আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের উহান শহরের ল্যাব থেকে নয়, করোনা ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছিল অন্য কোথাও। স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল প্রতিবেশী লাওসের উত্তরাংশে ও দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশে। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক নতুন আন্তর্জাতিক গবেষণা কোভিড-১৯ মহামারির উৎস নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘পরীক্ষাগার থেকে ছড়িয়েছে’ তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছে। এতে বলা হয়েছে, এই ভাইরাস চীনের উহানে তৈরি হয়নি। ‘সেল’—নামের একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে ৭ মে প্রকাশিত এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরা। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও এশিয়ার ২০টি প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরা এতে অংশ নিয়েছেন, যার মধ্যে চীনের গবেষকরাও ছিলেন।
গবেষক দল ১৬৭টি বাদুড়ের করোনাভাইরাসের জিনোম বিশ্লেষণ করেছেন। তারা কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের উৎস খুঁজে পেয়েছেন উত্তর লাওস এবং দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশের বাদুড় জনগোষ্ঠীর মধ্যে। গবেষকেরা জানান, মহামারির ৫-৭ বছর আগে করোনাভাইরাসের পূর্ববর্তী প্রকরণটি ওই অঞ্চলে ছড়িয়েছিল।
এই গবেষণা হোয়াইট হাউসের দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে। এপ্রিল মাসে হোয়াইট হাউসের এক ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছিল, চীনের ল্যাব থেকেই কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে। ওয়েবসাইটটিতে এখনো বড় হরফে ‘ল্যাব লিক’, ‘ট্রুথ’ এবং ‘অরিজিন’ লেখা রয়েছে।
গবেষকেরা সারবেকোভাইরাসের জিনোম পরীক্ষা করেছেন। এই ভাইরাসগুলো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে। এর মধ্যে সার্স-কোভ-১ (২০০২-২০০৪ সালের সার্স মহামারির জন্য দায়ী) এবং সার্স-কোভ-২ (কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী) ভাইরাসও অন্তর্ভুক্ত।
এই গবেষণা সন্দর্ভের মূল লেখক জোনাথন পেকার জানিয়েছেন, গবেষণায় দেখা গেছে—২০০২ সালের শেষের দিকে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে সার্স ছড়িয়ে পড়ার ১-২ বছর আগে মূল সার্স-কোভ-১ ভাইরাসটি পশ্চিম চীনে ঘুরছিল। পেকার ৭ মে ইউরেকালার্ট সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ২০১৯ সালের শেষের দিকে উহানে কোভিড-১৯ দেখা দেওয়ার ৫-৭ বছর আগে সার্স-কোভ-২ পশ্চিম চীন বা উত্তর লাওসে উদ্ভূত হয়েছিল।
কোভিড-১৯ ভাইরাসের জেনেটিক ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এর পূর্ববর্তী প্রকরণের বিবর্তন উহান থেকে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার দূরে হয়েছিল। বাদুড়ের স্বাভাবিক ওড়ার সীমার থেকে এটি অনেক বেশি। বাদুড় হলো সার্স-কোভ-২ এর প্রধান আশ্রয়দাতা। যদিও এই ভাইরাস বাদুড়দের ক্ষতি করে না, ধারণা করা হয়, এটি প্রাণীর শরীর থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে।
গবেষক দল জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য ব্যবহার করে সার্স-কোভ-১ এবং সার্স-কোভ-২ এর ফাইলোজেনেটিক ট্রি তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আগে এশিয়াজুড়ে তাদের বিবর্তন পথ পুনর্গঠন করা হয়েছে। এই গবেষণা থেকে বোঝা যায়, সার্স-সম্পর্কিত করোনাভাইরাসগুলো হাজার হাজার বছর ধরে পশ্চিম চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাদুড় জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছিল।
তবে, বাদুড়ের দেহে জেনেটিক উপাদানের ব্যাপক মিশ্রণ (আরএনএ রিকম্বিনেশন নামে পরিচিত) এর কারণে ভাইরাসের সঠিক বংশপরিচয় খুঁজে পাওয়া কঠিন। এই সমস্যা মোকাবিলায় গবেষকেরা ভাইরাসের জেনেটিক ব্লুপ্রিন্টকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করেছেন। এরপর তারা সেই অংশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক অধ্যয়ন করেন এবং সম্ভাব্য সাম্প্রতিক সাধারণ পূর্ববর্তী প্রকরণ শনাক্ত করেন।
সার্স সৃষ্টিকারী ভাইরাসের সাম্প্রতিক পূর্ববর্তী প্রকরণ বা এমআরসিএ প্রায় ২০০১ সালের দিকে উদ্ভূত হয়েছিল। অন্যদিকে, কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের এমআরসিএ ২০১৭ সালের দিকে আসে। ফাইলোজেনেটিক বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, সার্স-কোভ-১ সম্ভবত চীনের সিচুয়ান, গুইঝো এবং ইউনান প্রদেশ থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। অন্যদিকে, সার্স-কোভ-২ এর পূর্বসূরি সম্ভবত উত্তর লাওসে বিবর্তিত হয়েছে।
পশ্চিম চীন এবং উত্তর লাওস কেন্দ্রীয় চীনের উহান থেকে প্রায় ২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। উহান ছিল কোভিড-১৯ মহামারির মূল কেন্দ্র। তবে বাদুড়ের সাধারণ ওড়ার সীমা মাত্র কয়েক কিলোমিটার, যা মানুষের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত দেয়। ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার পরিবেশবিদ্যা ও বিবর্তনমূলক জীববিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং জ্যেষ্ঠ লেখক মাইকেল ওরোবি বলেন, ‘মূল সার্স করোনাভাইরাসের সঙ্গে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত ভাইরাসগুলো দক্ষিণ চীনের পাম সিভেট এবং র্যাকুন ডগের মধ্যে পাওয়া গেছে। এগুলো বাদুড় জনগোষ্ঠীর উৎস থেকে শত শত মাইল দূরে ছিল।’
এটি এই ধারণাকে সমর্থন করে যে, প্রাকৃতিক পশু স্থানান্তরের চেয়ে বন্যপ্রাণীর বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক শহরাঞ্চলে ভাইরাসের সংক্রমণকে সহজ করেছে। কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের এই স্থানান্তর ঐতিহাসিক জুনোটিক প্রাদুর্ভাবের মতো। যেমন, ১৯১০ সালের মাঞ্চুরিয়ান প্লেগ। সে সময় রেলপথের মাধ্যমে সংক্রমিত পশু রাশিয়ার শহুরে কেন্দ্রগুলোতে পরিবহন করা হয়েছিল। ইয়েরসিনিয়া পেস্টিস ব্যাকটেরিয়া বহনকারী বন্য মারমোট ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলওয়ের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব চীনের হারবিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এতে ৬০ হাজারের এর বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছিল।
তবে, মাঞ্চুরিয়ান প্লেগ এবং সার্সের সুনির্দিষ্ট উৎসের মতো কোভিড-১৯ এর বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণের সঠিক পথ এখনো অজানা। হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটের দাবির জবাবে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন ২৩ এপ্রিল তাদের সরকারি ওয়েবসাইটে বলেছে, ‘ক্রমবর্ধমান প্রমাণ থেকে বোঝা যায়, কোভিড-১৯ ভাইরাস চীনের চেয়েও আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেখা গিয়েছিল।’ তারা আরও যোগ করে, পরবর্তী ধাপের অনুসন্ধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তদন্তে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
উহানের সাবেক হুয়ানান সিফুড মার্কেট—যা একসময় প্রাদুর্ভাবের সম্ভাব্য কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিবেচিত হতো—তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর বদলে সেখানে একটি চশমার বাজার খোলা হয়েছে।

চীনের উহান শহরের ল্যাব থেকে নয়, করোনা ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছিল অন্য কোথাও। স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল প্রতিবেশী লাওসের উত্তরাংশে ও দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশে। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক নতুন আন্তর্জাতিক গবেষণা কোভিড-১৯ মহামারির উৎস নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘পরীক্ষাগার থেকে ছড়িয়েছে’ তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছে। এতে বলা হয়েছে, এই ভাইরাস চীনের উহানে তৈরি হয়নি। ‘সেল’—নামের একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে ৭ মে প্রকাশিত এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরা। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও এশিয়ার ২০টি প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরা এতে অংশ নিয়েছেন, যার মধ্যে চীনের গবেষকরাও ছিলেন।
গবেষক দল ১৬৭টি বাদুড়ের করোনাভাইরাসের জিনোম বিশ্লেষণ করেছেন। তারা কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের উৎস খুঁজে পেয়েছেন উত্তর লাওস এবং দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশের বাদুড় জনগোষ্ঠীর মধ্যে। গবেষকেরা জানান, মহামারির ৫-৭ বছর আগে করোনাভাইরাসের পূর্ববর্তী প্রকরণটি ওই অঞ্চলে ছড়িয়েছিল।
এই গবেষণা হোয়াইট হাউসের দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে। এপ্রিল মাসে হোয়াইট হাউসের এক ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছিল, চীনের ল্যাব থেকেই কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে। ওয়েবসাইটটিতে এখনো বড় হরফে ‘ল্যাব লিক’, ‘ট্রুথ’ এবং ‘অরিজিন’ লেখা রয়েছে।
গবেষকেরা সারবেকোভাইরাসের জিনোম পরীক্ষা করেছেন। এই ভাইরাসগুলো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে। এর মধ্যে সার্স-কোভ-১ (২০০২-২০০৪ সালের সার্স মহামারির জন্য দায়ী) এবং সার্স-কোভ-২ (কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী) ভাইরাসও অন্তর্ভুক্ত।
এই গবেষণা সন্দর্ভের মূল লেখক জোনাথন পেকার জানিয়েছেন, গবেষণায় দেখা গেছে—২০০২ সালের শেষের দিকে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে সার্স ছড়িয়ে পড়ার ১-২ বছর আগে মূল সার্স-কোভ-১ ভাইরাসটি পশ্চিম চীনে ঘুরছিল। পেকার ৭ মে ইউরেকালার্ট সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ২০১৯ সালের শেষের দিকে উহানে কোভিড-১৯ দেখা দেওয়ার ৫-৭ বছর আগে সার্স-কোভ-২ পশ্চিম চীন বা উত্তর লাওসে উদ্ভূত হয়েছিল।
কোভিড-১৯ ভাইরাসের জেনেটিক ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এর পূর্ববর্তী প্রকরণের বিবর্তন উহান থেকে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার দূরে হয়েছিল। বাদুড়ের স্বাভাবিক ওড়ার সীমার থেকে এটি অনেক বেশি। বাদুড় হলো সার্স-কোভ-২ এর প্রধান আশ্রয়দাতা। যদিও এই ভাইরাস বাদুড়দের ক্ষতি করে না, ধারণা করা হয়, এটি প্রাণীর শরীর থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে।
গবেষক দল জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য ব্যবহার করে সার্স-কোভ-১ এবং সার্স-কোভ-২ এর ফাইলোজেনেটিক ট্রি তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আগে এশিয়াজুড়ে তাদের বিবর্তন পথ পুনর্গঠন করা হয়েছে। এই গবেষণা থেকে বোঝা যায়, সার্স-সম্পর্কিত করোনাভাইরাসগুলো হাজার হাজার বছর ধরে পশ্চিম চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাদুড় জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছিল।
তবে, বাদুড়ের দেহে জেনেটিক উপাদানের ব্যাপক মিশ্রণ (আরএনএ রিকম্বিনেশন নামে পরিচিত) এর কারণে ভাইরাসের সঠিক বংশপরিচয় খুঁজে পাওয়া কঠিন। এই সমস্যা মোকাবিলায় গবেষকেরা ভাইরাসের জেনেটিক ব্লুপ্রিন্টকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করেছেন। এরপর তারা সেই অংশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক অধ্যয়ন করেন এবং সম্ভাব্য সাম্প্রতিক সাধারণ পূর্ববর্তী প্রকরণ শনাক্ত করেন।
সার্স সৃষ্টিকারী ভাইরাসের সাম্প্রতিক পূর্ববর্তী প্রকরণ বা এমআরসিএ প্রায় ২০০১ সালের দিকে উদ্ভূত হয়েছিল। অন্যদিকে, কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের এমআরসিএ ২০১৭ সালের দিকে আসে। ফাইলোজেনেটিক বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, সার্স-কোভ-১ সম্ভবত চীনের সিচুয়ান, গুইঝো এবং ইউনান প্রদেশ থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। অন্যদিকে, সার্স-কোভ-২ এর পূর্বসূরি সম্ভবত উত্তর লাওসে বিবর্তিত হয়েছে।
পশ্চিম চীন এবং উত্তর লাওস কেন্দ্রীয় চীনের উহান থেকে প্রায় ২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। উহান ছিল কোভিড-১৯ মহামারির মূল কেন্দ্র। তবে বাদুড়ের সাধারণ ওড়ার সীমা মাত্র কয়েক কিলোমিটার, যা মানুষের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত দেয়। ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার পরিবেশবিদ্যা ও বিবর্তনমূলক জীববিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং জ্যেষ্ঠ লেখক মাইকেল ওরোবি বলেন, ‘মূল সার্স করোনাভাইরাসের সঙ্গে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত ভাইরাসগুলো দক্ষিণ চীনের পাম সিভেট এবং র্যাকুন ডগের মধ্যে পাওয়া গেছে। এগুলো বাদুড় জনগোষ্ঠীর উৎস থেকে শত শত মাইল দূরে ছিল।’
এটি এই ধারণাকে সমর্থন করে যে, প্রাকৃতিক পশু স্থানান্তরের চেয়ে বন্যপ্রাণীর বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক শহরাঞ্চলে ভাইরাসের সংক্রমণকে সহজ করেছে। কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের এই স্থানান্তর ঐতিহাসিক জুনোটিক প্রাদুর্ভাবের মতো। যেমন, ১৯১০ সালের মাঞ্চুরিয়ান প্লেগ। সে সময় রেলপথের মাধ্যমে সংক্রমিত পশু রাশিয়ার শহুরে কেন্দ্রগুলোতে পরিবহন করা হয়েছিল। ইয়েরসিনিয়া পেস্টিস ব্যাকটেরিয়া বহনকারী বন্য মারমোট ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলওয়ের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব চীনের হারবিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এতে ৬০ হাজারের এর বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছিল।
তবে, মাঞ্চুরিয়ান প্লেগ এবং সার্সের সুনির্দিষ্ট উৎসের মতো কোভিড-১৯ এর বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণের সঠিক পথ এখনো অজানা। হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটের দাবির জবাবে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন ২৩ এপ্রিল তাদের সরকারি ওয়েবসাইটে বলেছে, ‘ক্রমবর্ধমান প্রমাণ থেকে বোঝা যায়, কোভিড-১৯ ভাইরাস চীনের চেয়েও আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেখা গিয়েছিল।’ তারা আরও যোগ করে, পরবর্তী ধাপের অনুসন্ধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তদন্তে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
উহানের সাবেক হুয়ানান সিফুড মার্কেট—যা একসময় প্রাদুর্ভাবের সম্ভাব্য কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিবেচিত হতো—তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর বদলে সেখানে একটি চশমার বাজার খোলা হয়েছে।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৬ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৯ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

চীনের উহান শহরের ল্যাব থেকে নয়, করোনা ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছিল অন্য কোথাও। স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল প্রতিবেশী লাওসের উত্তরাংশে ও দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশে। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না...
২৫ মে ২০২৫
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৬ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৯ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

চীনের উহান শহরের ল্যাব থেকে নয়, করোনা ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছিল অন্য কোথাও। স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল প্রতিবেশী লাওসের উত্তরাংশে ও দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশে। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না...
২৫ মে ২০২৫
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৯ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

চীনের উহান শহরের ল্যাব থেকে নয়, করোনা ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছিল অন্য কোথাও। স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল প্রতিবেশী লাওসের উত্তরাংশে ও দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশে। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না...
২৫ মে ২০২৫
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৬ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল, এই আবিষ্কার হয়তো সেই সমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। সেখানে তলিয়ে যাওয়া শহরের প্রচলিত কিংবদন্তির নিদর্শনও হতে পারে এই প্রাচীর।
১২০ মিটার দীর্ঘ এই প্রাচীর ফ্রান্সের জলসীমায় পাওয়া সমুদ্রতলের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান, এটি হয়তো মাছ ধরার জন্য এক ধরনের ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, অথবা সমুদ্রের ক্রমবর্ধমান জলস্তর থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাঁধ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল।
প্রাচীরটি ব্রিতানির পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ইলে দে সঁ-এর উপকূলে আবিষ্কৃত হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের চিহ্ন এখনো বহন করছে এই প্রাচীর। বর্তমানে প্রাচীরটি প্রায় নয় মিটার গভীরে ডুবে আছে। দ্বীপটি আগের আকারের তুলনায় অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে, সমুদ্রের পানিস্তর বৃদ্ধির এটি বড় প্রমাণ।
প্রাচীরটির গড় প্রস্থ প্রায় ২০ মিটার এবং উচ্চতা দুই মিটার। নিয়মিত ব্যবধানে ডুবুরিরা এর মধ্যে বড় গ্রানাইট পাথর বা মনোলিথ-এর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। এগুলো দুটি সমান্তরাল রেখায় প্রাচীরের ওপরে উঁচু হয়ে আছে। মনে করা হচ্ছে, এই মনোলিথগুলোই প্রাচীরের মূল ভিত্তি হিসেবে শিলাস্তরের ওপর স্থাপন করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে স্ল্যাব ও ছোট পাথর দিয়ে তাদের ঘিরে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। যদি মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে ব্যবহারের অনুমানটি সঠিক হয়, তাহলে বলা যায়, মনোলিথগুলোতে জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার সময় মাছ ধরার জাল বেঁধে রাখা হতো।
প্রাচীরটির মোট ভর প্রায় ৩ হাজার ৩০০ টন। প্রত্নতাত্ত্বিক ইভান পাইয়ার বলেন, এই বিশাল নির্মাণ একটি সুসংগঠিত সমাজের কাজ হতে পারে। মূলত শিকারি-সংগ্রাহক (হান্টার গ্যাদারার) জনগোষ্ঠী এটি নির্মাণ করেছে, যারা সম্পদের প্রাচুর্য থাকায় স্থিতিশীল জীবনযাপন শুরু করেছিল। অথবা, এটি ছিল ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এই অঞ্চলে আসা নব্যপ্রস্তর যুগের জনগোষ্ঠীর নির্মাণ।
পাইয়ারের মতে, মনোলিথগুলো নব্যপ্রস্তর যুগের বিখ্যাত মেনহিরগুলোর চেয়েও প্রাচীন। ফলে এটি পাথর উত্তোলন, কাটা এবং পরিবহনের জ্ঞান তৎকালীন শিকারি-সংগ্রাহক সমাজ থেকে পরবর্তী নব্যপ্রস্তর যুগের কৃষকদের কাছে স্থানান্তরিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব নটিক্যাল আর্কিওলজিতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই আবিষ্কার স্থানীয় ব্রেটোন কিংবদন্তিগুলোর উৎস হতে পারে। যেমন, ব্রিতানির উপকূলে অবস্থিত বে অব দোয়ারনেনেজ-এর আশপাশে ডুবে যাওয়া শহর ইশ (Ys)-এর কিংবদন্তি। গবেষকদের মতে, একটি অত্যন্ত সুসংগঠিত সমাজ দ্বারা গঠিত অঞ্চলের বিলুপ্তি মানুষের স্মৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত হয়েছে। সমুদ্রের জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধির ফলে মাছ ধরার কাঠামো, প্রতিরক্ষামূলক কাজ এবং বাস্তুচ্যুতির ঘটনাগুলো সম্ভবত স্থানীয় মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলেছিল।

ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল, এই আবিষ্কার হয়তো সেই সমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। সেখানে তলিয়ে যাওয়া শহরের প্রচলিত কিংবদন্তির নিদর্শনও হতে পারে এই প্রাচীর।
১২০ মিটার দীর্ঘ এই প্রাচীর ফ্রান্সের জলসীমায় পাওয়া সমুদ্রতলের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান, এটি হয়তো মাছ ধরার জন্য এক ধরনের ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, অথবা সমুদ্রের ক্রমবর্ধমান জলস্তর থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাঁধ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল।
প্রাচীরটি ব্রিতানির পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ইলে দে সঁ-এর উপকূলে আবিষ্কৃত হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের চিহ্ন এখনো বহন করছে এই প্রাচীর। বর্তমানে প্রাচীরটি প্রায় নয় মিটার গভীরে ডুবে আছে। দ্বীপটি আগের আকারের তুলনায় অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে, সমুদ্রের পানিস্তর বৃদ্ধির এটি বড় প্রমাণ।
প্রাচীরটির গড় প্রস্থ প্রায় ২০ মিটার এবং উচ্চতা দুই মিটার। নিয়মিত ব্যবধানে ডুবুরিরা এর মধ্যে বড় গ্রানাইট পাথর বা মনোলিথ-এর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। এগুলো দুটি সমান্তরাল রেখায় প্রাচীরের ওপরে উঁচু হয়ে আছে। মনে করা হচ্ছে, এই মনোলিথগুলোই প্রাচীরের মূল ভিত্তি হিসেবে শিলাস্তরের ওপর স্থাপন করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে স্ল্যাব ও ছোট পাথর দিয়ে তাদের ঘিরে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। যদি মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে ব্যবহারের অনুমানটি সঠিক হয়, তাহলে বলা যায়, মনোলিথগুলোতে জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার সময় মাছ ধরার জাল বেঁধে রাখা হতো।
প্রাচীরটির মোট ভর প্রায় ৩ হাজার ৩০০ টন। প্রত্নতাত্ত্বিক ইভান পাইয়ার বলেন, এই বিশাল নির্মাণ একটি সুসংগঠিত সমাজের কাজ হতে পারে। মূলত শিকারি-সংগ্রাহক (হান্টার গ্যাদারার) জনগোষ্ঠী এটি নির্মাণ করেছে, যারা সম্পদের প্রাচুর্য থাকায় স্থিতিশীল জীবনযাপন শুরু করেছিল। অথবা, এটি ছিল ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এই অঞ্চলে আসা নব্যপ্রস্তর যুগের জনগোষ্ঠীর নির্মাণ।
পাইয়ারের মতে, মনোলিথগুলো নব্যপ্রস্তর যুগের বিখ্যাত মেনহিরগুলোর চেয়েও প্রাচীন। ফলে এটি পাথর উত্তোলন, কাটা এবং পরিবহনের জ্ঞান তৎকালীন শিকারি-সংগ্রাহক সমাজ থেকে পরবর্তী নব্যপ্রস্তর যুগের কৃষকদের কাছে স্থানান্তরিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব নটিক্যাল আর্কিওলজিতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই আবিষ্কার স্থানীয় ব্রেটোন কিংবদন্তিগুলোর উৎস হতে পারে। যেমন, ব্রিতানির উপকূলে অবস্থিত বে অব দোয়ারনেনেজ-এর আশপাশে ডুবে যাওয়া শহর ইশ (Ys)-এর কিংবদন্তি। গবেষকদের মতে, একটি অত্যন্ত সুসংগঠিত সমাজ দ্বারা গঠিত অঞ্চলের বিলুপ্তি মানুষের স্মৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত হয়েছে। সমুদ্রের জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধির ফলে মাছ ধরার কাঠামো, প্রতিরক্ষামূলক কাজ এবং বাস্তুচ্যুতির ঘটনাগুলো সম্ভবত স্থানীয় মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলেছিল।

চীনের উহান শহরের ল্যাব থেকে নয়, করোনা ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছিল অন্য কোথাও। স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল প্রতিবেশী লাওসের উত্তরাংশে ও দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশে। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না...
২৫ মে ২০২৫
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৬ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৯ দিন আগে