নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি। সরকারের উদ্দেশে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘এরা (সরকার) জনগণের দাবি উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচন করার জন্য উন্মাদ, উদ্ভ্রান্ত হয়ে গেছে।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে অবৈধভাবে তফসিল দেওয়ার পাঁয়তারা শুরু করেছে। আমরা কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, এই তফসিল নাটক বন্ধ করুন। আগে পদত্যাগ করুন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন, এই দলদাস নির্বাচন কমিশন বাতিল করুন।’
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। তারা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জুলুম ও নিষ্ঠুরতা নামিয়ে আনে। কিন্তু জবরদস্তি দুঃশাসন যেকোনো মুহূর্তে উল্টে যেতে পারে, সেটি আওয়ামী লীগ কখনোই চিন্তা করে না।’
বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ সফল করার আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জাতির কাছে, দল ও সমমনা জোটের নেতা-কর্মীদের কাছে আমি আহ্বান জানাচ্ছি, বুধবার ভোর ৬টা থেকে যে অবরোধ শুরু হবে, সেটি সার্বিকভাবে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য, শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার জন্য সকলে প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন এবং এটিকে সফল করবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের চিত্র তুলে ধরে রিজভী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপির ৪২০ জনের অধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ সময় ১১টি মামলা ও ১ হাজার ৩৫০ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
রিজভী বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে লাগাতার সহিংস হুংকারে দেশের গণতন্ত্রকামী প্রতিটি মানুষ চরম আতঙ্কে পতিত হয়েছে। ইতিহাস এই সাক্ষ্য দেয় যে আগুন-সন্ত্রাস, ধ্বংসযজ্ঞ, গুম-খুন-ভাঙচুর-সহিংসতার আঁতুড়ঘর আওয়ামী লীগ। আওয়ামী দুঃশাসনে পিষ্ট প্রতিবাদী মানুষকে নিশ্চিহ্ন এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলন প্রশ্নবিদ্ধ করতে বরাবরই দলীয় ও রাষ্ট্রশক্তিকে দিয়ে সন্ত্রাস-নাশকতা চালিয়ে আসছে। অগ্নিসন্ত্রাস শব্দটিকে ব্যবহার করে বিএনপির ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।’
রিজভী বলেন, ‘অপরাধ করে তারা, আর চাপিয়ে দেয় বিএনপির লোকজনের ওপর। এই পলিসিটা তারা অনেক দিন ধরে নিয়েছে, অনেক দিন ধরে এই পলিসিটা তাদের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডার অনুষঙ্গ হিসেবে আমরা দেখতে পাই। কেবল বাংলাদেশ নয়, এখন গোটা পৃথিবীবাসী জানে, আগুন দিয়ে গাড়ি পোড়ানো, সহিংসতা, গানপাউডার দিয়ে, লগি-বইঠা দিয়ে মানুষ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আওয়ামী লীগ। এবারও এক দফার সংগ্রাম বানচাল করতে পুলিশের প্রটেকশনে আগুন-সন্ত্রাসে আওয়ামী ক্যাডারদের অংশগ্রহণ দৃশ্যমান। যেমনটা তারা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে করেছে, বিভিন্ন সময় যেমন করেছে, বিভিন্ন সময়ে যেমন করেছে।’

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি। সরকারের উদ্দেশে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘এরা (সরকার) জনগণের দাবি উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচন করার জন্য উন্মাদ, উদ্ভ্রান্ত হয়ে গেছে।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে অবৈধভাবে তফসিল দেওয়ার পাঁয়তারা শুরু করেছে। আমরা কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, এই তফসিল নাটক বন্ধ করুন। আগে পদত্যাগ করুন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন, এই দলদাস নির্বাচন কমিশন বাতিল করুন।’
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। তারা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জুলুম ও নিষ্ঠুরতা নামিয়ে আনে। কিন্তু জবরদস্তি দুঃশাসন যেকোনো মুহূর্তে উল্টে যেতে পারে, সেটি আওয়ামী লীগ কখনোই চিন্তা করে না।’
বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ সফল করার আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জাতির কাছে, দল ও সমমনা জোটের নেতা-কর্মীদের কাছে আমি আহ্বান জানাচ্ছি, বুধবার ভোর ৬টা থেকে যে অবরোধ শুরু হবে, সেটি সার্বিকভাবে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য, শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার জন্য সকলে প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন এবং এটিকে সফল করবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের চিত্র তুলে ধরে রিজভী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপির ৪২০ জনের অধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ সময় ১১টি মামলা ও ১ হাজার ৩৫০ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
রিজভী বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে লাগাতার সহিংস হুংকারে দেশের গণতন্ত্রকামী প্রতিটি মানুষ চরম আতঙ্কে পতিত হয়েছে। ইতিহাস এই সাক্ষ্য দেয় যে আগুন-সন্ত্রাস, ধ্বংসযজ্ঞ, গুম-খুন-ভাঙচুর-সহিংসতার আঁতুড়ঘর আওয়ামী লীগ। আওয়ামী দুঃশাসনে পিষ্ট প্রতিবাদী মানুষকে নিশ্চিহ্ন এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলন প্রশ্নবিদ্ধ করতে বরাবরই দলীয় ও রাষ্ট্রশক্তিকে দিয়ে সন্ত্রাস-নাশকতা চালিয়ে আসছে। অগ্নিসন্ত্রাস শব্দটিকে ব্যবহার করে বিএনপির ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।’
রিজভী বলেন, ‘অপরাধ করে তারা, আর চাপিয়ে দেয় বিএনপির লোকজনের ওপর। এই পলিসিটা তারা অনেক দিন ধরে নিয়েছে, অনেক দিন ধরে এই পলিসিটা তাদের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডার অনুষঙ্গ হিসেবে আমরা দেখতে পাই। কেবল বাংলাদেশ নয়, এখন গোটা পৃথিবীবাসী জানে, আগুন দিয়ে গাড়ি পোড়ানো, সহিংসতা, গানপাউডার দিয়ে, লগি-বইঠা দিয়ে মানুষ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আওয়ামী লীগ। এবারও এক দফার সংগ্রাম বানচাল করতে পুলিশের প্রটেকশনে আগুন-সন্ত্রাসে আওয়ামী ক্যাডারদের অংশগ্রহণ দৃশ্যমান। যেমনটা তারা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে করেছে, বিভিন্ন সময় যেমন করেছে, বিভিন্ন সময়ে যেমন করেছে।’

১৮ ডিসেম্বর রাতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার কার্যালয়ে হামলার কথা উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘প্রথম আলো, ডেইলি স্টার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই দৃশ্য সারা বিশ্ব দেখেছে। সেটা আমাদের জন্য লজ্জার।
৯ ঘণ্টা আগে
রোববার রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন গোলাম পরওয়ার।
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত লন্ডন-ঢাকা রুটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট থেকে দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিরাপত্তা ও ভিআইপি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বিবেচনায় এনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
১২ ঘণ্টা আগে
জামায়াত আমির বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে, এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। এই লক্ষ্যে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করে যাব। মূল কথা হলো নির্বাচনটা যেন সুষ্ঠু হয়, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, জনমতের প্রতিফলন ঘটে। এখানে যেন অন্য কিছু চিন্তা না করা হয়।’
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

১৮ ডিসেম্বর রাতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার কার্যালয়ে হামলার কথা উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘প্রথম আলো, ডেইলি স্টার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই দৃশ্য সারা বিশ্ব দেখেছে। সেটা আমাদের জন্য লজ্জার। এটা কোনোভাবে আমরা শুধুমাত্র দুঃখ প্রকাশ করে, ক্ষমা প্রার্থনা করে সমাপ্ত করতে পারব না।’
তিনি বলেন, ‘এখানে সরকারের দায়িত্ব ছিল সবচাইতে বেশি। আমরা জেনেছি, হামলার বিষয়ে ইন্টেলিজেন্স (গোয়েন্দা) রিপোর্ট ছিল। কিন্তু সেটা আমলে নেওয়া হলো না কেন?’
আজ রোববার রাজধানীর হোটেল র্যাডিসন ব্লুতে এক মতবিনিময় সভায় সালাহউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক, রেডিও, টেলিভিশনের বার্তাপ্রধান এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বিএনপি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘শুনেছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলার পরেও এক-দুই ঘণ্টা পর তারা সাড়া দিয়েছে। সেটা কেন? কাদের হাতে আমরা এই রাষ্ট্রব্যবস্থা দেব? নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যারা দায়িত্ব নিয়েছেন, তাঁদের ভূমিকাটা প্রশ্নবিদ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘কিছুদিন যাবৎ গণমাধ্যমকে চিহ্নিত করে, টার্গেট করে হামলা করতে দেখেছি। নতুন নয়। কিছু স্থাপনায়, ঠিকানায় মবোক্রেসিকে অ্যালাও (প্রশ্রয়) করা হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম ডেমোক্রেসি, কিন্তু কেন হয়ে যাবে মবোক্রেসি? তাকে কেন লালন করতে দেওয়া হবে! এগুলো আমি সরকারের দুর্বলতাকেই ইঙ্গিত করছি। এগুলো আরও কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘দেশ নিয়ে গণপ্রত্যাশা, গণ-আকাঙ্ক্ষা অনেক বেশি। পূর্ণ গণতন্ত্র চায় বাংলাদেশের সব মানুষ। গণতন্ত্রকে সর্বক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করতে চায়। গণতন্ত্র বিনির্মাণের জন্য যে প্রতিষ্ঠান সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমাদের শক্তিশালী করতে হবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমনভাবে দাঁড় করাতে হবে, যাতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে।’
গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে গণমাধ্যমকে চতুর্থ স্তম্ভ বলে। সাংবাদিকদের মধ্যে অনেকেরই রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট থাকবে, আছে। কিন্তু বাংলাদেশের স্বার্থের বিবেচনায় সব সময় আমরা যেন দেশের পক্ষেই থাকি। নিরপেক্ষ না থাকি। রাষ্ট্র। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব যদি জনগণ দেয় তাহলে আমাদের সহযোগিতা থাকবে সর্বোচ্চ। আমরা অতীত ভুলে যেতে চাই, তবে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী কি করেছে সেটা স্মরণে রাখতে চাই।’
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘জনগণ আশা করছে, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের খুঁটিটা শক্তিশালী হয়। তিনি বাধ্য হয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর কষ্টকর নির্বাসিত জীবন যাপন করেছেন। তার এই প্রত্যাবর্তনকে আমরা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য কাজে লাগাতে চাই। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শফিক রেহমানের মতো বর্ষীয়ান সাংবাদিককে যেভাবে জেলে নিয়ে যে আচরণ করা হয়েছে! সবকিছু মিলিয়ে ফ্যাসিবাদের আমলে একটা ঘন কালো অন্ধকারের সময় পার করেছি। প্রত্যেকেই কমবেশি আক্রান্ত হয়েছি। এখনো যে বিষয়গুলো আমাদের সামনে আসছে, তা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে।’
এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, ‘একজন তরুণ নেতার এমন মৃত্যুর আমরা প্রতিবাদ জানাই। তাঁর কথার কারণে জীবন দিতে হবে, এটা মেনে নেওয়ার মতো না।’
তিনি বলেন, ‘কারও বক্তব্য এবং মতামতের জন্য তাঁর ওপর আক্রমণ হওয়া ফ্যাসিবাদ-উত্তর সময়ে কাম্য নয়। ভারতে গোদি মিডিয়ার কথা বলা হয়, তেমনি স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে মিডিয়াও ভূমিকা পালন করে।’
মতবিনিময় সভায় পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যক্তিত্বের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আজকের পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কামরুল হাসান, নয়া দিগন্তের সম্পাদক সালাহউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান, দৈনিক খবরের কাগজ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, কালের কণ্ঠ সম্পাদক হাসান হাফিজ, যুগান্তর সম্পাদক আব্দুল হাই শিকদার, নির্বাহী সম্পাদক এনাম আবেদীন, আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ।
মতবিনিময় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আহমেদ পাভেল উপস্থিত ছিলেন।

১৮ ডিসেম্বর রাতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার কার্যালয়ে হামলার কথা উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘প্রথম আলো, ডেইলি স্টার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই দৃশ্য সারা বিশ্ব দেখেছে। সেটা আমাদের জন্য লজ্জার। এটা কোনোভাবে আমরা শুধুমাত্র দুঃখ প্রকাশ করে, ক্ষমা প্রার্থনা করে সমাপ্ত করতে পারব না।’
তিনি বলেন, ‘এখানে সরকারের দায়িত্ব ছিল সবচাইতে বেশি। আমরা জেনেছি, হামলার বিষয়ে ইন্টেলিজেন্স (গোয়েন্দা) রিপোর্ট ছিল। কিন্তু সেটা আমলে নেওয়া হলো না কেন?’
আজ রোববার রাজধানীর হোটেল র্যাডিসন ব্লুতে এক মতবিনিময় সভায় সালাহউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক, রেডিও, টেলিভিশনের বার্তাপ্রধান এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বিএনপি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘শুনেছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলার পরেও এক-দুই ঘণ্টা পর তারা সাড়া দিয়েছে। সেটা কেন? কাদের হাতে আমরা এই রাষ্ট্রব্যবস্থা দেব? নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যারা দায়িত্ব নিয়েছেন, তাঁদের ভূমিকাটা প্রশ্নবিদ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘কিছুদিন যাবৎ গণমাধ্যমকে চিহ্নিত করে, টার্গেট করে হামলা করতে দেখেছি। নতুন নয়। কিছু স্থাপনায়, ঠিকানায় মবোক্রেসিকে অ্যালাও (প্রশ্রয়) করা হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম ডেমোক্রেসি, কিন্তু কেন হয়ে যাবে মবোক্রেসি? তাকে কেন লালন করতে দেওয়া হবে! এগুলো আমি সরকারের দুর্বলতাকেই ইঙ্গিত করছি। এগুলো আরও কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘দেশ নিয়ে গণপ্রত্যাশা, গণ-আকাঙ্ক্ষা অনেক বেশি। পূর্ণ গণতন্ত্র চায় বাংলাদেশের সব মানুষ। গণতন্ত্রকে সর্বক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করতে চায়। গণতন্ত্র বিনির্মাণের জন্য যে প্রতিষ্ঠান সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমাদের শক্তিশালী করতে হবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমনভাবে দাঁড় করাতে হবে, যাতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে।’
গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে গণমাধ্যমকে চতুর্থ স্তম্ভ বলে। সাংবাদিকদের মধ্যে অনেকেরই রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট থাকবে, আছে। কিন্তু বাংলাদেশের স্বার্থের বিবেচনায় সব সময় আমরা যেন দেশের পক্ষেই থাকি। নিরপেক্ষ না থাকি। রাষ্ট্র। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব যদি জনগণ দেয় তাহলে আমাদের সহযোগিতা থাকবে সর্বোচ্চ। আমরা অতীত ভুলে যেতে চাই, তবে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী কি করেছে সেটা স্মরণে রাখতে চাই।’
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘জনগণ আশা করছে, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের খুঁটিটা শক্তিশালী হয়। তিনি বাধ্য হয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর কষ্টকর নির্বাসিত জীবন যাপন করেছেন। তার এই প্রত্যাবর্তনকে আমরা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য কাজে লাগাতে চাই। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শফিক রেহমানের মতো বর্ষীয়ান সাংবাদিককে যেভাবে জেলে নিয়ে যে আচরণ করা হয়েছে! সবকিছু মিলিয়ে ফ্যাসিবাদের আমলে একটা ঘন কালো অন্ধকারের সময় পার করেছি। প্রত্যেকেই কমবেশি আক্রান্ত হয়েছি। এখনো যে বিষয়গুলো আমাদের সামনে আসছে, তা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে।’
এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, ‘একজন তরুণ নেতার এমন মৃত্যুর আমরা প্রতিবাদ জানাই। তাঁর কথার কারণে জীবন দিতে হবে, এটা মেনে নেওয়ার মতো না।’
তিনি বলেন, ‘কারও বক্তব্য এবং মতামতের জন্য তাঁর ওপর আক্রমণ হওয়া ফ্যাসিবাদ-উত্তর সময়ে কাম্য নয়। ভারতে গোদি মিডিয়ার কথা বলা হয়, তেমনি স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে মিডিয়াও ভূমিকা পালন করে।’
মতবিনিময় সভায় পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যক্তিত্বের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আজকের পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কামরুল হাসান, নয়া দিগন্তের সম্পাদক সালাহউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান, দৈনিক খবরের কাগজ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, কালের কণ্ঠ সম্পাদক হাসান হাফিজ, যুগান্তর সম্পাদক আব্দুল হাই শিকদার, নির্বাহী সম্পাদক এনাম আবেদীন, আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ।
মতবিনিময় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আহমেদ পাভেল উপস্থিত ছিলেন।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি। সরকারের উদ্দেশে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘এরা (সরকার) জনগণের দাবি উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচন করার জন্য উন্মাদ, উদ্ভ্রান্ত হয়ে গেছে।’
১৪ নভেম্বর ২০২৩
রোববার রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন গোলাম পরওয়ার।
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত লন্ডন-ঢাকা রুটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট থেকে দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিরাপত্তা ও ভিআইপি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বিবেচনায় এনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
১২ ঘণ্টা আগে
জামায়াত আমির বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে, এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। এই লক্ষ্যে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করে যাব। মূল কথা হলো নির্বাচনটা যেন সুষ্ঠু হয়, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, জনমতের প্রতিফলন ঘটে। এখানে যেন অন্য কিছু চিন্তা না করা হয়।’
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘ওসমান হাদি চাইত দেশ আধিপত্যবাদী শক্তির হাত থেকে মুক্ত থাকুক। তাই যারা দিল্লির আধিপত্যবাদীদের খুশি করতে চায়, তারাই এই হত্যার মদদদাতা। ওসমান হাদি বিজাতীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে “ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার” গড়ে তুলেছিল। আমাদের জাতিসত্তা, আমাদের ইসলামি মূল্যবোধ, আমাদের সুস্থ স্বদেশীয় জাতীয় সংস্কৃতির বিরোধিতা যারা করে, বিজাতীয় সংস্কৃতি যারা এখানে আনতে চায়—তারাই ওসমান হাদির খুনির পক্ষে। দুইয়ে দুইয়ে চার হয়, এই অঙ্ক সহজেই বোঝা যায়।’
আজ রোববার রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিনা হাদি স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন গোলাম পরওয়ার।
ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টার একটি সময়সীমা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আমরা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও দাবি করছি—প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জাতির সামনে স্পষ্ট করুন। যদি তা না করেন, তবে জাতি বিশ্বাস করবে যে প্রশাসনের ভেতরে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা লুকিয়ে আছে যারা খুনিদের রক্ষা করছে। ওসমানের মতো মৃত্যুঞ্জয়ী বীরেরা বিদায় নেবে আর আপনারা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন খেয়েও দায়িত্ব পালন করবেন না, তা জনগণ মেনে নেবে না।’
তিনি যোগ করেন, ‘সরকারের যদি কোনো ব্যর্থতা থাকে, কোনো গোয়েন্দা কর্মকর্তা যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন—জাতির কাছে বলেন, তার দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দেন। তার জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করেন।’
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আপনি ওসমান হাদির জানাজায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে—প্রিয় হাদি, আমরা তোমাকে বিদায় জানাতে আসিনি। আমরা তোমার কাছে শপথ নিতে এসেছি। ওয়াদা করতে এসেছি।— সেই ওয়াদাটা আপনি রক্ষা করুন। আপনার উপদেষ্টাদের বলুন। ইন্টেলিজেন্সের (গোয়েন্দা তথ্য) ব্যর্থতার জন্য যারা দায়ী তাদের নাম প্রকাশ করুন, না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। তাহলেই হাদির কফিনকে সামনে রেখে আপনি যে ওয়াদার অঙ্গীকারের কথা বলেছেন সেটা সত্য বলেছেন বলে প্রমাণিত হবে।’
দেশবাসীর উদ্দেশে এই জামায়াত নেতা বলেন, ‘সরকারের এই নীরবতার দেয়াল ভেঙে এই জাতির গণ-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে একাত্ম হওয়া উচিত। শহীদ ওসমান বিন হাদির পরিবারের সঙ্গে আমরা শুধু জামায়াতে ইসলামি নয়, সারা দেশবাসী আছে এবং ইনশা আল্লাহ থাকবে।’
দোয়া মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, এটিএম মা’ছুম, ওসমান হাদির বড় ভাই ওমর ফারুক।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘ওসমান হাদি চাইত দেশ আধিপত্যবাদী শক্তির হাত থেকে মুক্ত থাকুক। তাই যারা দিল্লির আধিপত্যবাদীদের খুশি করতে চায়, তারাই এই হত্যার মদদদাতা। ওসমান হাদি বিজাতীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে “ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার” গড়ে তুলেছিল। আমাদের জাতিসত্তা, আমাদের ইসলামি মূল্যবোধ, আমাদের সুস্থ স্বদেশীয় জাতীয় সংস্কৃতির বিরোধিতা যারা করে, বিজাতীয় সংস্কৃতি যারা এখানে আনতে চায়—তারাই ওসমান হাদির খুনির পক্ষে। দুইয়ে দুইয়ে চার হয়, এই অঙ্ক সহজেই বোঝা যায়।’
আজ রোববার রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিনা হাদি স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন গোলাম পরওয়ার।
ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টার একটি সময়সীমা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আমরা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও দাবি করছি—প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জাতির সামনে স্পষ্ট করুন। যদি তা না করেন, তবে জাতি বিশ্বাস করবে যে প্রশাসনের ভেতরে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা লুকিয়ে আছে যারা খুনিদের রক্ষা করছে। ওসমানের মতো মৃত্যুঞ্জয়ী বীরেরা বিদায় নেবে আর আপনারা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন খেয়েও দায়িত্ব পালন করবেন না, তা জনগণ মেনে নেবে না।’
তিনি যোগ করেন, ‘সরকারের যদি কোনো ব্যর্থতা থাকে, কোনো গোয়েন্দা কর্মকর্তা যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন—জাতির কাছে বলেন, তার দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দেন। তার জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করেন।’
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আপনি ওসমান হাদির জানাজায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে—প্রিয় হাদি, আমরা তোমাকে বিদায় জানাতে আসিনি। আমরা তোমার কাছে শপথ নিতে এসেছি। ওয়াদা করতে এসেছি।— সেই ওয়াদাটা আপনি রক্ষা করুন। আপনার উপদেষ্টাদের বলুন। ইন্টেলিজেন্সের (গোয়েন্দা তথ্য) ব্যর্থতার জন্য যারা দায়ী তাদের নাম প্রকাশ করুন, না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। তাহলেই হাদির কফিনকে সামনে রেখে আপনি যে ওয়াদার অঙ্গীকারের কথা বলেছেন সেটা সত্য বলেছেন বলে প্রমাণিত হবে।’
দেশবাসীর উদ্দেশে এই জামায়াত নেতা বলেন, ‘সরকারের এই নীরবতার দেয়াল ভেঙে এই জাতির গণ-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে একাত্ম হওয়া উচিত। শহীদ ওসমান বিন হাদির পরিবারের সঙ্গে আমরা শুধু জামায়াতে ইসলামি নয়, সারা দেশবাসী আছে এবং ইনশা আল্লাহ থাকবে।’
দোয়া মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, এটিএম মা’ছুম, ওসমান হাদির বড় ভাই ওমর ফারুক।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি। সরকারের উদ্দেশে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘এরা (সরকার) জনগণের দাবি উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচন করার জন্য উন্মাদ, উদ্ভ্রান্ত হয়ে গেছে।’
১৪ নভেম্বর ২০২৩
১৮ ডিসেম্বর রাতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার কার্যালয়ে হামলার কথা উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘প্রথম আলো, ডেইলি স্টার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই দৃশ্য সারা বিশ্ব দেখেছে। সেটা আমাদের জন্য লজ্জার।
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত লন্ডন-ঢাকা রুটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট থেকে দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিরাপত্তা ও ভিআইপি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বিবেচনায় এনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
১২ ঘণ্টা আগে
জামায়াত আমির বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে, এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। এই লক্ষ্যে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করে যাব। মূল কথা হলো নির্বাচনটা যেন সুষ্ঠু হয়, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, জনমতের প্রতিফলন ঘটে। এখানে যেন অন্য কিছু চিন্তা না করা হয়।’
১২ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত লন্ডন-ঢাকা রুটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট থেকে দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিরাপত্তা ও ভিআইপি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বিবেচনায় এনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
প্রত্যাহার করা কেবিন ক্রুরা হলেন জুনিয়র পার্সার মো. সওগাতুল আলম সওগাত এবং ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস জিনিয়া ইসলাম। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার তথ্যের ভিত্তিতেই তাঁদের ফ্লাইট দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে ওই দুই কেবিন ক্রুর ছবি ছড়িয়ে পড়ে, যা নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয়। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা নিয়মিত সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সেলিমের ফ্লাইট পরিচালনার দায়িত্বে যুক্ত ছিলেন। এসব বিষয় গোয়েন্দা প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত থাকায় ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়।
বিমান সূত্র জানায়, তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি আগামী বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই ফ্লাইটে তারেক রহমানের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতাও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগ পরে ওই ফ্লাইটে জুনিয়র পার্সার মোস্তফা এবং ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস আয়াতকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ ধরনের ব্যবস্থা আগে নেওয়ার নজির রয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ২ মে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একটি ফ্লাইট থেকেও গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দুই কেবিন ক্রুকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে সময়ও ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত লন্ডন-ঢাকা রুটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট থেকে দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিরাপত্তা ও ভিআইপি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বিবেচনায় এনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
প্রত্যাহার করা কেবিন ক্রুরা হলেন জুনিয়র পার্সার মো. সওগাতুল আলম সওগাত এবং ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস জিনিয়া ইসলাম। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার তথ্যের ভিত্তিতেই তাঁদের ফ্লাইট দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে ওই দুই কেবিন ক্রুর ছবি ছড়িয়ে পড়ে, যা নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয়। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা নিয়মিত সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সেলিমের ফ্লাইট পরিচালনার দায়িত্বে যুক্ত ছিলেন। এসব বিষয় গোয়েন্দা প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত থাকায় ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়।
বিমান সূত্র জানায়, তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি আগামী বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই ফ্লাইটে তারেক রহমানের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতাও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগ পরে ওই ফ্লাইটে জুনিয়র পার্সার মোস্তফা এবং ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস আয়াতকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ ধরনের ব্যবস্থা আগে নেওয়ার নজির রয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ২ মে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একটি ফ্লাইট থেকেও গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দুই কেবিন ক্রুকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে সময়ও ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি। সরকারের উদ্দেশে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘এরা (সরকার) জনগণের দাবি উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচন করার জন্য উন্মাদ, উদ্ভ্রান্ত হয়ে গেছে।’
১৪ নভেম্বর ২০২৩
১৮ ডিসেম্বর রাতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার কার্যালয়ে হামলার কথা উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘প্রথম আলো, ডেইলি স্টার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই দৃশ্য সারা বিশ্ব দেখেছে। সেটা আমাদের জন্য লজ্জার।
৯ ঘণ্টা আগে
রোববার রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন গোলাম পরওয়ার।
৯ ঘণ্টা আগে
জামায়াত আমির বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে, এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। এই লক্ষ্যে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করে যাব। মূল কথা হলো নির্বাচনটা যেন সুষ্ঠু হয়, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, জনমতের প্রতিফলন ঘটে। এখানে যেন অন্য কিছু চিন্তা না করা হয়।’
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে বলে দৃঢ় আশাবাদী জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ রোববার ফজরের নামাজ শেষে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে, এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। এই লক্ষ্যে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করে যাব। মূল কথা হলো নির্বাচনটা যেন সুষ্ঠু হয়, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, জনমতের প্রতিফলন ঘটে। এখানে যেন অন্য কিছু চিন্তা না করা হয়।’
আজকের এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর অনেক বড় দায়িত্ব উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝি ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগোতে হবে। আদর্শ ও কৌশলে দলগুলোর ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু লড়াই হতে হবে মুক্তির লড়াই, মানবতার লড়াই। ব্যক্তি নয়, দল নয়—জাতিই বড়। এই আদর্শের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে পথ চলতে হবে।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘গতকালকের জানাজায় বারবার উচ্চারিত হয়েছে—আমরা খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চাই। সরকারের কর্মকাণ্ডে জনগণ সন্তুষ্ট নয়। গতকালের জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা অংশ নিয়েছেন, আশা করি তিনি জনগণের পালস বুঝতে পেরেছেন। অতি দ্রুত সমস্ত সন্দেহ-সংশয়ের ঊর্ধ্বে উঠে খুনিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।’
যদি খুনিরা পার পেয়ে যায়, তবে আমাদের কারও নিরাপত্তা থাকবে না—মন্তব্য করে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, যিনি আসমান-জমিনের মালিক, তিনিই আমাদের জীবন ও নিরাপত্তার মালিক। তাই আমাদের জীবন আল্লাহর হাতে সঁপে দিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আমরা কাজ করে যাব।’
যারা বিপ্লবী, তাঁদের খুন করে বিপ্লবের চেতনাকে কখনো স্তব্ধ করা যায় না; বরং সেই চেতনা আরও ছড়িয়ে পড়ে বলেও মন্তব্য করেন শফিকুর রহমান। আরও বলেন, ‘গতকালকের জানাজা সারা দুনিয়াকে সেই বার্তা দিয়েছে। আমরা আজ শপথ নিতে চাই, আল্লাহ তাআলা যে দেশে আমাদের পয়দা করেছেন, সেই দেশ ও জাতির জন্য আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে লড়ে যাব ইনশা আল্লাহ।’

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে বলে দৃঢ় আশাবাদী জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ রোববার ফজরের নামাজ শেষে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে, এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। এই লক্ষ্যে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করে যাব। মূল কথা হলো নির্বাচনটা যেন সুষ্ঠু হয়, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, জনমতের প্রতিফলন ঘটে। এখানে যেন অন্য কিছু চিন্তা না করা হয়।’
আজকের এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর অনেক বড় দায়িত্ব উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝি ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগোতে হবে। আদর্শ ও কৌশলে দলগুলোর ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু লড়াই হতে হবে মুক্তির লড়াই, মানবতার লড়াই। ব্যক্তি নয়, দল নয়—জাতিই বড়। এই আদর্শের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে পথ চলতে হবে।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘গতকালকের জানাজায় বারবার উচ্চারিত হয়েছে—আমরা খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চাই। সরকারের কর্মকাণ্ডে জনগণ সন্তুষ্ট নয়। গতকালের জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা অংশ নিয়েছেন, আশা করি তিনি জনগণের পালস বুঝতে পেরেছেন। অতি দ্রুত সমস্ত সন্দেহ-সংশয়ের ঊর্ধ্বে উঠে খুনিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।’
যদি খুনিরা পার পেয়ে যায়, তবে আমাদের কারও নিরাপত্তা থাকবে না—মন্তব্য করে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, যিনি আসমান-জমিনের মালিক, তিনিই আমাদের জীবন ও নিরাপত্তার মালিক। তাই আমাদের জীবন আল্লাহর হাতে সঁপে দিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আমরা কাজ করে যাব।’
যারা বিপ্লবী, তাঁদের খুন করে বিপ্লবের চেতনাকে কখনো স্তব্ধ করা যায় না; বরং সেই চেতনা আরও ছড়িয়ে পড়ে বলেও মন্তব্য করেন শফিকুর রহমান। আরও বলেন, ‘গতকালকের জানাজা সারা দুনিয়াকে সেই বার্তা দিয়েছে। আমরা আজ শপথ নিতে চাই, আল্লাহ তাআলা যে দেশে আমাদের পয়দা করেছেন, সেই দেশ ও জাতির জন্য আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে লড়ে যাব ইনশা আল্লাহ।’

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি। সরকারের উদ্দেশে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘এরা (সরকার) জনগণের দাবি উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচন করার জন্য উন্মাদ, উদ্ভ্রান্ত হয়ে গেছে।’
১৪ নভেম্বর ২০২৩
১৮ ডিসেম্বর রাতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার কার্যালয়ে হামলার কথা উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘প্রথম আলো, ডেইলি স্টার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই দৃশ্য সারা বিশ্ব দেখেছে। সেটা আমাদের জন্য লজ্জার।
৯ ঘণ্টা আগে
রোববার রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন গোলাম পরওয়ার।
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত লন্ডন-ঢাকা রুটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট থেকে দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিরাপত্তা ও ভিআইপি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বিবেচনায় এনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
১২ ঘণ্টা আগে