Ajker Patrika

বিএনপির রাজনীতি: তফসিল হলে ফিরবেন তারেক

  • তারেকের ফেরার সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তার প্রশ্নটি জড়িত।
  • কোনো পরিবারকে বিশেষ বাহিনী দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়ার সুযোগ নেই।
  • দল থেকে তারেক রহমানের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ২৭
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আলোচিত দুটি প্রশ্ন হলো—ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল কবে ঘোষণা করা হবে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে দেশে ফিরছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। এ অবস্থায় তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে জানতে চাইলে তাঁর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেই দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

তারেক রহমান ঘনিষ্ঠ সূত্রটি জানায়, গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর নিজের নিরাপত্তা ইস্যুকে প্রাধান্য দিয়ে দ্রুত দেশে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি তারেক রহমান। তবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানও তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরবেন। এর কারণ, তারেককে কেন্দ্র করেই তাঁর স্ত্রী-কন্যা যুক্তরাজ্যে আছেন।

তারেক রহমানের দেশে ফেরার সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত। রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা সুবিধা পাবেন। তবে সরকারিভাবে তাঁকে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে সরকার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের সময়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যরাও বিশেষ নিরাপত্তা পেতেন। তবে গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তায় প্রণীত আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি। এখন এই সরকারের সময় বিশেষ কোনো পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারিভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হলে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এ কারণে সরকারও বিশেষ কোনো পরিবারের সদস্যদের সরকারিভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে চাইছে না।

বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, দল থেকে তারেক রহমানের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি দেশে ফেরার আগে এই নিরাপত্তা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে। এই বাহিনীই তারেক রহমানকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাবলয়ের মধ্যে রাখবে। তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গেও এরই মধ্যে বৈঠক করেছে বিএনপির প্রতিনিধিদল। এ ছাড়া খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে রেখে দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনারও উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি।

দেশে ফিরে তারেক রহমান কোথায় উঠবেন এবং কোথায় অফিস করবেন তাও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে আছে। দলীয় সূত্র বলছে, গুলশান-২-এর ‘ফিরোজা’ ভবনের পাশের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে উঠবেন তারেক রহমান। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তৎকালীন সরকার খালেদা জিয়াকে এই বাড়ি বরাদ্দ দেয়। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বাড়িটির নামজারি শেষ করে কাগজপত্র বিএনপি চেয়ারপারসনের হাতে হস্তান্তর করেছে। পরে বাড়িটির সংস্কার করে সেখানে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্সকে বাড়িটির নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই অবস্থার মধ্যে আসলে তাঁর ফেরার কোনো আপডেট আমাদের কাছে নেই। যথাসময়ে, মানে উপযুক্ত মনে হলে উনি আসবেন।’

গত ২৩ নভেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটময় বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মায়ের এমন দুঃসময়েও কেন তারেক রহমান দেশে ফিরছেন না, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে সমানে। দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি নানা মহলের নানা লোকেও তারেক রহমানকে অভয় দিয়ে যাচ্ছেন। এই আলোচনার মধ্যে গত শনিবার মায়ের চিকিৎসার প্রসঙ্গ তুলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তারেক রহমান বলেন, ‘এমন সংকটকালে মায়ের স্নেহ স্পর্শ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যেকোনো সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সকলের মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।’

তারেক রহমানের এই স্ট্যাটাসের ব্যাখ্যায় তাঁর ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের দাবি, ফেসবুক স্ট্যাটাসে তারেক রহমান দেশ, দল ও দেশের মানুষের কথা বুঝিয়েছেন। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বলেছিলেন, তিনি ভোটে অংশ নেবেন। এখনো তিনি সেই অবস্থানেই আছেন। তফসিল ঘোষণার পর দেশে ফিরে তিনি নিজের নির্বাচনী আসনে গিয়ে সমাবেশ করবেন। ওই সমাবেশে দল ও নিজের জন্য ভোট চাইবেন তিনি।

তারেক রহমান দেশে আসতে চাইলে এক দিনে তাঁকে ট্রাভেল পাস দেওয়া সম্ভব বলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের আলোচনা সভায় তিনি বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আইনি বা প্রশাসনিক বাধা নেই। তিনি দেশে ফিরতে চাইলে তাঁকে অত্যন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে, এমনকি এক দিনের ব‍্যবধানে ট্রাভেল পাস দেওয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব। তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে সরকারের তরফে কোনো বিধিনিষেধ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

দলীয় সূত্র বলছে, তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় বিএনপি। এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে তাঁর দেশে ফেরার দিন-তারিখ ঘোষণা করা হবে।

সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ জরুরি অবস্থার সময় তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি। ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডনে যান। টানা ১৭ বছর লন্ডন থেকেই দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এনসিপিসহ জুলাই বিপ্লবে অংশীজনেরা ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন করছে: মামুনুল হক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রোববার বিকেলে ঢাকা-১৩ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মামুনুল হক। ছবি: আজকের পত্রিকা
রোববার বিকেলে ঢাকা-১৩ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মামুনুল হক। ছবি: আজকের পত্রিকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক। এই জোটে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) জুলাই বিপ্লবের অংশীজনেরা থাকছে বলে জানান তিনি।

আজ রোববার বিকেলে ঢাকা-১৩ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন তিনি।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও ঢাকা-১৫ ও ১৩ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলীর কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন মামুনুল হক।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর মামুনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে অংশীজন দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে আসন সমঝোতার মাধ্যমে জোটের মাধ্যমে ভোটে অংশ নিচ্ছি। অন্যান্য দলের সঙ্গে খেলাফতে মজলিশ, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপিসহ অন্যান্য দল থাকবে।’

কতটি দল থাকবে সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা এখনো ঠিক হয়নি। বিকেলে আমাদের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে।’

জোটে আপনারা কতটি আসন দাবি করেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেটা এই মুহূর্তে বলছি না, প্রক্রিয়াধীন আছে।’

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে মামুনুল হক বলেন, ‘আমরা এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেখতে পাচ্ছি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এনসিপির জোট নিয়ে যা বললেন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩২
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ফাইল ছবি

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সম্ভাব্য জোট প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, যেকোনো রাজনৈতিক দল তাদের ঘোষিত আদর্শ অনুযায়ী অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট করতেই পারে। এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তবে জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির জোট নিয়ে যেই অভ্যন্তরীণ সংকট দেখা দিয়েছে, সেটির সঙ্গে আদর্শিক একটি দ্বন্দ্ব চলছে বলেই মনে করেন তিনি।

আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বিষয়টি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

শোনা যাচ্ছে যে এনসিপির সঙ্গে জামায়াতের জোট হচ্ছে—এই বিষয়টা বিএনপি কীভাবে দেখছে? সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। সে হিসেবে সব রাজনৈতিক দলের স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার স্বীকার করে। যদি কোনো রাজনৈতিক দল তার ঘোষিত আদর্শ অনুযায়ী অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে চায়, সে অধিকার তাদের আছে। অবশ্য আমরা এটাও দেখলাম তাদের এই ভাবনায় দ্বিমত পোষণ করে অনেক নেতৃবৃন্দ দল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। অর্থাৎ মনে হয় যেন, তাদের ঘোষিত আদর্শ বা ঘোষিত ভাবনার সঙ্গে তাদের এই নতুন চিন্তা বোধ হয় যাচ্ছে না। যাই হোক এটা তাদের ব্যাপার।’

বিএনপির সঙ্গে এনসিপির কোনো আলোচনা হয়েছে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে আপনাদের কিছু বলতে পারব না। কারণ এটা দলের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আমরা মনে করি সবাই দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল। আমরা গণতন্ত্র, দেশের উন্নয়নে বিশ্বাস করি। তবে সব ব্যাপারেই যদি একমত হতাম, তাহলে তো আমরা একদল করতাম। আলাদা দল থাকত না।’

শরিক দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে? জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘চূড়ান্ত তো ভাই শেষ দিন পর্যন্ত। কোনো কিছুই কি চূড়ান্ত হয়?’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দুই জায়গা থেকে মনোনয়ন তুলেছেন। তিনি কোন আসন থেকে নির্বাচন করবেন? জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বগুড়া থেকে করছেন এটা নিশ্চিত। ঢাকায় করছেন কি না, এটা আমাদের দলের পক্ষ থেকে জানালে জানতে পারবেন।’

অনেক নেতা নতুন যুক্ত হয়েই মনোনয়ন পেয়ে যাচ্ছেন। সেসব আসনে অনেক ত্যাগী নেতা মনোনয়ন পাচ্ছেন না। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হচ্ছে। এ বিষয়টাকে আপনারা কীভাবে মূল্যায়ন করেন? এ প্রশ্নে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমিও প্রথম থেকেই দলে আছি। অন্তত আমি নিজেকে ত্যাগী বলেই দাবি করি। আমি তো মনোনয়ন চাইনি। দল ও দেশের স্বার্থ সবার আগে। ত্যাগী নেতাদের জন্য আরও বেশি আগে। যদি এমন কাউকে মনোনয়ন দিয়ে দলের এবং দেশের স্বার্থ অধিক রক্ষিত হয়, তাহলে ত্যাগী নেতারাই সবার আগে সেটাকে স্বাগত জানান।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্রে ‘সন্তানের আয়’ দেখানোর বিষয়ে স্পষ্টতা চায় বিএনপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে কথা বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে কথা বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে থাকা ‘সন্তানের আয়’ দেখানোর বাধ্যবাধকতা বিষয়ে স্পষ্টতা চায় বিএনপি। আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বিষয়টি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

বৈঠক শেষে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, আরপিওতে না থাকা সত্ত্বেও মনোনয়নপত্রে সন্তানেরও আয়ের হিসাব দেওয়ার বিষয়টি রাখা হয়েছে। যেটা নিয়ে সব জায়গায় একটা প্রশ্ন উঠেছে। কারণ অনেকের সন্তানেরা নিজেরাই উপার্জনক্ষম এবং তাঁরা নির্ভরশীল নন। অনেকেই দেশের বাইরে থাকেন। অনেকেই নিজেরা আলাদাভাবেই ট্যাক্স দেন। এই বিষয়টা নিয়ে একটা জটিলতা হয়ে গেছে। যার জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছি এবং কথা বললাম। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং তাঁর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা বোঝাতে চেয়েছেন নির্ভরশীল সন্তানদের বুঝিয়েছেন। তাঁরা এর ব্যাখ্যা দেবেন যে, এই ‘সন্তান’ শব্দটার অর্থ হলো ‘নির্ভরশীল সন্তান’।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এআই-এর ব্যবহারের সমস্যাটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিতে বিএনপির এই নেতা বলেন, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি সবকিছুতেই টেকনোলজি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এর অপব্যবহার সমাজ, সভ্যতা বা উন্নয়ন সবকিছুর জন্য ক্ষতির কারণ। কাজেই যদি এআই বা টেকনোলজির অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করে যদি কেউ অপপ্রচার করে কিংবা যদি কেউ মানহানিকর কিছু করে, তাহলে এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন যেন শক্ত ভূমিকা রাখে। ইসি, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব মেকানিজম আছে। তাঁরা সবাই মিলে এ ব্যাপারটা খেয়াল রাখবেন এবং আরও সক্রিয় হবেন তাঁরা বলেছেন। আমরা বলেছি এটা বন্ধ করার ক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। কিন্তু যদি খুব দ্রুত ফ্যাক্ট চেক করে ফেইক চিহ্নিত করেন, তাহলে আপনার এই নেতিবাচক প্রচারণাটা কম ক্ষতিকারক হবে। শুধু ভদ্রসম্মত কাজে তো হয় না, সে জন্য যাতে যারা এসব কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয় সে অনুরোধ করেছি।

মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের দলের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এ ব্যাপারে আমাদের আলোচনার কোনো ম্যান্ডেট ছিল না।’

জামায়াত ৩ তারিখে সমাবেশ করছে। এটা নিয়ে আলোচনা করেছেন? জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে যেটা বুঝি, নির্বাচনী প্রচারণা এখন বন্ধ। যেকোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ নেই। উনারা যা করবেন সেটা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয় কিনা এটা তারা আর নির্বাচন কমিশন বুঝবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোটার হলেন তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ভোটার নিবন্ধন ও এনআইডি পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেন তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভোটার নিবন্ধন ও এনআইডি পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেন তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। আজ রোববার নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানান।

মো. রুহুল আমিন জানান, ‘জনাব তারেক রহমান সাহেবের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়টি মাননীয় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত