Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

‘এ বছর ক্যারিয়ারের জন্য স্মরণীয় করে তুলতে চাই’

দল ভালো না করলেও বিপিএলে ছন্দে ছিলেন জাকির হাসান। ছবি: সৌজন্য

এবারসহ টানা তিনটি বিপিএলে জাকির হাসান খেলছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে। তাঁর দল এবার নিষ্প্রভ; লিগ পর্বেই বিদায় নিয়েছে। তবু ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন জাতীয় দলের এই ব্যাটার। ১৪০.৪৩ স্ট্রাইকরেটে ১২ ইনিংসে করেছেন ৩৮৯ রান; যা টুর্নামেন্টের চতুর্থ সর্বোচ্চ। এই ফর্মটাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ধরে রাখতে আত্মবিশ্বাসী জাকির। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জাকির তাঁর পরিকল্পনা, চ্যালেঞ্জ এবং নতুন বছরের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ

আহমেদ রিয়াদ
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২: ১৮

প্রশ্ন: এবারের পারফরম্যান্সে কতটা তৃপ্ত?

জাকির হাসান: এবারের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি বেশ খুশি। তবে শেষ দিকে কিছু ম্যাচে ভালো শুরু পেয়েছিলাম। সেগুলো বড় ইনিংসে পরিণত করতে পারলে তৃপ্তি আরও বেশি হতো। ব্যক্তিগতভাবে এটা আমার অন্যতম সফল বিপিএল মৌসুম। তবে দলগতভাবে আমরা ভালো খেলতে পারিনি, যা হতাশার। সব মিলিয়ে নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট, কিন্তু দল হিসেবে আমাদের আরও ভালো করার সুযোগ ছিল।

প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনার পারফরম্যান্স গ্রাফ কিছুটা নিচের দিকে নেমেছিল। ঘরোয়া লিগে পুরোনো ছন্দ ফিরে পেয়েছেন বলে মনে করছেন?

জাকির: ঘরোয়া ক্রিকেটে আমি সব সময় ভালো পারফর্ম করেছি। নিয়মিত ম্যাচ খেললে পারফরম্যান্স ভালো হয়েছে, সেঞ্চুরিও করেছি। তবে জাতীয় দলে গত বছর যেভাবে পারফর্ম করতে চেয়েছিলাম, সেটা হয়নি। আমি কখনো ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে নিয়ে খারাপ চিন্তা করিনি। বরং আমার স্বাভাবিক খেলার ধরন বজায় রেখে ব্যাট করেছি এবং কিছু শট নিয়ে আলাদা কাজ করেছি। সবচেয়ে বড় বিষয়, খারাপ সময় নিয়ে চিন্তা না করে কীভাবে ইতিবাচক থাকা যায়, সেই দিকেই মনোযোগ দিয়েছি। এ কারণেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করতে পেরেছি।

প্রশ্ন: গত বছর লাল বলের ক্রিকেট খেলেছেন, সাদা বলেও ফিরেছেন। কিন্তু প্রমাণের সুযোগ খুব বেশি ছিল না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের জায়গা ফিরে পেতে চ্যালেঞ্জটা কোথায় দেখছেন?

জাকির: আমার কাছে নিয়মিত ম্যাচ খেলা খুব গুরুত্বপূর্ণ, সেটা লাল বল হোক বা সাদা। আমি কখনো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করি না। সামনে যে ম্যাচ আছে বা সিরিজ আছে, সেটার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করি। আমার কাজ হলো মাঠে নেমে সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করা। ম্যাচ চলাকালে পরিস্থিতি বুঝে ভূমিকা পালন করতে হবে। তাই এখন শুধু সামনে যেসব সুযোগ আসবে, সেগুলো কাজে লাগানোর দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি।

প্রশ্ন: চলতি বিপিএলে আপনার সতীর্থ নাঈম শেখ ও তানজিদ হাসান তামিম সেঞ্চুরি পেয়েছেন। আপনি ধারাবাহিকভাবে রান করলেও শতক পাননি। এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ?

জাকির: সেঞ্চুরি করতে না পারা অবশ্যই আক্ষেপের জায়গা। একজন ব্যাটার হিসেবে বড় ইনিংস খেলা আমার অন্যতম দায়িত্ব। প্রতিটি ম্যাচে চেষ্টা করেছি ভালো ইনিংস খেলতে। কখনো সেটা সফল হয়েছে, কখনো হয়নি। সেঞ্চুরি আত্মতৃপ্তি এনে দেয় এবং সেটা করতে পারলে নিজের কাছে ভালো লাগত। তবে যেভাবে ব্যাটিং করেছি, তা নিয়ে আমি খুশি। আশা করি, ভবিষ্যতে বড় ইনিংস ও সেঞ্চুরি করার সুযোগ পাব।

প্রশ্ন: আপনার জন্য বিপিএল শেষ, ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সামনে ব্যস্ত সময়। আপনার সুযোগ ও লক্ষ্য কী?

জাকির: আমার লক্ষ্য সব সময় এক, জাতীয় দলে ফিরে নিজের জায়গা নিশ্চিত করা এবং ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করা। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে সেরা পারফর্মার হিসেবে দেখতে চাই। এ বছরকে আমার ক্যারিয়ারের স্মরণীয় বছর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। জাতীয় দলে ফিরে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে দলের সাফল্যে অবদান রাখতে চাই।

প্রশ্ন: এবারের বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্স মাত্র দুটি জয় পেয়েছে। দল নিয়ে নানান গুঞ্জন। আপনি দলটির সব ম্যাচ খেলেছেন এবং ড্রেসিং রুমের পরিবেশ কাছ থেকে দেখেছেন। দল কেন এত খারাপ করল বলে মনে করেন? নানান গুঞ্জন নিয়ে আপনার কী মতামত?

জাকির: গুঞ্জন নিয়ে আমি পরিষ্কার কিছু জানি না। তবে দলের পারফরম্যান্সের দিক থেকে দেখলে আমার মনে হয় আমরা দল হিসেবে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারিনি। আমাদের দলে খারাপ ক্রিকেটার ছিল না, কিন্তু মাঠে দলীয় সামর্থ্যের পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি। কিছু খেলোয়াড় চোটে পড়ে লিগের শুরুতে, যা লিগে দলীয় পারফরম্যান্সকে প্রভাবিত করেছে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, দল হিসেবে সম্মিলিতভাবে খেলার অভাব ছিল। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স কিছু হলেও তা ঠিক সময়ে কাজে আসেনি। দলগত ক্রিকেটই আসলে সাফল্যের চাবিকাঠি এবং সেখানেই আমরা পিছিয়ে গেছি।

প্রশ্ন: সিলেট স্ট্রাইকার্স নিয়ে সমালোচনা হলেও আপনি কীভাবে দলটির পরিবেশ মূল্যায়ন করবেন?

জাকির: দলের পরিবেশ সব সময় ভালো ছিল। ড্রেসিং রুমে ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে মাঠের পারফরম্যান্সই সবকিছুর মাপকাঠি। আমাদের দলটি ভালো সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। তবে আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে দল আরও ভালো করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

ক্রীড়া ডেস্ক    
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।

সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হেডের সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক    
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।

শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।

অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লুসাইলে ফিরল আর্জেন্টিনার স্মৃতি, মরক্কোকে রাষ্ট্র প্রধানের অভিনন্দন

ক্রীড়া ডেস্ক    
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।

সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।

লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।

২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।

মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কনওয়ের ডাবল সেঞ্চুরি, মাউন্ট মঙ্গানুইতে ব্যাটারদের দাপট

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৪
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।

৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।

১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।

রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত