Ajker Patrika

লাতিনের পুনরুত্থান, নাকি এবারও ইউরোপীয় হাসি

নাজিম আল শমষের, ঢাকা
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১৪: ২৭
লাতিনের পুনরুত্থান, নাকি এবারও ইউরোপীয় হাসি

প্রায় ৩০০ বছর পুরো দক্ষিণ আমেরিকাকে শাসন করার পর ইউরোপীয়দের দাপট কমতে শুরু করে ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে। এই অঞ্চলের অধিকাংশ দেশে স্প্যানিশদের দাপট থাকলেও পর্তুগিজ ও ফরাসিদের প্রভাবও ছিল উল্লেখযোগ্য।

ইউরোপীয়দের অধীনে এই অঞ্চলের মানুষের জীবন ছিল শোষিত দাসদের মতো। সম্পদে ভরা একের পর এক জনপদ বিরান করেছে ইউরোপিয়ানরা। রোগ-জরা আর ঘানি টানা এসব মানুষের জীবনে বিনোদন হয়ে এল ফুটবল নামের গোলক চর্মের এক খেলা। এই এক জায়গায় শোষিত থেকে শাসক হয়ে ওঠার স্বাদ পেল লাতিন অঞ্চলের মানুষ। খেলা থেকে ফুটবল হয়ে গেল গ্লানি মোছার ধর্ম। ইউরোপিয়ানদের শারীরিক শক্তির জবাবে লাতিনদের পায়ে জন্ম নিল চোখ জুড়ানো ‘ড্রিবলিং ফুটবল’।

স্প্যানিশ-পর্তুগিজদের হাত ধরে দক্ষিণ আমেরিকায় ফুটবলের আবির্ভাব। আর এই লাতিনদের ভয়ংকর সুন্দর ফুটবলে ইউরোপিয়ানরা লম্বা সময় পেরে ওঠেনি। ১৯৩০, প্রথম বিশ্বকাপেই লাতিনদের দাপট। বিশ্বকাপটা গেছে লাতিনদের প্রতিনিধি উরুগুয়ের ঘরে। পরের আসর থেকেই দলের সংখ্যা বাড়তে থাকে ইউরোপের। একই সঙ্গে বাড়তে থাকে ‘মেধা পাচার’ও। ইউরোপে পাড়ি জমানো শুরু লাতিন ফুটবল প্রতিভাদের। নিজেদের তৈরি করা ফুটবলারদের এভাবে পাচার হতে দেখে ২০ বছরের নির্বাসনে চলে যায় লাতিন সৌন্দর্যের অন্যতম ধারক আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনা না থাকায় বিশ্বকাপে লাতিন সুভাস ছড়ানোর দায়িত্বটা এককভাবে ছিল ব্রাজিলের কাঁধে।

ফুটবল বিশ্বকাপ সম্পর্কিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

তবে বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ানদের সঙ্গে লাতিনদের আসল দ্বৈরথের শুরু ১৯৮৬ বিশ্বকাপ থেকে। আগের চার ফাইনালে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার কাছে পাত্তা পায়নি ইউরোপিয়ানরা। ১৯৫৮ সালে সুইডেন বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো হয় লাতিন-ইউরোপ ফাইনাল। সেবার স্বাগতিক সুইডেনকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু বিনোদনের বাইরে ফুটবল যে হতে পারে বঞ্চনার জবাব, হতে পারে যুদ্ধে হারের যন্ত্রণার প্রলেপ, সেটাই ’৮৬ বিশ্বকাপে দেখিয়েছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা পেয়েছিল যুদ্ধজয়ের প্রশান্তিও। পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে জেতে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। চার বছর পর সেই হারের শোধ নেয় জার্মানি। লাতিনদের বিপক্ষে ফাইনালে প্রথম জয়ের স্বাদ পায় ইউরোপীয় কোনো দেশ। আর সেই ফাইনালের পর থেকেই ফুটবলে কমতে থাকে লাতিনদের দাপট।  বিশ্বকাপে সাফল্যের ঝান্ডা বেশি ওড়ায় ইউরোপীয় দলগুলোই।

এই কাতার বিশ্বকাপ বাদে ফাইনালে ইউরোপিয়ানদের সঙ্গে লাতিনদের লড়াই হয়েছে ১০বার। বিশ্বকাপে ব্রাজিল যে ৫ শিরোপা জিতেছে, প্রতিটিই ইউরোপিয়ানদের হারিয়ে। আর্জেন্টিনার দুই শিরোপাও তা-ই—একটি নেদারল্যান্ডস, আরেকটি পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে। দুই ফাইনালে আর্জেন্টিনার কান্নার কারণও এক ইউরোপীয় দল—জার্মানি। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জিততে দেয়নি আরেক ইউরোপের দল ফ্রান্স।

ফাইনালে ইউরোপীয়দের সঙ্গে দ্বৈরথে পরিসংখ্যান যদিও হেলে লাতিনদের দিকে, কিন্তু এসব জয়ের বেশির ভাগই এসেছে গত শতাব্দীতে। এই শতাব্দীতে বিশ্বায়নের প্রভাবে ইউরোপিয়ান ফুটবল যতটুকু এগিয়েছে, ততটুকুই খেই হারিয়েছে লাতিনদের চিরন্তন সৌন্দর্য। এই শতাব্দীতে শুধু ব্রাজিলই পেরেছে লাতিনদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে, সেটিও একবার। ২০০৬ থেকে ২০১৮ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়েছে ইউরোপের কোনো না কোনো দল। জার্মানি-ইতালির পাশাপাশি ফ্রান্স, বেলজিয়াম, স্পেনের উত্থানে যখন শিরোপার দাবিদার বেড়েছে ইউরোপে, সেখানে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সঙ্গে আর কোনো পরাশক্তি তৈরি হয়নি লাতিনে। এখানে দুবারের বিশ্বজয়ী উরুগুয়ের সাফল্য বলার মতো নয়।  

গত দুই যুগে বিশ্ব ফুটবলে ফ্রান্সের উত্থান এগিয়ে রেখেছে ইউরোপকে। মিশেল প্লাতিনিরা স্বপ্ন দেখালেও তা বাস্তবে রূপ দিতে পারেননি। নব্বইয়ের দশকে জিদানদের হাত ধরে ফরাসিদের দাপটের শুরু। এই শতাব্দীতে সবচেয়ে বেশি ফাইনাল খেলার অনন্য কীর্তি তাদের। গত ২৪ বছরে তিন ফাইনাল খেলে দুবার শিরোপা জিতেছে ফ্রান্স, যেখানে আর্জেন্টিনা জিতেছে পাঁচ ফাইনালের দুটিতে। তবে গত আট বছরে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় ফাইনাল খেলা ইঙ্গিত দিচ্ছে—বিশ্বায়ন থেকে শিখছে তারাও।

ইউরোপিয়ানদের বিভিন্ন লিগে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকার সুবিধাও কাজে লাগাচ্ছে আর্জেন্টিনা। লাতিন সৌন্দর্যের সঙ্গে ইউরোপিয়ান প্রেসিং ফুটবলের মিশেল অনেকটা ধ্রুপদি সংগীতের সঙ্গে হেভি মেটাল মিউজিকের মিশ্রণের মতো। ফ্রান্সের গতিময় ফুটবলে আবারও কি ইউরোপিয়ানরা এগিয়ে যাবে, নাকি লাতিনদের ২০ বছরের বিশ্বকাপ খরা কাটবে আর্জেন্টিনার হাত ধরে, সেই ফয়সালা হবে আগামীকালই।

ইউরোপিয়ানদের সঙ্গে লাতিনদের লড়াই
লাতিনদের বিশ্বকাপ: ৭টি
ইউরোপের বিশ্বকাপ: ৩টি

বিশ্বকাপ ফুটবল সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশ্বকাপ খেলতে না পারলে মাঠে বসে খেলা দেখবেন মেসি

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ১৫
লিওনেল মেসি। ছবি: এক্স
লিওনেল মেসি। ছবি: এক্স

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।

ইচ্ছা থাকলেও আরও একটি বিশ্বকাপ মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি যে হাতে নেই, সেটা ভালোভাবেই জানেন মেসি। কিছুদিন আগে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী জানিয়েছিলেন, শরীর সুস্থ থাকলে ও ফর্ম থাকলে কেবল ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।

ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আশা করি, আমি বিশ্বকাপ খেলতে পারব। আগেই বলেছি যে, আমি আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। বিশ্বকাপ খেলতে না পারা আমার জন্য সবচেয়ে খারাপ হবে। তেমনটা হলে আমি মাঠে বসে দলের খেলা উপভোগ করব।’

লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে গত সাড়ে চার বছরে একটি বিশ্বকাপের পাশাপাশি দুটি কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। দলের এমন সাফল্যে কোচের ভূমিকার কথা অকপটে স্বীকার করলেন মেসি, ‘বিশ্বকাপ সবার জন্য, যেকোনো দেশের জন্য বিশেষ; বিশেষ করে আমাদের জন্য। কারণ, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে এটা উপভোগ করি। সত্যি কথা হলো, আমাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে। বছরের পর বছর ধরে এটা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, লিওনেল স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।’

নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেসি, ‘প্রত্যেকেরই দারুণ মানসিকতা আছে। আমাদের এই দলে অনেক বিজয়ী আছে। যাদের শক্তিশালী মানসিকতা আছে, যারা আরও জিততে চায়। জয়ের ইচ্ছাটা প্রশিক্ষণে ও ম্যাচে দেখা যায়। আমাদের দলটি অসাধারণ। আমরা ভালোভাবে একত্রে কাজ করি। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা ঢেলে দেয়। এটাই এই দলের একটি বিশাল শক্তি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বয়কট থেকে সরে এসে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে ইরান

ক্রীড়া ডেস্ক    
সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। ছবি: এক্স
সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। ছবি: এক্স

প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।

বয়কট থেকে সরে এসে দুজনকে ড্র অনুষ্ঠানে পাঠাবে ইরান। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী আহমাদ ডনজামালি সংবাদ সংস্থা ইরনাকে জানিয়েছেন, ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাকবেন ইরানের প্রধান কোচ আমির গালেনোই। তাঁর সঙ্গী হবেন ইরান ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফআইআরআই) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমিদ জামালি–প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাঁদের দুজনের সঙ্গে কয়েকজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকতে পারেন।

গত আগস্টে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে ড্র হবে। নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে ড্রয়ে উপস্থিত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের ৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে ভিসা পেয়েছেন মাত্র চারজন।

ভিসা না পাওয়ার তালিকায় আছেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি মেহেদী তাজ। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় গত জুনে ১২ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় আছে ইরান। তবে অলিম্পিক ও বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের কথা ভেবে কোচ, অ্যাথলেট ও নির্বাহীদের এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে কানাডা ও মেক্সিকো। গত মার্চ মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইরান। সপ্তমবারের মতো দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে অংশ নেবে এশিয়ার দেশটি। আগের ছয় আসরে একবারও নকআউট পর্বে পা রাখতে পারেনি তারা। কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইরান। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দলটিকে হারিয়েছিল তারা। বিশ্বমঞ্চে সেটাই তাদের একমাত্র জয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফেকে টাকা দেবে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৩
৪ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। ছবি: বাফুফে
৪ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। ছবি: বাফুফে

জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

সচিবালয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতাধীন জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ সাংবাদিকদের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাফুফেকে উন্নতমানের ইউরোপীয় পর্যায়ের কোচ আনা এবং নারী খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধি—এই দুইটা খাতের জন্য আসলে কোথা থেকে অর্থের জোগাড় করা যায়, সেটা ভাবছি। হয় আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নেব অথবা যে ফান্ড আছে, সেখান থেকে সোর্স করে বাফুফেকে একটা ফান্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’

তাহলে কি হাভিয়ের কাবরেরার পরিবর্তে আসতে যাচ্ছেন নতুন কেউ? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা বাফুফের সিদ্ধান্ত। তবে ভালো কোচ আনতে গেলে একটা আর্থিক ব্যাপার আছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপের বড় বড় দলগুলো কোচদের যে টাকা দেয়, সেটা হয়তো আমাদের পুরো বাফুফের বার্ষিক বাজেটের সমান। আমরা এখনই ওই পর্যায়ে যেতে পারব না। তবে উন্নতমানের কোচ আনার ক্ষেত্রে অর্থ যেন একটা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই জায়গা থেকে আমরা একটা সহযোগিতা করার বা একটা ফান্ড তাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশ্বকাপের আগে দলে বেশি পরিবর্তন চান না লিটন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ১৭
লিটন দাস। ফাইল ছবি
লিটন দাস। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। এই অবসরে আজ রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে গেলেন লিটন দাস। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে এল বাংলাদেশ দল-প্রসঙ্গ। সেখানে লিটন জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নন তিনি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে প্রস্তুতির দারুণ এক মঞ্চ হিসেবে বিপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দেশের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারলে নতুন করে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ার সুযোগ মেলে অনেক ক্রিকেটারের। গত এক বছরে জাতীয় দলে নেই কিন্তু বিপিএলে ভালো করে ফেলল, এমন কোনো ক্রিকেটারের সুযোগ কি মিলবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে? লিটন হতাশ করছেন না। বিপিএলে ভালো করলে দরজা খোলাই থাকবে বলে মনে করেন তিনি। তবে জাতীয় দলে টানা খেলার মধ্যে থাকা ক্রিকেটারদের প্রাধান্যই বেশি তাঁর কাছে।

লিটন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যাঁরা অনেকদিন ধরে এই সংস্করণে খেলে আসছে তাঁদের প্রাধান্যই বেশি। এই দলে যে বাড়তি কোনো খেলোয়াড় ঢুকবে না বিষয়টা তাও না। কিন্তু যাঁরা এতদিন ধরে এই সংস্করণে খেলছে, ভালো করছে, আমার কাছে মনে হয় অভিজ্ঞতা তাঁদেরই বেশি। তবু বিপিএল বাংলাদেশের অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। যদি কোনো খেলোয়াড় ভালো করে, সেক্ষেত্রে নির্বাচক বা কোচ যদি মনে করে যে আমাদের ওই খেলোয়াড়কে দরকার তাহলে কেন নয়? বাংলাদেশের সবার জন্যই জায়গাটা খোলা আছে।’

বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির শেষ মঞ্চ হওয়ায় বিপিএলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ভালো খেলার তাগিদ দিলেন লিটন, ‘অনেক দিন ধরেই তো এই খেলোয়াড়েরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলছে। আমার মনে হয় চলতি বছর আমরা ১৮–১৯ জন খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খেলেছি। দল তো হয়ই ১৫-১৬ জনের। আমার মনে হয় যেসব খেলোয়াড় দলে ছিল, তারা পারফর্ম করেছে। তারা বিশ্বকাপ খেলার দাবিদার। নিকট অতীতে আমাদের মিডলঅর্ডার নিয়ে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমি সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। কারণ আমাদের দুই-একটা খেলোয়াড় রানে ফিরেছে। এখন আমরা যদি বিপিএলে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, খেলোয়াড়দের যে মানসিকতা থাকবে, বিশ্বকাপে সেটা কাজে দেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত