Ajker Patrika

আপনারাই সহিংসতা ছড়াচ্ছেন, আপনারাই সন্ত্রাস করেন: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২২, ২১: ১১
আপনারাই সহিংসতা ছড়াচ্ছেন, আপনারাই সন্ত্রাস করেন: মির্জা ফখরুল

চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহের মতো খুলনার গণসমাবেশ থেকেও সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আর তা হলে, জনগণের দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই স্বৈরাচারী সরকারকে হটাতে বাংলাদেশের মানুষ আজ জেগে উঠেছে। শত ভয়ভীতি, বাধা-বিপত্তি এবং হামলা-মামলায় আর জনগণ ভয় পায় না। তারই প্রমাণ খুলনার এই বিশাল গণসমাবেশ। এই গণসমাবেশের যে দাবি, তা মেনে নিয়ে সরকারকে স্বেচ্ছায়, মানে মানে কেটে পড়া উচিত। অন্যথায় এই অবৈধ সরকারকে কীভাবে নামাতে হয় তা জনগণের আন্দোলনই ঠিক করে দেবে।’

বিএনপির বিভাগীয় পর্যায়ে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শনিবার বিকেলে খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরের যশোর মহাসড়কে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রক্ত দিচ্ছেন, তা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার আমাদের সে অধিকার ও গণতন্ত্র নস্যাৎ করেছে। দেশকে আজ নরকে পরিণত করেছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। তারা জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় গেছে। মধ্য রাতে ভোট ডাকাতি করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। গণতন্ত্র নস্যাৎ করেছে, আমাদের সকল অর্জন ধ্বংস করেছে। আবার ২০২৩ সালে নির্বাচন আসছে। সে নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’ 

চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহের মতো খুলনার গণসমাবেশ অসংখ্য নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকাআওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা গণতন্ত্র নষ্ট করে দিয়েছে। এই সরকার দেশের ভোট ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করে দিয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয়, দলীয় সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই এই সরকারকে হটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে বাধ্য করা হবে।’ 

ফখরুল বলেন, ‘বর্তমানে যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে, তা শেখ হাসিনার তৈরি করা নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটা নিরপেক্ষ হাব-ভাব দেখিয়ে তার প্রমাণ করতে চাইছেন, তারা স্বাধীন। নির্বাচন কমিশনের কথা ডিসি, এসপিরা শোনে না। এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে কোনো কাজ হবে না। এই জন্য এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমরা কোনো কথা বলছি না। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এই লক্ষ্যেই আমরা আন্দোলন করছি।’ 

বিভিন্ন দুর্নীতি ও লোডশেডিংয়ের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছে, শেয়ার বাজারে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। বিদ্যুৎ সেক্টরে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়ে আজ বিদ্যুৎ দিতে পারছে না। বিদ্যুতের উন্নয়নের নামে দিনে ৫ / ৬ বার লোডশেডিং করা হচ্ছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। ইদানীং শেখ হাসিনা দেশে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনির কথা বলছেন। কিন্তু কিছুদিন আগে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে খাদ্য সংকট হবে না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল, তারা ১০ টাকা কেজি দরে চল খাওয়াবে। সেই চালের দাম এখন ৯০ টাকা হয়েছে। তারা বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। এখন চাকরি পেতে হলে আওয়ামী লীগের লোকজন ২০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়। এরা মিথ্যা প্রচার করে, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে। দেশে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়েছে। তারা উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে, লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। আর আমরা জনগণ কষ্টে আছি। বর্গিরা এসে আমাদের সবকিছু লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। এরা বর্গি।’

বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সমাবেশ পণ্ড করতে ক্ষমতাসীন দলের পেটোয়া বাহিনী এবং পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর বিভিন্ন জায়গায় ধরপাকড়, গ্রেপ্তার ও হামলা করে আহত করেছে। এর বিচার একদিন হবেই। আমরা তো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, আপনারাই সহিংসতা ছড়াচ্ছেন। আমাদের সমাবেশ পণ্ড করতে আপনারা পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছেন। আপনারাই সন্ত্রাস করেন।’

সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন, দলের স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বাবা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ উদ্দিন এ্যানি, নিতাই চন্দ্র রায় ও আব্দুল আউয়াল মিন্টু।

খুলনা বিভাগের আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সমাবেশে আসেন নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকাবিএনপির গণসমাবেশে খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, মাগুরা, নড়াইল, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

শনিবার বেলা দেড়টার দিকে খুলনা নগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে গণসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হলেও এর আগে থেকেই স্থানীয় নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন।

এদিকে পরিবহন বন্ধ থাকায় সমাবেশে আসতে নানা বাধা ও ভোগান্তি সহ্য করতে হয়েছে বলে জানান বিএনপির নেতা-কর্মীরা। অনেকে হেঁটে এবং ব্যক্তিগত গাড়ি ও নৌপথে এসেছেন। পথে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন সমাবেশে আসতে বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।

খুলনা নগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘গত (শুক্রবার) রাত থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভয়ভীতি দেখালেও মানুষ ভীত নয়। গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরও মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে, এ সরকারকে মানুষ আর দেখতে চায় না।’

এসব অভিযোগের বিষয় খুলনা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচিতে আমাদের বাধা দেওয়ার কিছু নেই। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য আমাদের নেতা-কর্মীরা রাজপথে ছিল। তাদের বাধা দেওয়ার বা সংঘর্ষের খবর আমাদের কাছে নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর তাদের বাধা দেয়নি।’

যানবাহন বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বাবুল রানা বলেন, ‘এটা পরিবহনমালিক-শ্রমিকদের বিষয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তারা কী কারণে বন্ধ করেছেন, সেটা তারাই ভালো বলতে পারবেন।’

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির মৃত্যুতে তারেক রহমানের গভীর শোক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ৩৬
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এই শোক জানান।

ওই পোস্টে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি শরীফ ওসমান হাদীর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে শোকাহত। আল্লাহ যেন তাঁর রুহের মাগফিরাত করে তাঁকে বেহেশত নসীব করেন। তাঁর এই অকাল শহীদি মৃত্যু আবারও মনে করিয়ে দিল— রাজনৈতিক সহিংসতা কত বড় মানবিক মূল্য দাবি করে।’

হাদি ছিলেন এক সাহসী রাজনৈতিক কর্মী এবং নির্ভীক কণ্ঠস্বর, যিনি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে তিনি জুলাইয়ের যোদ্ধাদের অধিকার রক্ষা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধরে রাখা এবং জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

তারেক রহমান আরও বলেন, আমি তাঁর শোকাহত পরিবার, স্বজন ও সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। একই সঙ্গে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, দ্রুত তদন্ত করে অপরাধীদের গ্রেপ্তার, শাস্তি এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করে প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে আর কোনো ঘটনা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে বা আমাদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে আঘাত না করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাতি একজন নির্ভীক কণ্ঠস্বর ও আদর্শবাদী যোদ্ধাকে হারাল: জামায়াত আমির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে এক বিবৃতিতে এমন প্রতিক্রিয়া জানান তিনি৷

বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, ওসমান হাদি মানবিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। ন্যায়, সত্য ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর শাহাদাতে জাতি একজন নির্ভীক কণ্ঠস্বর ও আদর্শবাদী যোদ্ধাকে হারাল।

শফিকুর রহমান যোগ করেন, তাঁর (ওসমান হাদি) শাহাদাতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হলো, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। তাঁর বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর নতুন প্রজন্মকে ধারণ করতে হবে এবং দলমত-নির্বিশেষে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে। তাঁর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

শফিকুর রহমান আরও বলেন, শরিফ ওসমান হাদি ছিলেন একজন সাহসী জুলাই যোদ্ধা ও সাচ্চা দেশপ্রেমিক। তিনি অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেননি। তাঁর কণ্ঠ ছিল সব আধিপত্যবাদী শক্তি ও অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে। তিনি ছিলেন আপসহীন এক যোদ্ধা। দুনিয়ার কোনো লোভ-লালসা তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি।

জামায়াত আমির বলেন, ‘আমি মহান আল্লাহর দরবারে তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। তাঁর মাসুম বাচ্চাসহ স্ত্রী, শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, সহযোদ্ধা ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি আল্লাহ তাআলা যেন তাঁদের সবাইকে এই বিরাট শোক সওয়ার তাওফিক দান করেন, সেই দোয়া করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির মৃত্যুতে জাপার আনিসুল ও রুহুল আমিনের গভীর শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ৪৪
চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম ও মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার। ছবি: সংগৃহীত
চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম ও মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র, ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও প্রতিবাদী যুবক ওসমান হাদির মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে এক শোকবার্তায় জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা বলেন, ওসমান হাদি ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক ও সাহসী যুবক। নিজ আদর্শে অবিচল থেকে তিনি আজীবন অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন। সন্ত্রাসী হামলায় তাঁর এ নির্মম মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

শোকবার্তায় নেতারা আরও বলেন, যারা ওসমান হাদিকে হত্যা করেছে, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এ ছাড়া রাজধানীর বুকে প্রকাশ্য দিবালোকে ওসমান হাদির মতো একজন তরুণকে গুলি করে হত্যার পরও জড়িত সন্ত্রাসীদের এখনো গ্রেপ্তার করতে না পারায় তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির মৃত্যুতে এনসিপির শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ওসমান হাদির মৃত্যুতে এনসিপির শোক

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বৃহস্পতিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই শোক জানায় দলটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্যতম সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি আজ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

এতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের এই সহযোদ্ধার প্রয়াণে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত