Ajker Patrika

উৎসবের আমেজে শেষ হলো কেএসআরএম ফুটবল টুর্নামেন্ট

বিজ্ঞপ্তি
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩: ৪৪
কেএসআরএম ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
কেএসআরএম ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা আর উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হলো কেএসআরএম ফুটবল টুর্নামেন্ট (কেএফটি সিজন-২)। গতকাল শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) টুর্নামেন্টের ফাইনালে অংশ নেয় কেএসএল ফাইটার্স ও ইলেকট্রো এলিট। ১-০ গোলে ভাগ্যনির্ধারণ হয় বিজয়ী দল কেএসএল ফাইটার্সের।

৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর কেএসআরএম ফুটবল কমপ্লেক্সের টার্ফে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন হয়। সেই থেকে প্রতিদিন চলে টুর্নামেন্টের খেলা। কেএসআরএমের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট থেকে গঠিত ২৮টি ফুটবল টিম অংশ নিয়ে খেলে ৫২টি ম্যাচ। প্রথম রাউন্ডে ৩২ ম্যাচ, দ্বিতীয় রাউন্ড বা নকআউট পর্বে অনুষ্ঠিত হয় ১৬ ম্যাচ, কোয়ার্টার ফাইনাল ৮ ম্যাচ, সেমিফাইনাল ৪ ম্যাচ, তৃতীয় স্থান নির্ধারণী এবং ফাইনাল ম্যাচ।

তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে গতবারের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মার্কেটিং ভাইকিংসকে ২-০ গোলে পরাজিত করে জয় নিশ্চিত করে নেয় শকওয়েভ স্কোয়াড।

ফাইনাল ম্যাচে দুই দলই কেএসএল ফাইটার্স এবং ইলেকট্রো এলিট দক্ষতা ও নৈপুণ্য দেখায়। টার্ফের চারপাশে ছিল দর্শকের ব্যাপক উপস্থিতি। তাদের দফায় দফায় ভুভুজেলার ধ্বনি, মুহুর্মুহু করতালি ও টান টান উত্তেজনা ছিল ম্যাচজুড়ে।

টিমের খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করতে এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে মাঠে সার্বক্ষণিক উপস্থিত ছিলেন ম্যাচ পরিচালনাকারী ১১ সদস্যের কমিটি এবং তাঁদের সহযোগী সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএমের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নবাব সিরাজ উদ্ দৌল্লা, সেলিম উদ্দিন, করিম উদ্দিন, সরওয়ার জাহানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ফাইনাল উদ্‌যাপনে সরওয়ার জাহান গান পরিবেশন করে সবাইকে উজ্জীবিত করেন, যা জয় উদ্‌যাপনে নতুন মাত্রা যোগ করে। টুর্নামেন্টের থিম সং লেখেন কেএসআরএম মার্কেটিং বিভাগের করপোরেট সেলস ম্যানেজার মুশফিকুর রহমান।

পরবর্তী সময়ে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী প্রত্যেক খেলোয়াড়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিভিন্ন পুরস্কার, সম্মাননা পদক এবং নগদ অর্থ। বিচারকেরা টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড় এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা নির্বাচন করেন বিজয়ী দল কেএসএল ফাইটার্সের সজীবকে এবং সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হন শকওয়েভ স্কোয়াডের তারেক।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে শেষে আতশবাজি ফোটানোর মধ্য দিয়ে বিজয় উদ্‌যাপন করা হয়। কেএসআরএমের ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সুশৃঙ্খল ও সুন্দর আয়োজনের জন্য টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটিকে ধন্যবাদ জানায়।

উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নবাব সিরাজ উদ্ দৌল্লা বলেন, কেএসআরএম ব্যবসার পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন ও খেলাধুলার মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা এবং ইতিবাচক মনোজাগতিক পরিবর্তনে বদ্ধপরিকর। তারই ধারাবাহিকতায় এই ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন। এমন আয়োজন ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলেও আভাস দিয়েছে কেএসআরএম ব্যবস্থাপনা পর্ষদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুই দিনে টেস্ট শেষ হওয়ায় মেলবোর্নকে বাজে রেটিং দিল আইসিসি

ক্রীড়া ডেস্ক    
দুই দিনেই শেষ হয়েছে মেলবোর্ন টেস্ট। ছবি: সংগৃহীত
দুই দিনেই শেষ হয়েছে মেলবোর্ন টেস্ট। ছবি: সংগৃহীত

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্ট শেষ হয়েছে মাত্র দুই দিনেই। তাই এই ম্যাচের উইকেটকে ‘অসন্তোষজনক’ রেটিং দিয়েছে আইসিসি। একই সঙ্গে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে ম্যাচটির উইকেটকে। আইসিসি ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো এই মূল্যায়ন করেছেন।

বক্সিং ডে টেস্টে বোলারদের জন্য ছিল বাড়তি সহায়তা। তাতে অসহায় আত্মসমর্পন করেছেন ব্যাটাররা। প্রথম দিনই দুই দল মিলে হারায় ২০ উইকেট। বোলারদের দাপট অব্যাহত ছিল দ্বিতীয় দিনেও। উইকেটের এমন আচরণের পর আইসিসি যে শাস্তি দেবে সেটা অবধারিতই ছিল। এবার এল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।

দুই দিনেই টেস্ট শেষ হওয়ায় মোটা অঙ্কের ক্ষতি গুনতে হয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে (সিএ)। আগেই টিকিট বিক্রি হওয়ায় অর্থ ফেরত দিতে হয়েছে সংস্থাটিকে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) চিফ অব ক্রিকেট জেমস অলসপ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তৃতীয় ও চতুর্থ দিনের টিকিটধারী দর্শকেরা, একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া ও বিশ্বের কোটি কোটি ক্রিকেটভক্ত যারা ম্যাচটি দেখার অপেক্ষায় ছিলেন তাদের জন্য আমরা হতাশ। এই পিচ ব্যাট ও বলের মধ্যে মেলবোর্নের যে ঐতিহ্যগত ভারসাম্য তা ধরে রাখতে পারেনি।’

অসন্তোষজনক রেটিং পেলেও মেলবোর্নের গ্রাউন্ড স্টাফদের প্রশংসা করতে ভুলেননি অলসপ, ‘টেস্টের জন্য কয়েক বছর ধরে স্টাফরা দারুণ উইকেট তৈরি করেছে। আশা করছি আগামী বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বক্সিং ডে টেস্ট এবং ২০২৭ সালের মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বহুল প্রতীক্ষিত ১৫০ বছর পূর্তি টেস্টের জন্য তারা আবারও উন্নতমানের উইকেট বানাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাকিব ভাইকে সবাই পেতে চায়: তাসকিন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৮
সাকিবকে ফের দলে চান তাসকিন। ছবি: সংগৃহীত
সাকিবকে ফের দলে চান তাসকিন। ছবি: সংগৃহীত

লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে আছেন সাকিব আল হাসান। আর কখনো দেশের হয়ে এই অলরাউন্ডারের খেলা হবে কিনা সেটার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তবে সতীর্থ এবং বড় ভাই সাকিবকে ফের জাতীয় দলে দেখতে চান তাসকিন আহমেদ।

বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ সাকিবকে দেখা গেছে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে এরপর আর দেশেই আসতে পারেননি সাবেক অধিনায়ক। তাই অনেকে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকলেও বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে নিয়মিত খেলে বেড়াচ্ছেন সাকিব। বর্তমানে আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলছেন এমআই এমিরেটসের হয়ে। একই টুর্নামেন্টে শারজা ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলে এসেছেন তাসকিন। সেখানেই তারকা অলরাউন্ডারের সঙ্গে কথা হয়েছে এই পেসারের। দেশে ফিরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলে সাকিব প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁর কাছে।

তাসকিন বলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের ফিটনেসের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো খেলার পরিস্থিতি বুঝতে পারা। যেটা অনেক দলের জন্য সহায়ক ভূমিকা হিসেবে কাজ করে। তিনি অনেক অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটার। চারশর ওপরে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা একজন ক্রিকেটার। এটা আসলে যেকোনো দলের জন্যই ইতিবাচক বিষয়। বাংলাদেশ দলের বিষয়টা (সাকিবের খেলা বা না খেলা) আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। তবে উনার মতো একজন ক্রিকেটারকে সবাই দলে পেতে চায়।’

নিজের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে সাকিবের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তাসকিন বলেন, ‘না আসলে সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে এসব নিয়ে কোনো কথা হয়নি। শুধু খেলা নিয়েই কথা হয়েছে একটু। এমনিই একটু হাই-হ্যালো হয়েছে। এসব নিয়ে কোনো কথা হয়নি।’

আইএল টি-টোয়েন্টির অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তাসকিন বলেন, ‘সংস্কৃতি, পেশাদারিত্ব সবকিছু অনেক সুন্দর ছিল সেখানে (আইএল টি-টোয়েন্টিতে)। এই জিনিসগুলো থেকে যা শিখেছি, তা কাজে লাগবে। মোস্তাফিজ, রিশাদ এবং আমি যা শিখলাম, তা ভবিষ্যতে বাংলাদেশ দলে প্রভাব ফেলবে। ৫ শতাংশ হলেও উন্নতি হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘মোস্তাফিজ ৯ কোটির জায়গায় ১৮ কোটি পেলেও অবাক হতাম না’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ১৫
এবারের আইপিএলে রেকর্ড ৯ কোটি রুপিতে বিক্রি হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: ফাইল ছবি
এবারের আইপিএলে রেকর্ড ৯ কোটি রুপিতে বিক্রি হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: ফাইল ছবি

২০২৬ আইপিএলের নিলামে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১৬ ডিসেম্বর আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত আইপিএলের নিলামে তাঁকে রেকর্ড ৯ কোটি রুপিতে কেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স। রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টি লিগে কাঁপিয়েছেন ফিজ। বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসারকে নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে।

বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে এবারের আইপিএলেই সর্বোচ্চ দামি ক্রিকেটার বনে গেলেন মোস্তাফিজ। বাংলাদেশি মুদ্রায় তাঁকে ১২ কোটি ৩৪ লাখ টাকায় নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। বিয়ার্ড বিফোর উইকেটে সাম্প্রতিক এক পডকাস্টে আদিল রশিদ, মঈন আলী জানিয়েছেন, মোস্তাফিজকে সঠিক মূল্যায়ন করেছে কলকাতা। তাসকিনের মতে মোস্তাফিজকে যদি আরও বেশি দামে কলকাতা নিত, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকত না।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগামীকাল রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে খেলতে নামবে ঢাকা ক্যাপিটালস। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার প্রতিনিধি হয়ে যখন তাসকিন এসেছেন, তাঁকেও মোস্তাফিজের ৯ কোটিতে আইপিএলে দল পাওয়ার প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হয়েছে। বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসারকে নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘এটা তো দৃশ্যমান। আসলে ফিজ মাশা আল্লাহ বিশ্ব ক্রিকেটে অনেক প্রমাণিত একজন ক্রিকেটার। সে যদি ৯ কোটির জায়গায় ১৮ কোটিও পেত, অবাক হওয়ার কিছু হতো না। কারণ, খেলোয়াড় হিসেবে এটা তার প্রাপ্য।’

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, দিল্লি ক্যাপিটালস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, চেন্নাই সুপার কিংস—এই পাঁচ ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন তিনি। কলকাতা তাঁর আইপিএল ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ দল। ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ৬৯ ম্যাচে ৮.১৩ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৬৫ উইকেট। ২০২৪ সালে চেন্নাই সুপার কিংস তাঁকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একাধিক পোস্ট দিয়েছে। গতবার জেক ফ্রেজার ম্যাগার্ক না খেলায় দিল্লি ক্যাপিটালস টুর্নামেন্টের মাঝপথে নেয় মোস্তাফিজকে।

এবারের আইএল টি-টোয়েন্টির মাঝপথে মোস্তাফিজ-তাসকিনকে বিপিএল খেলতে দেশে ফিরতে হয়েছে। আইএল টি-টোয়েন্টি ছাড়ার আগে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে ৮.০৮ ইকোনমিতে মোস্তাফিজ নিয়েছেন ১৫ উইকেট। এখনো তিনি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী। ছন্দে থাকা মোস্তাফিজকে নিয়ে তাসকিন বলেন,‘সে মাশা আল্লাহ প্রমাণিত একজন ক্রিকেটার ও আইপিএলে অনেক ম্যাচ খেলেছে ও ভালো করেছে। আইএল টি-টোয়েন্টিতে তো দুর্দান্ত খেলেছে। এটা (আইপিএলে ৯ কোটিতে মোস্তাফিজের বিক্রি হওয়া) আমার কাছে অবাক হওয়ার কিছু মনে হয়নি। মনে করি, ফিজের আরও বেশি প্রাপ্য এটা। আশা করছি এভাবে যদি হতে থাকে, আমাদের সব ক্রিকেটারেরই কদর বাড়বে ইনশা আল্লাহ।’

এর আগে ২০১৬ বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন। সেবার তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল রাজশাহী কিংস। থিসারা পেরেরা ২০১৫ ও ২০১৯ সালে রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা প্লাটুনের হয়ে ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে পেরেরা খেলেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে। ২০১৯ সালে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

সিলেটে আজ টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। আগে ব্যাটিং পাওয়া চট্টগ্রাম রয়্যালসের স্কোর হয়ে এক পর্যায়ে ছিল ৪.৪ ওভারে ১ উইকেটে ৪৫ রান। তবে পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে নাঈম শেখকে বোল্ড করে চট্টগ্রামের ইনিংসে ভাঙনের সূচনা করেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২০ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় নাঈম করেন ৩৯ রান। ৫৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭.৫ ওভারে ১০২ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম। মিডল অর্ডার থেকে টেল এন্ডার দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেন ফাহিম আশরাফ। মাহফিজুল ইসলাম, মাসুদ গুরবাজ, শেখ মেহেদী হাসান, আবু হায়দার রনি. শরীফুল ইসলাম—এই পাঁচ ব্যাটারকে ফিরিয়ে রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়েছেন ফাহিম আশরাফ।

সাকিব আল হাসান, তাসকিন, মোস্তাফিজ—এই তিন ক্রিকেটার এবারই প্রথমবারের মতো আইএল টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। সাকিব এখনো খেলেছেন এমআই এমিরেটসের হয়ে। মোস্তাফিজ ও তাসকিন দুবাই ক্যাপিটালস ও শারজা ওয়ারিয়র্সের জার্সিতে খেলেছেন। একই সঙ্গে সুদূর অস্ট্রেলিয়ায় বিগ ব্যাশে হোবার্ট হ্যারিকেন্সের হয়ে কাঁপাচ্ছেন রিশাদ হোসেন। বিদেশের লিগে দারুণ অভিজ্ঞতা হচ্ছে বলে মনে করেন তাসকিন। সিলেটে আজ সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন বলেন,‘আসলে ভালোর কোনো শেষ নেই। যা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। প্রথমবারের মতো আমি আইএল টি-টোয়েন্টি খেললাম। আমরা তিন বাংলাদেশি ছিলাম। আবার রিশাদ খেলছে বিগ ব্যাশ। আমাদের জন্য ভালো একটা অভিজ্ঞতা হচ্ছে।’

সিলেটে পরশু ১২তম বিপিএল শুরুর দিন নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ৬৫ রানের দাপুটে জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস। ‍+৩.২৫০ নেট রানরেট নিয়ে অনেকটা এগিয়ে থেকে আজ চট্টগ্রাম খেলতে নামে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে। তবে রংপুরের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ম্যাচ অর্ধেকটা হেরে বসে চট্টগ্রাম। ১০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩০ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতে রংপুর দাপুটে শুরু করেছে। রংপুর রাইডার্সের মোস্তাফিজুর রহমান ৩ ওভারে ১৯ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রংপুরের কাছে এবার উড়ে গেল চট্টগ্রাম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ১৬
৫ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রাম রয়্যালসকে গুটিয়ে দিয়েছেন ফাহিম আশরাফ। ছবি: ফেসবুক
৫ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রাম রয়্যালসকে গুটিয়ে দিয়েছেন ফাহিম আশরাফ। ছবি: ফেসবুক

এর চেয়ে দাপুটে শুরু আর কী হতে পারত রংপুর রাইডার্সের জন্য। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ রংপুর রাইডার্সের কাছে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—কোনো বিভাগেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি চট্টগ্রাম।

সিলেটে পরশু ১২তম বিপিএল শুরুর দিন নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ৬৫ রানের দাপুটে জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস। ‍+৩.২৫০ নেট রানরেট নিয়ে অনেকটা এগিয়ে থেকে আজ চট্টগ্রাম খেলতে নামে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে। তবে রংপুরের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ম্যাচ অর্ধেকটা হেরে বসে চট্টগ্রাম। ১০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩০ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতেছে রংপুর। ‍+২.০৩৩ নেট রানরেট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রংপুর। সমান ২ পয়েন্ট নিয়ে নেট রানরেটের কারণে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে চট্টগ্রাম।

১০৩ রানের লক্ষ্যে নেমে অনেকটা রয়েসয়ে শুরু করে রংপুর। প্রথম ৮ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৭ রান করে ফেলে দলটি। এরপর থেকেই গিয়ার বদলানো শুরু করে রংপুর। নবম ওভারে মাহমুদুল হাসান জয়কে পিটিয়ে ২৪ রান নেন রংপুরের দুই ওপেনার লিটন দাস ও দাভিদ মালান। একটা সময় মনে হচ্ছিল লিটন-মালান ফিফটি করে রংপুরকে ১০ উইকেটের রেকর্ড জয় এনে দেবেন। কিন্তু মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ সেটা হতে দেননি। ১৩তম ওভারের প্রথম ও পঞ্চম বলে লিটন-হৃদয়কে ফিরিয়েছেন মুগ্ধ। লিটন ৩১ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। হৃদয় ১ রান করে আউট হয়েছেন।

লিটন না পারলেও মালান ফিফটি করেছেন। বিপিএল ক্যারিয়ারে এটা মালানের ৯ম ফিফটি। ৪৮ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় তিনি করেছেন ৫১ রান। ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মালানকে ফিরিয়েছেন জয়। একই ওভারের শেষ বলে জয়কে ছক্কা মেরে তুলির শেষ আঁচড় দিয়েছেন খুশদিল শাহ। ৩০ বল হাতে রেখে পাওয়া ৫ উইকেটের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন ফাহিম আশরাফ। ৩.৫ ওভারে ১৭ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট।

সিলেটে আজ টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। আগে ব্যাটিং পাওয়া চট্টগ্রাম রয়্যালসের স্কোর হয়ে এক পর্যায়ে ছিল ৪.৪ ওভারে ১ উইকেটে ৪৫ রান। তবে পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে নাঈম শেখকে বোল্ড করে চট্টগ্রামের ইনিংসে ভাঙনের সূচনা করেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২০ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় নাঈম করেন ৩৯ রান । ৫৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭.৫ ওভারে ১০২ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রামের মিডল অর্ডার থেকে টেল এন্ডার দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার কাজটা সেরেছেন ফাহিম আশরাফ। মাহফিজুল ইসলাম, মাসুদ গুরবাজ, শেখ মেহেদী হাসান, আবু হায়দার রনি. শরীফুল ইসলাম—এই পাঁচ ব্যাটারকে ফিরিয়ে রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়েছেন ফাহিম আশরাফ। ২ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। একটি করে উইকেট পেয়েছেন আলিস আল ইসলাম, সুফিয়ান মুকিম ও নাহিদ রানা। তাসকিন আহমেদ, থিসারা পেরেরা, ফাহিম—বিপিএল ইতিহাসে এই তিন বোলার ইনিংসে একাধিকবার ৫ উইকেট নিয়েছেন ফাহিম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত