিপি রয়েছে। যেখানে লেখা, ‘আলফ্রেড আমাকে এটি তৈরি করার আদেশ দিয়েছেন।’ 

আলফ্রেড হলেন ওয়েসেক্সের রাজা আলফ্রেড দ্য গ্রেট (৮৪৮-৮৯৯), যিনি একজন যোদ্ধা, পণ্ডিত এবং শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক হিসাবে স্মরণীয়। রত্নটি অ্যাথেলনি গ্রাম থেকে মাত্র আট মাইল দূরে পাওয়া গিয়েছিল, যা আলফ্রেড ভাইকিংদের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধে একটি ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। ১৭১৮ সাল পর্যন্ত এটি ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল, পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে দান করা হয়। এটি এখন অক্সফোর্ডের অ্যাশমোলিয়ান মিউজিয়ামে রয়েছে। 

লুইস চেজম্যান দাবাগুলো হাতির এবং তিমির দাঁত দিয়ে তৈরিদ্য লুইস চেজম্যান
মনে করেন আপনি একদিন সমুদ্র সৈকতে হাঁটছেন এবং একটি পুরোনো বোতলের ছিপি কিংবা সামুদ্রিক শৈবাল খুঁজে পাওয়ার পরিবর্তে, সুন্দরভাবে খোদাই করা মধ্যযুগীয় দাবার সেটের একটি বাক্স খুঁজে পেলেন। শুনতে অদ্ভুত হলেও এটি ঘটেছিল। ১৮৩১ সালে আবিষ্কৃত হওয়ার আগে এই দাবার অংশ স্কটল্যান্ডের আইল অব লুইসের একটি সৈকতে প্রায় ৬০০ বছর লুকানো অবস্থায় ছিল। প্রচলিত আছে, ম্যালকম ম্যাকলিওড নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা এটি খুঁজে পান। আইল অব লুইস স্কটল্যান্ডের আউটার হেব্রাইডের অংশ। ভাইকিংরা ৮ম শতাব্দীতে আউটার হেব্রাইডে এসেছিল। এলাকাটি ১২৬৬ সাল পর্যন্ত নরওয়েজীয় শাসনের অধীনে ছিল। ধারণা করা হয়, লুইস চেজম্যান ১১ শতকে নরওয়েতে তৈরি হয়েছিল, যা স্থানীয় সংস্কৃতি এবং শিল্পকে প্রতিফলিত করে। দাবাগুলো হাতির এবং তিমির দাঁত দিয়ে তৈরি। দাবার টুকরোগুলো নতুন ছিল, গুরুত্বপূর্ণ কাউকে উপহার দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল সম্ভবত। তবে কীভাবে সেগুলো সৈকতে আসে তা রহস্য রয়ে গেছে। 

রডারিক রিরি নামের এক ব্যক্তি এগুলো অধিগ্রহণ করেন এবং সেটগুলো ভেঙে টুকরো হিসেবে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ব্রিটিশ মিউজিয়াম ৮২টি কিনেছিল আর স্কটল্যান্ডের ন্যাশনাল মিউজিয়াম দ্বারা অধিগ্রহণ করা হয় আরও ১১টি। ছয়টি লুইস-এ প্রদর্শন করা হয়েছে। আর বেশ কয়েকটি টুকরো নিখোঁজ রয়েছে। 

ইংলিশ করনেশন স্পুন মধ্যযুগীয় ধাতব কাজের সেরা উদাহরণগুলোর মধ্যে একটিদ্য ইংলিশ করনেশন স্পুন
ইংলিশ করনেশন স্পুন মধ্যযুগীয় ধাতব কাজের সেরা উদাহরণগুলোর মধ্যে একটি। চামচটি ১২ শতকের কোনো এক সময় তৈরি করা হয়েছিল এবং সম্ভবত একটি আনুষ্ঠানিক বস্তু হিসাবে ব্যবহারের জন্য হেনরি দ্বিতীয় বা তাঁর পুত্র রিচার্ড প্রথম এর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল। ১৬০৩ সাল নাগাদ, এটি সার্বভৌমকে অভিষিক্ত করতে পবিত্র তেলে অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যখন রাজারা ঈশ্বরের দ্বারা নিযুক্ত বলে বিবেচিত হতো। ১৬৪৯ সালে বিপ্লবের সময় চামচটি নতুন সরকারের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য এটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ক্লেমেন্ট কিনার্সলি নামে এক ব্যক্তি মাত্র ১৬ শিলিং দিয়ে এটি কিনেছিলেন। কিনার্সলি জাতির জন্য চামচটি সংরক্ষণ করেছিলেন। তিনি প্রথম চার্লসের পোশাক, আসবাবপত্র এবং গৃহসজ্জার সামগ্রী নিয়ে কাজ করত যারা তাঁদের একজন ছিলেন। চার্লস দ্বিতীয়র কাছে ফেরত দিয়েছিলেন এটি। ইংলিশ করনেশন স্পুন এখন টাওয়ার অব লন্ডনে ‘আধুনিক’ রাজকীয় রত্নগুলোর সঙ্গে রাখা হয়েছে। 

মেরি রোজ জাহাজটি পুনরুদ্ধার করার আগে ১১ বছর কেটে যায় সতর্কতার সঙ্গে খনন ও উদ্ধার পরিকল্পনায়দ্য মেরি রোজ
মেরি রোজ ১৫১০ সালে নির্মিত হয়েছিল, ভার্জিন মেরি এবং টিউডর রাজবংশের প্রতীকের জন্য নামকরণ করা হয়েছিল। গুঞ্জন আছে, হেনরি অষ্টম প্রকৃতপক্ষে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ডিজাইন করতে সাহায্য করেছিলেন, যেটি আটটি ভারী কামান বহন করতে পারে। বিপর্যয়ের আগে জাহাজটি ৩৪ বছর ধরে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৫৪৫ সালের ১৯ জুলাই, ফরাসি নৌবহর ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে সোলেন্টে প্রবেশ করে। মেরি রোজ, অন্যান্য ৮০টি ইংরেজ জাহাজের সঙ্গে যাত্রা করেছিল। যুদ্ধজাহাজটি বাঁক নেওয়ার সময় স্টারবোর্ডের দিক থেকে গুলি চালানো শুরু করলে একটি দমকা বাতাস আসে এবং মুহূর্তেই পানি প্রবেশ করে। কয়েক মিনিটের মধ্যে তলিয়ে যায় মেরি রোজ। জাহাজে থাকা ৫০০ জনের মধ্যে মাত্র ৩৫ জন বেঁচে ছিলেন। এর ৪০০ বছর পর ১৯৬৫ সালে, আলেকজান্ডার ম্যাককি এটিকে খুঁজে বের করার লক্ষ্যে প্রজেক্ট সোলেন্ট শিপস উদ্যোগ শুরু করেন। ম্যাককি এবং তাঁর ডুবুরি দল ছয় বছর ধ্বংসস্তূপের সন্ধানে কাটিয়েছে। তাঁদের প্রথম সাফল্য আসে ১৯৬৮ সালে, যখন তাঁরা সমুদ্রতটে একটি অদ্ভুত আকৃতির সন্ধান পায়। তবে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তাঁরা আত্মবিশ্বাসী হতে পারেননি যে, মেরি রোজকেই খুঁজে পেয়েছেন। জাহাজটি পুনরুদ্ধার করার আগে ১১ বছর কেটে যায় সতর্কতার সঙ্গে খনন ও উদ্ধার পরিকল্পনায়। 

 ১৯৮২ সালের ১১ অক্টোবর, মেরি রোজের কাঠাম ধীরে ধীরে জল থেকে বেরিয়ে আসার দৃশ্য যুক্তরাজ্যের লাখ লাখ মানুষ টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার দেখেছিল। বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষণের কাজ করার পর, এটি এখন পোর্টসমাউথের একটি জাদুঘরে রাখা হয়েছে, যেখানে জাহাজ এবং এর সঙ্গে পাওয়া অনেক নিদর্শন উভয়ই দেখা যায়। জাহাজের কিছু অংশ সমুদ্রতটে রয়ে গেছে এবং প্রত্নতাত্ত্বিকেরা এর হারিয়ে যাওয়া সম্পদ খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জরায়ুর বাইরে বেড়ে উঠল শিশু, অলৌকিক জন্ম দেখল ক্যালিফোর্নিয়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১: ১১
২০২৫ সালের আগস্টে লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই হাসপাতালে সুজ লোপেজের মেয়ে কাইলা সুজ, তাঁর কোলে রিউ ও অ্যান্ড্রু লোপেজ (ছবিতে বাম দিক থেকে)। ছবি: এপির সৌজন্যে
২০২৫ সালের আগস্টে লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই হাসপাতালে সুজ লোপেজের মেয়ে কাইলা সুজ, তাঁর কোলে রিউ ও অ্যান্ড্রু লোপেজ (ছবিতে বাম দিক থেকে)। ছবি: এপির সৌজন্যে

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।

লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’

৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।

সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।

সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।

অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।

হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।

গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।

সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’

বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অন্য নারীর ছবিতে লাইক দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাসভঙ্গের শামিল: তুরস্কের আদালত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৭
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হাবারলারের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচবি নামে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান এবং আর্থিক ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর সময় কাটাতেন এবং সেখানে নিয়মিত অন্য নারীদের ছবিতে, এমনকি প্রলুব্ধকর ছবিতেও ‘লাইক’ দিতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতেন।

এইচবি যুক্তি দেন, এই আচরণ তাঁর স্বামীর দাম্পত্য আনুগত্যের পরিপন্থী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন। স্বামী এসবি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনিও পাল্টা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে অপমান করেছেন এবং অতিরিক্ত ঈর্ষাপরায়ণ। স্ত্রীর এসব অভিযোগ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

আদালত এই মামলায় স্বামীকেই বেশি দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। তাঁকে প্রতি মাসে ৭৫০ লিরা বা ২০ মার্কিন ডলার খোরপোশ এবং ৮০ হাজার লিরা ২ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দাবি করেন, এই পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন।

বিচারকেরা জানান, অন্য নারীদের ছবিতে ওই ব্যক্তির ‘লাইক’ দেওয়ার বিষয়টি বৈবাহিক বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, ‘অনলাইনে এই আপাত নিরীহ মিথস্ক্রিয়াগুলো মূলত মানসিক নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।’

তুর্কি আইনজীবী ইমামোগ্লু স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল যে অনলাইন কর্মকাণ্ড এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে স্ক্রিনশট, মেসেজ এবং সব ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম উভয় পক্ষের দোষ নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হবে। নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’

এই মামলা অনলাইনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যদি একটি লাইক আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, তবে আপনাদের বিয়ে কখনোই মজবুত ছিল না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন পরিচয় লুকিয়ে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করার সময় এসেছে।’ তবে তৃতীয় একজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘যদি অনলাইনে প্রতিটি লাইক বা ভিউকে অবিশ্বস্ততা হিসেবে দেখা হয়, তবে মানুষ সারাক্ষণ ভয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হওয়া উচিত মতপ্রকাশের মুক্ত জায়গা।’

তুরস্কের আদালতে অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ‘মোটু’ নামে সেভ করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগ্দত্তা ‘বেশি খায়’, বিয়ে ভেঙে দিয়ে ক্ষতিপূরণ চাইলেন প্রেমিক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৩৫
প্রতীকী ছবি। ছবি: ফ্রিপিক
প্রতীকী ছবি। ছবি: ফ্রিপিক

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্‌দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।

শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্‌দান সম্পন্ন হয়। বাগ্‌দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।

উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।

আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’

আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।

২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।

ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মদের দোকানে তাণ্ডব, বাথরুমে পাওয়া গেল মাতাল র‍্যাকুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১৯
মদ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল একটি র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত
মদ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল একটি র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র‍্যাকুন!

ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র‍্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র‍্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।

খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র‍্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

পুরো মদের দোকান তছনছ করেছিল বুনো র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত
পুরো মদের দোকান তছনছ করেছিল বুনো র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত

র‍্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।

বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র‍্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র‍্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র‍্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত