Ajker Patrika

বাংলাদেশের রিসোর্স কম, খারাপ খেলার ব্যাখ্যায় কোচ সালাহ উদ্দীন

রানা আব্বাস, সিলেট থেকে
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ২১: ৪১
আউটের পর মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়ছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ছবি: এএফপি
আউটের পর মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়ছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ছবি: এএফপি

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল কোচ সালাহ উদ্দীনকে এখন কথা বলতে হচ্ছে যথেষ্ট রক্ষণাত্মক সুরে। আজ রোববার দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা দলের সিনিয়র সহকারী কোচকে ঘুরেফিরে কথা বলতে হলো ব্যাটিং-ব্যর্থতা নিয়ে। একটা দল টেস্টে গত এক বছরে ১৮ ইনিংসের মধ্যে ৯ বারই ২০০ রানের নিচে অলআউট হয়েছে। ৫০ শতাংশ ইনিংসে যে দল ২০০ রানও করতে পারেনি, কোচকে প্রশ্নে জর্জরিত তো হতেই হবে।

সালাহ উদ্দীনও ঘুরেফিরে বলতে চাইলেন, সময় দিতে হবে, উন্নতি করতে ক্রিকেটারদের সময় দিতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন, ‘একটা দেশের ক্রিকেট আসলে নির্দিষ্ট কয়েকজন ক্রিকেটারের ওপর নির্ভর করে না। পুরো দেশের ক্রিকেট কাঠামো কেমন এবং ওরা কতটা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে অনেক ম্যাচ খেলতে হবে। যেমন শেষ ছয়টা টেস্টে আমাদের ব্যাটাররা ভালো করেনি। তাহলে নতুন কাউকে খুঁজবেন। তাকেও আবার তৈরি করতে সময় দিতে হবে। তাকে আমরা সুযোগ দিতে থাকব। তবে রিসোর্স খুবই কম আছে।’

একজন ব্যাটারকে কত ইনিংস সুযোগ দিলে তিনি উন্নতি করতে পারবেন—এমন প্রশ্নে সালাহ উদ্দীন বললেন, ‘কত ইনিংস দেব, সেটা তো বলে দেওয়া যাবে না। সবকিছু দ্রুত করতে হবে। একটা দেশের ক্রিকেট কোথায় দাঁড়িয়ে, সেটা নির্ভর করে জাতীয় দলের পারফরম্যান্সের ওপর। এর জন্য যা যা করা দরকার, সেগুলো করতে হবে। আমি কাছ থেকে দেখছি, ছেলেদের মানসিকতা, ওয়ার্ক এথিকস, নিজেদের ইচ্ছা—কোথাও ঘাটতি নেই। কিন্তু এটা শুধু তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। পারিপার্শ্বিক অনেক ব্যাপার আছে, যেগুলো সব সময় বলতে পারি না, বলা উচিতও না। আপনাদের একটু সময় দিতে হবে।’

সেই পারিপার্শ্বিক বিষয় তুলে ধরতে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নপ্রক্রিয়া সামনে এনেছেন সালাহ উদ্দীন, ‘ধরুন, আপনার দেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক শক্তিশালী। আপনি কি একটা পার্ট দিয়ে কখনো শক্তিশালী হতে পারবেন? ভালো প্রশাসন লাগবে, ভালো রাস্তাঘাট লাগবে, ভালো জনবল লাগবে। সবকিছুই লাগবে।’ একই প্রক্রিয়ায় সালাহ উদ্দীনের দেশের ক্রিকেটিং ফ্যাসিলিটিজ উন্নতি করার কথা বললেন, ‘একটা দেশের ক্রিকেট কীভাবে এগোবে, এখানে সবারই সহায়তা করতে হবে। কেউ একা একা উন্নতি করতে পারবে না। কোচ ভালো হলে চলবে না, খেলোয়াড় ভালো হলেও চলবে না, সঙ্গে আরও অনেক কিছু ভালো হতে হবে। এখন যদি বলেন, কত দিন অপেক্ষা করতে হবে, এটা আমার নিজেরও প্রশ্ন।’

দেশের ক্রিকেটের উন্নতিতে আগে সালাহ উদ্দীন যতটা অকপট ছিলেন, এখন ততটা নন। গত অক্টোবরে বিসিবিতে যুক্ত হওয়ার পর তাঁর পায়ে যে আচরণবিধির শিকল! টেস্ট সিরিজ খেলার আগে একটা দলের খেলোয়াড়েরা এলেন টানা সাদা বলের ক্রিকেট খেলে। ক্লাব ক্রিকেটের কাছে পাত্তা পায়নি জাতীয় দলের চাহিদা। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) লিগ পর্বের শেষ রাউন্ড খেলে এসে মাত্র পাঁচ-ছয় দিনের একটা প্রস্তুতি নিয়ে টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। ব্যাটারদের প্রস্তুতির ঘাটতি থাকলে জিম্বাবুয়ের বোলাররাও কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে, সে তো কাল দেখাই গেল।

সালাহ উদ্দীন দাবি করলেন, তাঁদের প্রস্তুতিতে ঘাটতি নেই, ‘দোষাদোষী, রেষারেষি না। এর মধ্যে আমরা কীভাবে ভালো করতে পারি, সেদিকে লক্ষ রাখা উচিত। প্রস্তুতির দিক থেকে বলি, একটা জাতীয় দলের যতটুকু প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার ছিল, সিলেটে এসে আমরা সেটা নিয়েছি। আজ প্রস্তুতি কাজে লাগাতে পারিনি, এটা আমাদের ব্যর্থতা।’

সংবাদ সম্মেলন থেকে ফেরার সময় সালাহ উদ্দীনকে অবশ্য মনে করিয়ে দেওয়া হলো, বাংলাদেশের ক্রিকেট কাঠামোর চেয়ে জিম্বাবুয়ের কাঠামো আরও দুর্বল। সেই জিম্বাবুয়ে ভালো খেলছে কীভাবে? আপাতত এই প্রশ্নের জবাব নেই সালাহ উদ্দীনের কাছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এক বছরে তিতাসের জোড়া শিরোপা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫৯
দাবায়  এক বছরে জোড়া শিরোপা জিতেছে তিতাস। ছবি: বাংলাদেশ চেস ফেডারেশন
দাবায় এক বছরে জোড়া শিরোপা জিতেছে তিতাস। ছবি: বাংলাদেশ চেস ফেডারেশন

৭ মাসের ব্যবধানে আবারও প্রিমিয়ার ডিভিশন দাবায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মাতল তিতাস ক্লাব। আজ দশম রাউন্ডের খেলা শেষে এক ম্যাচ হাতে রেখে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেছে তারা। সমান ১৮ পয়েন্ট বাংলাদেশ নৌবাহিনীরও। তবে তাদের কোনো ম্যাচ বাকি নেই। তিতাস শেষ ম্যাচে হারলেও গেম পয়েন্টে এগিয়ে থাকবে নৌবাহিনীর চেয়ে।

শেষ রাউন্ডে খেলাঘর দাবা সংঘের মুখোমুখি হওয়ার আগে ৯ খেলায় তিতাসের গেম পয়েন্ট ৩১.৫। আর নৌবাহিনী ১০ খেলায় ২৮.৫ পয়েন্টের বেশি অর্জন করতে পারেনি। আজ দাবা ফেডারেশন কক্ষে বাংলাদেশ পুলিশকে ৩.৫-১.৫ গেম পয়েন্টে হারিয়েছে তিতাস। ক্লাবটির হয়ে জয়ের দেখা পান ফিদে মাস্টার সাকলাইন মোস্তফা সাজিদ, আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান ও ফিদে মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া। মিসরীয় গ্র্যান্ডমাস্টার ফওজি আদম অবশ্য ড্র করেন। এবার তিতাসের হয়ে খেলেছেন উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার এবং সদ্য জাতীয় দাবায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়াজ মোর্শেদও।

এ নিয়ে তৃতীয়বার ঘরোয়া দাবার শীর্ষ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হলো তিতাস। ২০০০ সালে প্রথমবার শিরোপা জেতে তারা। তখন অবশ্য দাবার শীর্ষ স্তর ছিল প্রথম বিভাগ। ২০১১ সালে তা রূপ নেয় প্রিমিয়ার লিগে। গত বছর করতে না পারায় এই বছর ৭ মাসের ব্যবধানে দুবার লিগ আয়োজন করছে ফেডারেশন। দুবারই চ্যাম্পিয়ন হলো তিতাস। ক্লাবটি মূলত সরকারি প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসের অর্থায়নে পরিচালিত হয়।

গত লিগে চারে থাকলেও এবার তিতাসের সামনে ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতা দাঁড় করায় নৌবাহিনী। আজ ৪-০ গেম পয়েন্টে জনতা ব্যাংক অফিসান ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে হারায় তারা। ৯ খেলায় ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। লিওনাইন চেস ক্লাব ৯ খেলায় ১২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। ৯ পয়েন্ট করে নিয়ে মানহা’স ক্যাসেল ও সাধারণ বীমা করপোরেশন স্পোর্টিং ক্লাব যুগ্মভাবে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘রিয়াল মাদ্রিদে এমন নাটক আগেও অনেকবার দেখেছি’

ক্রীড়া ডেস্ক    
চাকরি হারানোর শঙ্কায় আছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জাবি আলোনসো। ছবি: এএফপি
চাকরি হারানোর শঙ্কায় আছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জাবি আলোনসো। ছবি: এএফপি

বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ।দল যখন বাজে অবস্থায় থাকে, তখন চাপটা বেশি থাকে কোচের ওপর। রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো এখন তেমনই এক সংকটময় অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধান কোচের চাকরিটা তিনি টিকিয়ে রাখতে পারেন কি না, সেটা নিয়ে চলছে আলাপ-আলোচনা।

লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগসহ সবশেষ ৮ ম্যাচের মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদ কেবল ২ ম্যাচ জিতেছে। তিনটি করে ম্যাচ হেরেছে ও ড্র করেছে। সেলতা ফিগোর বিপক্ষে ৭ ডিসেম্বর লা লিগায় হারানোর পর আলোনসোর চাকরি হারানো নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন। এমন অবস্থায় পরশু চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ২-১ গোলে হেরে বসে রিয়াল। পরশু আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচটি এখন রিয়াল কোচ আলোনসোর জন্য বাঁচা-মরার ম্যাচ। তবে লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস তেমন কিছু (আলোনসোর চাকরি হারানো) মনে করছেন না। সাংবাদিকদের তেবাস বলেন, ‘এমন নাটক আমি আগেও অনেকবার দেখেছি। রিয়াল মাদ্রিদ এমন এক দল যারা এমন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে।’

রিয়াল মাদ্রিদের কোচ এ বছর হয়েছেন আলোনসো। এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত রিয়ালের হয়ে খেলেছেন ২৩৬ ম্যাচ। একবার করে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লা লিগার শিরোপা জিতেছেন তিনি। পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়াতে ওস্তাদ রিয়াল যেকোনো কিছু করতে পারে বলে মনে করেন তেবাস। খেলোয়াড় জীবনের অভিজ্ঞতা কোচ হিসেবে কাজে লাগাতে পারবেন বলে বিশ্বাস তেবাসের। লা লিগা সভাপতি বলেন, ‘জাবি আলোনসোর মধ্যে মাদ্রিদের ডিএনএ আছে। আমার বিশ্বাস সে, খেলোয়াড় ও ক্লাব সামনে এগিয়ে যাবে। তাদের শৈশব থেকেই এমন মানসিকতা। খেলোয়াড়ি জীবনে সেটা এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে।’

সরাসরি না হলেও পরশু চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হারের পর চাকরি হারানোর ব্যাপারে প্রশ্ন এসেছিল আলোনসোর কাছে। রিয়াল কোচ অবশ্য এসব নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন না। সিটির কাছে হারের পর আলোনসো বলেছিলেন, ‘আমাদের মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। ভুল-ত্রুটি শুধরে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। পরিস্থিতি যেকোনো সময় বদলে যেতে পারে। বাজে ফল হলেও ইতিবাচক ব্যাপার রয়েছে এখানে।’

৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের লিগ পর্বে ম্যানচেস্টার সিটি অবস্থান করছে চার নম্বরে। পিএসজি, আতালান্তার ১৩ পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানের কারণে তারা ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে। পিএসজি ও আতালান্তা অবস্থান করছে তিন ও পাঁচ নম্বরে। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আর্সেনাল। দুইয়ে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের পয়েন্ট ১৫। ১২ পয়েন্টে নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ সাত নম্বরে। প্রত্যেকেই ছয়টি করে ম্যাচ খেলেছে। এদিকে লা লিগায় ১৬ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল। সমান ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে বার্সেলোনা। পরশু মেন্দিজোরোজা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় শুরু হবে লা লিগার আলাভেস-রিয়াল ম্যাচ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২২৯ রান করেও আফসোসটা থেকেই গেল ডাচ ক্রিকেটারের

ক্রীড়া ডেস্ক    
২২৯ রান করেও রেকর্ড গড়া হলো না স্কট এডওয়ার্ডসের। ছবি: ক্রিকইনফো
২২৯ রান করেও রেকর্ড গড়া হলো না স্কট এডওয়ার্ডসের। ছবি: ক্রিকইনফো

৮১ বলে ২৩ ছক্কা ও ১৪ চারে ২২৯ রান। স্ট্রাইকরেট ২৮২.৭১। কেমন ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন স্কট এডওয়ার্ডস, সেটা আর বলার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এমন তাণ্ডব চালিয়েও যে রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নিতে পারবেন না তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি ডিভিশন ওয়ান ক্লেঞ্জো গ্রুপ শিল্ডের চতুর্থ রাউন্ডে এডওয়ার্ডস ২২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন। ভিক্টোরিয়ার আলটোনা স্পোর্টস ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে তাণ্ডব চালিয়েছেন তিনি উইলিয়ামস ল্যান্ডিং এসসির বিপক্ষে। এমন বিধ্বংসী ইনিংস খেলে তিনি হইচই ফেলে দিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু ক্রিস গেইলের ১৭৫ রানের রেকর্ড টপকে সেটা নিজের নামে লেখাতে পারলেন না এডওয়ার্ডস। কারণ, ক্লেঞ্জো গ্রুপ শিল্ডকে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ধরা হয় না। এটা অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বিভাগের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।

উইলিয়ামস ল্যান্ডিং এসসির বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নেমে এডওয়ার্ডস শুরু থেকেই ছিলেন মারমুখী। ২৩ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন। টানা দুই বলে দুই ছক্কা মেরে ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি। ইনিংসের ১১তম ওভারে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন তিনি। সেঞ্চুরির পর বেশ বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন তিনি। ১৬ ওভার শেষে ভিক্টোরিয়ার আলটোনা স্পোর্টস ক্রিকেট ক্লাবের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ২১২। সেখান থেকে নির্ধারিত ২০ ওভারে তাদের স্কোর হয়েছে ২ উইকেটে ৩০৪ রান। শেষ চার ওভারে ৯২ রান দলটি করতে পেরেছে মূলত এডওয়ার্ডসের ঝড়েই।

এডওয়ার্ডসের তাণ্ডব চালানোর ম্যাচে আলটোনা জিতেছে ১৮৬ রানে। ৩০৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উইলিয়ামস ল্যান্ডিং ১১৮ রানে আটকে যায়। পয়েন্ট টেবিলে আলটোনা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ছয় দলের টি-টোয়েন্টি ডিভিশন ওয়ান ক্লেঞ্জো গ্রুপে চার নম্বরে উইলিয়ামস ল্যান্ডিং। ২২৯ রান করা এডওয়ার্ডসের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কোনো সেঞ্চুরি নেই। সর্বোচ্চ ৯৯ রান গত বছর ওমানের বিপক্ষে করেছেন। এদিকে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ক্রিস গেইলের ১৭৫ রানের রেকর্ডটা এখনো অক্ষতই রয়ে গেল। ২০১৩ আইপিএলে পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ার বিপক্ষে ৬৬ বলে ১৩ চার ও ১৭ ছক্কায় ১৭৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। খেলেছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইংল্যান্ড দলে ২০ বছরে যা পাননি, এবার তা-ই পেলেন অ্যান্ডারসন

ক্রীড়া ডেস্ক    
ল্যাঙ্কাশায়ারের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে অধিনায়ক জেমস অ্যান্ডারসন। ছবি: ক্রিকইনফো
ল্যাঙ্কাশায়ারের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে অধিনায়ক জেমস অ্যান্ডারসন। ছবি: ক্রিকইনফো

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডসে গত বছর টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন জেমস অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ডের জার্সিতে ২০ বছরের ক্যারিয়ারে ৪০১ ম্যাচের ক্যারিয়ারে রেকর্ড তো কম করেননি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনো অধিনায়কত্ব করেননি তিনি। এবার ৪৩ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে নেতৃত্বের গুরুদায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন তিনি।

ল্যাঙ্কাশায়ার তাদের পরের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য অ্যান্ডারসনকে পূর্ণকালীন অধিনায়ক করেছে। নেতৃত্ব পেয়ে রোমাঞ্চিত ৪৩ বছর বয়সী ইংল্যান্ডের এই পেসার বলেন, ‘গত মৌসুমে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্ব করা ছিল অনেক সম্মানের বিষয়। নতুন মৌসুম সামনে রেখে পূর্ণকালীন নেতৃত্ব পেয়ে সম্মানিত অনুভব করছি। আমাদের একঝাঁক দারুণ ক্রিকেটার রয়েছে। তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে তৈরি করা হয়েছে এই দলটা। আমরা একসঙ্গে অনেক কিছু অর্জন করতে পারি। প্রথম বিভাগে ফিরে যাওয়াই হচ্ছে সর্বপ্রথম লক্ষ্য।’

এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক হিসেবে ল্যাঙ্কাশায়ারকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অ্যান্ডারসন। কিন্তু চার দিনের ক্রিকেটে এবার তাঁকে স্থায়ী অধিনায়ক করল কাউন্টি ক্লাব। গত বছরের মে মাসে ক্লাবটির লাল বলের ক্রিকেট থেকে কিটং জেনিংস অধিনায়কত্ব ছাড়াতেই অ্যান্ডারসন পেয়ে যান নেতৃত্ব। গত বছরের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছেন। ৪৩ বছর বয়সী অ্যান্ডারসনকে নিয়ে ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রধান কোচ স্টিভেন ক্রফট বলেন, ‘জিমি অসাধারণ এক নেতা। সে দলকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করতে পারে। ক্রিকেটে তার অভিজ্ঞতা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। অধিনায়ক হওয়ার জন্য সেই যোগ্য।’

ভাইটালিটি ব্লাস্টে ল্যাঙ্কাশায়ারের অধিনায়কই থাকছেন কিটন জেনিংস। সহ-অধিনায়কের দায়িত্বে আছেন জশ বোহানন। এ বছরের ভাইটালিটি ব্লাস্টে ২০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এই ক্লাবটির সঙ্গেই গত বছরের নভেম্বরে এক বছরের নতুন চুক্তি করেছিলেন। ডিভিশন টুতে থাকা ইংল্যান্ডের এই ক্লাবকে এবার পূর্ণকালীন নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন তিনি। নতুন বছরের ৩ এপ্রিল ল্যাঙ্কাশায়ার তাদের চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করবে। ২০০২ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে তাঁর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়।

ইংল্যান্ডের হয়ে ৪০১ ম্যাচে পেয়েছেন ৯৯১ উইকেট। যার মধ্যে ১৯১ টেস্টে নিয়েছেন ৭০৪ উইকেট। মুত্তিয়া মুরালিধরন ও শেন ওয়ার্নের পর টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী অ্যান্ডারসন। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে মুরালিধরন ও ওয়ার্ন নিয়েছেন ৮০০ ও ৭০৮ উইকেট। টেস্টে পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী অ্যান্ডারসন কদিন আগে নাইটহুড উপাধি পেয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত