Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

আফগানিস্তান সিরিজ বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে

সংযুক্ত আরব আমিরাত যুব দলের প্রধান কোচ মুদাসসর নজর। ছবি: সংগৃহীত

মুদাসসর নজরকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। গুণী এই কোচ বাংলাদেশে এসেছিলেন আরব আমিরাত যুব দলের প্রধান কোচ হিসেবে। ৭৬ টেস্ট খেলা পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম হাই প্রোফাইল কোচ, যিনি খুব অল্প সময়ের জন্য কাজ করেছিলেন ১৯৯০ অস্ট্রেলেশিয়া কাপের আগে। দুদিন আগে মুদাসসরের সঙ্গে আলাপ হলো আজকের পত্রিকার। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ

আহমেদ রিয়াদ, ঢাকা

প্রশ্ন: নব্বই দশকের একেবারে শুরুর দিকে বাংলাদেশে আপনার কোচিং অভিজ্ঞতা শুনতে চাই।

মুদাসসর নজর: ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া আমার জন্য ছিল এক অনন্য অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশ তখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের জায়গা করে নিতে লড়াই করছিল। তরুণ এই দলকে এগিয়ে নিতে এবং আন্তর্জাতিক মানের জন্য প্রস্তুত করতে কাজ শুরু করেছিলাম। সেই সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল খেলোয়াড়দের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা। আন্তর্জাতিক মানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ক্রিকেটারদের ফিটনেস বাড়ানো এবং তাদের মানসিকভাবে দৃঢ় করা জরুরি ছিল। খেলোয়াড়দের মানসিক দৃঢ়তা, বড় ম্যাচে চাপ সামলে আত্মবিশ্বাসী থাকা এবং ম্যাচে ধারাবাহিক ভালো করার সক্ষমতার দিকে কাজ করেছিলাম। আমার কোচিংয়ের সময়ে মূল লক্ষ্য ছিল দলের মধ্যে ইতিবাচক মানসিকতা ও পেশাদারি ধারা তৈরি করা।

প্রশ্ন: সেই সময়ের কোন স্মৃতি আপনার বেশি মনে পড়ে?

মুদাসসর: সেই সময়ে বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান খেলোয়াড় ছিল বাংলাদেশে। এখন সবার নাম মনে নেই। আজহার হোসেন, লিপু (গাজী আশরাফ হোসেন), নান্নু (মিনহাজুল আবেদীন), এখনকার বোর্ড সভাপতি ফারুকও (আহমেদ) ছিল। অল্প সময় কাজ করেছি, দারুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা ছিল। ওদের সঙ্গে কাজ করে সে সময় দারুণ লেগেছিল। ধারাবাহিক ভালো করতে উৎসাহিত করতাম ওদের।

প্রশ্ন: বর্তমান বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

মুদাসসর: বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক তো বটেই; সম্প্রতি পাকিস্তানের বিপক্ষে তারা যে দুর্দান্ত খেলেছে, সেটি সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে। তবে এখনো ধারাবাহিকতার অভাব একটি বড় চ্যালেঞ্জ। যদি তারা ধারাবাহিক হতে পারে এবং নিজেদের খেলার মান উন্নত করতে থাকে, তাহলে বাংলাদেশ সত্যিই একটি শক্তিশালী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। তাদের তরুণ প্রতিভা এবং নতুন পরিকল্পনা যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বেশ সফল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

প্রশ্ন: প্রতিপক্ষের কোচ হিসেবে বাংলাদেশ যুব দলকে কেমন দেখলেন?

মুদাসসর: বাংলাদেশ যুব দলের ক্রিকেটারদের প্রতিভা আর উদ্যম আমাকে মুগ্ধ করেছে। তরুণদের মধ্যে আগ্রহ এবং শেখার মানসিকতা খুবই ভালো। তাদের শারীরিক ফিটনেস এবং খেলার কৌশল নিয়ে কাজ করতে পারলে আগামী দিনে তারা আরও উন্নতি করতে পারবে। তাদের মধ্যে বেশ কিছু প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে, যাদের সঠিক প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত করতে পারলে তারা দীর্ঘদিন বাংলাদেশকে ভালো সার্ভিস দিতে পারবে।

প্রশ্ন: আপনি আমিরাতে কাজ করেন, সেখানকার উইকেট-কন্ডিশন সম্পর্কে আপনার খুব ভালো জানা। কদিন পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজ। এই সিরিজে বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ কী?

মুদাসসর: আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজটি বাংলাদেশ দলের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করি। আফগানিস্তান দল সাম্প্রতিক সময়ে সাদা বলে অনেক উন্নতি করেছে, বিশেষ করে তাদের স্পিন আক্রমণ নিয়ে কথা বলতেই হয়। রহস্য স্পিনার রশিদ খান ও মুজিব উর রহমানের মতো বোলিং যেকোনো ব্যাটিং লাইনআপের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। বাংলাদেশ দলকে তাদের দক্ষতার বিপরীতে কৌশলগত প্রস্তুতিও নিতে হবে। আফগানিস্তান এখন বেশ শক্তিশালী দল হয়ে উঠেছে, বিশেষত সীমিত ওভারের ক্রিকেটে। তবে বাংলাদেশ যদি নিজের শক্তিমত্তার ওপর আস্থা রাখে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলে, তাহলে ভালো ফল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। ছবি: সংগৃহীত
গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। ছবি: সংগৃহীত

‘তাঁর ভয়ে উড়িয়ে মারার শট খেলতাম না’
নব্বই দশকের শুরুতে বাংলাদেশে যখন পাকিস্তানি কোচ মুদাসসর নজর আসেন, তখন জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। মুদাসসরের সঙ্গে এবার দেখা না হলেও লিপুর কাছে তাঁর সাবেক কোচ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি যেন ফিরে গেলেন ৩৪ বছর আগে—

মুদাসসর নজর যখন কাউকে নেটে পাঠাতেন, তখন ওপরের (লফটেড) শট না খেলার নির্দেশ দিতেন। ওপরের শট খেললেই ব্যাটিং শেষ! কোচের নির্দেশ মানলে দীর্ঘ সময় ব্যাটিং চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। সেই ভয়ে তখন বুলবুল, আজহার হাসান, ফারুক—কেউই লফটেড (উড়িয়ে মারার) শট খেলত না তাঁর ভয়ে। আমরা তেমন স্কোরিং শট খেলতে পারতাম না এবং ছক্কা মারার শক্তিও অনেকের মধ্যে সেভাবে ছিল না।

মুদাসসর নজর কোচ হিসেবে যদি আরও বেশি সময় পেতেন, আমাদের দল আরও ভালো করতে পারত। তার বিদায়ের পর দীর্ঘদিন বাংলাদেশে এমন বড় মাপের কোচ আর আসেননি। তিনি মূলত আমাদের ফিটনেসের ওপর বেশি কাজ করেছিলেন তখন। মুদাসসর নজর দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশে এসেছেন। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

ক্রীড়া ডেস্ক    
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।

সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হেডের সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক    
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।

শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।

অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লুসাইলে ফিরল আর্জেন্টিনার স্মৃতি, মরক্কোকে রাষ্ট্র প্রধানের অভিনন্দন

ক্রীড়া ডেস্ক    
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।

সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।

লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।

২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।

মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কনওয়ের ডাবল সেঞ্চুরি, মাউন্ট মঙ্গানুইতে ব্যাটারদের দাপট

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৪
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।

৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।

১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।

রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত