Ajker Patrika

‘ফেডারেশনের সংজ্ঞা বুঝেই দায়িত্ব নিতে হবে’

জহির উদ্দিন মিশু, ঢাকা
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৪: ১১
‘ফেডারেশনের সংজ্ঞা বুঝেই দায়িত্ব নিতে হবে’

অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেওয়ার পর ফেডারেশনগুলোতে লেগেছে সংস্কারের ছোঁয়া। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের যৌথ তত্ত্বাবধানে শুরু হওয়া সেই সংস্কার কত দূর এগিয়েছে? শেষই-বা হবে কবে? সংস্কার কি ফেডারেশনের সভাপতি বদলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর তিন পর্বের এ ধারাবাহিকে খুঁজেছেন জহির উদ্দিন মিশু

ফেডারেশনগুলোকে গত ১৫ বছরে নিজেদের দলীয় নেতা-কর্মীদের ভোগদখলের আঙিনা বানিয়ে ফেলেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। হাতে গোনা কয়েকটি বাদে ৫৫ ফেডারেশনের প্রায় সব কটিতেই হয়েছিল দলীয়করণ। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দুই পদে রাজনৈতিক নেতা, দলীয় পদ পাওয়া লোকজন, আমলা এমনকি পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্তাদের বসিয়ে ইচ্ছেমতো নিয়ন্ত্রণ করা হতো। যে কারণে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কখনো হস্তক্ষেপের সুযোগ পায়নি। ক্ষমতার পালাবদলে এবার সেসব ফেডারেশনে চলছে কাটছাঁট। কিন্তু এত দিন যাঁরা ছড়ি ঘুরিয়েছেন, তাঁদের সরিয়ে যাঁদের দায়িত্বে বসানো হবে, তাঁরাই-বা কতটুকু বদলাতে পারবেন! দৃশ্যমান পরিবর্তন না দেখা গেলে সংস্কার নিয়েই পরে প্রশ্ন উঠবে।

ভোগদখল বা রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার কমাতে ফেডারেশন/ অ্যাসোসিয়েশনগুলোয় খেলার মানুষদেরই ফিরিয়ে আনা উচিত বলে মনে করেন ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সব খেলোয়াড়ই ভালো সংগঠক হবেন, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সে জন্য যেসব খেলোয়াড় নিজেরা কোনো সংগঠনে জড়িত, বা যাঁদের সাংগঠনিক গুণ রয়েছে, কেবল তাঁদেরই ফেডারেশনগুলোয় সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। যেমনটা মনে করছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক কামরুন নাহার ডানা। বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলছেন, ‘২০০৮ সালে ফুটবলে যে কমিটি ছিল, সেখানে ২১ জনের মধ্যে ১০-১২ জন জাতীয় দলের খেলোয়াড় ছিলেন। সেই কমিটিও কিন্তু ফেল করেছে। তাই আমি বলব, কেবল খেলোয়াড় নিলে হবে না; যাঁদের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা আছে, তাঁদেরকেই নিয়ে আসতে হবে।’

রাজনৈতিক নেতার দরকার না হলেও ফেডারেশনের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সম্পৃক্ততার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন জাতীয় ব্যাডমিন্টনের সাবেক চ্যাম্পিয়ন ডানা, ‘ফেডারেশনগুলোয় রাজনৈতিক লোকদের একদম দরকার নেই। তবে ব্যবসায়ীদের দরকার আছে। সাবেক খেলোয়াড় যাঁরা সংগঠক হওয়ার যোগ্য, তাঁরাই বিভিন্ন ফেডারেশনে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের অংশীদার হতে পারেন। এমপিকে সভাপতি, মন্ত্রীকে মহাসচিব, আবার সচিবকে ফেডারেশনের প্রধান করে কখনোই কাঙ্ক্ষিত ফল আশা করা যায় না। না তাঁরা ফেডারেশনকে সময় দিতে পারেন, ফেডারেশনের প্রতি না থাকে তাঁদের ভালোবাসা।’

ফেডারেশনগুলোয় সংস্কারে যে সার্চ কমিটি কাজ করছে, তাদের নিয়েও একটা মহল উদ্বিগ্ন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, পদ পেতে অনেকে এই বিশেষ কমিটির সঙ্গে তদবির-লবি করছেন। যদিও সার্চ কমিটির আহ্বায়ক জোবায়েদুর রহমান রানা বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন।

ফেডারেশনের শূন্য পদগুলোয় আসীন হতে আওয়ামী লীগের বাইরের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িতরাও কোমর বেঁধে নেমেছেন বলে কয়েকটি ফেডারেশন সূত্রের খবর। তাঁদের কেউ কেউ নিজেদের লোকজন নিয়ে কমিটি গঠন করে সার্চ কমিটির হাতে জমাও দিয়েছেন। এমনটা যদি হয়, তাহলে এই সংস্কার কতটা সুফল পাবে, তা নিয়েও ভাবার অবকাশ আছে। সাবেক তারকা ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলাম দুঃখ করেই বললেন, ‘কেউ যদি ভাবে, এত দিন তারা বঞ্চিত, কোনো কিছুর ভাগ পায়নি, এখন লুটে খাবে; তাহলে ক্রীড়াঙ্গনে আর কখনোই সুবাতাস বইবে না।’

সৎ, যোগ্য, পরিশ্রমী আর খেলার মানুষদেরই ফেডারেশনগুলোয় আসা উচিত বলে মনে করেন আসলাম। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সহ-অধিনায়ক প্রতাপ শংকর হাজরার চাওয়া, নতুন যাঁরা আসবেন, তাঁরা যাতে ফেডারেশনের সংজ্ঞাটা বুঝেই দায়িত্ব নেন। তাঁর ভাষায়, ‘এত দিন এই ফেডারেশনগুলো চালিয়েছে একটা ক্ষমতাশালী গ্রুপ। তারা কখনো খেলোয়াড় বা ক্রীড়াঙ্গনের ভালো চায়নি। আবার এখন যারা আসতে চাচ্ছে, আমি বলব, তাদের আগে বোঝাতে হবে, ফেডারেশন মানেটা কী। ফেডারেশন মানে যে সারা দেশের খেলা পরিচালনার দায়দায়িত্ব তাদের, এটা আগে বুঝতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিপিএলে থাকছে না উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

ক্রীড়া ডেস্ক    
বিপিএলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রাখেনি গভর্নিং কাউন্সিল। ছবি: সংগৃহীত
বিপিএলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রাখেনি গভর্নিং কাউন্সিল। ছবি: সংগৃহীত

আগের বিপিএলে জাকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করেছিল গভর্নিং কাউন্সিল। মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে আনা হয়েছিল উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খানসহ আরও বেশ কয়েকজন তারকাকে।

সেদিক থেকে ব্যতিক্রম ২০২৬ বিপিএল। দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে ব্যয়বহুল টুর্নামেন্টের পর্বের আগে কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থাকছে না। আজ এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানায়, জনসমাগম বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং সংশ্লিষ্ট সবার সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বড় জনসমাগম সংশ্লিষ্ট কোনো প্রি-ইভেন্ট অনুষ্ঠান বা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর। ঠিক ওই সময়ে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের যে ঝক্কি, সেটি নিতে চাইছে না বিসিবি। একই সময়ে সরকারের নির্দেশনাও মানতে হচ্ছে তাদের। ২০২৬ বিপিএল শুরু ২৬ ডিসেম্বর, সিলেটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইপিএলে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়ার পরদিনই মোস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিং

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫২
৩ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশি পেসার। ছবি: সংগৃহীত
৩ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশি পেসার। ছবি: সংগৃহীত

রেকর্ড গড়ে গতকাল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নিলাম থেকে দল পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে এই পেসারকে দলে টেনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। যেটা বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ।

২০২৬ আইপিএল নিলামে আকাশচুম্বী দামে বিক্রি হওয়ার পর দিনই বল হাতে আগুন ঝরালেন মোস্তাফিজ। ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে (আইএল টি-টোয়েন্টি) দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে এমআই এমিরেটসের বিপক্ষে আজ দুর্দান্ত বোলিংয়ে তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। আইপিএল নিলামে বিশাল অঙ্কে বিক্রি হওয়াটাই যেন তাতিয়ে দিল কাটার মাস্টারকে।

৩ উইকেট নেওয়ার পথে ৪ ওভার বল করে ৩৪ রান দেন মোস্তাফিজ। প্রথম ২ ওভারে দিয়েছিলেন ১৭ রান। কোনো উইকেটের দেখা পাননি। ১৮তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভারটি করতে আসেন এই পেসার। সে ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে তুলে নেন রশিদ খান, টম ব্যান্টন ও আল্লাহ গজনফারের উইকেট। ২০তম ওভারে আবার বোলিংয়ে আসেন মোস্তাফিজ। এই ওভারে ২ ছক্কায় দেন ১৬ রান।

শেষ ওভারে মোস্তাফিজ খরুচে হওয়ার পেছনে দায়ী ফিল্ডাররা। তারকা পেসারের এই ওভারে দুটি ক্যাচ উঠলেও তালুবন্দী করতে পারেননি ফিল্ডাররা। নতুন জীবন পেয়ে রান বাড়িয়ে নিয়েছেন এমিরেটসের ব্যাটাররা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান তোলেছে তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালসের সঙ্গে ফুডি

ক্রীড়া ডেস্ক    
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শোয়েব আখতারের সঙ্গে ফুডির সিইও শাহনেওয়াজ মান্নান। ছবি: ফুডি
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শোয়েব আখতারের সঙ্গে ফুডির সিইও শাহনেওয়াজ মান্নান। ছবি: ফুডি

২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঢাকা ক্যাপিটালসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশের অন্যতম অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেড। গত ১৫ ডিসেম্বর ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ফুডি।

রাজধানীর শেরাটন হোটলে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঢাকা ক্যাপিটালসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সাবেক পাকিস্তানি গতি তারকা ও দলের মেন্টর শোয়েব আখতার। ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিইও) মো. শাহনেওয়াজ মান্নান।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় পক্ষই এই সহযোগিতা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তাঁরা জানান, এটি কেবল একটি পার্টনারশিপ নয়, বরং বিপিএল এবং দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের সঙ্গে আরও গভীরভাবে যুক্ত হওয়ার একটি কৌশলগত উদ্যোগ।

এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে ফুডি এবং ঢাকা ক্যাপিটালস একসঙ্গে একটি স্মরণীয় বিপিএল মৌসুম উপহার দেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মোস্তাফিজের প্রশংসায় ভারতের সাবেক অধিনায়ক

ক্রীড়া ডেস্ক    
৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কাটার মাস্টার নিয়েছে কলকাতা। ছবি: সংগৃহীত
৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কাটার মাস্টার নিয়েছে কলকাতা। ছবি: সংগৃহীত

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নিলামে দল পেয়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে কাটার মাস্টার খেলবেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। গতকাল সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিলামের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে কলকাতা। দলটির ভক্তরাও মোস্তাফিজের বোলিং দেখার অপেক্ষায় আছেন।

এবার মোস্তাফিজকে প্রশংসায় ভাসালেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কৃষ্ণামাচারি শ্রীকান্ত। বাংলাদেশি পেসারকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত কলকাতার জন্য সঠিক বলে মনে করছেন তিনি। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শ্রীকান্ত বলেন, ‘কলকাতা নাইট রাইডার্স নিলাম থেকে মোস্তাফিজকে নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তটা তাদের জন্য অসাধারণ ছিল। বুদ্ধিদীপপ্ত সিদ্দান্ত।’

২০২৬ আইপিএলের নিলামটা চমক হয়ে থাকল মোস্তাফিজের জন্য। প্রথম সেটে নাম না উঠলেও পরবর্তীতে রেকর্ড ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে তারকা পেসারকে দলে টেনেছে কলকাতা। চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে কাড়াকাড়ির পর মোস্তাফিজকে পেয়েছে তারা।

২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দিয়ে আইপিএলে অভিষেক হয় মোস্তাফিজের। সে আসরে সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন তিনি। এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস ও চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছেন। কলকাতা আইপিএলের তাঁর ষষ্ঠ ফ্র্যাঞ্চাইজি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে এখন পর্যন্ত ৬০ ম্যাচ খেলেছেন মোস্তাফিজ। বল হাতে নিয়েছেন ৬৫ উইকেট। বোলিং গড় ২৮.৪৪ এবং স্ট্রাইকরেট ৮.১৩।

মোস্তাফিজ ছাড়াও মাথিশা পাতিরানাকে নিয়েছে কলকাতা। এই লঙ্কান পেসারের জন্য তাদের খরচ হয়েছে ১৮ কোটি রুপি। তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের এই সিদ্ধান্তকে ভুল মনে করছেন শ্রীকান্ত। তিনি বলেন, ‘সে (পাতিরানা) কি এত বড় বোলার? সে ঝুঁকিপূর্ণ বোলার। ব্রাভোর উপস্থিতিতে কলকাতা তাঁকে নেবে এটা অনুমান করা যাচ্ছিল। কিন্তু তাঁর দাম দেখে সবাই অবাক হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত