Ajker Patrika

ভারতের পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১৬: ২৫
রোহিত না থাকায় পার্থে ভারতের অধিনায়ক বুমরা। বোলিংয়ে ৪ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম দিনেই বেকায়দায় ফেলেছেন বুমরা। ছবি: ক্রিকইনফো
রোহিত না থাকায় পার্থে ভারতের অধিনায়ক বুমরা। বোলিংয়ে ৪ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম দিনেই বেকায়দায় ফেলেছেন বুমরা। ছবি: ক্রিকইনফো

ভারতীয় ক্রিকেট দল উল্লাস করতে ব্যস্ত। কিন্তু বিরাট কোহলির কারণে মুহূর্তেই তা হরিষে বিষাদে পরিণত হয়। কারণ, তিনি সংকেত দিয়েছেন যে ক্যাচটা তিনি মিস করেছেন। এমন লোপ্পা ক্যাচ কোহলির হাতছাড়া করাটা বিশ্বাসই করতে পারেননি জসপ্রীত বুমরা-লোকেশ রাহুলরা।

তারকা ক্রিকেটারদের ভুল শোধরানোর উপায়টাও তো জানা। মারনাস লাবুশেনেকে জীবন দিলেও কোহলির হাত থেকে এরপর নিস্তার পাননি উসমান খাজা। অস্ট্রেলিয়ারও হোঁচট খাওয়ার শুরু এখান থেকেই। ভারতের আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া পার্থে প্রথম দিন শেষ করেছে ৭ উইকেটে ৬৭ রানে। এখনো তারা পিছিয়ে ৮৩ রানে। দিনে যে ১৭ উইকেট পড়েছে, সব উইকেটই নিয়েছেন পেসাররা।

১৫০ রানে ভারত অলআউট হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ১৪ রানে। অজিদের প্রথম ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে অভিষিক্ত নাথান ম্যাকসুইনির বিপক্ষে এলবিডব্লিউর আবেদন করেন বুমরা। আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউর মাধ্যমে উইকেটটি পায় ভারত। একই ওভারের পঞ্চম বলে ভারত পেতে পারত দ্বিতীয় উইকেট। তবে দ্বিতীয় স্লিপে কোহলি দুই হাতে ক্যাচ ধরলেও শেষ মুহূর্তে হাত গলে মাটিতে পড়ে যায়। লাবুশেনে তখনো রানের খাতা খুলতে পারেননি।

প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ কোহলি পেয়েছেন দ্রুতই। সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে উসমান খাজার উইকেট নিয়েছেন বুমরা। স্লিপেই ক্যাচটা ধরেন কোহলি। খাজা ১৯ বলে করেন ৮ রান। ঠিক তার পরের বলেই স্টিভ স্মিথকে লেগবিফোরের ফাঁদে ফেলেন বুমরা। স্মিথ গোল্ডেন ডাক মারলে অস্ট্রেলিয়া পরিণত হয় ৩ উইকেটে ১৯ রানে। পাঁচ নম্বরে ট্রাভিস হেড আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে উইকেট খুইয়েছেন। ১৩ বলে ২ চারে ১১ রান করেন হেড। ১২তম ওভারের প্রথম বলে হেডকে বোল্ড করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উইকেটের হালখাতা খোলেন হারশিত রানা।

হেড ফেরার পর আরও এক দফা ধস নামে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে। ৪ উইকেটে ৩১ রান থেকে মুহূর্তেই ৭ উইকেটে ৫৯ রানে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা। একপ্রান্তে চীনের মহাপ্রাচীরের মতো আঁকড়ে থাকা লাবুশেনকে (৫২ বলে ২ রান) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মোহাম্মদ সিরাজ। প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং করেছে ২৭ ওভার। উইকেটরক্ষক ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারি ১৯ রানে অপরাজিত। ২৮ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৩ চার। স্টার্ক ব্যাটিং করছেন ৬ রানে। বুমরা নিয়েছেন ৪ উইকেট। ১০ ওভারে খরচ করেন ১৭ রান, ৪ ওভার মেডেনও দিয়েছেন। সিরাজ নিয়েছেন ২ উইকেট।

নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা না থাকায় ভারতকে পার্থে সিরিজের প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জসপ্রীত বুমরা। টস জিতে বুমরা নিয়েছেন ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। তবে অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের সুইং ও গতিতে যেন চোখে সর্ষেফুল দেখতে থাকে ভারত। ৭৩ রানেই হারায় ৬ উইকেট। এমন পরিস্থিতিতে সপ্তম উইকেটে ৮৫ বলে ৪৮ রানের জুটি গড়েন নীতিশ কুমার রেড্ডি ও ঋষভ পন্ত। ১২১ রানে ভারত সপ্তম উইকেট হারালেও এই উইকেট হারাতে পারত ৯৭ রানে। ৩৯তম ওভারের চতুর্থ বলে মিচেল স্টার্ককে তুলে মারতে যান পন্ত। মিড অন থেকে উল্টো দিকে দৌড়েও ক্যাচ ধরতে পারেননি প্যাট কামিন্স। পন্তের রান তখন ২৬।

জীবন পাওয়া পন্তকে ফিরিয়ে জুটি ভেঙেছেন কামিন্সই। ৪৬তম ওভারের পঞ্চম বলে কামিন্স নিয়েছেন পন্তের উইকেট। দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ ধরেন স্মিথ। ৭৮ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ রান করেন পন্ত। পন্ত-রেড্ডির জুটি ভাঙার পর বড় স্কোর আর করতে পারেনি ভারত। ২৯ রানে শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানে অলআউট সফরকারীরা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন রেড্ডি। ৫৯ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৬ চার ও ১ ছক্কা। অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার হ্যাজলউড দিয়েছেন ৪ উইকেট। স্টার্ক, কামিন্স, মিচেল মার্শ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। যেখানে স্টার্ক ১১ ওভার বোলিং করে ১৪ রান দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘মোস্তাফিজের রহস্য বিশ্বের সেরা গোয়েন্দারাও বের করতে পারবেন না’

ক্রীড়া ডেস্ক    
এবারের আইএল টি-টোয়েন্টিতে ৮ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: ফেসবুক
এবারের আইএল টি-টোয়েন্টিতে ৮ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: ফেসবুক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টিতে (আইএল টি-টোয়েন্টি) স্বপ্নের মতো এক সময় কাটিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতের স্লোয়ার-কাটারে ব্যাটারদের বোকা বানিয়েছেন। পাল্লা দিয়ে উইকেট নিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন দুবাই ক্যাপিটালসকে। এক ম্যাচ হাতে রেখেই তাঁর দল উঠে গেছে প্লে অফে।

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গত রাতে শারজা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মোস্তাফিজের এবারের মতো আইএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শেষ করলেন। পুরো টুর্নামেন্টে বৈচিত্র্যময় বোলিংয়ে উইকেট তুলে নিয়েছেন। কোনো ম্যাচে শুরুতে বাজে বোলিং করলেও পরে সেটা পুষিয়ে দিয়েছেন। ৮ ম্যাচে ৮.০৮ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। পরিসংখ্যানের দিকে না তাকিয়ে যাঁরা বরং তাঁর ম্যাচগুলো দেখেছেন, তাঁর জাদুকরী বোলিংটা স্পষ্ট বুঝতে পেরেছেন। ২১ ডিসেম্বর আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে হয়েছেন ম্যাচসেরা। এই ম্যাচেই এক ওভারে নিয়েছেন ৩ উইকেট।

শারজা ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে গত রাতে যেভাবে বোকা বানিয়ে উইকেট নিয়েছেন, সেটার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছে দুবাই ক্যাপিটালস ও আইএল টি-টোয়েন্টি কর্তৃপক্ষ। ইনিংসের ১৪তম ওভারের প্রথম বলে মোস্তাফিজের বল কীভাবে খেলবেন, সেটা বুঝে উঠতে না পেরে রাজা সোজা ক্যাচ তুলে দিয়েছেন মোস্তাফিজের হাতে। নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে আইএল টি-টোয়েন্টি লিখেছে, ‘সবার জন্য সহজ ব্যাপার না এটা। মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিপক্ষকে নানারকমভাবে বোকা বানাতে পারেন। এগুলো এমন এক রহস্য, যা বিশ্বের সেরা গোয়েন্দারা খুঁজে পাবেন না।’

৪ ওভারে ২৭ রানে ১ উইকেট নিয়ে মোস্তাফিজ তাঁর ২০২৫ সালের আইএল টি-টোয়েন্টি পর্ব শেষ করলেন। গত রাতে রাজাকে যেভাবে বোকা বানিয়েছেন মোস্তাফিজ, তাতে মুগ্ধ তাঁর (মোস্তাফিজ) দল দুবাই ক্যাপিটালস। নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে দুবাই ক্যাপিটালস লিখেছে,‘মোস্তাফিজকে কখনোই থামিয়ে রাখতে পারবেন না।’ টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়ে শারজা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান করেছে। জবাবে ৫ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয়ে দুবাই ক্যাপিটালস কেটেছে প্লে অফের টিকিট। ৫০ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৬১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন দুবাই ক্যাপিটালসের টপ অর্ডার ব্যাটার জর্ডান কক্স।

লিগ পর্বে দুবাই ক্যাপিটালসের শেষ ম্যাচ শনিবার এমআই এমিরেটসের বিপক্ষে। তবে এই ম্যাচে মোস্তাফিজকে পাবে না দুবাই। কারণ, বিপিএল খেলতে মোস্তাফিজ দেশে ফিরছেন। এবারের বিপিএলে তাঁকে সরাসরি চুক্তিতে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। সোমবার চট্টগ্রাম রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করবে রংপুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১৫ উইকেট নিয়ে থামলেন মোস্তাফিজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলে কেন কলকাতা নাইট রাইডার্স এবার তাঁকে ১২ কোটি টাকায় নিয়েছে, সেটি খুব ভালোভাবেই আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। আজ একটা পর্যায়ে মোস্তাফিজের নামটা উইকেটশিকারির তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে ছিল।

শারজা ওয়ারিয়র্জের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলে কাল দুপুরে ঢাকায় ফিরে আসার কথা মোস্তাফিজের। এসেই নেমে পড়তে হবে বিপিএল খেলতে। সিলেটে তাঁর দল রংপুর রাইডার্সের প্রথম ম্যাচ আগামী সোমবারে। ঢাকায় ফিরে দুদিনের সংক্ষিপ্ত বিরতিতে তিনি চলে যাবেন সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে। সেখান থেকে ফিরে দলে যোগ দেবেন রোববার।

বিপিএলে যোগ দেওয়ার আগে একাধিক সুখবর পেলেন মোস্তাফিজ। আইপিএল নিলামে তিনি বিক্রি হয়েছেন রেকর্ড দামে। আরব আমিরাতে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে আইএল টি-টোয়েন্টিতেও ধারাবাহিক ভালো খেলেছেন। ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। আজ শারজার বিপক্ষে শীর্ষ উইকেটশিকারি হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন সতীর্থ ওয়াকার সালামখেইলের সঙ্গে। ওয়াকার ২ উইকেট নিয়ে টপকে যান মোস্তাফিজকে। তবু টুর্নামেন্টজুড়ে যে বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ, আজ দেশে ফেরায় তাঁকে নিশ্চিতভাবেই মিস করবে দুবাই ক্যাপিটালস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আসছে বিসিবির নতুন টুর্নামেন্ট

ক্রীড়া ডেস্ক    
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নতুন একটি টুর্নামেন্ট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেটির নাম ‘রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব-২৩ ’। সংস্থাটির মিডিয়া কমিটির প্রধান আমজাদ হোসেন জানালেন, টুর্নামেন্টটি হবে অনেকটা বিসিএলের মতো। যেখানে অংশ নেবে চারটা দল। দলগুলো হলো–পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চল।

টুর্নামেন্ট হবে ডাবল লিগ পদ্ধতিতে। সেখান থেকে শীর্ষ দুই দল শিরোপার লড়াই করবে। অনূর্ধ্ব-২৩ পর্যায়ের এই টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে মোট ৩১ টি। মূলত পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি।

সংবাদমাধ্যমকে আমজাদ বলেন, ‘আমরা রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব ২৩ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। এটা বিসিএলের মতই হবে। অনূর্ধ্ব ২৩ এর পর নির্দিষ্ট কোনো টুর্নামেন্ট ছিল না। কিন্তু এবার হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ ফেব্রুয়ারিতে এই টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনা করছি আমরা।’

টুর্নামেন্টের ভেন্যু প্রসঙ্গে আমজাদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে দুটো স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচগুলো। ডাবল লিগ পদ্ধতিতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। ফাইনাল ঢাকায় হবে। এগুলো ছিল আমাদের প্রধান কিছু সিদ্ধান্ত।’

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সারা দেশে ১ বছরে ১০০ উইকেট বানাবে বিসিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৯
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

প্রায় দিনব্যাপী বোর্ড সভার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংবাদ সম্মেলন। লম্বা অপেক্ষায় থাকা সংবাদমাধ্যম কর্মীদের চমকে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানাননি সংবাদ সম্মেলনে আসা তিন পরিচালক। তবে বোর্ড মিটিংয়ে নেওয়া নতুন দুটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান।

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

সারা দেশে এক বছরে ১০০ উইকেট তৈরির পরিকল্পনা বিসিবির গ্রাউন্ডস বিভাগের প্রধান খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘১০০ উইকেটের পরিকল্পনাটা হচ্ছে মাঠের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা। মাঠ ছাড়া ক্রিকেটে এগোনো কঠিন। ফতুল্লা ইনসাইড এবং আউটার, সঙ্গে পূর্বাচলে যে মাঠটি আছে, সেগুলোর উন্নয়ন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। আমরা এই মৌসুমের মধ্যে ১০০টির বেশি উইকেট তৈরির চেষ্টা করছি। আমাদের বিভাগীয় ভেন্যু; যেমন বগুড়া, খুলনা, রাজশাহী—এগুলো ২০ বছর আগের মডেলে চলছে। সেন্টার উইকেটের পাশে আরও উইকেট বাড়িয়ে আমরা এগুলো আধুনিক করতে চাই। বরিশাল মাঠের কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি। আমরা চাই আমাদের বিভাগীয় সদর দপ্তরগুলো একেকটি ‘হাব’ হিসেবে কাজ করুক, যাতে জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটাররা ঠিকঠাক যন্ত্রপাতি এবং সুযোগ-সুবিধা পায়।’

১০০ উইকেট তৈরিতে নতুন কোনো মাঠ কেনা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পাইলট। বর্তমানে যে মাঠগুলো আছে, সেগুলোকে সচল করা এবং আধুনিক উইকেট তৈরি করাই তাঁদের লক্ষ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত