Ajker Patrika

অ্যান্ডারসনের বিদায়ী টেস্টে উইন্ডিজকে বিধ্বস্ত করল ইংল্যান্ড

আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৪, ১৮: ০২
অ্যান্ডারসনের বিদায়ী টেস্টে উইন্ডিজকে বিধ্বস্ত করল ইংল্যান্ড

ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ ধরলেন বেন ডাকেট। গাস অ্যাটকিনসন অভিষেক টেস্টের দুই ইনিংসেই পাঁচটি করে উইকেট পেলেন। ইংল্যান্ডও সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতল ইনিংস ও ১১৪ রানে। সঙ্গে সঙ্গেই ক্যামেরার লেনস ঘুরে যায় জেমস অ্যান্ডারসনের দিকে। বিদায়ী টেস্ট খেলা অ্যান্ডারসনের সঙ্গে সতীর্থরা একে একে আলিঙ্গন করছেন। লর্ডসের গ্যালারি থেকেও আসতে থাকে মুহুর্মুহু করতালি।

উইকেট দিয়েই ক্যারিয়ারের বিদায়ী টেস্ট শেষ করতে পারতেন জেমস অ্যান্ডারসন। গুড়াকেশ মোতির কট অ্যান্ড বোল্ড সুযোগটা প্রায় লুফেই নিয়েছিলেন অ্যান্ডারসন। অল্পের জন্য সেটা হাত ফস্কে বেরিয়ে যায়। অ্যান্ডারসনও নিজের কপালে দিয়েছিলেন হাত। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে সেটা হয়নি ঠিকই। তবে ১৮৮ টেস্টের ক্যারিয়ারের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নিজেকে যে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।

ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্ট নয়, লর্ডস টেস্টটা যে পরিচিতি পেয়েছিল ‘অ্যান্ডারসনের টেস্ট’ নামে। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে পেয়েছেন প্রথাগত ‘গার্ড অব অনার।’ একেকটা উইকেট তিনি যখন নিয়েছেন, গ্যালারি থেকে করতালি আসতে থাকে। তিন দিনেই টেস্টের ফল হয়ে যাওয়ার পর আজ অ্যান্ডারসন যখন মাঠ ছাড়ছেন, তখন তাঁর ছবি তুলতে ফটোগ্রাফাররা ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কারণ আর যে ইংলিশ পেসারকে দেখা যাবে না সুইং ও গতি দিয়ে ব্যাটারদের কাবু করতে। ২০০৩ সালে লর্ডসে টেস্ট অভিষেকের পর এই ভেন্যুতেই ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণকে বিদায় জানালেন অ্যান্ডারসন।

৩৪.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৭৯ রানে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করা উইন্ডিজ তখনো পিছিয়ে ১৭১ রানে। ম্যাচ জয় তো অনেক দূরের ব্যাপার, ইনিংস পরাজয় এড়ানোই যে উইন্ডিজের জন্য পাহাড় টপকানোর মতো ব্যাপার ছিল। দিনের খেলা শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই ধাক্কা দেন অ্যান্ডারসন। ৩৮তম ওভারের প্রথম বলে জোশুয়া ডা সিলভা শট করতে যান অ্যান্ডারসনকে। উইকেটরক্ষক জেমি স্মিথ সেটা তালুবন্দী করেন। ২৬ বলে ১ চারে ৯ রান করেন জোশুয়া।

জোশুয়ার বিদায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়েছে ৩৭.১ ওভারে ৭ উইকেটে ৮৮ রান। অ্যাটকিনসনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দ্রুত আরও ২ উইকেট হারায় উইন্ডিজ। ৪১তম ওভারের প্রথম বলে আলজারি জোসেফকে ফিরিয়ে অভিষেক টেস্টেই নিয়ে ফেলেন ১০ উইকেট। এক ওভার বিরতিতে এসে এবার আরেক জোসেফকে ফেরান অ্যাটকিনসন। ৪৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শামার জোসেফ বোল্ড হয়ে যান অ্যাটকিনসনকে স্লগ করতে গিয়ে। তাতে উইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ৪২.২ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৩ রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের সমাপ্তি হতে পারত ৪৪তম ওভারেই। তবে ওভারের প্রথম বলে অ্যান্ডারসন কট অ্যান্ড বোল্ড মিস করায় সেটা সম্ভব হয়নি। জীবন পেয়ে মোতি একের পর এক বাউন্ডারি মেরেছেন। মোতির মতো জেইডেন সিলসও একটি চার মেরেছেন। দশম উইকেটে সিলস-মোতির ২৯ বলে ৩৩ রানের জুটিটা শুধু হারের ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছে উইন্ডিজ। ৪৭তম ওভারের শেষ বলে সিলসকে ফিরিয়ে ক্যারিবীয়দের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন অ্যাটকিনসন। মোতির ৩৫ বলে ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংসটাই উইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রান। পাঁচটি চার মেরেছেন তিনি। অভিষেক টেস্টে ১০৬ রানে ১২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন অ্যাটকিনসন।

অ্যান্ডারসনের বিদায়ী টেস্টে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। ইংল্যান্ডের বিধ্বংসী বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ৪১.৪ ১২১ রানে অলআউট হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেস্টের অভিষেক ইনিংসে ৪৫ রানে ৭ উইকেট নেন অ্যাটকিনসন। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯০ ওভারে ৩৭১ রানে অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড। জ্যাক ক্রলি, ওলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, জেমি স্মিথ—পাঁচ ব্যাটার ফিফটি করেন। তবে কেউই সেঞ্চুরি করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন ক্রলি। ৮৯ বলের ইনিংসে ১৫ চার মেরেছেন ইংল্যান্ডের এই ওপেনার। ৭৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে উইন্ডিজের সেরা বোলার জেইডেন সিলস।

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

ক্রীড়া ডেস্ক    
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।

সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হেডের সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক    
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।

শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।

অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লুসাইলে ফিরল আর্জেন্টিনার স্মৃতি, মরক্কোকে রাষ্ট্র প্রধানের অভিনন্দন

ক্রীড়া ডেস্ক    
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।

সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।

লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।

২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।

মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কনওয়ের ডাবল সেঞ্চুরি, মাউন্ট মঙ্গানুইতে ব্যাটারদের দাপট

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৪
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।

৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।

১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।

রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত