নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মুজিবনগর সরকারের ঘোষিত অঙ্গীকার—সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার—প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ১৯৭১ সালের মধ্য দিয়ে প্রথম সংবিধানে আমরা যে একটা ঐক্যের ভিত্তি তৈরি করলাম, তাকেই একভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। সেটা এমনকি সংবিধানে স্থান পায়নি।
আজ রোববার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন জোনায়েদ সাকি। তাঁর নেতৃত্ব দলটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ঘোষিত অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা প্রত্যেক নাগরিকের জন্য। তাকে আমরা অবলম্বনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু ১৯৭২ সাল থেকে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জাতি যে প্রতিশ্রুতি তৈরি করেছিল, যে প্রতিশ্রুতি একটি ঐক্য তৈরি করেছিল, সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশ পরিগঠিত হয়নি, পরিচালিত হয়নি।’
দেশ পরিগঠনে সংবিধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের নেতা বলেন, ‘সেই সংবিধানে আমরা লক্ষ করেছি যে, ১৯৭১ সালের মধ্য দিয়ে প্রথম সংবিধান কিংবা আমরা যে একটা ঐক্যের ভিত্তি তৈরি করলাম, তাকেই একভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। সেটা এমনকি সংবিধানে স্থান পায়নি।’
জনগণ রিপাবলিকের কেন্দ্রবিন্দু মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘জনগণের হাতেই একটা রিপাবলিকের ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে। সেই দিক থেকে জনগণকে নিয়েই যদি রাষ্ট্র পরিগঠিত না হয়, জনগণকেই অংশগ্রহণ করানো কেবল নয়, জনগণকেই প্রাধান্যের জায়গায় রাখা, এটা যখন দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মতৎপরতার মধ্যে না থাকে, তখন ধীরে ধীরে এমন এক ধরনের ক্ষমতার সম্পর্ক তৈরি হয়, যারা রাষ্ট্র পরিচালনার জায়গায় ধীরে ধীরে শাসক হতে থাকে, একধরনের অধিপতির রূপ নেয় এবং এটা থেকে কর্তৃত্ববাদ, ফ্যাসিবাদ, স্বৈরতন্ত্র জন্ম নিয়ে থাকে।’
১৯৭২ সাল থেকে রাষ্ট্র পরিগঠন একদল লুটেরার হাতে বন্দী হয়েছিল দাবি করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সেই লুটপাটের শাসনকে জায়েজ করার জন্য জনগণের মধ্যে নানা বিভাজন তৈরির চেষ্টা আমরা দেখেছি। যেখানে জনগণের ঐক্য তৈরি করা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। জনগণের মধ্যে নানান পার্থক্য থাকবে, দ্বন্দ্ব থাকবে, সেগুলো মীমাংসা কারা রাষ্ট্রের কাজ। কিন্তু রাষ্ট্র সেখানে উল্টো জনগণকে নানাভাবে বিভাজিত করে তার শাসন জারি রাখার চেষ্টা করেছে।’
জনসম্মতি ছাড়া দেশে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা প্রত্যেকেই রাষ্ট্রকে ব্যবহার করেছে। রাষ্ট্রের ক্ষমতাকাঠামো ব্যবহার করেছে। এই রাষ্ট্রের ক্ষমতাকাঠামো যেহেতু স্বৈরতান্ত্রিক শুরু থেকেই, সমস্ত ক্ষমতায় একজন ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে। কোনো জবাবদিহির জায়গা রাখা হয়নি। ফলাফল হিসেবে আমরা দেখতে পেয়েছি যে, যারা এই ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চেয়েছে, তারাই রাষ্ট্রটাকে যত রকমভাবে ব্যবহার করা সম্ভব ব্যবহার করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে শেষ পর্যন্ত প্রায় পকেটে ঢুকিয়ে ফেলে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। তার পরিণতি কতটা সর্বদিক থেকে ভয়াবহ হয়েছে, আমরা অর্থনৈতিক দিক থেকে লুণ্ঠনের কাহিনি শুনেছি, ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে গেছে। এখানে ৪৬০ বিলিয়ন ডলার অর্থনীতি বলা হয়, যদিও সেটা বাড়িয়ে বলা হয়।’

সাকী বলেন, ‘আমরা দেখেছি কীভাবে মানুষের বিভাজন তৈরি করে সামাজিক একটা ভয়ংকর সংকট তৈরি করা হয়েছে। সর্বশেষ রাজনৈতিকভাবে তাদের শাসন টেকাতে গুম-খুন মানুষের সমস্ত অধিকার হরণ এবং বিরোধী দলকে অবিশ্বাস্য নির্যাতন, লক্ষ লক্ষ মামলা। সর্বশেষ জুলাই-আগস্টে যে ভয়ংকর নির্বিচার হত্যাকাণ্ড, এটা দেশের শাসক হিসেবে থেকে এবং একটা ঐতিহ্যবাহী দল তার নেতৃত্ব দিয়ে, কীভাবে ক্ষমতা রক্ষার জন্য দেশের মানুষকে তার সন্তানদের নির্বিচারে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে। এই পরিণতিটা আমরা লক্ষ করেছি।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সেখানে সংস্কার ঐকমত্যের মধ্য দিয়ে অভ্যুত্থান হিসেবে হাজির হয়েছে। সেই সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন কমিশন গঠন করা, যাতে করে প্রস্তাবগুলো সুশৃঙ্খলভাবে অংশীজনদের সামনে আসে, তারা সেগুলোতে মতামত দিতে পারেন। এবং মোটামুটি একটা ন্যূনতম ঐকমত্য তৈরি করা যায়।’
জুলাই সনদের বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, যতগুলো প্রস্তাব এসেছে, সেখানে অংশীজনদের ঐকমত্য যেটাতে তৈরি হবে সেটাই জাতীয় সনদ, একটা জুলাই সনদ আকারে হাজির হবে। যেসব বিষয়ে দ্বিমত আছে, সেগুলো সমাধানের রাস্তা কী, সেই পদ্ধতি নিয়ে ভেবেছি। আমরা মনে করি, দ্বিমত নিয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে। সেটা একটা নির্বাচনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। জনগণ যে মতামতের ওপর ভরসা রাখবেন, যাঁদের বিজয়ী করবেন, তাঁরাই আসলে জনগণের মতামতের ওপর রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। যতটুকুতে আমরা ঐকমত্য হয়েছি, সেই ঐকমত্যের ভিত্তিতে যাতে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও নতুন বন্দোবস্তে যাওয়া সম্ভব হয়। সে জন্য ঐকমত্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবেন।’

মুজিবনগর সরকারের ঘোষিত অঙ্গীকার—সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার—প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ১৯৭১ সালের মধ্য দিয়ে প্রথম সংবিধানে আমরা যে একটা ঐক্যের ভিত্তি তৈরি করলাম, তাকেই একভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। সেটা এমনকি সংবিধানে স্থান পায়নি।
আজ রোববার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন জোনায়েদ সাকি। তাঁর নেতৃত্ব দলটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ঘোষিত অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা প্রত্যেক নাগরিকের জন্য। তাকে আমরা অবলম্বনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু ১৯৭২ সাল থেকে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জাতি যে প্রতিশ্রুতি তৈরি করেছিল, যে প্রতিশ্রুতি একটি ঐক্য তৈরি করেছিল, সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশ পরিগঠিত হয়নি, পরিচালিত হয়নি।’
দেশ পরিগঠনে সংবিধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের নেতা বলেন, ‘সেই সংবিধানে আমরা লক্ষ করেছি যে, ১৯৭১ সালের মধ্য দিয়ে প্রথম সংবিধান কিংবা আমরা যে একটা ঐক্যের ভিত্তি তৈরি করলাম, তাকেই একভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। সেটা এমনকি সংবিধানে স্থান পায়নি।’
জনগণ রিপাবলিকের কেন্দ্রবিন্দু মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘জনগণের হাতেই একটা রিপাবলিকের ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে। সেই দিক থেকে জনগণকে নিয়েই যদি রাষ্ট্র পরিগঠিত না হয়, জনগণকেই অংশগ্রহণ করানো কেবল নয়, জনগণকেই প্রাধান্যের জায়গায় রাখা, এটা যখন দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মতৎপরতার মধ্যে না থাকে, তখন ধীরে ধীরে এমন এক ধরনের ক্ষমতার সম্পর্ক তৈরি হয়, যারা রাষ্ট্র পরিচালনার জায়গায় ধীরে ধীরে শাসক হতে থাকে, একধরনের অধিপতির রূপ নেয় এবং এটা থেকে কর্তৃত্ববাদ, ফ্যাসিবাদ, স্বৈরতন্ত্র জন্ম নিয়ে থাকে।’
১৯৭২ সাল থেকে রাষ্ট্র পরিগঠন একদল লুটেরার হাতে বন্দী হয়েছিল দাবি করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সেই লুটপাটের শাসনকে জায়েজ করার জন্য জনগণের মধ্যে নানা বিভাজন তৈরির চেষ্টা আমরা দেখেছি। যেখানে জনগণের ঐক্য তৈরি করা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। জনগণের মধ্যে নানান পার্থক্য থাকবে, দ্বন্দ্ব থাকবে, সেগুলো মীমাংসা কারা রাষ্ট্রের কাজ। কিন্তু রাষ্ট্র সেখানে উল্টো জনগণকে নানাভাবে বিভাজিত করে তার শাসন জারি রাখার চেষ্টা করেছে।’
জনসম্মতি ছাড়া দেশে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা প্রত্যেকেই রাষ্ট্রকে ব্যবহার করেছে। রাষ্ট্রের ক্ষমতাকাঠামো ব্যবহার করেছে। এই রাষ্ট্রের ক্ষমতাকাঠামো যেহেতু স্বৈরতান্ত্রিক শুরু থেকেই, সমস্ত ক্ষমতায় একজন ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে। কোনো জবাবদিহির জায়গা রাখা হয়নি। ফলাফল হিসেবে আমরা দেখতে পেয়েছি যে, যারা এই ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চেয়েছে, তারাই রাষ্ট্রটাকে যত রকমভাবে ব্যবহার করা সম্ভব ব্যবহার করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে শেষ পর্যন্ত প্রায় পকেটে ঢুকিয়ে ফেলে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। তার পরিণতি কতটা সর্বদিক থেকে ভয়াবহ হয়েছে, আমরা অর্থনৈতিক দিক থেকে লুণ্ঠনের কাহিনি শুনেছি, ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে গেছে। এখানে ৪৬০ বিলিয়ন ডলার অর্থনীতি বলা হয়, যদিও সেটা বাড়িয়ে বলা হয়।’

সাকী বলেন, ‘আমরা দেখেছি কীভাবে মানুষের বিভাজন তৈরি করে সামাজিক একটা ভয়ংকর সংকট তৈরি করা হয়েছে। সর্বশেষ রাজনৈতিকভাবে তাদের শাসন টেকাতে গুম-খুন মানুষের সমস্ত অধিকার হরণ এবং বিরোধী দলকে অবিশ্বাস্য নির্যাতন, লক্ষ লক্ষ মামলা। সর্বশেষ জুলাই-আগস্টে যে ভয়ংকর নির্বিচার হত্যাকাণ্ড, এটা দেশের শাসক হিসেবে থেকে এবং একটা ঐতিহ্যবাহী দল তার নেতৃত্ব দিয়ে, কীভাবে ক্ষমতা রক্ষার জন্য দেশের মানুষকে তার সন্তানদের নির্বিচারে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে। এই পরিণতিটা আমরা লক্ষ করেছি।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সেখানে সংস্কার ঐকমত্যের মধ্য দিয়ে অভ্যুত্থান হিসেবে হাজির হয়েছে। সেই সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন কমিশন গঠন করা, যাতে করে প্রস্তাবগুলো সুশৃঙ্খলভাবে অংশীজনদের সামনে আসে, তারা সেগুলোতে মতামত দিতে পারেন। এবং মোটামুটি একটা ন্যূনতম ঐকমত্য তৈরি করা যায়।’
জুলাই সনদের বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, যতগুলো প্রস্তাব এসেছে, সেখানে অংশীজনদের ঐকমত্য যেটাতে তৈরি হবে সেটাই জাতীয় সনদ, একটা জুলাই সনদ আকারে হাজির হবে। যেসব বিষয়ে দ্বিমত আছে, সেগুলো সমাধানের রাস্তা কী, সেই পদ্ধতি নিয়ে ভেবেছি। আমরা মনে করি, দ্বিমত নিয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে। সেটা একটা নির্বাচনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। জনগণ যে মতামতের ওপর ভরসা রাখবেন, যাঁদের বিজয়ী করবেন, তাঁরাই আসলে জনগণের মতামতের ওপর রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। যতটুকুতে আমরা ঐকমত্য হয়েছি, সেই ঐকমত্যের ভিত্তিতে যাতে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও নতুন বন্দোবস্তে যাওয়া সম্ভব হয়। সে জন্য ঐকমত্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবেন।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মুজিবনগর সরকারের ঘোষিত অঙ্গীকার—সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার—প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ১৯৭১ সালের মধ্য দিয়ে প্রথম সংবিধানে আমরা যে একটা ঐক্যের ভিত্তি তৈরি করলাম, তাকেই একভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। সেটা এমনকি সংবিধানে স্থান পায়নি।
আজ রোববার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন জোনায়েদ সাকি। তাঁর নেতৃত্ব দলটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ঘোষিত অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা প্রত্যেক নাগরিকের জন্য। তাকে আমরা অবলম্বনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু ১৯৭২ সাল থেকে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জাতি যে প্রতিশ্রুতি তৈরি করেছিল, যে প্রতিশ্রুতি একটি ঐক্য তৈরি করেছিল, সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশ পরিগঠিত হয়নি, পরিচালিত হয়নি।’
দেশ পরিগঠনে সংবিধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের নেতা বলেন, ‘সেই সংবিধানে আমরা লক্ষ করেছি যে, ১৯৭১ সালের মধ্য দিয়ে প্রথম সংবিধান কিংবা আমরা যে একটা ঐক্যের ভিত্তি তৈরি করলাম, তাকেই একভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। সেটা এমনকি সংবিধানে স্থান পায়নি।’
জনগণ রিপাবলিকের কেন্দ্রবিন্দু মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘জনগণের হাতেই একটা রিপাবলিকের ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে। সেই দিক থেকে জনগণকে নিয়েই যদি রাষ্ট্র পরিগঠিত না হয়, জনগণকেই অংশগ্রহণ করানো কেবল নয়, জনগণকেই প্রাধান্যের জায়গায় রাখা, এটা যখন দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মতৎপরতার মধ্যে না থাকে, তখন ধীরে ধীরে এমন এক ধরনের ক্ষমতার সম্পর্ক তৈরি হয়, যারা রাষ্ট্র পরিচালনার জায়গায় ধীরে ধীরে শাসক হতে থাকে, একধরনের অধিপতির রূপ নেয় এবং এটা থেকে কর্তৃত্ববাদ, ফ্যাসিবাদ, স্বৈরতন্ত্র জন্ম নিয়ে থাকে।’
১৯৭২ সাল থেকে রাষ্ট্র পরিগঠন একদল লুটেরার হাতে বন্দী হয়েছিল দাবি করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সেই লুটপাটের শাসনকে জায়েজ করার জন্য জনগণের মধ্যে নানা বিভাজন তৈরির চেষ্টা আমরা দেখেছি। যেখানে জনগণের ঐক্য তৈরি করা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। জনগণের মধ্যে নানান পার্থক্য থাকবে, দ্বন্দ্ব থাকবে, সেগুলো মীমাংসা কারা রাষ্ট্রের কাজ। কিন্তু রাষ্ট্র সেখানে উল্টো জনগণকে নানাভাবে বিভাজিত করে তার শাসন জারি রাখার চেষ্টা করেছে।’
জনসম্মতি ছাড়া দেশে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা প্রত্যেকেই রাষ্ট্রকে ব্যবহার করেছে। রাষ্ট্রের ক্ষমতাকাঠামো ব্যবহার করেছে। এই রাষ্ট্রের ক্ষমতাকাঠামো যেহেতু স্বৈরতান্ত্রিক শুরু থেকেই, সমস্ত ক্ষমতায় একজন ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে। কোনো জবাবদিহির জায়গা রাখা হয়নি। ফলাফল হিসেবে আমরা দেখতে পেয়েছি যে, যারা এই ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চেয়েছে, তারাই রাষ্ট্রটাকে যত রকমভাবে ব্যবহার করা সম্ভব ব্যবহার করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে শেষ পর্যন্ত প্রায় পকেটে ঢুকিয়ে ফেলে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। তার পরিণতি কতটা সর্বদিক থেকে ভয়াবহ হয়েছে, আমরা অর্থনৈতিক দিক থেকে লুণ্ঠনের কাহিনি শুনেছি, ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে গেছে। এখানে ৪৬০ বিলিয়ন ডলার অর্থনীতি বলা হয়, যদিও সেটা বাড়িয়ে বলা হয়।’

সাকী বলেন, ‘আমরা দেখেছি কীভাবে মানুষের বিভাজন তৈরি করে সামাজিক একটা ভয়ংকর সংকট তৈরি করা হয়েছে। সর্বশেষ রাজনৈতিকভাবে তাদের শাসন টেকাতে গুম-খুন মানুষের সমস্ত অধিকার হরণ এবং বিরোধী দলকে অবিশ্বাস্য নির্যাতন, লক্ষ লক্ষ মামলা। সর্বশেষ জুলাই-আগস্টে যে ভয়ংকর নির্বিচার হত্যাকাণ্ড, এটা দেশের শাসক হিসেবে থেকে এবং একটা ঐতিহ্যবাহী দল তার নেতৃত্ব দিয়ে, কীভাবে ক্ষমতা রক্ষার জন্য দেশের মানুষকে তার সন্তানদের নির্বিচারে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে। এই পরিণতিটা আমরা লক্ষ করেছি।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সেখানে সংস্কার ঐকমত্যের মধ্য দিয়ে অভ্যুত্থান হিসেবে হাজির হয়েছে। সেই সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন কমিশন গঠন করা, যাতে করে প্রস্তাবগুলো সুশৃঙ্খলভাবে অংশীজনদের সামনে আসে, তারা সেগুলোতে মতামত দিতে পারেন। এবং মোটামুটি একটা ন্যূনতম ঐকমত্য তৈরি করা যায়।’
জুলাই সনদের বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, যতগুলো প্রস্তাব এসেছে, সেখানে অংশীজনদের ঐকমত্য যেটাতে তৈরি হবে সেটাই জাতীয় সনদ, একটা জুলাই সনদ আকারে হাজির হবে। যেসব বিষয়ে দ্বিমত আছে, সেগুলো সমাধানের রাস্তা কী, সেই পদ্ধতি নিয়ে ভেবেছি। আমরা মনে করি, দ্বিমত নিয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে। সেটা একটা নির্বাচনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। জনগণ যে মতামতের ওপর ভরসা রাখবেন, যাঁদের বিজয়ী করবেন, তাঁরাই আসলে জনগণের মতামতের ওপর রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। যতটুকুতে আমরা ঐকমত্য হয়েছি, সেই ঐকমত্যের ভিত্তিতে যাতে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও নতুন বন্দোবস্তে যাওয়া সম্ভব হয়। সে জন্য ঐকমত্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবেন।’

মুজিবনগর সরকারের ঘোষিত অঙ্গীকার—সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার—প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ১৯৭১ সালের মধ্য দিয়ে প্রথম সংবিধানে আমরা যে একটা ঐক্যের ভিত্তি তৈরি করলাম, তাকেই একভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। সেটা এমনকি সংবিধানে স্থান পায়নি।
আজ রোববার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন জোনায়েদ সাকি। তাঁর নেতৃত্ব দলটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ঘোষিত অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা প্রত্যেক নাগরিকের জন্য। তাকে আমরা অবলম্বনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু ১৯৭২ সাল থেকে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জাতি যে প্রতিশ্রুতি তৈরি করেছিল, যে প্রতিশ্রুতি একটি ঐক্য তৈরি করেছিল, সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশ পরিগঠিত হয়নি, পরিচালিত হয়নি।’
দেশ পরিগঠনে সংবিধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের নেতা বলেন, ‘সেই সংবিধানে আমরা লক্ষ করেছি যে, ১৯৭১ সালের মধ্য দিয়ে প্রথম সংবিধান কিংবা আমরা যে একটা ঐক্যের ভিত্তি তৈরি করলাম, তাকেই একভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। সেটা এমনকি সংবিধানে স্থান পায়নি।’
জনগণ রিপাবলিকের কেন্দ্রবিন্দু মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘জনগণের হাতেই একটা রিপাবলিকের ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে। সেই দিক থেকে জনগণকে নিয়েই যদি রাষ্ট্র পরিগঠিত না হয়, জনগণকেই অংশগ্রহণ করানো কেবল নয়, জনগণকেই প্রাধান্যের জায়গায় রাখা, এটা যখন দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মতৎপরতার মধ্যে না থাকে, তখন ধীরে ধীরে এমন এক ধরনের ক্ষমতার সম্পর্ক তৈরি হয়, যারা রাষ্ট্র পরিচালনার জায়গায় ধীরে ধীরে শাসক হতে থাকে, একধরনের অধিপতির রূপ নেয় এবং এটা থেকে কর্তৃত্ববাদ, ফ্যাসিবাদ, স্বৈরতন্ত্র জন্ম নিয়ে থাকে।’
১৯৭২ সাল থেকে রাষ্ট্র পরিগঠন একদল লুটেরার হাতে বন্দী হয়েছিল দাবি করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সেই লুটপাটের শাসনকে জায়েজ করার জন্য জনগণের মধ্যে নানা বিভাজন তৈরির চেষ্টা আমরা দেখেছি। যেখানে জনগণের ঐক্য তৈরি করা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। জনগণের মধ্যে নানান পার্থক্য থাকবে, দ্বন্দ্ব থাকবে, সেগুলো মীমাংসা কারা রাষ্ট্রের কাজ। কিন্তু রাষ্ট্র সেখানে উল্টো জনগণকে নানাভাবে বিভাজিত করে তার শাসন জারি রাখার চেষ্টা করেছে।’
জনসম্মতি ছাড়া দেশে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা প্রত্যেকেই রাষ্ট্রকে ব্যবহার করেছে। রাষ্ট্রের ক্ষমতাকাঠামো ব্যবহার করেছে। এই রাষ্ট্রের ক্ষমতাকাঠামো যেহেতু স্বৈরতান্ত্রিক শুরু থেকেই, সমস্ত ক্ষমতায় একজন ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে। কোনো জবাবদিহির জায়গা রাখা হয়নি। ফলাফল হিসেবে আমরা দেখতে পেয়েছি যে, যারা এই ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চেয়েছে, তারাই রাষ্ট্রটাকে যত রকমভাবে ব্যবহার করা সম্ভব ব্যবহার করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে শেষ পর্যন্ত প্রায় পকেটে ঢুকিয়ে ফেলে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। তার পরিণতি কতটা সর্বদিক থেকে ভয়াবহ হয়েছে, আমরা অর্থনৈতিক দিক থেকে লুণ্ঠনের কাহিনি শুনেছি, ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে গেছে। এখানে ৪৬০ বিলিয়ন ডলার অর্থনীতি বলা হয়, যদিও সেটা বাড়িয়ে বলা হয়।’

সাকী বলেন, ‘আমরা দেখেছি কীভাবে মানুষের বিভাজন তৈরি করে সামাজিক একটা ভয়ংকর সংকট তৈরি করা হয়েছে। সর্বশেষ রাজনৈতিকভাবে তাদের শাসন টেকাতে গুম-খুন মানুষের সমস্ত অধিকার হরণ এবং বিরোধী দলকে অবিশ্বাস্য নির্যাতন, লক্ষ লক্ষ মামলা। সর্বশেষ জুলাই-আগস্টে যে ভয়ংকর নির্বিচার হত্যাকাণ্ড, এটা দেশের শাসক হিসেবে থেকে এবং একটা ঐতিহ্যবাহী দল তার নেতৃত্ব দিয়ে, কীভাবে ক্ষমতা রক্ষার জন্য দেশের মানুষকে তার সন্তানদের নির্বিচারে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে। এই পরিণতিটা আমরা লক্ষ করেছি।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সেখানে সংস্কার ঐকমত্যের মধ্য দিয়ে অভ্যুত্থান হিসেবে হাজির হয়েছে। সেই সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন কমিশন গঠন করা, যাতে করে প্রস্তাবগুলো সুশৃঙ্খলভাবে অংশীজনদের সামনে আসে, তারা সেগুলোতে মতামত দিতে পারেন। এবং মোটামুটি একটা ন্যূনতম ঐকমত্য তৈরি করা যায়।’
জুলাই সনদের বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, যতগুলো প্রস্তাব এসেছে, সেখানে অংশীজনদের ঐকমত্য যেটাতে তৈরি হবে সেটাই জাতীয় সনদ, একটা জুলাই সনদ আকারে হাজির হবে। যেসব বিষয়ে দ্বিমত আছে, সেগুলো সমাধানের রাস্তা কী, সেই পদ্ধতি নিয়ে ভেবেছি। আমরা মনে করি, দ্বিমত নিয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে। সেটা একটা নির্বাচনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। জনগণ যে মতামতের ওপর ভরসা রাখবেন, যাঁদের বিজয়ী করবেন, তাঁরাই আসলে জনগণের মতামতের ওপর রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। যতটুকুতে আমরা ঐকমত্য হয়েছি, সেই ঐকমত্যের ভিত্তিতে যাতে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও নতুন বন্দোবস্তে যাওয়া সম্ভব হয়। সে জন্য ঐকমত্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবেন।’

তিনি আরও লেখেন, টিআইবির জরিপেও দেখা গেছে ২০০২ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে, মানুষ নিজেরাই বলেছে—দুর্নীতি কমেছে, এটা কোনো গল্প নয়, এটা তখনকার সংস্কারের প্রমাণ।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বে তিনটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে সদ্য গঠিত ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’-এর পরিধি আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এ জন্য ডান ও বাম ঘরানার বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে চলছে আলোচনা। জেএসডি (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল), নাগরিক ঐক্য, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশ এবং গণঅধিকার পরিষদের একাংশ গণ
১২ ঘণ্টা আগে
চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দেশের রাজনৈতিক চালচিত্র অনেকটাই বদলে দিয়েছে। পাল্টে যাওয়া দৃশ্যপটের একটি চিত্র দীর্ঘদিনের বন্ধু বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর এখনকার দুই মেরুতে অবস্থান। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে দল দুটি এখন একে অপরের মূল প্রতিপক্ষ।
১৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ মঙ্গলবার ঢাকায় আসছে না। তাঁকে আপাতত লন্ডন নেওয়া হচ্ছে না। তাঁকে কবে নাগাদ চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণ দায়িত্ব দিলে বিএনপি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।
আজ মঙ্গলবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এসব কথা লিখেছেন।
তারেক রহমান লিখেছেন, ‘বহু বছর অব্যবস্থাপনার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই অবশ্যই কঠিন হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসই প্রমাণ করে, যখন সৎ নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও জনগণের সমর্থন একসাথে আসে, তখন পরিবর্তন অসম্ভব নয়। জনগণ যদি দায়িত্ব দেয়—বিএনপি আবারও সেই লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।’
দুর্নীতি বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দিচ্ছে উল্লেখ করে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘দুর্নীতি কীভাবে বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দিচ্ছে—তা বুঝতে দূরে যাওয়ার দরকার নেই। মেধার ভিত্তিতে চাকরি খুঁজতে বের হওয়া একজন গ্র্যাজুয়েটের সঙ্গে কথা বললেই বুঝবেন। মাসের পর মাস ধরে একটি সাধারণ সরকারি সেবা পেতে হিমশিম খাওয়া কৃষকের দিকে তাকান। হাসপাতালে গিয়ে এক তরুণের পরিবার কীভাবে ভোগান্তিতে পড়ে, সেটা শুনুন। অথবা ব্যবসা বাঁচিয়ে রাখতে ঘুষ দিতে বাধ্য হওয়া উদ্যোক্তাদের ভোগান্তি দেখুন।’
তিনি লিখেছেন, ‘খাবারের দাম কেন বাড়ে, স্কুলে ভালো পড়াশোনা কেন মেলে না, রাস্তায় কেন নিরাপত্তা নেই—সবকিছুর পেছনে সেই একই কারণ: দুর্নীতি। এটা লাখো মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে দমবন্ধ করে ফেলেছে।’
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিএনপির শাসনামলে হয়েছিল বলে পোস্টে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই নতুন নয়, এটা বহু যুগের আলোচনার বিষয়। আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস আমাদের সেই লড়াইয়ের কথা মনে করিয়ে দেয়, আর মনে করিয়ে দেয় সেই সময়টাও, যখন বাংলাদেশ সত্যিকারের অগ্রগতি করেছিল। আর সেই সময়টা এসেছে মূলত বিএনপির আমলে।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরানো, পরিচ্ছন্ন সরকারি সেবা আর অর্থনীতিকে মুক্ত করার কাজে হাত দিয়েছিলেন—যা অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার কমিয়ে দিয়েছিল।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আমলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপ ও অগ্রগতির বিষয় ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরেন তারেক রহমান।
তিনি লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সময়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে আধুনিকায়ন শুরু হয়; নতুন ক্রয় নীতিমালা, কঠোর আর্থিক আইন, শক্তিশালী অডিট ব্যবস্থা, আর পরিষ্কার নজরদারি। সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ ছিল ২০০৪ সালে ‘দুদক’ গঠন; একটি স্বাধীন কমিশন, যেখানে সরকার চাইলে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিশ্বব্যাংক, এডিবি সবাই বলেছিল—এটা বাংলাদেশের জবাবদিহিতার বড় অগ্রগতি।’
তিনি আরও লেখেন, টিআইবির জরিপেও দেখা গেছে ২০০২ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। মানুষ নিজেরাই বলেছে, দুর্নীতি কমেছে। এটা কোনো গল্প নয়, এটা তখনকার সংস্কারের প্রমাণ।
বিএনপি গর্ব করতে পারে কিছু বড় পরিবর্তনের জন্য:
১. শক্তিশালী অর্থ ব্যবস্থাপনা: বাজেট নিয়ন্ত্রণ, অডিট, ব্যাংকিং ও মানি লন্ডারিং-বিরোধী আইন।
২. স্বচ্ছ ক্রয়নীতি: প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র, নিয়মের মধ্যে সরকারি ক্রয়—যা পরবর্তীতে দেশের সবচেয়ে বড় স্বচ্ছতার আইনের ভিত্তি তৈরি করে।
৩. উন্মুক্ত বাজার: টেলিকম, মিডিয়া, বিমান পরিবহন; যেখানে প্রতিযোগিতা বাড়ায় দুর্নীতি কমে, সাধারণ মানুষের সুযোগ বাড়ে।
৪. ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ: প্রশাসন কম জটিল, কম ইচ্ছাধীন, বেশি মানুষের কাছে জবাবদিহিতা।
তাই কথাটা স্পষ্ট—দুর্নীতি কমানোর ক্ষেত্রে ধারাবাহিক রেকর্ড একমাত্র বিএনপিরই আছে।
আগামী দিনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ আরও শক্তভাবে চালাতে বিএনপির পরিকল্পনা:
১. প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা: আদালত, দুদক, নির্বাচন কমিশন, সরকারি সেবা; কেউই যেন রাজনৈতিক চাপের মধ্যে না থাকে।
২. পুরোপুরি স্বচ্ছতা: উন্মুক্ত দরপত্র ব্যবস্থা, সম্পদ বিবরণী, রিয়েল টাইম অডিট, শক্তিশালী তথ্য অধিকার আইন।
৩. বিচার ও আইনশৃঙ্খলা সংস্কার: পেশাদার পুলিশিং, দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি, ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ।
৪. ই-গভর্ন্যান্স: লাইসেন্স, জমি, পেমেন্ট; সব অনলাইনে এনে ঘুষের সুযোগ কমানো (বিশ্বমান অনুযায়ী ৩০-৬০% দুর্নীতি কমতে পারে)।
৫. হুইসেলব্লোয়ার সুরক্ষা: অনিয়ম ফাঁস করতে যারা সাহস দেখায়, তাদের নিরাপত্তা প্রদান।
৬. নৈতিক শিক্ষা: স্কুল-কলেজ থেকেই সততার চর্চা পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা।
৭. শক্তিশালী আর্থিক নজরদারি: ডিজিটাল ব্যয় ট্র্যাকিং ও স্বাধীন অডিট, সংসদের কঠোর তদারকি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণ দায়িত্ব দিলে বিএনপি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।
আজ মঙ্গলবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এসব কথা লিখেছেন।
তারেক রহমান লিখেছেন, ‘বহু বছর অব্যবস্থাপনার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই অবশ্যই কঠিন হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসই প্রমাণ করে, যখন সৎ নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও জনগণের সমর্থন একসাথে আসে, তখন পরিবর্তন অসম্ভব নয়। জনগণ যদি দায়িত্ব দেয়—বিএনপি আবারও সেই লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।’
দুর্নীতি বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দিচ্ছে উল্লেখ করে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘দুর্নীতি কীভাবে বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দিচ্ছে—তা বুঝতে দূরে যাওয়ার দরকার নেই। মেধার ভিত্তিতে চাকরি খুঁজতে বের হওয়া একজন গ্র্যাজুয়েটের সঙ্গে কথা বললেই বুঝবেন। মাসের পর মাস ধরে একটি সাধারণ সরকারি সেবা পেতে হিমশিম খাওয়া কৃষকের দিকে তাকান। হাসপাতালে গিয়ে এক তরুণের পরিবার কীভাবে ভোগান্তিতে পড়ে, সেটা শুনুন। অথবা ব্যবসা বাঁচিয়ে রাখতে ঘুষ দিতে বাধ্য হওয়া উদ্যোক্তাদের ভোগান্তি দেখুন।’
তিনি লিখেছেন, ‘খাবারের দাম কেন বাড়ে, স্কুলে ভালো পড়াশোনা কেন মেলে না, রাস্তায় কেন নিরাপত্তা নেই—সবকিছুর পেছনে সেই একই কারণ: দুর্নীতি। এটা লাখো মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে দমবন্ধ করে ফেলেছে।’
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিএনপির শাসনামলে হয়েছিল বলে পোস্টে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই নতুন নয়, এটা বহু যুগের আলোচনার বিষয়। আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস আমাদের সেই লড়াইয়ের কথা মনে করিয়ে দেয়, আর মনে করিয়ে দেয় সেই সময়টাও, যখন বাংলাদেশ সত্যিকারের অগ্রগতি করেছিল। আর সেই সময়টা এসেছে মূলত বিএনপির আমলে।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরানো, পরিচ্ছন্ন সরকারি সেবা আর অর্থনীতিকে মুক্ত করার কাজে হাত দিয়েছিলেন—যা অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার কমিয়ে দিয়েছিল।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আমলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপ ও অগ্রগতির বিষয় ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরেন তারেক রহমান।
তিনি লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সময়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে আধুনিকায়ন শুরু হয়; নতুন ক্রয় নীতিমালা, কঠোর আর্থিক আইন, শক্তিশালী অডিট ব্যবস্থা, আর পরিষ্কার নজরদারি। সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ ছিল ২০০৪ সালে ‘দুদক’ গঠন; একটি স্বাধীন কমিশন, যেখানে সরকার চাইলে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিশ্বব্যাংক, এডিবি সবাই বলেছিল—এটা বাংলাদেশের জবাবদিহিতার বড় অগ্রগতি।’
তিনি আরও লেখেন, টিআইবির জরিপেও দেখা গেছে ২০০২ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। মানুষ নিজেরাই বলেছে, দুর্নীতি কমেছে। এটা কোনো গল্প নয়, এটা তখনকার সংস্কারের প্রমাণ।
বিএনপি গর্ব করতে পারে কিছু বড় পরিবর্তনের জন্য:
১. শক্তিশালী অর্থ ব্যবস্থাপনা: বাজেট নিয়ন্ত্রণ, অডিট, ব্যাংকিং ও মানি লন্ডারিং-বিরোধী আইন।
২. স্বচ্ছ ক্রয়নীতি: প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র, নিয়মের মধ্যে সরকারি ক্রয়—যা পরবর্তীতে দেশের সবচেয়ে বড় স্বচ্ছতার আইনের ভিত্তি তৈরি করে।
৩. উন্মুক্ত বাজার: টেলিকম, মিডিয়া, বিমান পরিবহন; যেখানে প্রতিযোগিতা বাড়ায় দুর্নীতি কমে, সাধারণ মানুষের সুযোগ বাড়ে।
৪. ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ: প্রশাসন কম জটিল, কম ইচ্ছাধীন, বেশি মানুষের কাছে জবাবদিহিতা।
তাই কথাটা স্পষ্ট—দুর্নীতি কমানোর ক্ষেত্রে ধারাবাহিক রেকর্ড একমাত্র বিএনপিরই আছে।
আগামী দিনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ আরও শক্তভাবে চালাতে বিএনপির পরিকল্পনা:
১. প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা: আদালত, দুদক, নির্বাচন কমিশন, সরকারি সেবা; কেউই যেন রাজনৈতিক চাপের মধ্যে না থাকে।
২. পুরোপুরি স্বচ্ছতা: উন্মুক্ত দরপত্র ব্যবস্থা, সম্পদ বিবরণী, রিয়েল টাইম অডিট, শক্তিশালী তথ্য অধিকার আইন।
৩. বিচার ও আইনশৃঙ্খলা সংস্কার: পেশাদার পুলিশিং, দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি, ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ।
৪. ই-গভর্ন্যান্স: লাইসেন্স, জমি, পেমেন্ট; সব অনলাইনে এনে ঘুষের সুযোগ কমানো (বিশ্বমান অনুযায়ী ৩০-৬০% দুর্নীতি কমতে পারে)।
৫. হুইসেলব্লোয়ার সুরক্ষা: অনিয়ম ফাঁস করতে যারা সাহস দেখায়, তাদের নিরাপত্তা প্রদান।
৬. নৈতিক শিক্ষা: স্কুল-কলেজ থেকেই সততার চর্চা পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা।
৭. শক্তিশালী আর্থিক নজরদারি: ডিজিটাল ব্যয় ট্র্যাকিং ও স্বাধীন অডিট, সংসদের কঠোর তদারকি।

মুজিবনগর সরকারের ঘোষিত অঙ্গীকার—সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার—প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ১৯৭১ সালের মধ্য দিয়ে প্রথম সংবিধানে আমরা যে একটা ঐক্যের ভিত্তি তৈরি করলাম, তাকেই একভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। সেটা এমনকি সংবিধানে স্থান পায়নি।
২৭ এপ্রিল ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বে তিনটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে সদ্য গঠিত ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’-এর পরিধি আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এ জন্য ডান ও বাম ঘরানার বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে চলছে আলোচনা। জেএসডি (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল), নাগরিক ঐক্য, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশ এবং গণঅধিকার পরিষদের একাংশ গণ
১২ ঘণ্টা আগে
চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দেশের রাজনৈতিক চালচিত্র অনেকটাই বদলে দিয়েছে। পাল্টে যাওয়া দৃশ্যপটের একটি চিত্র দীর্ঘদিনের বন্ধু বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর এখনকার দুই মেরুতে অবস্থান। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে দল দুটি এখন একে অপরের মূল প্রতিপক্ষ।
১৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ মঙ্গলবার ঢাকায় আসছে না। তাঁকে আপাতত লন্ডন নেওয়া হচ্ছে না। তাঁকে কবে নাগাদ চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
১৩ ঘণ্টা আগেতানিম আহমেদ, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বে তিনটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে সদ্য গঠিত ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’-এর পরিধি আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এ জন্য ডান ও বাম ঘরানার বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে চলছে আলোচনা। জেএসডি (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল), নাগরিক ঐক্য, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশ এবং গণঅধিকার পরিষদের একাংশ গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের সঙ্গী হতে পারে। আবার গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা পাঁচটি দলেরই এনসিপির জোটসঙ্গী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আলোচনা আছে।
এ বিষয়ে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের (এনসিপির নেতৃত্বাধীন জোট) সঙ্গে যোগাযোগ আছে। তাদের প্রতি শুভকামনা আছে। আলাপ-আলোচনা ছিল। কিন্তু আমরা এখনো গণতন্ত্র মঞ্চটাকে রক্ষা করছি।’
‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’-এর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে গত রোববার। এনসিপি ছাড়া এই জোটের অন্য দুই দল হলো আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। জোট ঘোষণার সময় এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, আরও কয়েকটি দল এই জোটে যুক্ত হতে পারে। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা জানিয়েছেন, জোটের ঘোষণাপত্র ও সংসদীয় আসনের প্রার্থিতা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। তবে একই সঙ্গে জোটের কলেবর বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা চলছে। জোট গঠন নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামসহ (একাংশ) একাধিক দলের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংহতি আন্দোলনসহ দু-একটি দল বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা করে বের হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে বিএনপির সঙ্গে সম্মানজনক আসন সমঝোতা না হলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, নাগরিক ঐক্যসহ তিনটি দল নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ নতুন জোটে যোগ দিতে পারে।
জোটের এক নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্র মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদ ছাড়াও জামায়াতের নেতৃত্বে থাকা ৮ দলের জোটের বাইরে থাকা ইসলামপন্থী দলের সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। একই সঙ্গে আমরা বামপন্থী একাধিক দলের সঙ্গেও আলোচনা করছি। আশা করি, কয়েক দিনের মধ্যে বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘সংস্কারের পক্ষে থেকে দেশকে এগিয়ে নিতে চায়, এমন কয়েকটি দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। ইসলামপন্থী দু-একটি দলও এই আলোচনায় রয়েছে।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভূঁইয়া বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা জোট নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে এবং রাজনৈতিক পরিসরেও খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। গণতান্ত্রিক শক্তি এবং জুলাইয়ের পক্ষের শক্তির যে দলগুলো আছে, তাদেরকে নিয়ে আমরা এই জোটটা নিয়ে আরও এগোতে চাই। তাদের অনেকের সঙ্গেই আগে থেকে কথা চলছিল এবং রেসপন্স বেশ ভালো।’
রাজনীতিসংশ্লিষ্টদের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা দুজন ছাত্র উপদেষ্টার মধ্যে একজন চলতি সপ্তাহেই পদত্যাগ করে গণঅধিকার পরিষদ বা বিএনপিতে যোগ দিতে পারেন। তিনি কোন দলে যোগ দেবেন, তার ওপরেও গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে নতুন করে কোন কোন দল যুক্ত হবে—সে বিষয়টি নির্ভর করছে।
গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের একটি দলের শীর্ষ নেতা বলেন, ‘জোট গঠনের সঙ্গে নির্বাচনে কে কোন আসনে, কোন দলের প্রার্থী হবেন—সে বিষয়টিও জড়িত। তাই আমাদের জোটে নতুন করে কোন দল যুক্ত হবে, সেটা দেখতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বে তিনটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে সদ্য গঠিত ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’-এর পরিধি আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এ জন্য ডান ও বাম ঘরানার বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে চলছে আলোচনা। জেএসডি (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল), নাগরিক ঐক্য, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশ এবং গণঅধিকার পরিষদের একাংশ গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের সঙ্গী হতে পারে। আবার গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা পাঁচটি দলেরই এনসিপির জোটসঙ্গী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আলোচনা আছে।
এ বিষয়ে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের (এনসিপির নেতৃত্বাধীন জোট) সঙ্গে যোগাযোগ আছে। তাদের প্রতি শুভকামনা আছে। আলাপ-আলোচনা ছিল। কিন্তু আমরা এখনো গণতন্ত্র মঞ্চটাকে রক্ষা করছি।’
‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’-এর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে গত রোববার। এনসিপি ছাড়া এই জোটের অন্য দুই দল হলো আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। জোট ঘোষণার সময় এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, আরও কয়েকটি দল এই জোটে যুক্ত হতে পারে। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা জানিয়েছেন, জোটের ঘোষণাপত্র ও সংসদীয় আসনের প্রার্থিতা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। তবে একই সঙ্গে জোটের কলেবর বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা চলছে। জোট গঠন নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামসহ (একাংশ) একাধিক দলের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংহতি আন্দোলনসহ দু-একটি দল বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা করে বের হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে বিএনপির সঙ্গে সম্মানজনক আসন সমঝোতা না হলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, নাগরিক ঐক্যসহ তিনটি দল নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ নতুন জোটে যোগ দিতে পারে।
জোটের এক নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্র মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদ ছাড়াও জামায়াতের নেতৃত্বে থাকা ৮ দলের জোটের বাইরে থাকা ইসলামপন্থী দলের সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। একই সঙ্গে আমরা বামপন্থী একাধিক দলের সঙ্গেও আলোচনা করছি। আশা করি, কয়েক দিনের মধ্যে বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘সংস্কারের পক্ষে থেকে দেশকে এগিয়ে নিতে চায়, এমন কয়েকটি দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। ইসলামপন্থী দু-একটি দলও এই আলোচনায় রয়েছে।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভূঁইয়া বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা জোট নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে এবং রাজনৈতিক পরিসরেও খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। গণতান্ত্রিক শক্তি এবং জুলাইয়ের পক্ষের শক্তির যে দলগুলো আছে, তাদেরকে নিয়ে আমরা এই জোটটা নিয়ে আরও এগোতে চাই। তাদের অনেকের সঙ্গেই আগে থেকে কথা চলছিল এবং রেসপন্স বেশ ভালো।’
রাজনীতিসংশ্লিষ্টদের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা দুজন ছাত্র উপদেষ্টার মধ্যে একজন চলতি সপ্তাহেই পদত্যাগ করে গণঅধিকার পরিষদ বা বিএনপিতে যোগ দিতে পারেন। তিনি কোন দলে যোগ দেবেন, তার ওপরেও গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে নতুন করে কোন কোন দল যুক্ত হবে—সে বিষয়টি নির্ভর করছে।
গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের একটি দলের শীর্ষ নেতা বলেন, ‘জোট গঠনের সঙ্গে নির্বাচনে কে কোন আসনে, কোন দলের প্রার্থী হবেন—সে বিষয়টিও জড়িত। তাই আমাদের জোটে নতুন করে কোন দল যুক্ত হবে, সেটা দেখতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।’

মুজিবনগর সরকারের ঘোষিত অঙ্গীকার—সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার—প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ১৯৭১ সালের মধ্য দিয়ে প্রথম সংবিধানে আমরা যে একটা ঐক্যের ভিত্তি তৈরি করলাম, তাকেই একভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। সেটা এমনকি সংবিধানে স্থান পায়নি।
২৭ এপ্রিল ২০২৫
তিনি আরও লেখেন, টিআইবির জরিপেও দেখা গেছে ২০০২ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে, মানুষ নিজেরাই বলেছে—দুর্নীতি কমেছে, এটা কোনো গল্প নয়, এটা তখনকার সংস্কারের প্রমাণ।
২ ঘণ্টা আগে
চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দেশের রাজনৈতিক চালচিত্র অনেকটাই বদলে দিয়েছে। পাল্টে যাওয়া দৃশ্যপটের একটি চিত্র দীর্ঘদিনের বন্ধু বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর এখনকার দুই মেরুতে অবস্থান। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে দল দুটি এখন একে অপরের মূল প্রতিপক্ষ।
১৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ মঙ্গলবার ঢাকায় আসছে না। তাঁকে আপাতত লন্ডন নেওয়া হচ্ছে না। তাঁকে কবে নাগাদ চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দেশের রাজনৈতিক চালচিত্র অনেকটাই বদলে দিয়েছে। পাল্টে যাওয়া দৃশ্যপটের একটি চিত্র দীর্ঘদিনের বন্ধু বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর এখনকার দুই মেরুতে অবস্থান। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে দল দুটি এখন একে অপরের মূল প্রতিপক্ষ। নির্বাচনে জয়ের হাতিয়ার হিসেবে প্রতিপক্ষের দুর্বলতা ও স্পর্শকাতর বিষয়গুলো জোরেশোরে সামনে আনছে তারা। এরই অংশ হিসেবে দুই পক্ষের জমে ওঠা কথার যুদ্ধে স্থান পেয়েছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ।
