Ajker Patrika

দ্য আর্ট অব লাভ, লজ্জা ও অন্যান্য: পড়া নিষিদ্ধ যে ৭ বই

আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৩, ১৬: ২৪
দ্য আর্ট অব লাভ, লজ্জা ও অন্যান্য: পড়া নিষিদ্ধ যে ৭ বই

বই নিষিদ্ধ করার ইতিহাস নতুন নয়, বহু পুরোনো। লেখকদেরও কম দহনজ্বালা সইতে হয়নি বই লেখার জন্য। লেখক ওভিদকে কৃষ্ণ সাগরের এক অন্ধকার গ্রামে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন রোমান সম্রাট অগাস্টাস সিজার, শুধু বই লেখার অপরাধে। ওভিদের বই ‘দ্য আর্ট অব লাভ’ রোমান গ্রন্থাগার থেকেও সরিয়ে ফেলা হয়।

১১২১ সালে ক্যাথলিক চার্চের চাপে যুক্তিবিদ্যার লেখক পিটার অ্যাবেলার্ড তাঁর বই পুড়িয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছিলেন। আর আধুনিক যুগে সম্ভবত সালমান রুশদিই একমাত্র লেখক, যাঁর বই নিষিদ্ধ হওয়ার বিখ্যাত হওয়ার পাশাপাশি সীমাহীন দুর্ভোগও সহ্য করেছেন। ১৯৮৯ সালে তাঁর বই ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ নিষিদ্ধ করা হয়। সেনেগাল থেকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত অন্তত ১২টি দেশে এই বই আজও নিষিদ্ধ। 

বই নিষিদ্ধ করাকে স্বৈরাচারী শাসকদের সবচেয়ে প্রিয় হাতিয়ার হিসেবে মনে করা হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কিছু বইকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা দেখলে এখন চমকে উঠতে হয়। ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট এমন সাতটি বই নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। 

 লজ্জা
লজ্জা নামে বইটির লেখক তসলিমা নাসরিন। এটি বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন অঞ্চিতা ঘটক। ৩৩৭ পৃষ্ঠার বইটি প্রকাশ করেছে পেঙ্গুইন ইন্ডিয়া। 

১৯৯২ সালে ভারতের অযোধ্যায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা একটি মসজিদ ভেঙে ফেলেছিলেন। সেই ঘটনার প্রভাব পড়েছিল বাংলাদেশেও। বাংলাদেশের মুসলিম জনতা ওই ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে নিজ দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর আক্রমণ চালান। তসলিমা নাসরিন সেই ঘটনা নিয়েই লিখেছেন ‘লজ্জা’। বাংলাদেশের সরকার বইটি নিষিদ্ধ করেছে। 

তারপরেও বইটির শত শত ফটোকপি ভারতে ও বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। তসলিমা নাসরিন বলেন, ‘বইটি মানবতা ও বর্বরতার গল্প। যারা স্বাধীনতাকে মূল্য দেয় এবং যারা দেয় না, তাদের গল্প।’ 

উপন্যাসটি নিষিদ্ধের পর তসলিমা নাসরিন দেশ ছেড়ে সুইডেনে পাড়ি জমান। ১৯৯৪ সালে তিনি চিন্তার স্বাধীনতার জন্য জন্য ইউরোপীয় পার্লামেন্টের শাখারভ পুরস্কার জিতেন। পরে তিনি ভারতে থিতু হন। 

 ফ্রেন্ড
উত্তর কোরিয়ার লেখক পায়েক নাম নিয়ংয়ের বই ‘ফ্রেন্ড’ ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন ইমানুয়েল কিম। এটি প্রকাশ করেছে কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি প্রেস। 

ফ্রেন্ড হচ্ছে প্রথম উপন্যাস, যেটিকে উত্তর কোরিয়া সরকার ইংরেজিতে প্রকাশের অনুমতি দিয়েছে। বইটি ১৯৮৮ সালে উত্তর কোরিয়ায় প্রকাশিত হয়। দেশটিতে এই বই এর মধ্যে ধ্রুপদী উপন্যাসের মর্যাদা পেয়েছে। 

উপন্যাসটির কাহিনি কী নিয়ে? এর উপজীব্য হচ্ছে, বৈবাহিক কলহের মধ্যে আটকে পড়া কয়েকজন মানুষের গভীর হতাশার বিবরণ। আদালতে একটি বিবাহ বিচ্ছেদের শুনানি দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছিল লেখক পায়েক নাম নিয়ংয়ের। সেই অভিজ্ঞতার আলোকেই তিনি উপন্যাসটি লিখেছিলেন। 

আশ্চর্যজনক শোনালেও সত্য, বইটি উত্তর কোরিয়া সরকার নয়, বরং গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ কোরিয়া সরকার বইটিকে নিষিদ্ধ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় সেনা সদস্যদের জন্য ২৩টি বই নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেই তালিকায় এই বইটিও রয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ধারণা, এই বইটি দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাদের উত্তর কোরিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল করে তুলতে পারে। 

 দ্য ডেভিলস ড্যান্স
উজবেকিস্তানের লেখক হামিদ ইসমাইলভ লিখেছেন ‘দ্য ডেভিলস ড্যান্স’। এটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন ডোনাল্ড রেফিল্ড। প্রকাশ করেছে টিলটেড এক্সিস প্রেস। 

উজবেক সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ‘অগ্রহণযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রবণতার’ অভিযোগ এনেছিল। পরে ১৯৯২ সালে তিনি যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। নির্বাসিত জীবনে তিনি এক ডজনেরও বেশি বই লিখেছেন। তাঁর সব বইই উজবেকিস্তানে নিষিদ্ধ। দ্য ডেভিলস ড্যান্স ইংরেজিতে অনূদিত তাঁর প্রথম উপন্যাস। 

 দ্য ব্লুয়েস্ট আই
উপন্যাসটি লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের লেখক টনি মরিসন। এটি প্রকাশ করেছে ভিনটেজ ইন্টারন্যাশনাল। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্কুলে উপন্যাসটি নিষিদ্ধ। সৌন্দর্যের সংজ্ঞা ও জাতিগত বিদ্বেষ বইটির উপজীব্য। 

যুক্তরাষ্ট্রের অভিভাবকদের অভিযোগ, উপন্যাসটিতে যৌন সহিংসতার ব্যাপার রয়েছে। এটি শিশুদের বিপথগামী করতে পারে। 

পেন আমেরিকা নামে লেখকদের এক সংগঠন বলছে, বইটি নিষিদ্ধ করা নিঃসন্দেহে বাক স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ। 

আমেরিকান লাইব্রেরি অ্যাসোসিয়েশন (আলা) বলছে, লাইব্রেরি থেকে বইটি সরানোর বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অনুরোধ এসেছে। 

টনি মরিসনের আরেক উপন্যাস ‘বিলাভেড’ নিয়ে ২০১৬ সালে ভার্জিনিয়ার আইনসভা ‘বিলাভেড বিল’ পাস করে। ওই বিলে বলা হয়, অভিভাবকেরা চাইলে তাদের সন্তানকে ওই বই পড়ানো থেকে বিরত রাখতে পারবেন। কারণ, বইটিতে যৌনতাপূর্ণ বিষয় রয়েছে। 

 চায়না ইন টেন ওয়ার্ডস
চীনের জনপ্রিয় লেখক ইউ হুয়া। তাঁর বই ‘চায়না ইন টেন ওয়ার্ডস’ অনুবাদ করেছেন অ্যালান এইচ বার। এটি  নন-ফিকশন বই। বিভিন্ন সময়ে তাঁর লেখা প্রবন্ধের সংকলন এটি। অতীত ও বর্তমান মিলিয়ে নানা স্মৃতিকথা রয়েছে বইটিতে। 

বইটির প্রথম প্রবন্ধের নাম ‘মানুষ’। এটিতে ১৯৮৯ সালের তিয়ানানমেন স্কয়ারে রক্তপাতের কথা বলা হয়েছে। চীনে এই বই প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। চীন সরকার মুদ্রিত বইয়ের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে রেখেছে। রাষ্ট্রীয় প্রকাশক ছাড়া অন্যদের বইয়ের আইএসবিএন নম্বর দেয় না দেশটি। বই প্রকাশের আগে ব্যাপক যাচাই করা হয়। 

 পিকোলো উওভো ও অ্যান্ড ট্যাঙ্গো মেকস থ্রি
‘পিকোলো উওভো’ লিখেছেন ইতালির লেখক ফ্রান্সেসকা পার্দি এবং ‘অ্যান্ড ট্যাঙ্গো মেকস থ্রি’ লিখেছেন পিটার পার্নেল ও জাস্টিন রিচার্ডসন। দুটিই শিশুতোষ বই। 

২০১৫ সালে লুইগি ব্রুগনারো ভেনিসের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই অন্তত ৪৯টি বইকে ভেনিসের নার্সারি স্কুলগুলোতে নিষিদ্ধ করেছিলেন। সেই তালিকায় পিকোলো উওভো রয়েছে। মেয়র বলেছিলেন, বইটি ইতালির প্রথাগত পরিবারের জন্য হুমকি। 

এ ঘটনার পর ভেনিসে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে দুটি বই ছাড়া বাকিগুলোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন লুইগি ব্রুগনারো। নিষেধাজ্ঞায় থাকা বইটির নাম পিকোলো উওভো। 

 পিকোলো উওভো শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘ছোট্ট ডিম’। বইটি একটি পেঙ্গুইনের ডিমকে ঘিরে। ডিমটি ফুটতে ভয় পায়, কারণ সে ভাবছে, তার পরিবার কেমন হবে। এ ধরনের ভাবনাকেই বলা হচ্ছে প্রথাবিরোধী ভাবনা। এটি শিশুদের মনস্তত্ত্বে প্রভাব ফেলবে— এই আশঙ্কা থেকে এখনো নিষিদ্ধের তালিকায় রয়েছে বইটি। 

প্রায় একই ধরনের গল্প নিয়ে লেখা হয়েছে অ্যান্ড ট্যাঙ্গো মেকস থ্রি। এটিও যুক্তরাষ্ট্রের লাইব্রেরিগুলোতে নিষিদ্ধ। 

সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: মারুফ ইসলাম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অন্য নারীর ছবিতে লাইক দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাসভঙ্গের শামিল: তুরস্কের আদালত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৭
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হাবারলারের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচবি নামে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান এবং আর্থিক ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর সময় কাটাতেন এবং সেখানে নিয়মিত অন্য নারীদের ছবিতে, এমনকি প্রলুব্ধকর ছবিতেও ‘লাইক’ দিতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতেন।

এইচবি যুক্তি দেন, এই আচরণ তাঁর স্বামীর দাম্পত্য আনুগত্যের পরিপন্থী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন। স্বামী এসবি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনিও পাল্টা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে অপমান করেছেন এবং অতিরিক্ত ঈর্ষাপরায়ণ। স্ত্রীর এসব অভিযোগ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

আদালত এই মামলায় স্বামীকেই বেশি দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। তাঁকে প্রতি মাসে ৭৫০ লিরা বা ২০ মার্কিন ডলার খোরপোশ এবং ৮০ হাজার লিরা ২ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দাবি করেন, এই পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন।

বিচারকেরা জানান, অন্য নারীদের ছবিতে ওই ব্যক্তির ‘লাইক’ দেওয়ার বিষয়টি বৈবাহিক বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, ‘অনলাইনে এই আপাত নিরীহ মিথস্ক্রিয়াগুলো মূলত মানসিক নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।’

তুর্কি আইনজীবী ইমামোগ্লু স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল যে অনলাইন কর্মকাণ্ড এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে স্ক্রিনশট, মেসেজ এবং সব ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম উভয় পক্ষের দোষ নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হবে। নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’

এই মামলা অনলাইনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যদি একটি লাইক আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, তবে আপনাদের বিয়ে কখনোই মজবুত ছিল না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন পরিচয় লুকিয়ে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করার সময় এসেছে।’ তবে তৃতীয় একজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘যদি অনলাইনে প্রতিটি লাইক বা ভিউকে অবিশ্বস্ততা হিসেবে দেখা হয়, তবে মানুষ সারাক্ষণ ভয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হওয়া উচিত মতপ্রকাশের মুক্ত জায়গা।’

তুরস্কের আদালতে অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ‘মোটু’ নামে সেভ করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাগ্দত্তা ‘বেশি খায়’, বিয়ে ভেঙে দিয়ে ক্ষতিপূরণ চাইলেন প্রেমিক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৩৫
প্রতীকী ছবি। ছবি: ফ্রিপিক
প্রতীকী ছবি। ছবি: ফ্রিপিক

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্‌দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।

শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্‌দান সম্পন্ন হয়। বাগ্‌দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।

উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।

আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’

আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।

২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।

ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মদের দোকানে তাণ্ডব, বাথরুমে পাওয়া গেল মাতাল র‍্যাকুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১৯
মদ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল একটি র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত
মদ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল একটি র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র‍্যাকুন!

ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র‍্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র‍্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।

খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র‍্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

পুরো মদের দোকান তছনছ করেছিল বুনো র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত
পুরো মদের দোকান তছনছ করেছিল বুনো র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত

র‍্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।

বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র‍্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র‍্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র‍্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতে প্রায় কোটি টাকার এক হিরা খুঁজে পেলেন ‘শৈশবের দুই বন্ধু’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সতীশ ও সাজিদের পাওয়া এই হিরাটি ১৫.৩৪ ক্যারেটের। ছবি: বিবিসি
সতীশ ও সাজিদের পাওয়া এই হিরাটি ১৫.৩৪ ক্যারেটের। ছবি: বিবিসি

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

সতীশের হাতে খুঁজে পাওয়া হিরাটি, পাশে সাজিদ। ছবি: বিবিসি
সতীশের হাতে খুঁজে পাওয়া হিরাটি, পাশে সাজিদ। ছবি: বিবিসি

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।

২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।

উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।

সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।

হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’

এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত