Ajker Patrika

সেনাবাহিনী নেই বিশ্বের যেসব দেশে, প্রতিরক্ষা নিশ্চিত যেভাবে

ইশতিয়াক হাসান
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২: ২৭
সেনাবাহিনী নেই বিশ্বের যেসব দেশে, প্রতিরক্ষা নিশ্চিত যেভাবে

এই জমানায় কোনো দেশের শান্তিরক্ষা কিংবা নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপনি হয়তো ভাবতেও পারবেন না, বিশ্বে এমন কিছু দেশ আছে, যাদের সেনাবাহিনীই নেই। এখন নিশ্চয় আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে, তাহলে বাইরের কোনো আক্রমণ থেকে এই দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে কীভাবে? উত্তর মিলবে লেখাটি পড়লে।

ওশেনিয়ার দেশ সামোয়ার জনসংখ্যা সোয়া দুই লাখের আশপাশেসামোয়া
ওশেনিয়া মহাদেশের এই দেশের আয়তন মোটে ২ হাজার ৮৪২ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা সোয়া ২ লাখের আশপাশে। দেশটির জন্মের পর থেকেই কোনো সামরিক বাহিনী গড়ে ওঠেনি। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য একটি ছোট পুলিশ বাহিনী ও একটি মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট রয়েছে। তা-ও এই বাহিনীগুলো ছোটখাটো ও হালকা অস্ত্র বহন করে। সাগরে পেট্রল বোটে টহল আছে সামোয়ার এই বাহিনীর। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ১৯৬২ সালের একটি চুক্তির কারণে যেকোনো নিরাপত্তা হুমকিতে পড়লে সামোয়াকে সাহায্য করবে তারা।

মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ কম জনসংখ্যার দেশের তালিকায় ৮ নম্বরে। জাতিসংঘের হিসাবে এখানে বাস করা মানুষের সংখ্যা ৪২ হাজারের কিছু কম। ওশেনিয়ায় অবস্থিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ পাঁচটি তুলনামূলক বড় দ্বীপ ও ২৯টি অ্যাটোল (প্রবাল প্রাচীরবেষ্টিত উপহ্রদ) নিয়ে গঠিত। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১ হাজার ২২৯টি দ্বীপ আছে। এগুলোর বেশির ভাগ যে একেবারে ছোট তার প্রমাণ, সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে আয়তন ১৮১ বর্গ কিলোমিটার। ছোট্ট এই দেশে জন্মের পর থেকেই কোনো সামরিক বাহিনী নেই। তবে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও সাগরে টহলের জন্য মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট আছে।

অবশ্য সামরিক বাহিনী না থাকা নিয়ে ছোট্ট এই দেশের কোনো মাথাব্যথা থাকার কথা নয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী তাদের নিরাপত্তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অ্যান্ডোরার প্রায় পুরোটাই পর্বতময়। ছবি: উইকিপিডিয়াঅ্যান্ডোরা
৪৬৮ বর্গকিলোমিটারের দেশটির অবস্থান ইউরোপে। জনসংখ্যা ৮০ হাজারের আশপাশে। গোটা দেশটিই পর্বতময়। ফ্রান্স আর স্পেনের মাঝখানে অবস্থিত অ্যান্ডোরাকে ঘিরে আছে পিরেনিজ পর্বতমালা। ইউরোপের এই দেশে রেলপথের পাশাপাশি কোনো বিমানবন্দরও নেই। তবে সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয়, এখানে কোনো স্থায়ী সেনাবাহিনীও নেই।

স্বাভাবিকভাবেই জন্মের পর থেকে দেশটি কোনো যুদ্ধেও জড়ায়নি। সেনাবাহিনী না থাকলেও অ্যান্ডোরাকে একেবারে অসহায় ভাববেন না। প্রতিবেশী ফ্রান্স ও স্পেনের সঙ্গে বিপদে পড়লে সাহায্য করার চুক্তি আছে অ্যান্ডোরার।  তবে ছোট একটি স্বেচ্ছাসেবক সেনা দল রয়েছে, যারা কেবল বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাজ করে। পুলিশের আধা সামরিক জিআইপিএ স্পেশাল ফোর্স ইউনিট সন্ত্রাস দমন ও জিম্মি উদ্ধারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

ডোমিনিকার আয়তন মাত্র ৭৫৪ বর্গকিলোমিটারডোমিনিকা
৭৫৪ বর্গকিলোমিটার দেশটির জনসংখ্যা ৭৩ হাজারের কিছু বেশি। ১৯৮১ সাল থেকে কোনো সেনাবাহিনী নেই দেশটির। এত অল্প জনসংখ্যার একটি দেশে এটা খুব অস্বাভাবিক বিষয় যে তা নয়। তবে পুলিশ ফোর্স ও কোস্ট গার্ড আছে। যুদ্ধ বা অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুলিশ বাহিনী সামরিক বাহিনী হিসেবে কাজ করতে পারে।
 
নউরু
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য বলছে, নউরুর জনসংখ্যা ১২ হাজার ৭৬৯। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে অবস্থিত দেশটি পড়েছে ওশেনিয়ায়। মোটে ২১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটি জাপান থেকে স্বাধীনতা পায় ১৯৬৮ সালে। তারপর থেকেই তাদের কোনো সেনা বা সামরিক বাহিনী নেই। তবে অস্ত্রধারী পুলিশ বাহিনী আছে তাদের। অবশ্য যে দেশে সড়ক আছে মোটে ১৮ কিলোমিটার, সেখানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ খুব কঠিন কিছু নয়। তার পরও কোনো বিপদে পড়লে চুক্তি অনুসারে অস্ট্রেলিয়া নউরুকে নিরাপত্তা দেবে।

লিচেনস্টাইনের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে পর্বত আর নানা আকারের পাহাড়লিচেনস্টাইন
জাতিসংঘের হিসাবে লিচেনস্টাইনের জনসংখ্যা ৪০ হাজারের কাছাকাছি। ছোট্ট এই দেশের মোট আয়তন ১৬০ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে তিন ভাগের দুই ভাগ দখল করে আছে ছোট-বড় পাহাড়। এমনিতে ছোট্ট দেশ, তারপর পার্বত্য এলাকা, পুবে রাইন নদী, পশ্চিমে অস্ট্রিয়ার পর্বতমালা—সব মিলিয়ে লিচেনস্টাইনের ভাগ্যে কোনো বিমানবন্দর জোটেনি। তেমনি দেশটিতে নেই কোনো সেনাবাহিনী। ১৮৬৮ সালে খরচ কমাতে সেনাবাহিনী বাদ দেয় দেশটি। তবে যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনী গঠনের অনুমতি থাকলেও যুদ্ধ না হওয়ায় এটির প্রয়োজন পড়েনি। 

ট্যুভ্যালু
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ট্যুভ্যালুর জনসংখ্যা ১১ হাজার ৩৮৭। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ৯টি প্রবাল অ্যাটোল নিয়ে গঠিত হয়েছে দেশটি। ৯টি দ্বীপ মিলিয়ে মোট আয়তন ২৬ বর্গ কিলোমিটারের মতো। ১৯৭৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ওশেনিয়ার দেশটি। কমনওয়েলথভুক্ত ছোট্ট এই দেশে জন্মের পর থেকেই কোনো সামরিক বাহিনী নেই। 

অবশ্য দেশটির সামরিক বাহিনী থাকার তেমন কোনো প্রয়োজনও নেই। একে তো জনসংখ্যা এবং আয়তন দুটিই কম, তার ওপর তেমন কোনো প্রাকৃতিক সম্পদ নেই এখানে। এদিকে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়ও পড়েনি ট্যুভ্যালু।

তবে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও সাগরে টহলের জন্য মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট আছে। তার পরও কোনো বিপদে পড়লে চুক্তি অনুসারে অস্ট্রেলিয়া তাদের রক্ষা করবে।

 ৩৪০টি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে পালাউ নামের দেশটিপালাউ
জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর চতুর্থ ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র পালাউ। ১৮ হাজারের মতো মানুষের বাস এখানে। যদ্দুর জানা যায়, ছোট্ট দেশটিতে প্রথম বসতি স্থাপিত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০ সালে। আয়তন ৪৫৯ বর্গ কিলোমিটার হওয়ায় এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব কম। ১৯৯৪ সালে স্বাধীনতা পাওয়া দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরে ৩৪০টি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে।

আর স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকেই পালাউয়ে সেনাবাহিনী নেই। পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সাগরে টহলের জন্য একটি ৩০ সদস্যের মেরিটাইম সার্ভেইল্যান্স ইউনিট সংযুক্ত আছে। অবশ্য সামরিক বাহিনী না থাকা নিয়ে ছোট্ট এই দেশের কোনো ঝামেলায় পড়ার কথা নয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী তাদের নিরাপত্তা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

ওপরের তালিকায় নাম নেই কিন্তু সামরিক বাহিনী নেই এমন দেশের তালিকায় আরও আছে গ্রেনাডা, কিরিবাতি, ফেডারেল স্টেটস অব মাইক্রোনেশিয়া, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্র্যানাডিয়েনস ও সলোমান দ্বীপপুঞ্জ।

এদিকে ভ্যাটিকান সিটিতেও সেই অর্থে সামরিক বাহিনী নেই। তবে এখানে পোপের নিরাপত্তায় সুইস গার্ড নামের একটি সশস্ত্র বাহিনী আছে। তবে তাদের নিয়ন্ত্রণভার ভ্যাটিকান রাজ্যের নয়।

এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশ আছে, যাদের স্থায়ী বা পেশাদার সেনাবাহিনী নেই। এই দেশগুলোর মধ্যে আছে কোস্টারিকা, মোনাকো, আইসল্যান্ড, মরিশাস, পানামা ও ভানুয়াতু।

সূত্র: টেলিগ্রাফ, উইকিপিডিয়া

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জরায়ুর বাইরে বেড়ে উঠল শিশু, অলৌকিক জন্ম দেখল ক্যালিফোর্নিয়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১: ১১
২০২৫ সালের আগস্টে লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই হাসপাতালে সুজ লোপেজের মেয়ে কাইলা সুজ, তাঁর কোলে রিউ ও অ্যান্ড্রু লোপেজ (ছবিতে বাম দিক থেকে)। ছবি: এপির সৌজন্যে
২০২৫ সালের আগস্টে লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই হাসপাতালে সুজ লোপেজের মেয়ে কাইলা সুজ, তাঁর কোলে রিউ ও অ্যান্ড্রু লোপেজ (ছবিতে বাম দিক থেকে)। ছবি: এপির সৌজন্যে

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।

লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’

৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।

সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।

সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।

অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।

হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।

গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।

সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’

বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অন্য নারীর ছবিতে লাইক দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাসভঙ্গের শামিল: তুরস্কের আদালত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৭
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হাবারলারের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচবি নামে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান এবং আর্থিক ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর সময় কাটাতেন এবং সেখানে নিয়মিত অন্য নারীদের ছবিতে, এমনকি প্রলুব্ধকর ছবিতেও ‘লাইক’ দিতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতেন।

এইচবি যুক্তি দেন, এই আচরণ তাঁর স্বামীর দাম্পত্য আনুগত্যের পরিপন্থী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন। স্বামী এসবি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনিও পাল্টা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে অপমান করেছেন এবং অতিরিক্ত ঈর্ষাপরায়ণ। স্ত্রীর এসব অভিযোগ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

আদালত এই মামলায় স্বামীকেই বেশি দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। তাঁকে প্রতি মাসে ৭৫০ লিরা বা ২০ মার্কিন ডলার খোরপোশ এবং ৮০ হাজার লিরা ২ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দাবি করেন, এই পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন।

বিচারকেরা জানান, অন্য নারীদের ছবিতে ওই ব্যক্তির ‘লাইক’ দেওয়ার বিষয়টি বৈবাহিক বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, ‘অনলাইনে এই আপাত নিরীহ মিথস্ক্রিয়াগুলো মূলত মানসিক নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।’

তুর্কি আইনজীবী ইমামোগ্লু স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল যে অনলাইন কর্মকাণ্ড এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে স্ক্রিনশট, মেসেজ এবং সব ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম উভয় পক্ষের দোষ নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হবে। নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’

এই মামলা অনলাইনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যদি একটি লাইক আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, তবে আপনাদের বিয়ে কখনোই মজবুত ছিল না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন পরিচয় লুকিয়ে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করার সময় এসেছে।’ তবে তৃতীয় একজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘যদি অনলাইনে প্রতিটি লাইক বা ভিউকে অবিশ্বস্ততা হিসেবে দেখা হয়, তবে মানুষ সারাক্ষণ ভয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হওয়া উচিত মতপ্রকাশের মুক্ত জায়গা।’

তুরস্কের আদালতে অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ‘মোটু’ নামে সেভ করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগ্দত্তা ‘বেশি খায়’, বিয়ে ভেঙে দিয়ে ক্ষতিপূরণ চাইলেন প্রেমিক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৩৫
প্রতীকী ছবি। ছবি: ফ্রিপিক
প্রতীকী ছবি। ছবি: ফ্রিপিক

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্‌দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।

শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্‌দান সম্পন্ন হয়। বাগ্‌দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।

উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।

আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’

আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।

২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।

ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মদের দোকানে তাণ্ডব, বাথরুমে পাওয়া গেল মাতাল র‍্যাকুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১৯
মদ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল একটি র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত
মদ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল একটি র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র‍্যাকুন!

ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র‍্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র‍্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।

খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র‍্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

পুরো মদের দোকান তছনছ করেছিল বুনো র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত
পুরো মদের দোকান তছনছ করেছিল বুনো র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত

র‍্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।

বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র‍্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র‍্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র‍্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত