
ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরুর আগে প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আসলে কী?
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হচ্ছে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেদিকে বায়ার বা ক্লায়েন্ট কাজ করিয়ে নেয় এবং ফ্রিল্যান্সররা কাজ সম্পূর্ণ করে দিয়ে টাকা উপার্জন করেন।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে চান এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ব্যাপারে পারদর্শী হতে হবে। এর জন্য সেরা কিছু ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করতে কী প্রয়োজন?
ফ্রিল্যান্সিং বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় পেশা হিসেবে পরিচিত। নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে সার্ভিস প্রদান এবং আর্থিক লেনদেনের ঝামেলা ছাড়াই ইনকাম করার সহজ মাধ্যম।
এই জগৎটায় সফলতা অর্জন সম্ভব, যদি ইচ্ছা ও ধৈর্যশক্তি থাকে। নিজের কাজের দক্ষতার পাশাপাশি যোগাযোগ ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলার বেসিক দক্ষতার প্রয়োজন হয়।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য চারটি জিনিস প্রয়োজন হয়
১. মার্কেটপ্লেস অনুযায়ী নিজের দক্ষতা
২. ডিভাইস-ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ এবং ইন্টারনেট কানেকশন
৩. ইংরেজি ভাষায় বেসিক ধারণা
৪. একটি স্মার্টফোন
ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা
ফ্রিল্যান্সিং শুরুর আগে এ ধরনের ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে রাখা প্রয়োজন। কারণ, এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে, যেগুলো আপনাকে নানা ধরনের কাজের বিপরীতে ভালো মজুরির আশ্বাস দিলেও কার্যত তা হয় না। অনেকেই প্রতারিত হন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে, যারা আপনাকে ঠকানোর জন্য বসে আছে। আবার অনেক ওয়েবসাইট আছে, যেগুলোতে কাজ পাওয়াটা কিছুটা কঠিন। কারণ, সেখানে কার্যাদেশ দেওয়া লোকের সংখ্যা কম। তাই নতুন কোনো সাইটে কাজ করতে চাইলে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া জরুরি। যেখানে কাজ করতে চাইছেন, দেখতে হবে, তা সক্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য কি না।
আজ আমরা যেসব ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করব, তার প্রতিটি আন্তর্জাতিক মানের প্ল্যাটফর্ম। এসব ওয়েবসাইটে লাখ লাখ মানুষ কাজ করছে। তাই এই ওয়েবসাইটগুলোর ওপর আপনি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন।
২০২২ সালের সেরা ১৩টি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
আমরা সবাই জানি ২০২২ সালে এসে ফ্রিল্যান্সিং হয়ে উঠেছে অনেক বেশি জনপ্রিয়। অনেকেই এতে আগ্রহী হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে টাকা আয় করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে এর জন্য সব চেয়ে সেরা চাহিদাসম্পন্ন এবং সুবিধা প্রদানকারী ওয়েবসাইটগুলো কী কী।
স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে। আজকের নিবন্ধ থেকে ২০২২ সালের সেরা ১৩টি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে আমরা জানব। এই ওয়েবসাইটগুলো আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করবে।
১৩টি টপ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বা ওয়েবসাইট
আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস পাবেন। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করাই সবচেয়ে লাভজনক ও ভালো। তবে সবার সুবিধার্থে বাংলাদেশি কিছু মার্কেটপ্লেস সম্পর্কেও বলব। এবার আসি মূল বিষয়ে—
ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
বিল্যান্সার
স্বাধীন কাজ
১. upwork.com
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হচ্ছে Upwork। এটা এমন এক সাইট, যেখানে জব পোস্টিং ফিড খুব দ্রুত আপডেট হয়।
আপওয়ার্কে যেকোনো ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি এসে ফ্রিল্যান্সার খুঁজে নেয় নিজেদের জন্য। কাজের বিনিময়ে ন্যায্য মজুরিও দেয়। এই সাইট এত বেশি জনপ্রিয় যে, আপনি খুব সহজেই আপনার পছন্দের কাজটি বেছে নিতে পারবেন।
এই প্ল্যাটফর্মের প্রতিটি সেক্টরে প্রচুর আপডেটেড কাজ দেওয়া থাকে, যা থেকে আপনি আপনার পছন্দের কাজটি বেছে নিতে পরবেন। আপওয়ার্কে আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিকস ডিজাইন, কাস্টমার সাপোর্ট, ফ্রিল্যান্স রাইটিং এবং ওয়ার্ডপ্রেস ম্যানেজমেন্টের মতো কাজগুলো অনায়াসে পাবেন। এই কাজগুলোর চাহিদা বর্তমানে অনেক বেশি।
সাধারণত আপওয়ার্কে ফিক্সড এবং ঘণ্টাভিত্তিক—উভয় রেটেই কাজ পেতে আপনাকে সাহায্য করবে। আর এই ওয়েবসাইট পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্রান্সফার কেন্দ্রিক পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে। তাই Upwork-এ কাজ করার আগে অবশ্যই পেমেন্ট মেথড সম্পর্কে জেনে নিন।
২. fiverr.com
এখন আমরা কথা বলছি আরেকটি জনপ্রিয় ইন্টারন্যাশনাল ওয়েবসাইট নিয়ে। এটি হলো fiverr.com, যা অন্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর তুলনায় বেশ এগিয়ে আছে। নতুনদের জন্য Fiverr দিয়ে আউটসোর্সিং ক্যারিয়ার শুরু করা অনেকটাই সুবিধাজনক।
আপনি আউটসোর্সিং নতুন শুরু করলে আপনার জন্য ফাইবার হতে পারে সবচেয়ে সেরা সুযোগ। এই ওয়েবসাইটে সর্বনিম্ন ৫ ডলার থেকে শুরু করে অনেক বেশি পরিমাণ টাকার কাজও দেওয়া হয়।
কী কী কাজ করা যায় এখানে? এই সাইট থেকে সবচেয়ে বেশি যে কাজ পাবেন, তা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং, লোগো ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, অনুবাদ, অডিও ও ভিডিও এডিটিং। এই প্রতিটি কাজের চাহিদা এই সময়ে অনেক।
আপনি যেকোনো কাজ নিয়ে প্রজেক্টটি সম্পূর্ণ করে দিলে আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে যে টাকা দেবে, তা থেকে ফাইবার আবার ২০ শতাংশ কেটে রাখবে। আর এটা হচ্ছে Fiverr. com-এর পলিসি। এদিকে কাজ করার ক্ষেত্রে শুধু ফিক্সড রেটের কাজই আপনি পাবেন। এই ওয়েবসাইটে কাজ করার পরও একইভাবে আপনাকে পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতিতে ফাইবার থেকে আয় করা টাকা উত্তোলন করতে হবে।
৩. freelancer.com
freelancer.com হচ্ছে আরেকটি পুরোনো ও জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম, যা ফ্রিল্যান্সারদের কাছে জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস। প্রায় ১৬ মিলিয়ন ফ্রিল্যান্সার এখানে কাজ করেন।
এই সাইট এত বেশি জনপ্রিয় যে, অনেক বেশি ব্যবহারকারী এর সঙ্গে যুক্ত। এ কারণে freelancer.com-এ কাজের সুযোগ এবং প্রতিযোগিতা অন্য সব সাইট থেকে অনেক বেশি। আপনি এখান থেকে ঘণ্টাভিত্তিক ও ফিক্সড রেট—দুভাবেই কাজ পেতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং জগতে অভিজ্ঞতা বাড়লে এই সাইট থেকে কাজ করাটা আপনার জন্য সুবিধাজনক হবে। নতুনদের জন্য আমরা এই সাইট সাজেস্ট করছি না। কারণ, প্রথম দিকে নতুন প্রজেক্ট শেষ করার পর আপনাকে কিছু অতিরিক্ত ভাতা দিতে হয় এই সাইটে।
কিন্তু যেকোনো স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য উপার্জিত অর্থের ১০ থেকে ২০ শতাংশ টাকা কোম্পানি নিজেই নিয়ে নেয়। এ সাইট থেকে কাজ করে টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে আপনাকে পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতিই গ্রহণ করতে হবে।
৪. peopleperhour.com
পিপল পার আওয়ার হচ্ছে লন্ডন ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা একটি আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস। এই সাইট তার নাম দিয়েই বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, এখানে ঘণ্টাভিত্তিক রেটে কাজ পাওয়া যাবে। কিন্তু বর্তমানে আপনি ফিক্সড রেটের কাজও পেয়ে যাবেন এই জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে।
পিপল পার আওয়ার প্ল্যাটফর্মেও কাজের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। এখানে কাজ করলে প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য সর্বনিম্ন ২০ থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়। আবার সে আয় করা টাকা থেকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ সে সাইট নিজেদের কাছে রেখে দেয়। এই সাইটে কাজ করে টাকা উত্তোলন করতে আপনাকে একইভাবে পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।
৫. 99designs.com
ধরুন আপনি ডিজাইনিং খুব পছন্দ করেন এবং স্বাধীনভাবে ডিজাইন সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে টাকা আয় করতে চান। এ ক্ষেত্রে আপনার সামনে রয়েছে সকল ফ্রিল্যান্স ডিজাইন লাভারদের পছন্দের সাইট ৯৯ ডিজাইনস ওয়েবসাইট।
কীভাবে কাজ করা যায় ৯৯ ডিজাইনস ওয়েবসাইটে? এই প্ল্যাটফর্মে ডিজাইন কিনতে আগ্রহী ব্যক্তিরা তাদের পছন্দের ডিজাইনের বর্ণনা লিখে কনটেস্টের আয়োজন করে। যারা কাজ করতে চান, তাঁরা ক্লায়েন্টের প্রত্যাশা পূরণ করতে তাদের নির্দেশনা মেনে ডিজাইন সাবমিট করবে। জমা পড়া ডিজাইন থেকে যেটি ক্লায়েন্টের পছন্দ হবে, সেটি তারা গ্রহণ করবে। যে ডিজাইনার কাজ পেলেন, তিনিই পূর্বঘোষিত অর্থ পাবেন।
এই ওয়েবসাইটে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করে ভালো টাকা উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। সাধারণত প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য আপনি গড়ে ১৯৯ ডলার আয় করতে পারবেন। এই সাইট থেকে কাজ করে পেমেন্ট পেতে পেওনিয়ার ও পেপাল ফলো করুন।
৬. guru.com
আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় আরেকটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের নাম হলো Guru। এই সাইট ফিক্সড ও ঘণ্টাভিত্তিক রেটে কাজ করার সুযোগ দেয়। সাইটটিতে পোস্ট করা কাজগুলোর বাজেট সাধারণত ১০ থেকে ২০০ ডলারের মধ্যে হয়।
এই ওয়েবসাইটেও একইভাবে প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করার পর ক্লায়েন্ট প্রদত্ত টাকার ৪ দশমিক ৯৫ থেকে ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া হয়, যা অন্য ওয়েবসাইটের তুলনায় কম। তাই আপনি চাইলে এই সাইটে কাজ করতে পারেন খুব সহজেই। অন্য সাইটের মতো এখানেও প্রতিযোগিতা খুব বেশি। পেমেন্ট প্রসেস হচ্ছে পেপাল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার সিস্টেম।
৭. toptal.com
আপনি যদি আউটসোর্সিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান, তাহলে আপনাকে আমরা টপটাল প্ল্যাটফর্মটি ঘুরে দেখতে বলব। কেন আমরা এই ওয়েবসাইটটি সাজেস্ট করছি? কারণ, টপটাল ওয়েবসাইটে কাজ করে আপনি চাইলে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন, যেখানে রয়েছে নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
এই সাইটে কাজ করার নিয়মের সঙ্গে অফিসে বসে কাজ করার অনেকটা মিল আছে। এই সাইট থেকে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে হয়তো অনলাইনে আপনার সাক্ষাৎকারও নেওয়া হতে পারে। এই কাজগুলো সম্পন্নের পর আপনি এই সাইট থেকে অনেক বড় বড় প্রজেক্ট আপনার হাতে পেতে পারেন এবং ভালো টাকা উপার্জন করতে পারেন।
তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে, এই ওয়েবসাইট আইটি বিষয়ে দক্ষ এবং প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে যাদের আলাদা স্বপ্ন আছে, তাদের জন্যই বিশেষভাবে তৈরি। তাই আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি হয় ইঞ্জিনিয়ারিং, তাহলে সেটা অবশ্যই আপনার জন্য একটি প্লাস পয়েন্ট।
৮. weworkremotely
এই প্ল্যাটফর্মে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে আগ্রহীদের জন্য রয়েছে প্রচুর সুযোগ-সুবিধা। উই ওয়ার্ক রিমোটলি সাইট থেকে প্রোগ্রামিং, ডিজাইন, কপিরাইটিং, মার্কেটিং, সেলসসহ নানা ধরনের কাজের অফার পাওয়া যায়।
এই সাইটে কাজ করার জন্য আপনি চাইলে নিউজলেটারেও আবেদন করতে পারবেন। যে সেক্টরে আপনি পারদর্শী, ঠিক সে সেক্টরটি নির্বাচন করে কাজের সন্ধান করুন। এই সাইটে আপনি ফুল-টাইম ও যেকোনো চুক্তির আওতায় কাজ করতে পারবেন। সুযোগ রয়েছে চুক্তিতে থাকা শর্তগুলো দেখে নেওয়ারও।
উই ওয়ার্ক রিমোটলি ওয়েবসাইটটি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নতুন কাজের আপডেট দেয়। তাই আপনি কিছু সময় পরপর এ ওয়েবসাইট চেক করুন নতুন কাজের সন্ধানে।
৯. dribbble
এখন আরেকটি বিশাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস নিয়ে আলোচনা করছি, যার নাম Dribbble। মূলত Dribbble একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি একই সঙ্গে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসও। এখানে কী কী কাজ করা যায়? এই সাইটে সারা বিশ্বের ডিজাইনার ও ক্রিয়েটিভরা তাঁদের সেরা কাজগুলো শেয়ার করেন।
বর্তমানে Dribbble তাদের প্ল্যাটফর্মে একটি চাকরির বোর্ড যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপনি ডিজাইনিং নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হলে এই সাইটে ঢুঁ মারতে বলব আপনাকে। এই সাইটে আপনি গ্রাফিকস, ইলাস্ট্রেটর, মোবাইল ও ওয়েব ডিজাইনার, অ্যানিমেটর ও ব্র্যান্ড ডিজাইনারের মতো কাজগুলোর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এ ছাড়া চাইলে এখানে ফুল-টাইম চাকরিও করতে পারেন। নিজের প্রোফাইলে সেরা কাজগুলো ভালো কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে আপলোড করুন। এতে আপনার সেরা কাজগুলো সবার কাছে পৌঁছে যাবে সহজেই। অন্যরা তখন চাইলে আপনাকে হায়ার করবে তাদের নিজেদের কাজ করে দেওয়ার জন্য। এভাবে আপনি টাকা উপার্জনের সুযোগ পাবেন।
১০. simplyhired.com
SimplyHired হচ্ছে স্বাধীনভাবে কাজ করার আরেকটি অসাধারণ আউটসোর্সিং প্ল্যাটফর্ম। এই সাইট ভিজিট করলে আপনি প্রযুক্তি থেকে শুরু করে ঘর-বাড়ি তৈরির কাজ পর্যন্ত পেতে পারেন। এই ওয়েবসাইটের কাজ শুধু অনলাইনভিত্তিক নয়। বরং আপনার জন্য এই সাইট থেকে অফলাইনেও কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।
SimplyHired.Com-এ প্রায় ২৪টি দেশের মানুষ কাজের অফার দিচ্ছে এবং কাজ খুঁজছে। তাই ধীরে ধীরে এই সাইটটিও ভালো জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। তাদের আরেকটি ভালো দিক হচ্ছে, তারা সব সময় মানসম্মত অথোরিটি মেনটেইন করার চেষ্টা করে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সাইটে কাজের অফার দেওয়া-নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তির সাফল্য-ব্যর্থতার গল্প, ক্যারিয়ার বিষয়ক পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন আর্টিকেলও থাকে, যা বিশেষত নতুনদের জন্য বেশ সহায়ক।
১১. clearvoice
আপনার যদি ক্রিয়েটিভিটি থেকে থাকে তাহলে ClearVoice সাইটটি আপনার জন্য। ক্রিয়েটিভ কাজ করার ক্ষেত্রে এই সাইট সেরা বলা যায়। এই সাইট থেকে আপনি কনটেন্ট ক্রিয়েটর যেমন: আর্টিকেল রাইটার, ভয়েস ওভার, শর্ট ভিডিও ইত্যাদি কাজের প্রজেক্ট পেয়ে যাবেন। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে এই সাইট আপনাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
এই সাইটে কাজ করার জন্য তারা আপনাকে একটি বিনা মূল্যের সিভি পোর্টফোলিও দেবে, যার মাধ্যমে আপনি আগের কাজের ওপর ভিত্তি করে নতুন কোনো কাজ পেতে পারেন। এ ছাড়া আপনি চাইলে আপনার নিজস্ব পোর্টফোলিও কাস্টমাইজ করতে পারেন, চাইলে এতে প্রফেশনাল লুকও দিতে পারবেন।
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
এবার আসুন বাংলাদেশি কিছু ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট নিয়ে কথা বলি। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং পেশার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আর ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন সব কার্যক্ষেত্র, যেখানে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
যদিও বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো এখনো খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি। তবে এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আসুন দেখে নিই বাংলাদেশি কিছু সাইটের তথ্য, যেখানে কাজ করে আপনি চাইলে টাকা আয় করতে পারবেন।
১২. স্বাধীন কাজ
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর মধ্যে স্বাধীন কাজ ডটকম একটি পরিচিত প্ল্যাটফর্ম। এই সাইট মূলত তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের টার্গেট করে। এখানে কেমন কাজ পাবেন? আপনি এই সাইটটিতে প্রজেক্টভিত্তিক লোকাল, অর্থাৎ দেশীয় কাজ পাবেন।
যদি আপনি বাংলাদেশি সাইটে কাজ করতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং কাজ শুরু করতে হবে। কাজ সম্পূর্ণ করে টাকা ওঠানোর ক্ষেত্রে আপনাকে বিকাশ ইউজার হতে হবে।
১৩. বিল্যান্সার
এবার আমরা পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি বাংলাদেশের প্রথম বাংলা ফ্রিল্যান্সিং সাইট বিল্যান্সারের সঙ্গে। এই সাইটের বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সার ও ক্লায়েন্ট বাংলাদেশি মানুষ।
এই মার্কেটপ্লেস বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে জায়গা করে নিতে যথেষ্ট কাজ করে যাচ্ছে। আপনি আগ্রহী ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকলে আজই এখানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে পারেন। এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে আপনাকে পেপাল, বিকাশ ও মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে হবে।
আমাদের দেওয়া ওয়েবসাইটগুলো থেকে আপনি কাজ করতে চাইলে সঠিকভাবে প্রতিটি ওয়েবসাইটের নিয়ম মেনে কাজ করুন। হ্যাপি ফ্রিল্যান্সিং।

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরুর আগে প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আসলে কী?
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হচ্ছে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেদিকে বায়ার বা ক্লায়েন্ট কাজ করিয়ে নেয় এবং ফ্রিল্যান্সররা কাজ সম্পূর্ণ করে দিয়ে টাকা উপার্জন করেন।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে চান এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ব্যাপারে পারদর্শী হতে হবে। এর জন্য সেরা কিছু ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করতে কী প্রয়োজন?
ফ্রিল্যান্সিং বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় পেশা হিসেবে পরিচিত। নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে সার্ভিস প্রদান এবং আর্থিক লেনদেনের ঝামেলা ছাড়াই ইনকাম করার সহজ মাধ্যম।
এই জগৎটায় সফলতা অর্জন সম্ভব, যদি ইচ্ছা ও ধৈর্যশক্তি থাকে। নিজের কাজের দক্ষতার পাশাপাশি যোগাযোগ ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলার বেসিক দক্ষতার প্রয়োজন হয়।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য চারটি জিনিস প্রয়োজন হয়
১. মার্কেটপ্লেস অনুযায়ী নিজের দক্ষতা
২. ডিভাইস-ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ এবং ইন্টারনেট কানেকশন
৩. ইংরেজি ভাষায় বেসিক ধারণা
৪. একটি স্মার্টফোন
ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা
ফ্রিল্যান্সিং শুরুর আগে এ ধরনের ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে রাখা প্রয়োজন। কারণ, এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে, যেগুলো আপনাকে নানা ধরনের কাজের বিপরীতে ভালো মজুরির আশ্বাস দিলেও কার্যত তা হয় না। অনেকেই প্রতারিত হন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে, যারা আপনাকে ঠকানোর জন্য বসে আছে। আবার অনেক ওয়েবসাইট আছে, যেগুলোতে কাজ পাওয়াটা কিছুটা কঠিন। কারণ, সেখানে কার্যাদেশ দেওয়া লোকের সংখ্যা কম। তাই নতুন কোনো সাইটে কাজ করতে চাইলে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া জরুরি। যেখানে কাজ করতে চাইছেন, দেখতে হবে, তা সক্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য কি না।
আজ আমরা যেসব ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করব, তার প্রতিটি আন্তর্জাতিক মানের প্ল্যাটফর্ম। এসব ওয়েবসাইটে লাখ লাখ মানুষ কাজ করছে। তাই এই ওয়েবসাইটগুলোর ওপর আপনি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন।
২০২২ সালের সেরা ১৩টি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
আমরা সবাই জানি ২০২২ সালে এসে ফ্রিল্যান্সিং হয়ে উঠেছে অনেক বেশি জনপ্রিয়। অনেকেই এতে আগ্রহী হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে টাকা আয় করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে এর জন্য সব চেয়ে সেরা চাহিদাসম্পন্ন এবং সুবিধা প্রদানকারী ওয়েবসাইটগুলো কী কী।
স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে। আজকের নিবন্ধ থেকে ২০২২ সালের সেরা ১৩টি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে আমরা জানব। এই ওয়েবসাইটগুলো আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করবে।
১৩টি টপ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বা ওয়েবসাইট
আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস পাবেন। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করাই সবচেয়ে লাভজনক ও ভালো। তবে সবার সুবিধার্থে বাংলাদেশি কিছু মার্কেটপ্লেস সম্পর্কেও বলব। এবার আসি মূল বিষয়ে—
ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
বিল্যান্সার
স্বাধীন কাজ
১. upwork.com
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হচ্ছে Upwork। এটা এমন এক সাইট, যেখানে জব পোস্টিং ফিড খুব দ্রুত আপডেট হয়।
আপওয়ার্কে যেকোনো ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি এসে ফ্রিল্যান্সার খুঁজে নেয় নিজেদের জন্য। কাজের বিনিময়ে ন্যায্য মজুরিও দেয়। এই সাইট এত বেশি জনপ্রিয় যে, আপনি খুব সহজেই আপনার পছন্দের কাজটি বেছে নিতে পারবেন।
এই প্ল্যাটফর্মের প্রতিটি সেক্টরে প্রচুর আপডেটেড কাজ দেওয়া থাকে, যা থেকে আপনি আপনার পছন্দের কাজটি বেছে নিতে পরবেন। আপওয়ার্কে আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিকস ডিজাইন, কাস্টমার সাপোর্ট, ফ্রিল্যান্স রাইটিং এবং ওয়ার্ডপ্রেস ম্যানেজমেন্টের মতো কাজগুলো অনায়াসে পাবেন। এই কাজগুলোর চাহিদা বর্তমানে অনেক বেশি।
সাধারণত আপওয়ার্কে ফিক্সড এবং ঘণ্টাভিত্তিক—উভয় রেটেই কাজ পেতে আপনাকে সাহায্য করবে। আর এই ওয়েবসাইট পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্রান্সফার কেন্দ্রিক পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে। তাই Upwork-এ কাজ করার আগে অবশ্যই পেমেন্ট মেথড সম্পর্কে জেনে নিন।
২. fiverr.com
এখন আমরা কথা বলছি আরেকটি জনপ্রিয় ইন্টারন্যাশনাল ওয়েবসাইট নিয়ে। এটি হলো fiverr.com, যা অন্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর তুলনায় বেশ এগিয়ে আছে। নতুনদের জন্য Fiverr দিয়ে আউটসোর্সিং ক্যারিয়ার শুরু করা অনেকটাই সুবিধাজনক।
আপনি আউটসোর্সিং নতুন শুরু করলে আপনার জন্য ফাইবার হতে পারে সবচেয়ে সেরা সুযোগ। এই ওয়েবসাইটে সর্বনিম্ন ৫ ডলার থেকে শুরু করে অনেক বেশি পরিমাণ টাকার কাজও দেওয়া হয়।
কী কী কাজ করা যায় এখানে? এই সাইট থেকে সবচেয়ে বেশি যে কাজ পাবেন, তা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং, লোগো ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, অনুবাদ, অডিও ও ভিডিও এডিটিং। এই প্রতিটি কাজের চাহিদা এই সময়ে অনেক।
আপনি যেকোনো কাজ নিয়ে প্রজেক্টটি সম্পূর্ণ করে দিলে আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে যে টাকা দেবে, তা থেকে ফাইবার আবার ২০ শতাংশ কেটে রাখবে। আর এটা হচ্ছে Fiverr. com-এর পলিসি। এদিকে কাজ করার ক্ষেত্রে শুধু ফিক্সড রেটের কাজই আপনি পাবেন। এই ওয়েবসাইটে কাজ করার পরও একইভাবে আপনাকে পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতিতে ফাইবার থেকে আয় করা টাকা উত্তোলন করতে হবে।
৩. freelancer.com
freelancer.com হচ্ছে আরেকটি পুরোনো ও জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম, যা ফ্রিল্যান্সারদের কাছে জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস। প্রায় ১৬ মিলিয়ন ফ্রিল্যান্সার এখানে কাজ করেন।
এই সাইট এত বেশি জনপ্রিয় যে, অনেক বেশি ব্যবহারকারী এর সঙ্গে যুক্ত। এ কারণে freelancer.com-এ কাজের সুযোগ এবং প্রতিযোগিতা অন্য সব সাইট থেকে অনেক বেশি। আপনি এখান থেকে ঘণ্টাভিত্তিক ও ফিক্সড রেট—দুভাবেই কাজ পেতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং জগতে অভিজ্ঞতা বাড়লে এই সাইট থেকে কাজ করাটা আপনার জন্য সুবিধাজনক হবে। নতুনদের জন্য আমরা এই সাইট সাজেস্ট করছি না। কারণ, প্রথম দিকে নতুন প্রজেক্ট শেষ করার পর আপনাকে কিছু অতিরিক্ত ভাতা দিতে হয় এই সাইটে।
কিন্তু যেকোনো স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য উপার্জিত অর্থের ১০ থেকে ২০ শতাংশ টাকা কোম্পানি নিজেই নিয়ে নেয়। এ সাইট থেকে কাজ করে টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে আপনাকে পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতিই গ্রহণ করতে হবে।
৪. peopleperhour.com
পিপল পার আওয়ার হচ্ছে লন্ডন ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা একটি আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস। এই সাইট তার নাম দিয়েই বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, এখানে ঘণ্টাভিত্তিক রেটে কাজ পাওয়া যাবে। কিন্তু বর্তমানে আপনি ফিক্সড রেটের কাজও পেয়ে যাবেন এই জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে।
পিপল পার আওয়ার প্ল্যাটফর্মেও কাজের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। এখানে কাজ করলে প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য সর্বনিম্ন ২০ থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়। আবার সে আয় করা টাকা থেকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ সে সাইট নিজেদের কাছে রেখে দেয়। এই সাইটে কাজ করে টাকা উত্তোলন করতে আপনাকে একইভাবে পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।
৫. 99designs.com
ধরুন আপনি ডিজাইনিং খুব পছন্দ করেন এবং স্বাধীনভাবে ডিজাইন সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে টাকা আয় করতে চান। এ ক্ষেত্রে আপনার সামনে রয়েছে সকল ফ্রিল্যান্স ডিজাইন লাভারদের পছন্দের সাইট ৯৯ ডিজাইনস ওয়েবসাইট।
কীভাবে কাজ করা যায় ৯৯ ডিজাইনস ওয়েবসাইটে? এই প্ল্যাটফর্মে ডিজাইন কিনতে আগ্রহী ব্যক্তিরা তাদের পছন্দের ডিজাইনের বর্ণনা লিখে কনটেস্টের আয়োজন করে। যারা কাজ করতে চান, তাঁরা ক্লায়েন্টের প্রত্যাশা পূরণ করতে তাদের নির্দেশনা মেনে ডিজাইন সাবমিট করবে। জমা পড়া ডিজাইন থেকে যেটি ক্লায়েন্টের পছন্দ হবে, সেটি তারা গ্রহণ করবে। যে ডিজাইনার কাজ পেলেন, তিনিই পূর্বঘোষিত অর্থ পাবেন।
এই ওয়েবসাইটে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করে ভালো টাকা উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। সাধারণত প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য আপনি গড়ে ১৯৯ ডলার আয় করতে পারবেন। এই সাইট থেকে কাজ করে পেমেন্ট পেতে পেওনিয়ার ও পেপাল ফলো করুন।
৬. guru.com
আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় আরেকটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের নাম হলো Guru। এই সাইট ফিক্সড ও ঘণ্টাভিত্তিক রেটে কাজ করার সুযোগ দেয়। সাইটটিতে পোস্ট করা কাজগুলোর বাজেট সাধারণত ১০ থেকে ২০০ ডলারের মধ্যে হয়।
এই ওয়েবসাইটেও একইভাবে প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করার পর ক্লায়েন্ট প্রদত্ত টাকার ৪ দশমিক ৯৫ থেকে ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া হয়, যা অন্য ওয়েবসাইটের তুলনায় কম। তাই আপনি চাইলে এই সাইটে কাজ করতে পারেন খুব সহজেই। অন্য সাইটের মতো এখানেও প্রতিযোগিতা খুব বেশি। পেমেন্ট প্রসেস হচ্ছে পেপাল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার সিস্টেম।
৭. toptal.com
আপনি যদি আউটসোর্সিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান, তাহলে আপনাকে আমরা টপটাল প্ল্যাটফর্মটি ঘুরে দেখতে বলব। কেন আমরা এই ওয়েবসাইটটি সাজেস্ট করছি? কারণ, টপটাল ওয়েবসাইটে কাজ করে আপনি চাইলে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন, যেখানে রয়েছে নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
এই সাইটে কাজ করার নিয়মের সঙ্গে অফিসে বসে কাজ করার অনেকটা মিল আছে। এই সাইট থেকে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে হয়তো অনলাইনে আপনার সাক্ষাৎকারও নেওয়া হতে পারে। এই কাজগুলো সম্পন্নের পর আপনি এই সাইট থেকে অনেক বড় বড় প্রজেক্ট আপনার হাতে পেতে পারেন এবং ভালো টাকা উপার্জন করতে পারেন।
তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে, এই ওয়েবসাইট আইটি বিষয়ে দক্ষ এবং প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে যাদের আলাদা স্বপ্ন আছে, তাদের জন্যই বিশেষভাবে তৈরি। তাই আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি হয় ইঞ্জিনিয়ারিং, তাহলে সেটা অবশ্যই আপনার জন্য একটি প্লাস পয়েন্ট।
৮. weworkremotely
এই প্ল্যাটফর্মে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে আগ্রহীদের জন্য রয়েছে প্রচুর সুযোগ-সুবিধা। উই ওয়ার্ক রিমোটলি সাইট থেকে প্রোগ্রামিং, ডিজাইন, কপিরাইটিং, মার্কেটিং, সেলসসহ নানা ধরনের কাজের অফার পাওয়া যায়।
এই সাইটে কাজ করার জন্য আপনি চাইলে নিউজলেটারেও আবেদন করতে পারবেন। যে সেক্টরে আপনি পারদর্শী, ঠিক সে সেক্টরটি নির্বাচন করে কাজের সন্ধান করুন। এই সাইটে আপনি ফুল-টাইম ও যেকোনো চুক্তির আওতায় কাজ করতে পারবেন। সুযোগ রয়েছে চুক্তিতে থাকা শর্তগুলো দেখে নেওয়ারও।
উই ওয়ার্ক রিমোটলি ওয়েবসাইটটি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নতুন কাজের আপডেট দেয়। তাই আপনি কিছু সময় পরপর এ ওয়েবসাইট চেক করুন নতুন কাজের সন্ধানে।
৯. dribbble
এখন আরেকটি বিশাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস নিয়ে আলোচনা করছি, যার নাম Dribbble। মূলত Dribbble একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি একই সঙ্গে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসও। এখানে কী কী কাজ করা যায়? এই সাইটে সারা বিশ্বের ডিজাইনার ও ক্রিয়েটিভরা তাঁদের সেরা কাজগুলো শেয়ার করেন।
বর্তমানে Dribbble তাদের প্ল্যাটফর্মে একটি চাকরির বোর্ড যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপনি ডিজাইনিং নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হলে এই সাইটে ঢুঁ মারতে বলব আপনাকে। এই সাইটে আপনি গ্রাফিকস, ইলাস্ট্রেটর, মোবাইল ও ওয়েব ডিজাইনার, অ্যানিমেটর ও ব্র্যান্ড ডিজাইনারের মতো কাজগুলোর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এ ছাড়া চাইলে এখানে ফুল-টাইম চাকরিও করতে পারেন। নিজের প্রোফাইলে সেরা কাজগুলো ভালো কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে আপলোড করুন। এতে আপনার সেরা কাজগুলো সবার কাছে পৌঁছে যাবে সহজেই। অন্যরা তখন চাইলে আপনাকে হায়ার করবে তাদের নিজেদের কাজ করে দেওয়ার জন্য। এভাবে আপনি টাকা উপার্জনের সুযোগ পাবেন।
১০. simplyhired.com
SimplyHired হচ্ছে স্বাধীনভাবে কাজ করার আরেকটি অসাধারণ আউটসোর্সিং প্ল্যাটফর্ম। এই সাইট ভিজিট করলে আপনি প্রযুক্তি থেকে শুরু করে ঘর-বাড়ি তৈরির কাজ পর্যন্ত পেতে পারেন। এই ওয়েবসাইটের কাজ শুধু অনলাইনভিত্তিক নয়। বরং আপনার জন্য এই সাইট থেকে অফলাইনেও কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।
SimplyHired.Com-এ প্রায় ২৪টি দেশের মানুষ কাজের অফার দিচ্ছে এবং কাজ খুঁজছে। তাই ধীরে ধীরে এই সাইটটিও ভালো জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। তাদের আরেকটি ভালো দিক হচ্ছে, তারা সব সময় মানসম্মত অথোরিটি মেনটেইন করার চেষ্টা করে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সাইটে কাজের অফার দেওয়া-নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তির সাফল্য-ব্যর্থতার গল্প, ক্যারিয়ার বিষয়ক পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন আর্টিকেলও থাকে, যা বিশেষত নতুনদের জন্য বেশ সহায়ক।
১১. clearvoice
আপনার যদি ক্রিয়েটিভিটি থেকে থাকে তাহলে ClearVoice সাইটটি আপনার জন্য। ক্রিয়েটিভ কাজ করার ক্ষেত্রে এই সাইট সেরা বলা যায়। এই সাইট থেকে আপনি কনটেন্ট ক্রিয়েটর যেমন: আর্টিকেল রাইটার, ভয়েস ওভার, শর্ট ভিডিও ইত্যাদি কাজের প্রজেক্ট পেয়ে যাবেন। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে এই সাইট আপনাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
এই সাইটে কাজ করার জন্য তারা আপনাকে একটি বিনা মূল্যের সিভি পোর্টফোলিও দেবে, যার মাধ্যমে আপনি আগের কাজের ওপর ভিত্তি করে নতুন কোনো কাজ পেতে পারেন। এ ছাড়া আপনি চাইলে আপনার নিজস্ব পোর্টফোলিও কাস্টমাইজ করতে পারেন, চাইলে এতে প্রফেশনাল লুকও দিতে পারবেন।
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
এবার আসুন বাংলাদেশি কিছু ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট নিয়ে কথা বলি। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং পেশার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আর ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন সব কার্যক্ষেত্র, যেখানে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
যদিও বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো এখনো খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি। তবে এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আসুন দেখে নিই বাংলাদেশি কিছু সাইটের তথ্য, যেখানে কাজ করে আপনি চাইলে টাকা আয় করতে পারবেন।
১২. স্বাধীন কাজ
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর মধ্যে স্বাধীন কাজ ডটকম একটি পরিচিত প্ল্যাটফর্ম। এই সাইট মূলত তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের টার্গেট করে। এখানে কেমন কাজ পাবেন? আপনি এই সাইটটিতে প্রজেক্টভিত্তিক লোকাল, অর্থাৎ দেশীয় কাজ পাবেন।
যদি আপনি বাংলাদেশি সাইটে কাজ করতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং কাজ শুরু করতে হবে। কাজ সম্পূর্ণ করে টাকা ওঠানোর ক্ষেত্রে আপনাকে বিকাশ ইউজার হতে হবে।
১৩. বিল্যান্সার
এবার আমরা পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি বাংলাদেশের প্রথম বাংলা ফ্রিল্যান্সিং সাইট বিল্যান্সারের সঙ্গে। এই সাইটের বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সার ও ক্লায়েন্ট বাংলাদেশি মানুষ।
এই মার্কেটপ্লেস বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে জায়গা করে নিতে যথেষ্ট কাজ করে যাচ্ছে। আপনি আগ্রহী ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকলে আজই এখানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে পারেন। এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে আপনাকে পেপাল, বিকাশ ও মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে হবে।
আমাদের দেওয়া ওয়েবসাইটগুলো থেকে আপনি কাজ করতে চাইলে সঠিকভাবে প্রতিটি ওয়েবসাইটের নিয়ম মেনে কাজ করুন। হ্যাপি ফ্রিল্যান্সিং।

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরুর আগে প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আসলে কী?
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হচ্ছে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেদিকে বায়ার বা ক্লায়েন্ট কাজ করিয়ে নেয় এবং ফ্রিল্যান্সররা কাজ সম্পূর্ণ করে দিয়ে টাকা উপার্জন করেন।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে চান এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ব্যাপারে পারদর্শী হতে হবে। এর জন্য সেরা কিছু ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করতে কী প্রয়োজন?
ফ্রিল্যান্সিং বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় পেশা হিসেবে পরিচিত। নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে সার্ভিস প্রদান এবং আর্থিক লেনদেনের ঝামেলা ছাড়াই ইনকাম করার সহজ মাধ্যম।
এই জগৎটায় সফলতা অর্জন সম্ভব, যদি ইচ্ছা ও ধৈর্যশক্তি থাকে। নিজের কাজের দক্ষতার পাশাপাশি যোগাযোগ ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলার বেসিক দক্ষতার প্রয়োজন হয়।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য চারটি জিনিস প্রয়োজন হয়
১. মার্কেটপ্লেস অনুযায়ী নিজের দক্ষতা
২. ডিভাইস-ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ এবং ইন্টারনেট কানেকশন
৩. ইংরেজি ভাষায় বেসিক ধারণা
৪. একটি স্মার্টফোন
ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা
ফ্রিল্যান্সিং শুরুর আগে এ ধরনের ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে রাখা প্রয়োজন। কারণ, এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে, যেগুলো আপনাকে নানা ধরনের কাজের বিপরীতে ভালো মজুরির আশ্বাস দিলেও কার্যত তা হয় না। অনেকেই প্রতারিত হন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে, যারা আপনাকে ঠকানোর জন্য বসে আছে। আবার অনেক ওয়েবসাইট আছে, যেগুলোতে কাজ পাওয়াটা কিছুটা কঠিন। কারণ, সেখানে কার্যাদেশ দেওয়া লোকের সংখ্যা কম। তাই নতুন কোনো সাইটে কাজ করতে চাইলে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া জরুরি। যেখানে কাজ করতে চাইছেন, দেখতে হবে, তা সক্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য কি না।
আজ আমরা যেসব ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করব, তার প্রতিটি আন্তর্জাতিক মানের প্ল্যাটফর্ম। এসব ওয়েবসাইটে লাখ লাখ মানুষ কাজ করছে। তাই এই ওয়েবসাইটগুলোর ওপর আপনি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন।
২০২২ সালের সেরা ১৩টি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
আমরা সবাই জানি ২০২২ সালে এসে ফ্রিল্যান্সিং হয়ে উঠেছে অনেক বেশি জনপ্রিয়। অনেকেই এতে আগ্রহী হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে টাকা আয় করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে এর জন্য সব চেয়ে সেরা চাহিদাসম্পন্ন এবং সুবিধা প্রদানকারী ওয়েবসাইটগুলো কী কী।
স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে। আজকের নিবন্ধ থেকে ২০২২ সালের সেরা ১৩টি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে আমরা জানব। এই ওয়েবসাইটগুলো আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করবে।
১৩টি টপ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বা ওয়েবসাইট
আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস পাবেন। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করাই সবচেয়ে লাভজনক ও ভালো। তবে সবার সুবিধার্থে বাংলাদেশি কিছু মার্কেটপ্লেস সম্পর্কেও বলব। এবার আসি মূল বিষয়ে—
ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
বিল্যান্সার
স্বাধীন কাজ
১. upwork.com
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হচ্ছে Upwork। এটা এমন এক সাইট, যেখানে জব পোস্টিং ফিড খুব দ্রুত আপডেট হয়।
আপওয়ার্কে যেকোনো ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি এসে ফ্রিল্যান্সার খুঁজে নেয় নিজেদের জন্য। কাজের বিনিময়ে ন্যায্য মজুরিও দেয়। এই সাইট এত বেশি জনপ্রিয় যে, আপনি খুব সহজেই আপনার পছন্দের কাজটি বেছে নিতে পারবেন।
এই প্ল্যাটফর্মের প্রতিটি সেক্টরে প্রচুর আপডেটেড কাজ দেওয়া থাকে, যা থেকে আপনি আপনার পছন্দের কাজটি বেছে নিতে পরবেন। আপওয়ার্কে আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিকস ডিজাইন, কাস্টমার সাপোর্ট, ফ্রিল্যান্স রাইটিং এবং ওয়ার্ডপ্রেস ম্যানেজমেন্টের মতো কাজগুলো অনায়াসে পাবেন। এই কাজগুলোর চাহিদা বর্তমানে অনেক বেশি।
সাধারণত আপওয়ার্কে ফিক্সড এবং ঘণ্টাভিত্তিক—উভয় রেটেই কাজ পেতে আপনাকে সাহায্য করবে। আর এই ওয়েবসাইট পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্রান্সফার কেন্দ্রিক পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে। তাই Upwork-এ কাজ করার আগে অবশ্যই পেমেন্ট মেথড সম্পর্কে জেনে নিন।
২. fiverr.com
এখন আমরা কথা বলছি আরেকটি জনপ্রিয় ইন্টারন্যাশনাল ওয়েবসাইট নিয়ে। এটি হলো fiverr.com, যা অন্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর তুলনায় বেশ এগিয়ে আছে। নতুনদের জন্য Fiverr দিয়ে আউটসোর্সিং ক্যারিয়ার শুরু করা অনেকটাই সুবিধাজনক।
আপনি আউটসোর্সিং নতুন শুরু করলে আপনার জন্য ফাইবার হতে পারে সবচেয়ে সেরা সুযোগ। এই ওয়েবসাইটে সর্বনিম্ন ৫ ডলার থেকে শুরু করে অনেক বেশি পরিমাণ টাকার কাজও দেওয়া হয়।
কী কী কাজ করা যায় এখানে? এই সাইট থেকে সবচেয়ে বেশি যে কাজ পাবেন, তা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং, লোগো ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, অনুবাদ, অডিও ও ভিডিও এডিটিং। এই প্রতিটি কাজের চাহিদা এই সময়ে অনেক।
আপনি যেকোনো কাজ নিয়ে প্রজেক্টটি সম্পূর্ণ করে দিলে আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে যে টাকা দেবে, তা থেকে ফাইবার আবার ২০ শতাংশ কেটে রাখবে। আর এটা হচ্ছে Fiverr. com-এর পলিসি। এদিকে কাজ করার ক্ষেত্রে শুধু ফিক্সড রেটের কাজই আপনি পাবেন। এই ওয়েবসাইটে কাজ করার পরও একইভাবে আপনাকে পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতিতে ফাইবার থেকে আয় করা টাকা উত্তোলন করতে হবে।
৩. freelancer.com
freelancer.com হচ্ছে আরেকটি পুরোনো ও জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম, যা ফ্রিল্যান্সারদের কাছে জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস। প্রায় ১৬ মিলিয়ন ফ্রিল্যান্সার এখানে কাজ করেন।
এই সাইট এত বেশি জনপ্রিয় যে, অনেক বেশি ব্যবহারকারী এর সঙ্গে যুক্ত। এ কারণে freelancer.com-এ কাজের সুযোগ এবং প্রতিযোগিতা অন্য সব সাইট থেকে অনেক বেশি। আপনি এখান থেকে ঘণ্টাভিত্তিক ও ফিক্সড রেট—দুভাবেই কাজ পেতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং জগতে অভিজ্ঞতা বাড়লে এই সাইট থেকে কাজ করাটা আপনার জন্য সুবিধাজনক হবে। নতুনদের জন্য আমরা এই সাইট সাজেস্ট করছি না। কারণ, প্রথম দিকে নতুন প্রজেক্ট শেষ করার পর আপনাকে কিছু অতিরিক্ত ভাতা দিতে হয় এই সাইটে।
কিন্তু যেকোনো স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য উপার্জিত অর্থের ১০ থেকে ২০ শতাংশ টাকা কোম্পানি নিজেই নিয়ে নেয়। এ সাইট থেকে কাজ করে টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে আপনাকে পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতিই গ্রহণ করতে হবে।
৪. peopleperhour.com
পিপল পার আওয়ার হচ্ছে লন্ডন ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা একটি আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস। এই সাইট তার নাম দিয়েই বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, এখানে ঘণ্টাভিত্তিক রেটে কাজ পাওয়া যাবে। কিন্তু বর্তমানে আপনি ফিক্সড রেটের কাজও পেয়ে যাবেন এই জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে।
পিপল পার আওয়ার প্ল্যাটফর্মেও কাজের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। এখানে কাজ করলে প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য সর্বনিম্ন ২০ থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়। আবার সে আয় করা টাকা থেকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ সে সাইট নিজেদের কাছে রেখে দেয়। এই সাইটে কাজ করে টাকা উত্তোলন করতে আপনাকে একইভাবে পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।
৫. 99designs.com
ধরুন আপনি ডিজাইনিং খুব পছন্দ করেন এবং স্বাধীনভাবে ডিজাইন সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে টাকা আয় করতে চান। এ ক্ষেত্রে আপনার সামনে রয়েছে সকল ফ্রিল্যান্স ডিজাইন লাভারদের পছন্দের সাইট ৯৯ ডিজাইনস ওয়েবসাইট।
কীভাবে কাজ করা যায় ৯৯ ডিজাইনস ওয়েবসাইটে? এই প্ল্যাটফর্মে ডিজাইন কিনতে আগ্রহী ব্যক্তিরা তাদের পছন্দের ডিজাইনের বর্ণনা লিখে কনটেস্টের আয়োজন করে। যারা কাজ করতে চান, তাঁরা ক্লায়েন্টের প্রত্যাশা পূরণ করতে তাদের নির্দেশনা মেনে ডিজাইন সাবমিট করবে। জমা পড়া ডিজাইন থেকে যেটি ক্লায়েন্টের পছন্দ হবে, সেটি তারা গ্রহণ করবে। যে ডিজাইনার কাজ পেলেন, তিনিই পূর্বঘোষিত অর্থ পাবেন।
এই ওয়েবসাইটে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করে ভালো টাকা উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। সাধারণত প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য আপনি গড়ে ১৯৯ ডলার আয় করতে পারবেন। এই সাইট থেকে কাজ করে পেমেন্ট পেতে পেওনিয়ার ও পেপাল ফলো করুন।
৬. guru.com
আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় আরেকটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের নাম হলো Guru। এই সাইট ফিক্সড ও ঘণ্টাভিত্তিক রেটে কাজ করার সুযোগ দেয়। সাইটটিতে পোস্ট করা কাজগুলোর বাজেট সাধারণত ১০ থেকে ২০০ ডলারের মধ্যে হয়।
এই ওয়েবসাইটেও একইভাবে প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করার পর ক্লায়েন্ট প্রদত্ত টাকার ৪ দশমিক ৯৫ থেকে ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া হয়, যা অন্য ওয়েবসাইটের তুলনায় কম। তাই আপনি চাইলে এই সাইটে কাজ করতে পারেন খুব সহজেই। অন্য সাইটের মতো এখানেও প্রতিযোগিতা খুব বেশি। পেমেন্ট প্রসেস হচ্ছে পেপাল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার সিস্টেম।
৭. toptal.com
আপনি যদি আউটসোর্সিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান, তাহলে আপনাকে আমরা টপটাল প্ল্যাটফর্মটি ঘুরে দেখতে বলব। কেন আমরা এই ওয়েবসাইটটি সাজেস্ট করছি? কারণ, টপটাল ওয়েবসাইটে কাজ করে আপনি চাইলে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন, যেখানে রয়েছে নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
এই সাইটে কাজ করার নিয়মের সঙ্গে অফিসে বসে কাজ করার অনেকটা মিল আছে। এই সাইট থেকে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে হয়তো অনলাইনে আপনার সাক্ষাৎকারও নেওয়া হতে পারে। এই কাজগুলো সম্পন্নের পর আপনি এই সাইট থেকে অনেক বড় বড় প্রজেক্ট আপনার হাতে পেতে পারেন এবং ভালো টাকা উপার্জন করতে পারেন।
তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে, এই ওয়েবসাইট আইটি বিষয়ে দক্ষ এবং প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে যাদের আলাদা স্বপ্ন আছে, তাদের জন্যই বিশেষভাবে তৈরি। তাই আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি হয় ইঞ্জিনিয়ারিং, তাহলে সেটা অবশ্যই আপনার জন্য একটি প্লাস পয়েন্ট।
৮. weworkremotely
এই প্ল্যাটফর্মে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে আগ্রহীদের জন্য রয়েছে প্রচুর সুযোগ-সুবিধা। উই ওয়ার্ক রিমোটলি সাইট থেকে প্রোগ্রামিং, ডিজাইন, কপিরাইটিং, মার্কেটিং, সেলসসহ নানা ধরনের কাজের অফার পাওয়া যায়।
এই সাইটে কাজ করার জন্য আপনি চাইলে নিউজলেটারেও আবেদন করতে পারবেন। যে সেক্টরে আপনি পারদর্শী, ঠিক সে সেক্টরটি নির্বাচন করে কাজের সন্ধান করুন। এই সাইটে আপনি ফুল-টাইম ও যেকোনো চুক্তির আওতায় কাজ করতে পারবেন। সুযোগ রয়েছে চুক্তিতে থাকা শর্তগুলো দেখে নেওয়ারও।
উই ওয়ার্ক রিমোটলি ওয়েবসাইটটি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নতুন কাজের আপডেট দেয়। তাই আপনি কিছু সময় পরপর এ ওয়েবসাইট চেক করুন নতুন কাজের সন্ধানে।
৯. dribbble
এখন আরেকটি বিশাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস নিয়ে আলোচনা করছি, যার নাম Dribbble। মূলত Dribbble একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি একই সঙ্গে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসও। এখানে কী কী কাজ করা যায়? এই সাইটে সারা বিশ্বের ডিজাইনার ও ক্রিয়েটিভরা তাঁদের সেরা কাজগুলো শেয়ার করেন।
বর্তমানে Dribbble তাদের প্ল্যাটফর্মে একটি চাকরির বোর্ড যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপনি ডিজাইনিং নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হলে এই সাইটে ঢুঁ মারতে বলব আপনাকে। এই সাইটে আপনি গ্রাফিকস, ইলাস্ট্রেটর, মোবাইল ও ওয়েব ডিজাইনার, অ্যানিমেটর ও ব্র্যান্ড ডিজাইনারের মতো কাজগুলোর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এ ছাড়া চাইলে এখানে ফুল-টাইম চাকরিও করতে পারেন। নিজের প্রোফাইলে সেরা কাজগুলো ভালো কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে আপলোড করুন। এতে আপনার সেরা কাজগুলো সবার কাছে পৌঁছে যাবে সহজেই। অন্যরা তখন চাইলে আপনাকে হায়ার করবে তাদের নিজেদের কাজ করে দেওয়ার জন্য। এভাবে আপনি টাকা উপার্জনের সুযোগ পাবেন।
১০. simplyhired.com
SimplyHired হচ্ছে স্বাধীনভাবে কাজ করার আরেকটি অসাধারণ আউটসোর্সিং প্ল্যাটফর্ম। এই সাইট ভিজিট করলে আপনি প্রযুক্তি থেকে শুরু করে ঘর-বাড়ি তৈরির কাজ পর্যন্ত পেতে পারেন। এই ওয়েবসাইটের কাজ শুধু অনলাইনভিত্তিক নয়। বরং আপনার জন্য এই সাইট থেকে অফলাইনেও কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।
SimplyHired.Com-এ প্রায় ২৪টি দেশের মানুষ কাজের অফার দিচ্ছে এবং কাজ খুঁজছে। তাই ধীরে ধীরে এই সাইটটিও ভালো জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। তাদের আরেকটি ভালো দিক হচ্ছে, তারা সব সময় মানসম্মত অথোরিটি মেনটেইন করার চেষ্টা করে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সাইটে কাজের অফার দেওয়া-নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তির সাফল্য-ব্যর্থতার গল্প, ক্যারিয়ার বিষয়ক পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন আর্টিকেলও থাকে, যা বিশেষত নতুনদের জন্য বেশ সহায়ক।
১১. clearvoice
আপনার যদি ক্রিয়েটিভিটি থেকে থাকে তাহলে ClearVoice সাইটটি আপনার জন্য। ক্রিয়েটিভ কাজ করার ক্ষেত্রে এই সাইট সেরা বলা যায়। এই সাইট থেকে আপনি কনটেন্ট ক্রিয়েটর যেমন: আর্টিকেল রাইটার, ভয়েস ওভার, শর্ট ভিডিও ইত্যাদি কাজের প্রজেক্ট পেয়ে যাবেন। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে এই সাইট আপনাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
এই সাইটে কাজ করার জন্য তারা আপনাকে একটি বিনা মূল্যের সিভি পোর্টফোলিও দেবে, যার মাধ্যমে আপনি আগের কাজের ওপর ভিত্তি করে নতুন কোনো কাজ পেতে পারেন। এ ছাড়া আপনি চাইলে আপনার নিজস্ব পোর্টফোলিও কাস্টমাইজ করতে পারেন, চাইলে এতে প্রফেশনাল লুকও দিতে পারবেন।
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
এবার আসুন বাংলাদেশি কিছু ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট নিয়ে কথা বলি। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং পেশার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আর ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন সব কার্যক্ষেত্র, যেখানে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
যদিও বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো এখনো খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি। তবে এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আসুন দেখে নিই বাংলাদেশি কিছু সাইটের তথ্য, যেখানে কাজ করে আপনি চাইলে টাকা আয় করতে পারবেন।
১২. স্বাধীন কাজ
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর মধ্যে স্বাধীন কাজ ডটকম একটি পরিচিত প্ল্যাটফর্ম। এই সাইট মূলত তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের টার্গেট করে। এখানে কেমন কাজ পাবেন? আপনি এই সাইটটিতে প্রজেক্টভিত্তিক লোকাল, অর্থাৎ দেশীয় কাজ পাবেন।
যদি আপনি বাংলাদেশি সাইটে কাজ করতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং কাজ শুরু করতে হবে। কাজ সম্পূর্ণ করে টাকা ওঠানোর ক্ষেত্রে আপনাকে বিকাশ ইউজার হতে হবে।
১৩. বিল্যান্সার
এবার আমরা পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি বাংলাদেশের প্রথম বাংলা ফ্রিল্যান্সিং সাইট বিল্যান্সারের সঙ্গে। এই সাইটের বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সার ও ক্লায়েন্ট বাংলাদেশি মানুষ।
এই মার্কেটপ্লেস বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে জায়গা করে নিতে যথেষ্ট কাজ করে যাচ্ছে। আপনি আগ্রহী ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকলে আজই এখানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে পারেন। এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে আপনাকে পেপাল, বিকাশ ও মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে হবে।
আমাদের দেওয়া ওয়েবসাইটগুলো থেকে আপনি কাজ করতে চাইলে সঠিকভাবে প্রতিটি ওয়েবসাইটের নিয়ম মেনে কাজ করুন। হ্যাপি ফ্রিল্যান্সিং।

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরুর আগে প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আসলে কী?
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হচ্ছে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেদিকে বায়ার বা ক্লায়েন্ট কাজ করিয়ে নেয় এবং ফ্রিল্যান্সররা কাজ সম্পূর্ণ করে দিয়ে টাকা উপার্জন করেন।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে চান এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ব্যাপারে পারদর্শী হতে হবে। এর জন্য সেরা কিছু ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করতে কী প্রয়োজন?
ফ্রিল্যান্সিং বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় পেশা হিসেবে পরিচিত। নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে সার্ভিস প্রদান এবং আর্থিক লেনদেনের ঝামেলা ছাড়াই ইনকাম করার সহজ মাধ্যম।
এই জগৎটায় সফলতা অর্জন সম্ভব, যদি ইচ্ছা ও ধৈর্যশক্তি থাকে। নিজের কাজের দক্ষতার পাশাপাশি যোগাযোগ ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলার বেসিক দক্ষতার প্রয়োজন হয়।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য চারটি জিনিস প্রয়োজন হয়
১. মার্কেটপ্লেস অনুযায়ী নিজের দক্ষতা
২. ডিভাইস-ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ এবং ইন্টারনেট কানেকশন
৩. ইংরেজি ভাষায় বেসিক ধারণা
৪. একটি স্মার্টফোন
ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা
ফ্রিল্যান্সিং শুরুর আগে এ ধরনের ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে রাখা প্রয়োজন। কারণ, এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে, যেগুলো আপনাকে নানা ধরনের কাজের বিপরীতে ভালো মজুরির আশ্বাস দিলেও কার্যত তা হয় না। অনেকেই প্রতারিত হন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে, যারা আপনাকে ঠকানোর জন্য বসে আছে। আবার অনেক ওয়েবসাইট আছে, যেগুলোতে কাজ পাওয়াটা কিছুটা কঠিন। কারণ, সেখানে কার্যাদেশ দেওয়া লোকের সংখ্যা কম। তাই নতুন কোনো সাইটে কাজ করতে চাইলে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া জরুরি। যেখানে কাজ করতে চাইছেন, দেখতে হবে, তা সক্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য কি না।
আজ আমরা যেসব ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করব, তার প্রতিটি আন্তর্জাতিক মানের প্ল্যাটফর্ম। এসব ওয়েবসাইটে লাখ লাখ মানুষ কাজ করছে। তাই এই ওয়েবসাইটগুলোর ওপর আপনি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন।
২০২২ সালের সেরা ১৩টি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
আমরা সবাই জানি ২০২২ সালে এসে ফ্রিল্যান্সিং হয়ে উঠেছে অনেক বেশি জনপ্রিয়। অনেকেই এতে আগ্রহী হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে টাকা আয় করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে এর জন্য সব চেয়ে সেরা চাহিদাসম্পন্ন এবং সুবিধা প্রদানকারী ওয়েবসাইটগুলো কী কী।
স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে। আজকের নিবন্ধ থেকে ২০২২ সালের সেরা ১৩টি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে আমরা জানব। এই ওয়েবসাইটগুলো আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করবে।
১৩টি টপ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বা ওয়েবসাইট
আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস পাবেন। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করাই সবচেয়ে লাভজনক ও ভালো। তবে সবার সুবিধার্থে বাংলাদেশি কিছু মার্কেটপ্লেস সম্পর্কেও বলব। এবার আসি মূল বিষয়ে—
ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
বিল্যান্সার
স্বাধীন কাজ
১. upwork.com
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হচ্ছে Upwork। এটা এমন এক সাইট, যেখানে জব পোস্টিং ফিড খুব দ্রুত আপডেট হয়।
আপওয়ার্কে যেকোনো ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি এসে ফ্রিল্যান্সার খুঁজে নেয় নিজেদের জন্য। কাজের বিনিময়ে ন্যায্য মজুরিও দেয়। এই সাইট এত বেশি জনপ্রিয় যে, আপনি খুব সহজেই আপনার পছন্দের কাজটি বেছে নিতে পারবেন।
এই প্ল্যাটফর্মের প্রতিটি সেক্টরে প্রচুর আপডেটেড কাজ দেওয়া থাকে, যা থেকে আপনি আপনার পছন্দের কাজটি বেছে নিতে পরবেন। আপওয়ার্কে আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিকস ডিজাইন, কাস্টমার সাপোর্ট, ফ্রিল্যান্স রাইটিং এবং ওয়ার্ডপ্রেস ম্যানেজমেন্টের মতো কাজগুলো অনায়াসে পাবেন। এই কাজগুলোর চাহিদা বর্তমানে অনেক বেশি।
সাধারণত আপওয়ার্কে ফিক্সড এবং ঘণ্টাভিত্তিক—উভয় রেটেই কাজ পেতে আপনাকে সাহায্য করবে। আর এই ওয়েবসাইট পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্রান্সফার কেন্দ্রিক পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে। তাই Upwork-এ কাজ করার আগে অবশ্যই পেমেন্ট মেথড সম্পর্কে জেনে নিন।
২. fiverr.com
এখন আমরা কথা বলছি আরেকটি জনপ্রিয় ইন্টারন্যাশনাল ওয়েবসাইট নিয়ে। এটি হলো fiverr.com, যা অন্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর তুলনায় বেশ এগিয়ে আছে। নতুনদের জন্য Fiverr দিয়ে আউটসোর্সিং ক্যারিয়ার শুরু করা অনেকটাই সুবিধাজনক।
আপনি আউটসোর্সিং নতুন শুরু করলে আপনার জন্য ফাইবার হতে পারে সবচেয়ে সেরা সুযোগ। এই ওয়েবসাইটে সর্বনিম্ন ৫ ডলার থেকে শুরু করে অনেক বেশি পরিমাণ টাকার কাজও দেওয়া হয়।
কী কী কাজ করা যায় এখানে? এই সাইট থেকে সবচেয়ে বেশি যে কাজ পাবেন, তা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং, লোগো ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, অনুবাদ, অডিও ও ভিডিও এডিটিং। এই প্রতিটি কাজের চাহিদা এই সময়ে অনেক।
আপনি যেকোনো কাজ নিয়ে প্রজেক্টটি সম্পূর্ণ করে দিলে আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে যে টাকা দেবে, তা থেকে ফাইবার আবার ২০ শতাংশ কেটে রাখবে। আর এটা হচ্ছে Fiverr. com-এর পলিসি। এদিকে কাজ করার ক্ষেত্রে শুধু ফিক্সড রেটের কাজই আপনি পাবেন। এই ওয়েবসাইটে কাজ করার পরও একইভাবে আপনাকে পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতিতে ফাইবার থেকে আয় করা টাকা উত্তোলন করতে হবে।
৩. freelancer.com
freelancer.com হচ্ছে আরেকটি পুরোনো ও জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম, যা ফ্রিল্যান্সারদের কাছে জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস। প্রায় ১৬ মিলিয়ন ফ্রিল্যান্সার এখানে কাজ করেন।
এই সাইট এত বেশি জনপ্রিয় যে, অনেক বেশি ব্যবহারকারী এর সঙ্গে যুক্ত। এ কারণে freelancer.com-এ কাজের সুযোগ এবং প্রতিযোগিতা অন্য সব সাইট থেকে অনেক বেশি। আপনি এখান থেকে ঘণ্টাভিত্তিক ও ফিক্সড রেট—দুভাবেই কাজ পেতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং জগতে অভিজ্ঞতা বাড়লে এই সাইট থেকে কাজ করাটা আপনার জন্য সুবিধাজনক হবে। নতুনদের জন্য আমরা এই সাইট সাজেস্ট করছি না। কারণ, প্রথম দিকে নতুন প্রজেক্ট শেষ করার পর আপনাকে কিছু অতিরিক্ত ভাতা দিতে হয় এই সাইটে।
কিন্তু যেকোনো স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য উপার্জিত অর্থের ১০ থেকে ২০ শতাংশ টাকা কোম্পানি নিজেই নিয়ে নেয়। এ সাইট থেকে কাজ করে টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে আপনাকে পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতিই গ্রহণ করতে হবে।
৪. peopleperhour.com
পিপল পার আওয়ার হচ্ছে লন্ডন ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা একটি আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস। এই সাইট তার নাম দিয়েই বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, এখানে ঘণ্টাভিত্তিক রেটে কাজ পাওয়া যাবে। কিন্তু বর্তমানে আপনি ফিক্সড রেটের কাজও পেয়ে যাবেন এই জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে।
পিপল পার আওয়ার প্ল্যাটফর্মেও কাজের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। এখানে কাজ করলে প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য সর্বনিম্ন ২০ থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়। আবার সে আয় করা টাকা থেকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ সে সাইট নিজেদের কাছে রেখে দেয়। এই সাইটে কাজ করে টাকা উত্তোলন করতে আপনাকে একইভাবে পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।
৫. 99designs.com
ধরুন আপনি ডিজাইনিং খুব পছন্দ করেন এবং স্বাধীনভাবে ডিজাইন সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে টাকা আয় করতে চান। এ ক্ষেত্রে আপনার সামনে রয়েছে সকল ফ্রিল্যান্স ডিজাইন লাভারদের পছন্দের সাইট ৯৯ ডিজাইনস ওয়েবসাইট।
কীভাবে কাজ করা যায় ৯৯ ডিজাইনস ওয়েবসাইটে? এই প্ল্যাটফর্মে ডিজাইন কিনতে আগ্রহী ব্যক্তিরা তাদের পছন্দের ডিজাইনের বর্ণনা লিখে কনটেস্টের আয়োজন করে। যারা কাজ করতে চান, তাঁরা ক্লায়েন্টের প্রত্যাশা পূরণ করতে তাদের নির্দেশনা মেনে ডিজাইন সাবমিট করবে। জমা পড়া ডিজাইন থেকে যেটি ক্লায়েন্টের পছন্দ হবে, সেটি তারা গ্রহণ করবে। যে ডিজাইনার কাজ পেলেন, তিনিই পূর্বঘোষিত অর্থ পাবেন।
এই ওয়েবসাইটে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করে ভালো টাকা উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। সাধারণত প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য আপনি গড়ে ১৯৯ ডলার আয় করতে পারবেন। এই সাইট থেকে কাজ করে পেমেন্ট পেতে পেওনিয়ার ও পেপাল ফলো করুন।
৬. guru.com
আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় আরেকটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের নাম হলো Guru। এই সাইট ফিক্সড ও ঘণ্টাভিত্তিক রেটে কাজ করার সুযোগ দেয়। সাইটটিতে পোস্ট করা কাজগুলোর বাজেট সাধারণত ১০ থেকে ২০০ ডলারের মধ্যে হয়।
এই ওয়েবসাইটেও একইভাবে প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করার পর ক্লায়েন্ট প্রদত্ত টাকার ৪ দশমিক ৯৫ থেকে ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া হয়, যা অন্য ওয়েবসাইটের তুলনায় কম। তাই আপনি চাইলে এই সাইটে কাজ করতে পারেন খুব সহজেই। অন্য সাইটের মতো এখানেও প্রতিযোগিতা খুব বেশি। পেমেন্ট প্রসেস হচ্ছে পেপাল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার সিস্টেম।
৭. toptal.com
আপনি যদি আউটসোর্সিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান, তাহলে আপনাকে আমরা টপটাল প্ল্যাটফর্মটি ঘুরে দেখতে বলব। কেন আমরা এই ওয়েবসাইটটি সাজেস্ট করছি? কারণ, টপটাল ওয়েবসাইটে কাজ করে আপনি চাইলে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন, যেখানে রয়েছে নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
এই সাইটে কাজ করার নিয়মের সঙ্গে অফিসে বসে কাজ করার অনেকটা মিল আছে। এই সাইট থেকে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে হয়তো অনলাইনে আপনার সাক্ষাৎকারও নেওয়া হতে পারে। এই কাজগুলো সম্পন্নের পর আপনি এই সাইট থেকে অনেক বড় বড় প্রজেক্ট আপনার হাতে পেতে পারেন এবং ভালো টাকা উপার্জন করতে পারেন।
তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে, এই ওয়েবসাইট আইটি বিষয়ে দক্ষ এবং প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে যাদের আলাদা স্বপ্ন আছে, তাদের জন্যই বিশেষভাবে তৈরি। তাই আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি হয় ইঞ্জিনিয়ারিং, তাহলে সেটা অবশ্যই আপনার জন্য একটি প্লাস পয়েন্ট।
৮. weworkremotely
এই প্ল্যাটফর্মে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে আগ্রহীদের জন্য রয়েছে প্রচুর সুযোগ-সুবিধা। উই ওয়ার্ক রিমোটলি সাইট থেকে প্রোগ্রামিং, ডিজাইন, কপিরাইটিং, মার্কেটিং, সেলসসহ নানা ধরনের কাজের অফার পাওয়া যায়।
এই সাইটে কাজ করার জন্য আপনি চাইলে নিউজলেটারেও আবেদন করতে পারবেন। যে সেক্টরে আপনি পারদর্শী, ঠিক সে সেক্টরটি নির্বাচন করে কাজের সন্ধান করুন। এই সাইটে আপনি ফুল-টাইম ও যেকোনো চুক্তির আওতায় কাজ করতে পারবেন। সুযোগ রয়েছে চুক্তিতে থাকা শর্তগুলো দেখে নেওয়ারও।
উই ওয়ার্ক রিমোটলি ওয়েবসাইটটি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নতুন কাজের আপডেট দেয়। তাই আপনি কিছু সময় পরপর এ ওয়েবসাইট চেক করুন নতুন কাজের সন্ধানে।
৯. dribbble
এখন আরেকটি বিশাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস নিয়ে আলোচনা করছি, যার নাম Dribbble। মূলত Dribbble একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি একই সঙ্গে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসও। এখানে কী কী কাজ করা যায়? এই সাইটে সারা বিশ্বের ডিজাইনার ও ক্রিয়েটিভরা তাঁদের সেরা কাজগুলো শেয়ার করেন।
বর্তমানে Dribbble তাদের প্ল্যাটফর্মে একটি চাকরির বোর্ড যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপনি ডিজাইনিং নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হলে এই সাইটে ঢুঁ মারতে বলব আপনাকে। এই সাইটে আপনি গ্রাফিকস, ইলাস্ট্রেটর, মোবাইল ও ওয়েব ডিজাইনার, অ্যানিমেটর ও ব্র্যান্ড ডিজাইনারের মতো কাজগুলোর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এ ছাড়া চাইলে এখানে ফুল-টাইম চাকরিও করতে পারেন। নিজের প্রোফাইলে সেরা কাজগুলো ভালো কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে আপলোড করুন। এতে আপনার সেরা কাজগুলো সবার কাছে পৌঁছে যাবে সহজেই। অন্যরা তখন চাইলে আপনাকে হায়ার করবে তাদের নিজেদের কাজ করে দেওয়ার জন্য। এভাবে আপনি টাকা উপার্জনের সুযোগ পাবেন।
১০. simplyhired.com
SimplyHired হচ্ছে স্বাধীনভাবে কাজ করার আরেকটি অসাধারণ আউটসোর্সিং প্ল্যাটফর্ম। এই সাইট ভিজিট করলে আপনি প্রযুক্তি থেকে শুরু করে ঘর-বাড়ি তৈরির কাজ পর্যন্ত পেতে পারেন। এই ওয়েবসাইটের কাজ শুধু অনলাইনভিত্তিক নয়। বরং আপনার জন্য এই সাইট থেকে অফলাইনেও কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।
SimplyHired.Com-এ প্রায় ২৪টি দেশের মানুষ কাজের অফার দিচ্ছে এবং কাজ খুঁজছে। তাই ধীরে ধীরে এই সাইটটিও ভালো জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। তাদের আরেকটি ভালো দিক হচ্ছে, তারা সব সময় মানসম্মত অথোরিটি মেনটেইন করার চেষ্টা করে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সাইটে কাজের অফার দেওয়া-নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তির সাফল্য-ব্যর্থতার গল্প, ক্যারিয়ার বিষয়ক পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন আর্টিকেলও থাকে, যা বিশেষত নতুনদের জন্য বেশ সহায়ক।
১১. clearvoice
আপনার যদি ক্রিয়েটিভিটি থেকে থাকে তাহলে ClearVoice সাইটটি আপনার জন্য। ক্রিয়েটিভ কাজ করার ক্ষেত্রে এই সাইট সেরা বলা যায়। এই সাইট থেকে আপনি কনটেন্ট ক্রিয়েটর যেমন: আর্টিকেল রাইটার, ভয়েস ওভার, শর্ট ভিডিও ইত্যাদি কাজের প্রজেক্ট পেয়ে যাবেন। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে এই সাইট আপনাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
এই সাইটে কাজ করার জন্য তারা আপনাকে একটি বিনা মূল্যের সিভি পোর্টফোলিও দেবে, যার মাধ্যমে আপনি আগের কাজের ওপর ভিত্তি করে নতুন কোনো কাজ পেতে পারেন। এ ছাড়া আপনি চাইলে আপনার নিজস্ব পোর্টফোলিও কাস্টমাইজ করতে পারেন, চাইলে এতে প্রফেশনাল লুকও দিতে পারবেন।
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
এবার আসুন বাংলাদেশি কিছু ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট নিয়ে কথা বলি। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং পেশার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আর ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন সব কার্যক্ষেত্র, যেখানে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
যদিও বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো এখনো খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি। তবে এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আসুন দেখে নিই বাংলাদেশি কিছু সাইটের তথ্য, যেখানে কাজ করে আপনি চাইলে টাকা আয় করতে পারবেন।
১২. স্বাধীন কাজ
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর মধ্যে স্বাধীন কাজ ডটকম একটি পরিচিত প্ল্যাটফর্ম। এই সাইট মূলত তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের টার্গেট করে। এখানে কেমন কাজ পাবেন? আপনি এই সাইটটিতে প্রজেক্টভিত্তিক লোকাল, অর্থাৎ দেশীয় কাজ পাবেন।
যদি আপনি বাংলাদেশি সাইটে কাজ করতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং কাজ শুরু করতে হবে। কাজ সম্পূর্ণ করে টাকা ওঠানোর ক্ষেত্রে আপনাকে বিকাশ ইউজার হতে হবে।
১৩. বিল্যান্সার
এবার আমরা পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি বাংলাদেশের প্রথম বাংলা ফ্রিল্যান্সিং সাইট বিল্যান্সারের সঙ্গে। এই সাইটের বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সার ও ক্লায়েন্ট বাংলাদেশি মানুষ।
এই মার্কেটপ্লেস বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে জায়গা করে নিতে যথেষ্ট কাজ করে যাচ্ছে। আপনি আগ্রহী ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকলে আজই এখানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে পারেন। এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে আপনাকে পেপাল, বিকাশ ও মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে হবে।
আমাদের দেওয়া ওয়েবসাইটগুলো থেকে আপনি কাজ করতে চাইলে সঠিকভাবে প্রতিটি ওয়েবসাইটের নিয়ম মেনে কাজ করুন। হ্যাপি ফ্রিল্যান্সিং।

গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট।
১৭ ঘণ্টা আগে
বৈদেশিক ঋণে নেওয়া প্রকল্পের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো অর্ধেক বাকি। এ অবস্থায় আবারও ঋণ করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আড়াই বছর। এতে খরচ বাড়ছে আরও ৫০ শতাংশ। প্রকল্পটির নাম ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’।
১৯ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজ
২ দিন আগে
বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন। মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত...
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে।
গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট। এর মাধ্যমে ৭০টিরও বেশি ভাষায় নির্বিঘ্নে অডিও অনুবাদ পাওয়া যাবে।
গুগল জানিয়েছে, তারা তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) টুল জেমিনি ব্যবহার করে বাগধারা, প্রবাদ–প্রবচন, স্থানীয় অভিব্যক্তি বা স্ল্যাংয়ের মতো সূক্ষ্ম অর্থবোধক বাক্যাংশের অনুবাদ আরও উন্নত করার চেষ্টা করেছে।
এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, ‘আমরা টেক্সট অনুবাদের জন্য গুগল ট্রান্সলেটে জেমিনির সবচেয়ে শক্তিশালী অনুবাদ সক্ষমতা যুক্ত করছি। হেডফোনের মাধ্যমে লাইভ স্পিচ–টু–স্পিচ অনুবাদের একটি বেটা অভিজ্ঞতা চালু করছি এবং অনুশীলন ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অ্যাপে নতুন ভাষা যুক্ত করছি।’
এর আগে এই সুবিধা শুধু পিক্সেল বাডসের জন্য সীমিত ছিল। তবে নতুন বেটা সংস্করণের মাধ্যমে যেকোনো হেডফোনকেই একমুখী রিয়েল–টাইম অনুবাদ ডিভাইসে রূপান্তর করা যাবে।
গুগল জানিয়েছে, দৈনন্দিন যোগাযোগের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই ফিচারটি কার্যকর একটি টুল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কথোপকথনের সময় ভাষাগত দূরত্ব ঘোচানো, ভ্রমণের সময় পাবলিক এনাউন্সমেন্ট বোঝা কিংবা বিদেশি ভাষার টেলিভিশন অনুষ্ঠান বা অনলাইন কনটেন্ট অনুসরণের ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে।
গুগলের সার্চ ভার্টিক্যালস বিভাগের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজ ইয়াও বলেন, ‘আপনি যদি ভিন্ন কোনো ভাষায় কথা বলতে চান, বিদেশে অবস্থানকালে কোনো ভাষণ বা বক্তৃতা শুনতে চান, কিংবা অন্য ভাষার টিভি অনুষ্ঠান বা সিনেমা দেখতে চান, তাহলে এখন শুধু হেডফোন লাগিয়ে ট্রান্সলেট অ্যাপ খুলে লাইভ ট্রান্সলেট-এ ট্যাপ করলেই আপনার পছন্দের ভাষায় রিয়েল–টাইম অনুবাদ শুনতে পারবেন।’
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও ভারতে চালু হচ্ছে এই বেটা সংস্করণটি। কোম্পানি জানিয়েছে, ২০২৬ সালে আইওএস এবং আরও বেশি দেশে এই সুবিধা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি, কথা বলার অনুশীলনের ভিত্তিতে ব্যবহারকারীদের সহায়ক পরামর্শ দিতে উন্নত ফিডব্যাক ব্যবস্থাও যুক্ত করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন শেখার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে স্ট্রিক ট্র্যাকিং ফিচারও চালু করছে গুগল।

গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে।
গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট। এর মাধ্যমে ৭০টিরও বেশি ভাষায় নির্বিঘ্নে অডিও অনুবাদ পাওয়া যাবে।
গুগল জানিয়েছে, তারা তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) টুল জেমিনি ব্যবহার করে বাগধারা, প্রবাদ–প্রবচন, স্থানীয় অভিব্যক্তি বা স্ল্যাংয়ের মতো সূক্ষ্ম অর্থবোধক বাক্যাংশের অনুবাদ আরও উন্নত করার চেষ্টা করেছে।
এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, ‘আমরা টেক্সট অনুবাদের জন্য গুগল ট্রান্সলেটে জেমিনির সবচেয়ে শক্তিশালী অনুবাদ সক্ষমতা যুক্ত করছি। হেডফোনের মাধ্যমে লাইভ স্পিচ–টু–স্পিচ অনুবাদের একটি বেটা অভিজ্ঞতা চালু করছি এবং অনুশীলন ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অ্যাপে নতুন ভাষা যুক্ত করছি।’
এর আগে এই সুবিধা শুধু পিক্সেল বাডসের জন্য সীমিত ছিল। তবে নতুন বেটা সংস্করণের মাধ্যমে যেকোনো হেডফোনকেই একমুখী রিয়েল–টাইম অনুবাদ ডিভাইসে রূপান্তর করা যাবে।
গুগল জানিয়েছে, দৈনন্দিন যোগাযোগের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই ফিচারটি কার্যকর একটি টুল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কথোপকথনের সময় ভাষাগত দূরত্ব ঘোচানো, ভ্রমণের সময় পাবলিক এনাউন্সমেন্ট বোঝা কিংবা বিদেশি ভাষার টেলিভিশন অনুষ্ঠান বা অনলাইন কনটেন্ট অনুসরণের ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে।
গুগলের সার্চ ভার্টিক্যালস বিভাগের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজ ইয়াও বলেন, ‘আপনি যদি ভিন্ন কোনো ভাষায় কথা বলতে চান, বিদেশে অবস্থানকালে কোনো ভাষণ বা বক্তৃতা শুনতে চান, কিংবা অন্য ভাষার টিভি অনুষ্ঠান বা সিনেমা দেখতে চান, তাহলে এখন শুধু হেডফোন লাগিয়ে ট্রান্সলেট অ্যাপ খুলে লাইভ ট্রান্সলেট-এ ট্যাপ করলেই আপনার পছন্দের ভাষায় রিয়েল–টাইম অনুবাদ শুনতে পারবেন।’
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও ভারতে চালু হচ্ছে এই বেটা সংস্করণটি। কোম্পানি জানিয়েছে, ২০২৬ সালে আইওএস এবং আরও বেশি দেশে এই সুবিধা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি, কথা বলার অনুশীলনের ভিত্তিতে ব্যবহারকারীদের সহায়ক পরামর্শ দিতে উন্নত ফিডব্যাক ব্যবস্থাও যুক্ত করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন শেখার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে স্ট্রিক ট্র্যাকিং ফিচারও চালু করছে গুগল।

আজ আমরা যেসব ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করব, তার প্রতিটি আন্তর্জাতিক মানের প্ল্যাটফর্ম। এসব ওয়েবসাইটে লাখ লাখ মানুষ কাজ করছে। তাই এ ওয়েবসাইটগুলোর ওপর আপনি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন।
২০ এপ্রিল ২০২২
বৈদেশিক ঋণে নেওয়া প্রকল্পের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো অর্ধেক বাকি। এ অবস্থায় আবারও ঋণ করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আড়াই বছর। এতে খরচ বাড়ছে আরও ৫০ শতাংশ। প্রকল্পটির নাম ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’।
১৯ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজ
২ দিন আগে
বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন। মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত...
৩ দিন আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

বৈদেশিক ঋণে নেওয়া প্রকল্পের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো অর্ধেক বাকি। এ অবস্থায় আবারও ঋণ করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আড়াই বছর। এতে খরচ বাড়ছে আরও ৫০ শতাংশ। প্রকল্পটির নাম ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বাংলাদেশে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন এবং উদ্ভাবনী সংস্কৃতি তৈরির মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে ২০২১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। ৩৫৩ কোটি ৬ লাখ টাকার এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে সরকারের অর্থায়ন ছিল ৯৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। আর বিশ্বব্যাংকের ঋণের পরিমাণ ছিল ২৫৫ কোটি টাকা।
চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নেওয়া প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ। আর্থিক ব্যয় হয়েছে ১২১ কোটি ৫০ লাখ ৩৬ হাজার টাকা বা ৩৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।
নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ২ বছর ৬ মাস বৃদ্ধি করে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সর্বশেষ একনেক সভায় সময়ের সঙ্গে বৈদেশিক ঋণের মাধ্যমে আরও ১৭৮ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়েছে। অর্থাৎ ৩৫৩ কোটি টাকার প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৫৩১ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ ৪৩৩ কোটি ১২ লাখ টাকা বা ৮১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, দেশি ও বিদেশি ঋণের পরিমাণ ইতিমধ্যে উচ্চমাত্রায় পৌঁছেছে। একদিকে ঋণ নিয়ে বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে, অন্যদিকে সেই প্রকল্পগুলোর মেয়াদ বাড়াতে আবার নতুন করে ঋণ নেওয়া হচ্ছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ ছাড়া বৈদেশিক ঋণে সরকারের প্রকল্প নেওয়া উচিত নয়। এসব প্রকল্প নেওয়ার আগে সরকারের আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত।
তবে প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক ‘হিসাবি’ নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে বলে দাবি সরকারের। এ বিষয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সরকার এই মুহূর্তে বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প নিচ্ছে না। তবে যেসব প্রকল্প চলমান, তা শেষ করার জন্য কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার কারওয়ান বাজারে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই অবকাঠামোসহ একটি নতুন সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক (এসটিপি-২) নির্মাণ করা হবে। একই সঙ্গে বিদ্যমান সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক-১ (এসটিপি-১) সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হবে। নতুন পার্কটি লিড গোল্ড সার্টিফায়েড ভবন হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভাবন হাব বাড়ছে
প্রকল্পের মূল ডিপিপিতে যেখানে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব স্থাপনের কথা ছিল, সংশোধিত প্রস্তাবে তা বাড়িয়ে ২৪টি করা হয়েছে। এসব হাবে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য থ্রিডি প্রিন্টার, সিএনসি মেশিন, আর্ডিনো কিট, রোবোটিক্স ও ড্রোন-সংক্রান্ত সরঞ্জামসহ আধুনিক ল্যাব স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি স্টার্টআপ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ১৪টি বিশেষায়িত কমন ল্যাব স্থাপন করা হবে।
কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগে প্রভাব
প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কেই প্রায় ৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্টার্টআপ ও স্কেলআপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির গতি বাড়বে।
সময়-ব্যয় বাড়ানোর যুক্তি
প্রকল্প সংশোধনের পেছনে বেশ কয়েকটি যৌক্তিক কারণ তুলে ধরেছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, ডিপিপি অনুমোদন ও বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি কার্যকরে বিলম্ব, জমি বরাদ্দ ও মামলা জটিলতা, পিডব্লিউডির নতুন রেট শিডিউল অনুযায়ী ব্যয় সমন্বয়, লিড সার্টিফিকেশন-সংক্রান্ত প্রস্তুতিতে সময় লাগা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ইনোভেশন হাব ও স্টার্টআপ কর্মসূচি বিস্তৃত করা।
ডিপিপি প্রণয়নের সময় ডলারের মূল্য যেখানে ৮৫ টাকা ছিল, বর্তমানে তা ১২১ টাকার বেশি। ফলে ডলারের বিনিময় হার বাড়ায় প্রকল্প ব্যয় পুনর্গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার আলোকে মত দেয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জাতীয় উদ্ভাবন সংস্কৃতি শক্তিশালী হবে, আইটি ও আইটিইএস খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি হবে এবং দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। তাই একনেক সভায় মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়।
প্রকল্প পরিচালক আবুল ফাতাহ মো. বালিগুর রহমান বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় নতুন করে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। সময়ও বাড়ানো হয়েছে, আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারব।’ প্রকল্পের মেয়াদ ও সময় বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

বৈদেশিক ঋণে নেওয়া প্রকল্পের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো অর্ধেক বাকি। এ অবস্থায় আবারও ঋণ করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আড়াই বছর। এতে খরচ বাড়ছে আরও ৫০ শতাংশ। প্রকল্পটির নাম ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বাংলাদেশে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন এবং উদ্ভাবনী সংস্কৃতি তৈরির মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে ২০২১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। ৩৫৩ কোটি ৬ লাখ টাকার এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে সরকারের অর্থায়ন ছিল ৯৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। আর বিশ্বব্যাংকের ঋণের পরিমাণ ছিল ২৫৫ কোটি টাকা।
চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নেওয়া প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ। আর্থিক ব্যয় হয়েছে ১২১ কোটি ৫০ লাখ ৩৬ হাজার টাকা বা ৩৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।
নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ২ বছর ৬ মাস বৃদ্ধি করে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সর্বশেষ একনেক সভায় সময়ের সঙ্গে বৈদেশিক ঋণের মাধ্যমে আরও ১৭৮ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়েছে। অর্থাৎ ৩৫৩ কোটি টাকার প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৫৩১ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ ৪৩৩ কোটি ১২ লাখ টাকা বা ৮১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, দেশি ও বিদেশি ঋণের পরিমাণ ইতিমধ্যে উচ্চমাত্রায় পৌঁছেছে। একদিকে ঋণ নিয়ে বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে, অন্যদিকে সেই প্রকল্পগুলোর মেয়াদ বাড়াতে আবার নতুন করে ঋণ নেওয়া হচ্ছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ ছাড়া বৈদেশিক ঋণে সরকারের প্রকল্প নেওয়া উচিত নয়। এসব প্রকল্প নেওয়ার আগে সরকারের আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত।
তবে প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক ‘হিসাবি’ নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে বলে দাবি সরকারের। এ বিষয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সরকার এই মুহূর্তে বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প নিচ্ছে না। তবে যেসব প্রকল্প চলমান, তা শেষ করার জন্য কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার কারওয়ান বাজারে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই অবকাঠামোসহ একটি নতুন সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক (এসটিপি-২) নির্মাণ করা হবে। একই সঙ্গে বিদ্যমান সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক-১ (এসটিপি-১) সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হবে। নতুন পার্কটি লিড গোল্ড সার্টিফায়েড ভবন হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভাবন হাব বাড়ছে
প্রকল্পের মূল ডিপিপিতে যেখানে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব স্থাপনের কথা ছিল, সংশোধিত প্রস্তাবে তা বাড়িয়ে ২৪টি করা হয়েছে। এসব হাবে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য থ্রিডি প্রিন্টার, সিএনসি মেশিন, আর্ডিনো কিট, রোবোটিক্স ও ড্রোন-সংক্রান্ত সরঞ্জামসহ আধুনিক ল্যাব স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি স্টার্টআপ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ১৪টি বিশেষায়িত কমন ল্যাব স্থাপন করা হবে।
কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগে প্রভাব
প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কেই প্রায় ৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্টার্টআপ ও স্কেলআপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির গতি বাড়বে।
সময়-ব্যয় বাড়ানোর যুক্তি
প্রকল্প সংশোধনের পেছনে বেশ কয়েকটি যৌক্তিক কারণ তুলে ধরেছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, ডিপিপি অনুমোদন ও বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি কার্যকরে বিলম্ব, জমি বরাদ্দ ও মামলা জটিলতা, পিডব্লিউডির নতুন রেট শিডিউল অনুযায়ী ব্যয় সমন্বয়, লিড সার্টিফিকেশন-সংক্রান্ত প্রস্তুতিতে সময় লাগা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ইনোভেশন হাব ও স্টার্টআপ কর্মসূচি বিস্তৃত করা।
ডিপিপি প্রণয়নের সময় ডলারের মূল্য যেখানে ৮৫ টাকা ছিল, বর্তমানে তা ১২১ টাকার বেশি। ফলে ডলারের বিনিময় হার বাড়ায় প্রকল্প ব্যয় পুনর্গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার আলোকে মত দেয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জাতীয় উদ্ভাবন সংস্কৃতি শক্তিশালী হবে, আইটি ও আইটিইএস খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি হবে এবং দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। তাই একনেক সভায় মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়।
প্রকল্প পরিচালক আবুল ফাতাহ মো. বালিগুর রহমান বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় নতুন করে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। সময়ও বাড়ানো হয়েছে, আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারব।’ প্রকল্পের মেয়াদ ও সময় বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

আজ আমরা যেসব ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করব, তার প্রতিটি আন্তর্জাতিক মানের প্ল্যাটফর্ম। এসব ওয়েবসাইটে লাখ লাখ মানুষ কাজ করছে। তাই এ ওয়েবসাইটগুলোর ওপর আপনি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন।
২০ এপ্রিল ২০২২
গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট।
১৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজ
২ দিন আগে
বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন। মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত...
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজে প্ররোচিত করেছে।
সান ফ্রান্সিসকোতে ক্যালিফোর্নিয়া সুপিরিয়র কোর্টে ‘বেআইনি মৃত্যু’র অভিযোগে বলা হয়, গত ৩ আগস্ট ওল্ড গ্রিনউইচের নিজ বাড়িতে খুন হন সুজান অ্যাডামস। তাঁকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাঁর ৫৬ বছর বয়সী ছেলে স্টেইন-এরিক সোলবার্গ। এরপর সোলবার্গ নিজেও ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যা করেন।
গত কয়েক মাসে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা বেড়েছে। বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের আত্মহত্যায় প্ররোচিত করছে চ্যাটজিপিটি।
গত আগস্টে ছেলেকে চ্যাটজিপিটি আত্মহত্যার কৌশল সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছিল অভিযোগ এনে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ১৬ বছর বয়সী অ্যাডাম রেইনের মা-বাবা।
নভেম্বরে হওয়া কয়েকটি মার্কিন মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের ওপর নির্ভরশীলতা তৈরি করেছে এবং নিজের ক্ষতি করতে প্ররোচিত করেছে। এসবের মধ্যে চারটি মামলায়ই আত্মহত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ২৬ বছর বয়সী জোশুয়া এন্নেকিংয়ের পরিবার অভিযোগ করেন, তাঁদের সন্তান চ্যাটজিপিটির কাছে আত্মহত্যার চিন্তা প্রকাশের পর এআই চ্যাটবটটি তাঁকে অস্ত্র পাওয়ার তথ্য সরবরাহ করেছে।
অন্যদিকে ১৭ বছর বয়সী অ্যামরি লেসির পরিবারের অভিযোগ, চ্যাটজিপিটি অ্যামরিকে ‘কীভাবে ফাঁস বাঁধতে হয় এবং শ্বাস না নিয়ে সে কতক্ষণ বাঁচবে’ এ-সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে।
সর্বশেষ মামলায় বলা হয়েছে, মাসখানেক ধরে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথোপকথনে সোলবার্গের বিভ্রান্তিমূলক চিন্তাভাবনাকে সত্য ও জোরালো হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের মাকে ‘হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, সোলবার্গকে চ্যাটজিপিটি উত্তর দিয়েছিল যে তিনি এআই চ্যাটবটকে আরও সচেতন করেছেন, ‘জাগিয়ে তুলেছেন’। সোলবার্গের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, কথোপকথনে দেখা গেছে স্টেইন-এরিকের বিভ্রান্তিমূলক বিশ্বাসের প্রতিটির পক্ষে কথা বলে এমন একটা জগৎ তৈরি করেছিল চ্যাটজিপিটি, যাকে ঘিরেই ছিল স্টেইন-এরিকের সব চিন্তাভাবনা।
মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি সোলবার্গের প্যারানয়েড বিশ্বাসকে আরও জোরদার করেছিল। তাঁকে ধারণা দিয়েছিল যে কেউ তাঁর ওপর নজর রাখছে। এমনকি তিনি তাঁর মায়ের প্রিন্টার ডিভাইসটিকে নজরদারি যন্ত্র ভাবতে শুরু করেছিলেন।
যখন সোলবার্গ চ্যাটজিপিটিকে বলেন যে তাঁর মনে হচ্ছে তাঁর মা তাঁকে বিষ খাওয়াতে চেয়েছিলেন, চ্যাটজিপিটি তাঁর এই ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করার বদলে তার পক্ষে সায় দিয়ে উত্তর দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলার প্রতিক্রিয়ায় ওপেনএআইয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘এটি বেশ হৃদয়বিদারক অবস্থা। আমরা মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখছি, বিস্তারিত বোঝার চেষ্টা করছি।’
মামলায় ওপেনএআইযের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানকে অভিযুক্ত করে বলা হয়েছে, তিনি নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যদের আপত্তি উপেক্ষা করে গত বছরের মে মাসে জিপিটি-৪ও বাজারে আনতে তাড়া দিয়েছিলেন। কয়েক মাস ধরে যে নিরাপত্তা পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল সেটি তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে দেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এটি আগের মডেলগুলোর তুলনায় শক্তিশালী এবং এর প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি মানুষের মতো। তবে জিপিটি-৪ও মডেল ব্যবহারকারীদের সঙ্গে ‘অতিরিক্ত তোষামোদ করার’ কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
ওপেনএআইয়ের সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার মাইক্রোসফটকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা প্রটোকল সংক্ষেপিত হওয়ার পরও তারা এই পণ্যের অনুমোদন দিয়েছেন।
এ ছাড়া ওপেনএআইযের ২০ কর্মকর্তা এবং বিনিয়োগকারীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অনির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ এবং ওপেনএআইকে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
মন্তব্যের অনুরোধে যোগাযোগ করা হলে মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া মেলেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজে প্ররোচিত করেছে।
সান ফ্রান্সিসকোতে ক্যালিফোর্নিয়া সুপিরিয়র কোর্টে ‘বেআইনি মৃত্যু’র অভিযোগে বলা হয়, গত ৩ আগস্ট ওল্ড গ্রিনউইচের নিজ বাড়িতে খুন হন সুজান অ্যাডামস। তাঁকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাঁর ৫৬ বছর বয়সী ছেলে স্টেইন-এরিক সোলবার্গ। এরপর সোলবার্গ নিজেও ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যা করেন।
গত কয়েক মাসে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা বেড়েছে। বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের আত্মহত্যায় প্ররোচিত করছে চ্যাটজিপিটি।
গত আগস্টে ছেলেকে চ্যাটজিপিটি আত্মহত্যার কৌশল সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছিল অভিযোগ এনে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ১৬ বছর বয়সী অ্যাডাম রেইনের মা-বাবা।
নভেম্বরে হওয়া কয়েকটি মার্কিন মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের ওপর নির্ভরশীলতা তৈরি করেছে এবং নিজের ক্ষতি করতে প্ররোচিত করেছে। এসবের মধ্যে চারটি মামলায়ই আত্মহত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ২৬ বছর বয়সী জোশুয়া এন্নেকিংয়ের পরিবার অভিযোগ করেন, তাঁদের সন্তান চ্যাটজিপিটির কাছে আত্মহত্যার চিন্তা প্রকাশের পর এআই চ্যাটবটটি তাঁকে অস্ত্র পাওয়ার তথ্য সরবরাহ করেছে।
অন্যদিকে ১৭ বছর বয়সী অ্যামরি লেসির পরিবারের অভিযোগ, চ্যাটজিপিটি অ্যামরিকে ‘কীভাবে ফাঁস বাঁধতে হয় এবং শ্বাস না নিয়ে সে কতক্ষণ বাঁচবে’ এ-সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে।
সর্বশেষ মামলায় বলা হয়েছে, মাসখানেক ধরে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথোপকথনে সোলবার্গের বিভ্রান্তিমূলক চিন্তাভাবনাকে সত্য ও জোরালো হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের মাকে ‘হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, সোলবার্গকে চ্যাটজিপিটি উত্তর দিয়েছিল যে তিনি এআই চ্যাটবটকে আরও সচেতন করেছেন, ‘জাগিয়ে তুলেছেন’। সোলবার্গের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, কথোপকথনে দেখা গেছে স্টেইন-এরিকের বিভ্রান্তিমূলক বিশ্বাসের প্রতিটির পক্ষে কথা বলে এমন একটা জগৎ তৈরি করেছিল চ্যাটজিপিটি, যাকে ঘিরেই ছিল স্টেইন-এরিকের সব চিন্তাভাবনা।
মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি সোলবার্গের প্যারানয়েড বিশ্বাসকে আরও জোরদার করেছিল। তাঁকে ধারণা দিয়েছিল যে কেউ তাঁর ওপর নজর রাখছে। এমনকি তিনি তাঁর মায়ের প্রিন্টার ডিভাইসটিকে নজরদারি যন্ত্র ভাবতে শুরু করেছিলেন।
যখন সোলবার্গ চ্যাটজিপিটিকে বলেন যে তাঁর মনে হচ্ছে তাঁর মা তাঁকে বিষ খাওয়াতে চেয়েছিলেন, চ্যাটজিপিটি তাঁর এই ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করার বদলে তার পক্ষে সায় দিয়ে উত্তর দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলার প্রতিক্রিয়ায় ওপেনএআইয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘এটি বেশ হৃদয়বিদারক অবস্থা। আমরা মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখছি, বিস্তারিত বোঝার চেষ্টা করছি।’
মামলায় ওপেনএআইযের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানকে অভিযুক্ত করে বলা হয়েছে, তিনি নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যদের আপত্তি উপেক্ষা করে গত বছরের মে মাসে জিপিটি-৪ও বাজারে আনতে তাড়া দিয়েছিলেন। কয়েক মাস ধরে যে নিরাপত্তা পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল সেটি তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে দেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এটি আগের মডেলগুলোর তুলনায় শক্তিশালী এবং এর প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি মানুষের মতো। তবে জিপিটি-৪ও মডেল ব্যবহারকারীদের সঙ্গে ‘অতিরিক্ত তোষামোদ করার’ কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
ওপেনএআইয়ের সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার মাইক্রোসফটকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা প্রটোকল সংক্ষেপিত হওয়ার পরও তারা এই পণ্যের অনুমোদন দিয়েছেন।
এ ছাড়া ওপেনএআইযের ২০ কর্মকর্তা এবং বিনিয়োগকারীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অনির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ এবং ওপেনএআইকে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
মন্তব্যের অনুরোধে যোগাযোগ করা হলে মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া মেলেনি।

আজ আমরা যেসব ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করব, তার প্রতিটি আন্তর্জাতিক মানের প্ল্যাটফর্ম। এসব ওয়েবসাইটে লাখ লাখ মানুষ কাজ করছে। তাই এ ওয়েবসাইটগুলোর ওপর আপনি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন।
২০ এপ্রিল ২০২২
গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট।
১৭ ঘণ্টা আগে
বৈদেশিক ঋণে নেওয়া প্রকল্পের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো অর্ধেক বাকি। এ অবস্থায় আবারও ঋণ করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আড়াই বছর। এতে খরচ বাড়ছে আরও ৫০ শতাংশ। প্রকল্পটির নাম ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’।
১৯ ঘণ্টা আগে
বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন। মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত...
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।
মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত ভয়েসমেইলের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে সহায়তা করবে।
যাকে কল করা হয়েছে, সেই ব্যক্তি কল রিসিভ না করলে, ওই কলের মিসড কল নোটিফিকেশনের সঙ্গে একটি ভয়েস বা ভিডিও রেকর্ড করে দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে এই নতুন ফিচার। কলের ধরন অনুযায়ী কলদাতা ভয়েস বা ভিডিও এ দু ধরনের নোটই এক ট্যাপেই রেকর্ড করে পাঠাতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ তাঁদের ব্লগপোস্টে বলেছে, ‘এই নতুন ব্যবস্থা প্রচলিত ভয়েসমেইল ব্যবস্থাকে অতীত করে দেবে।’
ব্যবহারকারীরা এখন ভয়েস চ্যাটেও ‘cheers!’ -এর মতো নতুন রিঅ্যাকশন ব্যবহার করতে পারবেন, যা বাকিদের আলাপ থামাবে না। পাশাপাশি, ভিডিও কলে এখন বক্তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অগ্রাধিকার পাবে।
এদিকে মেটা-এআই দিয়ে ছবি তৈরির সুবিধাতেও আরও নতুনত্ব এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থির ছবিকে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করার মতো অ্যানিমেশন সুবিধা এবং আরও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।
এখন এতে ফ্লাক্স (Flux) এবং মিডজার্নি (Midjourney)–এর নতুন ইমেজ জেনারেশন মডেলের সক্ষমতা যুক্ত হয়েছে। বছর শেষে বা ছুটির সময়ের শুভেচ্ছাবার্তার মতো ছবি তৈরি করার ক্ষেত্রে এই আপগ্রেডেশন বেশ সাহায্য করবে বলে দাবি হোয়াটসঅ্যাপের।
মেটা এআই–এর নতুন সক্ষমতার মধ্যে ছবি অ্যানিমেশনও যুক্ত হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, ব্যবহারকারীরা যেকোনো ছবি প্রম্পট এবং বার্তার ভিত্তিতে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করতে পারবেন। ডেস্কটপে, ডকুমেন্ট, লিঙ্ক ও মিডিয়া সহজে আলাদা করার জন্য নতুন মিডিয়া ট্যাবও যুক্ত হয়েছে। এছাড়া লিঙ্ক প্রিভিউ অপশনেও আপগ্রেডেশন এসেছে।
স্ট্যাটাসের জন্যও নতুন স্টিকার যুক্ত করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবহারকারীরা এতে গান, ইন্টারেক্টিভ স্টিকার এবং প্রশ্ন যোগ করতে পারবেন। সেখানে অন্যরা উত্তর দিতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে প্রশ্ন করার সুবিধাও যুক্ত হয়েছে। এই ফিচার চ্যানেলের অডিয়েন্সদের সঙ্গে চ্যানেলের পরিচালনাকারীদের সঙ্গে আরও উচ্চমাত্রার সংযোগ স্থাপন এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া গ্রহণের সুযোগ দেবে বলে জানিয়েছে মেটা–মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্ম।

বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।
মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত ভয়েসমেইলের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে সহায়তা করবে।
যাকে কল করা হয়েছে, সেই ব্যক্তি কল রিসিভ না করলে, ওই কলের মিসড কল নোটিফিকেশনের সঙ্গে একটি ভয়েস বা ভিডিও রেকর্ড করে দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে এই নতুন ফিচার। কলের ধরন অনুযায়ী কলদাতা ভয়েস বা ভিডিও এ দু ধরনের নোটই এক ট্যাপেই রেকর্ড করে পাঠাতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ তাঁদের ব্লগপোস্টে বলেছে, ‘এই নতুন ব্যবস্থা প্রচলিত ভয়েসমেইল ব্যবস্থাকে অতীত করে দেবে।’
ব্যবহারকারীরা এখন ভয়েস চ্যাটেও ‘cheers!’ -এর মতো নতুন রিঅ্যাকশন ব্যবহার করতে পারবেন, যা বাকিদের আলাপ থামাবে না। পাশাপাশি, ভিডিও কলে এখন বক্তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অগ্রাধিকার পাবে।
এদিকে মেটা-এআই দিয়ে ছবি তৈরির সুবিধাতেও আরও নতুনত্ব এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থির ছবিকে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করার মতো অ্যানিমেশন সুবিধা এবং আরও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।
এখন এতে ফ্লাক্স (Flux) এবং মিডজার্নি (Midjourney)–এর নতুন ইমেজ জেনারেশন মডেলের সক্ষমতা যুক্ত হয়েছে। বছর শেষে বা ছুটির সময়ের শুভেচ্ছাবার্তার মতো ছবি তৈরি করার ক্ষেত্রে এই আপগ্রেডেশন বেশ সাহায্য করবে বলে দাবি হোয়াটসঅ্যাপের।
মেটা এআই–এর নতুন সক্ষমতার মধ্যে ছবি অ্যানিমেশনও যুক্ত হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, ব্যবহারকারীরা যেকোনো ছবি প্রম্পট এবং বার্তার ভিত্তিতে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করতে পারবেন। ডেস্কটপে, ডকুমেন্ট, লিঙ্ক ও মিডিয়া সহজে আলাদা করার জন্য নতুন মিডিয়া ট্যাবও যুক্ত হয়েছে। এছাড়া লিঙ্ক প্রিভিউ অপশনেও আপগ্রেডেশন এসেছে।
স্ট্যাটাসের জন্যও নতুন স্টিকার যুক্ত করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবহারকারীরা এতে গান, ইন্টারেক্টিভ স্টিকার এবং প্রশ্ন যোগ করতে পারবেন। সেখানে অন্যরা উত্তর দিতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে প্রশ্ন করার সুবিধাও যুক্ত হয়েছে। এই ফিচার চ্যানেলের অডিয়েন্সদের সঙ্গে চ্যানেলের পরিচালনাকারীদের সঙ্গে আরও উচ্চমাত্রার সংযোগ স্থাপন এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া গ্রহণের সুযোগ দেবে বলে জানিয়েছে মেটা–মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্ম।

আজ আমরা যেসব ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করব, তার প্রতিটি আন্তর্জাতিক মানের প্ল্যাটফর্ম। এসব ওয়েবসাইটে লাখ লাখ মানুষ কাজ করছে। তাই এ ওয়েবসাইটগুলোর ওপর আপনি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন।
২০ এপ্রিল ২০২২
গুগল ট্রান্সলেটে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এনেছে গুগল। এই ফিচারে যুক্ত করা হয়েছে রিয়েল-টাইম ট্রান্সলেটর, যা সরাসরি হেডফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেটা সংস্করণে চালু হওয়া এই ফিচারটি ব্যবহার করতে শুধু একটি উপযোগী অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপই যথেষ্ট।
১৭ ঘণ্টা আগে
বৈদেশিক ঋণে নেওয়া প্রকল্পের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো অর্ধেক বাকি। এ অবস্থায় আবারও ঋণ করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আড়াই বছর। এতে খরচ বাড়ছে আরও ৫০ শতাংশ। প্রকল্পটির নাম ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’।
১৯ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজ
২ দিন আগে