Ajker Patrika

সাফল্যটা বাংলাদেশের ছেলেরা উপভোগ করুক

রানা আব্বাস
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫: ৪৫
সাফল্যটা বাংলাদেশের ছেলেরা উপভোগ করুক

স্টুয়ার্ট ল গত দুই বছর কাজ করছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর যুবাদের বড় সাফল্য গত পরশু দুবাইয়ে এশিয়া কাপ জয়। দুবাই থেকে কাল দল ফিরলেও ল কয়েক দিন ছুটি কাটিয়ে ফিরবেন ঢাকায়। এরপর শুরু করবেন যুবাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি। গতকাল দুবাই থেকে মোবাইল ফোনে ল বললেন এশিয়া কাপের সাফল্য আর বিশ্বকাপ নিয়ে নিজেদের ভাবনা। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস

প্রশ্ন: শিরোপা জয়ের উদ্‌যাপন কেমন হলো? এটা কতটা তৃপ্তিদায়ক আপনার জন্য?
স্টুয়ার্ট ল: যেটা করেছি আমরা, গর্বিত। জেতার পর রাতটা দারুণ ছিল, উদ্‌যাপন করেছি কেক কেটে। ছেলেরা অনেক উদ্‌যাপন করেছে নিজেদের মধ্যে। বুর্জ খলিফায় গিয়েছিলাম আমরা। ছেলেদের ট্রিট দিতে নান্দোজে নিয়ে গিয়েছিলাম। এটা তাদের জন্য অনেক বড় অভিজ্ঞতা। এশিয়া কাপের মতো কিছু জেতা, এশিয়ার সেরা দল হওয়াটা দুর্দান্ত প্রচেষ্টা।

প্রশ্ন: শিরোপা জয়ের লক্ষ্যই ছিল নাকি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ভালোভাবে নেওয়া?
স্টুয়ার্ট ল: না, (বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে) জয় কখনোই মূল লক্ষ্য নয়। মূল লক্ষ্য ছিল নিজেদের পরিকল্পনায় স্থির থাকা, নিজেদের প্রতি বিশ্বাস, আস্থা রাখা। যখন এটা ঠিকঠাক শুরু হয়েছে, তখন আমরা ফল পেয়েছি। টানা পাঁচ-ছয়টি ম্যাচ জিতেছি, অপরাজিত থেকে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। শ্রীলঙ্কা-ভারতের মতো দলকে হারিয়েছি। যখন আমরা প্রক্রিয়া ঠিক রেখেছি, তখনই সাফল্য এসেছে। সাফল্য আসবেও। যতক্ষণ আমরা এটা ঠিকঠাক করব, ততক্ষণ ভালো করতেই থাকব।

প্রশ্ন: সেমিফাইনালে ভারতকে হারানোর পরই কি আপনার মনে হয়েছে, এবার শিরোপা জেতার সেরা সুযোগ বাংলাদেশের? ক্রিকেটীয় যুক্তিতে আরব আমিরাতের চেয়ে বাংলাদেশই এগিয়ে থাকে।
স্টুয়ার্ট ল: যেকোনো জয়ই বড় অর্জন। ভারত পরাশক্তি, বিশেষ করে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে। তাদের অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে। তবে আমাদের কাজ ছিল, মাঠে যাও, ভালো খেলো। আমি একটি বিষয় নিশ্চিত করতে চেয়েছি, কোনো নাম দেখে খেলা নয়। ভারতের নাম ছেলেদের সামনে উচ্চারণই করিনি। ওদের হাতে কী খেলোয়াড় আছে, তা নিয়ে ভাবিইনি। শুধু নিজেদের যা আছে, যা করতে পারি, সেটার ওপর মনোযোগ রেখেছি। আমরা সেদিন দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছি নিজেদের পরিকল্পনা। ভালো, দ্রুতগতির বাউন্সি উইকেটে তিন ফাস্ট বোলারকে কাজে লাগানোর কৌশল কাজে দিয়েছে। এরপর ব্যাটাররা বাকি কাজ সেরেছে। এটা অসাধারণ দলীয় প্রচেষ্টা। তবে ভারতকে হারানো আমাদের জন্য টুর্নামেন্টের টার্নিং পয়েন্ট নয়।

প্রশ্ন: টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় আশিকুর রহমান শিবলির পারফরম্যান্স কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?
স্টুয়ার্ট ল: ধারাবাহিকতার দারুণ এক উদাহরণ হয়ে এসেছে সে। ভারতে চার দলের সিরিজ থেকেই সে এটা করছে। গতকাল (পরশু) ফাইনালে সেঞ্চুরি পেয়েছে। অসাধারণ এক প্রচেষ্টা। হি ইজ বিন ব্রিলিয়ান্ট, মেট। নিজের পুরো শরীরের শেপ বদলেছে। আমাদের স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচদেরও কৃতিত্ব আছে তাকে ফিট আর শক্তিশালী করে তুলতে। ৫০ ওভার উইকেটে থাকা আর লম্বা ইনিংস খেলতে আপনাকে অনেক ফিট থাকতে হবে। অনেক পরিশ্রম করেছে ছেলেটা। প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে আসে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে আর ম্যাচে কাজে লাগাতে চায়। তাকে নিয়ে তৃপ্ত; কারণ, তাকে আমার অন্যতম পরিশ্রমী খেলোয়াড় মনে হয়।

প্রশ্ন: বোলিং বিভাগে মারুফ মৃধা, পারভেজ জীবন ভালো করেছেন। মাহফুজুর রহমান রাব্বি সামনে থেকেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
স্টুয়ার্ট ল: রাব্বি তার কাজ করেছে। অনেক অভিজ্ঞ। চাপেও শান্ত থাকে, নিজের সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখে। দেখুন, সে এমন একটা ছেলে, গায়ে যদি বলও ছোড়েন, নিজের কাজটা করে যাবে। অলরাউন্ড ক্রিকেটার। পারভেজ জীবনের কথা আগে বলতে হবে। ভারত সফরে (নভেম্বরে) একজন অফ স্পিনার হিসেবে দলে নেওয়া হয় তাকে। ভারত সফরের পর এশিয়া কাপেও সে দারুণ করেছে। আমাদের ফাস্ট বোলারদের কৃতিত্ব ছোট করে দেখতে পারবেন না। গতকাল (পরশু) আমাদের পেসার বর্ষণ, ইমন, মারুফ বিপাকে ফেলেছে আরব আমিরাতকে। বোলিং কোচ নাজমুল হোসেনের অধীনে তারা দারুণ কাজ করেছে।

প্রশ্ন: নভেম্বরের ভারত সফরে চারদলীয় সিরিজটার কথা বলছিলেন। ওখানে বাংলাদেশ খুব একটা ভালো করেনি। ৬ ম্যাচে ৪ হার আর ২ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ছিল। সেখান থেকে এশিয়া কাপে অন্য এক দল গেল। দল কীভাবে বদলে গেল এই সংক্ষিপ্ত সময়ে?

স্টুয়ার্ট ল: মনে করি না, ভারতে আমরা খারাপ করেছি। ভারতের দুটি দলের বিপক্ষে খেলেছি, দুটি দলই ভালো। আর ইংল্যান্ড দল অনেক শক্তিশালী। আমাদের ফল ভালো হয়নি। তবে কাজ করতে গেলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে মানুষ ফলটাই আগে চায়। ফলেই বেশি মনোযোগ থাকে, কাজটা কীভাবে করা হচ্ছে, তাতে নয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা এক ম্যাচে ৩২২ তাড়া করলাম, ১০ রান (আসলে ১৩) কম করেছিলাম। শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের ৩০৪ রান তাড়া করে ফেললাম। এ দুটো ম্যাচ সত্যি আমাদের অনেক উজ্জীবিত করেছে। ভারতের একটি দলকেও আমরা হারিয়েছি ভালো বোলিং করে। কাজেই আমি মনে করি না, ভারত সফরটা হতাশাজনক ছিল। তবে আপনি সবকিছুই জিততে পারবেন না। সফরটা আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে এশিয়া কাপে ভালো করতে।

প্রশ্ন: এখন সামনে সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট। এশিয়া কাপ জয় নিশ্চয়ই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বকাপেও দারুণ কিছু করতে?
স্টুয়ার্ট ল: সত্যি বলতে, আমি চাই, ওরা এখন এশিয়া কাপ জেতাটা উপভোগ করুক। এটা অনেক বড় অর্জন। (সাফল্যটা) ছেলেদের উপভোগ করতে দিন। আরেকটি বিশ্বকাপ জেতার কথা যদি বলেন, না, সেখানে শিরোপা জয়ের কথার চেয়ে বলব নিজেদের প্রসেস নিয়ে। এটাই পরের ধাপ। বিশ্বকাপের জন্য যখন আবার আমরা এক হব, নিজেদের পুনরায় তৈরি করব। সবাই বিশ্বকাপ জিততে চায়। প্রত্যেকে এটা জিততে বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে আসবে। আমরা এখনো কন্ডিশন, পিচের মান সম্পর্কে জানি না। দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলে এ বিষয়ে জানতে পারব। তবে এখন যদি নিজেদের প্রসেস, বিশ্বাস আর ছোট ছোট জায়গায় আরও উন্নতি করতে পারি, এটাই ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবে বিশ্বকাপে ভালো করতে।

প্রশ্ন: ধারাবাহিক ভালো খেললে বড় সাফল্য আসবেই। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে সবচেয়ে বড় চাওয়া, জাতীয় দলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ করা। এই যুব দলের খেলোয়াড়দের সম্ভাবনা কেমন দেখছেন, যাঁরা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন?

স্টুয়ার্ট ল: আপনি কয়েকজনের নাম লিখতে পারেন। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পর কিছু ধাপ আছে।  ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলতে হবে, এইচপিতে যেতে হবে। ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে আরও উন্নতি করতে হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি আগামী কয়েক বছরে কিছু খেলোয়াড় এখান থেকে বাংলাদেশ দলে যাবে, নিজেদের গর্বিত করবে।

প্রশ্ন: জানি সিনিয়র টিমের সঙ্গে জুনিয়র টিমের তুলনা হয় না। তবু জানতে চাইছি, সাকিবদের হয়ে ২০১২ এশিয়া কাপের সেই ফাইনাল হেরেছিলেন। এবার যুব দলের হয়ে জিতলেন। যে পর্যায়েই হোক, এশিয়া কাপের স্বাদ তো পেলেন, পুরোনো ক্ষতে কি কিছুটা প্রলেপ পড়ল?
স্টুয়ার্ট ল: (অট্টহাসিতে) মেট! ওটা জিতলে দারুণ হতো। বাংলাদেশ দলের (সিনিয়র) হয়ে জিতলে সত্যি অন্য রকম এক অনুভূতি হতো। খেলোয়াড়দের জন্যও। খুব কাছে গিয়ে হারে হৃদয় ভেঙেছিল। কাল (পরশু) জাতীয় দল ছিল না। তবে জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দল তো জিতেছে, এটা একেবারেই বিশেষ। ভারত-পাকিস্তানের মতো দলকে ডিঙিয়ে শিরোপা জেতা বড় অর্জন। খুব একটা আবেগতাড়িত হচ্ছি না। তবে বিশ্বাস করুন হৃদয়টা গর্বে ভরে যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১৫ উইকেট নিয়ে থামলেন মোস্তাফিজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলে কেন কলকাতা নাইট রাইডার্স এবার তাঁকে ১২ কোটি টাকায় নিয়েছে, সেটি খুব ভালোভাবেই আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। আজ একটা পর্যায়ে মোস্তাফিজের নামটা উইকেটশিকারির তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে ছিল।

শারজা ওয়ারিয়র্জের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলে কাল দুপুরে ঢাকায় ফিরে আসার কথা মোস্তাফিজের। এসেই নেমে পড়তে হবে বিপিএল খেলতে। সিলেটে তাঁর দল রংপুর রাইডার্সের প্রথম ম্যাচ আগামী সোমবারে। ঢাকায় ফিরে দুদিনের সংক্ষিপ্ত বিরতিতে তিনি চলে যাবেন সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে। সেখান থেকে ফিরে দলে যোগ দেবেন রোববার।

বিপিএলে যোগ দেওয়ার আগে একাধিক সুখবর পেলেন মোস্তাফিজ। আইপিএল নিলামে তিনি বিক্রি হয়েছেন রেকর্ড দামে। আরব আমিরাতে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে আইএল টি-টোয়েন্টিতেও ধারাবাহিক ভালো খেলেছেন। ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। আজ শারজার বিপক্ষে শীর্ষ উইকেটশিকারি হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন সতীর্থ ওয়াকার সালামখেইলের সঙ্গে। ওয়াকার ২ উইকেট নিয়ে টপকে যান মোস্তাফিজকে। তবু টুর্নামেন্টজুড়ে যে বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ, আজ দেশে ফেরায় তাঁকে নিশ্চিতভাবেই মিস করবে দুবাই ক্যাপিটালস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আসছে বিসিবির নতুন টুর্নামেন্ট

ক্রীড়া ডেস্ক    
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নতুন একটি টুর্নামেন্ট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেটির নাম ‘রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব-২৩ ’। সংস্থাটির মিডিয়া কমিটির প্রধান আমজাদ হোসেন জানালেন, টুর্নামেন্টটি হবে অনেকটা বিসিএলের মতো। যেখানে অংশ নেবে চারটা দল। দলগুলো হলো–পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চল।

টুর্নামেন্ট হবে ডাবল লিগ পদ্ধতিতে। সেখান থেকে শীর্ষ দুই দল শিরোপার লড়াই করবে। অনূর্ধ্ব-২৩ পর্যায়ের এই টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে মোট ৩১ টি। মূলত পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি।

সংবাদমাধ্যমকে আমজাদ বলেন, ‘আমরা রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব ২৩ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। এটা বিসিএলের মতই হবে। অনূর্ধ্ব ২৩ এর পর নির্দিষ্ট কোনো টুর্নামেন্ট ছিল না। কিন্তু এবার হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ ফেব্রুয়ারিতে এই টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনা করছি আমরা।’

টুর্নামেন্টের ভেন্যু প্রসঙ্গে আমজাদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে দুটো স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচগুলো। ডাবল লিগ পদ্ধতিতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। ফাইনাল ঢাকায় হবে। এগুলো ছিল আমাদের প্রধান কিছু সিদ্ধান্ত।’

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সারা দেশে ১ বছরে ১০০ উইকেট বানাবে বিসিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৯
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

প্রায় দিনব্যাপী বোর্ড সভার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংবাদ সম্মেলন। লম্বা অপেক্ষায় থাকা সংবাদমাধ্যম কর্মীদের চমকে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানাননি সংবাদ সম্মেলনে আসা তিন পরিচালক। তবে বোর্ড মিটিংয়ে নেওয়া নতুন দুটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান।

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

সারা দেশে এক বছরে ১০০ উইকেট তৈরির পরিকল্পনা বিসিবির গ্রাউন্ডস বিভাগের প্রধান খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘১০০ উইকেটের পরিকল্পনাটা হচ্ছে মাঠের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা। মাঠ ছাড়া ক্রিকেটে এগোনো কঠিন। ফতুল্লা ইনসাইড এবং আউটার, সঙ্গে পূর্বাচলে যে মাঠটি আছে, সেগুলোর উন্নয়ন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। আমরা এই মৌসুমের মধ্যে ১০০টির বেশি উইকেট তৈরির চেষ্টা করছি। আমাদের বিভাগীয় ভেন্যু; যেমন বগুড়া, খুলনা, রাজশাহী—এগুলো ২০ বছর আগের মডেলে চলছে। সেন্টার উইকেটের পাশে আরও উইকেট বাড়িয়ে আমরা এগুলো আধুনিক করতে চাই। বরিশাল মাঠের কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি। আমরা চাই আমাদের বিভাগীয় সদর দপ্তরগুলো একেকটি ‘হাব’ হিসেবে কাজ করুক, যাতে জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটাররা ঠিকঠাক যন্ত্রপাতি এবং সুযোগ-সুবিধা পায়।’

১০০ উইকেট তৈরিতে নতুন কোনো মাঠ কেনা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পাইলট। বর্তমানে যে মাঠগুলো আছে, সেগুলোকে সচল করা এবং আধুনিক উইকেট তৈরি করাই তাঁদের লক্ষ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীর লক্ষ্য নিয়ে কী বললেন সন্দীপ লামিচানে

ক্রীড়া ডেস্ক    
অনুশীলনে বল হাতে তারকা লেগস্পিনার। ছবি: রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ফেসবুক পেজ।
অনুশীলনে বল হাতে তারকা লেগস্পিনার। ছবি: রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ফেসবুক পেজ।

নিলামের পর সন্দীপ লামিচানেকে দলে টেনেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। প্রধান কোচ হান্নান সরকারের ইচ্ছায় এই লেগস্পিনারকে নিয়েছে পদ্মাপাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অংশ নিতে গতকাল রাজশাহী শিবিরে যোগ দিয়েছেন তিনি।

আজ দলীয় অনুশীলনেও দেখা গেল লামিচানেকে। এক দিন না যেতেই গোটা দলের মধ্যমণি এই নেপালি ক্রিকেটার। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেছেন। সেখানেই জানিয়েছেন, নিজেদের স্কোয়াডের গভীরতা কাজে লাগিয়ে শিরোপা জেতার লড়াই চালিয়ে যাবে রাজশাহী।

লামিচানে বলেন, ‘আমাদের দলে যে ধরণের সম্ভাবনা রয়েছে তা অসাধারণ। বিশেষ করে যখন আপনি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেন, তখন স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে অনেক প্রতিভা আছে। আমি এদের অনেকের সাথেই আগে খেলেছি, তাই তাদের চিনি। আমরা সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের জন্য পুরো দল বেশ রোমাঞ্চিত। দলের ভেতরের পরিবেশও এখন খুব ইতিবাচক।’

নিজেদের স্কোয়াড নিয়ে সন্তুষ্ট লামিচানে। তিনি বলেন, ‘আমাদের টপ অর্ডার থেকে শুরু করে লোয়ার অর্ডার, সব জায়গাতেই ভারসাম্য আছে। স্পিনার, ফাস্ট বোলার-সব বিভাগে ভালো খেলোয়াড় আছে। শান্ত দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। দলে ভালো বিদেশি ক্রিকেটারও আছে। সব মিলিয়ে আমাদের দলটা স্বয়ংসম্পূর্ণ। সবাই শিরোপার জন্য নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত।’

দর্শকদের হতাশ করতে চান না লামিচানে, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো ম্যাচ জেতা। এটিই সবচেয়ে সহজ লক্ষ্য। সেই সাথে দর্শকদের আনন্দ দেয়া এবং দলের জন্য পয়েন্ট অর্জন করা। সবার ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞতা এবং আমরা দল হিসেবে ট্রফি জেতার চেষ্টা করব।’

কীভাবে রাজশাহীতে যোগ দিলেন সে অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে লামিচানে বলেন, ‘আমি নেপাল প্রিমিয়ার লিগের ফাইনাল দেখছিলাম। তখন আসাদের কোচ হান্নান সরকার মেসেজ করে জিজ্ঞেস করেন আমি রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে খেলতে চাই কিনা। অল্প কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমরা সবকিছু চূড়ান্ত করে ফেলি। তিনি যেভাবে পুরো বিষয়টি সহজ করেছেন, তার জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত