জাহীদ রেজা নূর

বিশ্ব বন্ধু দিবস কী, কেন, তা নিয়ে অন্য কোথাও নিশ্চয়ই আলোচনা হবে। আমরা শুরুতেই ঢুকে যাব বন্ধুত্ব নিয়ে রুশ দেশে তৈরি হওয়া কিছু কৌতুকে। এগুলো নির্দোষ আমোদের জন্যই শুধু। এর মধ্যে ভারী কোনো তত্ত্বের প্রয়োগ না করলেই পড়ে মজা পাবেন।
১.
‘আমার বউ আমার সেরা বন্ধুর সঙ্গে পালিয়েছে!’
‘তোমার বন্ধু কি তোমার চেয়ে বয়সে ছোট আর তোমার চেয়ে সুন্দর দেখতে?’
‘সেটা আমি কী করে জানব, ওকে তো আমি কোনো দিন চোখেই দেখিনি!’
২.
মানুষের সেরা বন্ধু কুকুর। বিশ্বাস হলো না? তুমি তোমার কোনো বন্ধু আর কুকুরকে গাড়ির পেছনের ট্রাঙ্কে বন্ধ করে রাখো দু ঘণ্টা। এবার খুলে দাও, বেরিয়ে আসুক ওরা। প্রমাণ পাবে, বন্ধু আর কুকুরের মধ্যে তোমার প্রতি কে বেশি খুশি হয়েছে!
৩.
ফেসবুকে বন্ধুদের লেখা স্ট্যাটাসগুলো পড়ল এক বন্ধু। বিশ্বাস করবেন না, তারই আলোকে দর্শন পরীক্ষায় সে পেল সেরা নম্বর!
৪.
আমার এই বন্ধুর কথাটা শুনুন: ‘আমি আমার ৩৭ বছর বয়সেও প্রতিদিন সকালে ১০ কিলোমিটার দৌড়াই, ১৪ ঘণ্টা কাজ করি প্রতিদিন, তিনটি কারখানা চালাই, একই সঙ্গে দুটি বই লিখি। এত কিছুর পরও আমি পরিবার, বন্ধুদের সময় দিই, এমনকি, সবার সঙ্গে মিলে কোরাসে গান গাই।
বুঝতেই পারছেন, যখন মানুষ মিথ্যে কথা বলে, তখন তার পক্ষে একসঙ্গে সবকিছুই করা সম্ভব।
৫.
হঠাৎ কোটিপতি হয়ে ওঠা এক বন্ধু বলছে তার আরেক বন্ধুকে: ‘জানিস! আমি ২৫ বছর বয়সী এক তম্বীর প্রেমে পড়েছি। কিন্তু সমস্যা হলো, আমার তো বয়স ৬৫! এই বয়সের এক পুরুষকে কি মেয়েটা ভালোবাসবে? কী বলে ওর কাছে প্রেম নিবেদন করব? ওর কাছে বয়স লুকালে কি প্রেমের সম্ভাবনা বাড়বে? এই ধর, ওকে বললাম, আমার বয়স ৫৫?
বন্ধুটি উত্তর দিল, ‘না। বয়স কমালে প্রেমে পড়ার সম্ভাবনা বাড়বে না। বাড়বে, বয়স বাড়ালে। তুই বলবি, তোর বয়স ৮৫!’
৬.
বন্ধুদের সঙ্গে অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দিয়েছে একজন। তারপর আর ফিরতে পারেনি বাড়িতে। রাত কাটাবে কোথায়? এক বন্ধু কাজ করে মর্গে। সেখানেই রাত কাটাবে বলে স্থির করল। মর্গে যারা কাজ করে, তাদের গিয়ে বলল, ‘আমার নাম দোদিক কাৎসমান। আমার ফোনে চার্জ নেই। বউয়ের নম্বরটাও মুখস্থ নেই! আমার বউ ফোন করল বলল, ‘আমি এখানে আছি! ফোনটা আমাকে দিয়ো।’
যথারীতি গভীর রাতে বউয়ের ফোন এল। যিনি ফোন ধরেছেন, তাঁর সঙ্গে কথা হলো এ রকম:
‘হ্যালো, এটা মর্গ?’
‘জি, এটা মর্গ।’
‘এখানে কি দোদিক কাৎসমান নামে কোনো...’
‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, দোদিক কাৎসমান তো এখানেই আছে। আমি…’
কথা শেষ হলো না।
‘হ্যালো! হ্যালো, আপনি দোদিককে খুঁজছিলেন। কিন্তু আপনার ওখানে ধপাস করে কী পড়ল? কিসের শব্দ হলো?’
৭.
মস্কো শহরে দুজন ট্রাফিক পুলিশের বিয়ে হলো।
বন্ধু বলল, ‘অভিনন্দন। কেমন আছিস তোরা? নিজের পেশাতেই খুঁজে নিলি বউ!’
‘আর বলিস না। বিয়ের প্রথম রাতেই দুবার জরিমানা করেছে বউ।’
‘কেন!’
‘একবার গতি বাড়ানোর অপরাধে, আরেকবার বেঠিক জায়গায় থামার জন্য!’
৮.
সুদখোর ব্যবসায়ী শাইলক মারা যাচ্ছেন। মারা যাওয়ার আগে তিনি ডেকেছেন তাঁর পুরোনো বন্ধুকে।
‘ইজিয়া, খেয়াল রাখিস, আমার মৃত্যুর পর শবযাত্রাটা যেন হয় খুব জাঁকজমকের সঙ্গে। সব পুরুষ যেন চকচকে কালো স্যুট পরে আসে!’
‘ঠিক আছে আবরাশা! কিন্তু সমস্যা হলো, আমার নিজেরই সে রকম স্যুট নেই।’
‘ইজিয়া, ঘাবড়াস না। তুই আমার স্যুটটা কিনে নে! আমি খুব কম দামে তোর কাছে তা বিক্রি করব!’
৯.
এখন পর্যন্ত কেউ আমাকে ব্যাখ্যা করে বোঝাতে পারল না, কেন রাশিয়ার যারা শত্রু, তাদের সবার দেশেই সবকিছু পাওয়া যায়। তারা টমেটো পাচ্ছে, ফল পাচ্ছে, দোকান ভরা ওদের খাবার–দাবার! আরা যার রাশিয়ার বন্ধু, তাদের সবার দেশেই অভাব! কেন এমন হয়!
১০.
বহুদিন পর দুই বন্ধুর দেখা হয়েছে।
‘কীরে, কেমন আছিস?
‘আছি ভালোই। কিন্তু একটা ঝামেলায় পড়েছি। বান্ধবী আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। ওকে ভুলতে পারছি না!’
‘ভুলতে চাস? কোনো সমস্যা নেই। অ্যালার্ম ক্লকে ঘণ্টির বদলে ওর কণ্ঠ বসিয়ে দে। দুদিনেই ভুলে যাবি!’
১১.
টেলিফোনে দুই বন্ধুর কথোপকথন
‘কেমন আছিস, ইভান? তুই কবে আমার টাকা ফেরত দিবি?’
‘ও তোর টাকার দরকার? সমস্যা নেই। আজই দিতে পারি! আমি আন্তনের হাতে দিয়ে দিচ্ছি। ওর সঙ্গে তো তোর দেখা হবে। তাহলে দ্রুত টাকাটা পেয়ে যাবি!’
‘না না, আন্তনের হাতে দিস না। আন্তন আমার কাছে টাকা পায়!’
রুস্কি চুটস্কির এবারের কৌতুক দল নিয়ম অনুযায়ী এখানেই শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু মাঠের দলের সঙ্গে তো কিছু অতিরিক্ত খেলোয়াড় থাকে। বন্ধু দিবস উপলক্ষে সেই রিজার্ভ বেঞ্চও হাজির সঙ্গ দিতে। শর্ত একটাই: রিজার্ভ কৌতুকগুলো রোববারের আগে পড়া যাবে না।
১২.
কুকুর আমাদের সেরা বন্ধু হতে পারে, কিন্তু বেড়াল কখনো পুলিশকে বলে দেয় না যে, কোথায় মারিজুয়ানা লুকানো আছে।
১৩.
তুমি বুড়ো হয়েছ কিনা, তা জানার একটা ভালো উপায় আছে।
বন্ধুদের সামনে তুমি ধপাস করে পড়ে যাওয়ার ভান কর।
যদি তোমার পড়ে যাওয়া দেখে বন্ধুরা হেসে ওঠে, তাহলে তুমি এখনো যুবক।
আর যদি তোমার বন্ধুরা দৌড়ে তোমার কাছে আসে, তোমার হাত–পা ধরে তোমাকে টেনে তুলে ধরতে চায়, বুঝবে, তুমি বুড়ো হয়ে গেছ।
১৪.
কোনো দিন নিজের মা–বাবার কাছে বন্ধুদের সাফল্যের বর্ণনা করবে না। সেটা করলে তুমি একসময় বুঝতে পারবে, জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছ!
শেষ করি একটা বহুল প্রচলিত কৌতুক দিয়ে। পুরুষদের বন্ধুত্ব কতটা খাঁটি, তারই স্বীকৃতি এই কৌতুক।
১৫.
সারা রাত বাইরে কাটিয়ে স্বামী ফিরেছে বাড়িতে। স্ত্রী জিজ্ঞেস করছে, ‘কোথায় ছিলে?’
‘বন্ধুর বাড়িতে!’
স্ত্রী স্বামীর ১০ জন বন্ধুকে ফোন করল।
এর মধ্যে ছয়জন স্বীকার করল, তার বাড়িতেই রাতে ছিল বন্ধুটি।
বাকি চারজন নির্দ্বিধায় বলল, বন্ধুটি এখনো তাদের বাড়িতে ঘুমাচ্ছে!
শুভ হোক বন্ধুত্বের দিনটি।

বিশ্ব বন্ধু দিবস কী, কেন, তা নিয়ে অন্য কোথাও নিশ্চয়ই আলোচনা হবে। আমরা শুরুতেই ঢুকে যাব বন্ধুত্ব নিয়ে রুশ দেশে তৈরি হওয়া কিছু কৌতুকে। এগুলো নির্দোষ আমোদের জন্যই শুধু। এর মধ্যে ভারী কোনো তত্ত্বের প্রয়োগ না করলেই পড়ে মজা পাবেন।
১.
‘আমার বউ আমার সেরা বন্ধুর সঙ্গে পালিয়েছে!’
‘তোমার বন্ধু কি তোমার চেয়ে বয়সে ছোট আর তোমার চেয়ে সুন্দর দেখতে?’
‘সেটা আমি কী করে জানব, ওকে তো আমি কোনো দিন চোখেই দেখিনি!’
২.
মানুষের সেরা বন্ধু কুকুর। বিশ্বাস হলো না? তুমি তোমার কোনো বন্ধু আর কুকুরকে গাড়ির পেছনের ট্রাঙ্কে বন্ধ করে রাখো দু ঘণ্টা। এবার খুলে দাও, বেরিয়ে আসুক ওরা। প্রমাণ পাবে, বন্ধু আর কুকুরের মধ্যে তোমার প্রতি কে বেশি খুশি হয়েছে!
৩.
ফেসবুকে বন্ধুদের লেখা স্ট্যাটাসগুলো পড়ল এক বন্ধু। বিশ্বাস করবেন না, তারই আলোকে দর্শন পরীক্ষায় সে পেল সেরা নম্বর!
৪.
আমার এই বন্ধুর কথাটা শুনুন: ‘আমি আমার ৩৭ বছর বয়সেও প্রতিদিন সকালে ১০ কিলোমিটার দৌড়াই, ১৪ ঘণ্টা কাজ করি প্রতিদিন, তিনটি কারখানা চালাই, একই সঙ্গে দুটি বই লিখি। এত কিছুর পরও আমি পরিবার, বন্ধুদের সময় দিই, এমনকি, সবার সঙ্গে মিলে কোরাসে গান গাই।
বুঝতেই পারছেন, যখন মানুষ মিথ্যে কথা বলে, তখন তার পক্ষে একসঙ্গে সবকিছুই করা সম্ভব।
৫.
হঠাৎ কোটিপতি হয়ে ওঠা এক বন্ধু বলছে তার আরেক বন্ধুকে: ‘জানিস! আমি ২৫ বছর বয়সী এক তম্বীর প্রেমে পড়েছি। কিন্তু সমস্যা হলো, আমার তো বয়স ৬৫! এই বয়সের এক পুরুষকে কি মেয়েটা ভালোবাসবে? কী বলে ওর কাছে প্রেম নিবেদন করব? ওর কাছে বয়স লুকালে কি প্রেমের সম্ভাবনা বাড়বে? এই ধর, ওকে বললাম, আমার বয়স ৫৫?
বন্ধুটি উত্তর দিল, ‘না। বয়স কমালে প্রেমে পড়ার সম্ভাবনা বাড়বে না। বাড়বে, বয়স বাড়ালে। তুই বলবি, তোর বয়স ৮৫!’
৬.
বন্ধুদের সঙ্গে অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দিয়েছে একজন। তারপর আর ফিরতে পারেনি বাড়িতে। রাত কাটাবে কোথায়? এক বন্ধু কাজ করে মর্গে। সেখানেই রাত কাটাবে বলে স্থির করল। মর্গে যারা কাজ করে, তাদের গিয়ে বলল, ‘আমার নাম দোদিক কাৎসমান। আমার ফোনে চার্জ নেই। বউয়ের নম্বরটাও মুখস্থ নেই! আমার বউ ফোন করল বলল, ‘আমি এখানে আছি! ফোনটা আমাকে দিয়ো।’
যথারীতি গভীর রাতে বউয়ের ফোন এল। যিনি ফোন ধরেছেন, তাঁর সঙ্গে কথা হলো এ রকম:
‘হ্যালো, এটা মর্গ?’
‘জি, এটা মর্গ।’
‘এখানে কি দোদিক কাৎসমান নামে কোনো...’
‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, দোদিক কাৎসমান তো এখানেই আছে। আমি…’
কথা শেষ হলো না।
‘হ্যালো! হ্যালো, আপনি দোদিককে খুঁজছিলেন। কিন্তু আপনার ওখানে ধপাস করে কী পড়ল? কিসের শব্দ হলো?’
৭.
মস্কো শহরে দুজন ট্রাফিক পুলিশের বিয়ে হলো।
বন্ধু বলল, ‘অভিনন্দন। কেমন আছিস তোরা? নিজের পেশাতেই খুঁজে নিলি বউ!’
‘আর বলিস না। বিয়ের প্রথম রাতেই দুবার জরিমানা করেছে বউ।’
‘কেন!’
‘একবার গতি বাড়ানোর অপরাধে, আরেকবার বেঠিক জায়গায় থামার জন্য!’
৮.
সুদখোর ব্যবসায়ী শাইলক মারা যাচ্ছেন। মারা যাওয়ার আগে তিনি ডেকেছেন তাঁর পুরোনো বন্ধুকে।
‘ইজিয়া, খেয়াল রাখিস, আমার মৃত্যুর পর শবযাত্রাটা যেন হয় খুব জাঁকজমকের সঙ্গে। সব পুরুষ যেন চকচকে কালো স্যুট পরে আসে!’
‘ঠিক আছে আবরাশা! কিন্তু সমস্যা হলো, আমার নিজেরই সে রকম স্যুট নেই।’
‘ইজিয়া, ঘাবড়াস না। তুই আমার স্যুটটা কিনে নে! আমি খুব কম দামে তোর কাছে তা বিক্রি করব!’
৯.
এখন পর্যন্ত কেউ আমাকে ব্যাখ্যা করে বোঝাতে পারল না, কেন রাশিয়ার যারা শত্রু, তাদের সবার দেশেই সবকিছু পাওয়া যায়। তারা টমেটো পাচ্ছে, ফল পাচ্ছে, দোকান ভরা ওদের খাবার–দাবার! আরা যার রাশিয়ার বন্ধু, তাদের সবার দেশেই অভাব! কেন এমন হয়!
১০.
বহুদিন পর দুই বন্ধুর দেখা হয়েছে।
‘কীরে, কেমন আছিস?
‘আছি ভালোই। কিন্তু একটা ঝামেলায় পড়েছি। বান্ধবী আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। ওকে ভুলতে পারছি না!’
‘ভুলতে চাস? কোনো সমস্যা নেই। অ্যালার্ম ক্লকে ঘণ্টির বদলে ওর কণ্ঠ বসিয়ে দে। দুদিনেই ভুলে যাবি!’
১১.
টেলিফোনে দুই বন্ধুর কথোপকথন
‘কেমন আছিস, ইভান? তুই কবে আমার টাকা ফেরত দিবি?’
‘ও তোর টাকার দরকার? সমস্যা নেই। আজই দিতে পারি! আমি আন্তনের হাতে দিয়ে দিচ্ছি। ওর সঙ্গে তো তোর দেখা হবে। তাহলে দ্রুত টাকাটা পেয়ে যাবি!’
‘না না, আন্তনের হাতে দিস না। আন্তন আমার কাছে টাকা পায়!’
রুস্কি চুটস্কির এবারের কৌতুক দল নিয়ম অনুযায়ী এখানেই শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু মাঠের দলের সঙ্গে তো কিছু অতিরিক্ত খেলোয়াড় থাকে। বন্ধু দিবস উপলক্ষে সেই রিজার্ভ বেঞ্চও হাজির সঙ্গ দিতে। শর্ত একটাই: রিজার্ভ কৌতুকগুলো রোববারের আগে পড়া যাবে না।
১২.
কুকুর আমাদের সেরা বন্ধু হতে পারে, কিন্তু বেড়াল কখনো পুলিশকে বলে দেয় না যে, কোথায় মারিজুয়ানা লুকানো আছে।
১৩.
তুমি বুড়ো হয়েছ কিনা, তা জানার একটা ভালো উপায় আছে।
বন্ধুদের সামনে তুমি ধপাস করে পড়ে যাওয়ার ভান কর।
যদি তোমার পড়ে যাওয়া দেখে বন্ধুরা হেসে ওঠে, তাহলে তুমি এখনো যুবক।
আর যদি তোমার বন্ধুরা দৌড়ে তোমার কাছে আসে, তোমার হাত–পা ধরে তোমাকে টেনে তুলে ধরতে চায়, বুঝবে, তুমি বুড়ো হয়ে গেছ।
১৪.
কোনো দিন নিজের মা–বাবার কাছে বন্ধুদের সাফল্যের বর্ণনা করবে না। সেটা করলে তুমি একসময় বুঝতে পারবে, জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছ!
শেষ করি একটা বহুল প্রচলিত কৌতুক দিয়ে। পুরুষদের বন্ধুত্ব কতটা খাঁটি, তারই স্বীকৃতি এই কৌতুক।
১৫.
সারা রাত বাইরে কাটিয়ে স্বামী ফিরেছে বাড়িতে। স্ত্রী জিজ্ঞেস করছে, ‘কোথায় ছিলে?’
‘বন্ধুর বাড়িতে!’
স্ত্রী স্বামীর ১০ জন বন্ধুকে ফোন করল।
এর মধ্যে ছয়জন স্বীকার করল, তার বাড়িতেই রাতে ছিল বন্ধুটি।
বাকি চারজন নির্দ্বিধায় বলল, বন্ধুটি এখনো তাদের বাড়িতে ঘুমাচ্ছে!
শুভ হোক বন্ধুত্বের দিনটি।

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
১ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৪ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৫ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।
শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্দান সম্পন্ন হয়। বাগ্দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।
উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।
আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’
আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।
২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।
শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্দান সম্পন্ন হয়। বাগ্দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।
উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।
আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’
আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।
২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

বিশ্ব বন্ধু দিবস কী, কেন, তা নিয়ে অন্য কোথাও নিশ্চয়ই আলোচনা হবে। আমরা শুরুতেই ঢুকে যাব বন্ধুত্ব নিয়ে রুশ দেশে তৈরি হওয়া কিছু কৌতুকে। এগুলো নির্দোষ আমোদের জন্যই শুধু। এর মধ্যে ভারী কোনো তত্ত্বের প্রয়োগ না করলেই পড়ে মজা পাবেন।
৩০ জুলাই ২০২১
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৪ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৫ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

বিশ্ব বন্ধু দিবস কী, কেন, তা নিয়ে অন্য কোথাও নিশ্চয়ই আলোচনা হবে। আমরা শুরুতেই ঢুকে যাব বন্ধুত্ব নিয়ে রুশ দেশে তৈরি হওয়া কিছু কৌতুকে। এগুলো নির্দোষ আমোদের জন্যই শুধু। এর মধ্যে ভারী কোনো তত্ত্বের প্রয়োগ না করলেই পড়ে মজা পাবেন।
৩০ জুলাই ২০২১
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
১ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৫ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।
২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।
উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।
সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।
হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’
এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।
২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।
উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।
সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।
হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’
এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

বিশ্ব বন্ধু দিবস কী, কেন, তা নিয়ে অন্য কোথাও নিশ্চয়ই আলোচনা হবে। আমরা শুরুতেই ঢুকে যাব বন্ধুত্ব নিয়ে রুশ দেশে তৈরি হওয়া কিছু কৌতুকে। এগুলো নির্দোষ আমোদের জন্যই শুধু। এর মধ্যে ভারী কোনো তত্ত্বের প্রয়োগ না করলেই পড়ে মজা পাবেন।
৩০ জুলাই ২০২১
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
১ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৪ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

বিশ্ব বন্ধু দিবস কী, কেন, তা নিয়ে অন্য কোথাও নিশ্চয়ই আলোচনা হবে। আমরা শুরুতেই ঢুকে যাব বন্ধুত্ব নিয়ে রুশ দেশে তৈরি হওয়া কিছু কৌতুকে। এগুলো নির্দোষ আমোদের জন্যই শুধু। এর মধ্যে ভারী কোনো তত্ত্বের প্রয়োগ না করলেই পড়ে মজা পাবেন।
৩০ জুলাই ২০২১
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
১ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৪ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৫ দিন আগে