
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগেই অনেকে বিরাট কোহলির হাতে শিরোপা দেখতে শুরু করেছিলেন। বলছিলেন ভারতের শিরোপা জয় সময়ের ব্যাপার। সেই দলের কাছে কিনা এখন সেমিফাইনালই বহু দূরের স্বপ্ন; শিরোপা তো পরের ব্যাপার। পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারায় ভারতের সেমিফাইনালে ওঠার বিষয়টি দাঁড়িয়ে আছে অনেকগুলো কঠিন সমীকরণের ওপর। কেন ভরাডুবি হলো ভারতের? সেই কারণ খুঁজেছেন টেলিগ্রাফের ক্রীড়া সাংবাদিক টিম উইগমোর।
সিনিয়রদের ওপর অধিক আস্থা
টেস্টে সাধারণত সেরা টপ অর্ডারই খুঁজে নেওয়া হয়। এটি বহুদিনের একটি সাধারণ অনুশীলন। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে টপ অর্ডার বাছাই করা আরও জটিল। এখানে কাজটি কেবল সেরা খেলোয়াড় বাছাই করা নয়; এখানে খেলোয়াড়দের ভারসাম্যের সমন্বয়ও করতে হয়।
গত মার্চে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী পঞ্চম ম্যাচে বিরাট কোহলি ওপেনিংয়ে নেমে ৮০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর তিনি ঘোষণা দেন বিশ্বকাপে অবশ্যই রোহিত শর্মাকে ওপেনিং সঙ্গী হিসেবে দেখতে চান। আইপিএলেও প্রতিটি ম্যাচেই ওপেন করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। কিন্তু সমস্যা হলো, কে এল রাহুল এবং রোহিত শর্মাও তাঁদের আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ওপেন করেছেন। এই তিনজনের ব্যাটিংয়ের ধরনও আবার একই। কৌশলের দিক থেকে তাঁরা তিনজনেই সেরা, কিন্তু তিনজনই থিতু হতে কিছুটা সময় নেন। তারপর চালিয়ে খেলতে পছন্দ করেন। একটি সমস্যায় আবার এক বিন্দুতে মিলেছেন তিনজন—সুইংয়ের বিপক্ষে তিনজনেরই দুর্বলতা রয়েছে, যা পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড উভয়ই নির্মমভাবে কাজে লাগিয়েছে।
এতে দলের ভারসাম্য কিছুটা নড়বড়ে হচ্ছে। যদিও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেন করার জন্য বাঁহাতি স্পিন ও লেগ স্পিনের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ব্যাট করা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ঈশান কিষাণকে ওপেনিংয়ে নামানো হয়েছিল। কিন্তু এটি আবার অন্যদিকে দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কোহলি, যিনি ওপেন করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত, তাকে কিনা নামিয়ে দেওয়া হয়েছে ৪ নম্বরে। ভারসাম্যের চেয়ে সিনিয়রদের অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য ভারত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বোলিংয়েও ঠিক একই।
পরিকল্পনা
পাঁচ বছর আগে, ২০১৬ সালে ভারত তাদের অত্যধিক রক্ষণশীল ব্যাটিং পরিকল্পনার কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিল। সেই বিশ্বকাপে মুম্বাইতে সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রোহিত ও কোহলি ভারতকে ১৯২–২ ইনিংস গড়তে নেতৃত্ব দেন। তবু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে জিতেছিল। কেননা, ভারতের ৪ ছক্কার বিপরীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা ১১টি ছক্কা মেরেছিলেন।
এই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাউন্ডারি মারার হারে অনেক পিছিয়ে ছিল। চূড়ান্ত ফলে যেটি প্রভাব রেখেছে। ভারত যেখানে ৭১ বলে কোনো বাউন্ডারিই মারতে পারেনি, সেখানে নিউজিল্যান্ড ৯.৫ ওভারে ৮টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছে।
এই বিশ্বকাপে পাওয়ার প্লে কে সর্বাধিক ব্যবহার করতে পারবে, তার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। কেননা, পিচ ধীরে ধীরে মন্থর হবে এবং তাতে রান তোলা আরও কঠিন হবে। কিন্তু ভারত তাদের দুই ম্যাচেই বলের চেয়ে রান বেশি করতে ব্যর্থ হয়েছে। উইকেট হারানোর পর ভারত ম্যাচে ফিরে আসতে যথেষ্ট সময় নিয়েছে। সুপার ১২-এর কোনো দলই এভাবে খেলেনি। ভারতের এমন পরিকল্পনায় উইকেট সংরক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, কিন্তু রান বাড়ানোর দিকে মন দেওয়া হয়নি।
সংকীর্ণমনা
আইপিএল ভারতের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে অসাধারণ সুবিধা দেয়—এতে সন্দেহ নেই। এখানে যদিও বিদেশি সেরা খেলোয়াড়দেরও অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে, কিন্তু ব্যবস্থাটি পারস্পরিক নয়। ভারতের খেলোয়াড়দের বিদেশি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে বাধা দেওয়া হয়।
আইপিএলের বাণিজ্যিক আকর্ষণ সর্বাধিক করার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চাপিয়ে দেওয়া এই সিদ্ধান্ত আসলে ভারতের উদীয়মান টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়দের ক্ষতি করছে। কেননা, তাঁরা বিদেশের কন্ডিশন, বিভিন্ন সংস্কৃতি, বিদেশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগির সুযোগটা সেভাবে পাচ্ছে না।
এটি তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ারের বিকল্পগুলোকেও সীমিত করে দিচ্ছে। আপনি যতই প্রতিভাবান হোন না কেন, টি-টোয়েন্টিতে পারদর্শী হওয়ার ক্ষেত্রে আইপিএল বা ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগগুলো সেভাবে প্রভাব ফেলে না। কেননা, এই লিগগুলোই বড়জোর চার মাস। বাকি আট মাস তো ক্রিকেটারদের অন্য সংস্করণের ক্রিকেট খেলতে হয়। ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে আইপিএল থেকে আসা কেউ যদি থাকেন, তিনি বরুণ চক্রবর্তী।
ক্লান্তি
২০০৯ সালে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফেবারিট হিসেবে এসেছিল, তবু সেমিফাইনালে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। তখন ভারতের কোচ গ্যারি কারস্টেন বলেছিলেন, ‘আমরা যখন এখানে এসেছি, তখন আমরা অপেক্ষাকৃত ক্লান্ত দল ছিলাম।’ তিনি বিশ্বকাপের আগে হওয়া আইপিএলকে এর জন্য দায়ী করেন।
বারো বছর পরে ভারত আবার সেই ক্লান্তি নিয়েই বিশ্বকাপে এসেছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইংল্যান্ডে যাওয়ার পর থেকে ভারতের সব সংস্করণের ক্রিকেটাররা পাঁচ মাস ধরে বায়ো-বাবলের মধ্যে আছেন।
নিউজিল্যান্ডের কাছে হারার পর জাসপ্রিত বুমরাহ বলেছেন, ‘কখনো কখনো বায়ো-বাবলে ক্লান্তি, মানসিক অবসাদও আসে। কখনো কখনো আপনার বিরতি প্রয়োজন। আপনি মাঝে মাঝে আপনার পরিবারকে মিস করেন। আপনি ছয় মাস ধরে খেলার মধ্যে আছেন। তাই এসব কিছু মাঝে মাঝে আপনার মনের ওপর প্রভাব ফেলে।’
আইসিসি ইভেন্টে টানা চতুর্থবার ভারতকে পরাজিত করা নিউজিল্যান্ড কিন্তু বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ের পর বিশ্বকাপের দলে থাকা ক্রিকেটারদের আর কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হয়নি। ক্লান্ত হয়ে আসার পরিবর্তে বিশ্বকাপ জিততে নিউজিল্যান্ড এই সময়ে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিতে পেরেছে, পরিকল্পনাও সাজাতে পেরেছে।

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগেই অনেকে বিরাট কোহলির হাতে শিরোপা দেখতে শুরু করেছিলেন। বলছিলেন ভারতের শিরোপা জয় সময়ের ব্যাপার। সেই দলের কাছে কিনা এখন সেমিফাইনালই বহু দূরের স্বপ্ন; শিরোপা তো পরের ব্যাপার। পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারায় ভারতের সেমিফাইনালে ওঠার বিষয়টি দাঁড়িয়ে আছে অনেকগুলো কঠিন সমীকরণের ওপর। কেন ভরাডুবি হলো ভারতের? সেই কারণ খুঁজেছেন টেলিগ্রাফের ক্রীড়া সাংবাদিক টিম উইগমোর।
সিনিয়রদের ওপর অধিক আস্থা
টেস্টে সাধারণত সেরা টপ অর্ডারই খুঁজে নেওয়া হয়। এটি বহুদিনের একটি সাধারণ অনুশীলন। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে টপ অর্ডার বাছাই করা আরও জটিল। এখানে কাজটি কেবল সেরা খেলোয়াড় বাছাই করা নয়; এখানে খেলোয়াড়দের ভারসাম্যের সমন্বয়ও করতে হয়।
গত মার্চে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী পঞ্চম ম্যাচে বিরাট কোহলি ওপেনিংয়ে নেমে ৮০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর তিনি ঘোষণা দেন বিশ্বকাপে অবশ্যই রোহিত শর্মাকে ওপেনিং সঙ্গী হিসেবে দেখতে চান। আইপিএলেও প্রতিটি ম্যাচেই ওপেন করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। কিন্তু সমস্যা হলো, কে এল রাহুল এবং রোহিত শর্মাও তাঁদের আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ওপেন করেছেন। এই তিনজনের ব্যাটিংয়ের ধরনও আবার একই। কৌশলের দিক থেকে তাঁরা তিনজনেই সেরা, কিন্তু তিনজনই থিতু হতে কিছুটা সময় নেন। তারপর চালিয়ে খেলতে পছন্দ করেন। একটি সমস্যায় আবার এক বিন্দুতে মিলেছেন তিনজন—সুইংয়ের বিপক্ষে তিনজনেরই দুর্বলতা রয়েছে, যা পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড উভয়ই নির্মমভাবে কাজে লাগিয়েছে।
এতে দলের ভারসাম্য কিছুটা নড়বড়ে হচ্ছে। যদিও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেন করার জন্য বাঁহাতি স্পিন ও লেগ স্পিনের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ব্যাট করা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ঈশান কিষাণকে ওপেনিংয়ে নামানো হয়েছিল। কিন্তু এটি আবার অন্যদিকে দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কোহলি, যিনি ওপেন করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত, তাকে কিনা নামিয়ে দেওয়া হয়েছে ৪ নম্বরে। ভারসাম্যের চেয়ে সিনিয়রদের অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য ভারত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বোলিংয়েও ঠিক একই।
পরিকল্পনা
পাঁচ বছর আগে, ২০১৬ সালে ভারত তাদের অত্যধিক রক্ষণশীল ব্যাটিং পরিকল্পনার কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিল। সেই বিশ্বকাপে মুম্বাইতে সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রোহিত ও কোহলি ভারতকে ১৯২–২ ইনিংস গড়তে নেতৃত্ব দেন। তবু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে জিতেছিল। কেননা, ভারতের ৪ ছক্কার বিপরীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা ১১টি ছক্কা মেরেছিলেন।
এই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাউন্ডারি মারার হারে অনেক পিছিয়ে ছিল। চূড়ান্ত ফলে যেটি প্রভাব রেখেছে। ভারত যেখানে ৭১ বলে কোনো বাউন্ডারিই মারতে পারেনি, সেখানে নিউজিল্যান্ড ৯.৫ ওভারে ৮টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছে।
এই বিশ্বকাপে পাওয়ার প্লে কে সর্বাধিক ব্যবহার করতে পারবে, তার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। কেননা, পিচ ধীরে ধীরে মন্থর হবে এবং তাতে রান তোলা আরও কঠিন হবে। কিন্তু ভারত তাদের দুই ম্যাচেই বলের চেয়ে রান বেশি করতে ব্যর্থ হয়েছে। উইকেট হারানোর পর ভারত ম্যাচে ফিরে আসতে যথেষ্ট সময় নিয়েছে। সুপার ১২-এর কোনো দলই এভাবে খেলেনি। ভারতের এমন পরিকল্পনায় উইকেট সংরক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, কিন্তু রান বাড়ানোর দিকে মন দেওয়া হয়নি।
সংকীর্ণমনা
আইপিএল ভারতের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে অসাধারণ সুবিধা দেয়—এতে সন্দেহ নেই। এখানে যদিও বিদেশি সেরা খেলোয়াড়দেরও অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে, কিন্তু ব্যবস্থাটি পারস্পরিক নয়। ভারতের খেলোয়াড়দের বিদেশি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে বাধা দেওয়া হয়।
আইপিএলের বাণিজ্যিক আকর্ষণ সর্বাধিক করার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চাপিয়ে দেওয়া এই সিদ্ধান্ত আসলে ভারতের উদীয়মান টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়দের ক্ষতি করছে। কেননা, তাঁরা বিদেশের কন্ডিশন, বিভিন্ন সংস্কৃতি, বিদেশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগির সুযোগটা সেভাবে পাচ্ছে না।
এটি তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ারের বিকল্পগুলোকেও সীমিত করে দিচ্ছে। আপনি যতই প্রতিভাবান হোন না কেন, টি-টোয়েন্টিতে পারদর্শী হওয়ার ক্ষেত্রে আইপিএল বা ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগগুলো সেভাবে প্রভাব ফেলে না। কেননা, এই লিগগুলোই বড়জোর চার মাস। বাকি আট মাস তো ক্রিকেটারদের অন্য সংস্করণের ক্রিকেট খেলতে হয়। ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে আইপিএল থেকে আসা কেউ যদি থাকেন, তিনি বরুণ চক্রবর্তী।
ক্লান্তি
২০০৯ সালে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফেবারিট হিসেবে এসেছিল, তবু সেমিফাইনালে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। তখন ভারতের কোচ গ্যারি কারস্টেন বলেছিলেন, ‘আমরা যখন এখানে এসেছি, তখন আমরা অপেক্ষাকৃত ক্লান্ত দল ছিলাম।’ তিনি বিশ্বকাপের আগে হওয়া আইপিএলকে এর জন্য দায়ী করেন।
বারো বছর পরে ভারত আবার সেই ক্লান্তি নিয়েই বিশ্বকাপে এসেছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইংল্যান্ডে যাওয়ার পর থেকে ভারতের সব সংস্করণের ক্রিকেটাররা পাঁচ মাস ধরে বায়ো-বাবলের মধ্যে আছেন।
নিউজিল্যান্ডের কাছে হারার পর জাসপ্রিত বুমরাহ বলেছেন, ‘কখনো কখনো বায়ো-বাবলে ক্লান্তি, মানসিক অবসাদও আসে। কখনো কখনো আপনার বিরতি প্রয়োজন। আপনি মাঝে মাঝে আপনার পরিবারকে মিস করেন। আপনি ছয় মাস ধরে খেলার মধ্যে আছেন। তাই এসব কিছু মাঝে মাঝে আপনার মনের ওপর প্রভাব ফেলে।’
আইসিসি ইভেন্টে টানা চতুর্থবার ভারতকে পরাজিত করা নিউজিল্যান্ড কিন্তু বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ের পর বিশ্বকাপের দলে থাকা ক্রিকেটারদের আর কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হয়নি। ক্লান্ত হয়ে আসার পরিবর্তে বিশ্বকাপ জিততে নিউজিল্যান্ড এই সময়ে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিতে পেরেছে, পরিকল্পনাও সাজাতে পেরেছে।

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে। তার আগে কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ নেই বাংলাদেশের। সংক্ষিপ্ততম ওভারের বিশ্বমঞ্চের জন্য তাই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন পর্বকে প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে দেখছেন সিলেট টাইটান্সের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।
১ ঘণ্টা আগে
বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের সবগুলো পর্বই কমবেশি বিতর্কিত হয়েছে। এর মধ্যে পারিশ্রমিকের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে গত পর্বেও সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তবে নতুন পর্বের আগে এই ইস্যুতে স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
ক্যারিয়ারের শুরুতেই ভবিষ্যত শচীন টেন্ডুলকারের তকমা পান বিরাট কোহলি। ধারাবাহিকভাবে রান করে এই ব্যাটার অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন কেন তাঁকে ইতিহাসের সেরাদের একজন মনে করা হয়। ইতিপূর্বে ব্যাটিং মাস্টার শচীনের বেশকিছু রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। এবার সাবেক ব্যাটারের আরও একটি রেকর্ড নিজের দখলে নিলেন কোহলি।
৩ ঘণ্টা আগে
চোটে পড়ায় এখন আর তেমন একটা নিয়মিত নন প্যাট কামিন্স। অ্যাশেজে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে খেলেননি তিনি। তবে অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়ে যা করেছেন, তাতে তাঁর কাছে এখন জসপ্রীত বুমরার সিংহাসন কেড়ে নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে। তার আগে কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ নেই বাংলাদেশের। সংক্ষিপ্ততম ওভারের বিশ্বমঞ্চের জন্য তাই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন পর্বকে প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে দেখছেন সিলেট টাইটান্সের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।
বিপিএল শুরু হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। ২৩ জানুয়ারি দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে ব্যয়বহুল টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে। তার চার দিন পর অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের বিমানে চড়ার আগে বিপিএল খেলে নিজেকে ভালোভাবে ঝালিয়ে নিতে প্রস্তুত ইমন।
এই তরুণ ব্যাটার বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে এটা আমাদের জন্য ভালো প্রস্তুতি হবে। অনেকগুলো ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকছে। ভালো একটা প্রস্তুতি নিয়ে যেতে পারব। আশা করি ভালো করতে পারব।’
২০২০ সালের বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ৪২ বলে ১০০ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন ইমন। আরও একবার তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করতে চান তিনি, ‘কত বলে ... বল সুনির্দিষ্ট কিছু নেই। অবশ্যই সবাই টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করতে চায়। তবে ওভাবে ভাবছি না। নিজের প্রক্রিয়া অনুযায়ী খেলার চেষ্টা এটা করব।’
বিপিএলে নিজেদের দল নিয়ে সন্তুষ্ট ইমন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলটা খুব ভালো হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা দিতে। আমাদের অনুশীলন সেশনগুলো খুব ভালো হয়েছে। দল খুব ভালো প্রস্তুতি নিতে পেরেছে।’
উদ্বোধনী ম্যাচে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে সিলেট। প্রতিপক্ষকে খাটো করে দেখছেন না ইমন, ‘রাজশাহীর দলটাও ভালো হয়েছে। আমার মনে হয় ভালো একটা ম্যাচ হবে। সমর্থকদের বলব, সবাই মাঠে আসবেন, খেলাটা উপভোগ করবেন। আমরা ভালো ম্যাচ উপহার দেব।’

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে। তার আগে কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ নেই বাংলাদেশের। সংক্ষিপ্ততম ওভারের বিশ্বমঞ্চের জন্য তাই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন পর্বকে প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে দেখছেন সিলেট টাইটান্সের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।
বিপিএল শুরু হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। ২৩ জানুয়ারি দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে ব্যয়বহুল টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে। তার চার দিন পর অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের বিমানে চড়ার আগে বিপিএল খেলে নিজেকে ভালোভাবে ঝালিয়ে নিতে প্রস্তুত ইমন।
এই তরুণ ব্যাটার বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে এটা আমাদের জন্য ভালো প্রস্তুতি হবে। অনেকগুলো ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকছে। ভালো একটা প্রস্তুতি নিয়ে যেতে পারব। আশা করি ভালো করতে পারব।’
২০২০ সালের বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ৪২ বলে ১০০ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন ইমন। আরও একবার তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করতে চান তিনি, ‘কত বলে ... বল সুনির্দিষ্ট কিছু নেই। অবশ্যই সবাই টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করতে চায়। তবে ওভাবে ভাবছি না। নিজের প্রক্রিয়া অনুযায়ী খেলার চেষ্টা এটা করব।’
বিপিএলে নিজেদের দল নিয়ে সন্তুষ্ট ইমন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলটা খুব ভালো হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা দিতে। আমাদের অনুশীলন সেশনগুলো খুব ভালো হয়েছে। দল খুব ভালো প্রস্তুতি নিতে পেরেছে।’
উদ্বোধনী ম্যাচে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে সিলেট। প্রতিপক্ষকে খাটো করে দেখছেন না ইমন, ‘রাজশাহীর দলটাও ভালো হয়েছে। আমার মনে হয় ভালো একটা ম্যাচ হবে। সমর্থকদের বলব, সবাই মাঠে আসবেন, খেলাটা উপভোগ করবেন। আমরা ভালো ম্যাচ উপহার দেব।’

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগেই অনেকেই বিরাট কোহলির হাতে শিরোপা দেখতে শুরু করেছিলেন। বলছিলেন ভারতের শিরোপা জয় সময়ের ব্যাপার। সেই দলটির কাছে কিনা এখন সেমিফাইনালই বহু দূরের স্বপ্ন।
০৩ নভেম্বর ২০২১
বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের সবগুলো পর্বই কমবেশি বিতর্কিত হয়েছে। এর মধ্যে পারিশ্রমিকের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে গত পর্বেও সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তবে নতুন পর্বের আগে এই ইস্যুতে স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
ক্যারিয়ারের শুরুতেই ভবিষ্যত শচীন টেন্ডুলকারের তকমা পান বিরাট কোহলি। ধারাবাহিকভাবে রান করে এই ব্যাটার অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন কেন তাঁকে ইতিহাসের সেরাদের একজন মনে করা হয়। ইতিপূর্বে ব্যাটিং মাস্টার শচীনের বেশকিছু রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। এবার সাবেক ব্যাটারের আরও একটি রেকর্ড নিজের দখলে নিলেন কোহলি।
৩ ঘণ্টা আগে
চোটে পড়ায় এখন আর তেমন একটা নিয়মিত নন প্যাট কামিন্স। অ্যাশেজে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে খেলেননি তিনি। তবে অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়ে যা করেছেন, তাতে তাঁর কাছে এখন জসপ্রীত বুমরার সিংহাসন কেড়ে নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের সবগুলো পর্বই কমবেশি বিতর্কিত হয়েছে। এর মধ্যে পারিশ্রমিকের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে গত পর্বেও সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তবে নতুন পর্বের আগে এই ইস্যুতে স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২০২৬ বিপিএল শুরু হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। তার আগে আজ ক্রিকেটারদের ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দিয়েছে রংপুর রাইডার্স। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আজ বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুশীলন করেছে নুরুল হাসান সোহান, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। সে সময় স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের হাতে অর্ধেক পারিশ্রমিকের চেক তুলে দেয় রংপুর কর্তৃপক্ষ।
বিপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, তিনটি ধাপে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দিতে হবে অংশগ্রহণকারী ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে। প্রথম ধাপে দিতে হবে চুক্তির ২৫ শতাংশ অর্থ। লিগ পর্বের খেলা শেষ হওয়ার আগের দিন দিতে হবে ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক। বাকি ২৫ শতাংশ অর্থ দিতে হবে টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে।
পারিশ্রমিক ইস্যুতে নিয়মের চাইতেও ক্রিকেটারদের বেশি খুশি করল রংপুর। মূলত ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত করতেই প্রথম ধাপে ২৫ শতাংশ বেশি পারিশ্রমিক দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
একনজরে রংপুরের স্কোয়াড: নুরুল হাসান সোহান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, খাজা নাফে, সুফিয়ান মুকিম, ডেভিড মালান, আকিফ জাভেদ, কাইল মায়ার্স, ফাহিম আশরাফ, খুশদিল শাহ, ইফতিখার আহমেদ, নাহিদ রানা, রাকিবুল হাসান, আলিস আল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, ইফতেখার হোসেন ইফতি, আব্দুল হালিম, মেহেদী হাসান সোহাগ, এমিলিও গে, মোহাম্মদ আখলাক।

বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের সবগুলো পর্বই কমবেশি বিতর্কিত হয়েছে। এর মধ্যে পারিশ্রমিকের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে গত পর্বেও সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তবে নতুন পর্বের আগে এই ইস্যুতে স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২০২৬ বিপিএল শুরু হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। তার আগে আজ ক্রিকেটারদের ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দিয়েছে রংপুর রাইডার্স। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আজ বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুশীলন করেছে নুরুল হাসান সোহান, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। সে সময় স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের হাতে অর্ধেক পারিশ্রমিকের চেক তুলে দেয় রংপুর কর্তৃপক্ষ।
বিপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, তিনটি ধাপে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দিতে হবে অংশগ্রহণকারী ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে। প্রথম ধাপে দিতে হবে চুক্তির ২৫ শতাংশ অর্থ। লিগ পর্বের খেলা শেষ হওয়ার আগের দিন দিতে হবে ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক। বাকি ২৫ শতাংশ অর্থ দিতে হবে টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে।
পারিশ্রমিক ইস্যুতে নিয়মের চাইতেও ক্রিকেটারদের বেশি খুশি করল রংপুর। মূলত ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত করতেই প্রথম ধাপে ২৫ শতাংশ বেশি পারিশ্রমিক দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
একনজরে রংপুরের স্কোয়াড: নুরুল হাসান সোহান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, খাজা নাফে, সুফিয়ান মুকিম, ডেভিড মালান, আকিফ জাভেদ, কাইল মায়ার্স, ফাহিম আশরাফ, খুশদিল শাহ, ইফতিখার আহমেদ, নাহিদ রানা, রাকিবুল হাসান, আলিস আল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, ইফতেখার হোসেন ইফতি, আব্দুল হালিম, মেহেদী হাসান সোহাগ, এমিলিও গে, মোহাম্মদ আখলাক।

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগেই অনেকেই বিরাট কোহলির হাতে শিরোপা দেখতে শুরু করেছিলেন। বলছিলেন ভারতের শিরোপা জয় সময়ের ব্যাপার। সেই দলটির কাছে কিনা এখন সেমিফাইনালই বহু দূরের স্বপ্ন।
০৩ নভেম্বর ২০২১
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে। তার আগে কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ নেই বাংলাদেশের। সংক্ষিপ্ততম ওভারের বিশ্বমঞ্চের জন্য তাই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন পর্বকে প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে দেখছেন সিলেট টাইটান্সের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।
১ ঘণ্টা আগে
ক্যারিয়ারের শুরুতেই ভবিষ্যত শচীন টেন্ডুলকারের তকমা পান বিরাট কোহলি। ধারাবাহিকভাবে রান করে এই ব্যাটার অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন কেন তাঁকে ইতিহাসের সেরাদের একজন মনে করা হয়। ইতিপূর্বে ব্যাটিং মাস্টার শচীনের বেশকিছু রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। এবার সাবেক ব্যাটারের আরও একটি রেকর্ড নিজের দখলে নিলেন কোহলি।
৩ ঘণ্টা আগে
চোটে পড়ায় এখন আর তেমন একটা নিয়মিত নন প্যাট কামিন্স। অ্যাশেজে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে খেলেননি তিনি। তবে অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়ে যা করেছেন, তাতে তাঁর কাছে এখন জসপ্রীত বুমরার সিংহাসন কেড়ে নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ক্যারিয়ারের শুরুতেই ভবিষ্যত শচীন টেন্ডুলকারের তকমা পান বিরাট কোহলি। ধারাবাহিকভাবে রান করে এই ব্যাটার অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন কেন তাঁকে ইতিহাসের সেরাদের একজন মনে করা হয়। ইতিপূর্বে ব্যাটিং মাস্টার শচীনের বেশকিছু রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। এবার সাবেক ব্যাটারের আরও একটি রেকর্ড নিজের দখলে নিলেন কোহলি।
দিল্লির হয়ে অন্ধ্র প্রদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘ দেড় দশক পর আজ বিজয় হাজারে ট্রফিতে প্রত্যাবর্তন হয়েছে কোহলির। নামের পাশে ১৫৯৯৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামেন। এরপর ১ রান নিয়ে ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন কোহলি। নবম ব্যাটার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬০০০ রান করতে তাঁর লাগল সবচেয়ে কম ৩৩০ ইনিংস। এতদিন এই রেকর্ডটি ছিল শচীনের দখলে। ৩৯১ ইনিংস ব্যাট করে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬০০০ রান করেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬ হাজার রান করা বাকি সাতজন হলেন কুমার সাঙ্গাকারা, ভিভ রিচার্ডস, রিকি পন্টিং, গর্ডন গ্রিনিজ, গ্রাহাম গুচ, সনাৎ জয়াসুরিয়া ও গ্রায়েম হিক। ২২২১১ রান নিয়ে সবার ওপরে আছেন গুচ। তালিকার দুইয়ে অবস্থান করছেন হিক। সাবেক ব্যাটার করেছেন ২২,০৫৯ রান। ২১৯৯৯ রান নিয়ে তিন নম্বরে আছেন শচীন। ১৬,১২৮ রান নিয়ে আটে আছেন জয়াসুরিয়া। সাবেক লঙ্কান অধিনায়ককে ছাড়িয়ে যাওয়া কোহলির জন্য কেবল সময়ের ব্যাপার।
২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সার্ভিসেসের বিপক্ষে দিল্লির হয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষেক হয় কোহলির। ১৮৩ রানের ইনিংসটি তাঁর ক্যারিয়ারসেরা। ২০১২ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ইনিংস খেলেন। ১৬০০০ রান করা ক্রিকেটারদের মধ্যে ৫০ এর ওপর গড় কেবল কোহলির। আগের ৩২৯ ইনিংসে ৫৭.৩৪ গড়ে ব্যাটিং করেছেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা শচীনের ব্যাটিং গড় ৪৫.৫৪।

ক্যারিয়ারের শুরুতেই ভবিষ্যত শচীন টেন্ডুলকারের তকমা পান বিরাট কোহলি। ধারাবাহিকভাবে রান করে এই ব্যাটার অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন কেন তাঁকে ইতিহাসের সেরাদের একজন মনে করা হয়। ইতিপূর্বে ব্যাটিং মাস্টার শচীনের বেশকিছু রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। এবার সাবেক ব্যাটারের আরও একটি রেকর্ড নিজের দখলে নিলেন কোহলি।
দিল্লির হয়ে অন্ধ্র প্রদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘ দেড় দশক পর আজ বিজয় হাজারে ট্রফিতে প্রত্যাবর্তন হয়েছে কোহলির। নামের পাশে ১৫৯৯৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামেন। এরপর ১ রান নিয়ে ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন কোহলি। নবম ব্যাটার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬০০০ রান করতে তাঁর লাগল সবচেয়ে কম ৩৩০ ইনিংস। এতদিন এই রেকর্ডটি ছিল শচীনের দখলে। ৩৯১ ইনিংস ব্যাট করে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬০০০ রান করেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬ হাজার রান করা বাকি সাতজন হলেন কুমার সাঙ্গাকারা, ভিভ রিচার্ডস, রিকি পন্টিং, গর্ডন গ্রিনিজ, গ্রাহাম গুচ, সনাৎ জয়াসুরিয়া ও গ্রায়েম হিক। ২২২১১ রান নিয়ে সবার ওপরে আছেন গুচ। তালিকার দুইয়ে অবস্থান করছেন হিক। সাবেক ব্যাটার করেছেন ২২,০৫৯ রান। ২১৯৯৯ রান নিয়ে তিন নম্বরে আছেন শচীন। ১৬,১২৮ রান নিয়ে আটে আছেন জয়াসুরিয়া। সাবেক লঙ্কান অধিনায়ককে ছাড়িয়ে যাওয়া কোহলির জন্য কেবল সময়ের ব্যাপার।
২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সার্ভিসেসের বিপক্ষে দিল্লির হয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষেক হয় কোহলির। ১৮৩ রানের ইনিংসটি তাঁর ক্যারিয়ারসেরা। ২০১২ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ইনিংস খেলেন। ১৬০০০ রান করা ক্রিকেটারদের মধ্যে ৫০ এর ওপর গড় কেবল কোহলির। আগের ৩২৯ ইনিংসে ৫৭.৩৪ গড়ে ব্যাটিং করেছেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা শচীনের ব্যাটিং গড় ৪৫.৫৪।

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগেই অনেকেই বিরাট কোহলির হাতে শিরোপা দেখতে শুরু করেছিলেন। বলছিলেন ভারতের শিরোপা জয় সময়ের ব্যাপার। সেই দলটির কাছে কিনা এখন সেমিফাইনালই বহু দূরের স্বপ্ন।
০৩ নভেম্বর ২০২১
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে। তার আগে কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ নেই বাংলাদেশের। সংক্ষিপ্ততম ওভারের বিশ্বমঞ্চের জন্য তাই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন পর্বকে প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে দেখছেন সিলেট টাইটান্সের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।
১ ঘণ্টা আগে
বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের সবগুলো পর্বই কমবেশি বিতর্কিত হয়েছে। এর মধ্যে পারিশ্রমিকের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে গত পর্বেও সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তবে নতুন পর্বের আগে এই ইস্যুতে স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
চোটে পড়ায় এখন আর তেমন একটা নিয়মিত নন প্যাট কামিন্স। অ্যাশেজে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে খেলেননি তিনি। তবে অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়ে যা করেছেন, তাতে তাঁর কাছে এখন জসপ্রীত বুমরার সিংহাসন কেড়ে নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

চোটে পড়ায় এখন আর তেমন একটা নিয়মিত নন প্যাট কামিন্স। অ্যাশেজে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে খেলেননি তিনি। তবে অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়ে যা করেছেন, তাতে তাঁর কাছে এখন জসপ্রীত বুমরার সিংহাসন কেড়ে নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ছেলেদের সাপ্তাহিক র্যাঙ্কিং আজ হালনাগাদ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। হালনাগাদের পর চার ধাপ এগিয়ে টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন দ্বিতীয় অবস্থানে কামিন্স। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ৮৪৯। ৮৭৯ রেটিং নিয়ে টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন বুমরা। কামিন্স লাফ দেওয়ায় পেছনে পড়েছেন মিচেল স্টার্ক। এক ধাপ পিছিয়ে টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন তিনে স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসারের রেটিং পয়েন্ট ৮৪৫। ২২ উইকেট নিয়ে এবারের অ্যাশেজে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী তিনি। দুইবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি পেসার।
অ্যাশেজে তিন ম্যাচের তিনটিতে দাপুটে জয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদেরও অনেক উন্নতি হয়েছে। চার ধাপ এগিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন তিনে ট্রাভিস হেড। সমান ৮১৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে তিন নম্বরে অবস্থান করছেন স্টিভ স্মিথ ও হেড। এবারের অ্যাশেজে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩৭৯ রান করেছেন হেড। দুটি ফিফটির দুটিকেই সেঞ্চুরিতে পরিণত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি ব্যাটার। গড় ও স্ট্রাইকরেট ৬৩.১৭ ও ৮৮.১৩। ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে রেকর্ড বই তছনছ করে দিয়েছেন। কম যান না স্মিথও। ২ টেস্টে ৫১.৫০ গড়ে করেছেন ১০৩ রান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজে করেছেন এক ফিফটি।
৮৮৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন জো রুট। চলমান অ্যাশেজে ২১৯ রান করে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় তিনে এখন রুট। ব্রিসবেনে গোলাপি বলের টেস্টে ১৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে এটা তাঁর প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। এবারের অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা লাগাতার ব্যর্থ হলেও রুটই নিয়মিত রান করছেন। ৮২২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে বরাবরের মতোই দুইয়ে নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন।
হেডের চেয়ে বড় লাফ দিয়েছেন তাঁর সতীর্থ অ্যালেক্স ক্যারি। ছয় ধাপ এগিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে উঠে এসেছেন ক্যারি। অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৬ ও ৭২ রানের দুটি ইনিংস খেলেছেন। ১০৬ রানের ইনিংস খেলে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। হেড এগোনোয় এক ধাপ করে পিছিয়েছেন হ্যারি ব্রুক, কামিন্দু মেন্ডিস ও টেম্বা বাভুমা। টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন পাঁচ, ছয় ও সাত নম্বরে অবস্থান করছেন ব্রুক, কামিন্দু ও বাভুমা। ক্যারি এগোনোয় পিছিয়েছেন সৌদ শাকিল। এক ধাপ পিছিয়ে এখন টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে দশ নম্বরে শাকিল।
টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ পিছিয়ে পাঁচ নম্বরে ম্যাট হেনরি। মার্কো ইয়ানসেন এক ধাপ পিছিয়ে ছয় নম্বরে। হেনরি ও ইয়ানসেনের রেটিং পয়েন্ট ৮৩৬ ও ৮২৫। টেস্টে শীর্ষস্থান ধরে রাখা বুমরা টি-টোয়েন্টিতে ১০ ধাপ এগিয়েছেন। টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন তিনি ১৮ নম্বরে। সমান ৬২২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বুমরার সঙ্গে যৌথভাবে ১৮ নম্বরে শ্রীলঙ্কার মাহিশ তিকশানা। টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ১২ পর্যন্ত অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ৮০৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সেরা বোলার বরুণ চক্রবর্তী। কদিন আগে শেষ হওয়া ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি সিরিজে সর্বোচ্চ ১০ উইকেট নিয়েছেন বরুণ। বুমরা নিয়েছেন ৪ উইকেট। দুই ও তিনে থাকা জ্যাকব ডাফি ও রশিদ খানের রেটিং পয়েন্ট ৬৯৯ ও ৬৯৪।

চোটে পড়ায় এখন আর তেমন একটা নিয়মিত নন প্যাট কামিন্স। অ্যাশেজে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে খেলেননি তিনি। তবে অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়ে যা করেছেন, তাতে তাঁর কাছে এখন জসপ্রীত বুমরার সিংহাসন কেড়ে নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ছেলেদের সাপ্তাহিক র্যাঙ্কিং আজ হালনাগাদ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। হালনাগাদের পর চার ধাপ এগিয়ে টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন দ্বিতীয় অবস্থানে কামিন্স। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ৮৪৯। ৮৭৯ রেটিং নিয়ে টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন বুমরা। কামিন্স লাফ দেওয়ায় পেছনে পড়েছেন মিচেল স্টার্ক। এক ধাপ পিছিয়ে টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন তিনে স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসারের রেটিং পয়েন্ট ৮৪৫। ২২ উইকেট নিয়ে এবারের অ্যাশেজে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী তিনি। দুইবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি পেসার।
অ্যাশেজে তিন ম্যাচের তিনটিতে দাপুটে জয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদেরও অনেক উন্নতি হয়েছে। চার ধাপ এগিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন তিনে ট্রাভিস হেড। সমান ৮১৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে তিন নম্বরে অবস্থান করছেন স্টিভ স্মিথ ও হেড। এবারের অ্যাশেজে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩৭৯ রান করেছেন হেড। দুটি ফিফটির দুটিকেই সেঞ্চুরিতে পরিণত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি ব্যাটার। গড় ও স্ট্রাইকরেট ৬৩.১৭ ও ৮৮.১৩। ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে রেকর্ড বই তছনছ করে দিয়েছেন। কম যান না স্মিথও। ২ টেস্টে ৫১.৫০ গড়ে করেছেন ১০৩ রান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজে করেছেন এক ফিফটি।
৮৮৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন জো রুট। চলমান অ্যাশেজে ২১৯ রান করে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় তিনে এখন রুট। ব্রিসবেনে গোলাপি বলের টেস্টে ১৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে এটা তাঁর প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। এবারের অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা লাগাতার ব্যর্থ হলেও রুটই নিয়মিত রান করছেন। ৮২২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে বরাবরের মতোই দুইয়ে নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন।
হেডের চেয়ে বড় লাফ দিয়েছেন তাঁর সতীর্থ অ্যালেক্স ক্যারি। ছয় ধাপ এগিয়ে টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে উঠে এসেছেন ক্যারি। অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৬ ও ৭২ রানের দুটি ইনিংস খেলেছেন। ১০৬ রানের ইনিংস খেলে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। হেড এগোনোয় এক ধাপ করে পিছিয়েছেন হ্যারি ব্রুক, কামিন্দু মেন্ডিস ও টেম্বা বাভুমা। টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন পাঁচ, ছয় ও সাত নম্বরে অবস্থান করছেন ব্রুক, কামিন্দু ও বাভুমা। ক্যারি এগোনোয় পিছিয়েছেন সৌদ শাকিল। এক ধাপ পিছিয়ে এখন টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে দশ নম্বরে শাকিল।
টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ পিছিয়ে পাঁচ নম্বরে ম্যাট হেনরি। মার্কো ইয়ানসেন এক ধাপ পিছিয়ে ছয় নম্বরে। হেনরি ও ইয়ানসেনের রেটিং পয়েন্ট ৮৩৬ ও ৮২৫। টেস্টে শীর্ষস্থান ধরে রাখা বুমরা টি-টোয়েন্টিতে ১০ ধাপ এগিয়েছেন। টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখন তিনি ১৮ নম্বরে। সমান ৬২২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বুমরার সঙ্গে যৌথভাবে ১৮ নম্বরে শ্রীলঙ্কার মাহিশ তিকশানা। টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ১২ পর্যন্ত অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ৮০৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সেরা বোলার বরুণ চক্রবর্তী। কদিন আগে শেষ হওয়া ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি সিরিজে সর্বোচ্চ ১০ উইকেট নিয়েছেন বরুণ। বুমরা নিয়েছেন ৪ উইকেট। দুই ও তিনে থাকা জ্যাকব ডাফি ও রশিদ খানের রেটিং পয়েন্ট ৬৯৯ ও ৬৯৪।

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগেই অনেকেই বিরাট কোহলির হাতে শিরোপা দেখতে শুরু করেছিলেন। বলছিলেন ভারতের শিরোপা জয় সময়ের ব্যাপার। সেই দলটির কাছে কিনা এখন সেমিফাইনালই বহু দূরের স্বপ্ন।
০৩ নভেম্বর ২০২১
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে। তার আগে কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ নেই বাংলাদেশের। সংক্ষিপ্ততম ওভারের বিশ্বমঞ্চের জন্য তাই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন পর্বকে প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে দেখছেন সিলেট টাইটান্সের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।
১ ঘণ্টা আগে
বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের সবগুলো পর্বই কমবেশি বিতর্কিত হয়েছে। এর মধ্যে পারিশ্রমিকের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে গত পর্বেও সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তবে নতুন পর্বের আগে এই ইস্যুতে স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
ক্যারিয়ারের শুরুতেই ভবিষ্যত শচীন টেন্ডুলকারের তকমা পান বিরাট কোহলি। ধারাবাহিকভাবে রান করে এই ব্যাটার অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন কেন তাঁকে ইতিহাসের সেরাদের একজন মনে করা হয়। ইতিপূর্বে ব্যাটিং মাস্টার শচীনের বেশকিছু রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। এবার সাবেক ব্যাটারের আরও একটি রেকর্ড নিজের দখলে নিলেন কোহলি।
৩ ঘণ্টা আগে