নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দেশের সংবিধান-রাজনীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে সংস্কার করা। সেই লক্ষ্যে তারা বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে এবং কমিশনগুলো অনেক প্রস্তাব করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য ছাড়া এসব সংস্কার করাও কঠিন। কিন্তু সংবিধান থেকে শুরু করে নির্বাচনসহ অনেক বিষয়ে প্রধান দলগুলোর অবস্থানে বেশ ফারাক লক্ষ করা যাচ্ছে। সরকারের দিক থেকে ঐকমত্য কমিশন করে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে এই মতৈক্য ঘোচানোর চেষ্টা চলছে। তারপরও অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দলগুলো নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ।
বিএনপি শুরু থেকেই বলে আসছে সংস্কার নিয়ে তাদের আপত্তি নেই। সংস্কার অবশ্যই দরকার। তবে দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। এ জন্য ন্যূনতম যে সংস্কার দরকার, তা করার পক্ষে মত দিয়ে যাচ্ছে দলটি। বিএনপির এই মতের সঙ্গে মিল নেই তাদের একসময়ের মিত্র জামায়াতে ইসলামীর। নির্বাচনের আগেই সংস্কারের বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কথা বলে যাচ্ছে দলটি। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছে তারা। এমনকি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চেয়েছেন জামায়াতের নেতারা। জামায়াতের এই দাবির প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছেন বিএনপির নেতারা।
অন্য দিকে সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বরাবরই সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দলটির বক্তব্য—সংস্কার ছাড়া কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। এ অবস্থানে অনড় থেকে জাতীয় নির্বাচনের আগে সংস্কারপ্রক্রিয়া শেষ করার পক্ষে মত দিয়ে যাচ্ছেন দলটির নেতারা।
সংস্কার বিষয়ে মতভিন্নতা দূর করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ফেব্রুয়ারিতে গঠন করা হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। মতভিন্নতা দূর করতে দলগুলোর কাছে মতামত চাওয়াসহ যোগাযোগ করছে কমিশন।
সর্বশেষ গত শনিবার জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক হলো, যেখানে আলোচনার মূল বিষয়বস্তুই ছিল সংস্কার। সেই আলোচনার পরেও সংস্কার প্রশ্নে নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে দলগুলো।
জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা যেটা বলেছি, মূলত নির্বাচন-কেন্দ্রিক সংস্কারগুলো করে ফেলা, তারপর দ্রুত নির্বাচন করা, এরপর একটি সংসদের মাধ্যমে বাড়তি সংস্কার করা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, এটাই আমরা বলেছি।’
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে বিএনপির জনপ্রিয়তা দেখে একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে। যত দিন যাবে, এই ষড়যন্ত্র আরও ডালপালা মেলার সুযোগ পাবে। যে কারণে সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন বিলম্ব করতে রাজি নয় বিএনপি।
তাই আগের অবস্থানে থেকেই পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে চান দলটির নীতিনির্ধারকেরা। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর মধ্যেও অনেক দলই সংস্কার, সংলাপকে নির্বাচন বিলম্বের কারণ মনে করছে। দলগুলোর একাধিক নেতা বলেছেন, সংলাপের মাধ্যমে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। আলোচনা হচ্ছে, নির্বাচনের দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের রোডম্যাপটা কেন দেওয়া হচ্ছে না—এমন প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা।
শনিবার এক ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ভোট নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। যাতে নির্বাচন বিলম্বে হয়, সেজন্য অছিলা দেওয়া হচ্ছে, সংস্কার নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র মেরামতের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের। সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হলো জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
সংস্কার প্রসঙ্গে এনসিপির উদ্দেশে গতকাল এক অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গণপরিষদ, উপজেলা এসব বাদ দেন। নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য গ্রামেগঞ্জে যান এবং নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হলে প্রার্থী দেন। সংসদে যান, সেখানেই হবে মূল সংস্কার। ভোটকেন্দ্রের সংস্কার করেন। আর যাঁরা ভোট নেবেন, তাঁরা যেন হাসিনার মতো রাতে ভোট না করে সে ব্যবস্থা করেন।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা মনে করি একটা ভালো নির্বাচন হোক। মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে গেলে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সেটার জন্য যতটুকু সংস্কার করা দরকার, সেইটুকু করা হোক।’
এদিকে পাঁচটি সংস্কার কমিশনে মতামত দিতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। সেখানে গণপরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে বিশেষ কোনো মতামত নেই বলে জানিয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘গণপরিষদ প্রশ্নে আমাদের কোনো মতামত নেই। মতামত অনেক রকম আসছে, কমিশনও বলছে, গণপরিষদ আর জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে আবার আলাদাও হতে পারে। গণপরিষদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা আছে। গণপরিষদ হয় একটা নতুন দেশের সংবিধান প্রণয়নের জন্য। সংবিধান তো জাতীয় সংসদেও প্রণয়ন করা যায়। এসব বিষয়ে আমরা আমাদের সুবিধা-অসুবিধা উল্লেখ করে পরামর্শ দিয়েছি। এখন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এসব রিপোর্টের ভিত্তিতে সব দলের সঙ্গে বসবে, ওয়ান টু ওয়ান কথা হবে। তারপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’
দেশের বর্তমানে যে পরিস্থিতি, সেটা নির্বাচনের জন্য সহায়ক নয় বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন। সংস্কার প্রশ্নে বিভিন্ন দলের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য এটা ভয়াবহ। প্রশাসনসহ প্রত্যেকটা জায়গায় রদবদল হয়েছে। বিএনপির অনেকেই সেখানে এসেছে। তারা যদি বিভিন্ন জায়গায় অসহযোগিতা করে, তাহলে সেটা তো দেরি হবে।
অনেক রাজনৈতিক দল সরকারকে সহায়তা না করে বরং পরিস্থিতি আরও কঠিন করছে জানিয়ে সামান্থা বলেন, অসহযোগিতা থাকলে সময়মতো নির্বাচন অসম্ভব হয়ে পড়বে। বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা না করে দলীয় স্বার্থ চিন্তা করা হলে তো ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংস্কার নিয়ে ন্যাশনাল চার্টার তৈরি করা এবং সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে আমাদের প্রস্তাব। সরকার একটা ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা করছে। এসব বিষয়ে নিশ্চয় একটা ঐকমত্য তৈরি হবে। তবে এসব বিষয়ে আলোচনা এখনো শুরু হয়নি।
তবে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের বিষয়ে দৃঢ়সংকল্প ব্যক্ত করেছে বলে জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলই সংস্কার চায়। জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানিয়ে এসেছে দলগুলো।
তবে সংস্কার বিষয়ে দলগুলোর ভিন্নমত প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অবস্থান থেকে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া অবশ্যই জানাবে। আনুষ্ঠানিকভাবে তারা যেটা জানাবে তখনই আমরা বিবেচনায় নেব, আলোচনা করব। তাদের মতামত নিয়ে আলোচনা অবশ্যই হবে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দেশের সংবিধান-রাজনীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে সংস্কার করা। সেই লক্ষ্যে তারা বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে এবং কমিশনগুলো অনেক প্রস্তাব করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য ছাড়া এসব সংস্কার করাও কঠিন। কিন্তু সংবিধান থেকে শুরু করে নির্বাচনসহ অনেক বিষয়ে প্রধান দলগুলোর অবস্থানে বেশ ফারাক লক্ষ করা যাচ্ছে। সরকারের দিক থেকে ঐকমত্য কমিশন করে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে এই মতৈক্য ঘোচানোর চেষ্টা চলছে। তারপরও অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দলগুলো নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ।
বিএনপি শুরু থেকেই বলে আসছে সংস্কার নিয়ে তাদের আপত্তি নেই। সংস্কার অবশ্যই দরকার। তবে দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। এ জন্য ন্যূনতম যে সংস্কার দরকার, তা করার পক্ষে মত দিয়ে যাচ্ছে দলটি। বিএনপির এই মতের সঙ্গে মিল নেই তাদের একসময়ের মিত্র জামায়াতে ইসলামীর। নির্বাচনের আগেই সংস্কারের বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কথা বলে যাচ্ছে দলটি। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছে তারা। এমনকি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চেয়েছেন জামায়াতের নেতারা। জামায়াতের এই দাবির প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছেন বিএনপির নেতারা।
অন্য দিকে সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বরাবরই সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দলটির বক্তব্য—সংস্কার ছাড়া কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। এ অবস্থানে অনড় থেকে জাতীয় নির্বাচনের আগে সংস্কারপ্রক্রিয়া শেষ করার পক্ষে মত দিয়ে যাচ্ছেন দলটির নেতারা।
সংস্কার বিষয়ে মতভিন্নতা দূর করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ফেব্রুয়ারিতে গঠন করা হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। মতভিন্নতা দূর করতে দলগুলোর কাছে মতামত চাওয়াসহ যোগাযোগ করছে কমিশন।
সর্বশেষ গত শনিবার জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক হলো, যেখানে আলোচনার মূল বিষয়বস্তুই ছিল সংস্কার। সেই আলোচনার পরেও সংস্কার প্রশ্নে নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে দলগুলো।
জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা যেটা বলেছি, মূলত নির্বাচন-কেন্দ্রিক সংস্কারগুলো করে ফেলা, তারপর দ্রুত নির্বাচন করা, এরপর একটি সংসদের মাধ্যমে বাড়তি সংস্কার করা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, এটাই আমরা বলেছি।’
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে বিএনপির জনপ্রিয়তা দেখে একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে। যত দিন যাবে, এই ষড়যন্ত্র আরও ডালপালা মেলার সুযোগ পাবে। যে কারণে সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন বিলম্ব করতে রাজি নয় বিএনপি।
তাই আগের অবস্থানে থেকেই পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে চান দলটির নীতিনির্ধারকেরা। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর মধ্যেও অনেক দলই সংস্কার, সংলাপকে নির্বাচন বিলম্বের কারণ মনে করছে। দলগুলোর একাধিক নেতা বলেছেন, সংলাপের মাধ্যমে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। আলোচনা হচ্ছে, নির্বাচনের দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের রোডম্যাপটা কেন দেওয়া হচ্ছে না—এমন প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা।
শনিবার এক ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ভোট নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। যাতে নির্বাচন বিলম্বে হয়, সেজন্য অছিলা দেওয়া হচ্ছে, সংস্কার নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র মেরামতের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের। সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হলো জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
সংস্কার প্রসঙ্গে এনসিপির উদ্দেশে গতকাল এক অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গণপরিষদ, উপজেলা এসব বাদ দেন। নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য গ্রামেগঞ্জে যান এবং নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হলে প্রার্থী দেন। সংসদে যান, সেখানেই হবে মূল সংস্কার। ভোটকেন্দ্রের সংস্কার করেন। আর যাঁরা ভোট নেবেন, তাঁরা যেন হাসিনার মতো রাতে ভোট না করে সে ব্যবস্থা করেন।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা মনে করি একটা ভালো নির্বাচন হোক। মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে গেলে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সেটার জন্য যতটুকু সংস্কার করা দরকার, সেইটুকু করা হোক।’
এদিকে পাঁচটি সংস্কার কমিশনে মতামত দিতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। সেখানে গণপরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে বিশেষ কোনো মতামত নেই বলে জানিয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘গণপরিষদ প্রশ্নে আমাদের কোনো মতামত নেই। মতামত অনেক রকম আসছে, কমিশনও বলছে, গণপরিষদ আর জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে আবার আলাদাও হতে পারে। গণপরিষদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা আছে। গণপরিষদ হয় একটা নতুন দেশের সংবিধান প্রণয়নের জন্য। সংবিধান তো জাতীয় সংসদেও প্রণয়ন করা যায়। এসব বিষয়ে আমরা আমাদের সুবিধা-অসুবিধা উল্লেখ করে পরামর্শ দিয়েছি। এখন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এসব রিপোর্টের ভিত্তিতে সব দলের সঙ্গে বসবে, ওয়ান টু ওয়ান কথা হবে। তারপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’
দেশের বর্তমানে যে পরিস্থিতি, সেটা নির্বাচনের জন্য সহায়ক নয় বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন। সংস্কার প্রশ্নে বিভিন্ন দলের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য এটা ভয়াবহ। প্রশাসনসহ প্রত্যেকটা জায়গায় রদবদল হয়েছে। বিএনপির অনেকেই সেখানে এসেছে। তারা যদি বিভিন্ন জায়গায় অসহযোগিতা করে, তাহলে সেটা তো দেরি হবে।
অনেক রাজনৈতিক দল সরকারকে সহায়তা না করে বরং পরিস্থিতি আরও কঠিন করছে জানিয়ে সামান্থা বলেন, অসহযোগিতা থাকলে সময়মতো নির্বাচন অসম্ভব হয়ে পড়বে। বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা না করে দলীয় স্বার্থ চিন্তা করা হলে তো ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংস্কার নিয়ে ন্যাশনাল চার্টার তৈরি করা এবং সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে আমাদের প্রস্তাব। সরকার একটা ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা করছে। এসব বিষয়ে নিশ্চয় একটা ঐকমত্য তৈরি হবে। তবে এসব বিষয়ে আলোচনা এখনো শুরু হয়নি।
তবে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের বিষয়ে দৃঢ়সংকল্প ব্যক্ত করেছে বলে জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলই সংস্কার চায়। জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানিয়ে এসেছে দলগুলো।
তবে সংস্কার বিষয়ে দলগুলোর ভিন্নমত প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অবস্থান থেকে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া অবশ্যই জানাবে। আনুষ্ঠানিকভাবে তারা যেটা জানাবে তখনই আমরা বিবেচনায় নেব, আলোচনা করব। তাদের মতামত নিয়ে আলোচনা অবশ্যই হবে।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশেষ দূত ও প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসছেন। আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
৩১ মিনিট আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর দায় কোনোভাবেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এড়াতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া গণঅধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান।
১ ঘণ্টা আগে
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৯ নেতাকে বহিষ্কার করেছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগেদলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশেষ দূত ও প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসছেন। আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জানাজায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। বিষয়টিকে বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সৌজন্য ও রাজনৈতিক শ্রদ্ধা প্রদর্শনের অংশ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডি এন ধুংগিয়েল, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত ও দেশটির উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আলী হায়দার আহমেদের ঢাকায় আসার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের প্রতিনিধির খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এবং জানাজায় অংশ নিতে আসার কথা রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের অংশগ্রহণের তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে খালেদা জিয়ার জানাজায় পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার যোগ দেবেন বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশন। হাইকমিশনের একটি সূত্র জানায়, ইসহাক দার আগামীকাল ঢাকায় এসে সরাসরি জানাজায় অংশ নেবেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, একাধিক দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবস্থান ও দীর্ঘদিনের রাষ্ট্রীয় ভূমিকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তিনি তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী হিসেবে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন।
এদিকে, জানাজা ঘিরে ঢাকায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, দেশি-বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোও জানাজা এবং সংশ্লিষ্ট আনুষ্ঠানিকতায় ব্যাপক জনসমাগমের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
খালেদা জিয়ার জানাজাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মতভেদ ছাপিয়ে দেশজুড়ে শোক ও শ্রদ্ধার আবহ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশেষ দূত ও প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসছেন। আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জানাজায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। বিষয়টিকে বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সৌজন্য ও রাজনৈতিক শ্রদ্ধা প্রদর্শনের অংশ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডি এন ধুংগিয়েল, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত ও দেশটির উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আলী হায়দার আহমেদের ঢাকায় আসার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের প্রতিনিধির খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এবং জানাজায় অংশ নিতে আসার কথা রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের অংশগ্রহণের তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে খালেদা জিয়ার জানাজায় পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার যোগ দেবেন বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশন। হাইকমিশনের একটি সূত্র জানায়, ইসহাক দার আগামীকাল ঢাকায় এসে সরাসরি জানাজায় অংশ নেবেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, একাধিক দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবস্থান ও দীর্ঘদিনের রাষ্ট্রীয় ভূমিকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তিনি তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী হিসেবে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন।
এদিকে, জানাজা ঘিরে ঢাকায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, দেশি-বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোও জানাজা এবং সংশ্লিষ্ট আনুষ্ঠানিকতায় ব্যাপক জনসমাগমের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
খালেদা জিয়ার জানাজাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মতভেদ ছাপিয়ে দেশজুড়ে শোক ও শ্রদ্ধার আবহ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দেশের সংবিধান-রাজনীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে সংস্কার করা। সেই লক্ষ্যে তারা বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে এবং কমিশনগুলো অনেক প্রস্তাব করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য ছাড়া এসব সংস্কার করাও কঠিন।
১৭ মার্চ ২০২৫
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর দায় কোনোভাবেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এড়াতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া গণঅধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান।
১ ঘণ্টা আগে
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৯ নেতাকে বহিষ্কার করেছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগেদলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর দায় কোনোভাবেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এড়াতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া গণঅধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদ খান বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে আমাদের ছেড়ে বিদায় নিয়েছেন। তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। এর দায় কোনোভাবেই শেখ হাসিনা এড়াতে পারে না। আওয়ামী লীগ এমন একটি পাপিষ্ঠ দল। এই দল জনগণের ওপরে দমন-পীড়ন করেছে।’
রাশেদ খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ১৬ বছর ক্ষমতায় ছিল এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে শুধু তাঁর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁকে দীর্ঘ সময় কারাগারে বন্দী রেখেছিল। সেখানে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করেছে যে নেত্রী সুস্থ অবস্থায় কারাগারে গিয়েছিলেন। তিনি যখন ফিরে আসেন অভ্যুত্থানের পরে, আমরা দেখেছি তিনি হুইলচেয়ারে করে ফিরে এসেছেন। আমাদের কাছে কোনোভাবে এটি প্রত্যাশিত ছিল না। আমরা যাকে হারিয়েছি, তার মতন মানুষকে আমরা আর কখনোই ফিরে পাব—এটি আমরা মনে করি না।’
রাশেদ খান বলেন, ‘আমরা পুরো বাংলাদেশের মানুষ আজকে শোকাহত, মর্মাহত। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম যে তিনি তত দিন পর্যন্ত আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন, যত দিন না পর্যন্ত খুনি শেখ হাসিনার বিচার হয়। খুনি শেখ হাসিনা দিল্লিতে পালিয়ে আছে। দেখেন, তার জন্য কিন্তু বাংলাদেশে কাঁদার মানুষ নাই। কিন্তু আজকে বেগম খালেদা জিয়া বিদায় নিয়েছেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ আজকে তাঁর জন্য কাঁদছে। আজকে পুরো বাংলাদেশ স্থবির হয়ে আছে। আজকে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে শোক।’
বাংলাদেশের মানুষের কাছে তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা ঘরে-ঘরে, মসজিদে-মসজিদে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করেন। তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক ছিলেন। তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের প্রতীক ছিলেন। তিনি আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই শিখিয়েছেন। তিনি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে আমাদের লড়াই শিখিয়েছেন। তিনি একজন গৃহিণী থেকে যেভাবে আন্তর্জাতিক মানের একজন নেতায় পরিণত হয়েছিলেন, বিশ্বে এটি বিরল। আমরা এ রকম নেত্রীকে পেয়ে গর্বিত।’
বেগম খালেদা জিয়ার জন্য আজ পুরো জাতি শোকাহত। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন তাকে বেহেশতে নসিব করেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর দায় কোনোভাবেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এড়াতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া গণঅধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদ খান বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে আমাদের ছেড়ে বিদায় নিয়েছেন। তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। এর দায় কোনোভাবেই শেখ হাসিনা এড়াতে পারে না। আওয়ামী লীগ এমন একটি পাপিষ্ঠ দল। এই দল জনগণের ওপরে দমন-পীড়ন করেছে।’
রাশেদ খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ১৬ বছর ক্ষমতায় ছিল এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে শুধু তাঁর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁকে দীর্ঘ সময় কারাগারে বন্দী রেখেছিল। সেখানে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করেছে যে নেত্রী সুস্থ অবস্থায় কারাগারে গিয়েছিলেন। তিনি যখন ফিরে আসেন অভ্যুত্থানের পরে, আমরা দেখেছি তিনি হুইলচেয়ারে করে ফিরে এসেছেন। আমাদের কাছে কোনোভাবে এটি প্রত্যাশিত ছিল না। আমরা যাকে হারিয়েছি, তার মতন মানুষকে আমরা আর কখনোই ফিরে পাব—এটি আমরা মনে করি না।’
রাশেদ খান বলেন, ‘আমরা পুরো বাংলাদেশের মানুষ আজকে শোকাহত, মর্মাহত। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম যে তিনি তত দিন পর্যন্ত আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন, যত দিন না পর্যন্ত খুনি শেখ হাসিনার বিচার হয়। খুনি শেখ হাসিনা দিল্লিতে পালিয়ে আছে। দেখেন, তার জন্য কিন্তু বাংলাদেশে কাঁদার মানুষ নাই। কিন্তু আজকে বেগম খালেদা জিয়া বিদায় নিয়েছেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ আজকে তাঁর জন্য কাঁদছে। আজকে পুরো বাংলাদেশ স্থবির হয়ে আছে। আজকে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে শোক।’
বাংলাদেশের মানুষের কাছে তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা ঘরে-ঘরে, মসজিদে-মসজিদে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করেন। তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক ছিলেন। তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের প্রতীক ছিলেন। তিনি আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই শিখিয়েছেন। তিনি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে আমাদের লড়াই শিখিয়েছেন। তিনি একজন গৃহিণী থেকে যেভাবে আন্তর্জাতিক মানের একজন নেতায় পরিণত হয়েছিলেন, বিশ্বে এটি বিরল। আমরা এ রকম নেত্রীকে পেয়ে গর্বিত।’
বেগম খালেদা জিয়ার জন্য আজ পুরো জাতি শোকাহত। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন তাকে বেহেশতে নসিব করেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দেশের সংবিধান-রাজনীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে সংস্কার করা। সেই লক্ষ্যে তারা বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে এবং কমিশনগুলো অনেক প্রস্তাব করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য ছাড়া এসব সংস্কার করাও কঠিন।
১৭ মার্চ ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশেষ দূত ও প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসছেন। আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
৩১ মিনিট আগে
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৯ নেতাকে বহিষ্কার করেছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগেদলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৯ নেতাকে বহিষ্কার করেছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য জানান।
বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ শাহ আলম, হাসান মামুন ও আব্দুল খালেক। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব তরুণ দে, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি মামুনুর রশিদ (চাকসু মামুন) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করায় তাঁদের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৯ নেতাকে বহিষ্কার করেছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য জানান।
বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ শাহ আলম, হাসান মামুন ও আব্দুল খালেক। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব তরুণ দে, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি মামুনুর রশিদ (চাকসু মামুন) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করায় তাঁদের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দেশের সংবিধান-রাজনীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে সংস্কার করা। সেই লক্ষ্যে তারা বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে এবং কমিশনগুলো অনেক প্রস্তাব করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য ছাড়া এসব সংস্কার করাও কঠিন।
১৭ মার্চ ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশেষ দূত ও প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসছেন। আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
৩১ মিনিট আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর দায় কোনোভাবেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এড়াতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া গণঅধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান।
১ ঘণ্টা আগেদলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও সিদ্ধান্ত অমান্যের কারণে রুমিন ফারহানাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রুমিন ফারহানা বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি মনোনয়ন পাননি। এরপরও তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। পাশাপাশি তিনি নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা শুরু করেন, যা বিএনপির গঠনতন্ত্র ও দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী বলে মনে করছে দলটি।
এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত রুমিন ফারহানার কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে তিনি বিভিন্ন বক্তব্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, রুমিন ফারহানা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে পরিচিত এবং বিএনপির রাজনীতিতে আন্তর্জাতিকবিষয়ক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর বহিষ্কারের ঘটনায় দলটির রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও সিদ্ধান্ত অমান্যের কারণে রুমিন ফারহানাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রুমিন ফারহানা বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি মনোনয়ন পাননি। এরপরও তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। পাশাপাশি তিনি নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা শুরু করেন, যা বিএনপির গঠনতন্ত্র ও দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী বলে মনে করছে দলটি।
এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত রুমিন ফারহানার কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে তিনি বিভিন্ন বক্তব্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, রুমিন ফারহানা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে পরিচিত এবং বিএনপির রাজনীতিতে আন্তর্জাতিকবিষয়ক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর বহিষ্কারের ঘটনায় দলটির রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দেশের সংবিধান-রাজনীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে সংস্কার করা। সেই লক্ষ্যে তারা বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে এবং কমিশনগুলো অনেক প্রস্তাব করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য ছাড়া এসব সংস্কার করাও কঠিন।
১৭ মার্চ ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশেষ দূত ও প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসছেন। আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
৩১ মিনিট আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর দায় কোনোভাবেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এড়াতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া গণঅধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান।
১ ঘণ্টা আগে
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৯ নেতাকে বহিষ্কার করেছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগে