Ajker Patrika

কাল বিসিবির এজিএম, হাত তুলবেন সবাই

রানা আব্বাস, ঢাকা
আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২১, ১২: ২৫
কাল বিসিবির এজিএম, হাত তুলবেন সবাই

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তারা এই মুহূর্তে দুটি আয়োজন নিয়ে খুবই ব্যস্ত। ১ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে নিউজিল্যান্ড সিরিজ। আর কাল দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে প্রতীক্ষিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। কোনো কোনো কাউন্সিলরের ভাষায় কাল ‘হাত তোলা বা হ্যাঁ বলার দিন!’ এই এজিএমে আমন্ত্রিত বিসিবির ১৬৬ কাউন্সিলর।

বদলে গেছে এজিএমের সংজ্ঞা!          
বিসিবির গঠনতন্ত্রের ১২.১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রতি অর্থবছর সমাপ্তির অন্যূন ১২০ দিনের মধ্যে পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও নির্বাচিত স্থানে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হইবে।’

গঠনতন্ত্রের এই ধারাটা গত তিন বছরে তো বটেই, গত ১৪ বছরেও ঠিকঠাক মানা হয়নি। ২০০৬-০৭ থেকে শুরু করে ২০১৯-২০—এই ১৪ অর্থবছরে বিসিবির বার্ষিক সভাই হয়েছে মাত্র তিনবার। সর্বশেষ এজিএম হয়েছে ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর। তার আগেরটি ২০১২ সালের ১ মার্চ। তার আগের এজিএম হয়েছে ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর। গঠনতন্ত্র মেনে যে সভাটি হওয়ার কথা প্রতিবছর, সেটিই হচ্ছে ‘কালেভদ্রে’! এ নিয়ে কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলে অভিন্ন উত্তর মিলল, ‘এজিএম নিয়ে আগ্রহ নেই; এটা নিয়মিত হলেই কী, আর না হলেই-বা কী।’

বার্ষিক সভা অনিয়মিত হওয়া নিয়ে ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী গতকাল আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘আমরা প্রথম বছর করতে পারিনি নির্দিষ্ট কিছু কারণে। গত দুই বছর হয়নি কোভিডের কারণে। তবে প্রতিবছরেরটা প্রতিবছর করে ফেললে সুবিধা হয়। বিসিবি কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়। এটা একটা ক্রীড়া সংস্থা, যাদের অনেক প্রতিশ্রুতি থাকে, বিভিন্ন ইভেন্ট থাকে। সবকিছুর সঙ্গে সামঞ্জস্য করে নিয়মিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। প্রতিবছরেই করে ফেলার পরিকল্পনা থাকে। কিন্তু পরে দেরি হয়ে যায়।’

২০২১ এজিএমের আলোচ্যসূচি
বিসিবির বার্ষিক সভা মানেই সভাপতির সভাপতিত্বে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তার প্রতিবেদন উপস্থাপনা, পর্যালোচনা ও অনুমোদন। এবারও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। যেহেতু বার্ষিক সভা নিয়মিত হয় না; প্রধান নির্বাহী ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত গত তিন অর্থবছরের (২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০) বোর্ডের যাবতীয় কার্যক্রম, হিসাব, নিরীক্ষা তুলে ধরবেন।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী তাঁর প্রতিবেদনে তুলে ধরবেন বর্তমান পরিচালনা পরিষদের মেয়াদে বাংলাদেশ দলসহ বিসিবির বিভিন্ন দলের সাফল্য। বিশেষ করে ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শিরোপা জয়।  তাঁদের আর্থিক রিজার্ভের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি, বিপণন কার্যক্রম,  অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ক্রিকেটারদের আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধিসহ নিজেদের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ও কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণী। তিনি তুলে ধরবেন বিসিবির অনুদান, ডিজিটাল রিসোর্স,  সামাজিক দায়বদ্ধতার কার্যক্রম।

প্রধান অর্থ কর্মকর্তা তুলে ধরবেন গত তিন অর্থবছরে বোর্ডের আয়-ব্যয়, এফডিআর ও পুঞ্জীভূত তহবিলের যাবতীয় হিসাব-নিকাশ। তোলা হবে নিমবাসের পাশাপাশি গত এক দশকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল), বিভিন্ন স্পনসর ও অন্যান্য খাত থেকে বিসিবির অনাদায়ি পাওনা প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টিও।

‘কথা বলার পরিবেশ আছে?’
এজিএমকে বলা হয় কাউন্সিলরদের কথা বলার বিরাট মঞ্চ। দেশের ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিতে বোর্ডকে নিজেদের প্রত্যাশা-পরামর্শ-মতামত জানানোর বড় প্ল্যাটফর্ম। এজিএমকে বলা হয় পরিচালনা পরিষদের ভুল-ত্রুটি, অনিয়ম-অসংগতি ধরিয়ে দেওয়ার বড় জায়গা। কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল বেশির ভাগই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন বার্ষিক সাধারণ সভা নিয়ে। এ সভা যেন হাত তোলার সভা! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার এক কাউন্সিলর যেমন বললেন, ‘এটা কোনো এজিএমই নয়। সব পাস!’ ঢাকার বাইরের আরেকজন কাউন্সিলর বললেন, ‘কথা বলার পরিবেশ আছে? কেউ কোনো কথা বলবে না। বোর্ড চলছে আমলাতান্ত্রিক ধাঁচে। কাউন্সিলরদের কথা শোনার খুব একটা দরকারও তাদের নেই! শুনছি উপহার হিসেবে এক লাখ টাকার চেক, ল্যাপটপসহ কিছু উপহার দেওয়া হবে। এটাই কাউন্সিলরদের প্রাপ্তি।’

যেখানে কাউন্সিলরদের বেশি অসন্তুষ্টি
একটা সময় বোর্ডের কার্যক্রমে কাউন্সিলরদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। বর্তমান পরিচালনা পরিষদের মেয়াদে ক্রমেই কমেছে কাউন্সিলরদের অংশগ্রহণ। বিসিবির গঠনতন্ত্রের ১৬(জ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পরিচালনা পরিষদ ২১টি স্থায়ী (স্ট্যান্ডিং) কমিটি গঠন করতে পারে। গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ১৬(খ) ও ১৬(গ) অনুযায়ী ওয়ার্কিং কমিটি, টুর্নামেন্ট কমিটি, বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট কমিটি ও সিসিডিএম বাদে সব স্থায়ী কমিটি সর্বোচ্চ সাত সদস্যের হবে। একজন চেয়ারম্যান, একজন ভাইস চেয়ারম্যান, একজন সদস্যসচিব ও চারজন সদস্য থাকবেন। সদস্যসচিব ও সদস্য মনোনীত হবেন কাউন্সিলরদের মধ্য থেকে। কাউন্সিলরদের অভিযোগ, বেশির ভাগ স্থায়ী কমিটিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়নি। কিছু কিছু কমিটি আছে শুধু চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান দিয়ে চলছে। আবার কোনো কমিটিতে শুধু চেয়ারম্যানই আছেন। বিসিবির কাউন্সিলর হওয়া এক সাবেক ক্রিকেটার বলছেন, ‘কমিটি আছে অথচ সদস্য নেই। কমিটির সংজ্ঞাটাই তো হচ্ছে না।’ আরেক কাউন্সিলর বলছেন, ‘বিসিবিকে গ্রাস করেছে আমলাতন্ত্র। বেশির ভাগ কমিটির কার্যক্রম ম্যানেজার দিয়েই চলছে।’

কাউন্সিলরদের এই ধরনের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি মনে করিয়ে দিলেন, দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে ১৫-২০ বছর আগে বিসিবি চেয়েছিল পেশাদারি যুগে পা রাখতে।

সে ভাবনা থেকেই করপোরেট কাঠামোর পথচলা শুরু। একটা সময় বিসিবির যে কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠকদের দিয়ে, সেটিই এখন পরিচালিত হচ্ছে বোর্ডের অভিজ্ঞ, আত্মবিশ্বাসী, পেশাদার জনবল দিয়ে। এটিকে পেশাদারি যুগের পদাপর্ণে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিরাট বাঁকবদল হিসেবে দেখছেন নিজাম উদ্দিন, ‘বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটি আছে। তবে কমিটির কাজের ধরনে বদল এসেছে। আগে কমিটি নিজেই কাজ করত। এখন কমিটির পরামর্শ নিয়ে পরিচালনা পরিষদ পেশাদার দল দিয়ে কাজ করায়। স্বেচ্ছা সেবা থেকে পেশাদার দলে পরিণত হওয়া—এই পরিবর্তনকে প্রশংসা করতেই হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১৫ উইকেট নিয়ে থামলেন মোস্তাফিজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলে কেন কলকাতা নাইট রাইডার্স এবার তাঁকে ১২ কোটি টাকায় নিয়েছে, সেটি খুব ভালোভাবেই আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। আজ একটা পর্যায়ে মোস্তাফিজের নামটা উইকেটশিকারির তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে ছিল।

শারজা ওয়ারিয়র্জের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলে কাল দুপুরে ঢাকায় ফিরে আসার কথা মোস্তাফিজের। এসেই নেমে পড়তে হবে বিপিএল খেলতে। সিলেটে তাঁর দল রংপুর রাইডার্সের প্রথম ম্যাচ আগামী সোমবারে। ঢাকায় ফিরে দুদিনের সংক্ষিপ্ত বিরতিতে তিনি চলে যাবেন সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে। সেখান থেকে ফিরে দলে যোগ দেবেন রোববার।

বিপিএলে যোগ দেওয়ার আগে একাধিক সুখবর পেলেন মোস্তাফিজ। আইপিএল নিলামে তিনি বিক্রি হয়েছেন রেকর্ড দামে। আরব আমিরাতে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে আইএল টি-টোয়েন্টিতেও ধারাবাহিক ভালো খেলেছেন। ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। আজ শারজার বিপক্ষে শীর্ষ উইকেটশিকারি হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন সতীর্থ ওয়াকার সালামখেইলের সঙ্গে। ওয়াকার ২ উইকেট নিয়ে টপকে যান মোস্তাফিজকে। তবু টুর্নামেন্টজুড়ে যে বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ, আজ দেশে ফেরায় তাঁকে নিশ্চিতভাবেই মিস করবে দুবাই ক্যাপিটালস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আসছে বিসিবির নতুন টুর্নামেন্ট

ক্রীড়া ডেস্ক    
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নতুন একটি টুর্নামেন্ট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেটির নাম ‘রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব-২৩ ’। সংস্থাটির মিডিয়া কমিটির প্রধান আমজাদ হোসেন জানালেন, টুর্নামেন্টটি হবে অনেকটা বিসিএলের মতো। যেখানে অংশ নেবে চারটা দল। দলগুলো হলো–পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চল।

টুর্নামেন্ট হবে ডাবল লিগ পদ্ধতিতে। সেখান থেকে শীর্ষ দুই দল শিরোপার লড়াই করবে। অনূর্ধ্ব-২৩ পর্যায়ের এই টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে মোট ৩১ টি। মূলত পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি।

সংবাদমাধ্যমকে আমজাদ বলেন, ‘আমরা রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব ২৩ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। এটা বিসিএলের মতই হবে। অনূর্ধ্ব ২৩ এর পর নির্দিষ্ট কোনো টুর্নামেন্ট ছিল না। কিন্তু এবার হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ ফেব্রুয়ারিতে এই টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনা করছি আমরা।’

টুর্নামেন্টের ভেন্যু প্রসঙ্গে আমজাদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে দুটো স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচগুলো। ডাবল লিগ পদ্ধতিতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। ফাইনাল ঢাকায় হবে। এগুলো ছিল আমাদের প্রধান কিছু সিদ্ধান্ত।’

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সারা দেশে ১ বছরে ১০০ উইকেট বানাবে বিসিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৯
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

প্রায় দিনব্যাপী বোর্ড সভার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংবাদ সম্মেলন। লম্বা অপেক্ষায় থাকা সংবাদমাধ্যম কর্মীদের চমকে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানাননি সংবাদ সম্মেলনে আসা তিন পরিচালক। তবে বোর্ড মিটিংয়ে নেওয়া নতুন দুটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান।

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

সারা দেশে এক বছরে ১০০ উইকেট তৈরির পরিকল্পনা বিসিবির গ্রাউন্ডস বিভাগের প্রধান খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘১০০ উইকেটের পরিকল্পনাটা হচ্ছে মাঠের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা। মাঠ ছাড়া ক্রিকেটে এগোনো কঠিন। ফতুল্লা ইনসাইড এবং আউটার, সঙ্গে পূর্বাচলে যে মাঠটি আছে, সেগুলোর উন্নয়ন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। আমরা এই মৌসুমের মধ্যে ১০০টির বেশি উইকেট তৈরির চেষ্টা করছি। আমাদের বিভাগীয় ভেন্যু; যেমন বগুড়া, খুলনা, রাজশাহী—এগুলো ২০ বছর আগের মডেলে চলছে। সেন্টার উইকেটের পাশে আরও উইকেট বাড়িয়ে আমরা এগুলো আধুনিক করতে চাই। বরিশাল মাঠের কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি। আমরা চাই আমাদের বিভাগীয় সদর দপ্তরগুলো একেকটি ‘হাব’ হিসেবে কাজ করুক, যাতে জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটাররা ঠিকঠাক যন্ত্রপাতি এবং সুযোগ-সুবিধা পায়।’

১০০ উইকেট তৈরিতে নতুন কোনো মাঠ কেনা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পাইলট। বর্তমানে যে মাঠগুলো আছে, সেগুলোকে সচল করা এবং আধুনিক উইকেট তৈরি করাই তাঁদের লক্ষ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীর লক্ষ্য নিয়ে কী বললেন সন্দীপ লামিচানে

ক্রীড়া ডেস্ক    
অনুশীলনে বল হাতে তারকা লেগস্পিনার। ছবি: রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ফেসবুক পেজ।
অনুশীলনে বল হাতে তারকা লেগস্পিনার। ছবি: রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ফেসবুক পেজ।

নিলামের পর সন্দীপ লামিচানেকে দলে টেনেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। প্রধান কোচ হান্নান সরকারের ইচ্ছায় এই লেগস্পিনারকে নিয়েছে পদ্মাপাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অংশ নিতে গতকাল রাজশাহী শিবিরে যোগ দিয়েছেন তিনি।

আজ দলীয় অনুশীলনেও দেখা গেল লামিচানেকে। এক দিন না যেতেই গোটা দলের মধ্যমণি এই নেপালি ক্রিকেটার। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেছেন। সেখানেই জানিয়েছেন, নিজেদের স্কোয়াডের গভীরতা কাজে লাগিয়ে শিরোপা জেতার লড়াই চালিয়ে যাবে রাজশাহী।

লামিচানে বলেন, ‘আমাদের দলে যে ধরণের সম্ভাবনা রয়েছে তা অসাধারণ। বিশেষ করে যখন আপনি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেন, তখন স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে অনেক প্রতিভা আছে। আমি এদের অনেকের সাথেই আগে খেলেছি, তাই তাদের চিনি। আমরা সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের জন্য পুরো দল বেশ রোমাঞ্চিত। দলের ভেতরের পরিবেশও এখন খুব ইতিবাচক।’

নিজেদের স্কোয়াড নিয়ে সন্তুষ্ট লামিচানে। তিনি বলেন, ‘আমাদের টপ অর্ডার থেকে শুরু করে লোয়ার অর্ডার, সব জায়গাতেই ভারসাম্য আছে। স্পিনার, ফাস্ট বোলার-সব বিভাগে ভালো খেলোয়াড় আছে। শান্ত দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। দলে ভালো বিদেশি ক্রিকেটারও আছে। সব মিলিয়ে আমাদের দলটা স্বয়ংসম্পূর্ণ। সবাই শিরোপার জন্য নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত।’

দর্শকদের হতাশ করতে চান না লামিচানে, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো ম্যাচ জেতা। এটিই সবচেয়ে সহজ লক্ষ্য। সেই সাথে দর্শকদের আনন্দ দেয়া এবং দলের জন্য পয়েন্ট অর্জন করা। সবার ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞতা এবং আমরা দল হিসেবে ট্রফি জেতার চেষ্টা করব।’

কীভাবে রাজশাহীতে যোগ দিলেন সে অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে লামিচানে বলেন, ‘আমি নেপাল প্রিমিয়ার লিগের ফাইনাল দেখছিলাম। তখন আসাদের কোচ হান্নান সরকার মেসেজ করে জিজ্ঞেস করেন আমি রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে খেলতে চাই কিনা। অল্প কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমরা সবকিছু চূড়ান্ত করে ফেলি। তিনি যেভাবে পুরো বিষয়টি সহজ করেছেন, তার জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত