Ajker Patrika

জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল প্রশ্নে নানা দলের নানা মত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, সিপিবি
বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, সিপিবি

অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কার কমিশন কর্তৃক প্রস্তাবিত রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন প্রশ্নে ঐকমত্য হয়নি। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে বিএনপি, সিপিবিসহ কয়েকটি দল এই প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ অধিকাংশ দল সাংবিধানিক নিয়োগের ক্ষেত্রে এনসিসি গঠন জরুরি বলে জানিয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের দ্বিতীয় দফা সংলাপের তৃতীয় দিনের আলোচনার দুপুরের বিরতিতে এসব কথা জানান দলগুলোর নেতারা।

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আমাদের অ্যাটর্নি জেনারেল, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ যেসব নিয়োগ আছে, সেসব জায়গায় আগে যে প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হতো, সেখানে আমরা দেখতাম অনেকটা দলীয় নিয়োগ হতো। তাই সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ কীভাবে হবে, তা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এগুলো কি আগের নিয়মেই হবে? নাকি এখানে কোনো সংস্কার চাই। আমরা বলেছি, এখানে সংস্কার চাই। এই সংস্কারের প্রস্তাবটাই এনসিসি। এ বিষয়ে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল একমত প্রকাশ করেছে। কয়েকটি দল এখনো একমত হয় নাই, আমরা আশা করি, তারা শিগগির একমত হবে।’

মজিবুর রহমান মঞ্জু আরও বলেন, ‘এনসিসির বিষয়ে পুরোটাতেই আমরা একমত পোষণ করেছি। শুধু একটি বিষয়ে দ্বিমত জানিয়েছি, প্রধান বিচারপতিকে এটার বাইরে রাখা যেতে পারে।’

মঞ্জু বলেন, নির্বাহী বিভাগের নামে সব নিয়োগ একজন ব্যক্তি, একটি দলের ইচ্ছার অধীনে চলে যায়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা এনসিসির বিষয়ে আগে থেকেই নীতিগতভাবে একমত ছিলাম। কিন্তু আজকে আমরা লক্ষ করলাম, সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়া সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষভাবে কাজ করার সক্ষমতা নিয়ে যাঁরা দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন, তাঁরা এখন এটির বিরোধিতা করছেন। আমরা মনে করি, এসব সংস্কারের এখনই সময়, দলীয় সরকার এই জায়গাগুলো সংস্কার করবে না।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘এনসিসি গঠনের বিষয়ে কিছু দল পক্ষে, আর কিছু দল বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তবে যারা বিপক্ষে রয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে বিকল্প প্রস্তাব দিতে হবে।’

নাহিদ বলেন, ‘এনসিসি গঠন প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সমর্থন রয়েছে এনসিপির। কারণ, বিগত দিনে নির্বাচন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, দুদক, মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করা হয়েছে। বিতর্কিত করা হয়েছে। বিশেষ করে, নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। একতরফা নির্বাচনের বিষয়ে কমিশন সব সময় সাফাই গেয়ে গেছে। আর গুম-খুন বন্ধে মানবাধিকার কমিশন কোনো ভূমিকা রাখেনি। আমরা আগের প্রক্রিয়ায় যে নিয়োগ, তা কোনোভাবেই সমর্থন করি না। যারা বিরোধিতা করছেন, তাদের যদি বিকল্প কোনো প্রস্তাবনা থাকে, এই কমিশনগুলো যাতে নিরপেক্ষ থাকে, দলীয়করণ না হয়, রাষ্ট্রের সবার যাতে এই কমিশনগুলোর প্রতি আস্থা থাকে, সেই বিষগুলো যাতে নিশ্চিত করা হয়।’

নাহিদ বলেন, ‘বিগত সময়ে নির্বাহী বিভাগ বা প্রধানমন্ত্রী যেভাবে ক্ষমতাচর্চা করত, তা অন্যায্য ও অগণতান্ত্রিক। সেই সংস্কৃতি থেকে আমাদের সরে আসতে হবে। সেটার জন্যই গণ-অভ্যুত্থান, সেটার জন্যই সংস্কার, সেটার জন্যই এত আলোচনা। তাই আমরা আহ্বান জানিয়েছি যে, দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য যেন সবাই কাজ করে। সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আমরা বলেছিলাম, অ্যাটর্নি জেনারেল ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এনসিসির এখতিয়ারে থাকা উচিত না। এটা সরকারের আওতায়ই থাকা উচিত। তাই আমরা চাই, এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে যেন সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ না থাকে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য এসব প্রতিষ্ঠানকে স্বচ্ছ রাখতে হবে।’

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ‘রাষ্টের ৫৪ বছরের যে কর্তৃত্ববাদী শাসন তৈরি আছে, তা থেকে উত্তরণের জন্য এনসিসির প্রস্তাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার ক্ষমতাকাঠামো, গঠন প্রণালি কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।’

ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘এই কাউন্সিল গঠন জাতির জন্য খুবই জরুরি। কিন্তু এটি যেন সরকারের ভেতরে আরেকটি সরকার না হয়, সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে।’

১২-দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বিএলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘আমরা বলেছি, এটা এই মুহূর্তে অপ্রয়োজনীয়। ভবিষ্যতে যে রাজনৈতিক সরকার আসবে, তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে এনসিসির প্রয়োজন মনে করছি না। কিন্তু আরও আলোচনার ভিত্তিতে পরে এইসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এনসিসির বিষয়ে অনেকে ঐকমত্য। কিন্তু আমরা খোঁজ নিয়ে দেখলাম, অনেকগুলো জোট, বড় দল এখনো ঐকমত্য হচ্ছে না।’

রুহিন হোসেন প্রিন্স আরও বলেন, ‘সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এই মুহূর্তে সময়ের দাবি। আমরা আশা করি, ঐকমত্য কমিশন ও সরকার নির্বাচনের জন্য যথাযথ ভূমিকা পালন করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আসনের বিনিময়ে এনসিপির কিছু মানুষ মূল আকাঙ্ক্ষা থেকে বিচ্যুত হলো: সামান্তা শারমিন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সামান্তা শারমিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সামান্তা শারমিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী জোট চূড়ান্ত। আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি ও এলডিপিকে (একাংশ) নিয়ে ১০ দলীয় জোট ঘোষণা করেছেন জামায়াতের শফিকুর রহমান।

এ নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির কিছু মানুষ কতিপয় আসনের বিনিময়ে দলের মূল আকাঙ্ক্ষা থেকে বিচ্যুত হলো।’

প্রতিক্রিয়ায় সামান্তা বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর প্রেস কনফারেন্স থেকে জানতে পারলাম এনসিপি আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছে। গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের আত্মপ্রকাশের দিন জোটের মুখপাত্র ও এনসিপির আহ্বায়কের বক্তব্য অনুযায়ী তা হওয়ার কথা নয়। এমনকি তিন দলের একটি দল রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ইতিমধ্যে তাদের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের কথা উল্লেখ করেছেন এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে না জানিয়ে আসন সমঝোতার দিকে গেছে এনসিপি তাও উল্লেখ করেছেন।’

এমন নির্বাচনী জোটের ব্যাপারে নিজের অসন্তোষের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তৃতীয় শক্তি তৈরির উদ্যোগকে ব্যাহত করে এমন অবস্থান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মূলধারাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমি এনসিপির এত দিনের সকল বক্তব্যকে ধারণ করি, স্বাগত জানাই।’

সামান্তা বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির কিছু মানুষ কতিপয় আসনের বিনিময়ে ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ বিকাল ৫.৩০-এ দলের মূল আকাঙ্ক্ষা থেকে বিচ্যুত হলো।’

জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী জোট নিয়ে শুরু থেকেই এনসিপির অভ্যন্তরে বিরোধ চলছে। এই বিরোধের জেরে এরই মধ্যে দুই যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা ও তাজনূভা জাবীন পদত্যাগ করেছেন। আরও অনেকের পদত্যাগের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করার কোনো যৌক্তিকতা দেখছি না, যেহেতু আমি এনসিপির আনুষ্ঠানিক সকল বয়ান সাবস্ক্রাইব করি। কেউ কেউ বিচ্যুত হলেও দল হিসেবে এনসিপি সঠিক অবস্থানেই ছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দিনাজপুরে খালেদা জিয়ার আসনে মনোনয়নপত্র নিলেন বিএনপির আরেক নেতা

প্রতিনিধি (দিনাজপুর) 
বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পর এবার একই আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। আজ রোববার দিনাজপুর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নূর-ই-আলম সিদ্দিকীর কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি।

এ সময় নেতা-কর্মীদের হাতে দিনাজপুর সদর-৩ আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে মর্মে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত একটি পত্র দেখা গেছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার ওই আসনে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ। আজ সেই মনোনয়নপত্রটি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।

মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দলের উচ্চপর্যায় থেকে দিনাজপুর-৩ আসনে আমাকে মনোনয়ন ফরম উত্তোলনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজ মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছি।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দলীয় চেইন অব কমান্ডের বাইরে আমরা কিছু বলতে পারি না।’

উল্লেখ্য, দিনাজপুর-৩ আসন থেকে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নেবেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে সপ্তম ও অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় পেয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার বড় বোন প্রয়াত খুরশিদ জাহান হক চকলেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এনসিপিসহ ১০ দলের জোট ঘোষণা করলেন জামায়াতের আমির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৩০
জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন ৮ দলের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন ৮ দলের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে নির্বাচনী জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।

আজ রোববার ‘জরুরি’ সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আরও দুটি দল যুক্ত হয়েছে। একটি কর্নেল অলির নেতৃত্বাধীন এলডিপি ও অপরটি এনসিপি।’

জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এই সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত আমীর বলেন, ‘আমরা ৮ দল অনেক দিন ধরে এক সঙ্গে আন্দোলন করে আসছি। এখন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং কর্নেল অলি আহমদ নেতৃত্বাধীন এলডিপি। আমাদের আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত, কিছু আলোচনা বাকি আছে। সেগুলো আশা করি শিগগিরই শেষ হবে। এরপর আমরা ঘোষণা করব।’

জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে আমাদের আলোচনা আজকে সমাপ্ত হয়েছে। তাঁরা এখানে আসার সুযোগ পাননি। তাঁরা রাতে একটি প্রেস কনফারেন্স করে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন।’

জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘আমাদের আসন সমঝোতা অলমোস্ট কমপ্লিট। সামান্য যা বাকি আছে, তা আলোচনার ভিত্তিতে আমরা সুন্দরভাবে শেষ করতে পারব আশা করি।’

এর আগে বিকেলে ঢাকা-১৩ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে অংশীজন দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে আসন সমঝোতার মাধ্যমে জোটের মাধ্যমে ভোটে অংশ নিচ্ছি। অন্যান্য দলের সঙ্গে খেলাফত মজলিস, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপিও থাকবে।’

১০ দলের মধ্যে আসন বণ্টন কীভাবে হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুর রহমান বলেন,‘আমরা সবাই সবার হাতে আসন তুলে দিব। যার যে যোগ্যতা, তার ভিত্তিতেই আসনগুলো তুলে দেব। খুব শিগগিরই আসন ঘোষণা হবে।’

আরও কোনো দলের যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, ‘এখন কেউ আসতে চাইলে আমরা সবাইকে কবুল করব, তবে এই মুহূর্তে সবাইকে একসঙ্গে অ্যাকোমডেট করা আমাদের জন্য কঠিন হতে পারে। তারপরও যদি কোনো বিশেষ বিষয় থাকে, তাহলে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেব।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, খেলাফত মজলিশের আমির মামুনুল হকসহ জোটের অন্য নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এনসিপিসহ জুলাই বিপ্লবে অংশীজনেরা ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন করছে: মামুনুল হক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রোববার বিকেলে ঢাকা-১৩ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মামুনুল হক। ছবি: আজকের পত্রিকা
রোববার বিকেলে ঢাকা-১৩ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মামুনুল হক। ছবি: আজকের পত্রিকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক। এই জোটে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) জুলাই বিপ্লবের অংশীজনেরা থাকছে বলে জানান তিনি।

আজ রোববার বিকেলে ঢাকা-১৩ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন তিনি।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও ঢাকা-১৫ ও ১৩ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলীর কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন মামুনুল হক।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর মামুনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে অংশীজন দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে আসন সমঝোতার মাধ্যমে জোটের মাধ্যমে ভোটে অংশ নিচ্ছি। অন্যান্য দলের সঙ্গে খেলাফতে মজলিশ, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপিসহ অন্যান্য দল থাকবে।’

কতটি দল থাকবে সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা এখনো ঠিক হয়নি। বিকেলে আমাদের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে।’

জোটে আপনারা কতটি আসন দাবি করেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেটা এই মুহূর্তে বলছি না, প্রক্রিয়াধীন আছে।’

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে মামুনুল হক বলেন, ‘আমরা এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেখতে পাচ্ছি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত