Ajker Patrika

সংস্কার ও ভোট প্রশ্নে ছাড় দিচ্ছে না কেউ

  • সংস্কার ভোটের আগে নাকি পরে—এ প্রশ্নে দলগুলোর অবস্থান ভিন্ন।
  • আগে কোন নির্বাচন হবে, তা নিয়েও মতভিন্নতা সুস্পষ্ট।
  • জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকেও দলগুলো ছাড়ের ইঙ্গিত দেয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৮: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দেশের সংবিধান-রাজনীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে সংস্কার করা। সেই লক্ষ্যে তারা বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে এবং কমিশনগুলো অনেক প্রস্তাব করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য ছাড়া এসব সংস্কার করাও কঠিন। কিন্তু সংবিধান থেকে শুরু করে নির্বাচনসহ অনেক বিষয়ে প্রধান দলগুলোর অবস্থানে বেশ ফারাক লক্ষ করা যাচ্ছে। সরকারের দিক থেকে ঐকমত্য কমিশন করে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে এই মতৈক্য ঘোচানোর চেষ্টা চলছে। তারপরও অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দলগুলো নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ।

বিএনপি শুরু থেকেই বলে আসছে সংস্কার নিয়ে তাদের আপত্তি নেই। সংস্কার অবশ্যই দরকার। তবে দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। এ জন্য ন্যূনতম যে সংস্কার দরকার, তা করার পক্ষে মত দিয়ে যাচ্ছে দলটি। বিএনপির এই মতের সঙ্গে মিল নেই তাদের একসময়ের মিত্র জামায়াতে ইসলামীর। নির্বাচনের আগেই সংস্কারের বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কথা বলে যাচ্ছে দলটি। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছে তারা। এমনকি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চেয়েছেন জামায়াতের নেতারা। জামায়াতের এই দাবির প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছেন বিএনপির নেতারা।

অন্য দিকে সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বরাবরই সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দলটির বক্তব্য—সংস্কার ছাড়া কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। এ অবস্থানে অনড় থেকে জাতীয় নির্বাচনের আগে সংস্কারপ্রক্রিয়া শেষ করার পক্ষে মত দিয়ে যাচ্ছেন দলটির নেতারা।

সংস্কার বিষয়ে মতভিন্নতা দূর করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ফেব্রুয়ারিতে গঠন করা হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। মতভিন্নতা দূর করতে দলগুলোর কাছে মতামত চাওয়াসহ যোগাযোগ করছে কমিশন।

সর্বশেষ গত শনিবার জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক হলো, যেখানে আলোচনার মূল বিষয়বস্তুই ছিল সংস্কার। সেই আলোচনার পরেও সংস্কার প্রশ্নে নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে দলগুলো।

জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা যেটা বলেছি, মূলত নির্বাচন-কেন্দ্রিক সংস্কারগুলো করে ফেলা, তারপর দ্রুত নির্বাচন করা, এরপর একটি সংসদের মাধ্যমে বাড়তি সংস্কার করা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, এটাই আমরা বলেছি।’

বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে বিএনপির জনপ্রিয়তা দেখে একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে। যত দিন যাবে, এই ষড়যন্ত্র আরও ডালপালা মেলার সুযোগ পাবে। যে কারণে সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন বিলম্ব করতে রাজি নয় বিএনপি।

তাই আগের অবস্থানে থেকেই পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে চান দলটির নীতিনির্ধারকেরা। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর মধ্যেও অনেক দলই সংস্কার, সংলাপকে নির্বাচন বিলম্বের কারণ মনে করছে। দলগুলোর একাধিক নেতা বলেছেন, সংলাপের মাধ্যমে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। আলোচনা হচ্ছে, নির্বাচনের দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের রোডম্যাপটা কেন দেওয়া হচ্ছে না—এমন প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা।

শনিবার এক ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ভোট নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। যাতে নির্বাচন বিলম্বে হয়, সেজন্য অছিলা দেওয়া হচ্ছে, সংস্কার নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র মেরামতের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের। সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হলো জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।

সংস্কার প্রসঙ্গে এনসিপির উদ্দেশে গতকাল এক অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গণপরিষদ, উপজেলা এসব বাদ দেন। নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য গ্রামেগঞ্জে যান এবং নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হলে প্রার্থী দেন। সংসদে যান, সেখানেই হবে মূল সংস্কার। ভোটকেন্দ্রের সংস্কার করেন। আর যাঁরা ভোট নেবেন, তাঁরা যেন হাসিনার মতো রাতে ভোট না করে সে ব্যবস্থা করেন।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা মনে করি একটা ভালো নির্বাচন হোক। মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে গেলে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সেটার জন্য যতটুকু সংস্কার করা দরকার, সেইটুকু করা হোক।’

এদিকে পাঁচটি সংস্কার কমিশনে মতামত দিতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। সেখানে গণপরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে বিশেষ কোনো মতামত নেই বলে জানিয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘গণপরিষদ প্রশ্নে আমাদের কোনো মতামত নেই। মতামত অনেক রকম আসছে, কমিশনও বলছে, গণপরিষদ আর জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে আবার আলাদাও হতে পারে। গণপরিষদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা আছে। গণপরিষদ হয় একটা নতুন দেশের সংবিধান প্রণয়নের জন্য। সংবিধান তো জাতীয় সংসদেও প্রণয়ন করা যায়। এসব বিষয়ে আমরা আমাদের সুবিধা-অসুবিধা উল্লেখ করে পরামর্শ দিয়েছি। এখন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এসব রিপোর্টের ভিত্তিতে সব দলের সঙ্গে বসবে, ওয়ান টু ওয়ান কথা হবে। তারপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’

দেশের বর্তমানে যে পরিস্থিতি, সেটা নির্বাচনের জন্য সহায়ক নয় বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন। সংস্কার প্রশ্নে বিভিন্ন দলের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য এটা ভয়াবহ। প্রশাসনসহ প্রত্যেকটা জায়গায় রদবদল হয়েছে। বিএনপির অনেকেই সেখানে এসেছে। তারা যদি বিভিন্ন জায়গায় অসহযোগিতা করে, তাহলে সেটা তো দেরি হবে।

অনেক রাজনৈতিক দল সরকারকে সহায়তা না করে বরং পরিস্থিতি আরও কঠিন করছে জানিয়ে সামান্থা বলেন, অসহযোগিতা থাকলে সময়মতো নির্বাচন অসম্ভব হয়ে পড়বে। বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা না করে দলীয় স্বার্থ চিন্তা করা হলে তো ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংস্কার নিয়ে ন্যাশনাল চার্টার তৈরি করা এবং সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে আমাদের প্রস্তাব। সরকার একটা ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা করছে। এসব বিষয়ে নিশ্চয় একটা ঐকমত্য তৈরি হবে। তবে এসব বিষয়ে আলোচনা এখনো শুরু হয়নি।

তবে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের বিষয়ে দৃঢ়সংকল্প ব্যক্ত করেছে বলে জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলই সংস্কার চায়। জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানিয়ে এসেছে দলগুলো।

তবে সংস্কার বিষয়ে দলগুলোর ভিন্নমত প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অবস্থান থেকে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া অবশ্যই জানাবে। আনুষ্ঠানিকভাবে তারা যেটা জানাবে তখনই আমরা বিবেচনায় নেব, আলোচনা করব। তাদের মতামত নিয়ে আলোচনা অবশ্যই হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ ইমরান খান ‘গাদ্দার’ শেখ মুজিবুর রহমানের ভক্ত—পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ বিবৃতি

বিচারকদের নিরাপত্তায় গা ছাড়া ভাব

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কের পর সেই চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ

বাসার দরজা ভেঙে প্রধান শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার

খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যেতে পারেন বুধবার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুনে মহল্লা ছেয়ে ফেললেই জনগণের মনে জায়গা পাওয়া যাবে না: খান মুহাম্মদ মুরসালীন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ পুরান ঢাকার বাংলাবাজারে পরিচ্ছন্ন ঢাকার দাবিতে গণসংযোগ করেন খান মুহাম্মদ মুরসালীন। ছবি: সংগৃহীত
আজ পুরান ঢাকার বাংলাবাজারে পরিচ্ছন্ন ঢাকার দাবিতে গণসংযোগ করেন খান মুহাম্মদ মুরসালীন। ছবি: সংগৃহীত

বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে মহল্লা ছেয়ে ফেললেই জনগণের মনে জায়গা পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নির্বাচনকালীন মিডিয়া উপকমিটির সাধারণ সম্পাদক খান মুহাম্মদ মুরসালীন। আজ শনিবার পুরান ঢাকার বাংলাবাজারে পরিচ্ছন্ন ঢাকার দাবিতে গণসংযোগকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষে ঢাকা-৬ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী।

মুরসালীন বড় দলগুলোর প্রচারণা পদ্ধতির সমালোচনা করে বলেন, পুরান ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের শিকার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার ধরন দেখেই বোঝা যাচ্ছে তথাকথিত বড় রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বারা নয়া বন্দোবস্ত সম্ভব নয়।

এনসিপির এই নেতা বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় কোনো নতুনত্ব নেই। শহরের প্রতিটি দেয়াল পোস্টারে ঢেকে গেছে। বিলবোর্ড ফেস্টুনের চাপে সাধারণ জনগণের জন্য ফুটপাত দিয়ে চলাচল রীতিমতো সংগ্রামে পরিণত হয়েছে। যাঁরা সংসদে গিয়ে জনগণের সেবা করবেন প্রচার করছেন, তাঁদের দ্বারাই জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। এই বিষয়গুলো দেখার এবং ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। কিন্তু তারাও নিশ্চুপ।

প্রচলিত গৎবাঁধা প্রচার ও প্রতিশ্রুতির বদলে জনগণ এখন পলিসি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মুরসালীন বলেন, ‘আপানারা জানেন, পুরান ঢাকা একটি ঘনবসতিপূর্ণ ব্যবসায়ী এলাকা। সরু রাস্তা এবং তীব্র যানজট এখানকার নিত্যদিনের দুর্ভোগ। পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ তো আছেই। ফলে এই সংকটগুলো সমাধানে এখন জনগণ পলিসি সম্পর্কে জানতে চায়। তারা জানতে চায়, এই ঘিঞ্জি এলাকাগুলোতে অনাগত সন্তানদের সুস্থ বিকাশে খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চা ও মেধা বিকাশে সাংসদরা কী কী পলিসি গ্রহণ করবেন। জনগণ জানতে চায়, যেকোনো দুর্যোগে তাৎক্ষণিক নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রতিটি মহল্লায় কীভাবে গড়ে তোলা হবে। ব্যবসার প্রসার ও বিকাশে সাংসদেরা ব্যবসায়ীদের জন্য কী কী নিরাপত্তা বলয় তৈরি করবে। এসব প্রশ্নের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার মধ্য দিয়ে জনগণের মনে জায়গা করে নিতে হবে। বিলবোর্ড, ব্যানার আর ফেস্টুনে মহল্লাগুলো ছেয়ে ফেললেই জনগণের মনে জায়গা পাওয়া যাবে না। পরিবর্তনের নিশ্চয়তা নিজেদের কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে হবে।’

এ সময় বাংলাবাজারের প্রেস মালিক ও স্থানীয় পুস্তক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন খান মুহাম্মদ মুরসালীন। ব্যবসার পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিতের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ ইমরান খান ‘গাদ্দার’ শেখ মুজিবুর রহমানের ভক্ত—পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ বিবৃতি

বিচারকদের নিরাপত্তায় গা ছাড়া ভাব

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কের পর সেই চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ

বাসার দরজা ভেঙে প্রধান শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার

খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যেতে পারেন বুধবার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী অস্ত্রের মহড়ায় নেমেছে: আখতার হোসেন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাংবাদিকদের সঙ্গে এনসিপি নেতা আখতার হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাংবাদিকদের সঙ্গে এনসিপি নেতা আখতার হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই ‘অস্ত্রের মহড়ায়’ নেমেছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত এখন কে কার থেকে এগিয়ে যাবে, সেই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে।

আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে জুলাই চেতনার পেশাজীবীদের সংগঠন ‘ন্যাশনাল প্রফেশনাল অ্যালায়েন্সের’ আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় রাজনীতি প্রসঙ্গে আখতার অভিযোগ করেন, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী অস্ত্রের মহড়া ও প্রতিযোগিতায় নেমেছে। তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের শরিক দল হিসেবে বিএনপি এবং জামায়াত অভ্যুত্থানের পর নতুন রাজনীতির প্রতি প্রতিশ্রুতি দেবে বলে আশা ছিল। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই বিএনপি-জামায়াতের মতো দলগুলো অস্ত্রের মহড়ায় নেমেছে। তারা কে কার থেকে এগিয়ে যাবে, সেই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে।

মিডিয়ায় প্রচারিত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বক্তব্য উল্লেখ করে আখতার হোসেন বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ভারতে থাকবেন নাকি থাকবেন না, সেটা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত। কোনোভাবেই একজন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, কোনো একজন গণহত্যাকারী, মানবতাবিরোধী অপরাধীর ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে কোনো একটি দেশ তার কূটনীতি সাজাতে পারে না। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার ওপরে, বাংলাদেশের মানুষের কাছে, এ দেশের বিচার বিভাগের কাছে অতি দ্রুত হস্তান্তর করার দাবি জানাই।’

অনুষ্ঠানে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ভারতকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ভারতকে বলতে চাই, নির্বাচনে ডিসটার্ব (বিরক্ত) করতে আসবেন না। পরে লেজ গুটিয়ে পালাতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় বিজেপির সন্ত্রাস রুখে দিতে আমরা প্রস্তুত।’

এ সময় নাসীরুদ্দীন প্রতিশ্রুতি দেন, এনসিপি সরকার গঠন করলে বা সরকারের অংশ হলে বেসরকারি খাতে শুক্র ও শনিবার ছুটি ঘোষণা করা হবে।

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা কোনো দলের কাছে আসন নিয়ে দর-কষাকষিতে যাব না। আসন বণ্টনের রাজনীতি বাংলাদেশে আর চলবে না।’

অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল প্রফেশনাল অ্যালায়েন্সের আহ্বায়ক হিসেবে নাভিদ নওরোজ শাহ্ এবং সদস্যসচিব হিসেবে তৌহিদ হোসেন মজুমদারের নাম ঘোষণা করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ ইমরান খান ‘গাদ্দার’ শেখ মুজিবুর রহমানের ভক্ত—পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ বিবৃতি

বিচারকদের নিরাপত্তায় গা ছাড়া ভাব

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কের পর সেই চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ

বাসার দরজা ভেঙে প্রধান শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার

খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যেতে পারেন বুধবার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিয়ে করলেন হান্নান মাসউদ, কনে কে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ৩৩
ছবি: আব্দুল হান্নান মাসউদের ফেসবুক পোস্ট থেকে নেওয়া
ছবি: আব্দুল হান্নান মাসউদের ফেসবুক পোস্ট থেকে নেওয়া

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ জাতীয় ছাত্রশক্তির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামলী সুলতানা জেদনীকে বিয়ে করেছেন। গতকাল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) এই দম্পতির বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে মাসউদ-জেদনীর বিয়ের ছবি পোস্ট করে তথ্যটি জানান।

তিনি তাঁর পোস্টে আরও বলেন, জুলাইয়ের অনুপ্রেরণা নিয়ে গড়ে ওঠা দুজন রাজনীতিবিদের এই আয়োজনে থাকতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে জেদনীর বাসায় দুই পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পাত্রী শ্যামলী সুলতানা জেদনী লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে জাতীয় ছাত্রশক্তির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি সংগঠনটির মিডিয়া সেলের সহ-সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্বে আছেন। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী জেদনী।

অন্যদিকে, নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সন্তান হান্নান মাসউদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি এনসিপিতে যোগ দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ ইমরান খান ‘গাদ্দার’ শেখ মুজিবুর রহমানের ভক্ত—পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ বিবৃতি

বিচারকদের নিরাপত্তায় গা ছাড়া ভাব

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কের পর সেই চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ

বাসার দরজা ভেঙে প্রধান শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার

খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যেতে পারেন বুধবার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত ছিল, উনার ফ্লাই করা ঠিক হবে না: ডা. জাহিদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ডা. জাহিদ। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ডা. জাহিদ। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এখন বিষয়টি নির্ভর করছে বিএনপির চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার ওপর।

আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এক ব্রিফিংয়ে এমনটাই জানালেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন।

জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সব সময়ই প্রস্তুত আছে। প্রস্তুত থাকলেও উনার চিকিৎসাগত দিকে থেকে নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা প্রাধান্য পাচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরাও উনার শারীরিক অবস্থার দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।’

খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া বিলম্বিত হওয়ার কারণ উল্লেখ করে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের যান্ত্রিক ত্রুটি যেমন ছিল, একইভাবে মেডিকেল বোর্ডও সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, ওই মুহূর্তে উনার ফ্লাই করা সঠিক হবে না। সে জন্যই উনার বিদেশ যাওয়া বিলম্বিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে হয়তো শারীরিক অবস্থাই বলে দেবে যে, ওনাকে কখন বিদেশে নিয়ে যাওয়া যাবে।’

ডা. জাহিদ বলেন, ‘দেশের সব মানুষ উনার সুস্থতা চায়। যেহেতু উনার স্বাস্থ্য আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, সেহেতু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তদারকির পাশাপাশি চিকিৎসকদের মতামতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। দলও বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে বিষয়টি ব্যবস্থাপনা করছেন।’

গত ২৩ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ ইমরান খান ‘গাদ্দার’ শেখ মুজিবুর রহমানের ভক্ত—পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ বিবৃতি

বিচারকদের নিরাপত্তায় গা ছাড়া ভাব

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কের পর সেই চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ

বাসার দরজা ভেঙে প্রধান শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার

খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যেতে পারেন বুধবার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত