Ajker Patrika

পাকিস্তানকে হারাতে ঘাম ছুটে গেছে অস্ট্রেলিয়ার

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৭: ৫১
২ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ৩১ বলে ৩২ রানের ইনিংসের পর অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের উদযাপনটা ছিল এমনই।ছবি:  এএফপি
২ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ৩১ বলে ৩২ রানের ইনিংসের পর অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের উদযাপনটা ছিল এমনই।ছবি: এএফপি

‘আনপ্রেডিক্টবল’ উপাধি পাকিস্তান তো এমনি এমনি পায়নি। সহজ ম্যাচ কঠিন করে দেওয়া। অথবা প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ম্যাচ কেড়ে নেওয়া-এসব কাজ পাকিস্তানের চেয়ে ভালো আর কারা করতে পারে? মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) আজ প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততে রীতিমতো ঘাম ছুটে গেছে অস্ট্রেলিয়ার।

মোহাম্মদ রিজওয়ানের নেতৃত্বে আজ সাদা বলের ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা করেছে পাকিস্তান। ২০৪ রানের লক্ষ্য হলেও রিজওয়ানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান বেশ চাপে রাখে অস্ট্রেলিয়াকে। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের ৩১ বলে ৩২ রানের কার্যকরী ইনিংসেই অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছে। স্বাগতিকেরা জিতেছে ৯৯ বল হাতে রেখে। তাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭ বছর পর জয়ের কাছাকাছি গিয়েও জিততে পারল না পাকিস্তান। ২০১৭ সালে মেলবোর্নেই ওয়ানডেতে পাকিস্তান ৬ উইকেটে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে।

রান তাড়া করতে নেমে প্রথাগত ওয়ানডে মেজাজেই খেলতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। তাতেই শুরুতে বেকায়দায় পড়ে স্বাগতিকেরা। ৪ ওভারে ২ উইকেটে ২৮ রানে পরিণত হয় অস্ট্রেলিয়া। ওপেনার ম্যাথু শর্ট আউট হয়েছেন ১ রানে। জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়েই উইকেটটা খুইয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার এই তরুণ ওপেনার ১৪ বলে ১ চারে করেন ১৬ রান।

অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় উইকেট হারাতে পারত ৫৪ রানেই। নবম ওভারের তৃতীয় বলে নাসিম শাহকে কাট করতে যান জশ ইংলিস। গালি এলাকায় দ্রুত গতিতে আসা বল হাত ফসকে বেরিয়ে যায় ওয়ানডেতে অভিষিক্ত ইরফান খান। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে অস্ট্রেলিয়া করেছে ২ উইকেটে ৬১ রান।

তৃতীয় উইকেটে স্টিভ স্মিথের সঙ্গে ৭৫ বলে ৮৫ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন ইংলিশ। এই জুটি ভেঙেছেন হারিস রউফ। ১৭তম ওভারের তৃতীয় বলে হারিসকে আপার কাট করতে যান স্মিথ। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে লাফ দিয়ে দারুণ ক্যাচ ধরেন ওয়ানডেতে আরেক অভিষিক্ত পাকিস্তানি ক্রিকেটার সাইম আইয়ুব। ৪৬ বলে ৬ চারে ৪৪ রান করেন স্মিথ।

তৃতীয় উইকেটের জুটি ভাঙার পর আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠে অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ উইকেটে ১৯ বলে ২৬ রানের জুটি গড়েন ইংলিস ও মারনাস লাবুশানে। এই জুটি ভাঙতে যতটা না কৃতিত্ব শাহিন শাহ আফ্রিদির, তাঁর চেয়ে বেশি ইরফানের। ইংলিসের পুল করা বল অনেকটা দৌড়ে এসে ডিপ মিড উইকেটে তালুবন্দী করেন ইরফান। ৪২ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৯ রান করেন ইংলিস। এখান থেকেই অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ভাঙন ধরা শুরু। ৪ উইকেটে ১৩৯ রান থেকে মুহূর্তেই ৬ উইকেটে ১৩৯ রানে পরিণত হয় অজিরা। যেখানে ২১তম ওভারের প্রথম দুই বলে লাবুশানে ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ফেরান রউফ।

হাতে প্রয়োজনীয় ওভার থাকলেও পাকিস্তানের আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ২৬তম ওভারের প্রথম বলে অ্যারন হার্ডিকে দুর্দান্তভাবে বোল্ড করেন মোহাম্মদ হাসনাইন। ১৯ বলে ১০ রান করে হার্ডি আউট হলে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর হয়ে যায় ২৫.১ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৫ রান। ৯ নম্বরে নেমে কামিন্স নিজের প্রথম বলেই চার মারেন। অষ্টম উইকেটে শন অ্যাবটের সঙ্গে ২৭ বলে জুটি গড়তে অবদান রাখেন কামিন্স। অ্যাবট (১৩) রানআউটের ফাঁদে কাঁটা পড়লে অস্ট্রেলিয়া পরিণত হয় ২৯.৪ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৫ রান। হাতে ১২২ বল থাকলেও ১৯ রান তখন অনেক কঠিন মনে হচ্ছিল। সেখান থেকে ঠাণ্ডা মাথায় ১৯ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন কামিন্স ও স্টার্ক। যেখানে ১০ নম্বরে নেমে ১২ বলে ২ রান করে স্টার্ক যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন কামিন্স। ৩৪তম ওভারের প্রথম বলে হাসনাইনকে স্ট্রেইট ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে চার মেরে স্কোর লেভেল করেন কামিন্স। এই ওভারের তৃতীয় বলেই কামিন্স জয়সূচক রান পয়েন্টে ঠেলে নিয়েছেন।

ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার মিচেল স্টার্কই হয়েছেন ম্যাচসেরা। ১০ ওভার বোলিং করে ৩৩ রান খরচ করে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৩ ওভার মেডেনও দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি পেসার।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কামিন্স। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে ৪৬.৩ ওভারে ২০৩ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন রিজওয়ান। তিনি একই সঙ্গে দলটির উইকেটরক্ষকের দায়িত্বও পালন করছেন। ৭১ বলের ইনিংসে মেরেছেন ২ চার ও ১ ছক্কা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন নাসিম। ৩৯ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৪ ছক্কা ও ১ চার। মূলত শেষের দিকে নেমে তাঁর এই ইনিংসের কারণেই পাকিস্তান ২০০ পেরোতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১৫ উইকেট নিয়ে থামলেন মোস্তাফিজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলে কেন কলকাতা নাইট রাইডার্স এবার তাঁকে ১২ কোটি টাকায় নিয়েছে, সেটি খুব ভালোভাবেই আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। আজ একটা পর্যায়ে মোস্তাফিজের নামটা উইকেটশিকারির তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে ছিল।

শারজা ওয়ারিয়র্জের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলে কাল দুপুরে ঢাকায় ফিরে আসার কথা মোস্তাফিজের। এসেই নেমে পড়তে হবে বিপিএল খেলতে। সিলেটে তাঁর দল রংপুর রাইডার্সের প্রথম ম্যাচ আগামী সোমবারে। ঢাকায় ফিরে দুদিনের সংক্ষিপ্ত বিরতিতে তিনি চলে যাবেন সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে। সেখান থেকে ফিরে দলে যোগ দেবেন রোববার।

বিপিএলে যোগ দেওয়ার আগে একাধিক সুখবর পেলেন মোস্তাফিজ। আইপিএল নিলামে তিনি বিক্রি হয়েছেন রেকর্ড দামে। আরব আমিরাতে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে আইএল টি-টোয়েন্টিতেও ধারাবাহিক ভালো খেলেছেন। ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। আজ শারজার বিপক্ষে শীর্ষ উইকেটশিকারি হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন সতীর্থ ওয়াকার সালামখেইলের সঙ্গে। ওয়াকার ২ উইকেট নিয়ে টপকে যান মোস্তাফিজকে। তবু টুর্নামেন্টজুড়ে যে বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ, আজ দেশে ফেরায় তাঁকে নিশ্চিতভাবেই মিস করবে দুবাই ক্যাপিটালস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আসছে বিসিবির নতুন টুর্নামেন্ট

ক্রীড়া ডেস্ক    
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নতুন একটি টুর্নামেন্ট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেটির নাম ‘রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব-২৩ ’। সংস্থাটির মিডিয়া কমিটির প্রধান আমজাদ হোসেন জানালেন, টুর্নামেন্টটি হবে অনেকটা বিসিএলের মতো। যেখানে অংশ নেবে চারটা দল। দলগুলো হলো–পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চল।

টুর্নামেন্ট হবে ডাবল লিগ পদ্ধতিতে। সেখান থেকে শীর্ষ দুই দল শিরোপার লড়াই করবে। অনূর্ধ্ব-২৩ পর্যায়ের এই টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে মোট ৩১ টি। মূলত পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি।

সংবাদমাধ্যমকে আমজাদ বলেন, ‘আমরা রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব ২৩ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। এটা বিসিএলের মতই হবে। অনূর্ধ্ব ২৩ এর পর নির্দিষ্ট কোনো টুর্নামেন্ট ছিল না। কিন্তু এবার হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ ফেব্রুয়ারিতে এই টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনা করছি আমরা।’

টুর্নামেন্টের ভেন্যু প্রসঙ্গে আমজাদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে দুটো স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচগুলো। ডাবল লিগ পদ্ধতিতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। ফাইনাল ঢাকায় হবে। এগুলো ছিল আমাদের প্রধান কিছু সিদ্ধান্ত।’

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সারা দেশে ১ বছরে ১০০ উইকেট বানাবে বিসিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৯
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

প্রায় দিনব্যাপী বোর্ড সভার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংবাদ সম্মেলন। লম্বা অপেক্ষায় থাকা সংবাদমাধ্যম কর্মীদের চমকে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানাননি সংবাদ সম্মেলনে আসা তিন পরিচালক। তবে বোর্ড মিটিংয়ে নেওয়া নতুন দুটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান।

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

সারা দেশে এক বছরে ১০০ উইকেট তৈরির পরিকল্পনা বিসিবির গ্রাউন্ডস বিভাগের প্রধান খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘১০০ উইকেটের পরিকল্পনাটা হচ্ছে মাঠের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা। মাঠ ছাড়া ক্রিকেটে এগোনো কঠিন। ফতুল্লা ইনসাইড এবং আউটার, সঙ্গে পূর্বাচলে যে মাঠটি আছে, সেগুলোর উন্নয়ন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। আমরা এই মৌসুমের মধ্যে ১০০টির বেশি উইকেট তৈরির চেষ্টা করছি। আমাদের বিভাগীয় ভেন্যু; যেমন বগুড়া, খুলনা, রাজশাহী—এগুলো ২০ বছর আগের মডেলে চলছে। সেন্টার উইকেটের পাশে আরও উইকেট বাড়িয়ে আমরা এগুলো আধুনিক করতে চাই। বরিশাল মাঠের কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি। আমরা চাই আমাদের বিভাগীয় সদর দপ্তরগুলো একেকটি ‘হাব’ হিসেবে কাজ করুক, যাতে জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটাররা ঠিকঠাক যন্ত্রপাতি এবং সুযোগ-সুবিধা পায়।’

১০০ উইকেট তৈরিতে নতুন কোনো মাঠ কেনা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পাইলট। বর্তমানে যে মাঠগুলো আছে, সেগুলোকে সচল করা এবং আধুনিক উইকেট তৈরি করাই তাঁদের লক্ষ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীর লক্ষ্য নিয়ে কী বললেন সন্দীপ লামিচানে

ক্রীড়া ডেস্ক    
অনুশীলনে বল হাতে তারকা লেগস্পিনার। ছবি: রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ফেসবুক পেজ।
অনুশীলনে বল হাতে তারকা লেগস্পিনার। ছবি: রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ফেসবুক পেজ।

নিলামের পর সন্দীপ লামিচানেকে দলে টেনেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। প্রধান কোচ হান্নান সরকারের ইচ্ছায় এই লেগস্পিনারকে নিয়েছে পদ্মাপাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অংশ নিতে গতকাল রাজশাহী শিবিরে যোগ দিয়েছেন তিনি।

আজ দলীয় অনুশীলনেও দেখা গেল লামিচানেকে। এক দিন না যেতেই গোটা দলের মধ্যমণি এই নেপালি ক্রিকেটার। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেছেন। সেখানেই জানিয়েছেন, নিজেদের স্কোয়াডের গভীরতা কাজে লাগিয়ে শিরোপা জেতার লড়াই চালিয়ে যাবে রাজশাহী।

লামিচানে বলেন, ‘আমাদের দলে যে ধরণের সম্ভাবনা রয়েছে তা অসাধারণ। বিশেষ করে যখন আপনি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেন, তখন স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে অনেক প্রতিভা আছে। আমি এদের অনেকের সাথেই আগে খেলেছি, তাই তাদের চিনি। আমরা সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের জন্য পুরো দল বেশ রোমাঞ্চিত। দলের ভেতরের পরিবেশও এখন খুব ইতিবাচক।’

নিজেদের স্কোয়াড নিয়ে সন্তুষ্ট লামিচানে। তিনি বলেন, ‘আমাদের টপ অর্ডার থেকে শুরু করে লোয়ার অর্ডার, সব জায়গাতেই ভারসাম্য আছে। স্পিনার, ফাস্ট বোলার-সব বিভাগে ভালো খেলোয়াড় আছে। শান্ত দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। দলে ভালো বিদেশি ক্রিকেটারও আছে। সব মিলিয়ে আমাদের দলটা স্বয়ংসম্পূর্ণ। সবাই শিরোপার জন্য নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত।’

দর্শকদের হতাশ করতে চান না লামিচানে, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো ম্যাচ জেতা। এটিই সবচেয়ে সহজ লক্ষ্য। সেই সাথে দর্শকদের আনন্দ দেয়া এবং দলের জন্য পয়েন্ট অর্জন করা। সবার ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞতা এবং আমরা দল হিসেবে ট্রফি জেতার চেষ্টা করব।’

কীভাবে রাজশাহীতে যোগ দিলেন সে অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে লামিচানে বলেন, ‘আমি নেপাল প্রিমিয়ার লিগের ফাইনাল দেখছিলাম। তখন আসাদের কোচ হান্নান সরকার মেসেজ করে জিজ্ঞেস করেন আমি রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে খেলতে চাই কিনা। অল্প কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমরা সবকিছু চূড়ান্ত করে ফেলি। তিনি যেভাবে পুরো বিষয়টি সহজ করেছেন, তার জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত