অনলাইন ডেস্ক
দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টুলগুলোর ব্যবহার এখন অত্যন্ত সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। কনটেন্ট তৈরি থেকে শুরু করে সিভি, কভার লেটার এবং চাকরির আবেদন সম্পর্কিত বিভিন্ন ডকুমেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করছে এআই। এবার চাকরির আবেদন ক্ষেত্রে এআই ব্যবহারে আরও একধাপ এগিয়ে গেছেন এক তরুণ। পরীক্ষামূলকভাবে চাকরি খোঁজার পুরো প্রক্রিয়া একটি বটের হাতে ছেড়ে দিন তিনি। এর ফলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১ হাজারটি চাকরির জন্য আবেদন পাঠাতে পারলেন এই তরুণ। আর এক মাসের মধ্যেই ৫০টি চাকরির ইন্টারভিউয়ের ডাকও পেলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘রেডিট’–এ নিজের উদ্ভাবন সম্পর্কে পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, এই এআই বটটি দিয়ে প্রতিটি চাকরির বর্ণনার সঙ্গে মানানসই সিভি, কভার লেটার তৈরি করা যাবে সহজেই। এআইয়ের সাহায্য সেগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা নিয়োগকারীদের নজরে আসার সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেয়।
একটি শব্দও টাইপ না করে এআই বটের মধ্যে প্রতি রাতে শত শত চাকরির জন্য আবেদন করতে পেরেছিলেন ওই ব্যক্তি। সকালে তিনি তার ইনবক্সে হাজারো আবেদন দেখতে পেতেন। প্রতিটি চাকরির জন্য আবেদনটি কাস্টমাইজড করে তৈরি দিত এআই বটটি।
এভাবে চাকরি আবেদন প্রক্রিয়াটিকে অনেক বেশি কার্যকরী। ফলে একই সঙ্গে একাধিক চাকরির জন্য আবেদন করতে পারছিলেন ওই ব্যক্তি এবং অন্য কাজের ওপর মনোযোগ দিতে পারছিলেন।
প্রতিটি আবেদন কাস্টমাইজড করার মাধ্যমে নিয়োগকর্তার সামনে তার আবেদনটি আরও সহজে নজরে পড়ে। ওই ব্যক্তির পরীক্ষা দেখিয়েছে কীভাবে অটোমেশন পদ্ধতি প্রার্থীদের জন্য একটি সাধারণত সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়াকে সহজতর করতে পারে, যা প্রতিযোগিতামূলক চাকরি বাজারে দ্রুত আবেদনের সুযোগ দেয়।
এআই বটের পরীক্ষাটি বেশ চমৎকার ফলাফল দিলেও চাকরি নিয়োগে অটোমেশনের ব্যাপক প্রভাব সম্পর্কে মিশ্র অনুভূতি প্রকাশ করেছেন ওই ব্যক্তি। তিনি পেশাদারি পরিবেশে মানবিক সংযোগ হারানোর সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যতটা আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়া অপটিমাইজ বা স্বয়ংক্রিয় করতে চাই, ততটাই আমরা সেই মানবিক উপাদানটি হারানোর ঝুঁকি নিচ্ছি, যা অনেক সময় কাজের পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
অনলাইনে প্রতিক্রিয়া
রেডিট পোস্টে যেখানে ওই ব্যক্তি তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলেন, সেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিছু ব্যবহারকারী তার সৃজনশীলতায় মুগ্ধ হয়েছেন। এক রেডিট ব্যবহারকারী বলেন, ‘এটা দারুণ! তুমি সত্যিই চাকরি বাজার হ্যাক করে ফেলেছ।’
অন্যরা চাকরি খোঁজার জন্য এআই ব্যবহারের ব্যাপক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেছিলেন, ‘যখন সবাই এটি ব্যবহার শুরু করবে তখন চাকরি খোঁজা আরও বেশি কঠিন হয়ে যেতে পারে কি না।
বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে হাস্যরসও তৈরি হয়। এক ব্যক্তি বলেন ‘অবশেষে, এমন একটি রোবট পাওয়া গেল যা আমার চেয়ে বেশি কাজ করে!
অন্যরা পুরো ধারণাটিকে ‘চমৎকার এবং ভীতিকর’ বলে উল্লেখ করেছেন, ভবিষ্যতে নিয়োগের ক্ষেত্রে এর প্রভাব কেমন হতে পারে তা নিয়ে চিন্তা করছেন।
ব্যক্তির পরীক্ষা চাকরি আবেদন প্রক্রিয়ায় এআইয়ের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা তুলে ধরেছে। তবে, যেহেতু অটোমেশন আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে, এটি চাকরি বাজারে প্রতিযোগিতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। অনেক চাকরি প্রার্থী যখন একই ধরনের এআই টুল ব্যবহার করতে শুরু করবে, তখন নিজেকে আলাদা করে প্রকাশ করা আরও কঠিন হয়ে পড়বে। তবুও, এআইয়ের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা বাড়ানোর সম্ভাবনা স্পষ্ট।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া
দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টুলগুলোর ব্যবহার এখন অত্যন্ত সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। কনটেন্ট তৈরি থেকে শুরু করে সিভি, কভার লেটার এবং চাকরির আবেদন সম্পর্কিত বিভিন্ন ডকুমেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করছে এআই। এবার চাকরির আবেদন ক্ষেত্রে এআই ব্যবহারে আরও একধাপ এগিয়ে গেছেন এক তরুণ। পরীক্ষামূলকভাবে চাকরি খোঁজার পুরো প্রক্রিয়া একটি বটের হাতে ছেড়ে দিন তিনি। এর ফলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১ হাজারটি চাকরির জন্য আবেদন পাঠাতে পারলেন এই তরুণ। আর এক মাসের মধ্যেই ৫০টি চাকরির ইন্টারভিউয়ের ডাকও পেলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘রেডিট’–এ নিজের উদ্ভাবন সম্পর্কে পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, এই এআই বটটি দিয়ে প্রতিটি চাকরির বর্ণনার সঙ্গে মানানসই সিভি, কভার লেটার তৈরি করা যাবে সহজেই। এআইয়ের সাহায্য সেগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা নিয়োগকারীদের নজরে আসার সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেয়।
একটি শব্দও টাইপ না করে এআই বটের মধ্যে প্রতি রাতে শত শত চাকরির জন্য আবেদন করতে পেরেছিলেন ওই ব্যক্তি। সকালে তিনি তার ইনবক্সে হাজারো আবেদন দেখতে পেতেন। প্রতিটি চাকরির জন্য আবেদনটি কাস্টমাইজড করে তৈরি দিত এআই বটটি।
এভাবে চাকরি আবেদন প্রক্রিয়াটিকে অনেক বেশি কার্যকরী। ফলে একই সঙ্গে একাধিক চাকরির জন্য আবেদন করতে পারছিলেন ওই ব্যক্তি এবং অন্য কাজের ওপর মনোযোগ দিতে পারছিলেন।
প্রতিটি আবেদন কাস্টমাইজড করার মাধ্যমে নিয়োগকর্তার সামনে তার আবেদনটি আরও সহজে নজরে পড়ে। ওই ব্যক্তির পরীক্ষা দেখিয়েছে কীভাবে অটোমেশন পদ্ধতি প্রার্থীদের জন্য একটি সাধারণত সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়াকে সহজতর করতে পারে, যা প্রতিযোগিতামূলক চাকরি বাজারে দ্রুত আবেদনের সুযোগ দেয়।
এআই বটের পরীক্ষাটি বেশ চমৎকার ফলাফল দিলেও চাকরি নিয়োগে অটোমেশনের ব্যাপক প্রভাব সম্পর্কে মিশ্র অনুভূতি প্রকাশ করেছেন ওই ব্যক্তি। তিনি পেশাদারি পরিবেশে মানবিক সংযোগ হারানোর সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যতটা আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়া অপটিমাইজ বা স্বয়ংক্রিয় করতে চাই, ততটাই আমরা সেই মানবিক উপাদানটি হারানোর ঝুঁকি নিচ্ছি, যা অনেক সময় কাজের পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
অনলাইনে প্রতিক্রিয়া
রেডিট পোস্টে যেখানে ওই ব্যক্তি তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলেন, সেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিছু ব্যবহারকারী তার সৃজনশীলতায় মুগ্ধ হয়েছেন। এক রেডিট ব্যবহারকারী বলেন, ‘এটা দারুণ! তুমি সত্যিই চাকরি বাজার হ্যাক করে ফেলেছ।’
অন্যরা চাকরি খোঁজার জন্য এআই ব্যবহারের ব্যাপক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেছিলেন, ‘যখন সবাই এটি ব্যবহার শুরু করবে তখন চাকরি খোঁজা আরও বেশি কঠিন হয়ে যেতে পারে কি না।
বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে হাস্যরসও তৈরি হয়। এক ব্যক্তি বলেন ‘অবশেষে, এমন একটি রোবট পাওয়া গেল যা আমার চেয়ে বেশি কাজ করে!
অন্যরা পুরো ধারণাটিকে ‘চমৎকার এবং ভীতিকর’ বলে উল্লেখ করেছেন, ভবিষ্যতে নিয়োগের ক্ষেত্রে এর প্রভাব কেমন হতে পারে তা নিয়ে চিন্তা করছেন।
ব্যক্তির পরীক্ষা চাকরি আবেদন প্রক্রিয়ায় এআইয়ের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা তুলে ধরেছে। তবে, যেহেতু অটোমেশন আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে, এটি চাকরি বাজারে প্রতিযোগিতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। অনেক চাকরি প্রার্থী যখন একই ধরনের এআই টুল ব্যবহার করতে শুরু করবে, তখন নিজেকে আলাদা করে প্রকাশ করা আরও কঠিন হয়ে পড়বে। তবুও, এআইয়ের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা বাড়ানোর সম্ভাবনা স্পষ্ট।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া
চলতি বছর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শাখায় মেহেদী হাসান খানের সঙ্গে আরও তিনজন একুশে পদক পেতে যাচ্ছেন। যাঁরা মেহেদী হাসানের সঙ্গে অভ্র কি বোর্ড তৈরিতে যুক্ত ছিলেন। আজ রোববার সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নিজের ভেরিভায়েড ফেসবুকে এ কথা জানান।
১২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধের হাত থেকে টিকটককে বাঁচিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বরাবর এই চীনা সংস্থার মার্কিন মালিকানা দেশেই রাখার পক্ষে বলে এসেছেন। ধারণা করা হচ্ছিল, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্ক এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি কিনবেন।
১ দিন আগেতখন কম্পিউটারে বাংলা লেখার জনপ্রিয় সফটওয়্যার বিজয়। কিন্তু ইন্টারনেটে বাংলা লেখার জন্য সেটি কোনো কাজের ছিল না। ইউনিকোড না থাকায় বিজয় ক্রমেই অকেজো হয়ে পড়ছিল। সেই নতুন সময়ের দাবিতেই এল ‘অভ্র’। মেহদী হাসান খান নামের এক তরুণ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করলেন অভ্র সফটওয়্যার।
৩ দিন আগেবিশ্বের প্রযুক্তির ইতিহাসে ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল ছিল এক বিশাল পরিবর্তনের যুগ। দৈনন্দিন জীবনকে বদলে দেওয়ার পাশাপাশি সমাজ, সংস্কৃতি এবং অর্থনীতির কাঠামোকেই নতুন করে সাজিয়ে দিয়েছে এই দশকের বেশ কিছু উদ্ভাবন। দুনিয়া কাঁপানো সেই প্রযুক্তিগুলো এক নজরে দেখে নেওয়া যাক...
৩ দিন আগে