দাক্স পানওয়ার

ঢাকা: অনেক দিন আগের কথা, নির্দিষ্ট করে বললে ছয়টা জুন আগের কথা, যখন আমার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ভ্রমণের সৌভাগ্য হয়েছিল। একদল ভারতীয় সাংবাদিকের সঙ্গে ভারতীয় দলের এক টেস্ট ও তিন ওয়ানডে ম্যাচের সংক্ষিপ্ত সফর কাভার করতে গিয়েছিলাম। ব্যস্ত সেই তিন সপ্তাহের সফরে অনিন্দ্যসুন্দর দেশটিকে দারুণভাবে জানতে পেরেছিলাম। একই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে আমি আমার নিজের দেশ ভারতের কিছু বিষয়ও বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছিলাম।
দেশটিতে পা রাখার আগেই মানচিত্রে দেশটি দেখে আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম। সেখানে দেখে দেশটিকে ভারতের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ বলেই মনে হচ্ছিল। সেই একই আকার: একটি মাথা ও পাশাপাশি বেরিয়ে যাওয়া দুটি প্রসারিত অংশ। আর পায়ে জড়িয়ে আছে সমুদ্র। এরপর যখন আমি প্রথম হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পা রাখি, দেখলাম দুটি দেশের মধ্যে মানচিত্রের মতো বাস্তব জীবনেও মিল আছে।
আমি দেশটির অসাধারণ প্রাণশক্তি অনুভব করতে পেরেছিলাম। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতাও কম নয়। ফলে যে অস্থিরতা তৈরি হয় তা প্রাণশক্তি নষ্টও করে। নব্বই দশকে ভারতেও এর ব্যতিক্রম ছিল না, যখন প্রবৃদ্ধি বাড়তে শুরু করেছিল। সে সময় মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হচ্ছিল। মধ্যবিত্তের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছিল। দেশের ভেতর এমন একটা বিশ্বাস ছড়িয়ে পড়েছিল যে শক্তির কেন্দ্রে তার নিজের আসনটি খুঁজে নিতে হবে। কিন্তু ভারতের স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসে ২০১৬ সালের পর থেকে। সেই সময় একসঙ্গে অনেকগুলো ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেটা অবশ্য অন্য বিষয়। কিন্তু সাম্প্রতিক প্রবৃদ্ধি নির্দেশক বলছে, বাংলাদেশ এখনো সম্ভাবনাময়।
আপনি হয়তো ক্রিকেট কলামে অর্থনীতি নিয়ে কেন কথা বলছি সেটা ভেবে অবাক হচ্ছেন! এগুলো পরিপূরক বিষয়। ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেশটির ক্রিকেটকে প্রভাবিত করেছে। উত্তর–উদারনৈতিক সময়ে করপোরেট ভারতের লাভের পরিমাণও বেড়েছে। সেই উদ্বৃত্তের একটা অংশ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসেছে ক্রিকেটে। যা বিসিসিআইকে টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের সুযোগ করে দিয়েছে। যার ভেতর দিয়ে বেরিয়ে এসেছে অনেক ক্রিকেটার। এখনকার শক্তিশালী ভারত যে সবাইকে হারাতে পারে, তাঁর কারণ মূলত এটাই।
দুটি উপায়ে ক্রিকেটে দাপট দেখানো যেতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ–পাকিস্তানি উপায় এবং অস্ট্রেলিয়া–ভারত উপায়। প্রথমটিতে দল নির্ভর করে প্রতিভা ও আবেগের ওপর। এখানে কোনো ধরনের সিস্টেম ছাড়াই দল সফল হতে পারে। এই ক্রিকেট অনেকটা রোমান্টিক ক্রিকেট। তবে সমসাময়িক ক্রিকেটে এই দাপট মোটেই স্থায়ী না। দ্বিতীয় পদ্ধতিতেও প্রতিভা প্রয়োজন। পাশাপাশি সঠিক পদ্ধতি ও দেখভাল একে ভালোভাবে রক্ষা করতে পারে। এটা দীর্ঘমেয়াদি দাপটের নিশ্চয়তাও দেয়। এভাবেই আসলে রাজত্ব নিশ্চিত করতে হয়।
বাংলাদেশ ভ্রমণের সময় আমার মনে হয়েছে এই দেশের ক্রিকেটও ভারতের পদচিহ্ন অনুসরণ করছে। সেখানকারই ক্রিকেটেও অর্থের প্রবাহ অব্যাহত আছে এবং বাংলাদেশ নিজেদের উন্নতির একটা পথ তৈরি করেছে। পাশাপাশি দীর্ঘ অপেক্ষার পর দারুণ কিছু ফলও পেতে শুরু করেছে দলটি। এর মাঝে তারা ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, সেদিন আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত তাদের বঞ্চিত করেছে। এরপর চার মাসের মধ্যে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছ, ভারতকে মাটিতে নামিয়েছে ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতেছে। এই ফলগুলো দুর্দান্ত। তবে আসল কাজটা হচ্ছিল মূলত এক স্তর নিচে, জুনিয়র ক্রিকেটে। ছয় মাস পর দ্বিতীয়বার ভ্রমণে আমি সেটার সাক্ষীও হয়েছি।
জানুয়ারি ২০১৬ সালে আমি বাংলাদেশ গিয়েছিলাম আইসিসি অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ কাভার করতে। আগের দুই বছর ধরে বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টটির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। একদল প্রতিভাবান তরুণ বৈশ্বিক শিরোপা জেতার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুত হচ্ছিল। উজ্জীবিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি জিততে না পারত তবে বাংলাদেশই শেষ পর্যন্ত জয়ের আনন্দে মাততে পারত। কিন্তু ২০১৬ সালে অল্পের জন্য না পারলেও এটা বোঝা যাচ্ছিল যে সাফল্য খুব কাছে অপেক্ষা করছিল। এরপর ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ঠিকই শিরোপা জিতে নিয়েছে। যেখানে ফাইনালে তারা ভারতকে হারিয়েছে। তাদের উদ্যাপনও ছিল আবেগময় ও বাঁধভাঙা। সেদিন পচেফস্ট্রুমে বাংলাদেশি তরুণ খেলোয়াড়দের বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস ভারতসহ গোটা বিশ্বকে বলে দিচ্ছিল, তোমরা এবার আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে নাও।
বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ভারতের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ এবং সমর্থকেরা কীভাবে দেখছেন? আরও বৃহৎ অর্থে বললে, গড়পড়তা ভারতীয়রা বাংলাদেশকে কীভাবে দেখে? ইতিবাচক উত্তরটি হচ্ছে, উৎসাহীভাবে এবং নেতিবাচক উত্তরটি হচ্ছে, অশ্রদ্ধার সঙ্গে দেখা হয়। তবে বেশির ভাগেরই বাংলাদেশ নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই। এটা এমন যে তারা বাংলাদেশকে যেন চেনেই না! হ্যাঁ, এটা ঠিক যে ভারতে বাংলাদেশ–বিরোধী প্রচারণা রয়েছে। কিন্তু সময়টাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। মূলত পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের নির্বাচনের সময় এ বিষয়টি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
এটা ধ্রুব সত্য, ভারত যখন বাংলাদেশকে তাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সহযোগিতা করে, তখন এটা পাকিস্তানের (কখনো চীন) মতো আমাদের অবদমনের বিষয় ছিল না। এর কারণ পাকিস্তানকে দেখা হয় অস্তিত্বের হুমকি হিসেবে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে যখন উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কও অব্যাহত থাকে তখন একধরনের সৌহার্দ্য দেখা যায়।
এটা ক্রিকেটের দিক থেকেও একইভাবে সত্য। যেটির উদাহরণ হিসেবে বীরেন্দর শেবাগের বাংলাদেশ খারিজ করে দেয়, বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের কম ম্যাচ খেলা এবং স্টার স্পোর্টসের ২০১৫ সালের সফরের আগে ‘বাচ্চা বাড়া হো গায়া (বাচ্চা বড় হয়ে গেছে) ’ বিজ্ঞাপনের কথা বলা যায়।
কিন্তু ভূ–রাজনৈতিক পরিস্থিতির মতো ক্রিকেট মাঠেও ভারতের উচিত বাংলাদেশকে তার প্রাপ্য সম্মান দেওয়া ও সমতামূলক আচরণ করা। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে চার হাজার কিলোমিটারের সীমানা ভাগাভাগি করে। যা বিশ্বের পঞ্চম দীর্ঘতম ভূ–সীমানা। এমনকি ভারত–পাকিস্তান ও ভারত–চীনের চেয়েও অনেক বড়। জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে লড়াইটাও বাড়ে। বাংলাদেশ যতই উন্নতি করেছে ও মধ্য শক্তির দেশে পরিণত হয়েছে, কিন্তু এর মাঝে দুই দেশেই মৌলবাদ বেড়েছে। যা দুই দেশের ১৯৭১ সালের বন্ধুত্বকেও ম্লান করেছে। দুই দেশের উচিত বিষয়গুলো আরও পরিপক্বতার সঙ্গে বিবেচনা করা। পাশাপাশি যেকোনো সমস্যা সম্মান ও পারস্পরিক সমঝোতার সঙ্গে সমাধান করা।
ক্রিকেটে ভারত বাংলাদেশের উন্নতিকে মূল্যায়ন করতে পারে দেশে ও দেশের বাইরে আরও বেশি দ্বিপক্ষীয় ম্যাচ খেলার মাধ্যমে। আমার দেখছি, সামনের দিনগুলোতে ভারত–পাকিস্তান দ্বৈরথকে এটি প্রতিস্থাপন করতে না পারলেও, সমমানের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে। ভারত তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে খেলতে পারছে না। শ্রীলঙ্কা তাদের গৌরবোজ্জ্বল অতীত হারিয়ে ফেলেছে। একটি নতুন ও স্বাস্থ্যকর উপমহাদেশীয় দ্বৈরথ দুই পক্ষকেই সহায়তা করবে। এটা সময়ের দাবিও বটে।
লেখক: কানাডাপ্রবাসী ভারতীয় সাংবাদিক

ঢাকা: অনেক দিন আগের কথা, নির্দিষ্ট করে বললে ছয়টা জুন আগের কথা, যখন আমার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ভ্রমণের সৌভাগ্য হয়েছিল। একদল ভারতীয় সাংবাদিকের সঙ্গে ভারতীয় দলের এক টেস্ট ও তিন ওয়ানডে ম্যাচের সংক্ষিপ্ত সফর কাভার করতে গিয়েছিলাম। ব্যস্ত সেই তিন সপ্তাহের সফরে অনিন্দ্যসুন্দর দেশটিকে দারুণভাবে জানতে পেরেছিলাম। একই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে আমি আমার নিজের দেশ ভারতের কিছু বিষয়ও বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছিলাম।
দেশটিতে পা রাখার আগেই মানচিত্রে দেশটি দেখে আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম। সেখানে দেখে দেশটিকে ভারতের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ বলেই মনে হচ্ছিল। সেই একই আকার: একটি মাথা ও পাশাপাশি বেরিয়ে যাওয়া দুটি প্রসারিত অংশ। আর পায়ে জড়িয়ে আছে সমুদ্র। এরপর যখন আমি প্রথম হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পা রাখি, দেখলাম দুটি দেশের মধ্যে মানচিত্রের মতো বাস্তব জীবনেও মিল আছে।
আমি দেশটির অসাধারণ প্রাণশক্তি অনুভব করতে পেরেছিলাম। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতাও কম নয়। ফলে যে অস্থিরতা তৈরি হয় তা প্রাণশক্তি নষ্টও করে। নব্বই দশকে ভারতেও এর ব্যতিক্রম ছিল না, যখন প্রবৃদ্ধি বাড়তে শুরু করেছিল। সে সময় মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হচ্ছিল। মধ্যবিত্তের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছিল। দেশের ভেতর এমন একটা বিশ্বাস ছড়িয়ে পড়েছিল যে শক্তির কেন্দ্রে তার নিজের আসনটি খুঁজে নিতে হবে। কিন্তু ভারতের স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসে ২০১৬ সালের পর থেকে। সেই সময় একসঙ্গে অনেকগুলো ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেটা অবশ্য অন্য বিষয়। কিন্তু সাম্প্রতিক প্রবৃদ্ধি নির্দেশক বলছে, বাংলাদেশ এখনো সম্ভাবনাময়।
আপনি হয়তো ক্রিকেট কলামে অর্থনীতি নিয়ে কেন কথা বলছি সেটা ভেবে অবাক হচ্ছেন! এগুলো পরিপূরক বিষয়। ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেশটির ক্রিকেটকে প্রভাবিত করেছে। উত্তর–উদারনৈতিক সময়ে করপোরেট ভারতের লাভের পরিমাণও বেড়েছে। সেই উদ্বৃত্তের একটা অংশ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসেছে ক্রিকেটে। যা বিসিসিআইকে টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের সুযোগ করে দিয়েছে। যার ভেতর দিয়ে বেরিয়ে এসেছে অনেক ক্রিকেটার। এখনকার শক্তিশালী ভারত যে সবাইকে হারাতে পারে, তাঁর কারণ মূলত এটাই।
দুটি উপায়ে ক্রিকেটে দাপট দেখানো যেতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ–পাকিস্তানি উপায় এবং অস্ট্রেলিয়া–ভারত উপায়। প্রথমটিতে দল নির্ভর করে প্রতিভা ও আবেগের ওপর। এখানে কোনো ধরনের সিস্টেম ছাড়াই দল সফল হতে পারে। এই ক্রিকেট অনেকটা রোমান্টিক ক্রিকেট। তবে সমসাময়িক ক্রিকেটে এই দাপট মোটেই স্থায়ী না। দ্বিতীয় পদ্ধতিতেও প্রতিভা প্রয়োজন। পাশাপাশি সঠিক পদ্ধতি ও দেখভাল একে ভালোভাবে রক্ষা করতে পারে। এটা দীর্ঘমেয়াদি দাপটের নিশ্চয়তাও দেয়। এভাবেই আসলে রাজত্ব নিশ্চিত করতে হয়।
বাংলাদেশ ভ্রমণের সময় আমার মনে হয়েছে এই দেশের ক্রিকেটও ভারতের পদচিহ্ন অনুসরণ করছে। সেখানকারই ক্রিকেটেও অর্থের প্রবাহ অব্যাহত আছে এবং বাংলাদেশ নিজেদের উন্নতির একটা পথ তৈরি করেছে। পাশাপাশি দীর্ঘ অপেক্ষার পর দারুণ কিছু ফলও পেতে শুরু করেছে দলটি। এর মাঝে তারা ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, সেদিন আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত তাদের বঞ্চিত করেছে। এরপর চার মাসের মধ্যে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছ, ভারতকে মাটিতে নামিয়েছে ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতেছে। এই ফলগুলো দুর্দান্ত। তবে আসল কাজটা হচ্ছিল মূলত এক স্তর নিচে, জুনিয়র ক্রিকেটে। ছয় মাস পর দ্বিতীয়বার ভ্রমণে আমি সেটার সাক্ষীও হয়েছি।
জানুয়ারি ২০১৬ সালে আমি বাংলাদেশ গিয়েছিলাম আইসিসি অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ কাভার করতে। আগের দুই বছর ধরে বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টটির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। একদল প্রতিভাবান তরুণ বৈশ্বিক শিরোপা জেতার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুত হচ্ছিল। উজ্জীবিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি জিততে না পারত তবে বাংলাদেশই শেষ পর্যন্ত জয়ের আনন্দে মাততে পারত। কিন্তু ২০১৬ সালে অল্পের জন্য না পারলেও এটা বোঝা যাচ্ছিল যে সাফল্য খুব কাছে অপেক্ষা করছিল। এরপর ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ঠিকই শিরোপা জিতে নিয়েছে। যেখানে ফাইনালে তারা ভারতকে হারিয়েছে। তাদের উদ্যাপনও ছিল আবেগময় ও বাঁধভাঙা। সেদিন পচেফস্ট্রুমে বাংলাদেশি তরুণ খেলোয়াড়দের বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস ভারতসহ গোটা বিশ্বকে বলে দিচ্ছিল, তোমরা এবার আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে নাও।
বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ভারতের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ এবং সমর্থকেরা কীভাবে দেখছেন? আরও বৃহৎ অর্থে বললে, গড়পড়তা ভারতীয়রা বাংলাদেশকে কীভাবে দেখে? ইতিবাচক উত্তরটি হচ্ছে, উৎসাহীভাবে এবং নেতিবাচক উত্তরটি হচ্ছে, অশ্রদ্ধার সঙ্গে দেখা হয়। তবে বেশির ভাগেরই বাংলাদেশ নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই। এটা এমন যে তারা বাংলাদেশকে যেন চেনেই না! হ্যাঁ, এটা ঠিক যে ভারতে বাংলাদেশ–বিরোধী প্রচারণা রয়েছে। কিন্তু সময়টাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। মূলত পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের নির্বাচনের সময় এ বিষয়টি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
এটা ধ্রুব সত্য, ভারত যখন বাংলাদেশকে তাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সহযোগিতা করে, তখন এটা পাকিস্তানের (কখনো চীন) মতো আমাদের অবদমনের বিষয় ছিল না। এর কারণ পাকিস্তানকে দেখা হয় অস্তিত্বের হুমকি হিসেবে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে যখন উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কও অব্যাহত থাকে তখন একধরনের সৌহার্দ্য দেখা যায়।
এটা ক্রিকেটের দিক থেকেও একইভাবে সত্য। যেটির উদাহরণ হিসেবে বীরেন্দর শেবাগের বাংলাদেশ খারিজ করে দেয়, বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের কম ম্যাচ খেলা এবং স্টার স্পোর্টসের ২০১৫ সালের সফরের আগে ‘বাচ্চা বাড়া হো গায়া (বাচ্চা বড় হয়ে গেছে) ’ বিজ্ঞাপনের কথা বলা যায়।
কিন্তু ভূ–রাজনৈতিক পরিস্থিতির মতো ক্রিকেট মাঠেও ভারতের উচিত বাংলাদেশকে তার প্রাপ্য সম্মান দেওয়া ও সমতামূলক আচরণ করা। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে চার হাজার কিলোমিটারের সীমানা ভাগাভাগি করে। যা বিশ্বের পঞ্চম দীর্ঘতম ভূ–সীমানা। এমনকি ভারত–পাকিস্তান ও ভারত–চীনের চেয়েও অনেক বড়। জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে লড়াইটাও বাড়ে। বাংলাদেশ যতই উন্নতি করেছে ও মধ্য শক্তির দেশে পরিণত হয়েছে, কিন্তু এর মাঝে দুই দেশেই মৌলবাদ বেড়েছে। যা দুই দেশের ১৯৭১ সালের বন্ধুত্বকেও ম্লান করেছে। দুই দেশের উচিত বিষয়গুলো আরও পরিপক্বতার সঙ্গে বিবেচনা করা। পাশাপাশি যেকোনো সমস্যা সম্মান ও পারস্পরিক সমঝোতার সঙ্গে সমাধান করা।
ক্রিকেটে ভারত বাংলাদেশের উন্নতিকে মূল্যায়ন করতে পারে দেশে ও দেশের বাইরে আরও বেশি দ্বিপক্ষীয় ম্যাচ খেলার মাধ্যমে। আমার দেখছি, সামনের দিনগুলোতে ভারত–পাকিস্তান দ্বৈরথকে এটি প্রতিস্থাপন করতে না পারলেও, সমমানের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে। ভারত তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে খেলতে পারছে না। শ্রীলঙ্কা তাদের গৌরবোজ্জ্বল অতীত হারিয়ে ফেলেছে। একটি নতুন ও স্বাস্থ্যকর উপমহাদেশীয় দ্বৈরথ দুই পক্ষকেই সহায়তা করবে। এটা সময়ের দাবিও বটে।
লেখক: কানাডাপ্রবাসী ভারতীয় সাংবাদিক

সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন পর্বের প্রথম ম্যাচে রাজশাহীকে জিতিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এমন কিছু করার সুযোগ ছিল রায়ান রিকেলটনের সামনেও। কিন্তু নিজের কাজটা ঠিকঠাক করলেও সতীর্থদের পূর্ণ সহায়তা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত শান্তর মতো জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি তিনি।
৩৫ মিনিট আগে
জয় দিয়েই ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) যাত্রা শুরু করেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে সিলেট টাইটানসকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে আজ রাজশাহীর প্রতিপক্ষ ঢাকা ক্যাপিটালস। দিনের অপর ম্যাচে সিলেট টাইটানসের প্রতিপক্ষ নোয়াখালী এক্সপ্রেস।
১ ঘণ্টা আগে
বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস...
১১ ঘণ্টা আগে
বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
১৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন পর্বের প্রথম ম্যাচে রাজশাহীকে জিতিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এমন কিছু করার সুযোগ ছিল রায়ান রিকেলটনের সামনেও। কিন্তু নিজের কাজটা ঠিকঠাক করলেও সতীর্থদের পূর্ণ সহায়তা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত শান্তর মতো জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি তিনি।
বিপিএলের মতো গতকাল মাঠে গড়িয়েছে এসএ টি–টোয়েন্টির নতুন পর্ব। উদ্বোধনী ম্যাচে ডারবান সুপারজায়ান্টসের কাছে ১৫ রানে হেরেছে এমআই কেপটাউন। ডারবানের করা ২৩২ রানের জবাবে ২১৭ রানে থামে তাদের ইনিংস। প্রথম ইনিংসের পরই ম্যাচের ভবিষ্যত সম্পর্কে কিছুটা হলেও আঁচ করতে পেরেছিল সবাই। কিন্তু ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন রিকেলটন। মুলত তাঁর ব্যাটেই পাহাড়সম রান টপকানোর স্বপ্ন দেখছিল কেপটাউন।
ওপেনিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হন রিকেলটন। ইথান বশের বলে ইভান জোন্সের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেন ১১৩ রান। ৫ চার ও ১১ ছক্কায় সাজানো তাঁর ৬৩ বলের ইনিংস। এক জেসন স্মিথ ছাড়া আর কেউ তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি। ১৪ বলে ৪১ রান এনে দেন স্মিথ। ৪ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো তাঁর ২৯২.৮৬ স্ট্রাইকরেটের ইনিংস। রেজা হেনরিকস করেন ২৮ রান। তাঁর ২১ বলের ইনিংসটি পরিস্থিতির চাহিদা মেটাতে পারেনি। ডারবানের হয়ে ৪ উইকেট নেন ইথান। ৪ ওভারে এই পেসারের খরচ ৪৬ রান।
এর আগে দলীয় প্রচেষ্টায় এই পুঁজি পায় ডারবান। ৩৩ বলে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন ডেভন কনওয়ে। কেইন উইলিয়ামসনের ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। এছাড়া এইডেন মার্করাম ৩৫, জোন্স ৩৩ ও হেনরিখ ক্লাসেন করেন ২২ রান। ৪৬ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন জর্জ লিন্ডে।

সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন পর্বের প্রথম ম্যাচে রাজশাহীকে জিতিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এমন কিছু করার সুযোগ ছিল রায়ান রিকেলটনের সামনেও। কিন্তু নিজের কাজটা ঠিকঠাক করলেও সতীর্থদের পূর্ণ সহায়তা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত শান্তর মতো জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি তিনি।
বিপিএলের মতো গতকাল মাঠে গড়িয়েছে এসএ টি–টোয়েন্টির নতুন পর্ব। উদ্বোধনী ম্যাচে ডারবান সুপারজায়ান্টসের কাছে ১৫ রানে হেরেছে এমআই কেপটাউন। ডারবানের করা ২৩২ রানের জবাবে ২১৭ রানে থামে তাদের ইনিংস। প্রথম ইনিংসের পরই ম্যাচের ভবিষ্যত সম্পর্কে কিছুটা হলেও আঁচ করতে পেরেছিল সবাই। কিন্তু ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন রিকেলটন। মুলত তাঁর ব্যাটেই পাহাড়সম রান টপকানোর স্বপ্ন দেখছিল কেপটাউন।
ওপেনিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হন রিকেলটন। ইথান বশের বলে ইভান জোন্সের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেন ১১৩ রান। ৫ চার ও ১১ ছক্কায় সাজানো তাঁর ৬৩ বলের ইনিংস। এক জেসন স্মিথ ছাড়া আর কেউ তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি। ১৪ বলে ৪১ রান এনে দেন স্মিথ। ৪ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো তাঁর ২৯২.৮৬ স্ট্রাইকরেটের ইনিংস। রেজা হেনরিকস করেন ২৮ রান। তাঁর ২১ বলের ইনিংসটি পরিস্থিতির চাহিদা মেটাতে পারেনি। ডারবানের হয়ে ৪ উইকেট নেন ইথান। ৪ ওভারে এই পেসারের খরচ ৪৬ রান।
এর আগে দলীয় প্রচেষ্টায় এই পুঁজি পায় ডারবান। ৩৩ বলে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন ডেভন কনওয়ে। কেইন উইলিয়ামসনের ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। এছাড়া এইডেন মার্করাম ৩৫, জোন্স ৩৩ ও হেনরিখ ক্লাসেন করেন ২২ রান। ৪৬ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন জর্জ লিন্ডে।

অনেক দিন আগের কথা, নির্দিষ্ট করে বললে পাঁচটা জুন আগের কথা, যখন আমার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ভ্রমণের সৌভাগ্য হয়েছিল। একদল ভারতীয় সাংবাদিকের সঙ্গে ভারতীয় দলের এক টেস্ট ও তিন ওয়ানডে ম্যাচের সংক্ষিপ্ত সফর কাভার করতে গিয়েছিলাম। ব্যস্ত সেই তিন সপ্তাহের সফরে অনিন্দ্যসুন্দর দেশটিকে দারুণভাবে জানতে পেরেছিলাম
২৭ জুন ২০২১
জয় দিয়েই ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) যাত্রা শুরু করেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে সিলেট টাইটানসকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে আজ রাজশাহীর প্রতিপক্ষ ঢাকা ক্যাপিটালস। দিনের অপর ম্যাচে সিলেট টাইটানসের প্রতিপক্ষ নোয়াখালী এক্সপ্রেস।
১ ঘণ্টা আগে
বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস...
১১ ঘণ্টা আগে
বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
১৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

জয় দিয়েই ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) যাত্রা শুরু করেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে সিলেট টাইটানসকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে আজ রাজশাহীর প্রতিপক্ষ ঢাকা ক্যাপিটালস। দিনের অপর ম্যাচে সিলেট টাইটানসের প্রতিপক্ষ নোয়াখালী এক্সপ্রেস। একনজরে আজকের টিভি সূচি।
ক্রিকেট
বিপিএল
ঢাকা ক্যাপিটালস-রাজশাহী ওয়ারিয়র্স
বেলা ১টা, সরাসরি
সিলেট টাইটানস-নোয়াখালী এক্সপ্রেস
সন্ধ্যা ৬টা, সরাসরি
টি স্পোর্টস
মেলবোর্ন টেস্ট: দ্বিতীয় দিন
অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড
ভোর ৫টা ৩০ মিনিট, সরাসরি
স্টার স্পোর্টস ১ ও ২
বিগ ব্যাশ লিগ
ব্রিসবেন হিট-অ্যাডিলেড স্টাইকার্স
বেলা ২টা ১৫ মিনিট, সরাসরি
স্টার স্পোর্টস ২
ফুটবল
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
নটিংহাম-ম্যানসিটি
সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট, সরাসরি
আর্সেনাল-ব্রাইটন
রাত ৯টা, সরাসরি
চেলসি-অ্যাস্টন ভিলা
রাত ১১টা ৩০ মিনিট, সরাসরি
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১
লিভারপুল-উলভারহ্যাম্পটন
রাত ৯টা, সরাসরি
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২

জয় দিয়েই ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) যাত্রা শুরু করেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে সিলেট টাইটানসকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে আজ রাজশাহীর প্রতিপক্ষ ঢাকা ক্যাপিটালস। দিনের অপর ম্যাচে সিলেট টাইটানসের প্রতিপক্ষ নোয়াখালী এক্সপ্রেস। একনজরে আজকের টিভি সূচি।
ক্রিকেট
বিপিএল
ঢাকা ক্যাপিটালস-রাজশাহী ওয়ারিয়র্স
বেলা ১টা, সরাসরি
সিলেট টাইটানস-নোয়াখালী এক্সপ্রেস
সন্ধ্যা ৬টা, সরাসরি
টি স্পোর্টস
মেলবোর্ন টেস্ট: দ্বিতীয় দিন
অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড
ভোর ৫টা ৩০ মিনিট, সরাসরি
স্টার স্পোর্টস ১ ও ২
বিগ ব্যাশ লিগ
ব্রিসবেন হিট-অ্যাডিলেড স্টাইকার্স
বেলা ২টা ১৫ মিনিট, সরাসরি
স্টার স্পোর্টস ২
ফুটবল
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
নটিংহাম-ম্যানসিটি
সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট, সরাসরি
আর্সেনাল-ব্রাইটন
রাত ৯টা, সরাসরি
চেলসি-অ্যাস্টন ভিলা
রাত ১১টা ৩০ মিনিট, সরাসরি
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১
লিভারপুল-উলভারহ্যাম্পটন
রাত ৯টা, সরাসরি
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২

অনেক দিন আগের কথা, নির্দিষ্ট করে বললে পাঁচটা জুন আগের কথা, যখন আমার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ভ্রমণের সৌভাগ্য হয়েছিল। একদল ভারতীয় সাংবাদিকের সঙ্গে ভারতীয় দলের এক টেস্ট ও তিন ওয়ানডে ম্যাচের সংক্ষিপ্ত সফর কাভার করতে গিয়েছিলাম। ব্যস্ত সেই তিন সপ্তাহের সফরে অনিন্দ্যসুন্দর দেশটিকে দারুণভাবে জানতে পেরেছিলাম
২৭ জুন ২০২১
সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন পর্বের প্রথম ম্যাচে রাজশাহীকে জিতিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এমন কিছু করার সুযোগ ছিল রায়ান রিকেলটনের সামনেও। কিন্তু নিজের কাজটা ঠিকঠাক করলেও সতীর্থদের পূর্ণ সহায়তা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত শান্তর মতো জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি তিনি।
৩৫ মিনিট আগে
বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস...
১১ ঘণ্টা আগে
বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস, দলের প্রথম ম্যাচে অন্তত সে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। করেছেন মাত্র ১১ রান। আর তাঁর দল বিপিএলে নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৭৪ রান। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে ৬৫ রানে হেরেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বারবার ব্যর্থ হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট বরাবরই চওড়া। সব সময়ই রান পান তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং ধারাবাহিকতার দিকে তাকিয়েই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস। উইকেটে এসে ১১টি বল খেলেছেন। ২টি চারে ১১ রান করে মেহেদী হাসান রানার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাব্বির হোসেনের হাতে। নাঈম আউট হয়ে গেলেও আরেক ওপেনার মির্জা বেগ এক প্রান্ত ধরে রেখে খেলতে থাকেন। আর তাতেই টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেওয়া চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৪ রান।
ওপেনিংয়ে ২৯ রানের জুটির পর মাহফিজুল ইসলামকে নিয়ে ২৫ বলে ৩৫ রান যোগ করেন মির্জা বেগ। দলের ৬৪ রানে ব্যক্তিগত ১৬ করে ফিরে যান মাহফিজুল। তবে এরপরই জাতীয় দলের টেস্ট ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে ৪১ বলে ৫৮ রানের বড় জুটিটি গড়েন পাকিস্তানি ব্যাটার মির্জা বেগ। মাহমুদুল হাসান জয়ও তেমন রান করতে পারেননি। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বোলারদের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে ১২ বলে করেন ১৭ রান। চট্টগ্রাম রয়্যালসের অধিনায়ক মেহেদী হাসান উইকেটে এসে অবশ্য রান তোলার গতি বাড়িয়ে নিতে মনোযোগী হন। সাব্বির হোসেনের শিকার হওয়ার আগে ১৩ বলে করেন ২৬ রান। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস।
১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬.৫ ওভারেই অলআউট নোয়াখালী। ওপেনার মাজ সাদাকাত ২৭ বলে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। হায়দার আলী ২৪ বলে করেন ২৮ রান। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ইনিংসে আর মাত্র একজনই—হাবিবুর রহমান সোহান রানের দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন।
ইনিংসের শেষ বলে বোলার হাসান মাহমুদকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে ৮০ রান করেন তিনি। ৭টি চার ও ২ ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। বল হাতে সবচেয়ে সফল তানভির ইসলাম; ৩৯ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল, মেহেদী হাসান ও মুকিদুল ইসলাম।

বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস, দলের প্রথম ম্যাচে অন্তত সে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। করেছেন মাত্র ১১ রান। আর তাঁর দল বিপিএলে নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৭৪ রান। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে ৬৫ রানে হেরেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বারবার ব্যর্থ হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট বরাবরই চওড়া। সব সময়ই রান পান তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং ধারাবাহিকতার দিকে তাকিয়েই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস। উইকেটে এসে ১১টি বল খেলেছেন। ২টি চারে ১১ রান করে মেহেদী হাসান রানার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাব্বির হোসেনের হাতে। নাঈম আউট হয়ে গেলেও আরেক ওপেনার মির্জা বেগ এক প্রান্ত ধরে রেখে খেলতে থাকেন। আর তাতেই টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেওয়া চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৪ রান।
ওপেনিংয়ে ২৯ রানের জুটির পর মাহফিজুল ইসলামকে নিয়ে ২৫ বলে ৩৫ রান যোগ করেন মির্জা বেগ। দলের ৬৪ রানে ব্যক্তিগত ১৬ করে ফিরে যান মাহফিজুল। তবে এরপরই জাতীয় দলের টেস্ট ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে ৪১ বলে ৫৮ রানের বড় জুটিটি গড়েন পাকিস্তানি ব্যাটার মির্জা বেগ। মাহমুদুল হাসান জয়ও তেমন রান করতে পারেননি। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বোলারদের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে ১২ বলে করেন ১৭ রান। চট্টগ্রাম রয়্যালসের অধিনায়ক মেহেদী হাসান উইকেটে এসে অবশ্য রান তোলার গতি বাড়িয়ে নিতে মনোযোগী হন। সাব্বির হোসেনের শিকার হওয়ার আগে ১৩ বলে করেন ২৬ রান। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস।
১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬.৫ ওভারেই অলআউট নোয়াখালী। ওপেনার মাজ সাদাকাত ২৭ বলে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। হায়দার আলী ২৪ বলে করেন ২৮ রান। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ইনিংসে আর মাত্র একজনই—হাবিবুর রহমান সোহান রানের দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন।
ইনিংসের শেষ বলে বোলার হাসান মাহমুদকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে ৮০ রান করেন তিনি। ৭টি চার ও ২ ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। বল হাতে সবচেয়ে সফল তানভির ইসলাম; ৩৯ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল, মেহেদী হাসান ও মুকিদুল ইসলাম।

অনেক দিন আগের কথা, নির্দিষ্ট করে বললে পাঁচটা জুন আগের কথা, যখন আমার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ভ্রমণের সৌভাগ্য হয়েছিল। একদল ভারতীয় সাংবাদিকের সঙ্গে ভারতীয় দলের এক টেস্ট ও তিন ওয়ানডে ম্যাচের সংক্ষিপ্ত সফর কাভার করতে গিয়েছিলাম। ব্যস্ত সেই তিন সপ্তাহের সফরে অনিন্দ্যসুন্দর দেশটিকে দারুণভাবে জানতে পেরেছিলাম
২৭ জুন ২০২১
সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন পর্বের প্রথম ম্যাচে রাজশাহীকে জিতিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এমন কিছু করার সুযোগ ছিল রায়ান রিকেলটনের সামনেও। কিন্তু নিজের কাজটা ঠিকঠাক করলেও সতীর্থদের পূর্ণ সহায়তা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত শান্তর মতো জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি তিনি।
৩৫ মিনিট আগে
জয় দিয়েই ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) যাত্রা শুরু করেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে সিলেট টাইটানসকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে আজ রাজশাহীর প্রতিপক্ষ ঢাকা ক্যাপিটালস। দিনের অপর ম্যাচে সিলেট টাইটানসের প্রতিপক্ষ নোয়াখালী এক্সপ্রেস।
১ ঘণ্টা আগে
বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
১৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
বেঙ্গালুরুতে গুজরাটের বিপক্ষে ৬১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অন্তত ৫ হাজার রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড়ের মালিক বনে গেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। আগের রেকর্ডটি ছিল মাইকেল বেভানের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটারের গড় ৫৭.৮৬। ৫৭.৮৭ গড় নিয়ে তাঁকে পেছনে ফেললেন কোহলি।
তিনে আছেন স্যাম হেইন। এই ইংলিশ ব্যাটারের গড় ৫৭.৭৬। পরের স্থান দুটিতে আছেন চেতেশ্বর পূজারা (৫৭.০১) ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫৬.৬৮)। বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচে ৭৭ রানের ইনিংসের পাশাপাশি দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন কোহলি। আগের ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। পেছনে ফেলেন ব্যাটিং মাস্টার শচীন টেন্ডুলকারকে।
একই দিন মুম্বাইয়ের হয়ে উত্তরখন্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন রোহিত। জয়পুরে ওপেনিং করতে নেমে পেসার দেবেন্দ্র বোরার বলে জগমোহন নগরকোটির হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাতেই দীর্ঘ ১৩ বছর পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম বলে আউট হলেন। এর আগে সবশেষ ২০১২ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারেন রোহিত।

বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
বেঙ্গালুরুতে গুজরাটের বিপক্ষে ৬১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অন্তত ৫ হাজার রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড়ের মালিক বনে গেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। আগের রেকর্ডটি ছিল মাইকেল বেভানের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটারের গড় ৫৭.৮৬। ৫৭.৮৭ গড় নিয়ে তাঁকে পেছনে ফেললেন কোহলি।
তিনে আছেন স্যাম হেইন। এই ইংলিশ ব্যাটারের গড় ৫৭.৭৬। পরের স্থান দুটিতে আছেন চেতেশ্বর পূজারা (৫৭.০১) ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫৬.৬৮)। বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচে ৭৭ রানের ইনিংসের পাশাপাশি দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন কোহলি। আগের ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। পেছনে ফেলেন ব্যাটিং মাস্টার শচীন টেন্ডুলকারকে।
একই দিন মুম্বাইয়ের হয়ে উত্তরখন্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন রোহিত। জয়পুরে ওপেনিং করতে নেমে পেসার দেবেন্দ্র বোরার বলে জগমোহন নগরকোটির হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাতেই দীর্ঘ ১৩ বছর পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম বলে আউট হলেন। এর আগে সবশেষ ২০১২ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারেন রোহিত।

অনেক দিন আগের কথা, নির্দিষ্ট করে বললে পাঁচটা জুন আগের কথা, যখন আমার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ভ্রমণের সৌভাগ্য হয়েছিল। একদল ভারতীয় সাংবাদিকের সঙ্গে ভারতীয় দলের এক টেস্ট ও তিন ওয়ানডে ম্যাচের সংক্ষিপ্ত সফর কাভার করতে গিয়েছিলাম। ব্যস্ত সেই তিন সপ্তাহের সফরে অনিন্দ্যসুন্দর দেশটিকে দারুণভাবে জানতে পেরেছিলাম
২৭ জুন ২০২১
সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন পর্বের প্রথম ম্যাচে রাজশাহীকে জিতিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এমন কিছু করার সুযোগ ছিল রায়ান রিকেলটনের সামনেও। কিন্তু নিজের কাজটা ঠিকঠাক করলেও সতীর্থদের পূর্ণ সহায়তা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত শান্তর মতো জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি তিনি।
৩৫ মিনিট আগে
জয় দিয়েই ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) যাত্রা শুরু করেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে সিলেট টাইটানসকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে আজ রাজশাহীর প্রতিপক্ষ ঢাকা ক্যাপিটালস। দিনের অপর ম্যাচে সিলেট টাইটানসের প্রতিপক্ষ নোয়াখালী এক্সপ্রেস।
১ ঘণ্টা আগে
বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস...
১১ ঘণ্টা আগে