
রাসুল (সা.)-এর শিক্ষা প্রতিটি অমানবিক প্রথার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান হয়ে উঠেছিল। তিনি মূর্তিপূজার চূর্ণ করে গড়ে তোলেন আল্লাহর একত্ববাদের দালান। নারীর দিলেন তার প্রাপ্ত মর্যাদা। কন্যাশিশুর অধিকার নিশ্চিত করলেন। সামাজিক অসংগতি, সুদ ও লুণ্ঠন বিলুপ্ত করে প্রতিষ্ঠা ন্যায় ও ইনসাফ।

রবিউল আউয়াল কেবল এক আনন্দময় স্মৃতির মাস নয়, বরং তা একটি উপলক্ষ নিজেকে জিজ্ঞাসা করার, আমরা কি সত্যিই সেই রাসুলকে ভালোবাসি? আমরা কি তাঁর সুন্নত অনুসরণ করি, তাঁর শিক্ষাগুলো সমাজে ছড়িয়ে দিই? নাকি এই মাস কেবল কিছু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে?

রবিউল আউয়াল মাসের দ্বিতীয় জুমা মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ এবং রুহানি জাগরণের দিন। এ দিনে আল্লাহর কাছে দোয়া, ইবাদত ও কোরআন পাঠের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির পথ অনুসরণ করা যায়। নবী করিম (সা.)-এর জীবন ও আদর্শ আমাদের জন্য চিরন্তন দিশা। তাই নবী (সা.)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করে আমরা নিজেদের কল্যাণের...

মানব ইতিহাসের কিছু মুহূর্ত সমগ্র বিশ্বের জন্য যুগান্তকারী হয়ে দাঁড়ায়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জন্ম সেইরূপ এক ঘটনা। প্রসিদ্ধ মত অনুযায়ী, তিনি ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার সুবহে সাদিকের সময় পবিত্র মক্কা নগরীর কুরাইশ বংশের হাশেমি গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন।