রেজা করিম ও তানিম আহমেদ, ঢাকা

দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ঐক্য চায় রাজনৈতিক দলগুলোও। কিন্তু এই ঐক্য কিসের ভিত্তিতে আসবে, কীভাবে হবে সে বিষয়টি এখনো অস্পষ্টই রয়ে গেছে।
গত ২৭ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে জাতীয় ঐক্যের তাগিদ দিয়ে এসেছে বিএনপি। পরের দিন জামায়াতে ইসলামীও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে জানিয়ে এসেছে যে বিএনপির সঙ্গে তারাও এ ব্যাপারে একমত। এ ছাড়া বিভিন্ন সভা-সেমিনারে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা জাতীয় ঐক্যের কথা বলে আসছেন। তবে এই প্রক্রিয়া এখনো কথাতেই আছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, গতকাল জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ এ নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করবেন তিনি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য হবে। এটা তো আর এমনি হয় না। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয়।’ আওয়ামী লীগ এই প্রক্রিয়ায় থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখানে কেন থাকবে? আওয়ামী লীগ হলো খুনি, স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজ। ওইটা (আওয়ামী লীগ) কোনো ফ্যাক্টর না।’
আওয়ামী লীগের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘যারা রাস্তায় আন্দোলন করেছে, তৎকালীন সরকারের নির্দেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যাদের গুলি করে মেরেছে, তাদের শক্ত অবস্থান হচ্ছে আওয়ামী লীগের বিচার হতে হবে, তারপরে তাদের রাজনীতি। সরকারের অবস্থান হচ্ছে, আমরা কাউকে নিষিদ্ধ করব না। কিন্তু কেউ যদি মনে করে, তার সাংগঠনিক অবস্থা আছে, সে কীভাবে রাজনীতি করবে, সেটা আমরা বলে দেব না।’
জাতীয় ঐক্য চায় জামায়াতও। এ নিয়ে গত সোমবার ঝালকাঠিতে এক সমাবেশে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশকে স্থিতিশীল রাখতে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। পতিত স্বৈরাচারের দোসররা নানামুখী চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে উসকানি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। তারা যতই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করুক, তাদের পাতানো ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, ‘আমরা জাতীয় ঐক্য চাই। আগরতলায় আমাদের উপহাইকমিশনে যে আক্রমণ হয়েছে, সেই বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে জাতীয় ঐক্য গঠনের জন্য আমরাও ডাক দেব।’
জাতীয় ঐক্য নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁদের অনেকে বলেছেন, জাতীয় ঐক্য নিয়ে তাগিদ উঠলেও এ নিয়ে বিস্তারিত কোনো আলোচনা এখনো হয়নি। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের জায়গা তৈরি হয়েছিল। গত তিন মাসে সেই জায়গাটা আগের মতো নেই, টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে, যা উদ্বেগের বিষয়। এর মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় জাতীয় ঐক্যের তাগিদ অনুভব করছে দলগুলো। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সৃষ্ট ঐক্যের জায়গায় চিড় ধরে, যাতে তার সুযোগ আওয়ামী লীগ নিতে না পারে, সেই চেষ্টারই অংশ এই উদ্যোগ। এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয়ের কথাও জানা গেছে তাঁদের বক্তব্যে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করেছে, তাদের নিয়েই জাতীয় ঐক্য করা হবে।’ তবে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন যে সহজ হবে না, সে বিষয়েও ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেছেন, জাতীয় ঐক্য জনগণও চায়। কিন্তু মুখে বললেই তো তা হবে না, কথা ও কাজে মিল থাকতে হবে। ভিন্ন মতাদর্শের দলগুলোকে বৃহত্তর স্বার্থে এক জায়গায় আসতে হবে। সেই কাজটা এতটা সহজ নয়। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ও আলোচনা বাড়াতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার আবার নিজেদের মসনদ ও সুখের বালাখানা ফেরত পাওয়ার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশ তাকে সমর্থন করছে। তাই আমাদের সজাগ থাকা উচিত। ৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে জাতি যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, সে রকম ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। জাতীয় ঐক্যের আহ্বানটা আসা উচিত সেই জায়গা থেকে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আদর্শিক রাজনীতির ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যকারিতা, সংস্কার, নিরপেক্ষ নির্বাচন, ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রশ্নে আমাদের বড় দাগে ঐকমত্যের জায়গা আছে। সেগুলো আরও সংহত করা, বোঝাপড়া বাড়িয়ে তোলা এবং জনগণের মাঝে ঐক্যের বিষয়ে নতুন কোনো বিভ্রান্তি তৈরি না হয়, এটাই হচ্ছে জাতীয় ঐক্যের প্রধান দিক।’
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের জনআকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।
বিরাজমান পরিস্থিতিতে জাতীয় ইস্যুতে ‘জাতীয় ঐক্য’ হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ বলেন, জাতীয় ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য হতে পারে। এ মুহূর্তে জাতীয় ইস্যু হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে, পুলিশ কাজ করছে না।
আওয়ামী লীগ ছাড়াও জাতীয় ঐক্য হতে পারে বলে মনে করেন সাব্বির আহমেদ। তিনি বলেন, ‘তারা যেহেতু দৃশ্যপটে নেই। তারা তো পুরো রাজনৈতিক বন্দোবস্তের শত্রুপক্ষ। শত্রুর সঙ্গে তো জাতীয় ঐক্য করতে পারবেন না।’

দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ঐক্য চায় রাজনৈতিক দলগুলোও। কিন্তু এই ঐক্য কিসের ভিত্তিতে আসবে, কীভাবে হবে সে বিষয়টি এখনো অস্পষ্টই রয়ে গেছে।
গত ২৭ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে জাতীয় ঐক্যের তাগিদ দিয়ে এসেছে বিএনপি। পরের দিন জামায়াতে ইসলামীও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে জানিয়ে এসেছে যে বিএনপির সঙ্গে তারাও এ ব্যাপারে একমত। এ ছাড়া বিভিন্ন সভা-সেমিনারে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা জাতীয় ঐক্যের কথা বলে আসছেন। তবে এই প্রক্রিয়া এখনো কথাতেই আছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, গতকাল জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ এ নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করবেন তিনি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য হবে। এটা তো আর এমনি হয় না। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয়।’ আওয়ামী লীগ এই প্রক্রিয়ায় থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখানে কেন থাকবে? আওয়ামী লীগ হলো খুনি, স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজ। ওইটা (আওয়ামী লীগ) কোনো ফ্যাক্টর না।’
আওয়ামী লীগের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘যারা রাস্তায় আন্দোলন করেছে, তৎকালীন সরকারের নির্দেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যাদের গুলি করে মেরেছে, তাদের শক্ত অবস্থান হচ্ছে আওয়ামী লীগের বিচার হতে হবে, তারপরে তাদের রাজনীতি। সরকারের অবস্থান হচ্ছে, আমরা কাউকে নিষিদ্ধ করব না। কিন্তু কেউ যদি মনে করে, তার সাংগঠনিক অবস্থা আছে, সে কীভাবে রাজনীতি করবে, সেটা আমরা বলে দেব না।’
জাতীয় ঐক্য চায় জামায়াতও। এ নিয়ে গত সোমবার ঝালকাঠিতে এক সমাবেশে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশকে স্থিতিশীল রাখতে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। পতিত স্বৈরাচারের দোসররা নানামুখী চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে উসকানি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। তারা যতই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করুক, তাদের পাতানো ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, ‘আমরা জাতীয় ঐক্য চাই। আগরতলায় আমাদের উপহাইকমিশনে যে আক্রমণ হয়েছে, সেই বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে জাতীয় ঐক্য গঠনের জন্য আমরাও ডাক দেব।’
জাতীয় ঐক্য নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁদের অনেকে বলেছেন, জাতীয় ঐক্য নিয়ে তাগিদ উঠলেও এ নিয়ে বিস্তারিত কোনো আলোচনা এখনো হয়নি। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের জায়গা তৈরি হয়েছিল। গত তিন মাসে সেই জায়গাটা আগের মতো নেই, টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে, যা উদ্বেগের বিষয়। এর মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় জাতীয় ঐক্যের তাগিদ অনুভব করছে দলগুলো। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সৃষ্ট ঐক্যের জায়গায় চিড় ধরে, যাতে তার সুযোগ আওয়ামী লীগ নিতে না পারে, সেই চেষ্টারই অংশ এই উদ্যোগ। এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয়ের কথাও জানা গেছে তাঁদের বক্তব্যে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করেছে, তাদের নিয়েই জাতীয় ঐক্য করা হবে।’ তবে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন যে সহজ হবে না, সে বিষয়েও ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেছেন, জাতীয় ঐক্য জনগণও চায়। কিন্তু মুখে বললেই তো তা হবে না, কথা ও কাজে মিল থাকতে হবে। ভিন্ন মতাদর্শের দলগুলোকে বৃহত্তর স্বার্থে এক জায়গায় আসতে হবে। সেই কাজটা এতটা সহজ নয়। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ও আলোচনা বাড়াতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার আবার নিজেদের মসনদ ও সুখের বালাখানা ফেরত পাওয়ার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশ তাকে সমর্থন করছে। তাই আমাদের সজাগ থাকা উচিত। ৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে জাতি যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, সে রকম ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। জাতীয় ঐক্যের আহ্বানটা আসা উচিত সেই জায়গা থেকে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আদর্শিক রাজনীতির ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যকারিতা, সংস্কার, নিরপেক্ষ নির্বাচন, ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রশ্নে আমাদের বড় দাগে ঐকমত্যের জায়গা আছে। সেগুলো আরও সংহত করা, বোঝাপড়া বাড়িয়ে তোলা এবং জনগণের মাঝে ঐক্যের বিষয়ে নতুন কোনো বিভ্রান্তি তৈরি না হয়, এটাই হচ্ছে জাতীয় ঐক্যের প্রধান দিক।’
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের জনআকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।
বিরাজমান পরিস্থিতিতে জাতীয় ইস্যুতে ‘জাতীয় ঐক্য’ হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ বলেন, জাতীয় ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য হতে পারে। এ মুহূর্তে জাতীয় ইস্যু হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে, পুলিশ কাজ করছে না।
আওয়ামী লীগ ছাড়াও জাতীয় ঐক্য হতে পারে বলে মনে করেন সাব্বির আহমেদ। তিনি বলেন, ‘তারা যেহেতু দৃশ্যপটে নেই। তারা তো পুরো রাজনৈতিক বন্দোবস্তের শত্রুপক্ষ। শত্রুর সঙ্গে তো জাতীয় ঐক্য করতে পারবেন না।’
রেজা করিম ও তানিম আহমেদ, ঢাকা

দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ঐক্য চায় রাজনৈতিক দলগুলোও। কিন্তু এই ঐক্য কিসের ভিত্তিতে আসবে, কীভাবে হবে সে বিষয়টি এখনো অস্পষ্টই রয়ে গেছে।
গত ২৭ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে জাতীয় ঐক্যের তাগিদ দিয়ে এসেছে বিএনপি। পরের দিন জামায়াতে ইসলামীও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে জানিয়ে এসেছে যে বিএনপির সঙ্গে তারাও এ ব্যাপারে একমত। এ ছাড়া বিভিন্ন সভা-সেমিনারে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা জাতীয় ঐক্যের কথা বলে আসছেন। তবে এই প্রক্রিয়া এখনো কথাতেই আছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, গতকাল জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ এ নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করবেন তিনি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য হবে। এটা তো আর এমনি হয় না। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয়।’ আওয়ামী লীগ এই প্রক্রিয়ায় থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখানে কেন থাকবে? আওয়ামী লীগ হলো খুনি, স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজ। ওইটা (আওয়ামী লীগ) কোনো ফ্যাক্টর না।’
আওয়ামী লীগের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘যারা রাস্তায় আন্দোলন করেছে, তৎকালীন সরকারের নির্দেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যাদের গুলি করে মেরেছে, তাদের শক্ত অবস্থান হচ্ছে আওয়ামী লীগের বিচার হতে হবে, তারপরে তাদের রাজনীতি। সরকারের অবস্থান হচ্ছে, আমরা কাউকে নিষিদ্ধ করব না। কিন্তু কেউ যদি মনে করে, তার সাংগঠনিক অবস্থা আছে, সে কীভাবে রাজনীতি করবে, সেটা আমরা বলে দেব না।’
জাতীয় ঐক্য চায় জামায়াতও। এ নিয়ে গত সোমবার ঝালকাঠিতে এক সমাবেশে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশকে স্থিতিশীল রাখতে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। পতিত স্বৈরাচারের দোসররা নানামুখী চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে উসকানি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। তারা যতই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করুক, তাদের পাতানো ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, ‘আমরা জাতীয় ঐক্য চাই। আগরতলায় আমাদের উপহাইকমিশনে যে আক্রমণ হয়েছে, সেই বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে জাতীয় ঐক্য গঠনের জন্য আমরাও ডাক দেব।’
জাতীয় ঐক্য নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁদের অনেকে বলেছেন, জাতীয় ঐক্য নিয়ে তাগিদ উঠলেও এ নিয়ে বিস্তারিত কোনো আলোচনা এখনো হয়নি। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের জায়গা তৈরি হয়েছিল। গত তিন মাসে সেই জায়গাটা আগের মতো নেই, টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে, যা উদ্বেগের বিষয়। এর মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় জাতীয় ঐক্যের তাগিদ অনুভব করছে দলগুলো। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সৃষ্ট ঐক্যের জায়গায় চিড় ধরে, যাতে তার সুযোগ আওয়ামী লীগ নিতে না পারে, সেই চেষ্টারই অংশ এই উদ্যোগ। এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয়ের কথাও জানা গেছে তাঁদের বক্তব্যে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করেছে, তাদের নিয়েই জাতীয় ঐক্য করা হবে।’ তবে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন যে সহজ হবে না, সে বিষয়েও ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেছেন, জাতীয় ঐক্য জনগণও চায়। কিন্তু মুখে বললেই তো তা হবে না, কথা ও কাজে মিল থাকতে হবে। ভিন্ন মতাদর্শের দলগুলোকে বৃহত্তর স্বার্থে এক জায়গায় আসতে হবে। সেই কাজটা এতটা সহজ নয়। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ও আলোচনা বাড়াতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার আবার নিজেদের মসনদ ও সুখের বালাখানা ফেরত পাওয়ার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশ তাকে সমর্থন করছে। তাই আমাদের সজাগ থাকা উচিত। ৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে জাতি যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, সে রকম ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। জাতীয় ঐক্যের আহ্বানটা আসা উচিত সেই জায়গা থেকে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আদর্শিক রাজনীতির ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যকারিতা, সংস্কার, নিরপেক্ষ নির্বাচন, ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রশ্নে আমাদের বড় দাগে ঐকমত্যের জায়গা আছে। সেগুলো আরও সংহত করা, বোঝাপড়া বাড়িয়ে তোলা এবং জনগণের মাঝে ঐক্যের বিষয়ে নতুন কোনো বিভ্রান্তি তৈরি না হয়, এটাই হচ্ছে জাতীয় ঐক্যের প্রধান দিক।’
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের জনআকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।
বিরাজমান পরিস্থিতিতে জাতীয় ইস্যুতে ‘জাতীয় ঐক্য’ হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ বলেন, জাতীয় ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য হতে পারে। এ মুহূর্তে জাতীয় ইস্যু হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে, পুলিশ কাজ করছে না।
আওয়ামী লীগ ছাড়াও জাতীয় ঐক্য হতে পারে বলে মনে করেন সাব্বির আহমেদ। তিনি বলেন, ‘তারা যেহেতু দৃশ্যপটে নেই। তারা তো পুরো রাজনৈতিক বন্দোবস্তের শত্রুপক্ষ। শত্রুর সঙ্গে তো জাতীয় ঐক্য করতে পারবেন না।’

দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ঐক্য চায় রাজনৈতিক দলগুলোও। কিন্তু এই ঐক্য কিসের ভিত্তিতে আসবে, কীভাবে হবে সে বিষয়টি এখনো অস্পষ্টই রয়ে গেছে।
গত ২৭ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে জাতীয় ঐক্যের তাগিদ দিয়ে এসেছে বিএনপি। পরের দিন জামায়াতে ইসলামীও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে জানিয়ে এসেছে যে বিএনপির সঙ্গে তারাও এ ব্যাপারে একমত। এ ছাড়া বিভিন্ন সভা-সেমিনারে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা জাতীয় ঐক্যের কথা বলে আসছেন। তবে এই প্রক্রিয়া এখনো কথাতেই আছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, গতকাল জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ এ নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করবেন তিনি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য হবে। এটা তো আর এমনি হয় না। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয়।’ আওয়ামী লীগ এই প্রক্রিয়ায় থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখানে কেন থাকবে? আওয়ামী লীগ হলো খুনি, স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজ। ওইটা (আওয়ামী লীগ) কোনো ফ্যাক্টর না।’
আওয়ামী লীগের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘যারা রাস্তায় আন্দোলন করেছে, তৎকালীন সরকারের নির্দেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যাদের গুলি করে মেরেছে, তাদের শক্ত অবস্থান হচ্ছে আওয়ামী লীগের বিচার হতে হবে, তারপরে তাদের রাজনীতি। সরকারের অবস্থান হচ্ছে, আমরা কাউকে নিষিদ্ধ করব না। কিন্তু কেউ যদি মনে করে, তার সাংগঠনিক অবস্থা আছে, সে কীভাবে রাজনীতি করবে, সেটা আমরা বলে দেব না।’
জাতীয় ঐক্য চায় জামায়াতও। এ নিয়ে গত সোমবার ঝালকাঠিতে এক সমাবেশে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশকে স্থিতিশীল রাখতে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। পতিত স্বৈরাচারের দোসররা নানামুখী চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে উসকানি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। তারা যতই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করুক, তাদের পাতানো ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, ‘আমরা জাতীয় ঐক্য চাই। আগরতলায় আমাদের উপহাইকমিশনে যে আক্রমণ হয়েছে, সেই বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে জাতীয় ঐক্য গঠনের জন্য আমরাও ডাক দেব।’
জাতীয় ঐক্য নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁদের অনেকে বলেছেন, জাতীয় ঐক্য নিয়ে তাগিদ উঠলেও এ নিয়ে বিস্তারিত কোনো আলোচনা এখনো হয়নি। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের জায়গা তৈরি হয়েছিল। গত তিন মাসে সেই জায়গাটা আগের মতো নেই, টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে, যা উদ্বেগের বিষয়। এর মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় জাতীয় ঐক্যের তাগিদ অনুভব করছে দলগুলো। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সৃষ্ট ঐক্যের জায়গায় চিড় ধরে, যাতে তার সুযোগ আওয়ামী লীগ নিতে না পারে, সেই চেষ্টারই অংশ এই উদ্যোগ। এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয়ের কথাও জানা গেছে তাঁদের বক্তব্যে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করেছে, তাদের নিয়েই জাতীয় ঐক্য করা হবে।’ তবে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন যে সহজ হবে না, সে বিষয়েও ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেছেন, জাতীয় ঐক্য জনগণও চায়। কিন্তু মুখে বললেই তো তা হবে না, কথা ও কাজে মিল থাকতে হবে। ভিন্ন মতাদর্শের দলগুলোকে বৃহত্তর স্বার্থে এক জায়গায় আসতে হবে। সেই কাজটা এতটা সহজ নয়। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ও আলোচনা বাড়াতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার আবার নিজেদের মসনদ ও সুখের বালাখানা ফেরত পাওয়ার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশ তাকে সমর্থন করছে। তাই আমাদের সজাগ থাকা উচিত। ৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে জাতি যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, সে রকম ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। জাতীয় ঐক্যের আহ্বানটা আসা উচিত সেই জায়গা থেকে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আদর্শিক রাজনীতির ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যকারিতা, সংস্কার, নিরপেক্ষ নির্বাচন, ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রশ্নে আমাদের বড় দাগে ঐকমত্যের জায়গা আছে। সেগুলো আরও সংহত করা, বোঝাপড়া বাড়িয়ে তোলা এবং জনগণের মাঝে ঐক্যের বিষয়ে নতুন কোনো বিভ্রান্তি তৈরি না হয়, এটাই হচ্ছে জাতীয় ঐক্যের প্রধান দিক।’
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের জনআকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।
বিরাজমান পরিস্থিতিতে জাতীয় ইস্যুতে ‘জাতীয় ঐক্য’ হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ বলেন, জাতীয় ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য হতে পারে। এ মুহূর্তে জাতীয় ইস্যু হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে, পুলিশ কাজ করছে না।
আওয়ামী লীগ ছাড়াও জাতীয় ঐক্য হতে পারে বলে মনে করেন সাব্বির আহমেদ। তিনি বলেন, ‘তারা যেহেতু দৃশ্যপটে নেই। তারা তো পুরো রাজনৈতিক বন্দোবস্তের শত্রুপক্ষ। শত্রুর সঙ্গে তো জাতীয় ঐক্য করতে পারবেন না।’

এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা, গণমানুষের প্রতি দরদ ও ত্যাগের যে গভীরতা প্রয়োজন, এনসিপিতে তার স্পষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ফেসবুক পোস্টে ঝুমা লিখেছেন,‘এনসিপি প্রাথমিকভাবে যেই ১২৫ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল তার মধ্যে খাগড়াছড়ি ২৯৮নং আসনে শাপলা কলি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করতে আমাকে মনোনীত করেছিল।’
১ ঘণ্টা আগে
নানা জল্পনাকল্পনা ও নাটকীয়তার পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী জোট। এনসিপির পাশাপাশি এই জোটে নতুন করে আরও যুক্ত হয়েছে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
৮ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীসহ ১০-দলীয় জোটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দলের সব নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি তাঁর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে ‘আনুষ্ঠানিক সম্পর্কচ্ছেদের’ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর দৌহিত্র আজাদ খান ভাসানী। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
আজাদ খান ভাসানী এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠকের (উত্তরাঞ্চল) পাশাপাশি দলের কৃষক উইং প্রস্তুতি কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা, গণমানুষের প্রতি দরদ ও ত্যাগের যে গভীরতা প্রয়োজন, এনসিপিতে তার স্পষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
ফেসবুক পোস্টে আজাদ খান লিখেছেন, ‘অনেক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী তরুণদের হাত ধরে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) আমি যুক্ত হয়েছিলাম। শুরু থেকেই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে মহান মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত লড়াইয়ের এক ধারাবাহিক অধ্যায় হিসেবে আত্মস্থ করেছি। ৫৩ বছরের পুঞ্জীভূত বৈষম্য, শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সংগ্রামে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখাই ছিল আমার সেই পথচলার প্রেরণা।’
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর কথা উল্লেখ করে আজাদ খান বলেন, ‘তার দেখানো গণমানুষনির্ভর, আধিপত্যবাদ-সাম্রাজ্যবাদ ও বৈষম্যবিরোধী পালনবাদী রাজনীতির স্বপ্ন থেকেই প্রথমে জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং পরবর্তীতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সঙ্গে যুক্ত হই। সেই রাজনৈতিক ধারাবাহিকতায় দলের কৃষক উইংয়ের প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্বও গ্রহণ করি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, বাস্তব অভিজ্ঞতায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা, গণমানুষের প্রতি দরদ ও ত্যাগের যে গভীরতা প্রয়োজন এখানে তার স্পষ্ট ঘাটতি আমি অনুভব করেছি। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও স্বতন্ত্র পরিচয় গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও প্রত্যাশিত সাফল্য দেখা যায়নি। এই বাস্তবতায় বেশ কিছুদিন ধরে সরাসরি সক্রিয় না থেকেও দলটির সঠিক রাজনীতি ও সাফল্য কামনা করে গেছি। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা ও মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক আদর্শের পক্ষাবলম্বনই আমার কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেই দায় ও আদর্শের প্রতি অবিচল থাকতেই আজ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সঙ্গে আমার আনুষ্ঠানিক সম্পর্কচ্ছেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি।’
এনসিপির প্রতি শুভ কামনা জানিয়ে আজাদ খান বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে আমার এই স্বল্পকালীন পথচলায় কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল। তারুণ্যের অভিযাত্রী দলটির প্রতি রইল আন্তরিক শুভকামনা। গণমানুষের রাষ্ট্র বিনির্মাণের সংগ্রামে তারা যেন সঠিক পথ খুঁজে পায়—এই প্রত্যাশাই থাকল।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে ‘আনুষ্ঠানিক সম্পর্কচ্ছেদের’ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর দৌহিত্র আজাদ খান ভাসানী। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
আজাদ খান ভাসানী এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠকের (উত্তরাঞ্চল) পাশাপাশি দলের কৃষক উইং প্রস্তুতি কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা, গণমানুষের প্রতি দরদ ও ত্যাগের যে গভীরতা প্রয়োজন, এনসিপিতে তার স্পষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
ফেসবুক পোস্টে আজাদ খান লিখেছেন, ‘অনেক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী তরুণদের হাত ধরে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) আমি যুক্ত হয়েছিলাম। শুরু থেকেই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে মহান মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত লড়াইয়ের এক ধারাবাহিক অধ্যায় হিসেবে আত্মস্থ করেছি। ৫৩ বছরের পুঞ্জীভূত বৈষম্য, শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সংগ্রামে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখাই ছিল আমার সেই পথচলার প্রেরণা।’
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর কথা উল্লেখ করে আজাদ খান বলেন, ‘তার দেখানো গণমানুষনির্ভর, আধিপত্যবাদ-সাম্রাজ্যবাদ ও বৈষম্যবিরোধী পালনবাদী রাজনীতির স্বপ্ন থেকেই প্রথমে জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং পরবর্তীতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সঙ্গে যুক্ত হই। সেই রাজনৈতিক ধারাবাহিকতায় দলের কৃষক উইংয়ের প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্বও গ্রহণ করি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, বাস্তব অভিজ্ঞতায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা, গণমানুষের প্রতি দরদ ও ত্যাগের যে গভীরতা প্রয়োজন এখানে তার স্পষ্ট ঘাটতি আমি অনুভব করেছি। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও স্বতন্ত্র পরিচয় গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও প্রত্যাশিত সাফল্য দেখা যায়নি। এই বাস্তবতায় বেশ কিছুদিন ধরে সরাসরি সক্রিয় না থেকেও দলটির সঠিক রাজনীতি ও সাফল্য কামনা করে গেছি। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা ও মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক আদর্শের পক্ষাবলম্বনই আমার কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেই দায় ও আদর্শের প্রতি অবিচল থাকতেই আজ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সঙ্গে আমার আনুষ্ঠানিক সম্পর্কচ্ছেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি।’
এনসিপির প্রতি শুভ কামনা জানিয়ে আজাদ খান বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে আমার এই স্বল্পকালীন পথচলায় কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল। তারুণ্যের অভিযাত্রী দলটির প্রতি রইল আন্তরিক শুভকামনা। গণমানুষের রাষ্ট্র বিনির্মাণের সংগ্রামে তারা যেন সঠিক পথ খুঁজে পায়—এই প্রত্যাশাই থাকল।’

দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ঐক্য চায় রাজনৈতিক দলগুলোও। কিন্তু এই ঐক্য কিসের ভিত্তিতে আসবে, কীভাবে হবে সে বিষয়টি এখনো অস্পষ্টই রয়ে গেছে।
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
ফেসবুক পোস্টে ঝুমা লিখেছেন,‘এনসিপি প্রাথমিকভাবে যেই ১২৫ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল তার মধ্যে খাগড়াছড়ি ২৯৮নং আসনে শাপলা কলি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করতে আমাকে মনোনীত করেছিল।’
১ ঘণ্টা আগে
নানা জল্পনাকল্পনা ও নাটকীয়তার পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী জোট। এনসিপির পাশাপাশি এই জোটে নতুন করে আরও যুক্ত হয়েছে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
৮ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীসহ ১০-দলীয় জোটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দলের সব নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি তাঁর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক মনজিলা ঝুমা। খাগড়াছড়ি থেকে এনসিপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। তবে গতকাল রোববার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া পোস্টে ঝুমা জানান, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন না।
ফেসবুক পোস্টে ঝুমা লিখেছেন,‘এনসিপি প্রাথমিকভাবে যেই ১২৫ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল তার মধ্যে খাগড়াছড়ি ২৯৮নং আসনে শাপলা কলি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করতে আমাকে মনোনীত করেছিল।’
ঝুমা আরও লিখেছেন, ‘২৪ তারিখে আমার পক্ষে আমার দলের খাগড়াছড়ি জেলার আহ্বায়ক মনোনয়ন উত্তোলন করেছে। আগামীকাল (সোমবার) জমা দেয়ার লাস্ট ডেইট। আজ (রোববার) প্রায় ২ ঘণ্টা আগেই দলের আহ্বায়ক জনাব নাহিদ ইসলামকে আমার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি না। তবে আমি বিশ্বাস করি তরুণেরা সংসদে যাবে, আজ নয়তো কাল।’
এর আগে নির্বাচনে অংশ না নিলেও এনসিপিতেই থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন মনজিলা ঝুমা। একদিন আগে ফেসবুক পোস্টে তিনি এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। ওই পোস্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতনের শিকার নাহিদ ইসলামের পুরোনো একটি ছবি যুক্ত করে মনজিলা ঝুমা লেখেন, ‘এই নাহিদ ইসলাম কে আমি/আমরা একা রেখে যেতে পারি না! আমাদের দলের প্রতি/জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। জুলাইয়ের সন্তানেরা কার কাছে নিরাপদ? কেউ কি বলেছে তারা বিজয়ী হলে জুলাই যোদ্ধাদের হামলা করবে না, মামলা করবে না? জনাব নাহিদের কাছে আগামীর বাংলাদেশ নিরাপদ। পাশে আছি লিডার।’

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক মনজিলা ঝুমা। খাগড়াছড়ি থেকে এনসিপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। তবে গতকাল রোববার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া পোস্টে ঝুমা জানান, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন না।
ফেসবুক পোস্টে ঝুমা লিখেছেন,‘এনসিপি প্রাথমিকভাবে যেই ১২৫ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল তার মধ্যে খাগড়াছড়ি ২৯৮নং আসনে শাপলা কলি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করতে আমাকে মনোনীত করেছিল।’
ঝুমা আরও লিখেছেন, ‘২৪ তারিখে আমার পক্ষে আমার দলের খাগড়াছড়ি জেলার আহ্বায়ক মনোনয়ন উত্তোলন করেছে। আগামীকাল (সোমবার) জমা দেয়ার লাস্ট ডেইট। আজ (রোববার) প্রায় ২ ঘণ্টা আগেই দলের আহ্বায়ক জনাব নাহিদ ইসলামকে আমার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি না। তবে আমি বিশ্বাস করি তরুণেরা সংসদে যাবে, আজ নয়তো কাল।’
এর আগে নির্বাচনে অংশ না নিলেও এনসিপিতেই থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন মনজিলা ঝুমা। একদিন আগে ফেসবুক পোস্টে তিনি এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। ওই পোস্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতনের শিকার নাহিদ ইসলামের পুরোনো একটি ছবি যুক্ত করে মনজিলা ঝুমা লেখেন, ‘এই নাহিদ ইসলাম কে আমি/আমরা একা রেখে যেতে পারি না! আমাদের দলের প্রতি/জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। জুলাইয়ের সন্তানেরা কার কাছে নিরাপদ? কেউ কি বলেছে তারা বিজয়ী হলে জুলাই যোদ্ধাদের হামলা করবে না, মামলা করবে না? জনাব নাহিদের কাছে আগামীর বাংলাদেশ নিরাপদ। পাশে আছি লিডার।’

দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ঐক্য চায় রাজনৈতিক দলগুলোও। কিন্তু এই ঐক্য কিসের ভিত্তিতে আসবে, কীভাবে হবে সে বিষয়টি এখনো অস্পষ্টই রয়ে গেছে।
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা, গণমানুষের প্রতি দরদ ও ত্যাগের যে গভীরতা প্রয়োজন, এনসিপিতে তার স্পষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
নানা জল্পনাকল্পনা ও নাটকীয়তার পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী জোট। এনসিপির পাশাপাশি এই জোটে নতুন করে আরও যুক্ত হয়েছে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
৮ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীসহ ১০-দলীয় জোটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দলের সব নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি তাঁর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নানা জল্পনাকল্পনা ও নাটকীয়তার পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী জোট। এনসিপির পাশাপাশি এই জোটে নতুন করে আরও যুক্ত হয়েছে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
জোটের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, দলগুলোর মধ্যে আসন সমঝোতার আলোচনাও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। কোন দল কত আসনে লড়বে, সে ঘোষণা আসতে পারে আজ-কালের মধ্যেই।
তবে জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটে দল যোগ দেওয়ায় এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির কয়েকজন নেতা। দলের শীর্ষ নেতারা অবশ্য জোটের পক্ষে তাঁদের অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেছেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল রোববার সংবাদ সম্মেলনে জোটের বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা ৮ দল অনেক দিন ধরে একসঙ্গে আন্দোলন করে আসছি। এখন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি।’
জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘আমাদের আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত, কিছু আলোচনা বাকি আছে। সেগুলো আশা করি শিগগির শেষ হবে। এরপর আমরা ঘোষণা করব।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন জোটে আগে থেকেই ছিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি। দলগুলো একসঙ্গে মাঠে কর্মসূচিও পালন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত আমিরের বাঁ পাশে বসেছিলেন এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। ডান পাশে বসেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক। উপস্থিত ছিলেন শরিক অন্য দলগুলোর নেতারা। তবে এনসিপির কোনো নেতা সেখানে ছিলেন না।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির জানান, দুপুরে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আট দলের শীর্ষ নেতারা। সেই বৈঠকে আট দলের জোটে এনসিপির অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে আমাদের আলোচনা আজকে সমাপ্ত হয়েছে। তারা আমাদের এই জোটে থাকছে।’
আসন সমঝোতার বিষয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত। সামান্য যা বাকি আছে, তা আলোচনার ভিত্তিতে সুন্দরভাবে শেষ করতে পারব আশা করি।’
১০ দলের মধ্যে আসন বণ্টন কীভাবে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা সবার হাতে আসন তুলে দিব। যার যে যোগ্যতা, তার ভিত্তিতেই আসনগুলো তুলে দেব। শিগগির আসন ঘোষণাও হবে।’
এরই মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন প্রায় ৩০০ আসনে এবং খেলাফত মজলিস ২৭৬ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টিও ইতিমধ্যে ১২৫ আসনে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জোটের অন্য দলগুলো সর্বোচ্চ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলগুলোর নেতারা।
দলগুলোর নেতারা জানিয়েছেন, এখন দলগুলো নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে। কিন্তু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হবে। তবে দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের আসনে একধরনের সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে।
একাধিক সূত্র বলছে, আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে বড় অংশ থাকবে জামায়াতের হাতে। বাকি আসনগুলো ৯ দলের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। জোটে আসনের দিক থেকে বড় ভাগ পাবে এসসিপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, নতুন এই জোটের আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে একটি প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। সেই অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী ১৯০টি, এনসিপি ৩০টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৩০-৩৫টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ৪-৫টি, খেলাফত মজলিস ৮টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ১৫টি আসনে প্রার্থী ছাড়ের আলোচনা চলছে। তবে জামায়াত বাদে অন্য দলগুলো আরও বেশি আসনে ছাড় পেতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দলগুলোর নেতারা।
এনসিপিতে গৃহদাহ
জামায়াত ও সমমনা ৮ দলের সঙ্গে জোটে অন্তর্ভুক্তির আলোচনা শুরুর পর থেকেই গৃহদাহ শুরু হয়েছে এনসিপিতে। জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির জোটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন দলের দুই যুগ্ম আহ্বায়ক তানসিম জারা ও তাজনূভা জাবীন। এ ছাড়া ‘একক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত’ পরিবর্তন হওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন।
এদিকে গতকাল রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ‘প্রাথমিকভাবে’ এনসিপির নির্বাচনকালীন সব কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম।
ফেসবুক পোস্টে নুসরাত দল থেকে অতি সম্প্রতি সরে দাঁড়ানো অন্যদের মতোই ঘোষিত আদর্শবিচ্যুত হওয়ার অভিযোগ করেছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘...জামায়াতে ইসলামীসহ ১০ দলীয় জোটে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমি মনে করি এনসিপির সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ এবং নীতিনির্ধারকেরা নিজেরাই এনসিপির মূল বক্তব্য থেকে চ্যুত হয়েছেন।’
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০ জন সদস্য জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচন না করার দাবি জানিয়ে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, দলের নির্বাহী কমিটি ও তৃণমূল পর্যায়ে যথেষ্ট আলোচনা ছাড়াই সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা দলীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী।
তবে এর বিপরীতে নাহিদের প্রতি পূর্ণ আস্থা জানিয়ে আহ্বায়ক বরাবর চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ১১৪ নেতা। তাঁরা চিঠিতে জানান, দলীয় ও জাতীয় স্বার্থের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক রূপান্তরের বৃহত্তর লক্ষ্যকে সামনে রেখে এনসিপি যদি কোনো রাজনৈতিক দল বা জোটের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় পৌঁছায় কিংবা নতুন কোনো জোট গঠন করে, তবে তাতে তাঁদের পূর্ণ সমর্থন ও সম্মতি থাকবে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে জামায়াতের সঙ্গে জোটের বিষয়টি সংবাদ সম্মেলন করে নিশ্চিত করেছে এনসিপিও। দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এনসিপি নির্বাচনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা বলেছিলাম, এককভাবে নির্বাচন করব। পরে মনোনয়নপত্র বিতরণ করেছি। এরপর আমরা তিন দলীয় জোট করি।’
নাহিদ বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আমরা বুঝতে পারি, নতুন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা এবং জুলাই প্রজন্মকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা চলছে।’
এই পরিপ্রেক্ষিতে এনসিপি জামায়াতের জোটে যাচ্ছে জানিয়ে দলের আহ্বায়ক বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার জন্য আমরা জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা দলের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় পৌঁছেছি। আমরা একসঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব।’
আজ সোমবার প্রার্থীদের বিষয়ে এনসিপি চূড়ান্তভাবে ঘোষণা দেবে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, যেখানে এনসিপির প্রার্থী থাকবে, সেখানে জোটের অন্য দলগুলো তাদের সহায়তা করবে। আর যেখানে এনসিপির প্রার্থী থাকবে না, সেখানে জোটের অন্য দলগুলোর প্রার্থীদের সহযোগিতা করা হবে।
জামায়াতের সঙ্গে জোট নিয়ে এনসিপিতে বিভাজন প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেকোনো বিষয়ে মতামত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকের ভেটো (আপত্তি) থাকতে পারে, বিরোধিতা থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে তিনি নির্বাচন করবেন কি না, দলে থাকবেন কি না, এটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’

নানা জল্পনাকল্পনা ও নাটকীয়তার পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী জোট। এনসিপির পাশাপাশি এই জোটে নতুন করে আরও যুক্ত হয়েছে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
জোটের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, দলগুলোর মধ্যে আসন সমঝোতার আলোচনাও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। কোন দল কত আসনে লড়বে, সে ঘোষণা আসতে পারে আজ-কালের মধ্যেই।
তবে জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটে দল যোগ দেওয়ায় এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির কয়েকজন নেতা। দলের শীর্ষ নেতারা অবশ্য জোটের পক্ষে তাঁদের অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেছেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল রোববার সংবাদ সম্মেলনে জোটের বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা ৮ দল অনেক দিন ধরে একসঙ্গে আন্দোলন করে আসছি। এখন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি।’
জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘আমাদের আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত, কিছু আলোচনা বাকি আছে। সেগুলো আশা করি শিগগির শেষ হবে। এরপর আমরা ঘোষণা করব।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন জোটে আগে থেকেই ছিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি। দলগুলো একসঙ্গে মাঠে কর্মসূচিও পালন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত আমিরের বাঁ পাশে বসেছিলেন এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। ডান পাশে বসেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক। উপস্থিত ছিলেন শরিক অন্য দলগুলোর নেতারা। তবে এনসিপির কোনো নেতা সেখানে ছিলেন না।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির জানান, দুপুরে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আট দলের শীর্ষ নেতারা। সেই বৈঠকে আট দলের জোটে এনসিপির অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে আমাদের আলোচনা আজকে সমাপ্ত হয়েছে। তারা আমাদের এই জোটে থাকছে।’
আসন সমঝোতার বিষয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত। সামান্য যা বাকি আছে, তা আলোচনার ভিত্তিতে সুন্দরভাবে শেষ করতে পারব আশা করি।’
১০ দলের মধ্যে আসন বণ্টন কীভাবে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা সবার হাতে আসন তুলে দিব। যার যে যোগ্যতা, তার ভিত্তিতেই আসনগুলো তুলে দেব। শিগগির আসন ঘোষণাও হবে।’
এরই মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন প্রায় ৩০০ আসনে এবং খেলাফত মজলিস ২৭৬ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টিও ইতিমধ্যে ১২৫ আসনে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জোটের অন্য দলগুলো সর্বোচ্চ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলগুলোর নেতারা।
দলগুলোর নেতারা জানিয়েছেন, এখন দলগুলো নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে। কিন্তু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হবে। তবে দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের আসনে একধরনের সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে।
একাধিক সূত্র বলছে, আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে বড় অংশ থাকবে জামায়াতের হাতে। বাকি আসনগুলো ৯ দলের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। জোটে আসনের দিক থেকে বড় ভাগ পাবে এসসিপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, নতুন এই জোটের আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে একটি প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। সেই অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী ১৯০টি, এনসিপি ৩০টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৩০-৩৫টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ৪-৫টি, খেলাফত মজলিস ৮টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ১৫টি আসনে প্রার্থী ছাড়ের আলোচনা চলছে। তবে জামায়াত বাদে অন্য দলগুলো আরও বেশি আসনে ছাড় পেতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দলগুলোর নেতারা।
এনসিপিতে গৃহদাহ
জামায়াত ও সমমনা ৮ দলের সঙ্গে জোটে অন্তর্ভুক্তির আলোচনা শুরুর পর থেকেই গৃহদাহ শুরু হয়েছে এনসিপিতে। জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির জোটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন দলের দুই যুগ্ম আহ্বায়ক তানসিম জারা ও তাজনূভা জাবীন। এ ছাড়া ‘একক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত’ পরিবর্তন হওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন।
এদিকে গতকাল রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ‘প্রাথমিকভাবে’ এনসিপির নির্বাচনকালীন সব কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম।
ফেসবুক পোস্টে নুসরাত দল থেকে অতি সম্প্রতি সরে দাঁড়ানো অন্যদের মতোই ঘোষিত আদর্শবিচ্যুত হওয়ার অভিযোগ করেছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘...জামায়াতে ইসলামীসহ ১০ দলীয় জোটে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমি মনে করি এনসিপির সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ এবং নীতিনির্ধারকেরা নিজেরাই এনসিপির মূল বক্তব্য থেকে চ্যুত হয়েছেন।’
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০ জন সদস্য জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচন না করার দাবি জানিয়ে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, দলের নির্বাহী কমিটি ও তৃণমূল পর্যায়ে যথেষ্ট আলোচনা ছাড়াই সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা দলীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী।
তবে এর বিপরীতে নাহিদের প্রতি পূর্ণ আস্থা জানিয়ে আহ্বায়ক বরাবর চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ১১৪ নেতা। তাঁরা চিঠিতে জানান, দলীয় ও জাতীয় স্বার্থের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক রূপান্তরের বৃহত্তর লক্ষ্যকে সামনে রেখে এনসিপি যদি কোনো রাজনৈতিক দল বা জোটের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় পৌঁছায় কিংবা নতুন কোনো জোট গঠন করে, তবে তাতে তাঁদের পূর্ণ সমর্থন ও সম্মতি থাকবে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে জামায়াতের সঙ্গে জোটের বিষয়টি সংবাদ সম্মেলন করে নিশ্চিত করেছে এনসিপিও। দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এনসিপি নির্বাচনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা বলেছিলাম, এককভাবে নির্বাচন করব। পরে মনোনয়নপত্র বিতরণ করেছি। এরপর আমরা তিন দলীয় জোট করি।’
নাহিদ বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আমরা বুঝতে পারি, নতুন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা এবং জুলাই প্রজন্মকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা চলছে।’
এই পরিপ্রেক্ষিতে এনসিপি জামায়াতের জোটে যাচ্ছে জানিয়ে দলের আহ্বায়ক বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার জন্য আমরা জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা দলের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় পৌঁছেছি। আমরা একসঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব।’
আজ সোমবার প্রার্থীদের বিষয়ে এনসিপি চূড়ান্তভাবে ঘোষণা দেবে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, যেখানে এনসিপির প্রার্থী থাকবে, সেখানে জোটের অন্য দলগুলো তাদের সহায়তা করবে। আর যেখানে এনসিপির প্রার্থী থাকবে না, সেখানে জোটের অন্য দলগুলোর প্রার্থীদের সহযোগিতা করা হবে।
জামায়াতের সঙ্গে জোট নিয়ে এনসিপিতে বিভাজন প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেকোনো বিষয়ে মতামত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকের ভেটো (আপত্তি) থাকতে পারে, বিরোধিতা থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে তিনি নির্বাচন করবেন কি না, দলে থাকবেন কি না, এটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’

দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ঐক্য চায় রাজনৈতিক দলগুলোও। কিন্তু এই ঐক্য কিসের ভিত্তিতে আসবে, কীভাবে হবে সে বিষয়টি এখনো অস্পষ্টই রয়ে গেছে।
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা, গণমানুষের প্রতি দরদ ও ত্যাগের যে গভীরতা প্রয়োজন, এনসিপিতে তার স্পষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ফেসবুক পোস্টে ঝুমা লিখেছেন,‘এনসিপি প্রাথমিকভাবে যেই ১২৫ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল তার মধ্যে খাগড়াছড়ি ২৯৮নং আসনে শাপলা কলি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করতে আমাকে মনোনীত করেছিল।’
১ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীসহ ১০-দলীয় জোটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দলের সব নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি তাঁর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জামায়াতে ইসলামীসহ ১০-দলীয় জোটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দলের সব নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি তাঁর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
নুসরাত তাবাসসুম অভিযোগ করেছেন, ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন জোটবদ্ধ হওয়া তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে একধরনের ‘প্রবঞ্চনা’।
নুসরাত তাবাসসুম তাঁর পোস্টে এনসিপির মূল লক্ষ্য ও বর্তমান পরিস্থিতির পার্থক্য তুলে ধরে বলেন, ‘এনসিপি তার জন্মলগ্নে আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছে গণতন্ত্রের সুষম চর্চা, নয়া বন্দোবস্ত, মধ্যপন্থা অন্তর্ভুক্তীমূলক সমাজব্যবস্থা, সভ্যতাকেন্দ্রিক সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ এবং সর্বোপরি বাংলাদেশপন্থা নিয়ে। এই প্রতিটা শব্দ আমি আমার মননে, মগজে এবং যাপনে ধারণ করি, এই শব্দগুলো আমার রাজনৈতিক স্বপ্ন। এনসিপির ঘোষণাপত্র থেকে শুরু করে এর সবগুলো লিটারেচার এই বক্তব্যে ধারণ করে৷ এনসিপি গঠনের সময় এটি ঠিক তাই ছিল যা আমি চেয়েছিলাম। আজ ২৮/১২/২০২৫, ঠিক ১০ মাস পর জামায়াতে ইসলামী সহ ১০ দলীয় জোটে বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে, আমি মনে করি এনসিপির সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ এবং নীতিনির্ধারকেরা নিজেরাই এনসিপির মূল বক্তব্য থেকে চ্যূত হয়েছেন।’
তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এনসিপির প্রবঞ্চনা প্রসঙ্গে তাবাসসুম বলেন, ‘বিশেষ করে, বিভিন্ন সময়ে জনাব আহ্বায়ক মহোদয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলদের আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী প্রদান করার ঘোষণা দিতে শুনেছি। এমতাবস্থায় তৃণমূল পর্যন্ত বিশেষ করে মনোনয়ন নেয়া ব্যক্তিগণের সাথে এই জোট ঘোষণার মাধ্যমে প্রবঞ্চনা করা হয়েছে বলে মনে করি।’
সবশেষে তাবাসসুম বলেন, ‘এ সমস্ত ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে আমি নুসরাত তাবাসসুম, (যুগ্ম আহ্বায়ক, জাতীয় নাগরিক পার্টি) নিজেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচনকালীন সময়ে পার্টির সকল কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় করছি। এবং অবস্থা পুনর্বিবেচনাক্রমে যে কোন চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ঘোষণা করছি।’
নুসরাত তাবাসসুমের এই ঘোষণার মাধ্যমে এনসিপির ভেতরে চলমান সংকট আরও ঘনীভূত হলো। এর আগে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিনও জোটের বিরোধিতা করেছেন, তবে তিনি দল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেপথ্যের কারিগর মাহফুজ আলমও আজ রাতে জানিয়েছেন যে, তিনি জামায়াত-এনসিপি জোটের হয়ে নির্বাচনে লড়বেন না।

জামায়াতে ইসলামীসহ ১০-দলীয় জোটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দলের সব নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি তাঁর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
নুসরাত তাবাসসুম অভিযোগ করেছেন, ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন জোটবদ্ধ হওয়া তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে একধরনের ‘প্রবঞ্চনা’।
নুসরাত তাবাসসুম তাঁর পোস্টে এনসিপির মূল লক্ষ্য ও বর্তমান পরিস্থিতির পার্থক্য তুলে ধরে বলেন, ‘এনসিপি তার জন্মলগ্নে আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছে গণতন্ত্রের সুষম চর্চা, নয়া বন্দোবস্ত, মধ্যপন্থা অন্তর্ভুক্তীমূলক সমাজব্যবস্থা, সভ্যতাকেন্দ্রিক সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ এবং সর্বোপরি বাংলাদেশপন্থা নিয়ে। এই প্রতিটা শব্দ আমি আমার মননে, মগজে এবং যাপনে ধারণ করি, এই শব্দগুলো আমার রাজনৈতিক স্বপ্ন। এনসিপির ঘোষণাপত্র থেকে শুরু করে এর সবগুলো লিটারেচার এই বক্তব্যে ধারণ করে৷ এনসিপি গঠনের সময় এটি ঠিক তাই ছিল যা আমি চেয়েছিলাম। আজ ২৮/১২/২০২৫, ঠিক ১০ মাস পর জামায়াতে ইসলামী সহ ১০ দলীয় জোটে বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে, আমি মনে করি এনসিপির সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ এবং নীতিনির্ধারকেরা নিজেরাই এনসিপির মূল বক্তব্য থেকে চ্যূত হয়েছেন।’
তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এনসিপির প্রবঞ্চনা প্রসঙ্গে তাবাসসুম বলেন, ‘বিশেষ করে, বিভিন্ন সময়ে জনাব আহ্বায়ক মহোদয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলদের আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী প্রদান করার ঘোষণা দিতে শুনেছি। এমতাবস্থায় তৃণমূল পর্যন্ত বিশেষ করে মনোনয়ন নেয়া ব্যক্তিগণের সাথে এই জোট ঘোষণার মাধ্যমে প্রবঞ্চনা করা হয়েছে বলে মনে করি।’
সবশেষে তাবাসসুম বলেন, ‘এ সমস্ত ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে আমি নুসরাত তাবাসসুম, (যুগ্ম আহ্বায়ক, জাতীয় নাগরিক পার্টি) নিজেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচনকালীন সময়ে পার্টির সকল কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় করছি। এবং অবস্থা পুনর্বিবেচনাক্রমে যে কোন চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ঘোষণা করছি।’
নুসরাত তাবাসসুমের এই ঘোষণার মাধ্যমে এনসিপির ভেতরে চলমান সংকট আরও ঘনীভূত হলো। এর আগে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিনও জোটের বিরোধিতা করেছেন, তবে তিনি দল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেপথ্যের কারিগর মাহফুজ আলমও আজ রাতে জানিয়েছেন যে, তিনি জামায়াত-এনসিপি জোটের হয়ে নির্বাচনে লড়বেন না।

দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ঐক্য চায় রাজনৈতিক দলগুলোও। কিন্তু এই ঐক্য কিসের ভিত্তিতে আসবে, কীভাবে হবে সে বিষয়টি এখনো অস্পষ্টই রয়ে গেছে।
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা, গণমানুষের প্রতি দরদ ও ত্যাগের যে গভীরতা প্রয়োজন, এনসিপিতে তার স্পষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ফেসবুক পোস্টে ঝুমা লিখেছেন,‘এনসিপি প্রাথমিকভাবে যেই ১২৫ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল তার মধ্যে খাগড়াছড়ি ২৯৮নং আসনে শাপলা কলি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করতে আমাকে মনোনীত করেছিল।’
১ ঘণ্টা আগে
নানা জল্পনাকল্পনা ও নাটকীয়তার পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী জোট। এনসিপির পাশাপাশি এই জোটে নতুন করে আরও যুক্ত হয়েছে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
৮ ঘণ্টা আগে