Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

বাংলাদেশের হয়ে একদিন বিশ্বকাপ জিতব

বাংলাদেশের হয়ে একদিন বিশ্বকাপ জিতব

১২ ইনিংসে ৫ ফিফটি, ১৪০.৪১ স্ট্রাইক রেট এবং ৩৬.৬৩ গড়ে ৪০৩ রান। পরিসংখ্যানই বলছে, এবারের বিপিএলে তৌহিদ হৃদয় কতটা দুর্দান্ত ছিলেন। সিলেট স্ট্রাইকার্স ফাইনালে ওঠার পথে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল তাঁর অসাধারণ পারফরম্যান্সেরও। ফাইনালে সিলেট হেরে গেলেও ওই দিনই প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন হৃদয়। তাই এই বিপিএল বিশেষ স্মরণীয় হয়ে থাকছে হৃদয়ের কাছে। গতকাল আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার জানালেন বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নের কথাসহ অনেক কিছু। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন লাইছ ত্বোহা।

লাইছ ত্বোহা।
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬: ১২

প্রশ্ন: আপনার শুরুর গল্পটা দিয়েই শুরু হোক, ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নের বীজটা কীভাবে বুনেছিলেন মনে?

হৃদয়: ক্রিকেট খেলা যখন শুরু করেছি, তখন ক্রিকেটার হওয়ার ইচ্ছা ছিল না। তখন ছিল অ্যাডিকশন (আসক্তি)। এখন তো এটা পেশায় চলে এসেছে। আমি মনে করি, যারা ক্রিকেট খেলে, তারা শুরুতে মনে হয় না জাতীয় দলকে টার্গেট করে। সাধারণত প্রথমে ভালোবেসে খেলা শুরু করে; পরে ধাপে ধাপে এগোয়, লক্ষ্য যখন সামনে আসে, তখন কিছুটা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে।

প্রশ্ন: বিপিএলের শুরুতে টানা তিন ফিফটির পর আঙুলের চোটে পড়ে নিশ্চয়ই একটা ধাক্কা খেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন টুর্নামেন্টে এত দূরে আসতে পারবেন?

হৃদয়: যখন চোটে পড়ি, তখন একটু খারাপ লেগেছিল। পরে আবার ঠিক হয়ে গেছে। চোটে তো কেউ ইচ্ছা করে পড়ে না। আসলে আল্লাহ যা করেন, ভালোর জন্যই করেন, এটাই আমি বিশ্বাস করি। যখন যা-ই আসুক না কেন, আমি সব সময় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি।

প্রশ্ন: খুব বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেননি, এরপরও এমন ব্যাটিং। এর পেছনের গল্পটা কী?

হৃদয়: পেছনের গল্প আসলে তেমন কিছু না। যখন আপনি ব্যর্থ হবেন, খারাপ করবেন, সেখান থেকে ভালো করার ইচ্ছা জাগে। কথায় আছে না, ব্যর্থতা সফলতার চাবিকাঠি। আপনি যখন একের পর এক ব্যর্থ হবেন, তখন কীভাবে আপনি সফল হবেন, ভালো করবেন—এটা একজন মানুষ হিসেবে সবার ভেতরেই কাজ করে। স্বাভাবিকভাবে আমি ওভাবেই চিন্তা করেছি, আমি খারাপ খেলছি, আমার এই জায়গায় ভালো করতে হবে। পরিকল্পনা মাথায় রেখে কাজ করেছি, পদ্ধতি অনুযায়ী এগিয়েছি এবং সেভাবেই চেষ্টা করেছি—অনুশীলন আর মাঠে যখন খেলেছি, তখন সেভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।

প্রশ্ন: ক্রিকেটে আপনি নির্দিষ্ট কাউকে আদর্শ মানেন?

হৃদয়: হ্যাঁ, আছে। মুশফিকুর রহিম ভাইকে আদর্শ মানি। ছোটবেলা থেকেই ওনার খেলা দেখে এবং একই জেলায় (বগুড়া) বড় হয়েছি। খেলা তো অত বুঝতাম না। তখন শুনতাম, আমাদের পাশের বাসার মুশফিক ভাই জাতীয় দলে খেলছেন। তখন ওনার থেকে অনুপ্রেরণা পাই, তখন থেকেই ভালো লাগা-ভালোবাসা শুরু।

প্রশ্ন: বিপিএলে একই দলে মুশফিকের সঙ্গে খেললেন। তাঁর সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা যদি শেয়ার করতেন?

হৃদয়: দলের সবাই ভালো মানুষ। অবশ্যই বিশেষ কিছু ওনার (মুশফিক) সঙ্গে খেলা। যখন প্রথমবার খেলেছিলাম, তখন বেশি রোমাঞ্চিত ছিলাম। আরও আগে খেলেছি, এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। তারপরও একটা আলাদা রোমাঞ্চ কাজ করে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক মাশরাফির সঙ্গে খেলে কেমন লাগল, তিনি কতটা অনুপ্রেরণাদায়ক?

হৃদয়: এটা আসলে নতুন করে বলার কিছু নেই, সবাই জানে—উনি সব সময় খেলোয়াড়দের সমর্থন করেন, অনেক অনুপ্রেরণা দেন। সব সময় পাশে থাকেন এবং চেষ্টা করেন অনুপ্রেরণা দিতে। একজন অধিনায়ক হিসেবে যা করা দরকার, তিনি সেটাই করেন।

প্রশ্ন: বর্তমান সময়ে নির্দিষ্ট কোনো ক্রিকেটারের খেলা বেশি ভালো লাগে?

হৃদয়: না, ওই রকম না, আমি সব সময় আমার দিকেই ফোকাস থাকি।

প্রশ্ন: হৃদয়ের প্রিয় কোনো শট আছে?

হৃদয়: না, সব শট খেলতেই পছন্দ করি।

প্রশ্ন: জাতীয় দলের স্বপ্ন সব ক্রিকেটারই বোনেন, অবশেষে আপনার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে, নিজের কাছে কেমন লাগছে?

হৃদয়: আলহামদুলিল্লাহ, খুবই ভালো লাগছে। ভালো করতে পারলে তখন আরও বেশি ভালো লাগবে।

প্রশ্ন: বড় কোনো স্বপ্ন আছে, যেটা পূরণ করতে চান?

হৃদয়: স্বপ্ন তো সবারই থাকে, ক্রিকেটারদেরও থাকে। আমারও স্বপ্ন আছে—ইনশা আল্লাহ, একদিন আমরা বিশ্বকাপ জিতব।

প্রশ্ন: বিপিএলে এর আগে বরিশালের হয়ে খেলেছেন, কিন্তু এবারের টুর্নামেন্ট অন্য বারের চেয়ে আপনার জন্য সেরা মনে হয়েছে কি?

হৃদয়: সব মিলিয়ে আগের চেয়ে একটু ভালো। আমি বলব না যে সেরা। এখনো সেরা হওয়ার অনেক কিছু বাকি আছে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে সুযোগ পেয়েছেন। মনে মনে কি কোনো লক্ষ্য ঠিক করেছেন?

হৃদয়: জাতীয় দলে ডাক পেয়েছি, খুব রোমাঞ্চিত না। আগে যেমন ছিলাম, এখনো তেমনই আছি। সাধারণ চিন্তাভাবনাই করছি। চাওয়ার আসলে কিছু নেই। সবার জন্য সবাই দোয়া করব, এটাই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কলকাতায় বিশৃঙ্খল অবস্থার জন্য মেসিকে দায়ী করলেন গাভাস্কার

ক্রীড়া ডেস্ক    
লিওনেল মেসির ওপর তোপ দেগেছেন সুনীল গাভাস্কার। ছবি: ফাইল ছবি
লিওনেল মেসির ওপর তোপ দেগেছেন সুনীল গাভাস্কার। ছবি: ফাইল ছবি

ভারত সফরে ভক্ত-সমর্থকদের ভালোবাসা পেয়ে মুগ্ধ লিওনেল মেসি। শচীন টেন্ডুলকারের কাছ থেকে ১০ নম্বর জার্সি, আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহর কাছ থেকে বিশ্বকাপের টিকিট—কী পাননি মেসি! কিন্তু ঘুরেফিরে বারবার আসছে মেসির কলকাতা পর্বের ঘটনা। নানা বিশৃঙ্খলায় পশ্চিমবঙ্গের ভক্ত-সমর্থকেরা আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারেননি।

মেসির ভারতে কদিন আগে শেষ হওয়া সফরে তাঁর সঙ্গী ছিলেন রদ্রিগো দি পল ও লুইস সুয়ারেজ। ১৩ ডিসেম্বর সল্টলেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে ভক্ত-সমর্থকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ার-বোতল ছুড়ে ফেলেন। পুরো স্টেডিয়াম তখন রণক্ষেত্র হয়ে যায়। মেসির কলকাতা পর্বে বাজে এই অবস্থার জন্য অভিযোগের আঙুল আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির দিকে তুলেছেন সুনীল গাভাস্কার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্পোর্টস্টারে এক কলামে গাভাস্কার লিখেছেন,‘কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে কদিন আগে এক ঘটনা ঘটেছে। আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা মেসি যত সময় থাকার কথা বলেছিলেন, তার চেয়ে কম সময় থেকেছে। এ ঘটনায় সবাইকেই দোষারোপ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর যদি স্টেডিয়ামে থাকার জন্য এক ঘণ্টা বরাদ্দ থাকে আর নির্ধারিত সময়ের আগে চলে যায়, তাহলে যাঁরা প্রচুর টাকা খরচ করে টিকিট কিনেছিলেন, তাঁরা নিশ্চয়ই কষ্ট পেয়েছেন। সেক্ষেত্রে মূল দোষী সে (মেসি) ও তাঁর সফরসঙ্গীরা।’

লিওনেল মেসিকে ভারতে নিয়ে আসার পেছনে মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত পড়েছেন তোপের মুখে। কলকাতা পর্বে ঠিকমতো আয়োজন করা যায়নি দেখে আয়োজককে বিমানবন্দর থেকে আটক করে পুলিশ। মেসির মতো বড় তারকাকে কলকাতায় নিয়ে এলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত আয়োজন ছিল না বলেই আয়োজনের প্রস্তুতি ভেস্তে গেছে। সরাসরি না বললেও গাভাস্কার হয়তো তাঁর কলামে শতদ্রুর কথাই বলতে চেয়েছেন। স্পোর্টস্টারে ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি বলেন, ‘যিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন, শুধু তিনিই নন। সমালোচনার শিকার হয়েছেন সবাই। তাকে (মেসি) রাজনীতিবিদ ও ভিআইপিরা ঘিরে রেখেছিলেন। সে বা তার সফরসঙ্গীদের নিরাপত্তাসংক্রান্ত কোনো হুমকি তো ছিল না।’

কলকাতা পর্ব বাদ দিলে হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লিতে মেসিকে দারুণভাবে বরণ করা হয়েছে। জয় শাহর কাছ থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের টিকিট, ক্রিকেট ব্যাট, ভারতীয় দলের জার্সি পরশু দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে পেয়েছেন। ব্যাট, ভারতীয় দলের জার্সি দি পল-সুয়ারেজকেও দেওয়া হয়েছে। মেসি সেদিন অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বলেছিলেন, ‘আপনারা এই কদিনে যারা করেছেন, সত্যি বলতে অসাধারণ। অসংখ্য ধন্যবাদ। কোনো না কোনোদিন অবশ্যই ফিরব। হয়তো একটা ম্যাচ খেলা হবে। তবে অবশ্যই ফিরছি। অসংখ্য ধন্যবাদ।’

দিল্লি পর্ব শেষ করে পরশু রাতেই মেসি, সুয়ারেজ, দি পল গিয়েছিলেন গুজরাটের জামনগরে অনন্ত আম্বানির বাড়িতে। ভারতের এই বিখ্যাত শিল্পপতির বাড়িতে নৈশভোজও করেন তাঁরা (মেসি, সুয়ারেজ, দি পল) তিনি। বনতারায় আম্বানির বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে মেসি ঘুরতে যাবেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারত না পাকিস্তান, সেমিফাইনালে কাদের পাচ্ছে বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
শ্রীলঙ্কাকে আজ হারালে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি
শ্রীলঙ্কাকে আজ হারালে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা এরই মধ্যে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমিতে দুই দল আজ খেলছে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে। আজকের ম্যাচের জয়ী দল সেমিফাইনালে খেলবে ‘এ’ গ্রুপ রানার্সআপ পাকিস্তানের বিপক্ষে। আর বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যে যে দল হেরে যাবে, সেমিতে তাদের প্রতিপক্ষ হবে ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ভারত। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৮ ওভারে ২ উইকেটে ১০৭ রান করেছে। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম ৯ রানে ব্যাটিং করছেন। ২ রানে ব্যাটিং করছেন কালাম সিদ্দিকী। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করছে টি স্পোর্টস। এক নজরে দেখে নিন টিভিতে কী কী খেলা রয়েছে।

ক্রিকেট খেলা সরাসরি

যুব এশিয়া কাপ

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা

বেলা ১১টা

সরাসরি

টি স্পোর্টস

অ্যাডিলেড টেস্ট: প্রথম দিন

অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড

ভোর ৫টা ৩০ মিনিট

সরাসরি

স্টার স্পোর্টস ১ ও ২

চতুর্থ টি-টোয়েন্টি

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা

সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট

সরাসরি

স্টার স্পোর্টস ১

আইএল টি-টোয়েন্টি

দুবাই ক্যাপিটালস-এমআই এমিরেটস

রাত ৮টা ৩০ মিনিট

সরাসরি

টি স্পোর্টস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তোপের মুখে বিশ্বকাপের টিকিটের দাম কমাল ফিফা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ২৮
বিশ্বকাপের টিকিটের দাম কমিয়েছে ফিফা। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বকাপের টিকিটের দাম কমিয়েছে ফিফা। ছবি: সংগৃহীত

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের উন্মাদনা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। দলগুলো কে কোন গ্রুপে পড়েছে, তা জানা গেছে ৫ ডিসেম্বর ড্রয়ের পরই। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় হতে যাওয়া বিশ্বকাপে টিকিটের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় তোপের মুখে পড়ে ফিফা। অবশেষে বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা টিকিটের দাম কমিয়েছে।

১৯ জুলাই নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকিটের সর্বনিম্ন দাম ছিল ৪ হাজার ১৮৫ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। তবে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল দেখতে মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হবে না বলে ফিফা আশ্বস্ত করেছে। বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা গতকাল জানিয়েছে, ৬০ ডলারে (৭৩৪২ টাকা) কেনা যাবে ফাইনালের টিকিট। শুধু ফাইনালই নয়, প্রতিটি ম্যাচের টিকিটের সর্বনিম্ন দাম ৬০ ডলার করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারী দলগুলোর ফেডারেশনের কাছে এই টিকিটগুলো বণ্টন করা হবে। ভক্ত-সমর্থকদের টিকিট কীভাবে দেবে, সেই সিদ্ধান্ত ফেডারেশন নেবে।

প্রতিটি ম্যাচের টিকিটের সর্বনিম্ন দাম ৬০ ডলার থেকে বড়জোর ১০০ ডলার (১২২৩৭ টাকা)। তবে ১ হাজার ডলারে যাবে না বলে ফিফা নিশ্চিত করেছে। ১০০ ডলারের এই টিকিটগুলো ফিফা ‘সাপোর্টার এন্ট্রি টায়ার প্রাইস’ ক্যাটাগরিতে বিক্রি করবে। কেন হঠাৎ করে টিকিট বিক্রির কৌশল বদলে গেল, সেটা স্পষ্ট করেনি ফিফা। তবে বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা জানিয়েছে, টুর্নামেন্টে ভক্ত-সমর্থকেরা যেন মাঠে বসে তাঁদের প্রিয় দলের খেলা উপভোগ করতে পারেন, সে জন্যই টিকিটের দাম কমানো হয়েছে।

ইউরোপীয় ফুটবল সমর্থক গোষ্ঠী (এফএসই) ফিফার এই টিকিটের দাম কমানোর ব্যাপারকে স্বাগত জানিয়েছে। পাশাপাশি ফিফার প্রতি এফএসইর কিছু পরামর্শও রয়েছে। এক বিবৃতিতে এফএসই বলেছে, ‘আমরা ফিফার কাছ থেকে একটা ঘোষণার আশা করেছিলাম। বিশ্বজুড়ে তাদের বিরুদ্ধে যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছিল, সেটার প্রতিক্রিয়ায় কী করে ফিফা, তা দেখতে চেয়েছিলাম। শারীরিকভাবে যারা অক্ষম, সেসব ভক্ত-সমর্থকদের জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি ফিফার প্রতি।’

বিশ্বকাপ টিকিটের আকাশচুম্বী দাম দেখে এফএসই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল। ১১ ডিসেম্বর বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, বিশ্বকাপের টিকিটের অত্যধিক মূল্য দেখে এফএসইর কাছে ফিফা ‘বিশ্বাসঘাতক’। নিউইয়র্কের মেয়র জোহরান মামদানিও টিকিটের দাম কমাতে বলেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ফিফা টিকিটের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। ২০২৬ সালে প্রথমবারের মতো ৪৮ দলের ফুটবল বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। মার্কিন মুলুকে শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে নামবেন লিওনেল মেসি, রদ্রিগো দি পল, এমিলিয়ানো মার্তিনেজরা। কাতারে ২০২২ বিশ্বকাপ জিতে মেসি তাঁর আজন্মলালিত স্বপ্ন পূরণ করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শেষ মুহূর্তে আচমকা একাদশে খাজা, স্মিথের হলো কী

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৩০
স্মিথ বাদ পড়ায় একাদশে সুযোগ পেলেন উসমান খাজা। ছবি: ফাইল ছবি
স্মিথ বাদ পড়ায় একাদশে সুযোগ পেলেন উসমান খাজা। ছবি: ফাইল ছবি

টসের সময় একাদশ ঘোষণা করার রীতি থাকলেও অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো দলগুলো একাদশ ঘোষণা করে থাকে আগেভাগেই। অ্যাডিলেডে অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টের আগেও ঠিক এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে বাংলাদেশ সময় আজ ভোরে যাঁরা অ্যাডিলেড টেস্ট দেখতে উঠেছেন, তাঁরা রীতিমতো অবাক হয়েছেন। একাদশে নাম থাকলেও স্কোরকার্ডে স্টিভেন স্মিথের নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি।

স্মিথ না থাকায় কপাল খুলেছে উসমান খাজার। গতকাল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) একাদশে নাম না থাকলেও আজ অ্যাডিলেড টেস্টের একাদশে খাজা জায়গা করে নিয়েছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে টসের সময় কামিন্স বলেন, ‘স্মিথের শরীর খারাপ। সে বাসায় চলে গেছে। তবে উসমান খাজার মতো কাউকে পেয়ে আমরা আসলেই ভাগ্যবান।’

ভার্টিগো সিম্পটম্পসের কারণে আজ মূলত অ্যাডিলেড টেস্টের একাদশে স্মিথ নেই বলে সিএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। সিএ বলেছে, ‘স্মিথের মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাবজনিত সমস্যা রয়েছে। কদিন ধরেই তিনি অসুস্থ। তাঁকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। খেলার মতো অবস্থায় ছিলেনও। কিন্তু সমস্যা বেশি থাকায় খেলাচ্ছি না তাঁকে আমরা।’

খাজা সবশেষ প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেছেন নভেম্বরে পার্থে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে। দুই দিনে শেষ হওয়া সেই টেস্টে ৮ উইকেটে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। পিঠের চোটের কারণে ব্রিসবেনের গ্যাবায় অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারেননি খাজা। গোলাপি বলের সেই টেস্টেও অজিরা পেয়েছে ৮ উইকেটের জয়। অ্যাডিলেডে আজ ফিরেই ৮২ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলেছেন। ১২৬ বলের ইনিংসে মেরেছেন ১০ চার। ১৮ রানের জন্য ১৭তম টেস্ট সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপটা ঠিকই কাজ করছে অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি ব্যাটারের।

অ্যাডিলেডে তৃতীয় টেস্টে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক কামিন্স। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬২ ওভারে ৬ উইকেটে ২৪৫ রান করেছে অজিরা। অধিনায়ক কামিন্স মাত্র এসেছেন। ৫ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। অ্যালেক্স ক্যারি ৭২ রানে ব্যাটিং করছেন। দুই দলের ক্রিকেটারই কালো আর্মব্যান্ড পরে খেলছেন। সিডনির বন্ডাই বিচে হতাহতদের স্মরণেই মূলত কালো আর্মব্যান্ড পরে খেলা, ম্যাচ শুরুর আগে নীরবতা ও পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত