Ajker Patrika

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে হেফাজতের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে হেফাজত ইসলামের প্রতিবাদ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে হেফাজত ইসলামের প্রতিবাদ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার (১১ জুলাই) বেলা ২টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা জানিয়েছেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক।

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের আয়োজনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট থেকে শুরু করে বিজয়নগর পর্যন্ত একটি প্রতিবাদী মিছিল করেন তাঁরা।

বিক্ষোভ সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ইউনূস সরকার স্বাধীনতা বিপন্ন করার পাঁয়তারা করলে রক্ত দিয়ে হলেও রক্ষা করা হবে বলে।

সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, ‘ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের মতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মানবাধিকার কার্যালয় প্রতিষ্ঠার নামে বেহায়াপানা, সমকামিতা প্রোমোট, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ধ্বংস করার মতো সিদ্ধান্ত জনগণের পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যান করছি।’

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

মামুনুল হক বলেন, ‘খাল কেটে কুমির আনার জন্য ইউনূস সরকারকে প্রধান উপদেষ্টা করা হয়নি। এ দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে। শহীদদের রক্তের সাথে গাদ্দারি করে আপনারা জাতিসংঘের কার্যালয় স্থাপন করতে পারেন না। জাতিসংঘ ইসলামবিরোধী ও মানবতাবিরোধী। আমেরিকার কোনো শিকড় এ দেশে গাটতে দেওয়া হবে না।’

তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনারা তিন দিনের মেহমান। নির্বাচন দিবেন, সংস্কার ও বিচার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করবেন; এরপরে আসসালামু আলাইকুম বলে বিদায় নিবেন। আপনাদের স্থায়ী সিদ্ধান্ত নিতে কে বলেছে? ড. ইউনূসের সাথে পশ্চিমা বিশ্বের ভালো সম্পর্ক আমরা জানি। তাই বলে ইসলামবিরোধী জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় দেশে পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিলে দেশের তৌহিদি জনতা মেনে নিবে না। সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজন হলে আমরা রক্ত দিতে প্রস্তুত আছি।’

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানি, আহমাদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাও. মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, ঢাকা মহানগরের সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, নারায়ণগঞ্জ হেফাজতে ইসলামের সহসভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা এনামুল হক কাসেমী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ঢাকায় তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের একটি মিশন স্থাপনের বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৩তম বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে বাংলাদেশে ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়’-এর মিশন স্থাপন-সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর আগে ২৯ জুন ওই খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে তোলা হলে তাতে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ওই দিন এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক যে অফিস ওএইচসিএইচআর, সে অফিসের একটা মিশন শাখা বাংলাদেশে ওনারা খুলতে চাইছিলেন। এ লক্ষ্যে ওনারা আলোচনা করছিলেন। এ আলোচনার একটা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এর সমঝোতা স্মারক, সেটা উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর সামান্তা শারমিনের রহস্যময় পোস্ট

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর তিন এনসিপি নেত্রীর রহস্যময় পোস্ট

জামায়াতের সঙ্গে জোটে আপত্তি এনসিপির ৩০ নেতার, নাহিদকে চিঠি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভোটের রাজনীতি: বড় দলে বিলীন ছোটরা

  • দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে তিনটি দলের প্রধান
  • আরও তিন নেতা গেছেন দলের শীর্ষ পদ ছেড়ে
  • রাজনীতিতে মতাদর্শ ফাঁকা বুলি: ইফতেখারুজ্জামান
তানিম আহমেদ, ঢাকা 
ভোটের রাজনীতি: বড় দলে বিলীন ছোটরা

নির্বাচন কমিশনের ভোটের হুইসেল বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে রাজনীতির নানান হিসাবনিকাশ। আসন ছাড়ের নিশ্চয়তা ও জয়ের সম্ভাবনা বাড়াতে কেউ কেউ দল বিলুপ্ত করে, আবার কেউ দলের শীর্ষ পদ ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন বড় দলে।

রাজনীতিবিদদের এমন আচরণকে ক্ষমতার দৌড়ে টিকে থাকার অভিনব পন্থা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। অন্যদিকে যোগ দেওয়া নেতারা বলছেন, আদর্শগত মিল ও ভোটের কৌশল বিবেচনায় বড় দলের প্রতীকে নির্বাচন করার জন্যই যোগ দিচ্ছেন তাঁরা।

দেশে ভোটের রাজনীতিতে দলবদল নতুন নয়। নানান সমীকরণে বড় দলগুলো আসন ছাড় দিলেও মাঠপর্যায়ের সাংগঠনিক দুর্বলতা, সীমিত ভোটব্যাংকের কারণে তাঁরা নির্বাচনে কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়েন। অন্যদিকে আগামী সংসদ নির্বাচনের পরে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। সে কারণে বড় দলগুলোও আসন ছাড়তে নানান হিসাব কষছে। এ পরিস্থিতিতে বড় দলের ছায়াতলে গিয়ে নির্বাচনী সমীকরণে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার কৌশল বেছে নিচ্ছেন ছোট দলের নেতারা। কিন্তু এটা করতে গিয়ে বিলীন হচ্ছে তাঁদের নিজেদের দলগুলোই।

সম্প্রতি তিনটি অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রধান দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা হলেন, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।

আর এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। সর্বশেষ গতকাল শনিবার বিএনপিতে যোগ দেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

দল বিলুপ্ত করে অন্য দলে যোগদানকে ‘অভিনব’ বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা তো অভিনব। তোরা যে যা বলিস ভাই, আমাদের এমপি হওয়া চাই। যেকোনো মূল্যে, যেকোনো শর্তে। কারণ এমপি হওয়ার সঙ্গে মধু যুক্ত আছে। ক্ষমতার সঙ্গে জাদুর কাঠি যুক্ত।’

যদিও কৌশলগত কারণেই দল থেকে পদত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ববি হাজ্জাজ। আজকের পত্রিকাকে তিনি জানান, দুটো কারণে জোটের শরিকেরা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘নতুন বা ছোট দলের জন্য নিজস্ব প্রতীক পরিচিত করার সময় কম থাকায় ধানের শীষে নির্বাচন করলে জয়ের সম্ভাবনা বাড়ে।

পাশাপাশি নির্বাচনের পর পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ শতাংশ ভোটের শর্ত থাকায় এক বা দুই আসনে নির্বাচন করা দলগুলোর সেই সুযোগ পাওয়া কঠিন।’

ভোটের রাজনীতিতে এত দিন বড় দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিত জোটের ছোট দলের প্রার্থীরা। কিন্তু ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করেছে নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী, অন্য দলের সঙ্গে জোট করলেও নিজের দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে প্রার্থীকে।

পুরোনো সুযোগ বহাল রাখার জন্য ইসিতে চিঠি দিয়েছিল বিএনপিসহ তাদের শরিকেরা। কিন্তু কাজ হয়নি। অনড় থাকে ইসি। ফলে ছাড় দেওয়া আসনে ধানের শীষ না থাকলে বিরোধীদের বিজয়ের সম্ভাবনা থাকায় শরিকদের আসন ছাড়ে অনমনীয় হয় বিএনপি। এ কারণে আসন ছাড়ের নিশ্চয়তার জন্যই বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ছোট দলের নেতারা।

কিন্তু এভাবে নিজের দল বিলুপ্ত করে বড় দলে যোগ দেওয়াকে নিন্দনীয় বলে মনে করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আল মাসুদ হাসানুজ্জামান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, জনগণের কাছে তাঁদের যে একটা অঙ্গীকার ছিল, মতাদর্শ ছিল, সেগুলোকে উপেক্ষা করে তাঁরা এমনটা করছেন। তাঁদের সাংগঠনিক দৃঢ়তার অভাবে এমনটা হতে পারে। আবার একধরনের জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন বলেই এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন। জনগণ এসব উদ্যোগ পছন্দ করবে না।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সৈয়দ সিরাজুল হুদা জাতীয় দল গঠন করেছিলেন। ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনও করেছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পরে দলের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন ছেলে সৈয়দ এহসানুল হুদা। তিনি দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে ছাত্রদলের রাজনীতি করতেন। এহসানুল হুদা বলেন, ‘আমার রাজনীতি শুরু বিএনপি থেকে। এখন ঘরের ছেলে ঘরেই ফিরে এলাম। মাঝখানে কিছুটা দিন আমি বাবার দলটা করেছি।’

বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিমের দাবি, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেই দল বিলুপ্ত করে তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নেতা-কর্মীরা বলছেন, আমি বিএনপিতে যোগ দিলে তাঁরাও যোগ দেবেন। সবাই আগ্রহ প্রকাশ করায়, আর দলে বিকল্প নেতৃত্ব না থাকায় বিলুপ্ত করেছি।’

জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব ঘটনায় অবাক হওয়ার মতো কিছু দেখি না। আমাদের রাজনীতিতে রাজনৈতিক দর্শন বা মতাদর্শ কখনো কাগুজে ফাঁকা বুলির ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি।’

সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের ছয়টি আসনে ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদ তিনটি, ওয়ার্কার্স পার্টি দুটি এবং জাতীয় পার্টি (জেপি) একটি আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছিল। কিন্তু সেখানে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেও হাসানুল হক ইনু, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ফজলে হোসেন বাদশা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। নৌকা নিয়ে রাশেদ খান মেনন ও জাসদের রেজাউল করিম তানসেন বিজয়ী হয়েছিলেন। বাকিটাতেও নৌকা নিয়ে হেরেছিলেন জাসদের প্রার্থী। গত চারটি জাতীয় সংসদে দলগুলোর প্রতিনিধি থাকলেও সাংগঠনিকভাবে শক্তি অর্জন করতে পারেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর সামান্তা শারমিনের রহস্যময় পোস্ট

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর তিন এনসিপি নেত্রীর রহস্যময় পোস্ট

জামায়াতের সঙ্গে জোটে আপত্তি এনসিপির ৩০ নেতার, নাহিদকে চিঠি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আখতার হোসেন। ফাইল ছবি
আখতার হোসেন। ফাইল ছবি

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা বা জোটে যাওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আজ শনিবার দিবাগত রাতে এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আখতারের বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

জামায়াতের সঙ্গে জোট বা সমঝোতার ব্যাখ্যা দিয়ে আখতার বলেছেন, ঐকমত্য কমিশনে সংস্কার প্রশ্নে বিএনপির সাথেই অন্য দলগুলোর মতভিন্নতা পরিলক্ষিত হতো। সেখানে সংস্কারের পয়েন্টগুলোতে ন্যাচারালি (স্বাভাবিকভাবেই) এনসিপি, জামায়াত এবং অন্য দলগুলো একমত হয়েছে।

সে ক্ষেত্রে সংস্কারের বিষয়, দেশটাকে নতুন করে গড়া, নতুনভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোকে গড়ে তোলার জন্য যে রাজনীতি, সে রাজনীতির প্রতি যে কমিটমেন্ট সেটাকেই নির্বাচনী রাজনীতিতে জোটের বা সমঝোতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রধানতম বিবেচ্য বিষয় হিসেবে এটাকে মূল্যায়ন করছি।

প্রসঙ্গত, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা নিয়ে এনসিপির অনেক নেতা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। শনিবার কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০ নেতা এই জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় আপত্তি জানিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর সামান্তা শারমিনের রহস্যময় পোস্ট

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর তিন এনসিপি নেত্রীর রহস্যময় পোস্ট

জামায়াতের সঙ্গে জোটে আপত্তি এনসিপির ৩০ নেতার, নাহিদকে চিঠি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানকে ‘কটূক্তি’ করা ব্যক্তিকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বলল বিএনপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
তারেক রহমানকে ‘কটূক্তি’ করা ব্যক্তিকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বলল বিএনপি

ওসমান হাদির কবর জিয়ারতে যাওয়ার সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্দেশে ‘কটূক্তি’ করার অভিযোগে এ কে এম শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানো সঠিক হয়নি বলে জানিয়েছে দলটি। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে সম্মান দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

আজ শনিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি বিষয়টি জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজ শনিবার ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ ওসমান হাদি এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে পুলিশ এ কে এম শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠায়।

বিএনপি মনে করে, একটি গণতান্ত্রিক দেশে যেকোনো ব্যক্তির মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। আর তাই বিএনপি গণতন্ত্র তথা মানুষের বাক্‌স্বাধীনতা ও ব্যক্তিস্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে আসছে। বিএনপি এ-ও বিশ্বাস করে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা একটা মৌলিক মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার, যা ব্যক্তিকে নির্ভয়ে নিজের চিন্তা, মতামত ও বিশ্বাস প্রকাশ করার স্বাধীনতা দেয়।

সুতরাং বিএনপি মনে করে, নিজের মতপ্রকাশের কারণে এ কে এম শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানো সঠিক হয়নি। তাই অবিলম্বে এ কে এম শহিদুল ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে সম্মান দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর সামান্তা শারমিনের রহস্যময় পোস্ট

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর তিন এনসিপি নেত্রীর রহস্যময় পোস্ট

জামায়াতের সঙ্গে জোটে আপত্তি এনসিপির ৩০ নেতার, নাহিদকে চিঠি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জটিল ও সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন খালেদা জিয়া: এ জেড এম জাহিদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জটিল ও সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

আজ শনিবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এক ব্রিফিংয়ে এমনটি জানান তিনি।

এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, এ কথা বলা যাবে না। উনি জটিল ও সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন।’

এদিকে দেশে ফেরার পর শনিবার রাতে দ্বিতীয়বারের মতো খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে আসেন তাঁর বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক রহমান হাসপাতাল ছাড়লে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাহিদ হোসেন।

জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মায়ের পাশে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন তারেক রহমান। চিকিৎসার বিষয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। খালেদা জিয়াকে দোয়ায় রাখার জন্য দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারেক রহমান। চিকিৎসকসহ খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত সবাইকেও তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।’

হাসপাতালের চিকিৎসা যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সেজন্য দলের নেতা-কর্মীদের কাছেও আহ্বান জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর সামান্তা শারমিনের রহস্যময় পোস্ট

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর তিন এনসিপি নেত্রীর রহস্যময় পোস্ট

জামায়াতের সঙ্গে জোটে আপত্তি এনসিপির ৩০ নেতার, নাহিদকে চিঠি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত