রানা আব্বাস

ঢাকা: আজ রাতে জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল । সফরের শুরুতেই থাকছে টেস্ট। বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক জিম্বাবুয়ের সফর তো বটেই, ফিরে দেখলেন কদিন আগে শেষ হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের পারফরম্যান্সও
প্রশ্ন: প্রায় দুই বছর হতে চলেছে, অধিনায়কত্ব কেমন উপভোগ করছেন?
মুমিনুল হক: অধিনায়কত্ব করা কঠিন। তবে যে কেউ এটা করতে পারে। আমার কাছে কখনো কখনো মনে হয়, ইজি জব। বাংলাদেশে অধিনায়কত্ব পাওয়া কঠিন নয়। তবে কাজটা কঠিন, এটা মানি। আর অধিনায়কত্ব না পেলে মানুষের কথা যেমন শোনা লাগত না, তেমনি মানুষও আমাকে জানত–চিনত না।
প্রশ্ন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই চক্রটা শেষ হলো। নিজেদের পারফরম্যান্স কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মুমিনুল: আমাদের পারফরম্যান্স ভালো হয়নি। রেটিং যদি করতে বলেন, নিজেদের ১০–এ ২ দেব। একটা ম্যাচও জিততে পারিনি। একটা ম্যাচ ড্র হয়েছে মাত্র। ৭–৮ দিতে পারলে ভালো হতো। নিজেকেও ২ দেব। দল ভালো না করলে অধিনায়কত্বের তেমন মূল্যায়ন
হয় না।
প্রশ্ন: আপনি তো ধারাবাহিক রান করেছেন, ৭ টেস্টে ২ সেঞ্চুরিতে ৫৩৪ রান—এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবু ঘাটতি কোথায় ছিল?
মুমিনুল: যখন ইতিবাচক ফল আসবে না, সবদিক দিয়েই ঘাটতি মনে হবে। ধরুন, আমি সেঞ্চুরি করলাম। ওই পরিস্থিতিতে আমার কাছে পাওনা ছিল ১৫০ রান। বোলিংয়ে যেমন সঠিক সময়ে ২–৩ উইকেট দরকার ছিল পেসার বা স্পিনারদের কাছ থেকে। কিন্তু হয়নি। ফিটনেস অনেক বড় ইস্যু ছিল। ফিটনেস যদি ভালো না হয়, পাঁচ দিনের খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সহজ নয়। সেঞ্চুরি দিয়ে ফিটনেস মূল্যায়ন করা যাবে না।
আর আমাদের প্রস্তুতিরও ঘাটতি ছিল। কোনো সফরেই প্রতিপক্ষের তুলনায় ভালো প্রস্তুতি ছিল না। যেমন—গোলাপি বলে জীবনেও খেলেননি, প্রস্তুতিও ছিল না সেভাবে। আর পুরো দলকেও একসঙ্গে পাইনি। গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের কেউ না কেউ অনুপস্থিত ছিল।
প্রশ্ন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ বেশির ভাগ টেস্ট উপমহাদেশের চেনা কন্ডিশনেই খেলেছে। তবু ভালো ফল হয়নি।
মুমিনুল: ব্যাটিংটা বড় সমস্যা। টপ–অর্ডারে আরও দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারলে ভালো কিছু হতো। বোলিংও ভালো করা দরকার ছিল। মনে হচ্ছে পেস বোলিং আক্রমণটা গড়ে উঠছে। তাসকিন–শরিফুল দলে আসায় মোটামুটি একটি অবস্থায় আসছে। রাহি তো আছেই। তবে পুরো বিষয়টা এক দিনে দাঁড়াবে না। নিয়মিত যদি খেলা যায়, তাহলেই দাঁড়াবে।
প্রশ্ন: বলছিলেন, গুরুত্বপূর্ণ মানে সিনিয়র খেলোয়াড়দের কেউ না কেউ অনুপস্থিত ছিল। সামনেও যদি নিয়মিত তাঁদের না পান, তরুণদের নিয়ে কতটা আশাবাদী?
মুমিনুল: তাঁরা (সিনিয়র ক্রিকেটার) থাকলেও আশা করি, না থাকলেও করি। যখনই অধিনায়কত্ব পেয়েছি, তখন থেকেই আশা করছি বাংলাদেশ দল ভালো জায়গায় যাবে। অবশ্যই যাবে। হয়তো সময় লাগবে। বাংলাদেশের মানুষ হয়তো আমার এই আশার কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে গেছে! কিন্তু ক্রিকেটে সময় লাগে।
প্রশ্ন: ভালো জায়গায় বলতে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে আগামী দুই–তিন বছরে পাঁচ–ছয় নম্বরে ওঠা সম্ভব?
মুমিনুল: পাঁচ–ছয় নম্বরে ওঠা অসম্ভব কিছু না। উন্নতি করতে হলে ফিটনেসে অনেক বেশি উন্নতি করতে হবে। মারিও (বাংলাদেশ দলের সাবেক ট্রেনার) আসার আগে আমরা একটা পর্যায়ে ছিলাম, তিনি আসার পর আরেকটি লেভেলে গেছি। আগে ছিলাম আমরা ১০ নম্বরে। ফিটনেস ভালো করায় আমরা এখন ওয়ানডেতে ৭ নম্বরে। এখন ৫–৬ নম্বরে যেতে চাইলে ফিটনেস লেভেলের আরও উন্নতি করতে হবে। ফিটনেস ভালো হলে ডাবল–ট্রিপল সেঞ্চুরি করার পরও ক্লান্তি আসবে না। ধরুন, প্রথম ইনিংসে আপনি সেঞ্চুরি করেছেন, দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি দরকার। কিন্তু সেটা হচ্ছে না ফিটনেসের কারণে। উদাহরণ দিই, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৯ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২ রান করে আউট হয়েছি। ফিটনেস লেভেল যদি ভালো থাকত আরও বেশি রান করতে পারতাম।
প্রশ্ন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরের চক্রে কী লক্ষ্য থাকবে?
মুমিনুল: পয়েন্ট তালিকার নিচে আর থাকতে চাই না। অন্তত আমার আশা দেশে যেসব টেস্ট সিরিজ হবে, সব জিততে চাই। জানি এটি কঠিন হবে। তবে সবাই চেষ্টা করলে সম্ভব।
প্রশ্ন: তার আগে জিম্বাবুয়ে সফর। জিম্বাবুয়ের মাঠে তাদের হারানো সহজ নয়। এই সিরিজে কী লক্ষ্য থাকবে বাংলাদেশের?
মুমিনুল: জানি, আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক সিরিজ। ওদের দেশে ব্যাপারটা এত সহজ হবে না। টেস্ট খেলুড়ে যেসব দেশ আছে–সবাই নিজেদের মাঠে অনেক শক্তিশালী। টেস্টে তাদের হারানো কঠিন। চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে আমরা জেতার জন্যই খেলব। ব্যাটিংয়ে ভালো করতে হবে। বোলিংয়ে পেসারদের ভালো করার সুযোগ থাকবে।

ঢাকা: আজ রাতে জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল । সফরের শুরুতেই থাকছে টেস্ট। বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক জিম্বাবুয়ের সফর তো বটেই, ফিরে দেখলেন কদিন আগে শেষ হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের পারফরম্যান্সও
প্রশ্ন: প্রায় দুই বছর হতে চলেছে, অধিনায়কত্ব কেমন উপভোগ করছেন?
মুমিনুল হক: অধিনায়কত্ব করা কঠিন। তবে যে কেউ এটা করতে পারে। আমার কাছে কখনো কখনো মনে হয়, ইজি জব। বাংলাদেশে অধিনায়কত্ব পাওয়া কঠিন নয়। তবে কাজটা কঠিন, এটা মানি। আর অধিনায়কত্ব না পেলে মানুষের কথা যেমন শোনা লাগত না, তেমনি মানুষও আমাকে জানত–চিনত না।
প্রশ্ন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই চক্রটা শেষ হলো। নিজেদের পারফরম্যান্স কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মুমিনুল: আমাদের পারফরম্যান্স ভালো হয়নি। রেটিং যদি করতে বলেন, নিজেদের ১০–এ ২ দেব। একটা ম্যাচও জিততে পারিনি। একটা ম্যাচ ড্র হয়েছে মাত্র। ৭–৮ দিতে পারলে ভালো হতো। নিজেকেও ২ দেব। দল ভালো না করলে অধিনায়কত্বের তেমন মূল্যায়ন
হয় না।
প্রশ্ন: আপনি তো ধারাবাহিক রান করেছেন, ৭ টেস্টে ২ সেঞ্চুরিতে ৫৩৪ রান—এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবু ঘাটতি কোথায় ছিল?
মুমিনুল: যখন ইতিবাচক ফল আসবে না, সবদিক দিয়েই ঘাটতি মনে হবে। ধরুন, আমি সেঞ্চুরি করলাম। ওই পরিস্থিতিতে আমার কাছে পাওনা ছিল ১৫০ রান। বোলিংয়ে যেমন সঠিক সময়ে ২–৩ উইকেট দরকার ছিল পেসার বা স্পিনারদের কাছ থেকে। কিন্তু হয়নি। ফিটনেস অনেক বড় ইস্যু ছিল। ফিটনেস যদি ভালো না হয়, পাঁচ দিনের খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সহজ নয়। সেঞ্চুরি দিয়ে ফিটনেস মূল্যায়ন করা যাবে না।
আর আমাদের প্রস্তুতিরও ঘাটতি ছিল। কোনো সফরেই প্রতিপক্ষের তুলনায় ভালো প্রস্তুতি ছিল না। যেমন—গোলাপি বলে জীবনেও খেলেননি, প্রস্তুতিও ছিল না সেভাবে। আর পুরো দলকেও একসঙ্গে পাইনি। গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের কেউ না কেউ অনুপস্থিত ছিল।
প্রশ্ন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ বেশির ভাগ টেস্ট উপমহাদেশের চেনা কন্ডিশনেই খেলেছে। তবু ভালো ফল হয়নি।
মুমিনুল: ব্যাটিংটা বড় সমস্যা। টপ–অর্ডারে আরও দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারলে ভালো কিছু হতো। বোলিংও ভালো করা দরকার ছিল। মনে হচ্ছে পেস বোলিং আক্রমণটা গড়ে উঠছে। তাসকিন–শরিফুল দলে আসায় মোটামুটি একটি অবস্থায় আসছে। রাহি তো আছেই। তবে পুরো বিষয়টা এক দিনে দাঁড়াবে না। নিয়মিত যদি খেলা যায়, তাহলেই দাঁড়াবে।
প্রশ্ন: বলছিলেন, গুরুত্বপূর্ণ মানে সিনিয়র খেলোয়াড়দের কেউ না কেউ অনুপস্থিত ছিল। সামনেও যদি নিয়মিত তাঁদের না পান, তরুণদের নিয়ে কতটা আশাবাদী?
মুমিনুল: তাঁরা (সিনিয়র ক্রিকেটার) থাকলেও আশা করি, না থাকলেও করি। যখনই অধিনায়কত্ব পেয়েছি, তখন থেকেই আশা করছি বাংলাদেশ দল ভালো জায়গায় যাবে। অবশ্যই যাবে। হয়তো সময় লাগবে। বাংলাদেশের মানুষ হয়তো আমার এই আশার কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে গেছে! কিন্তু ক্রিকেটে সময় লাগে।
প্রশ্ন: ভালো জায়গায় বলতে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে আগামী দুই–তিন বছরে পাঁচ–ছয় নম্বরে ওঠা সম্ভব?
মুমিনুল: পাঁচ–ছয় নম্বরে ওঠা অসম্ভব কিছু না। উন্নতি করতে হলে ফিটনেসে অনেক বেশি উন্নতি করতে হবে। মারিও (বাংলাদেশ দলের সাবেক ট্রেনার) আসার আগে আমরা একটা পর্যায়ে ছিলাম, তিনি আসার পর আরেকটি লেভেলে গেছি। আগে ছিলাম আমরা ১০ নম্বরে। ফিটনেস ভালো করায় আমরা এখন ওয়ানডেতে ৭ নম্বরে। এখন ৫–৬ নম্বরে যেতে চাইলে ফিটনেস লেভেলের আরও উন্নতি করতে হবে। ফিটনেস ভালো হলে ডাবল–ট্রিপল সেঞ্চুরি করার পরও ক্লান্তি আসবে না। ধরুন, প্রথম ইনিংসে আপনি সেঞ্চুরি করেছেন, দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি দরকার। কিন্তু সেটা হচ্ছে না ফিটনেসের কারণে। উদাহরণ দিই, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৯ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২ রান করে আউট হয়েছি। ফিটনেস লেভেল যদি ভালো থাকত আরও বেশি রান করতে পারতাম।
প্রশ্ন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরের চক্রে কী লক্ষ্য থাকবে?
মুমিনুল: পয়েন্ট তালিকার নিচে আর থাকতে চাই না। অন্তত আমার আশা দেশে যেসব টেস্ট সিরিজ হবে, সব জিততে চাই। জানি এটি কঠিন হবে। তবে সবাই চেষ্টা করলে সম্ভব।
প্রশ্ন: তার আগে জিম্বাবুয়ে সফর। জিম্বাবুয়ের মাঠে তাদের হারানো সহজ নয়। এই সিরিজে কী লক্ষ্য থাকবে বাংলাদেশের?
মুমিনুল: জানি, আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক সিরিজ। ওদের দেশে ব্যাপারটা এত সহজ হবে না। টেস্ট খেলুড়ে যেসব দেশ আছে–সবাই নিজেদের মাঠে অনেক শক্তিশালী। টেস্টে তাদের হারানো কঠিন। চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে আমরা জেতার জন্যই খেলব। ব্যাটিংয়ে ভালো করতে হবে। বোলিংয়ে পেসারদের ভালো করার সুযোগ থাকবে।
রানা আব্বাস

ঢাকা: আজ রাতে জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল । সফরের শুরুতেই থাকছে টেস্ট। বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক জিম্বাবুয়ের সফর তো বটেই, ফিরে দেখলেন কদিন আগে শেষ হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের পারফরম্যান্সও
প্রশ্ন: প্রায় দুই বছর হতে চলেছে, অধিনায়কত্ব কেমন উপভোগ করছেন?
মুমিনুল হক: অধিনায়কত্ব করা কঠিন। তবে যে কেউ এটা করতে পারে। আমার কাছে কখনো কখনো মনে হয়, ইজি জব। বাংলাদেশে অধিনায়কত্ব পাওয়া কঠিন নয়। তবে কাজটা কঠিন, এটা মানি। আর অধিনায়কত্ব না পেলে মানুষের কথা যেমন শোনা লাগত না, তেমনি মানুষও আমাকে জানত–চিনত না।
প্রশ্ন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই চক্রটা শেষ হলো। নিজেদের পারফরম্যান্স কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মুমিনুল: আমাদের পারফরম্যান্স ভালো হয়নি। রেটিং যদি করতে বলেন, নিজেদের ১০–এ ২ দেব। একটা ম্যাচও জিততে পারিনি। একটা ম্যাচ ড্র হয়েছে মাত্র। ৭–৮ দিতে পারলে ভালো হতো। নিজেকেও ২ দেব। দল ভালো না করলে অধিনায়কত্বের তেমন মূল্যায়ন
হয় না।
প্রশ্ন: আপনি তো ধারাবাহিক রান করেছেন, ৭ টেস্টে ২ সেঞ্চুরিতে ৫৩৪ রান—এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবু ঘাটতি কোথায় ছিল?
মুমিনুল: যখন ইতিবাচক ফল আসবে না, সবদিক দিয়েই ঘাটতি মনে হবে। ধরুন, আমি সেঞ্চুরি করলাম। ওই পরিস্থিতিতে আমার কাছে পাওনা ছিল ১৫০ রান। বোলিংয়ে যেমন সঠিক সময়ে ২–৩ উইকেট দরকার ছিল পেসার বা স্পিনারদের কাছ থেকে। কিন্তু হয়নি। ফিটনেস অনেক বড় ইস্যু ছিল। ফিটনেস যদি ভালো না হয়, পাঁচ দিনের খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সহজ নয়। সেঞ্চুরি দিয়ে ফিটনেস মূল্যায়ন করা যাবে না।
আর আমাদের প্রস্তুতিরও ঘাটতি ছিল। কোনো সফরেই প্রতিপক্ষের তুলনায় ভালো প্রস্তুতি ছিল না। যেমন—গোলাপি বলে জীবনেও খেলেননি, প্রস্তুতিও ছিল না সেভাবে। আর পুরো দলকেও একসঙ্গে পাইনি। গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের কেউ না কেউ অনুপস্থিত ছিল।
প্রশ্ন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ বেশির ভাগ টেস্ট উপমহাদেশের চেনা কন্ডিশনেই খেলেছে। তবু ভালো ফল হয়নি।
মুমিনুল: ব্যাটিংটা বড় সমস্যা। টপ–অর্ডারে আরও দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারলে ভালো কিছু হতো। বোলিংও ভালো করা দরকার ছিল। মনে হচ্ছে পেস বোলিং আক্রমণটা গড়ে উঠছে। তাসকিন–শরিফুল দলে আসায় মোটামুটি একটি অবস্থায় আসছে। রাহি তো আছেই। তবে পুরো বিষয়টা এক দিনে দাঁড়াবে না। নিয়মিত যদি খেলা যায়, তাহলেই দাঁড়াবে।
প্রশ্ন: বলছিলেন, গুরুত্বপূর্ণ মানে সিনিয়র খেলোয়াড়দের কেউ না কেউ অনুপস্থিত ছিল। সামনেও যদি নিয়মিত তাঁদের না পান, তরুণদের নিয়ে কতটা আশাবাদী?
মুমিনুল: তাঁরা (সিনিয়র ক্রিকেটার) থাকলেও আশা করি, না থাকলেও করি। যখনই অধিনায়কত্ব পেয়েছি, তখন থেকেই আশা করছি বাংলাদেশ দল ভালো জায়গায় যাবে। অবশ্যই যাবে। হয়তো সময় লাগবে। বাংলাদেশের মানুষ হয়তো আমার এই আশার কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে গেছে! কিন্তু ক্রিকেটে সময় লাগে।
প্রশ্ন: ভালো জায়গায় বলতে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে আগামী দুই–তিন বছরে পাঁচ–ছয় নম্বরে ওঠা সম্ভব?
মুমিনুল: পাঁচ–ছয় নম্বরে ওঠা অসম্ভব কিছু না। উন্নতি করতে হলে ফিটনেসে অনেক বেশি উন্নতি করতে হবে। মারিও (বাংলাদেশ দলের সাবেক ট্রেনার) আসার আগে আমরা একটা পর্যায়ে ছিলাম, তিনি আসার পর আরেকটি লেভেলে গেছি। আগে ছিলাম আমরা ১০ নম্বরে। ফিটনেস ভালো করায় আমরা এখন ওয়ানডেতে ৭ নম্বরে। এখন ৫–৬ নম্বরে যেতে চাইলে ফিটনেস লেভেলের আরও উন্নতি করতে হবে। ফিটনেস ভালো হলে ডাবল–ট্রিপল সেঞ্চুরি করার পরও ক্লান্তি আসবে না। ধরুন, প্রথম ইনিংসে আপনি সেঞ্চুরি করেছেন, দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি দরকার। কিন্তু সেটা হচ্ছে না ফিটনেসের কারণে। উদাহরণ দিই, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৯ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২ রান করে আউট হয়েছি। ফিটনেস লেভেল যদি ভালো থাকত আরও বেশি রান করতে পারতাম।
প্রশ্ন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরের চক্রে কী লক্ষ্য থাকবে?
মুমিনুল: পয়েন্ট তালিকার নিচে আর থাকতে চাই না। অন্তত আমার আশা দেশে যেসব টেস্ট সিরিজ হবে, সব জিততে চাই। জানি এটি কঠিন হবে। তবে সবাই চেষ্টা করলে সম্ভব।
প্রশ্ন: তার আগে জিম্বাবুয়ে সফর। জিম্বাবুয়ের মাঠে তাদের হারানো সহজ নয়। এই সিরিজে কী লক্ষ্য থাকবে বাংলাদেশের?
মুমিনুল: জানি, আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক সিরিজ। ওদের দেশে ব্যাপারটা এত সহজ হবে না। টেস্ট খেলুড়ে যেসব দেশ আছে–সবাই নিজেদের মাঠে অনেক শক্তিশালী। টেস্টে তাদের হারানো কঠিন। চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে আমরা জেতার জন্যই খেলব। ব্যাটিংয়ে ভালো করতে হবে। বোলিংয়ে পেসারদের ভালো করার সুযোগ থাকবে।

ঢাকা: আজ রাতে জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল । সফরের শুরুতেই থাকছে টেস্ট। বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক জিম্বাবুয়ের সফর তো বটেই, ফিরে দেখলেন কদিন আগে শেষ হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের পারফরম্যান্সও
প্রশ্ন: প্রায় দুই বছর হতে চলেছে, অধিনায়কত্ব কেমন উপভোগ করছেন?
মুমিনুল হক: অধিনায়কত্ব করা কঠিন। তবে যে কেউ এটা করতে পারে। আমার কাছে কখনো কখনো মনে হয়, ইজি জব। বাংলাদেশে অধিনায়কত্ব পাওয়া কঠিন নয়। তবে কাজটা কঠিন, এটা মানি। আর অধিনায়কত্ব না পেলে মানুষের কথা যেমন শোনা লাগত না, তেমনি মানুষও আমাকে জানত–চিনত না।
প্রশ্ন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই চক্রটা শেষ হলো। নিজেদের পারফরম্যান্স কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মুমিনুল: আমাদের পারফরম্যান্স ভালো হয়নি। রেটিং যদি করতে বলেন, নিজেদের ১০–এ ২ দেব। একটা ম্যাচও জিততে পারিনি। একটা ম্যাচ ড্র হয়েছে মাত্র। ৭–৮ দিতে পারলে ভালো হতো। নিজেকেও ২ দেব। দল ভালো না করলে অধিনায়কত্বের তেমন মূল্যায়ন
হয় না।
প্রশ্ন: আপনি তো ধারাবাহিক রান করেছেন, ৭ টেস্টে ২ সেঞ্চুরিতে ৫৩৪ রান—এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবু ঘাটতি কোথায় ছিল?
মুমিনুল: যখন ইতিবাচক ফল আসবে না, সবদিক দিয়েই ঘাটতি মনে হবে। ধরুন, আমি সেঞ্চুরি করলাম। ওই পরিস্থিতিতে আমার কাছে পাওনা ছিল ১৫০ রান। বোলিংয়ে যেমন সঠিক সময়ে ২–৩ উইকেট দরকার ছিল পেসার বা স্পিনারদের কাছ থেকে। কিন্তু হয়নি। ফিটনেস অনেক বড় ইস্যু ছিল। ফিটনেস যদি ভালো না হয়, পাঁচ দিনের খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সহজ নয়। সেঞ্চুরি দিয়ে ফিটনেস মূল্যায়ন করা যাবে না।
আর আমাদের প্রস্তুতিরও ঘাটতি ছিল। কোনো সফরেই প্রতিপক্ষের তুলনায় ভালো প্রস্তুতি ছিল না। যেমন—গোলাপি বলে জীবনেও খেলেননি, প্রস্তুতিও ছিল না সেভাবে। আর পুরো দলকেও একসঙ্গে পাইনি। গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের কেউ না কেউ অনুপস্থিত ছিল।
প্রশ্ন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ বেশির ভাগ টেস্ট উপমহাদেশের চেনা কন্ডিশনেই খেলেছে। তবু ভালো ফল হয়নি।
মুমিনুল: ব্যাটিংটা বড় সমস্যা। টপ–অর্ডারে আরও দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারলে ভালো কিছু হতো। বোলিংও ভালো করা দরকার ছিল। মনে হচ্ছে পেস বোলিং আক্রমণটা গড়ে উঠছে। তাসকিন–শরিফুল দলে আসায় মোটামুটি একটি অবস্থায় আসছে। রাহি তো আছেই। তবে পুরো বিষয়টা এক দিনে দাঁড়াবে না। নিয়মিত যদি খেলা যায়, তাহলেই দাঁড়াবে।
প্রশ্ন: বলছিলেন, গুরুত্বপূর্ণ মানে সিনিয়র খেলোয়াড়দের কেউ না কেউ অনুপস্থিত ছিল। সামনেও যদি নিয়মিত তাঁদের না পান, তরুণদের নিয়ে কতটা আশাবাদী?
মুমিনুল: তাঁরা (সিনিয়র ক্রিকেটার) থাকলেও আশা করি, না থাকলেও করি। যখনই অধিনায়কত্ব পেয়েছি, তখন থেকেই আশা করছি বাংলাদেশ দল ভালো জায়গায় যাবে। অবশ্যই যাবে। হয়তো সময় লাগবে। বাংলাদেশের মানুষ হয়তো আমার এই আশার কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে গেছে! কিন্তু ক্রিকেটে সময় লাগে।
প্রশ্ন: ভালো জায়গায় বলতে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে আগামী দুই–তিন বছরে পাঁচ–ছয় নম্বরে ওঠা সম্ভব?
মুমিনুল: পাঁচ–ছয় নম্বরে ওঠা অসম্ভব কিছু না। উন্নতি করতে হলে ফিটনেসে অনেক বেশি উন্নতি করতে হবে। মারিও (বাংলাদেশ দলের সাবেক ট্রেনার) আসার আগে আমরা একটা পর্যায়ে ছিলাম, তিনি আসার পর আরেকটি লেভেলে গেছি। আগে ছিলাম আমরা ১০ নম্বরে। ফিটনেস ভালো করায় আমরা এখন ওয়ানডেতে ৭ নম্বরে। এখন ৫–৬ নম্বরে যেতে চাইলে ফিটনেস লেভেলের আরও উন্নতি করতে হবে। ফিটনেস ভালো হলে ডাবল–ট্রিপল সেঞ্চুরি করার পরও ক্লান্তি আসবে না। ধরুন, প্রথম ইনিংসে আপনি সেঞ্চুরি করেছেন, দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি দরকার। কিন্তু সেটা হচ্ছে না ফিটনেসের কারণে। উদাহরণ দিই, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৯ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২ রান করে আউট হয়েছি। ফিটনেস লেভেল যদি ভালো থাকত আরও বেশি রান করতে পারতাম।
প্রশ্ন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরের চক্রে কী লক্ষ্য থাকবে?
মুমিনুল: পয়েন্ট তালিকার নিচে আর থাকতে চাই না। অন্তত আমার আশা দেশে যেসব টেস্ট সিরিজ হবে, সব জিততে চাই। জানি এটি কঠিন হবে। তবে সবাই চেষ্টা করলে সম্ভব।
প্রশ্ন: তার আগে জিম্বাবুয়ে সফর। জিম্বাবুয়ের মাঠে তাদের হারানো সহজ নয়। এই সিরিজে কী লক্ষ্য থাকবে বাংলাদেশের?
মুমিনুল: জানি, আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক সিরিজ। ওদের দেশে ব্যাপারটা এত সহজ হবে না। টেস্ট খেলুড়ে যেসব দেশ আছে–সবাই নিজেদের মাঠে অনেক শক্তিশালী। টেস্টে তাদের হারানো কঠিন। চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে আমরা জেতার জন্যই খেলব। ব্যাটিংয়ে ভালো করতে হবে। বোলিংয়ে পেসারদের ভালো করার সুযোগ থাকবে।

হাতে থাকা ৬ উইকেট নিয়ে আজ নিজেদের সংগ্রহটা খুব বেশি বাড়িয়ে নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। এরপরও তাদের পুঁজি এবং লিড মিলিয়ে বড় লক্ষ্য দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের সামনে। লক্ষ্যের পেছনে ছুঁটতে গিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় অ্যাডিলেড টেস্টে হারের শঙ্কায় আছে বেন স্টোকসের দল। এই ম্যাচ হারলে অ্যাশেজ সিরিজ হারবে সফরকারীরা।
২ ঘণ্টা আগে
টাইব্রেকারে হতে পারতো যেকোনো কিছুই। কিন্তু ফলটা এসেছে পিএসজির পক্ষেই। সেটার নায়ক দলটির রাশিয়ান গোলরক্ষক মাতভেই সাফোনভ। টাইব্রেকারে ফ্ল্যামঙ্গোর সামনে রীতিমতো দেয়াল হয়ে ওঠেন তিনি। দল জিতলেও হাত ভেঙেছে সাফোনভের। দলের জন্য তাঁর এমন কৃতিত্বকে অবিশ্বাস্য বলে মনে করছেন পিএসজির প্রধান কোচ লুইস এনরিকে।
২ ঘণ্টা আগে
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ডেভন কনওয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সে জবাবটা দিচ্ছেন কাভেম হজ। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন এই টপঅর্ডার ব্যাটার। এরপরও পিছিয়ে আছে সফরকারীরা। লেজের ব্যাটাররা হজকে সঙ্গ দিতে না পারলে লিড নেবে নিউজিল্যান্ড।
৩ ঘণ্টা আগে
দুবাই ক্যাপিটালসের সর্বশেষ ম্যাচটা ছিল শারজা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে। সেই সুবাদে গতকাল একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। দুই বাংলাদেশির লড়াইয়ে জিতেছেন কাটার মাস্টার। শারজাকে ৬৩ রানে হারিয়েছে তাঁর দল দুবাই। দলের জয়ের দিনে মোস্তাফিজও ঢুকেছেন সেরা বোলারদের তালিকায়।
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

হাতে থাকা ৬ উইকেট নিয়ে আজ নিজেদের সংগ্রহটা খুব বেশি বাড়িয়ে নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। এরপরও তাদের পুঁজি এবং লিড মিলিয়ে বড় লক্ষ্য দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের সামনে। লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় অ্যাডিলেড টেস্টে হারের শঙ্কায় আছে বেন স্টোকসের দল। এই ম্যাচ হারলে অ্যাশেজ সিরিজ হারবে সফরকারীরা।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ২৭১ রান। বাকি ৬ উইকেটে আজ ৭৮ রান যোগ করে ৩৪৯ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকেরা। প্রথম ইনিংসে তারা ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৩৫ রানের। এর আগে এই সংস্করণে সর্বোচ্চ ৪১৭ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিল ক্যারিবীয়রা।
২২ বছর আগের সে রেকর্ড ভাঙার জন্য দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে হতো ইংল্যান্ডকে। কিন্তু তাদের শুরুটা হয়েছে খুবই বাজে। ২০৭ রান করতেই হারিয়েছে ৬ ব্যাটারকে। ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খাওয়া অতিথিদের হয়ে এক জ্যাক ক্রলি ছাড়া আর কেউ সেভাবে ব্যাটং করতে পারেননি। ৮ বাউন্ডারিতে ৮৫ রান করা এই ওপেনারকে ফেরান লায়ন। দলীয় ৩২ রানে বেন ডাকেট ও ওলি পোপকে হারানোর পর জো রুট ও হ্যারি ব্রুককে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন ক্রলি।
তৃতীয় উইকেটে রুটকে নিয়ে ৭৮ এবং চতুর্থ উইকেট জুটিতে ব্রুকের সঙ্গে ৬৮ রান যোগ করেন ক্রলি। এই ব্যাটার সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগালেও রুট ও ব্রুক থামেন ৩৯ ও ৩০ রান করে। দলকে বিপদে রেখে সাজঘরে ফেরেন স্টোকস। লায়নের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে করেন মাত্র ৫ রান।
শেষ দিনে ইংল্যান্ডের ভরসা হয়ে টিকে আছেন উইল জ্যাকস ও জেমি স্মিথ। তাঁরা দুজন ১১ ও ২ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামবেন। জেতার জন্য আরও ২২৮ রান করতে হবে ইংল্যান্ডকে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ৪ উইকেট।

হাতে থাকা ৬ উইকেট নিয়ে আজ নিজেদের সংগ্রহটা খুব বেশি বাড়িয়ে নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। এরপরও তাদের পুঁজি এবং লিড মিলিয়ে বড় লক্ষ্য দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের সামনে। লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় অ্যাডিলেড টেস্টে হারের শঙ্কায় আছে বেন স্টোকসের দল। এই ম্যাচ হারলে অ্যাশেজ সিরিজ হারবে সফরকারীরা।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ২৭১ রান। বাকি ৬ উইকেটে আজ ৭৮ রান যোগ করে ৩৪৯ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকেরা। প্রথম ইনিংসে তারা ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৩৫ রানের। এর আগে এই সংস্করণে সর্বোচ্চ ৪১৭ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিল ক্যারিবীয়রা।
২২ বছর আগের সে রেকর্ড ভাঙার জন্য দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে হতো ইংল্যান্ডকে। কিন্তু তাদের শুরুটা হয়েছে খুবই বাজে। ২০৭ রান করতেই হারিয়েছে ৬ ব্যাটারকে। ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খাওয়া অতিথিদের হয়ে এক জ্যাক ক্রলি ছাড়া আর কেউ সেভাবে ব্যাটং করতে পারেননি। ৮ বাউন্ডারিতে ৮৫ রান করা এই ওপেনারকে ফেরান লায়ন। দলীয় ৩২ রানে বেন ডাকেট ও ওলি পোপকে হারানোর পর জো রুট ও হ্যারি ব্রুককে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন ক্রলি।
তৃতীয় উইকেটে রুটকে নিয়ে ৭৮ এবং চতুর্থ উইকেট জুটিতে ব্রুকের সঙ্গে ৬৮ রান যোগ করেন ক্রলি। এই ব্যাটার সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগালেও রুট ও ব্রুক থামেন ৩৯ ও ৩০ রান করে। দলকে বিপদে রেখে সাজঘরে ফেরেন স্টোকস। লায়নের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে করেন মাত্র ৫ রান।
শেষ দিনে ইংল্যান্ডের ভরসা হয়ে টিকে আছেন উইল জ্যাকস ও জেমি স্মিথ। তাঁরা দুজন ১১ ও ২ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামবেন। জেতার জন্য আরও ২২৮ রান করতে হবে ইংল্যান্ডকে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ৪ উইকেট।

আজ রাতে জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল । সফরের শুরুতেই থাকছে টেস্ট। বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক জিম্বাবুয়ের সফর তো বটেই, ফিরে দেখলেন কদিন আগে শেষ হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের পারফরম্যান্সও
২৮ জুন ২০২১
টাইব্রেকারে হতে পারতো যেকোনো কিছুই। কিন্তু ফলটা এসেছে পিএসজির পক্ষেই। সেটার নায়ক দলটির রাশিয়ান গোলরক্ষক মাতভেই সাফোনভ। টাইব্রেকারে ফ্ল্যামঙ্গোর সামনে রীতিমতো দেয়াল হয়ে ওঠেন তিনি। দল জিতলেও হাত ভেঙেছে সাফোনভের। দলের জন্য তাঁর এমন কৃতিত্বকে অবিশ্বাস্য বলে মনে করছেন পিএসজির প্রধান কোচ লুইস এনরিকে।
২ ঘণ্টা আগে
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ডেভন কনওয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সে জবাবটা দিচ্ছেন কাভেম হজ। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন এই টপঅর্ডার ব্যাটার। এরপরও পিছিয়ে আছে সফরকারীরা। লেজের ব্যাটাররা হজকে সঙ্গ দিতে না পারলে লিড নেবে নিউজিল্যান্ড।
৩ ঘণ্টা আগে
দুবাই ক্যাপিটালসের সর্বশেষ ম্যাচটা ছিল শারজা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে। সেই সুবাদে গতকাল একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। দুই বাংলাদেশির লড়াইয়ে জিতেছেন কাটার মাস্টার। শারজাকে ৬৩ রানে হারিয়েছে তাঁর দল দুবাই। দলের জয়ের দিনে মোস্তাফিজও ঢুকেছেন সেরা বোলারদের তালিকায়।
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

টাইব্রেকারে হতে পারতো যেকোনো কিছুই। কিন্তু ফলটা এসেছে পিএসজির পক্ষেই। সেটার নায়ক দলটির রাশিয়ান গোলরক্ষক মাতভেই সাফোনভ। টাইব্রেকারে ফ্ল্যামঙ্গোর সামনে রীতিমতো দেয়াল হয়ে ওঠেন তিনি। দল জিতলেও হাত ভেঙেছে সাফোনভের। দলের জন্য তাঁর এমন কৃতিত্বকে অবিশ্বাস্য বলে মনে করছেন পিএসজির প্রধান কোচ লুইস এনরিকে।
পিএসজির সঙ্গে ফ্ল্যামেঙ্গোর ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনাল ম্যাচের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ সমতায়। নিষ্পত্তির জন্য ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের চারটি শট ঠেকান সাফোনভ। ফ্রেঞ্চ কাপে আজ রাত দুইটায় ফন্তেনের বিপক্ষে মাঠে নামবে পিএসজি। তার আগে সাফোনভের হাত ভাঙার বিষয়টি নিশ্চিত কো হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে।
পরে সংবাদ সম্মেলনে এনে হাত ভাঙার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন এনরিকে। তিনি বলেন, ‘টাইব্রেকারের সময় সাফোনভ লড়াইয়ের ভঙ্গিতে ছিল। তাই হয়তো সে ড্রেনালিনে (উত্তেজনাকর বিশেষ হরমোন) প্রভাবে সে ভাঙা হাত নিয়েই শুটআউট শেষ করেছে। ভাঙা হাত নিয়েই সে দুটি শট ঠেকিয়েছে। কোনো ব্যথা অনুভব করেনি। যেকোনো সময় দলকে সাহায্য করার জন্য সে প্রস্তুত। এটা রীতিমতো তা অবিশ্বাস্য। আমরা এই মানসিকতাই চাই। সবসময় পরিশ্রম করতে হবে।’
সাফোনভের এই অদম্য মানসিকতার কোনো ব্যাখ্যা নেই পিএসজি কোচের কাছে, ‘আমি এটা ব্যাখ্যা করতে পারব না। সত্যিই অবিশ্বাস্য ছিল। সাফোনভ নিজেও জানে না কীভাবে এটা হলো। তৃতীয় পেনাল্টি বাঁচানোর সময় সে একটু অস্বাভাবিক মুভমেন্ট করেছিল। আমাদের মনে হয় তখনই সসসসে চোট পেয়েছে।’

টাইব্রেকারে হতে পারতো যেকোনো কিছুই। কিন্তু ফলটা এসেছে পিএসজির পক্ষেই। সেটার নায়ক দলটির রাশিয়ান গোলরক্ষক মাতভেই সাফোনভ। টাইব্রেকারে ফ্ল্যামঙ্গোর সামনে রীতিমতো দেয়াল হয়ে ওঠেন তিনি। দল জিতলেও হাত ভেঙেছে সাফোনভের। দলের জন্য তাঁর এমন কৃতিত্বকে অবিশ্বাস্য বলে মনে করছেন পিএসজির প্রধান কোচ লুইস এনরিকে।
পিএসজির সঙ্গে ফ্ল্যামেঙ্গোর ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনাল ম্যাচের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ সমতায়। নিষ্পত্তির জন্য ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের চারটি শট ঠেকান সাফোনভ। ফ্রেঞ্চ কাপে আজ রাত দুইটায় ফন্তেনের বিপক্ষে মাঠে নামবে পিএসজি। তার আগে সাফোনভের হাত ভাঙার বিষয়টি নিশ্চিত কো হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে।
পরে সংবাদ সম্মেলনে এনে হাত ভাঙার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন এনরিকে। তিনি বলেন, ‘টাইব্রেকারের সময় সাফোনভ লড়াইয়ের ভঙ্গিতে ছিল। তাই হয়তো সে ড্রেনালিনে (উত্তেজনাকর বিশেষ হরমোন) প্রভাবে সে ভাঙা হাত নিয়েই শুটআউট শেষ করেছে। ভাঙা হাত নিয়েই সে দুটি শট ঠেকিয়েছে। কোনো ব্যথা অনুভব করেনি। যেকোনো সময় দলকে সাহায্য করার জন্য সে প্রস্তুত। এটা রীতিমতো তা অবিশ্বাস্য। আমরা এই মানসিকতাই চাই। সবসময় পরিশ্রম করতে হবে।’
সাফোনভের এই অদম্য মানসিকতার কোনো ব্যাখ্যা নেই পিএসজি কোচের কাছে, ‘আমি এটা ব্যাখ্যা করতে পারব না। সত্যিই অবিশ্বাস্য ছিল। সাফোনভ নিজেও জানে না কীভাবে এটা হলো। তৃতীয় পেনাল্টি বাঁচানোর সময় সে একটু অস্বাভাবিক মুভমেন্ট করেছিল। আমাদের মনে হয় তখনই সসসসে চোট পেয়েছে।’

আজ রাতে জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল । সফরের শুরুতেই থাকছে টেস্ট। বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক জিম্বাবুয়ের সফর তো বটেই, ফিরে দেখলেন কদিন আগে শেষ হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের পারফরম্যান্সও
২৮ জুন ২০২১
হাতে থাকা ৬ উইকেট নিয়ে আজ নিজেদের সংগ্রহটা খুব বেশি বাড়িয়ে নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। এরপরও তাদের পুঁজি এবং লিড মিলিয়ে বড় লক্ষ্য দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের সামনে। লক্ষ্যের পেছনে ছুঁটতে গিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় অ্যাডিলেড টেস্টে হারের শঙ্কায় আছে বেন স্টোকসের দল। এই ম্যাচ হারলে অ্যাশেজ সিরিজ হারবে সফরকারীরা।
২ ঘণ্টা আগে
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ডেভন কনওয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সে জবাবটা দিচ্ছেন কাভেম হজ। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন এই টপঅর্ডার ব্যাটার। এরপরও পিছিয়ে আছে সফরকারীরা। লেজের ব্যাটাররা হজকে সঙ্গ দিতে না পারলে লিড নেবে নিউজিল্যান্ড।
৩ ঘণ্টা আগে
দুবাই ক্যাপিটালসের সর্বশেষ ম্যাচটা ছিল শারজা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে। সেই সুবাদে গতকাল একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। দুই বাংলাদেশির লড়াইয়ে জিতেছেন কাটার মাস্টার। শারজাকে ৬৩ রানে হারিয়েছে তাঁর দল দুবাই। দলের জয়ের দিনে মোস্তাফিজও ঢুকেছেন সেরা বোলারদের তালিকায়।
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ডেভন কনওয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সে জবাবটা দিচ্ছেন কাভেম হজ। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন এই টপঅর্ডার ব্যাটার। এরপরও পিছিয়ে আছে সফরকারীরা। লেজের ব্যাটাররা হজকে সঙ্গ দিতে না পারলে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের প্রথম ইনিংসে লিড নেবে নিউজিল্যান্ড।
৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৩৮১ রান। এখনো ১৯৪ রানে পিছিয়ে অতিথিরা। তাদের ভরসা হয়ে টিকে আছেন হজ। ১০৯ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের বিশাল লক্ষ্যের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ছিল দারুণ। রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন। আগের দিনের সঙ্গে আর কোনো রান যোগ না করেই আজ শুরুতেই ফেরেন ক্যাম্পবেল। কিং-ও বেশিদূর আগাতে পারেননি। ৬৩ রান করা এই ওপেনারকে বোল্ড করেন জ্যাকড ডাফি।
১৪০ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতনের পর টেভিন ইমলাচ, আলিক আথানেজ, জাস্টিন গ্রিভসরা ব্যাট হাতে টিকে গেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। হজের সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি গড়ে ২৭ রান করে ফেরেন ইমলাচ। চতুর্থ উইকেটে আথানেজকে নিয়ে ৬১ রান যোগ করেন হজ। যেখানে আথানেজের অবদান ৪৫ রান।
পঞ্চম উইকেটে গ্রিভস নিয়ে ৮১ রান তোলেন হজ। গ্রিভস ৪৩ রান করে ফিরলে এই জুটির সমাপ্তি হয়। হাল ধরতে ব্যর্থ হন রস্টন চেজ। ২ রান করে বিদায় নেন এই অলরাউন্ডার। অ্যান্ডারসন ফিলিপকে নিয়ে দিনের বাকিটা পথ পাড়ি দেন হজ। ১৪ বাউন্ডারিতে সাজানো তাঁর ২৫৪ বলের ইনিংস। তাঁর সঙ্গে ১২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন ব্যাট করতে নামবেন।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ডেভন কনওয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সে জবাবটা দিচ্ছেন কাভেম হজ। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন এই টপঅর্ডার ব্যাটার। এরপরও পিছিয়ে আছে সফরকারীরা। লেজের ব্যাটাররা হজকে সঙ্গ দিতে না পারলে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের প্রথম ইনিংসে লিড নেবে নিউজিল্যান্ড।
৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৩৮১ রান। এখনো ১৯৪ রানে পিছিয়ে অতিথিরা। তাদের ভরসা হয়ে টিকে আছেন হজ। ১০৯ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের বিশাল লক্ষ্যের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ছিল দারুণ। রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন। আগের দিনের সঙ্গে আর কোনো রান যোগ না করেই আজ শুরুতেই ফেরেন ক্যাম্পবেল। কিং-ও বেশিদূর আগাতে পারেননি। ৬৩ রান করা এই ওপেনারকে বোল্ড করেন জ্যাকড ডাফি।
১৪০ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতনের পর টেভিন ইমলাচ, আলিক আথানেজ, জাস্টিন গ্রিভসরা ব্যাট হাতে টিকে গেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। হজের সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি গড়ে ২৭ রান করে ফেরেন ইমলাচ। চতুর্থ উইকেটে আথানেজকে নিয়ে ৬১ রান যোগ করেন হজ। যেখানে আথানেজের অবদান ৪৫ রান।
পঞ্চম উইকেটে গ্রিভস নিয়ে ৮১ রান তোলেন হজ। গ্রিভস ৪৩ রান করে ফিরলে এই জুটির সমাপ্তি হয়। হাল ধরতে ব্যর্থ হন রস্টন চেজ। ২ রান করে বিদায় নেন এই অলরাউন্ডার। অ্যান্ডারসন ফিলিপকে নিয়ে দিনের বাকিটা পথ পাড়ি দেন হজ। ১৪ বাউন্ডারিতে সাজানো তাঁর ২৫৪ বলের ইনিংস। তাঁর সঙ্গে ১২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন ব্যাট করতে নামবেন।

আজ রাতে জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল । সফরের শুরুতেই থাকছে টেস্ট। বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক জিম্বাবুয়ের সফর তো বটেই, ফিরে দেখলেন কদিন আগে শেষ হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের পারফরম্যান্সও
২৮ জুন ২০২১
হাতে থাকা ৬ উইকেট নিয়ে আজ নিজেদের সংগ্রহটা খুব বেশি বাড়িয়ে নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। এরপরও তাদের পুঁজি এবং লিড মিলিয়ে বড় লক্ষ্য দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের সামনে। লক্ষ্যের পেছনে ছুঁটতে গিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় অ্যাডিলেড টেস্টে হারের শঙ্কায় আছে বেন স্টোকসের দল। এই ম্যাচ হারলে অ্যাশেজ সিরিজ হারবে সফরকারীরা।
২ ঘণ্টা আগে
টাইব্রেকারে হতে পারতো যেকোনো কিছুই। কিন্তু ফলটা এসেছে পিএসজির পক্ষেই। সেটার নায়ক দলটির রাশিয়ান গোলরক্ষক মাতভেই সাফোনভ। টাইব্রেকারে ফ্ল্যামঙ্গোর সামনে রীতিমতো দেয়াল হয়ে ওঠেন তিনি। দল জিতলেও হাত ভেঙেছে সাফোনভের। দলের জন্য তাঁর এমন কৃতিত্বকে অবিশ্বাস্য বলে মনে করছেন পিএসজির প্রধান কোচ লুইস এনরিকে।
২ ঘণ্টা আগে
দুবাই ক্যাপিটালসের সর্বশেষ ম্যাচটা ছিল শারজা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে। সেই সুবাদে গতকাল একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। দুই বাংলাদেশির লড়াইয়ে জিতেছেন কাটার মাস্টার। শারজাকে ৬৩ রানে হারিয়েছে তাঁর দল দুবাই। দলের জয়ের দিনে মোস্তাফিজও ঢুকেছেন সেরা বোলারদের তালিকায়।
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

দুবাই ক্যাপিটালসের সর্বশেষ ম্যাচটা ছিল শারজা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে। সেই সুবাদে গতকাল একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। দুই বাংলাদেশির লড়াইয়ে জিতেছেন কাটার মাস্টার। শারজাকে ৬৩ রানে হারিয়েছে তাঁর দল দুবাই। দলের জয়ের দিনে সেরা বোলারদের তালিকায় ঢুকেছেন মোস্তাফিজ।
ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করে যাচ্ছেন মোস্তাফিজ। ৬ ডিসেম্বর গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মরুর দেশের এই টুর্নামেন্টে অভিষেক হয় তাঁর। দুবাইয়ের হয়ে শুধু ১৩ ডিসেম্বর আবুধাবি নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচে বল হাতে খরুচে ছিলেন। বাকি ৫ ম্যাচেই হিসেবি বোলিং করেছেন এই বাঁহাতি পেসার।
প্রথম ৬ ম্যাচ শেষে মোস্তাফিজের শিকার ১১ উইকেট। সেরা বোলারদের তালিকার তিনে অবস্থান করছেন তিনি। ৮.১৯ ইকোনমিতে দিয়েছেন ১৭২ রান। শীর্ষে আছেন মোস্তাফিজের সতীর্থ ওয়াকার সালামখিল। ৭ ম্যাচে ৭.৪৯ ইকোনমিতে ১৫ উইকেট নিয়েছেন দুবাইয়ের এই আফগান স্পিনার। মোস্তাফিজের সমান ১১ উইকেট নিয়ে তালিকার দুইয়ে আছেন খুজাইমা তানভীর। ৭ ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
শারজার বিপক্ষে জয়ের ম্যাচেও বল হাতে অবদান রাখেন মোস্তাফিজ। ২ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২ ব্যাটারকে ফেরান সাতক্ষীরার এই পেসার। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত নিজের সেরা বোলিংটা করেছেন এমআই এমিরেটসের বিপক্ষে। গত ১৭ ডিসেম্বর কাইরন পোলার্ডদের কাছে দল ৭ রানে হারলেও ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজ।
সময়টা এখন যেন মোস্তাফিজের হয়েই কথা বলছে। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ২০২৬ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মিনি নিলাম থেকে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে এই বোলারকে দলে টেনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা। আইপিএলের ইতিহাসে অতীতে কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার এত বেশি টাকায় বিক্রি হননি।

দুবাই ক্যাপিটালসের সর্বশেষ ম্যাচটা ছিল শারজা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে। সেই সুবাদে গতকাল একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। দুই বাংলাদেশির লড়াইয়ে জিতেছেন কাটার মাস্টার। শারজাকে ৬৩ রানে হারিয়েছে তাঁর দল দুবাই। দলের জয়ের দিনে সেরা বোলারদের তালিকায় ঢুকেছেন মোস্তাফিজ।
ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করে যাচ্ছেন মোস্তাফিজ। ৬ ডিসেম্বর গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মরুর দেশের এই টুর্নামেন্টে অভিষেক হয় তাঁর। দুবাইয়ের হয়ে শুধু ১৩ ডিসেম্বর আবুধাবি নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচে বল হাতে খরুচে ছিলেন। বাকি ৫ ম্যাচেই হিসেবি বোলিং করেছেন এই বাঁহাতি পেসার।
প্রথম ৬ ম্যাচ শেষে মোস্তাফিজের শিকার ১১ উইকেট। সেরা বোলারদের তালিকার তিনে অবস্থান করছেন তিনি। ৮.১৯ ইকোনমিতে দিয়েছেন ১৭২ রান। শীর্ষে আছেন মোস্তাফিজের সতীর্থ ওয়াকার সালামখিল। ৭ ম্যাচে ৭.৪৯ ইকোনমিতে ১৫ উইকেট নিয়েছেন দুবাইয়ের এই আফগান স্পিনার। মোস্তাফিজের সমান ১১ উইকেট নিয়ে তালিকার দুইয়ে আছেন খুজাইমা তানভীর। ৭ ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
শারজার বিপক্ষে জয়ের ম্যাচেও বল হাতে অবদান রাখেন মোস্তাফিজ। ২ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২ ব্যাটারকে ফেরান সাতক্ষীরার এই পেসার। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত নিজের সেরা বোলিংটা করেছেন এমআই এমিরেটসের বিপক্ষে। গত ১৭ ডিসেম্বর কাইরন পোলার্ডদের কাছে দল ৭ রানে হারলেও ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজ।
সময়টা এখন যেন মোস্তাফিজের হয়েই কথা বলছে। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ২০২৬ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মিনি নিলাম থেকে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে এই বোলারকে দলে টেনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা। আইপিএলের ইতিহাসে অতীতে কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার এত বেশি টাকায় বিক্রি হননি।

আজ রাতে জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল । সফরের শুরুতেই থাকছে টেস্ট। বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক জিম্বাবুয়ের সফর তো বটেই, ফিরে দেখলেন কদিন আগে শেষ হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের পারফরম্যান্সও
২৮ জুন ২০২১
হাতে থাকা ৬ উইকেট নিয়ে আজ নিজেদের সংগ্রহটা খুব বেশি বাড়িয়ে নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। এরপরও তাদের পুঁজি এবং লিড মিলিয়ে বড় লক্ষ্য দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের সামনে। লক্ষ্যের পেছনে ছুঁটতে গিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় অ্যাডিলেড টেস্টে হারের শঙ্কায় আছে বেন স্টোকসের দল। এই ম্যাচ হারলে অ্যাশেজ সিরিজ হারবে সফরকারীরা।
২ ঘণ্টা আগে
টাইব্রেকারে হতে পারতো যেকোনো কিছুই। কিন্তু ফলটা এসেছে পিএসজির পক্ষেই। সেটার নায়ক দলটির রাশিয়ান গোলরক্ষক মাতভেই সাফোনভ। টাইব্রেকারে ফ্ল্যামঙ্গোর সামনে রীতিমতো দেয়াল হয়ে ওঠেন তিনি। দল জিতলেও হাত ভেঙেছে সাফোনভের। দলের জন্য তাঁর এমন কৃতিত্বকে অবিশ্বাস্য বলে মনে করছেন পিএসজির প্রধান কোচ লুইস এনরিকে।
২ ঘণ্টা আগে
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ডেভন কনওয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সে জবাবটা দিচ্ছেন কাভেম হজ। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন এই টপঅর্ডার ব্যাটার। এরপরও পিছিয়ে আছে সফরকারীরা। লেজের ব্যাটাররা হজকে সঙ্গ দিতে না পারলে লিড নেবে নিউজিল্যান্ড।
৩ ঘণ্টা আগে