Ajker Patrika

ভারতকে হারাতে অলৌকিক কিছুই করতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে

ক্রীড়া ডেস্ক    
পার্থ টেস্টে এটাই যেন অস্ট্রেলিয়ার প্রতীকী ছবি। ব্যাটিং, বোলিং কোথাও এখন ভারতের সঙ্গে পেরে উঠছে না অজিরা। ছবি: ক্রিকইনফো
পার্থ টেস্টে এটাই যেন অস্ট্রেলিয়ার প্রতীকী ছবি। ব্যাটিং, বোলিং কোথাও এখন ভারতের সঙ্গে পেরে উঠছে না অজিরা। ছবি: ক্রিকইনফো

এভাবেও ফিরে আসা যায়—পার্থে ভারতের ঘুরে দাঁড়ানো দেখে যেকোনো ক্রিকেটপ্রেমীরই এই গান মনে পড়বে। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়া ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে রানের পাহাড়। যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি করেছেন সেঞ্চুরি। পার্থ টেস্ট জিততে অস্ট্রেলিয়ার এখন করতে হবে অলৌকিক কিছুই।

১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়া ভারত প্রথমে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বোলিং দিয়ে। সফরকারীদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ১০৪ রানে। এরপর ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং দেখে চোখ ছানাবড়া হওয়ার মতো অবস্থা। কারণ, ম্যাচে প্রথম ২০ উইকেট পড়েছে ১০১ ওভারে। সেই পিচে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে। ৫৩৪ রানের লক্ষ্যে নেমে ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া।

দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ১৭২ রানে আজ তৃতীয় দিনে খেলতে নামে ভারত। দুই ওপেনার জয়সওয়াল ও লোকেশ রাহুল সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন। তবে রাহুল সেঞ্চুরি না পেলেও ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন জয়সওয়াল। ২০৫ বলে জয়সওয়াল টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ৬১তম ওভারের পঞ্চম বলে জশ হ্যাজলউডকে ছক্কা মেরে রেকর্ড বই তছনছ করা সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন জয়সওয়াল। সেঞ্চুরির পর হেলমেট আর ব্যাট আকাশের দিকে উঁচিয়ে উদযাপন করেছেন ভারতীয় এই বাঁহাতি ব্যাটার।

৬৩তম ওভারের শেষ বলে রাহুলকে ফিরিয়ে ভারতের ২০১ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মিচেল স্টার্ক। রাহুল-জয়সওয়ালের জুটি টিকেছে ৩৮৩ বল। ১৭৬ বলে ৫ চারে ৭৭ রান করেন রাহুল। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পরও দমে যাননি জয়সওয়াল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেটে দেবদূত পাডিক্কাল ও কোহলির সঙ্গে ৭৪ ও ৩৮ রানের জুটি দুটি গড়তে অবদান রাখেন জয়সওয়াল। ২৯৭ বলে ১৫ চার ও ৩ ছক্কায় ১৬১ রান করার পর জয়সওয়াল আউট হয়েছেন মিচেল মার্শের বলে।

সেঞ্চুরিয়ান জয়সওয়াল ফেরার পর ছোটখাটো ধস নামে ভারতের ইনিংসে। ৮ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে ৫ উইকেটে ৩২১ রানে পরিণত হয় সফরকারীরা। এমন পরিস্থিতিতে ষষ্ঠ উইকেটে ওয়াশিংটন সুন্দরের সঙ্গে ১৭৬ বলে ৮৯ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন কোহলি। ১২৬তম ওভারের পঞ্চম বলে নাথান লায়নকে স্লগ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান ২৯ রান করা ওয়াশিংটন। ৯৪ বলের ইনিংসে ওয়াশিংটন কেবল ১ ছক্কা মেরেছেন।

ওয়াশিংটন ফিরলে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ১২৫.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৪১০ রান। তখন আট নম্বরে নামা নীতিশ কুমার রেড্ডি খেলেছেন টি-টোয়েন্টি মেজাজে। ২৭ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। মনেই হয়নি যে এই ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে অভিষেক হয়েছে রেড্ডির।

রেড্ডিকে দেখাদেখি গিয়ার বদলে খেলেছেন কোহলি। ৯৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করা কোহলি সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ১৪৩ বলে। ১৩৫তম ওভারের তৃতীয় বলে মারনাস লাবুশেনকে স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মেরে ৩০তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন কোহলি। ভারতীয় ব্যাটারের সেঞ্চুরির পরপরই ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা।

৫৩৪ রানের লক্ষ্যে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের চতুর্থ বলে নাথান ম্যাকসুইনিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন জসপ্রীত বুমরা। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি টেস্টে অভিষিক্ত ব্যাটার ম্যাকসুইনি। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টে সর্বসাকল্যে ম্যাকসুইনি করেছেন ১০ রান (১০ ও ০)।

অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স তিন নম্বরে উঠে এলেও কোনো লাভ হয়নি। ৮ বলে ২ রান করে কামিন্স ফিরেছেন মোহাম্মদ সিরাজের বলে। এরপর পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে লাবুশেনেকে এলবিডব্লিউর শিকার হয়েছেন বুমরার ইনসুইঙ্গার বল ছাড়তে গিয়ে। ৫ বলে ৩ রান করা লাবুশেনে নষ্ট করেছেন অস্ট্রেলিয়ার একটি রিভিউও। ৪.২ ওভারে ৩ উইকেটে ১২ রানে পরিণত হওয়ার পরই তৃতীয় দিনের খেলা ঘোষণা করা হয়। উসমান খাজা ব্যাটিং করছেন ৩ রানে।

টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি ওয়েস্ট ইন্ডিজ করেছে ২০০৩ সালে। অ্যান্টিগার সেন্ট জোনসে সেবার উইন্ডিজের প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। ক্যারিবীয়রা সেবার ৪১৮ রান তুলতে হারিয়েছিল ৭ উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১৫ উইকেট নিয়ে থামলেন মোস্তাফিজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলে কেন কলকাতা নাইট রাইডার্স এবার তাঁকে ১২ কোটি টাকায় নিয়েছে, সেটি খুব ভালোভাবেই আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। আজ একটা পর্যায়ে মোস্তাফিজের নামটা উইকেটশিকারির তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে ছিল।

শারজা ওয়ারিয়র্জের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলে কাল দুপুরে ঢাকায় ফিরে আসার কথা মোস্তাফিজের। এসেই নেমে পড়তে হবে বিপিএল খেলতে। সিলেটে তাঁর দল রংপুর রাইডার্সের প্রথম ম্যাচ আগামী সোমবারে। ঢাকায় ফিরে দুদিনের সংক্ষিপ্ত বিরতিতে তিনি চলে যাবেন সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে। সেখান থেকে ফিরে দলে যোগ দেবেন রোববার।

বিপিএলে যোগ দেওয়ার আগে একাধিক সুখবর পেলেন মোস্তাফিজ। আইপিএল নিলামে তিনি বিক্রি হয়েছেন রেকর্ড দামে। আরব আমিরাতে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে আইএল টি-টোয়েন্টিতেও ধারাবাহিক ভালো খেলেছেন। ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। আজ শারজার বিপক্ষে শীর্ষ উইকেটশিকারি হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন সতীর্থ ওয়াকার সালামখেইলের সঙ্গে। ওয়াকার ২ উইকেট নিয়ে টপকে যান মোস্তাফিজকে। তবু টুর্নামেন্টজুড়ে যে বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ, আজ দেশে ফেরায় তাঁকে নিশ্চিতভাবেই মিস করবে দুবাই ক্যাপিটালস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আসছে বিসিবির নতুন টুর্নামেন্ট

ক্রীড়া ডেস্ক    
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নতুন একটি টুর্নামেন্ট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেটির নাম ‘রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব-২৩ ’। সংস্থাটির মিডিয়া কমিটির প্রধান আমজাদ হোসেন জানালেন, টুর্নামেন্টটি হবে অনেকটা বিসিএলের মতো। যেখানে অংশ নেবে চারটা দল। দলগুলো হলো–পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চল।

টুর্নামেন্ট হবে ডাবল লিগ পদ্ধতিতে। সেখান থেকে শীর্ষ দুই দল শিরোপার লড়াই করবে। অনূর্ধ্ব-২৩ পর্যায়ের এই টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে মোট ৩১ টি। মূলত পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি।

সংবাদমাধ্যমকে আমজাদ বলেন, ‘আমরা রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব ২৩ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। এটা বিসিএলের মতই হবে। অনূর্ধ্ব ২৩ এর পর নির্দিষ্ট কোনো টুর্নামেন্ট ছিল না। কিন্তু এবার হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ ফেব্রুয়ারিতে এই টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনা করছি আমরা।’

টুর্নামেন্টের ভেন্যু প্রসঙ্গে আমজাদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে দুটো স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচগুলো। ডাবল লিগ পদ্ধতিতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। ফাইনাল ঢাকায় হবে। এগুলো ছিল আমাদের প্রধান কিছু সিদ্ধান্ত।’

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সারা দেশে ১ বছরে ১০০ উইকেট বানাবে বিসিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৯
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

প্রায় দিনব্যাপী বোর্ড সভার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংবাদ সম্মেলন। লম্বা অপেক্ষায় থাকা সংবাদমাধ্যম কর্মীদের চমকে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানাননি সংবাদ সম্মেলনে আসা তিন পরিচালক। তবে বোর্ড মিটিংয়ে নেওয়া নতুন দুটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান।

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

সারা দেশে এক বছরে ১০০ উইকেট তৈরির পরিকল্পনা বিসিবির গ্রাউন্ডস বিভাগের প্রধান খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘১০০ উইকেটের পরিকল্পনাটা হচ্ছে মাঠের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা। মাঠ ছাড়া ক্রিকেটে এগোনো কঠিন। ফতুল্লা ইনসাইড এবং আউটার, সঙ্গে পূর্বাচলে যে মাঠটি আছে, সেগুলোর উন্নয়ন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। আমরা এই মৌসুমের মধ্যে ১০০টির বেশি উইকেট তৈরির চেষ্টা করছি। আমাদের বিভাগীয় ভেন্যু; যেমন বগুড়া, খুলনা, রাজশাহী—এগুলো ২০ বছর আগের মডেলে চলছে। সেন্টার উইকেটের পাশে আরও উইকেট বাড়িয়ে আমরা এগুলো আধুনিক করতে চাই। বরিশাল মাঠের কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি। আমরা চাই আমাদের বিভাগীয় সদর দপ্তরগুলো একেকটি ‘হাব’ হিসেবে কাজ করুক, যাতে জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটাররা ঠিকঠাক যন্ত্রপাতি এবং সুযোগ-সুবিধা পায়।’

১০০ উইকেট তৈরিতে নতুন কোনো মাঠ কেনা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পাইলট। বর্তমানে যে মাঠগুলো আছে, সেগুলোকে সচল করা এবং আধুনিক উইকেট তৈরি করাই তাঁদের লক্ষ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীর লক্ষ্য নিয়ে কী বললেন সন্দীপ লামিচানে

ক্রীড়া ডেস্ক    
অনুশীলনে বল হাতে তারকা লেগস্পিনার। ছবি: রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ফেসবুক পেজ।
অনুশীলনে বল হাতে তারকা লেগস্পিনার। ছবি: রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ফেসবুক পেজ।

নিলামের পর সন্দীপ লামিচানেকে দলে টেনেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। প্রধান কোচ হান্নান সরকারের ইচ্ছায় এই লেগস্পিনারকে নিয়েছে পদ্মাপাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অংশ নিতে গতকাল রাজশাহী শিবিরে যোগ দিয়েছেন তিনি।

আজ দলীয় অনুশীলনেও দেখা গেল লামিচানেকে। এক দিন না যেতেই গোটা দলের মধ্যমণি এই নেপালি ক্রিকেটার। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেছেন। সেখানেই জানিয়েছেন, নিজেদের স্কোয়াডের গভীরতা কাজে লাগিয়ে শিরোপা জেতার লড়াই চালিয়ে যাবে রাজশাহী।

লামিচানে বলেন, ‘আমাদের দলে যে ধরণের সম্ভাবনা রয়েছে তা অসাধারণ। বিশেষ করে যখন আপনি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেন, তখন স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে অনেক প্রতিভা আছে। আমি এদের অনেকের সাথেই আগে খেলেছি, তাই তাদের চিনি। আমরা সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের জন্য পুরো দল বেশ রোমাঞ্চিত। দলের ভেতরের পরিবেশও এখন খুব ইতিবাচক।’

নিজেদের স্কোয়াড নিয়ে সন্তুষ্ট লামিচানে। তিনি বলেন, ‘আমাদের টপ অর্ডার থেকে শুরু করে লোয়ার অর্ডার, সব জায়গাতেই ভারসাম্য আছে। স্পিনার, ফাস্ট বোলার-সব বিভাগে ভালো খেলোয়াড় আছে। শান্ত দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। দলে ভালো বিদেশি ক্রিকেটারও আছে। সব মিলিয়ে আমাদের দলটা স্বয়ংসম্পূর্ণ। সবাই শিরোপার জন্য নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত।’

দর্শকদের হতাশ করতে চান না লামিচানে, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো ম্যাচ জেতা। এটিই সবচেয়ে সহজ লক্ষ্য। সেই সাথে দর্শকদের আনন্দ দেয়া এবং দলের জন্য পয়েন্ট অর্জন করা। সবার ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞতা এবং আমরা দল হিসেবে ট্রফি জেতার চেষ্টা করব।’

কীভাবে রাজশাহীতে যোগ দিলেন সে অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে লামিচানে বলেন, ‘আমি নেপাল প্রিমিয়ার লিগের ফাইনাল দেখছিলাম। তখন আসাদের কোচ হান্নান সরকার মেসেজ করে জিজ্ঞেস করেন আমি রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে খেলতে চাই কিনা। অল্প কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমরা সবকিছু চূড়ান্ত করে ফেলি। তিনি যেভাবে পুরো বিষয়টি সহজ করেছেন, তার জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত