
বছরের পর বছর ধারাবাহিক পারফর্ম করে নিজেদের কিংবদন্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মেসি–রোনালদো। ক্যারিয়ারে কোনো কিছুতেই অপূর্ণতা নেই তাঁদের। সবশেষ বিশ্বকাপে তো আজন্ম স্বপ্ন পূরণ করেছেন মেসি। রোনালদো সেই সুযোগ না পেলেও বহু অর্জনে নিজের জাত চিনিয়েছেন। নামের পাশে পাঁচ ব্যালন ডি অরসহ আরও অনেক দলীয় ও ব্যক্তিগত পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন পর্তুগিজ তারকা।
ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে দলীয় সব অর্জনই আছে দুজনের ঝুলিতে। তাঁদের মতোই উজ্জ্বল ক্যারিয়ার হওয়ার কথা ছিল নেইমারের। ইউরোপীয় ফুটবলের পাদপ্রদীপে আসার আগেই যে বিস্ময় বালকের পরিচিত পেয়েছিলেন তিনি। নিজের দেশ ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসে আরও সূক্ষ্মভাবে তৈরি করছিলেন নিজেকে। সে সময় এতটাই মুগ্ধতা ছড়াচ্ছিলেন যে তাঁর নাম নিতে বাধ্য হচ্ছিলেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। অথচ সে সময় মেসি–রোনালদোরাও ক্যারিয়ারে শীর্ষ পর্যায়ে। দুই কিংবদন্তির পায়ের জাদুতে তখন বুঁদ ছিল পুরো বিশ্ব।
নেইমারের দক্ষতার কারণেই বলা হচ্ছিল ভবিষ্যতে তিনিই হবেন ফুটবলের নেতা। তাঁর ড্রিবলিং, গোল করা এবং করানোর ক্ষমতার কারণে সান্তোসের কোচ মুরিসি রামালহো তো মেসির চেয়ে এগিয়ে রাখছিলেন নেইমারকেই। ২০১১ সালের ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে তিনি বলেছিলেন, ‘খুব শিগগিরই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হবে সে। দুজনই (মেসি–নেইমার) একই হলেও নেইমার ছিল বিশেষ। সে বল নিয়ে যেভাবে দিক পরিবর্তন এবং ড্রিবলিং করত তা ছিল অকল্পনীয়। মেসি সরলরেখায় বেশি ড্রিবল করত। তাই বল নিয়ে সে যা করতে পারে বিশ্বের আর কাউকে আপনি এমন করতে দেখবেন না।’
রামালহোর কথা অল্প সময়ের মধ্যেই প্রমাণিতও হয়েছিল। ২০১৩ সালে বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে সাফল্যের চূড়ায় উড়তে ছিলেন তিনি। মেসি–সুয়ারেজদের সঙ্গে ভয়ংকর এমএসএন ত্রিফলা তৈরি করেছিলেন তিনি। আক্রমণভাগে তাঁদের জাদুতেই ২০১৪–১৫ মৌসুমে কাতালান ক্লাব লিগ চ্যাম্পিয়ন এবং চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতেছিল। সেটাই ছিল বার্সার শেষ মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপাও। এরপর আর জেতেনি কখনো। সেই মৌসুমে বার্সার শিরোপা জয়ে দুর্দান্ত অবদান রেখেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। কিন্তু তারপরও ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধু ও সতীর্থ মেসির আড়ালেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে। স্প্যানিশ ক্লাবের সময়টা যে তখন শুধুই মেসির। তাঁর ড্রিবলিং, ফ্রি কিক ও পায়ের জাদুতে সমর্থকের চোখ আটকে ছিল।
মেসির আড়াল থেকে তাই নিজেকে আলাদাভাবে চেনানোর জন্য বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন নেইমার। নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতার পুরোটার সদ্ব্যবহার করতে। সঙ্গে এককভাবে নিজেকে তুলে ধরতে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হিসেবে ২২ কোটি ইউরোতে পিএসজিতে নাম লেখান তিনি। চেয়েছিলেন পিএসজিকে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে সফল করার সঙ্গে নিজেকে চূড়ায় তুলতে। কিন্তু পুরোপুরি ব্যর্থ হন তিনি। প্যারিসের ক্লাবের হয়ে ৬ মৌসুম খেলে একবারই সুযোগ পেয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি ছোঁয়ার। কিন্তু ২০১৯–২০ মৌসুমে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে তাঁর স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। সঙ্গে নিজেকে শীর্ষে তোলারও।
পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর আবার চোট সঙ্গী হতে থাকে নেইমারের। এতে করে মৌসুমের শুরুটা ভালো করলেও শেষে ছিটকে পড়তে হয় তাঁকে। চোট প্রবণের সঙ্গে নারী কেন্দ্রিক বিতর্কও সঙ্গী হয়। মাঠের খেলায় আবার ডাইভ দেওয়ার দুর্নামও কুড়ান। এত সব বিতর্ককে সঙ্গী করে নিজের ক্যারিয়ারকে আর শিখরে তুলতে পারেননি তিনি। মাঝে কিলিয়ান এমবাপ্পে ক্লাবে যোগ দিয়ে তাঁর জায়গাটাও কেড়ে নেন। মেসি যোগ দেওয়ার পর তো আরও কোণঠাসা হয়েছিলেন তিনি। ফলে যোগ দেওয়ার সময় প্যারিসে যে ভালোবাসা পেয়েছিলেন, শেষে তার বিপরীত চিত্র দেখেছেন। ব্রাজিলিয়ান তারকাকে ক্লাবে আর দেখতে চান না বলে পরে সমর্থকেরা বিক্ষোভও করেন।
মেসি ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছিল পিএসজির প্রধান চরিত্র আবার হবেন নেইমার। কারণ ক্লাব ছাড়ার জন্য এমবাপ্পেও চিঠি দিয়েছেন। পিএসজির এমন কঠিন সময়ে তিনিই আবার ক্লাব ছাড়বেন বলে ঘোষণা দেন। এটা জানার পর তাঁকে রাখতে রাজি নয় পিএসজিও। এবারের দলবদলেই তাঁকে ক্লাব ছাড়ার কথা জানিয়ে দেয় লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরাও। তাঁর জায়গায় খেলানোর জন্য বার্সেলোনা থেকে আবার উসমান দেম্বেলেকেও নিয়ে আসে পিএসজি। মাঝে আবার গত মৌসুমে চুক্তি নবায়ন করার সময় এমবাপ্পে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ব্রাজিলিয়ান তারকাকে আর দলে চান না। এতে করে নেইমারের জায়গা আরও নড়বড়ে হয়ে যায়। সে হিসেবে গুঞ্জন উঠছিল ৩১ বছর বয়সী তারকার পুনরায় বার্সায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বার্সা আর্থিক সমস্যায় থাকায় তাঁর যাওয়াটা কঠিন ছিল। সঙ্গে তাঁকে ফেরানো নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন কোচ জাভি হার্নান্দেজ ও হুয়ান লাপোর্তাও।
নেইমারকে নিতে খুব বেশি ক্লাবও আগ্রহ দেখায়নি। বিশাল রিলিজ ক্লজের সঙ্গে তাঁর চোট প্রবণতা হয়তো অন্য ক্লাবের অনাগ্রহের বিষয় ছিল। এ ক্ষেত্রে তাঁর একমাত্র পথ ছিল সৌদি প্রো লিগ। আর শেষ পর্যন্ত সেই পথটাই বেছে নিলেন তিনি। রোনালদোর দেখানো পথেই পাড়ি জমানো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ৯০ মিলিয়ন ইউরোয় আল হিলালের সঙ্গে চুক্তি করতে রাজি তিনি।
এতে করে নেইমারের ক্যারিয়ারও অস্তাচলের দিকে ঝুঁকে পড়ল বলে মনে করছেন কেউ কেউ। ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নেই খেলোয়াড়েরা ইউরোপ ছেড়ে সৌদি, মেজর লিগ সকারে যায়। যেমনটা রোনালদো, মেসি, করিম বেনজেমারা করেছেন। তাঁরা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেই ক্যারিয়ারের শেষটা এসব লিগে কাটিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু নেইমার ৩১ বছর বয়সেই নিজেকে মেলে ধরার বড় মঞ্চ ইউরোপ ছেড়ে পাড়ি জমাচ্ছেন সৌদিতে। অথচ, ইউরোপের ফুটবলে আরও কয়েক বছর নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের সুযোগ ছিল তাঁর সামনে।
তাই বলা যায় যেভাবে ফুটবল মঞ্চে নিজের আর্বিভাবের বার্তা দিয়েছিলেন, সেটা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন নেইমার। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে মেসির ষোলোকলা পূর্ণ হয়েছে। বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও দেশের হয়ে ইউরো জিতেছেন রোনালদো। সঙ্গে ইউরোপের শীর্ষ তিন লিগের ক্লাবে নিজের প্রমাণ দিয়েছেন পর্তুগিজ তারকা। নেইমার ২০১৩ সালে ফিফা কনফেডারেশন কাপ জিতলেও জাতীয় দলের জার্সিতে মেসি-রোনালদোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে। তাঁকে কেন্দ্র করে ব্রাজিল বিশ্বকাপে ‘হেক্সার’ যে স্বপ্ন দেখেছিল, সেটি স্বপ্নই রয়ে গেছে। কোপা আমেরিকাতেও দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি নেইমার। সামনে বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ থাকলেও আল হিলালে যোগ দেওয়ায় ব্যালন ডি অরের আক্ষেপ সম্ভবত তাঁর থেকেই যাবে।
অবশ্য নাম-ডাক, বিত্ত-বৈভবের কমতি নেই তাঁর। কিন্তু সেটা কী একজন ফুটবলারের লক্ষ্য হতে পারে!

বছরের পর বছর ধারাবাহিক পারফর্ম করে নিজেদের কিংবদন্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মেসি–রোনালদো। ক্যারিয়ারে কোনো কিছুতেই অপূর্ণতা নেই তাঁদের। সবশেষ বিশ্বকাপে তো আজন্ম স্বপ্ন পূরণ করেছেন মেসি। রোনালদো সেই সুযোগ না পেলেও বহু অর্জনে নিজের জাত চিনিয়েছেন। নামের পাশে পাঁচ ব্যালন ডি অরসহ আরও অনেক দলীয় ও ব্যক্তিগত পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন পর্তুগিজ তারকা।
ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে দলীয় সব অর্জনই আছে দুজনের ঝুলিতে। তাঁদের মতোই উজ্জ্বল ক্যারিয়ার হওয়ার কথা ছিল নেইমারের। ইউরোপীয় ফুটবলের পাদপ্রদীপে আসার আগেই যে বিস্ময় বালকের পরিচিত পেয়েছিলেন তিনি। নিজের দেশ ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসে আরও সূক্ষ্মভাবে তৈরি করছিলেন নিজেকে। সে সময় এতটাই মুগ্ধতা ছড়াচ্ছিলেন যে তাঁর নাম নিতে বাধ্য হচ্ছিলেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। অথচ সে সময় মেসি–রোনালদোরাও ক্যারিয়ারে শীর্ষ পর্যায়ে। দুই কিংবদন্তির পায়ের জাদুতে তখন বুঁদ ছিল পুরো বিশ্ব।
নেইমারের দক্ষতার কারণেই বলা হচ্ছিল ভবিষ্যতে তিনিই হবেন ফুটবলের নেতা। তাঁর ড্রিবলিং, গোল করা এবং করানোর ক্ষমতার কারণে সান্তোসের কোচ মুরিসি রামালহো তো মেসির চেয়ে এগিয়ে রাখছিলেন নেইমারকেই। ২০১১ সালের ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে তিনি বলেছিলেন, ‘খুব শিগগিরই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হবে সে। দুজনই (মেসি–নেইমার) একই হলেও নেইমার ছিল বিশেষ। সে বল নিয়ে যেভাবে দিক পরিবর্তন এবং ড্রিবলিং করত তা ছিল অকল্পনীয়। মেসি সরলরেখায় বেশি ড্রিবল করত। তাই বল নিয়ে সে যা করতে পারে বিশ্বের আর কাউকে আপনি এমন করতে দেখবেন না।’
রামালহোর কথা অল্প সময়ের মধ্যেই প্রমাণিতও হয়েছিল। ২০১৩ সালে বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে সাফল্যের চূড়ায় উড়তে ছিলেন তিনি। মেসি–সুয়ারেজদের সঙ্গে ভয়ংকর এমএসএন ত্রিফলা তৈরি করেছিলেন তিনি। আক্রমণভাগে তাঁদের জাদুতেই ২০১৪–১৫ মৌসুমে কাতালান ক্লাব লিগ চ্যাম্পিয়ন এবং চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতেছিল। সেটাই ছিল বার্সার শেষ মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপাও। এরপর আর জেতেনি কখনো। সেই মৌসুমে বার্সার শিরোপা জয়ে দুর্দান্ত অবদান রেখেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। কিন্তু তারপরও ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধু ও সতীর্থ মেসির আড়ালেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে। স্প্যানিশ ক্লাবের সময়টা যে তখন শুধুই মেসির। তাঁর ড্রিবলিং, ফ্রি কিক ও পায়ের জাদুতে সমর্থকের চোখ আটকে ছিল।
মেসির আড়াল থেকে তাই নিজেকে আলাদাভাবে চেনানোর জন্য বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন নেইমার। নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতার পুরোটার সদ্ব্যবহার করতে। সঙ্গে এককভাবে নিজেকে তুলে ধরতে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হিসেবে ২২ কোটি ইউরোতে পিএসজিতে নাম লেখান তিনি। চেয়েছিলেন পিএসজিকে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে সফল করার সঙ্গে নিজেকে চূড়ায় তুলতে। কিন্তু পুরোপুরি ব্যর্থ হন তিনি। প্যারিসের ক্লাবের হয়ে ৬ মৌসুম খেলে একবারই সুযোগ পেয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি ছোঁয়ার। কিন্তু ২০১৯–২০ মৌসুমে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে তাঁর স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। সঙ্গে নিজেকে শীর্ষে তোলারও।
পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর আবার চোট সঙ্গী হতে থাকে নেইমারের। এতে করে মৌসুমের শুরুটা ভালো করলেও শেষে ছিটকে পড়তে হয় তাঁকে। চোট প্রবণের সঙ্গে নারী কেন্দ্রিক বিতর্কও সঙ্গী হয়। মাঠের খেলায় আবার ডাইভ দেওয়ার দুর্নামও কুড়ান। এত সব বিতর্ককে সঙ্গী করে নিজের ক্যারিয়ারকে আর শিখরে তুলতে পারেননি তিনি। মাঝে কিলিয়ান এমবাপ্পে ক্লাবে যোগ দিয়ে তাঁর জায়গাটাও কেড়ে নেন। মেসি যোগ দেওয়ার পর তো আরও কোণঠাসা হয়েছিলেন তিনি। ফলে যোগ দেওয়ার সময় প্যারিসে যে ভালোবাসা পেয়েছিলেন, শেষে তার বিপরীত চিত্র দেখেছেন। ব্রাজিলিয়ান তারকাকে ক্লাবে আর দেখতে চান না বলে পরে সমর্থকেরা বিক্ষোভও করেন।
মেসি ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছিল পিএসজির প্রধান চরিত্র আবার হবেন নেইমার। কারণ ক্লাব ছাড়ার জন্য এমবাপ্পেও চিঠি দিয়েছেন। পিএসজির এমন কঠিন সময়ে তিনিই আবার ক্লাব ছাড়বেন বলে ঘোষণা দেন। এটা জানার পর তাঁকে রাখতে রাজি নয় পিএসজিও। এবারের দলবদলেই তাঁকে ক্লাব ছাড়ার কথা জানিয়ে দেয় লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরাও। তাঁর জায়গায় খেলানোর জন্য বার্সেলোনা থেকে আবার উসমান দেম্বেলেকেও নিয়ে আসে পিএসজি। মাঝে আবার গত মৌসুমে চুক্তি নবায়ন করার সময় এমবাপ্পে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ব্রাজিলিয়ান তারকাকে আর দলে চান না। এতে করে নেইমারের জায়গা আরও নড়বড়ে হয়ে যায়। সে হিসেবে গুঞ্জন উঠছিল ৩১ বছর বয়সী তারকার পুনরায় বার্সায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বার্সা আর্থিক সমস্যায় থাকায় তাঁর যাওয়াটা কঠিন ছিল। সঙ্গে তাঁকে ফেরানো নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন কোচ জাভি হার্নান্দেজ ও হুয়ান লাপোর্তাও।
নেইমারকে নিতে খুব বেশি ক্লাবও আগ্রহ দেখায়নি। বিশাল রিলিজ ক্লজের সঙ্গে তাঁর চোট প্রবণতা হয়তো অন্য ক্লাবের অনাগ্রহের বিষয় ছিল। এ ক্ষেত্রে তাঁর একমাত্র পথ ছিল সৌদি প্রো লিগ। আর শেষ পর্যন্ত সেই পথটাই বেছে নিলেন তিনি। রোনালদোর দেখানো পথেই পাড়ি জমানো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ৯০ মিলিয়ন ইউরোয় আল হিলালের সঙ্গে চুক্তি করতে রাজি তিনি।
এতে করে নেইমারের ক্যারিয়ারও অস্তাচলের দিকে ঝুঁকে পড়ল বলে মনে করছেন কেউ কেউ। ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নেই খেলোয়াড়েরা ইউরোপ ছেড়ে সৌদি, মেজর লিগ সকারে যায়। যেমনটা রোনালদো, মেসি, করিম বেনজেমারা করেছেন। তাঁরা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেই ক্যারিয়ারের শেষটা এসব লিগে কাটিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু নেইমার ৩১ বছর বয়সেই নিজেকে মেলে ধরার বড় মঞ্চ ইউরোপ ছেড়ে পাড়ি জমাচ্ছেন সৌদিতে। অথচ, ইউরোপের ফুটবলে আরও কয়েক বছর নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের সুযোগ ছিল তাঁর সামনে।
তাই বলা যায় যেভাবে ফুটবল মঞ্চে নিজের আর্বিভাবের বার্তা দিয়েছিলেন, সেটা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন নেইমার। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে মেসির ষোলোকলা পূর্ণ হয়েছে। বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও দেশের হয়ে ইউরো জিতেছেন রোনালদো। সঙ্গে ইউরোপের শীর্ষ তিন লিগের ক্লাবে নিজের প্রমাণ দিয়েছেন পর্তুগিজ তারকা। নেইমার ২০১৩ সালে ফিফা কনফেডারেশন কাপ জিতলেও জাতীয় দলের জার্সিতে মেসি-রোনালদোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে। তাঁকে কেন্দ্র করে ব্রাজিল বিশ্বকাপে ‘হেক্সার’ যে স্বপ্ন দেখেছিল, সেটি স্বপ্নই রয়ে গেছে। কোপা আমেরিকাতেও দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি নেইমার। সামনে বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ থাকলেও আল হিলালে যোগ দেওয়ায় ব্যালন ডি অরের আক্ষেপ সম্ভবত তাঁর থেকেই যাবে।
অবশ্য নাম-ডাক, বিত্ত-বৈভবের কমতি নেই তাঁর। কিন্তু সেটা কী একজন ফুটবলারের লক্ষ্য হতে পারে!

বছরের পর বছর ধারাবাহিক পারফর্ম করে নিজেদের কিংবদন্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মেসি–রোনালদো। ক্যারিয়ারে কোনো কিছুতেই অপূর্ণতা নেই তাঁদের। সবশেষ বিশ্বকাপে তো আজন্ম স্বপ্ন পূরণ করেছেন মেসি। রোনালদো সেই সুযোগ না পেলেও বহু অর্জনে নিজের জাত চিনিয়েছেন। নামের পাশে পাঁচ ব্যালন ডি অরসহ আরও অনেক দলীয় ও ব্যক্তিগত পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন পর্তুগিজ তারকা।
ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে দলীয় সব অর্জনই আছে দুজনের ঝুলিতে। তাঁদের মতোই উজ্জ্বল ক্যারিয়ার হওয়ার কথা ছিল নেইমারের। ইউরোপীয় ফুটবলের পাদপ্রদীপে আসার আগেই যে বিস্ময় বালকের পরিচিত পেয়েছিলেন তিনি। নিজের দেশ ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসে আরও সূক্ষ্মভাবে তৈরি করছিলেন নিজেকে। সে সময় এতটাই মুগ্ধতা ছড়াচ্ছিলেন যে তাঁর নাম নিতে বাধ্য হচ্ছিলেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। অথচ সে সময় মেসি–রোনালদোরাও ক্যারিয়ারে শীর্ষ পর্যায়ে। দুই কিংবদন্তির পায়ের জাদুতে তখন বুঁদ ছিল পুরো বিশ্ব।
নেইমারের দক্ষতার কারণেই বলা হচ্ছিল ভবিষ্যতে তিনিই হবেন ফুটবলের নেতা। তাঁর ড্রিবলিং, গোল করা এবং করানোর ক্ষমতার কারণে সান্তোসের কোচ মুরিসি রামালহো তো মেসির চেয়ে এগিয়ে রাখছিলেন নেইমারকেই। ২০১১ সালের ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে তিনি বলেছিলেন, ‘খুব শিগগিরই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হবে সে। দুজনই (মেসি–নেইমার) একই হলেও নেইমার ছিল বিশেষ। সে বল নিয়ে যেভাবে দিক পরিবর্তন এবং ড্রিবলিং করত তা ছিল অকল্পনীয়। মেসি সরলরেখায় বেশি ড্রিবল করত। তাই বল নিয়ে সে যা করতে পারে বিশ্বের আর কাউকে আপনি এমন করতে দেখবেন না।’
রামালহোর কথা অল্প সময়ের মধ্যেই প্রমাণিতও হয়েছিল। ২০১৩ সালে বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে সাফল্যের চূড়ায় উড়তে ছিলেন তিনি। মেসি–সুয়ারেজদের সঙ্গে ভয়ংকর এমএসএন ত্রিফলা তৈরি করেছিলেন তিনি। আক্রমণভাগে তাঁদের জাদুতেই ২০১৪–১৫ মৌসুমে কাতালান ক্লাব লিগ চ্যাম্পিয়ন এবং চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতেছিল। সেটাই ছিল বার্সার শেষ মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপাও। এরপর আর জেতেনি কখনো। সেই মৌসুমে বার্সার শিরোপা জয়ে দুর্দান্ত অবদান রেখেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। কিন্তু তারপরও ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধু ও সতীর্থ মেসির আড়ালেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে। স্প্যানিশ ক্লাবের সময়টা যে তখন শুধুই মেসির। তাঁর ড্রিবলিং, ফ্রি কিক ও পায়ের জাদুতে সমর্থকের চোখ আটকে ছিল।
মেসির আড়াল থেকে তাই নিজেকে আলাদাভাবে চেনানোর জন্য বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন নেইমার। নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতার পুরোটার সদ্ব্যবহার করতে। সঙ্গে এককভাবে নিজেকে তুলে ধরতে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হিসেবে ২২ কোটি ইউরোতে পিএসজিতে নাম লেখান তিনি। চেয়েছিলেন পিএসজিকে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে সফল করার সঙ্গে নিজেকে চূড়ায় তুলতে। কিন্তু পুরোপুরি ব্যর্থ হন তিনি। প্যারিসের ক্লাবের হয়ে ৬ মৌসুম খেলে একবারই সুযোগ পেয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি ছোঁয়ার। কিন্তু ২০১৯–২০ মৌসুমে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে তাঁর স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। সঙ্গে নিজেকে শীর্ষে তোলারও।
পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর আবার চোট সঙ্গী হতে থাকে নেইমারের। এতে করে মৌসুমের শুরুটা ভালো করলেও শেষে ছিটকে পড়তে হয় তাঁকে। চোট প্রবণের সঙ্গে নারী কেন্দ্রিক বিতর্কও সঙ্গী হয়। মাঠের খেলায় আবার ডাইভ দেওয়ার দুর্নামও কুড়ান। এত সব বিতর্ককে সঙ্গী করে নিজের ক্যারিয়ারকে আর শিখরে তুলতে পারেননি তিনি। মাঝে কিলিয়ান এমবাপ্পে ক্লাবে যোগ দিয়ে তাঁর জায়গাটাও কেড়ে নেন। মেসি যোগ দেওয়ার পর তো আরও কোণঠাসা হয়েছিলেন তিনি। ফলে যোগ দেওয়ার সময় প্যারিসে যে ভালোবাসা পেয়েছিলেন, শেষে তার বিপরীত চিত্র দেখেছেন। ব্রাজিলিয়ান তারকাকে ক্লাবে আর দেখতে চান না বলে পরে সমর্থকেরা বিক্ষোভও করেন।
মেসি ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছিল পিএসজির প্রধান চরিত্র আবার হবেন নেইমার। কারণ ক্লাব ছাড়ার জন্য এমবাপ্পেও চিঠি দিয়েছেন। পিএসজির এমন কঠিন সময়ে তিনিই আবার ক্লাব ছাড়বেন বলে ঘোষণা দেন। এটা জানার পর তাঁকে রাখতে রাজি নয় পিএসজিও। এবারের দলবদলেই তাঁকে ক্লাব ছাড়ার কথা জানিয়ে দেয় লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরাও। তাঁর জায়গায় খেলানোর জন্য বার্সেলোনা থেকে আবার উসমান দেম্বেলেকেও নিয়ে আসে পিএসজি। মাঝে আবার গত মৌসুমে চুক্তি নবায়ন করার সময় এমবাপ্পে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ব্রাজিলিয়ান তারকাকে আর দলে চান না। এতে করে নেইমারের জায়গা আরও নড়বড়ে হয়ে যায়। সে হিসেবে গুঞ্জন উঠছিল ৩১ বছর বয়সী তারকার পুনরায় বার্সায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বার্সা আর্থিক সমস্যায় থাকায় তাঁর যাওয়াটা কঠিন ছিল। সঙ্গে তাঁকে ফেরানো নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন কোচ জাভি হার্নান্দেজ ও হুয়ান লাপোর্তাও।
নেইমারকে নিতে খুব বেশি ক্লাবও আগ্রহ দেখায়নি। বিশাল রিলিজ ক্লজের সঙ্গে তাঁর চোট প্রবণতা হয়তো অন্য ক্লাবের অনাগ্রহের বিষয় ছিল। এ ক্ষেত্রে তাঁর একমাত্র পথ ছিল সৌদি প্রো লিগ। আর শেষ পর্যন্ত সেই পথটাই বেছে নিলেন তিনি। রোনালদোর দেখানো পথেই পাড়ি জমানো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ৯০ মিলিয়ন ইউরোয় আল হিলালের সঙ্গে চুক্তি করতে রাজি তিনি।
এতে করে নেইমারের ক্যারিয়ারও অস্তাচলের দিকে ঝুঁকে পড়ল বলে মনে করছেন কেউ কেউ। ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নেই খেলোয়াড়েরা ইউরোপ ছেড়ে সৌদি, মেজর লিগ সকারে যায়। যেমনটা রোনালদো, মেসি, করিম বেনজেমারা করেছেন। তাঁরা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেই ক্যারিয়ারের শেষটা এসব লিগে কাটিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু নেইমার ৩১ বছর বয়সেই নিজেকে মেলে ধরার বড় মঞ্চ ইউরোপ ছেড়ে পাড়ি জমাচ্ছেন সৌদিতে। অথচ, ইউরোপের ফুটবলে আরও কয়েক বছর নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের সুযোগ ছিল তাঁর সামনে।
তাই বলা যায় যেভাবে ফুটবল মঞ্চে নিজের আর্বিভাবের বার্তা দিয়েছিলেন, সেটা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন নেইমার। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে মেসির ষোলোকলা পূর্ণ হয়েছে। বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও দেশের হয়ে ইউরো জিতেছেন রোনালদো। সঙ্গে ইউরোপের শীর্ষ তিন লিগের ক্লাবে নিজের প্রমাণ দিয়েছেন পর্তুগিজ তারকা। নেইমার ২০১৩ সালে ফিফা কনফেডারেশন কাপ জিতলেও জাতীয় দলের জার্সিতে মেসি-রোনালদোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে। তাঁকে কেন্দ্র করে ব্রাজিল বিশ্বকাপে ‘হেক্সার’ যে স্বপ্ন দেখেছিল, সেটি স্বপ্নই রয়ে গেছে। কোপা আমেরিকাতেও দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি নেইমার। সামনে বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ থাকলেও আল হিলালে যোগ দেওয়ায় ব্যালন ডি অরের আক্ষেপ সম্ভবত তাঁর থেকেই যাবে।
অবশ্য নাম-ডাক, বিত্ত-বৈভবের কমতি নেই তাঁর। কিন্তু সেটা কী একজন ফুটবলারের লক্ষ্য হতে পারে!

বছরের পর বছর ধারাবাহিক পারফর্ম করে নিজেদের কিংবদন্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মেসি–রোনালদো। ক্যারিয়ারে কোনো কিছুতেই অপূর্ণতা নেই তাঁদের। সবশেষ বিশ্বকাপে তো আজন্ম স্বপ্ন পূরণ করেছেন মেসি। রোনালদো সেই সুযোগ না পেলেও বহু অর্জনে নিজের জাত চিনিয়েছেন। নামের পাশে পাঁচ ব্যালন ডি অরসহ আরও অনেক দলীয় ও ব্যক্তিগত পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন পর্তুগিজ তারকা।
ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে দলীয় সব অর্জনই আছে দুজনের ঝুলিতে। তাঁদের মতোই উজ্জ্বল ক্যারিয়ার হওয়ার কথা ছিল নেইমারের। ইউরোপীয় ফুটবলের পাদপ্রদীপে আসার আগেই যে বিস্ময় বালকের পরিচিত পেয়েছিলেন তিনি। নিজের দেশ ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসে আরও সূক্ষ্মভাবে তৈরি করছিলেন নিজেকে। সে সময় এতটাই মুগ্ধতা ছড়াচ্ছিলেন যে তাঁর নাম নিতে বাধ্য হচ্ছিলেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। অথচ সে সময় মেসি–রোনালদোরাও ক্যারিয়ারে শীর্ষ পর্যায়ে। দুই কিংবদন্তির পায়ের জাদুতে তখন বুঁদ ছিল পুরো বিশ্ব।
নেইমারের দক্ষতার কারণেই বলা হচ্ছিল ভবিষ্যতে তিনিই হবেন ফুটবলের নেতা। তাঁর ড্রিবলিং, গোল করা এবং করানোর ক্ষমতার কারণে সান্তোসের কোচ মুরিসি রামালহো তো মেসির চেয়ে এগিয়ে রাখছিলেন নেইমারকেই। ২০১১ সালের ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে তিনি বলেছিলেন, ‘খুব শিগগিরই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হবে সে। দুজনই (মেসি–নেইমার) একই হলেও নেইমার ছিল বিশেষ। সে বল নিয়ে যেভাবে দিক পরিবর্তন এবং ড্রিবলিং করত তা ছিল অকল্পনীয়। মেসি সরলরেখায় বেশি ড্রিবল করত। তাই বল নিয়ে সে যা করতে পারে বিশ্বের আর কাউকে আপনি এমন করতে দেখবেন না।’
রামালহোর কথা অল্প সময়ের মধ্যেই প্রমাণিতও হয়েছিল। ২০১৩ সালে বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে সাফল্যের চূড়ায় উড়তে ছিলেন তিনি। মেসি–সুয়ারেজদের সঙ্গে ভয়ংকর এমএসএন ত্রিফলা তৈরি করেছিলেন তিনি। আক্রমণভাগে তাঁদের জাদুতেই ২০১৪–১৫ মৌসুমে কাতালান ক্লাব লিগ চ্যাম্পিয়ন এবং চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতেছিল। সেটাই ছিল বার্সার শেষ মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপাও। এরপর আর জেতেনি কখনো। সেই মৌসুমে বার্সার শিরোপা জয়ে দুর্দান্ত অবদান রেখেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। কিন্তু তারপরও ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধু ও সতীর্থ মেসির আড়ালেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে। স্প্যানিশ ক্লাবের সময়টা যে তখন শুধুই মেসির। তাঁর ড্রিবলিং, ফ্রি কিক ও পায়ের জাদুতে সমর্থকের চোখ আটকে ছিল।
মেসির আড়াল থেকে তাই নিজেকে আলাদাভাবে চেনানোর জন্য বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন নেইমার। নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতার পুরোটার সদ্ব্যবহার করতে। সঙ্গে এককভাবে নিজেকে তুলে ধরতে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হিসেবে ২২ কোটি ইউরোতে পিএসজিতে নাম লেখান তিনি। চেয়েছিলেন পিএসজিকে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে সফল করার সঙ্গে নিজেকে চূড়ায় তুলতে। কিন্তু পুরোপুরি ব্যর্থ হন তিনি। প্যারিসের ক্লাবের হয়ে ৬ মৌসুম খেলে একবারই সুযোগ পেয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি ছোঁয়ার। কিন্তু ২০১৯–২০ মৌসুমে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে তাঁর স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। সঙ্গে নিজেকে শীর্ষে তোলারও।
পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর আবার চোট সঙ্গী হতে থাকে নেইমারের। এতে করে মৌসুমের শুরুটা ভালো করলেও শেষে ছিটকে পড়তে হয় তাঁকে। চোট প্রবণের সঙ্গে নারী কেন্দ্রিক বিতর্কও সঙ্গী হয়। মাঠের খেলায় আবার ডাইভ দেওয়ার দুর্নামও কুড়ান। এত সব বিতর্ককে সঙ্গী করে নিজের ক্যারিয়ারকে আর শিখরে তুলতে পারেননি তিনি। মাঝে কিলিয়ান এমবাপ্পে ক্লাবে যোগ দিয়ে তাঁর জায়গাটাও কেড়ে নেন। মেসি যোগ দেওয়ার পর তো আরও কোণঠাসা হয়েছিলেন তিনি। ফলে যোগ দেওয়ার সময় প্যারিসে যে ভালোবাসা পেয়েছিলেন, শেষে তার বিপরীত চিত্র দেখেছেন। ব্রাজিলিয়ান তারকাকে ক্লাবে আর দেখতে চান না বলে পরে সমর্থকেরা বিক্ষোভও করেন।
মেসি ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছিল পিএসজির প্রধান চরিত্র আবার হবেন নেইমার। কারণ ক্লাব ছাড়ার জন্য এমবাপ্পেও চিঠি দিয়েছেন। পিএসজির এমন কঠিন সময়ে তিনিই আবার ক্লাব ছাড়বেন বলে ঘোষণা দেন। এটা জানার পর তাঁকে রাখতে রাজি নয় পিএসজিও। এবারের দলবদলেই তাঁকে ক্লাব ছাড়ার কথা জানিয়ে দেয় লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরাও। তাঁর জায়গায় খেলানোর জন্য বার্সেলোনা থেকে আবার উসমান দেম্বেলেকেও নিয়ে আসে পিএসজি। মাঝে আবার গত মৌসুমে চুক্তি নবায়ন করার সময় এমবাপ্পে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ব্রাজিলিয়ান তারকাকে আর দলে চান না। এতে করে নেইমারের জায়গা আরও নড়বড়ে হয়ে যায়। সে হিসেবে গুঞ্জন উঠছিল ৩১ বছর বয়সী তারকার পুনরায় বার্সায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বার্সা আর্থিক সমস্যায় থাকায় তাঁর যাওয়াটা কঠিন ছিল। সঙ্গে তাঁকে ফেরানো নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন কোচ জাভি হার্নান্দেজ ও হুয়ান লাপোর্তাও।
নেইমারকে নিতে খুব বেশি ক্লাবও আগ্রহ দেখায়নি। বিশাল রিলিজ ক্লজের সঙ্গে তাঁর চোট প্রবণতা হয়তো অন্য ক্লাবের অনাগ্রহের বিষয় ছিল। এ ক্ষেত্রে তাঁর একমাত্র পথ ছিল সৌদি প্রো লিগ। আর শেষ পর্যন্ত সেই পথটাই বেছে নিলেন তিনি। রোনালদোর দেখানো পথেই পাড়ি জমানো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ৯০ মিলিয়ন ইউরোয় আল হিলালের সঙ্গে চুক্তি করতে রাজি তিনি।
এতে করে নেইমারের ক্যারিয়ারও অস্তাচলের দিকে ঝুঁকে পড়ল বলে মনে করছেন কেউ কেউ। ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নেই খেলোয়াড়েরা ইউরোপ ছেড়ে সৌদি, মেজর লিগ সকারে যায়। যেমনটা রোনালদো, মেসি, করিম বেনজেমারা করেছেন। তাঁরা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেই ক্যারিয়ারের শেষটা এসব লিগে কাটিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু নেইমার ৩১ বছর বয়সেই নিজেকে মেলে ধরার বড় মঞ্চ ইউরোপ ছেড়ে পাড়ি জমাচ্ছেন সৌদিতে। অথচ, ইউরোপের ফুটবলে আরও কয়েক বছর নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের সুযোগ ছিল তাঁর সামনে।
তাই বলা যায় যেভাবে ফুটবল মঞ্চে নিজের আর্বিভাবের বার্তা দিয়েছিলেন, সেটা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন নেইমার। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে মেসির ষোলোকলা পূর্ণ হয়েছে। বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও দেশের হয়ে ইউরো জিতেছেন রোনালদো। সঙ্গে ইউরোপের শীর্ষ তিন লিগের ক্লাবে নিজের প্রমাণ দিয়েছেন পর্তুগিজ তারকা। নেইমার ২০১৩ সালে ফিফা কনফেডারেশন কাপ জিতলেও জাতীয় দলের জার্সিতে মেসি-রোনালদোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে। তাঁকে কেন্দ্র করে ব্রাজিল বিশ্বকাপে ‘হেক্সার’ যে স্বপ্ন দেখেছিল, সেটি স্বপ্নই রয়ে গেছে। কোপা আমেরিকাতেও দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি নেইমার। সামনে বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ থাকলেও আল হিলালে যোগ দেওয়ায় ব্যালন ডি অরের আক্ষেপ সম্ভবত তাঁর থেকেই যাবে।
অবশ্য নাম-ডাক, বিত্ত-বৈভবের কমতি নেই তাঁর। কিন্তু সেটা কী একজন ফুটবলারের লক্ষ্য হতে পারে!

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
৪৩ মিনিট আগে
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
১ ঘণ্টা আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।
সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।
সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

বছরের পর বছর ধারাবাহিক পারফর্ম করে নিজেদের কিংবদন্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মেসি–রোনালদো। ক্যারিয়ারে কোনো কিছুতেই অপূর্ণতা নেই তাঁদের। সবশেষ বিশ্বকাপে তো আজন্ম স্বপ্ন পূরণ করেছেন মেসি। রোনালদো সেই সুযোগ না পেলেও বহু অর্জনে নিজের জাত চিনিয়েছেন। নামের পাশে পাঁচ ব্যালন ডি অরসহ আরও অনেক দলীয় ও ব্যক্তি
১৫ আগস্ট ২০২৩
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
১ ঘণ্টা আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।
শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।
অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।
শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।
অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

বছরের পর বছর ধারাবাহিক পারফর্ম করে নিজেদের কিংবদন্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মেসি–রোনালদো। ক্যারিয়ারে কোনো কিছুতেই অপূর্ণতা নেই তাঁদের। সবশেষ বিশ্বকাপে তো আজন্ম স্বপ্ন পূরণ করেছেন মেসি। রোনালদো সেই সুযোগ না পেলেও বহু অর্জনে নিজের জাত চিনিয়েছেন। নামের পাশে পাঁচ ব্যালন ডি অরসহ আরও অনেক দলীয় ও ব্যক্তি
১৫ আগস্ট ২০২৩
এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
৪৩ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।
লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।
২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।
মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।
লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।
২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।
মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

বছরের পর বছর ধারাবাহিক পারফর্ম করে নিজেদের কিংবদন্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মেসি–রোনালদো। ক্যারিয়ারে কোনো কিছুতেই অপূর্ণতা নেই তাঁদের। সবশেষ বিশ্বকাপে তো আজন্ম স্বপ্ন পূরণ করেছেন মেসি। রোনালদো সেই সুযোগ না পেলেও বহু অর্জনে নিজের জাত চিনিয়েছেন। নামের পাশে পাঁচ ব্যালন ডি অরসহ আরও অনেক দলীয় ও ব্যক্তি
১৫ আগস্ট ২০২৩
এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
৪৩ মিনিট আগে
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
১ ঘণ্টা আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।
১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।
১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

বছরের পর বছর ধারাবাহিক পারফর্ম করে নিজেদের কিংবদন্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মেসি–রোনালদো। ক্যারিয়ারে কোনো কিছুতেই অপূর্ণতা নেই তাঁদের। সবশেষ বিশ্বকাপে তো আজন্ম স্বপ্ন পূরণ করেছেন মেসি। রোনালদো সেই সুযোগ না পেলেও বহু অর্জনে নিজের জাত চিনিয়েছেন। নামের পাশে পাঁচ ব্যালন ডি অরসহ আরও অনেক দলীয় ও ব্যক্তি
১৫ আগস্ট ২০২৩
এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
৪৩ মিনিট আগে
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
১ ঘণ্টা আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে