Ajker Patrika

শ্রীলঙ্কা ম্যাচে আম্পায়ারদের ওপর কেন খেপেছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা

ক্রীড়া ডেস্ক    
শ্রীলঙ্কাকে হেসেখেলে হারালেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। ছবি: ক্রিকইনফো
শ্রীলঙ্কাকে হেসেখেলে হারালেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। ছবি: ক্রিকইনফো

পাকিস্তান দল তখন উদযাপনে ব্যস্ত। কিন্তু শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা তখনো ঠায় দাঁড়িয়ে। কারণ, ফখর জামান সঠিকভাবে ক্যাচ ধরেছেন কি না, সেটা নিয়ে ছিল সন্দেহ। শানাকা এরপর বেঁচে গিয়েছেন। কিন্তু লঙ্কান অধিনায়ককে নট আউট দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা।

রাওয়ালপিন্ডিতে গতকাল ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া লঙ্কানদের ইনিংসের ১৯তম ওভারের খেলা চলছে। ওভারের প্রথম বলে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে লেগ সাইডে ঘোরাতে যান শানাকা। এজ হওয়া বল উল্টো দিকে দৌড়ে শর্ট থার্ড ম্যান এলাকায় লুফে নেন ফখর জামান। ফখর উল্লাস প্রকাশ করলেও ঘটনা সেখানে শেষ হয়নি। দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকা মাঠের দুই আম্পায়ার আহসান রাজা ও আসিফ ইয়াকুব তৃতীয় আম্পায়ারের শরণ নিয়েছেন। রিপ্লেতে বারবার যাচাই করে দেখা যায়, ফখর ক্যাচ ধরতে গিয়ে যখন স্লিপ কেটেছেন, সেই মুহূর্তে বল তাঁর হাত থেকে ফস্কে গেছে।

শানাকার এই বেঁচে যাওয়া যেন মানতেই পারেননি শাহিন ও ফখর। বিশেষ করে ফখর বেশ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। পাকিস্তানি এই ক্রিকেটার তেড়ে গেছেন মাঠের দুই আম্পায়ার আহসান রাজা ও আসিফ ইয়াকুবের দিকে। দুর্দান্ত ক্যাচ ধরার পরও কেন আউট দেওয়া হলো না, ফখর হয়তো সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন। বিতর্কিত ঘটনার ঠিক পরের বলেই আউট হয়েছেন শানাকা। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শানাকে বোল্ড করেছেন শাহিন। বোল্ড আউটের পরও শাহিন ও ফখর আবেদন করেছেন। ক্যাচ ইস্যুতেই যে আম্পায়ারকে নিয়ে রসিকতা করেছেন তাঁরা (শাহিন-ফখর), সেটা বোঝাই যাচ্ছে।

টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া শ্রীলঙ্কা প্রথম পাওয়ারপ্লে (৬ ওভার) শেষে ১ উইকেটে ৫৬ রান করেছিল। কিন্তু দারুণ এই শুরুটা ধরে রাখতে পারেনি তারা। ৩০ রানে শেষ ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯.১ ওভারে ১১৪ রানে গুটিয়ে গেছে লঙ্কানরা। জবাবে পাকিস্তান ১৮.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১১৮ রান করেছে। ম্যান অব দ্য ফাইনাল, টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়—দুটি পুরস্কারই পেয়েছেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। ফাইনালে ৪ ওভারে ১৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। সিরিজে সর্বোচ্চ ১০ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে করেছেন ৫২ রান। ত্রিদেশীয় সিরিজের অপর দল জিম্বাবুয়ে লিগ পর্বেই ছিটকে গেছে। জিম্বাবুয়ের একমাত্র জয় এসেছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