
সাকিব-তামিমদের পরে যাঁরা বড় স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন দেশের ক্রিকেটকে আরেকটি ধাপে নিয়ে যাওয়ার; সৌম্য সরকার তাঁদের একজন। কিন্তু সৌম্যর ক্যারিয়ার হলো উত্থান-পতনে ভরা। কাল বিসিবির একাডেমি ভবনে ৩২ বছর বয়সী ব্যাটার নিজের ক্যারিয়ারটা যেমন ফিরে দেখলেন, পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের প্রগাঢ় ছায়ায় নিজেদের বড় করতে না পারার বিষয়টিও তুলে ধরলেন। সৌম্যর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস

প্রশ্ন: সম্প্রতি দুজন সিনিয়র ক্রিকেটার অবসর ঘোষণা করেছেন। সাকিব-তামিম-মুশফিকেরা যে ধারা তৈরি করেছিলেন, সেটি আরও এক ধাপ ওপরে নেওয়ার মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটার কিন্তু ১০-১২ বছরে যথেষ্ট এসেছেন দেশের ক্রিকেটে। বিশেষ করে লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাব্বির রহমান—আপনার মতো ক্রিকেটাররা তাঁদের ব্যাটন কতটা বহন করতে পেরেছেন?
সৌম্য সরকার: আমরা আসলে তাঁদের সঙ্গেই খেলে গেছি। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের ধারায় কী ঘটে? এক প্রজন্ম খেলে চলে গেছে, এরপর পরের প্রজন্ম এসে সেটা এগিয়ে নিয়েছে। আমাদের ক্ষেত্রে কিন্তু তা হয়নি। তাঁদের সঙ্গেই আমরা ১০-১২ বছর খেলে গেছি। আমাদের মধ্যে বিশেষ কিছু তৈরি হয়নি। তাঁরাই সব ছিলেন। ওনারা সিনিয়র, আমরা কখনো সিনিয়র হতে পারিনি। ওনারাই সিনিয়র থেকে গেছেন। যাঁদের নাম বললেন (তাসকিন, সৌম্য, মোস্তাফিজ...), দেখবেন কদিন পর এদেরই অবসর নেওয়ার সময় হয়ে গেছে। এদের কোনো প্রজন্মই তৈরি হবে না। ওনাদের (পাঁচ সিনিয়র) সঙ্গে আমরা যারা এত দিন খেলেছি, আমাদেরই ছাড়ার সময় হয়ে গেছে। এরা (সৌম্য-তাসকিন-মোস্তাফিজ...) অনেক আগে সিনিয়র হলেও সিনিয়র-তকমা কখনো পায়নি।
প্রশ্ন: তার মানে, তাঁদের ছায়া এতটা প্রগাঢ় ছিল যে ১০-১২ বছর খেলার পরও আপনারা আর সেই ছায়ার মধ্যে আর মহিরুহে রূপ নিতে পারেননি?
সৌম্য: হ্যাঁ, তা বলতে পারেন। যখন তাঁরা শুরু করেছিলেন (সাকিব-তামিমরা), তাঁদের সময়ে যাঁরা সিনিয়র ছিলেন, বেশি দিন জাতীয় দলে ছিলেন না। যেমন—হাবিবুল বাশার সুমন, রফিক ভাইদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যখন প্রায় শেষ, তখন এঁরা (সাকিব-তামিমরা) দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে নিয়েছেন, অনেকটা সিনিয়র হয়ে গেছেন। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। যেমন–সাকিব ভাই তিন বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পরই অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। মুশফিক ভাই পাঁচ বছরের মধ্যে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। তখন কী হয়েছে? তাঁরা সিনিয়রদের সামলেছেন, জুনিয়রদেরও সামলেছেন। আমাদের ক্ষেত্রে এ রকম সুযোগ খুব একটা আসেনি। আমরাও যদি তাঁদের মতো ক্যারিয়ারের প্রথম কয়েক বছরের মধ্যে অধিনায়কত্ব পেতাম, তাঁদের (সিনিয়রদের) পরিচালনা করার সুযোগ মিলত, তখন পরিণতবোধ বাড়ত। সবাইকে নিয়ে একটা দল কীভাবে চালাতে হয়, সেটা ভালোভাবে শেখা যেত।
প্রশ্ন: যদি আপনার ক্যারিয়ারের দিকে তাকাই, ২০১৫ সালে আপনার কাছে ছিল সোনার ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখার এক বছর। ২০১৫ সালের সৌম্য আর ২০২৫ সালের সৌম্যর মূল পার্থক্য কোথায়?
সৌম্য: যত বেশি খেলি, দিনে দিনে পরিণতবোধ বাড়ে। মানসিকতায় একটা বড় পরিবর্তন তো এসেছেই। আগের চেয়ে খেলাটা ভালো বুঝিও। ২০১৫ সালের পর যে কয় বছর বাংলাদেশ দলে খেলেছি, তখন যদি এখনকার মতো বুঝতাম, আমার অবস্থান আরও ভালো থাকত। ব্যাটিং পজিশন নিয়ে অনেক কিছু হলেও সেটা নিয়ে কোনো কথা নেই। তবে নিজের কাছে আফসোস হয়, আরও ধারাবাহিক থাকলে নিজের ক্যারিয়ারের জন্য আরও ভালো হতো।
প্রশ্ন: ৫০ ওভারের ক্রিকেটে কখনো কখনো সেঞ্চুরিকে ১৫০ রানে পরিণত করেছেন, ডাবল সেঞ্চুরির দিকে নিয়ে গেছেন। কিন্তু এ ধরনের ইনিংস দেখা যায় লম্বা বিরতিতে। কেন নিয়মিত হয় না?
সৌম্য: একটা সময় ছিল ৩০-৪০ রানে সেট হয়ে আউট হয়ে যেতাম। এখন এখানে একটু পরিবর্তন এসেছে। ক্রিকেটে ভাগ্যের ছোঁয়া লাগে। চেষ্টা করি আগের ভুল না করতে, সেট হয়ে গেলে ইনিংস বড় করতে। এখানে স্কিল, মনস্তাত্ত্বিক—দুটি বিষয়ই জড়িয়ে।
প্রশ্ন: আপনার ক্যারিয়ারে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিশেষ ভূমিকা আছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক থেকে শুরু করে জাতীয় দলে ফেরা—হাথুরুকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
সৌম্য: সব কোচ কিন্তু আপনার জন্য পারফেক্ট হবে না। কোচ হচ্ছে একটা বিশ্বাসের বিষয়। তাঁকে বিশ্বাস করে তাঁর কাছ থেকে কী নিতে পারছেন। বিশ্বাস করে তাঁর কাছ থেকে নিতে পারলে ভুল মনে হলেও আপনার মনে হবে ভালো কাজ করছেন। এখান থেকে একটা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। কোচ তো খেলবেন না। আপনাকে খেলতে হবে। কোচ আর খেলোয়াড়ের রসায়ন যখন ভালো হয়, তখন সাফল্যের হার বেড়ে যাবে। তিনি একটা পরিকল্পনা করেছেন, আপনি তাতে একমত হয়েছেন। দুজনের ভাবনা যখন এক বিন্দুতে মিলে যায়, তখন সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কোচ একটা পরিকল্পনা দিল, পছন্দ হলো না। কিন্তু তাঁর কথামতো করতে হচ্ছে, তখন সফল হতে পারবেন না। হাথুরুর সঙ্গে এই জায়গায় আমার বোঝাপড়া খুব ভালো ছিল। আমি যে ধরনের চিন্তাভাবনা করতাম, তিনিও একইভাবে ভাবতেন। এর চেয়ে বড় কথা, তিনি আমার খেলাটা ভালো বুঝতেন যে আমি কোন ধরনের খেলোয়াড়। আমাকে ভালো বোঝাতে পারতেন, আমিও দ্রুত সেটা বুঝতাম। তবে বলব না যে এই কোচ খারাপ, ওই কোচ খারাপ। তবে হ্যাঁ, পরিকল্পনার দিক দিয়ে কোচ হিসেবে তিনি আমার জন্য ভালো ছিল। তবে সবার ক্ষেত্রে একজন কোচ ভালো হবেন, তা তো নয়।
প্রশ্ন: এখনকার প্রেক্ষাপটে সোশ্যাল মিডিয়া প্রাত্যহিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে গেছে। যদি খারাপ খেলেন একজন খেলোয়াড় নানাভাবে ট্রল হয়। আপনিও অনেক সময় ট্রলের বিষয় হয়ে যান। বিশেষ করে রান না করতে পারলে যে ট্রল হয়, এটা পারিবারিক, সামাজিক ও মনোজগতে কতটা প্রভাব ফেলে?
সৌম্য: সবারই প্রভাব ফেলে। ধরুন, অফিসে আপনি একটা ফাইল ঠিকঠাক তৈরি করতে পারেননি। মানসিকভাবে আপনি একটু ডাউন থাকবেন। তখন যদি আপনার বস কিংবা আশপাশের কেউ নেতিবাচক কিছু বলে বা বকা দেয়, আপনার মেজাজ খারাপ হবে। এক-দুজনের কথা শুনেই আপনার মেজাজ খারাপ হচ্ছে, এরপর বাসায় স্ত্রীর মিষ্টি কথাও ভালো লাগবে না। আর আমাদের ক্ষেত্রে একজন মানুষকে হাজার-হাজার মানুষ ট্রল করছে, পরিবার নিয়ে কথা বলছে। খারাপ লাগাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখানে আমাদের কিছু বলার থাকে না। একটাই অপশন: চুপচাপ সহ্য করে যাওয়া। আর এড়িয়ে চলা। এক সময় নিউজ দেখতাম, এখন দেখি না। বন্ধুবৃত্তের কেউ ক্রিকেট নিয়ে নেগেটিভ কথা বললে তাদের সঙ্গে চলি না।
প্রশ্ন: বাসায় আপনার পরিবার বা স্ত্রীর সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে কতটা আলাপ হয়?
সৌম্য: এক শতাংশও নয়। আমার স্ত্রী ক্রিকেট খুব একটা বোঝে না। যখন তাকে বিয়ে করেছি, তখন আমাদের ক্রিকেটারদের মধ্যে শুধু সাকিব ভাইকেই সে চিনত, সেটিও টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনে দেখে।
প্রশ্ন: সম্প্রতি দুজন সিনিয়র ক্রিকেটার অবসর ঘোষণা করেছেন। সাকিব-তামিম-মুশফিকেরা যে ধারা তৈরি করেছিলেন, সেটি আরও এক ধাপ ওপরে নেওয়ার মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটার কিন্তু ১০-১২ বছরে যথেষ্ট এসেছেন দেশের ক্রিকেটে। বিশেষ করে লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাব্বির রহমান—আপনার মতো ক্রিকেটাররা তাঁদের ব্যাটন কতটা বহন করতে পেরেছেন?
সৌম্য সরকার: আমরা আসলে তাঁদের সঙ্গেই খেলে গেছি। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের ধারায় কী ঘটে? এক প্রজন্ম খেলে চলে গেছে, এরপর পরের প্রজন্ম এসে সেটা এগিয়ে নিয়েছে। আমাদের ক্ষেত্রে কিন্তু তা হয়নি। তাঁদের সঙ্গেই আমরা ১০-১২ বছর খেলে গেছি। আমাদের মধ্যে বিশেষ কিছু তৈরি হয়নি। তাঁরাই সব ছিলেন। ওনারা সিনিয়র, আমরা কখনো সিনিয়র হতে পারিনি। ওনারাই সিনিয়র থেকে গেছেন। যাঁদের নাম বললেন (তাসকিন, সৌম্য, মোস্তাফিজ...), দেখবেন কদিন পর এদেরই অবসর নেওয়ার সময় হয়ে গেছে। এদের কোনো প্রজন্মই তৈরি হবে না। ওনাদের (পাঁচ সিনিয়র) সঙ্গে আমরা যারা এত দিন খেলেছি, আমাদেরই ছাড়ার সময় হয়ে গেছে। এরা (সৌম্য-তাসকিন-মোস্তাফিজ...) অনেক আগে সিনিয়র হলেও সিনিয়র-তকমা কখনো পায়নি।
প্রশ্ন: তার মানে, তাঁদের ছায়া এতটা প্রগাঢ় ছিল যে ১০-১২ বছর খেলার পরও আপনারা আর সেই ছায়ার মধ্যে আর মহিরুহে রূপ নিতে পারেননি?
সৌম্য: হ্যাঁ, তা বলতে পারেন। যখন তাঁরা শুরু করেছিলেন (সাকিব-তামিমরা), তাঁদের সময়ে যাঁরা সিনিয়র ছিলেন, বেশি দিন জাতীয় দলে ছিলেন না। যেমন—হাবিবুল বাশার সুমন, রফিক ভাইদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যখন প্রায় শেষ, তখন এঁরা (সাকিব-তামিমরা) দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে নিয়েছেন, অনেকটা সিনিয়র হয়ে গেছেন। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। যেমন–সাকিব ভাই তিন বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পরই অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। মুশফিক ভাই পাঁচ বছরের মধ্যে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। তখন কী হয়েছে? তাঁরা সিনিয়রদের সামলেছেন, জুনিয়রদেরও সামলেছেন। আমাদের ক্ষেত্রে এ রকম সুযোগ খুব একটা আসেনি। আমরাও যদি তাঁদের মতো ক্যারিয়ারের প্রথম কয়েক বছরের মধ্যে অধিনায়কত্ব পেতাম, তাঁদের (সিনিয়রদের) পরিচালনা করার সুযোগ মিলত, তখন পরিণতবোধ বাড়ত। সবাইকে নিয়ে একটা দল কীভাবে চালাতে হয়, সেটা ভালোভাবে শেখা যেত।
প্রশ্ন: যদি আপনার ক্যারিয়ারের দিকে তাকাই, ২০১৫ সালে আপনার কাছে ছিল সোনার ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখার এক বছর। ২০১৫ সালের সৌম্য আর ২০২৫ সালের সৌম্যর মূল পার্থক্য কোথায়?
সৌম্য: যত বেশি খেলি, দিনে দিনে পরিণতবোধ বাড়ে। মানসিকতায় একটা বড় পরিবর্তন তো এসেছেই। আগের চেয়ে খেলাটা ভালো বুঝিও। ২০১৫ সালের পর যে কয় বছর বাংলাদেশ দলে খেলেছি, তখন যদি এখনকার মতো বুঝতাম, আমার অবস্থান আরও ভালো থাকত। ব্যাটিং পজিশন নিয়ে অনেক কিছু হলেও সেটা নিয়ে কোনো কথা নেই। তবে নিজের কাছে আফসোস হয়, আরও ধারাবাহিক থাকলে নিজের ক্যারিয়ারের জন্য আরও ভালো হতো।
প্রশ্ন: ৫০ ওভারের ক্রিকেটে কখনো কখনো সেঞ্চুরিকে ১৫০ রানে পরিণত করেছেন, ডাবল সেঞ্চুরির দিকে নিয়ে গেছেন। কিন্তু এ ধরনের ইনিংস দেখা যায় লম্বা বিরতিতে। কেন নিয়মিত হয় না?
সৌম্য: একটা সময় ছিল ৩০-৪০ রানে সেট হয়ে আউট হয়ে যেতাম। এখন এখানে একটু পরিবর্তন এসেছে। ক্রিকেটে ভাগ্যের ছোঁয়া লাগে। চেষ্টা করি আগের ভুল না করতে, সেট হয়ে গেলে ইনিংস বড় করতে। এখানে স্কিল, মনস্তাত্ত্বিক—দুটি বিষয়ই জড়িয়ে।
প্রশ্ন: আপনার ক্যারিয়ারে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিশেষ ভূমিকা আছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক থেকে শুরু করে জাতীয় দলে ফেরা—হাথুরুকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
সৌম্য: সব কোচ কিন্তু আপনার জন্য পারফেক্ট হবে না। কোচ হচ্ছে একটা বিশ্বাসের বিষয়। তাঁকে বিশ্বাস করে তাঁর কাছ থেকে কী নিতে পারছেন। বিশ্বাস করে তাঁর কাছ থেকে নিতে পারলে ভুল মনে হলেও আপনার মনে হবে ভালো কাজ করছেন। এখান থেকে একটা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। কোচ তো খেলবেন না। আপনাকে খেলতে হবে। কোচ আর খেলোয়াড়ের রসায়ন যখন ভালো হয়, তখন সাফল্যের হার বেড়ে যাবে। তিনি একটা পরিকল্পনা করেছেন, আপনি তাতে একমত হয়েছেন। দুজনের ভাবনা যখন এক বিন্দুতে মিলে যায়, তখন সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কোচ একটা পরিকল্পনা দিল, পছন্দ হলো না। কিন্তু তাঁর কথামতো করতে হচ্ছে, তখন সফল হতে পারবেন না। হাথুরুর সঙ্গে এই জায়গায় আমার বোঝাপড়া খুব ভালো ছিল। আমি যে ধরনের চিন্তাভাবনা করতাম, তিনিও একইভাবে ভাবতেন। এর চেয়ে বড় কথা, তিনি আমার খেলাটা ভালো বুঝতেন যে আমি কোন ধরনের খেলোয়াড়। আমাকে ভালো বোঝাতে পারতেন, আমিও দ্রুত সেটা বুঝতাম। তবে বলব না যে এই কোচ খারাপ, ওই কোচ খারাপ। তবে হ্যাঁ, পরিকল্পনার দিক দিয়ে কোচ হিসেবে তিনি আমার জন্য ভালো ছিল। তবে সবার ক্ষেত্রে একজন কোচ ভালো হবেন, তা তো নয়।
প্রশ্ন: এখনকার প্রেক্ষাপটে সোশ্যাল মিডিয়া প্রাত্যহিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে গেছে। যদি খারাপ খেলেন একজন খেলোয়াড় নানাভাবে ট্রল হয়। আপনিও অনেক সময় ট্রলের বিষয় হয়ে যান। বিশেষ করে রান না করতে পারলে যে ট্রল হয়, এটা পারিবারিক, সামাজিক ও মনোজগতে কতটা প্রভাব ফেলে?
সৌম্য: সবারই প্রভাব ফেলে। ধরুন, অফিসে আপনি একটা ফাইল ঠিকঠাক তৈরি করতে পারেননি। মানসিকভাবে আপনি একটু ডাউন থাকবেন। তখন যদি আপনার বস কিংবা আশপাশের কেউ নেতিবাচক কিছু বলে বা বকা দেয়, আপনার মেজাজ খারাপ হবে। এক-দুজনের কথা শুনেই আপনার মেজাজ খারাপ হচ্ছে, এরপর বাসায় স্ত্রীর মিষ্টি কথাও ভালো লাগবে না। আর আমাদের ক্ষেত্রে একজন মানুষকে হাজার-হাজার মানুষ ট্রল করছে, পরিবার নিয়ে কথা বলছে। খারাপ লাগাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখানে আমাদের কিছু বলার থাকে না। একটাই অপশন: চুপচাপ সহ্য করে যাওয়া। আর এড়িয়ে চলা। এক সময় নিউজ দেখতাম, এখন দেখি না। বন্ধুবৃত্তের কেউ ক্রিকেট নিয়ে নেগেটিভ কথা বললে তাদের সঙ্গে চলি না।
প্রশ্ন: বাসায় আপনার পরিবার বা স্ত্রীর সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে কতটা আলাপ হয়?
সৌম্য: এক শতাংশও নয়। আমার স্ত্রী ক্রিকেট খুব একটা বোঝে না। যখন তাকে বিয়ে করেছি, তখন আমাদের ক্রিকেটারদের মধ্যে শুধু সাকিব ভাইকেই সে চিনত, সেটিও টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনে দেখে।

যেখানে শুরুর কথা বলার আগেই শেষ—ধর্মশালায় আজ ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় টি-টোয়েন্টি দেখে অনেকের এই গান মনে আসতেই পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ায় সেখানেই ম্যাচের ফল সম্পর্কে অনেকটা ধারণা পাওয়া যায়। ভারত ম্যাচটা এরপর জিতে গেল হেসেখেলেই।
৩ ঘণ্টা আগে
গুগল যেন আলাদিনের চেরাগ! যেখানে মুহূর্তে মেলে সব কিছুর উত্তর। গুগল সার্চ ইঞ্জিনে নিয়মিত তারকাদের কত কিছুই জানতে চান ব্যবহারকারীরা। ২০২৫ সালে গুগলে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয়েছে কাকে, জানেন? ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। তিনি পেছনে ফেলেছেন বিরাট কোহলির মতো বড় তারকাকে।
৩ ঘণ্টা আগে
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের আজকের সন্ধ্যাটা ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য মনে রাখার মতোই। সুনীল ছেত্রী, শচীন টেন্ডুলকার, লিওনেল মেসি—এই তিন কিংবদন্তিকে একসঙ্গে দেখতে পেরেছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার মাঠে ঢুকতেই ‘মেসি, মেসি’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো ওয়াংখেড়ে।
৪ ঘণ্টা আগে
এশিয়া কাপ, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ—এ বছর মেজর টুর্নামেন্টগুলোতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচগুলোতে একটা দৃশ্য খুবই পরিচিত। টসের সময় কোনো অধিনায়কই অপরজনের সঙ্গে করমর্দন করবেন না। এমনকি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যে ‘হাইপ’ থাকে, মাঠে ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না।
৫ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

যেখানে শুরুর কথা বলার আগেই শেষ—ধর্মশালায় আজ ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় টি-টোয়েন্টি দেখে অনেকের এই গান মনে আসতেই পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ায় সেখানেই ম্যাচের ফল সম্পর্কে অনেকটা ধারণা পাওয়া যায়। ভারত ম্যাচটা এরপর জিতে গেল হেসেখেলেই।
ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত—টি-টোয়েন্টি সিরিজে ম্যাচগুলোতে এভাবেই পর্যায়ক্রমে আসছে ফল। সমানে সমানে লড়াই হলেও ম্যাচগুলো হচ্ছে একপেশে। ৯ ডিসেম্বর সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০১ রানে হারিয়েছে ভারত। প্রোটিয়াদের ঘুরে দাঁড়াতেও বেশি সময় লাগেনি। ১১ ডিসেম্বর নিউ চন্ডীগড়ে ভারতকে ৫১ রানে হারিয়ে সমতায় ফেরেন প্রোটিয়ারা। আজ ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ২৫ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে ভারত।
১১৮ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকে ভারত। ৩২ বলে ৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়তে অবদান রাখেন শুবমান গিল ও অভিষেক শর্মা। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে অভিষেককে ফিরিয়ে বিস্ফোরক এই জুটি ভাঙেন করবিন বশ। ১৮ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৩৫ রান করেন অভিষেক। বিস্ফোরক এই ওপেনার ফেরার পরও ভারতের জয় নিয়ে কোনো সংশয় তৈরি হয়নি। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৮ বলে ৩২ রানের জুটি গড়েন গিল ও তিলক ভার্মা। ১২তম ওভারের চতুর্থ বলে গিলকে (২৮) বোল্ড করে জুটি ভাঙেন মার্কো ইয়ানসেন।
গিলের বিদায়ের পর অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ম্যাচটা প্রায় শেষ করেই এসেছিলেন। তবে ভারতের জয়ের জন্য যখন ৯ রান প্রয়োজন, তখন লুঙ্গি এনগিদির বলে ফেরেন সূর্যকুমার (১২)। তাতে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ১৪.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৯ রান। তুলির শেষ আঁচড় এরপর দিয়েছেন শিবম দুবে। ১৬তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ওটনিল বার্টম্যানকে ছক্কা ও চার মেরে ভারতকে ৭ উইকেটের জয় এনে দেন দুবে।
টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা পুরো ২০ ওভার খেলে ১১৭ রানে গুটিয়ে গেছে। অধিনায়ক এইডেন মার্করামের ৪৬ বলে ৬১ রানের ইনিংস ছাড়া বলার মতো কিছু নেই প্রোটিয়াদের ইনিংসে। ভারতের আর্শদীপ সিং, হারশিত রানা, বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন শিবম দুবে ও হার্দিক পান্ডিয়া। ৪ ওভারে ১৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন আর্শদীপ।

যেখানে শুরুর কথা বলার আগেই শেষ—ধর্মশালায় আজ ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় টি-টোয়েন্টি দেখে অনেকের এই গান মনে আসতেই পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ায় সেখানেই ম্যাচের ফল সম্পর্কে অনেকটা ধারণা পাওয়া যায়। ভারত ম্যাচটা এরপর জিতে গেল হেসেখেলেই।
ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত—টি-টোয়েন্টি সিরিজে ম্যাচগুলোতে এভাবেই পর্যায়ক্রমে আসছে ফল। সমানে সমানে লড়াই হলেও ম্যাচগুলো হচ্ছে একপেশে। ৯ ডিসেম্বর সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০১ রানে হারিয়েছে ভারত। প্রোটিয়াদের ঘুরে দাঁড়াতেও বেশি সময় লাগেনি। ১১ ডিসেম্বর নিউ চন্ডীগড়ে ভারতকে ৫১ রানে হারিয়ে সমতায় ফেরেন প্রোটিয়ারা। আজ ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ২৫ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে ভারত।
১১৮ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকে ভারত। ৩২ বলে ৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়তে অবদান রাখেন শুবমান গিল ও অভিষেক শর্মা। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে অভিষেককে ফিরিয়ে বিস্ফোরক এই জুটি ভাঙেন করবিন বশ। ১৮ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৩৫ রান করেন অভিষেক। বিস্ফোরক এই ওপেনার ফেরার পরও ভারতের জয় নিয়ে কোনো সংশয় তৈরি হয়নি। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৮ বলে ৩২ রানের জুটি গড়েন গিল ও তিলক ভার্মা। ১২তম ওভারের চতুর্থ বলে গিলকে (২৮) বোল্ড করে জুটি ভাঙেন মার্কো ইয়ানসেন।
গিলের বিদায়ের পর অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ম্যাচটা প্রায় শেষ করেই এসেছিলেন। তবে ভারতের জয়ের জন্য যখন ৯ রান প্রয়োজন, তখন লুঙ্গি এনগিদির বলে ফেরেন সূর্যকুমার (১২)। তাতে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ১৪.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৯ রান। তুলির শেষ আঁচড় এরপর দিয়েছেন শিবম দুবে। ১৬তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ওটনিল বার্টম্যানকে ছক্কা ও চার মেরে ভারতকে ৭ উইকেটের জয় এনে দেন দুবে।
টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা পুরো ২০ ওভার খেলে ১১৭ রানে গুটিয়ে গেছে। অধিনায়ক এইডেন মার্করামের ৪৬ বলে ৬১ রানের ইনিংস ছাড়া বলার মতো কিছু নেই প্রোটিয়াদের ইনিংসে। ভারতের আর্শদীপ সিং, হারশিত রানা, বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন শিবম দুবে ও হার্দিক পান্ডিয়া। ৪ ওভারে ১৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন আর্শদীপ।

সাকিব-তামিমদের পরে যাঁরা বড় স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, দেশের ক্রিকেটকে আরেকটি ধাপে নিয়ে যাওয়ার; সৌম্য সরকার তাঁদের একজন। কিন্তু সৌম্যর ক্যারিয়ার হলো উত্থান-পতনে ভরা। কাল বিসিবির একাডেমি ভবনে ৩২ বছর বয়সী ব্যাটার নিজের ক্যারিয়ারটা যেমন ফিরে দেখলেন, পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের প্রগাঢ়...
১৪ মার্চ ২০২৫
গুগল যেন আলাদিনের চেরাগ! যেখানে মুহূর্তে মেলে সব কিছুর উত্তর। গুগল সার্চ ইঞ্জিনে নিয়মিত তারকাদের কত কিছুই জানতে চান ব্যবহারকারীরা। ২০২৫ সালে গুগলে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয়েছে কাকে, জানেন? ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। তিনি পেছনে ফেলেছেন বিরাট কোহলির মতো বড় তারকাকে।
৩ ঘণ্টা আগে
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের আজকের সন্ধ্যাটা ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য মনে রাখার মতোই। সুনীল ছেত্রী, শচীন টেন্ডুলকার, লিওনেল মেসি—এই তিন কিংবদন্তিকে একসঙ্গে দেখতে পেরেছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার মাঠে ঢুকতেই ‘মেসি, মেসি’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো ওয়াংখেড়ে।
৪ ঘণ্টা আগে
এশিয়া কাপ, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ—এ বছর মেজর টুর্নামেন্টগুলোতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচগুলোতে একটা দৃশ্য খুবই পরিচিত। টসের সময় কোনো অধিনায়কই অপরজনের সঙ্গে করমর্দন করবেন না। এমনকি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যে ‘হাইপ’ থাকে, মাঠে ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুগল যেন আলাদিনের চেরাগ! যেখানে মুহূর্তে মেলে সব কিছুর উত্তর। গুগল সার্চ ইঞ্জিনে নিয়মিত তারকাদের কত কিছুই জানতে চান ব্যবহারকারীরা। ২০২৫ সালে গুগলে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয়েছে কাকে, জানেন? ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। তিনি পেছনে ফেলেছেন বিরাট কোহলির মতো বড় তারকাকে। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের তারকাদের নিয়েও গুগলে কত কিছু ‘সার্চ’ করা হয়।
‘নাজমুল হোসেন শান্ত’ লিখে ‘সার্চ’ করলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে (এসইও) কী কী সাজেস্ট করে, এরকম কিছু বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে মজার উত্তর দিলেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আর কোনো ম্যাচ না থাকায় শান্ত সপরিবারে ঘুরে এসেছেন মালয়েশিয়ায়। ঘোরাঘুরি করতে শান্তর কাছে সবচেয়ে পছন্দের মালদ্বীপ। ঘুরতে পছন্দ করেন নিজের শহর রাজশাহীতেও। খেতে পছন্দ করেন রাজশাহীর যেকোনো স্ট্রিট ফুড।
গুগল সার্চে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে মানুষের আগ্রহের প্রসঙ্গ আসতেই একটু যেন লাজুক হয়ে গেলেন। বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘আমার স্ত্রী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। পরিসংখ্যান বিভাগে পড়াশোনা করেন। আমরা প্রেম করে বিয়ে করেছি। আমাদের প্রায় সাড়ে চার-পাঁচ বছরের সম্পর্ক ছিল। এখন প্রায় চার-পাঁচ বছর সংসার করছি।’
শান্তর শিক্ষাগত যোগ্যতা লিখেও সার্চ করা হয়। এটির উত্তরে বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক বললেন, ‘রাজশাহী আদর্শ ডিগ্রি কলেজ থেকে আমি পড়াশোনা করছি। এখন আমি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির একজন স্টুডেন্ট। এখনো গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট হয়নি। পড়ছি মার্কেটিং নিয়ে।’
শান্তর বেতন নিয়েও গুগলে সার্চ করা হয় নিয়মিত। এ বিষয়ে তাঁর উত্তর, ‘বিসিবি যখন প্রতিবছর সেন্ট্রাল কন্ট্র্যাক্টের তালিকা প্রকাশ করে, তখন তো এটা উন্মুক্ত হয়ে যায়। এটা তো সবার জানার কথা।’ একবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল শান্তর বেতন ১০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সেটি নিয়ে শান্তর রসাত্মক জবাব, ‘না, একরকম চলে যাচ্ছে। সংসার আলহামদুলিল্লাহ ভালোমতোই চলে যাচ্ছে।’
সেঞ্চুরির পর হেলমেটটা খুলে শূন্যে একটা লাফ দেন শান্ত। লাফ দেওয়ার পর ডাগআউটের উদ্দেশে চুমু ছুড়ে মারেন তিনি। কার উদ্দেশে তাঁর এই চুমু, সে উত্তরে বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘কাউকে উৎসর্গ করা না। এটা শুধু সে সময় চলে এসেছিল। প্রথম আমার মনে হয় যখন ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছিলাম, তখন এটা আপনাআপনি হয়ে গিয়েছিল। ড্রেসিংরুমে যাঁরা ছিলেন, প্রত্যেক ক্রিকেটার, সাপোর্টিং স্টাফ সবাই যেভাবে সহায়তা করেছিলেন, এটা ড্রেসিংরুমের উদ্দেশেই আসলে করা। আলাদা কোনো পরিকল্পনা করে করা ছিল না।’

গুগল যেন আলাদিনের চেরাগ! যেখানে মুহূর্তে মেলে সব কিছুর উত্তর। গুগল সার্চ ইঞ্জিনে নিয়মিত তারকাদের কত কিছুই জানতে চান ব্যবহারকারীরা। ২০২৫ সালে গুগলে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয়েছে কাকে, জানেন? ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। তিনি পেছনে ফেলেছেন বিরাট কোহলির মতো বড় তারকাকে। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের তারকাদের নিয়েও গুগলে কত কিছু ‘সার্চ’ করা হয়।
‘নাজমুল হোসেন শান্ত’ লিখে ‘সার্চ’ করলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে (এসইও) কী কী সাজেস্ট করে, এরকম কিছু বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে মজার উত্তর দিলেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আর কোনো ম্যাচ না থাকায় শান্ত সপরিবারে ঘুরে এসেছেন মালয়েশিয়ায়। ঘোরাঘুরি করতে শান্তর কাছে সবচেয়ে পছন্দের মালদ্বীপ। ঘুরতে পছন্দ করেন নিজের শহর রাজশাহীতেও। খেতে পছন্দ করেন রাজশাহীর যেকোনো স্ট্রিট ফুড।
গুগল সার্চে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে মানুষের আগ্রহের প্রসঙ্গ আসতেই একটু যেন লাজুক হয়ে গেলেন। বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘আমার স্ত্রী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। পরিসংখ্যান বিভাগে পড়াশোনা করেন। আমরা প্রেম করে বিয়ে করেছি। আমাদের প্রায় সাড়ে চার-পাঁচ বছরের সম্পর্ক ছিল। এখন প্রায় চার-পাঁচ বছর সংসার করছি।’
শান্তর শিক্ষাগত যোগ্যতা লিখেও সার্চ করা হয়। এটির উত্তরে বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক বললেন, ‘রাজশাহী আদর্শ ডিগ্রি কলেজ থেকে আমি পড়াশোনা করছি। এখন আমি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির একজন স্টুডেন্ট। এখনো গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট হয়নি। পড়ছি মার্কেটিং নিয়ে।’
শান্তর বেতন নিয়েও গুগলে সার্চ করা হয় নিয়মিত। এ বিষয়ে তাঁর উত্তর, ‘বিসিবি যখন প্রতিবছর সেন্ট্রাল কন্ট্র্যাক্টের তালিকা প্রকাশ করে, তখন তো এটা উন্মুক্ত হয়ে যায়। এটা তো সবার জানার কথা।’ একবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল শান্তর বেতন ১০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সেটি নিয়ে শান্তর রসাত্মক জবাব, ‘না, একরকম চলে যাচ্ছে। সংসার আলহামদুলিল্লাহ ভালোমতোই চলে যাচ্ছে।’
সেঞ্চুরির পর হেলমেটটা খুলে শূন্যে একটা লাফ দেন শান্ত। লাফ দেওয়ার পর ডাগআউটের উদ্দেশে চুমু ছুড়ে মারেন তিনি। কার উদ্দেশে তাঁর এই চুমু, সে উত্তরে বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘কাউকে উৎসর্গ করা না। এটা শুধু সে সময় চলে এসেছিল। প্রথম আমার মনে হয় যখন ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছিলাম, তখন এটা আপনাআপনি হয়ে গিয়েছিল। ড্রেসিংরুমে যাঁরা ছিলেন, প্রত্যেক ক্রিকেটার, সাপোর্টিং স্টাফ সবাই যেভাবে সহায়তা করেছিলেন, এটা ড্রেসিংরুমের উদ্দেশেই আসলে করা। আলাদা কোনো পরিকল্পনা করে করা ছিল না।’

সাকিব-তামিমদের পরে যাঁরা বড় স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, দেশের ক্রিকেটকে আরেকটি ধাপে নিয়ে যাওয়ার; সৌম্য সরকার তাঁদের একজন। কিন্তু সৌম্যর ক্যারিয়ার হলো উত্থান-পতনে ভরা। কাল বিসিবির একাডেমি ভবনে ৩২ বছর বয়সী ব্যাটার নিজের ক্যারিয়ারটা যেমন ফিরে দেখলেন, পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের প্রগাঢ়...
১৪ মার্চ ২০২৫
যেখানে শুরুর কথা বলার আগেই শেষ—ধর্মশালায় আজ ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় টি-টোয়েন্টি দেখে অনেকের এই গান মনে আসতেই পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ায় সেখানেই ম্যাচের ফল সম্পর্কে অনেকটা ধারণা পাওয়া যায়। ভারত ম্যাচটা এরপর জিতে গেল হেসেখেলেই।
৩ ঘণ্টা আগে
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের আজকের সন্ধ্যাটা ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য মনে রাখার মতোই। সুনীল ছেত্রী, শচীন টেন্ডুলকার, লিওনেল মেসি—এই তিন কিংবদন্তিকে একসঙ্গে দেখতে পেরেছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার মাঠে ঢুকতেই ‘মেসি, মেসি’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো ওয়াংখেড়ে।
৪ ঘণ্টা আগে
এশিয়া কাপ, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ—এ বছর মেজর টুর্নামেন্টগুলোতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচগুলোতে একটা দৃশ্য খুবই পরিচিত। টসের সময় কোনো অধিনায়কই অপরজনের সঙ্গে করমর্দন করবেন না। এমনকি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যে ‘হাইপ’ থাকে, মাঠে ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না।
৫ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের আজকের সন্ধ্যাটা ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য মনে রাখার মতোই। সুনীল ছেত্রী, শচীন টেন্ডুলকার, লিওনেল মেসি—এই তিন কিংবদন্তিকে একসঙ্গে দেখতে পেরেছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার মাঠে ঢুকতেই ‘মেসি, মেসি’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো ওয়াংখেড়ে।
মেসিকে আজ উৎসবমুখর পরিবেশে শচীন তাঁর ১০ নম্বর জার্সি উপহার দিয়েছেন। খেলোয়াড়ি জীবনে শচীন এই ১০ নম্বর জার্সি পড়ে খেলেছেন। মেসিও তাঁর ক্যারিয়ারে বার্সেলোনা, আর্জেন্টিনা, ইন্টার মায়ামির হয়ে ১০ নম্বর জার্সি পড়ে খেলেছেন। দুই ‘নাম্বার টেনে’র এই জার্সি বিনিময়ের ছবি সামাজিকমাধ্যমে এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। আর্জেন্টাইন বিশ্বজয়ী ফরোয়ার্ডকে নিয়ে শচীন বলেন, ‘আজ তিন জনকে এক সঙ্গে পাওয়া মুম্বাইবাসী ও পুরো ভারতবাসীর জন্য সত্যিকার অর্থেই এক স্বর্ণালী মুহূর্ত। আপনারা সবাই যেভাবে তিন গ্রেটকে বরণ করলেন, সত্যিই অসাধারণ।’
ক্যারিয়ারে কত যে পুরস্কার জিতেছেন, সেটা মেসি গুনে হয়তো শেষ করতে পারবেন না। এমএলএস কাপ জিতে ক্যারিয়ারে ৪৭তম শিরোপা জিতেছেন তিনি। ব্যালন ডি’অর জিতেছেন আটবার। ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ জিতে আজন্মলালিত স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তাঁর। মেসির সম্পর্কে বলতে গিয়ে শচীন যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি বলেন, ‘লিওর প্রসঙ্গ এলে যদি তার খেলা সম্পর্কে বলি, এটা সঠিক প্ল্যাটফর্ম নয়। তার সম্পর্কে কী বলার আছে? সে সবকিছু অর্জন করেছে। তার আত্মনিবেদন ও খেলার প্রতি দৃঢ় মানসিকতার ব্যাপারটাকে সত্যি আমরা অনেক প্রশংসা করি।’
২০১১ সালে এই ওয়াংখেড়েতেই শচীন জিতেছিলেন পরম আরাধ্য বিশ্বকাপ। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ শুধু মুম্বাইয়েই নয়, ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো ভারতজুড়েই। শচীনকে কাঁধে তুলে ওয়াংখেড়ে ঘুরেছিলেন বিরাট কোহলি-মহেন্দ্র সিং ধোনিরা। আজ মেসিবরণ অনুষ্ঠানে শচীন স্মরণ করেছেন ১৪ বছর আগের সেই পুরোনো স্মৃতি। ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি বলেন, ‘আমার এখানে মনে রাখার মতো অনেক মুহূর্ত রয়েছে। মুম্বাইকে আমরা স্বপ্নের শহর বলি। এই ভেন্যুতে অনেকের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আপনাদের সমর্থন ছাড়া ২০১১ সালে এমন স্বর্ণালী মুহূর্ত আমরা পেতাম না।’
কলকাতায় গতকাল নিজের ৭০ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্য উন্মোচন করেছেন তিনি। তবে সল্টলেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে আয়োজন করতে গিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থা হয়ে গেছে। রাগে-ক্ষোভে চেয়ার ছুড়ে মেরেছেন ভক্ত-সমর্থকেরা। কলকাতার বাজে অভিজ্ঞতা সঙ্গে করে গতকাল দুপুরে হায়দরাবাদের বিমানে চড়েন মেসি। একটি প্রদর্শনী ম্যাচ শেষে মাঠে নামেন মেসি এবং তাঁর দুই সতীর্থ রদ্রিগো দি পল ও লুইস সুয়ারেজ। সঙ্গে ছিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। মেসিকে পেয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে গোটা গ্যালারি। হাত নেড়ে ভক্তদের অভিবাদনের জবাব দেন এই ফরোয়ার্ড। মাঠে রেবন্ত এবং শিশুদের সঙ্গে পাসিং খেলার সময় মেসি কয়েকবার বল গ্যালারিতে পাঠান। দর্শকদের আনন্দ সেটা অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আজ তাঁকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে ওয়াংখেড়েতে। মেসির সঙ্গে ছিলেন রদ্রিগো দি পল ও লুইস সুয়ারেজ।

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের আজকের সন্ধ্যাটা ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য মনে রাখার মতোই। সুনীল ছেত্রী, শচীন টেন্ডুলকার, লিওনেল মেসি—এই তিন কিংবদন্তিকে একসঙ্গে দেখতে পেরেছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার মাঠে ঢুকতেই ‘মেসি, মেসি’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো ওয়াংখেড়ে।
মেসিকে আজ উৎসবমুখর পরিবেশে শচীন তাঁর ১০ নম্বর জার্সি উপহার দিয়েছেন। খেলোয়াড়ি জীবনে শচীন এই ১০ নম্বর জার্সি পড়ে খেলেছেন। মেসিও তাঁর ক্যারিয়ারে বার্সেলোনা, আর্জেন্টিনা, ইন্টার মায়ামির হয়ে ১০ নম্বর জার্সি পড়ে খেলেছেন। দুই ‘নাম্বার টেনে’র এই জার্সি বিনিময়ের ছবি সামাজিকমাধ্যমে এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। আর্জেন্টাইন বিশ্বজয়ী ফরোয়ার্ডকে নিয়ে শচীন বলেন, ‘আজ তিন জনকে এক সঙ্গে পাওয়া মুম্বাইবাসী ও পুরো ভারতবাসীর জন্য সত্যিকার অর্থেই এক স্বর্ণালী মুহূর্ত। আপনারা সবাই যেভাবে তিন গ্রেটকে বরণ করলেন, সত্যিই অসাধারণ।’
ক্যারিয়ারে কত যে পুরস্কার জিতেছেন, সেটা মেসি গুনে হয়তো শেষ করতে পারবেন না। এমএলএস কাপ জিতে ক্যারিয়ারে ৪৭তম শিরোপা জিতেছেন তিনি। ব্যালন ডি’অর জিতেছেন আটবার। ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ জিতে আজন্মলালিত স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তাঁর। মেসির সম্পর্কে বলতে গিয়ে শচীন যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি বলেন, ‘লিওর প্রসঙ্গ এলে যদি তার খেলা সম্পর্কে বলি, এটা সঠিক প্ল্যাটফর্ম নয়। তার সম্পর্কে কী বলার আছে? সে সবকিছু অর্জন করেছে। তার আত্মনিবেদন ও খেলার প্রতি দৃঢ় মানসিকতার ব্যাপারটাকে সত্যি আমরা অনেক প্রশংসা করি।’
২০১১ সালে এই ওয়াংখেড়েতেই শচীন জিতেছিলেন পরম আরাধ্য বিশ্বকাপ। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ শুধু মুম্বাইয়েই নয়, ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো ভারতজুড়েই। শচীনকে কাঁধে তুলে ওয়াংখেড়ে ঘুরেছিলেন বিরাট কোহলি-মহেন্দ্র সিং ধোনিরা। আজ মেসিবরণ অনুষ্ঠানে শচীন স্মরণ করেছেন ১৪ বছর আগের সেই পুরোনো স্মৃতি। ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি বলেন, ‘আমার এখানে মনে রাখার মতো অনেক মুহূর্ত রয়েছে। মুম্বাইকে আমরা স্বপ্নের শহর বলি। এই ভেন্যুতে অনেকের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আপনাদের সমর্থন ছাড়া ২০১১ সালে এমন স্বর্ণালী মুহূর্ত আমরা পেতাম না।’
কলকাতায় গতকাল নিজের ৭০ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্য উন্মোচন করেছেন তিনি। তবে সল্টলেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে আয়োজন করতে গিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থা হয়ে গেছে। রাগে-ক্ষোভে চেয়ার ছুড়ে মেরেছেন ভক্ত-সমর্থকেরা। কলকাতার বাজে অভিজ্ঞতা সঙ্গে করে গতকাল দুপুরে হায়দরাবাদের বিমানে চড়েন মেসি। একটি প্রদর্শনী ম্যাচ শেষে মাঠে নামেন মেসি এবং তাঁর দুই সতীর্থ রদ্রিগো দি পল ও লুইস সুয়ারেজ। সঙ্গে ছিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। মেসিকে পেয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে গোটা গ্যালারি। হাত নেড়ে ভক্তদের অভিবাদনের জবাব দেন এই ফরোয়ার্ড। মাঠে রেবন্ত এবং শিশুদের সঙ্গে পাসিং খেলার সময় মেসি কয়েকবার বল গ্যালারিতে পাঠান। দর্শকদের আনন্দ সেটা অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আজ তাঁকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে ওয়াংখেড়েতে। মেসির সঙ্গে ছিলেন রদ্রিগো দি পল ও লুইস সুয়ারেজ।

সাকিব-তামিমদের পরে যাঁরা বড় স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, দেশের ক্রিকেটকে আরেকটি ধাপে নিয়ে যাওয়ার; সৌম্য সরকার তাঁদের একজন। কিন্তু সৌম্যর ক্যারিয়ার হলো উত্থান-পতনে ভরা। কাল বিসিবির একাডেমি ভবনে ৩২ বছর বয়সী ব্যাটার নিজের ক্যারিয়ারটা যেমন ফিরে দেখলেন, পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের প্রগাঢ়...
১৪ মার্চ ২০২৫
যেখানে শুরুর কথা বলার আগেই শেষ—ধর্মশালায় আজ ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় টি-টোয়েন্টি দেখে অনেকের এই গান মনে আসতেই পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ায় সেখানেই ম্যাচের ফল সম্পর্কে অনেকটা ধারণা পাওয়া যায়। ভারত ম্যাচটা এরপর জিতে গেল হেসেখেলেই।
৩ ঘণ্টা আগে
গুগল যেন আলাদিনের চেরাগ! যেখানে মুহূর্তে মেলে সব কিছুর উত্তর। গুগল সার্চ ইঞ্জিনে নিয়মিত তারকাদের কত কিছুই জানতে চান ব্যবহারকারীরা। ২০২৫ সালে গুগলে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয়েছে কাকে, জানেন? ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। তিনি পেছনে ফেলেছেন বিরাট কোহলির মতো বড় তারকাকে।
৩ ঘণ্টা আগে
এশিয়া কাপ, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ—এ বছর মেজর টুর্নামেন্টগুলোতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচগুলোতে একটা দৃশ্য খুবই পরিচিত। টসের সময় কোনো অধিনায়কই অপরজনের সঙ্গে করমর্দন করবেন না। এমনকি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যে ‘হাইপ’ থাকে, মাঠে ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না।
৫ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

এশিয়া কাপ, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ—এ বছর মেজর টুর্নামেন্টগুলোতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচগুলোতে একটা দৃশ্য খুবই পরিচিত। টসের সময় কোনো অধিনায়কই অপরজনের সঙ্গে করমর্দন করবেন না। এমনকি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যে ‘হাইপ’ থাকে, মাঠে ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না।
বাংলাদেশ সময় আজ নির্ধারিত সকাল ১১টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির বাগড়ায় ভারত-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ম্যাচ এক ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ১ ওভার কমানো হয়েছে। দুবাইয়ে আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে ৪৯ ওভারের ম্যাচে ভারত ৯০ রানের উড়ন্ত জয় পেয়েছে। টানা দুই জয়ে যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে দলটি।
৪৯ ওভারে ২৪১ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৩.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৩০ রানে পরিণত হয় পাকিস্তান। পঞ্চম উইকেটে ৬৫ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন ফারহান ইউসাফ ও হুজাইফা হাসান। পাকিস্তানের ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি। ২৪তম ওভারের শেষ বলে অধিনায়ক ফারহানকে (২৩) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন বৈভব সূর্যবংশী।
একপ্রান্ত আগলে রাখা হুজাইফা সতীর্থদের কাছ থেকে কোনো সমর্থন পাননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা পাকিস্তান ৪১.২ ওভারে ১৫০ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৭০ রান করেছেন হুজাইফা। ৮৩ বলের ইনিংসে ৯ চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন। ১২ রানে পাকিস্তান হারিয়েছে শেষ ৩ উইকেট। ৪২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আলী রাজাকে (৬) ফিরিয়ে পাকিস্তানের ইনিংসের ইতি টানেন কিশান সিং। কিশান পেয়েছেন ২ উইকেট। তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন দীপেশ দেবেন্দ্রন ও কনিষ্ক চৌহান।
টস হেরে আগে ব্যাটিং পেলেও ভারত ৪৯ ওভার খেলতে পারেনি। ৪৬.১ ওভারে ২৪০ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন অ্যারন জর্জ। ৮৮ বলের ইনিংসে মেরেছেন ১২ চার ও ১ ছক্কা। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন চৌহান। ৪৬ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় করেছেন ৪৬ রান। বোলিংয়ে ১০ ওভারে ৩৩ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।

এশিয়া কাপ, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ—এ বছর মেজর টুর্নামেন্টগুলোতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচগুলোতে একটা দৃশ্য খুবই পরিচিত। টসের সময় কোনো অধিনায়কই অপরজনের সঙ্গে করমর্দন করবেন না। এমনকি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যে ‘হাইপ’ থাকে, মাঠে ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না।
বাংলাদেশ সময় আজ নির্ধারিত সকাল ১১টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির বাগড়ায় ভারত-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ম্যাচ এক ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ১ ওভার কমানো হয়েছে। দুবাইয়ে আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে ৪৯ ওভারের ম্যাচে ভারত ৯০ রানের উড়ন্ত জয় পেয়েছে। টানা দুই জয়ে যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে দলটি।
৪৯ ওভারে ২৪১ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৩.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৩০ রানে পরিণত হয় পাকিস্তান। পঞ্চম উইকেটে ৬৫ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন ফারহান ইউসাফ ও হুজাইফা হাসান। পাকিস্তানের ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি। ২৪তম ওভারের শেষ বলে অধিনায়ক ফারহানকে (২৩) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন বৈভব সূর্যবংশী।
একপ্রান্ত আগলে রাখা হুজাইফা সতীর্থদের কাছ থেকে কোনো সমর্থন পাননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা পাকিস্তান ৪১.২ ওভারে ১৫০ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৭০ রান করেছেন হুজাইফা। ৮৩ বলের ইনিংসে ৯ চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন। ১২ রানে পাকিস্তান হারিয়েছে শেষ ৩ উইকেট। ৪২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আলী রাজাকে (৬) ফিরিয়ে পাকিস্তানের ইনিংসের ইতি টানেন কিশান সিং। কিশান পেয়েছেন ২ উইকেট। তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন দীপেশ দেবেন্দ্রন ও কনিষ্ক চৌহান।
টস হেরে আগে ব্যাটিং পেলেও ভারত ৪৯ ওভার খেলতে পারেনি। ৪৬.১ ওভারে ২৪০ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন অ্যারন জর্জ। ৮৮ বলের ইনিংসে মেরেছেন ১২ চার ও ১ ছক্কা। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন চৌহান। ৪৬ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় করেছেন ৪৬ রান। বোলিংয়ে ১০ ওভারে ৩৩ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।

সাকিব-তামিমদের পরে যাঁরা বড় স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, দেশের ক্রিকেটকে আরেকটি ধাপে নিয়ে যাওয়ার; সৌম্য সরকার তাঁদের একজন। কিন্তু সৌম্যর ক্যারিয়ার হলো উত্থান-পতনে ভরা। কাল বিসিবির একাডেমি ভবনে ৩২ বছর বয়সী ব্যাটার নিজের ক্যারিয়ারটা যেমন ফিরে দেখলেন, পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের প্রগাঢ়...
১৪ মার্চ ২০২৫
যেখানে শুরুর কথা বলার আগেই শেষ—ধর্মশালায় আজ ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় টি-টোয়েন্টি দেখে অনেকের এই গান মনে আসতেই পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ায় সেখানেই ম্যাচের ফল সম্পর্কে অনেকটা ধারণা পাওয়া যায়। ভারত ম্যাচটা এরপর জিতে গেল হেসেখেলেই।
৩ ঘণ্টা আগে
গুগল যেন আলাদিনের চেরাগ! যেখানে মুহূর্তে মেলে সব কিছুর উত্তর। গুগল সার্চ ইঞ্জিনে নিয়মিত তারকাদের কত কিছুই জানতে চান ব্যবহারকারীরা। ২০২৫ সালে গুগলে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয়েছে কাকে, জানেন? ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। তিনি পেছনে ফেলেছেন বিরাট কোহলির মতো বড় তারকাকে।
৩ ঘণ্টা আগে
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের আজকের সন্ধ্যাটা ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য মনে রাখার মতোই। সুনীল ছেত্রী, শচীন টেন্ডুলকার, লিওনেল মেসি—এই তিন কিংবদন্তিকে একসঙ্গে দেখতে পেরেছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার মাঠে ঢুকতেই ‘মেসি, মেসি’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো ওয়াংখেড়ে।
৪ ঘণ্টা আগে