২০২৬-এর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সব ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহেই ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের তফসিল, অর্থাৎ বিশদ সময়সূচি। টেলিভিশনের জন্য আগামীকাল বুধবার তফসিলের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ রেকর্ড করা হবে বলে গতকাল সোমবার জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্তৃপক্ষ।
তফসিল ঘনিয়ে আসায় প্রকাশ্যে-নেপথ্যে চলছে দলগুলোর জোটের তৎপরতা। ক্রমেই জমে উঠেছে অনানুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা। দলগুলোর নেতারা দেশজুড়ে সফর করছেন, জনসভায় অংশ নিচ্ছেন। এই প্রচারে নিজেদের কৃতিত্ব আর অঙ্গীকারের বয়ানের পাশাপাশি দলগুলো পরস্পরের দোষ চিহ্নিত করে সমালোচনার তির ছুড়ছে। চেষ্টা করছে জনসমর্থন নিজের পক্ষে টানতে।
বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য বিতর্কিত জামায়াতে ইসলামী। দলটি তখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। সেই জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে নির্বাচনের মৌসুমে জনসমর্থন সৃষ্টির প্রচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাদের অতীতের ঘনিষ্ঠ মিত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গত রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে এক অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ বা কোনো কোনো গোষ্ঠীকে ইদানীং বলতে শুনছি, “অমুককে দেখলাম, তমুককে দেখলাম, এবার তমুককে দেখুন”। তাদের তো দেশের মানুষ ১৯৭১ সালেই দেখেছে।’
২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে শুরু হওয়া বিএনপি-জামায়াতের কথার যুদ্ধ তারেক রহমানের এ তির্যক মন্তব্যের মধ্য দিয়ে অনেকটাই তুঙ্গে উঠেছে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা। অভ্যুত্থানের কিছুদিন পর থেকে আন্দোলনকালীন ঘনিষ্ঠতা বা সৌজন্য অনেকটাই পেছনে সরিয়ে রেখে বিএনপি ও জামায়াত একে অপরকে আক্রমণ করে কথা বলে আসছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং তাদের ছোট-বড় নেতাদের নির্বিচার পলায়নের পর রাজধানীসহ দেশজুড়ে মাঠ ফাঁকা পেয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের দখল, চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ ওঠে। তুলনামূলকভাবে জামায়াত বা অন্য দলের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ ওঠে বেশ কম। বিএনপি পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বহিষ্কারাদেশসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়। বিএনপির বিরুদ্ধে অতীতের আওয়ামী লীগের মতোই দখল-চাঁদাবাজির অভিযোগকে জামায়াত তাদের প্রচারের প্রধান অস্ত্র করে তোলে। জামায়াতের নেতারা জনসভা, সেমিনার, টক শো, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে বিএনপিকে ঘায়েলের তৎপরতা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে বিএনপিও বসে নেই। জামায়াতের নেতা-কর্মীদের অন্যায়-অপকর্মের ঘটনা দেখলে সেগুলো সামনে আনছে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় ভোটের মাঠে জামায়াতকে কাবু করতে নির্বাচনী প্রচারে দলটির মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকাকে এবার জোরেশোরে সামনে এনেছে বিএনপি।
শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে একাত্তরে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করে জাতিকে অনুপ্রাণিত করা বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান পরবর্তীকালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। বিএনপি বরাবর দলের প্রতিষ্ঠাতাকে ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া’ হিসেবে তুলে ধরেছে। দলটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বা ছিলেন আরও অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া খোদ আওয়ামী লীগের মতোই বিএনপিও ‘রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে’ জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। বস্তুত বিএনপি-জামায়াত মিত্রতা অনেক বেশি সময়ের। জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে ২০০১ সালে জোট সরকার পর্যন্ত গঠন করেছিল বিএনপি। তবে রাজনৈতিক আবহের পরিবর্তনে সেই চিত্র আপাতত একেবারেই পাল্টে গেছে।
বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের অভিযোগ, ভোটের মাঠে দলটিকে পরাজিত করতে জামায়াতের দিক থেকে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ভোটার আকর্ষণ করতে ধর্মকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জামায়াত একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধকে পুরোনো, বিভেদ সৃষ্টিকারী বিষয় বলে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
স্পষ্টতই জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে গতকাল সোমবার এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘একটি দল ধর্মের নামে ট্যাবলেট বিক্রি করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করার পরিকল্পনা করছে। তাদেরকে জনগণ এরই মধ্যে চিনেছে। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।’
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘তারা (জামায়াতে ইসলামী) কেবলই বলছে যে এখানে একটু মার্কাতে ভোট দিলে তরতরাইয়া জান্নাতে যাবে। তার আগে ইহকালে কীভাবে চলব, এর কোনো বক্তব্য নাই।’
নির্বাচন মৌসুমে একাত্তরকে সামনে নিয়ে আসায় বিব্রত জামায়াতে ইসলামী। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বক্তব্যকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না দলটির নেতারা। জামায়াতের নীতিনির্ধারকেরা বলেছেন, এত বড় দলের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে এমন ‘দায়িত্বহীন বক্তব্য’ প্রত্যাশিত নয়।
গতকাল সন্ধ্যায় এ প্রসঙ্গে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বক্তব্যকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় বলে জনগণ মনে করে না। জনগণ মনে করে না, এটা সমীচীন কোনো বক্তব্য।’
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জামায়াতের বিতর্কিত অবস্থানের বিষয়টি ভোট এগিয়ে এলে প্রচারণার মাঠে আরও বেশি করে আলোচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে দলের অবস্থান কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সময় কথা বলবে। আমরা সেই সময়ের অপেক্ষা করি। তখন সামাল দেওয়ার বিষয়টি সবাই দেখবে।’
বিএনপি রাজনৈতিকভাবে হীনম্মন্যতায় ভুগে একাত্তরের বিষয় সামনে এনেছে বলেও মন্তব্য করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল। তিনি বলেন, ‘এ ইস্যুটি পুরোনো হয়ে গেছে। বিষয়টি মীমাংসিত হয়ে গেছে। এখন নতুন করে বিষয়টি সামনে আনার অর্থই হচ্ছে, তারা রাজনৈতিক হীনম্মন্যতায় ভুগছে।’
কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে ‘১৯৪৭ থেকে শুরু করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ এখন পর্যন্ত’ করা যেকোনো অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান।
বিজয় দিবস সামনে রেখে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটি ক্ষমা চাইবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে দলের পক্ষ থেকে একাধিকবার অবস্থান ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। সর্বশেষ আমাদের আমির বলেছিলেন, শুধু একাত্তর না, ১৯৪৭ থেকে শুরু করে অদ্যাবধি কেউ আমাদের দ্বারা কষ্ট পেয়ে থাকলে, ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে আমরা ক্ষমা চেয়েছি, ক্ষমা চাইতেই থাকব। আমরা মনে করি, বিষয়টি জাতির কাছে স্পষ্ট হয়েছে।’
আগামী নির্বাচনে একাত্তরের বিষয়টি সামনে এনে প্রতিপক্ষ খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না বলে মনে করছেন জামায়াতের নেতারা। ভোটে এ নিয়ে জামায়াত কতটুকু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ফ্যাসিস্টদের মুখেও এ নিয়ে ফেনা উঠেছিল। জাতি তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, নিজস্ব ভোটব্যাংক প্রতিটি দলেরই আছে। এর বাইরে বড় সংখ্যার দোদুল্যমান ভোটার রয়েছেন, যাঁরা সিদ্ধান্তহীনতায় থাকেন। এমন ভোটারদের নিজেদের দিকে টানতে দলগুলোর কথার যুদ্ধ স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। নির্বাচন মৌসুমে দলগুলোর বাগ্যুদ্ধে দোদুল্যমান ভোটারদের একটা বড় অংশ প্রভাবিত হয়। কিছুটা এরই অংশ হিসেবে ভোটের মাঠে মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকাকে সামনে এনেছে বিএনপি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া রাজনীতির ময়দানে জামায়াত এখন বড় ফ্যাক্টর। জামায়াত যেহেতু বিপক্ষে চলে গেছে, সংগত কারণেই একাত্তর দিয়ে জামায়াতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করবে বিএনপি। এটা খুবই স্বাভাবিক।...অন্যদিকে একাত্তরের বিষয়ে জামায়াত সংযত না হয়ে উল্টো আরও ১০ ডিগ্রি ওপর দিয়ে কথা বলছে। একাত্তরকে অস্বীকার করা, একে-ওকে বিশ্বাসঘাতক বলা—এগুলো জামায়াতের জন্য খুবই নেতিবাচক হবে। মানুষ এগুলো ভালোভাবে নেবে না।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. আল মাসুদ হাসানুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিজয় নিশ্চিত করতে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়িয়ে পড়েছে দল দুটি। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতেই তারা স্পর্শকাতর বিষয় সামনে আনছে।’

চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দেশের রাজনৈতিক চালচিত্র অনেকটাই বদলে দিয়েছে। পাল্টে যাওয়া দৃশ্যপটের একটি চিত্র দীর্ঘদিনের বন্ধু বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর এখনকার দুই মেরুতে অবস্থান। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে দল দুটি এখন একে অপরের মূল প্রতিপক্ষ। নির্বাচনে জয়ের হাতিয়ার হিসেবে প্রতিপক্ষের দুর্বলতা ও স্পর্শকাতর বিষয়গুলো জোরেশোরে সামনে আনছে তারা। এরই অংশ হিসেবে দুই পক্ষের জমে ওঠা কথার যুদ্ধে স্থান পেয়েছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ।
২০২৬-এর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সব ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহেই ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের তফসিল, অর্থাৎ বিশদ সময়সূচি। টেলিভিশনের জন্য আগামীকাল বুধবার তফসিলের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ রেকর্ড করা হবে বলে গতকাল সোমবার জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্তৃপক্ষ।
তফসিল ঘনিয়ে আসায় প্রকাশ্যে-নেপথ্যে চলছে দলগুলোর জোটের তৎপরতা। ক্রমেই জমে উঠেছে অনানুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা। দলগুলোর নেতারা দেশজুড়ে সফর করছেন, জনসভায় অংশ নিচ্ছেন। এই প্রচারে নিজেদের কৃতিত্ব আর অঙ্গীকারের বয়ানের পাশাপাশি দলগুলো পরস্পরের দোষ চিহ্নিত করে সমালোচনার তির ছুড়ছে। চেষ্টা করছে জনসমর্থন নিজের পক্ষে টানতে।
বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য বিতর্কিত জামায়াতে ইসলামী। দলটি তখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। সেই জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে নির্বাচনের মৌসুমে জনসমর্থন সৃষ্টির প্রচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাদের অতীতের ঘনিষ্ঠ মিত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গত রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে এক অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ বা কোনো কোনো গোষ্ঠীকে ইদানীং বলতে শুনছি, “অমুককে দেখলাম, তমুককে দেখলাম, এবার তমুককে দেখুন”। তাদের তো দেশের মানুষ ১৯৭১ সালেই দেখেছে।’
২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে শুরু হওয়া বিএনপি-জামায়াতের কথার যুদ্ধ তারেক রহমানের এ তির্যক মন্তব্যের মধ্য দিয়ে অনেকটাই তুঙ্গে উঠেছে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা। অভ্যুত্থানের কিছুদিন পর থেকে আন্দোলনকালীন ঘনিষ্ঠতা বা সৌজন্য অনেকটাই পেছনে সরিয়ে রেখে বিএনপি ও জামায়াত একে অপরকে আক্রমণ করে কথা বলে আসছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং তাদের ছোট-বড় নেতাদের নির্বিচার পলায়নের পর রাজধানীসহ দেশজুড়ে মাঠ ফাঁকা পেয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের দখল, চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ ওঠে। তুলনামূলকভাবে জামায়াত বা অন্য দলের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ ওঠে বেশ কম। বিএনপি পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বহিষ্কারাদেশসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়। বিএনপির বিরুদ্ধে অতীতের আওয়ামী লীগের মতোই দখল-চাঁদাবাজির অভিযোগকে জামায়াত তাদের প্রচারের প্রধান অস্ত্র করে তোলে। জামায়াতের নেতারা জনসভা, সেমিনার, টক শো, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে বিএনপিকে ঘায়েলের তৎপরতা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে বিএনপিও বসে নেই। জামায়াতের নেতা-কর্মীদের অন্যায়-অপকর্মের ঘটনা দেখলে সেগুলো সামনে আনছে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় ভোটের মাঠে জামায়াতকে কাবু করতে নির্বাচনী প্রচারে দলটির মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকাকে এবার জোরেশোরে সামনে এনেছে বিএনপি।
শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে একাত্তরে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করে জাতিকে অনুপ্রাণিত করা বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান পরবর্তীকালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। বিএনপি বরাবর দলের প্রতিষ্ঠাতাকে ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া’ হিসেবে তুলে ধরেছে। দলটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বা ছিলেন আরও অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া খোদ আওয়ামী লীগের মতোই বিএনপিও ‘রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে’ জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। বস্তুত বিএনপি-জামায়াত মিত্রতা অনেক বেশি সময়ের। জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে ২০০১ সালে জোট সরকার পর্যন্ত গঠন করেছিল বিএনপি। তবে রাজনৈতিক আবহের পরিবর্তনে সেই চিত্র আপাতত একেবারেই পাল্টে গেছে।
বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের অভিযোগ, ভোটের মাঠে দলটিকে পরাজিত করতে জামায়াতের দিক থেকে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ভোটার আকর্ষণ করতে ধর্মকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জামায়াত একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধকে পুরোনো, বিভেদ সৃষ্টিকারী বিষয় বলে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
স্পষ্টতই জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে গতকাল সোমবার এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘একটি দল ধর্মের নামে ট্যাবলেট বিক্রি করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করার পরিকল্পনা করছে। তাদেরকে জনগণ এরই মধ্যে চিনেছে। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।’
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘তারা (জামায়াতে ইসলামী) কেবলই বলছে যে এখানে একটু মার্কাতে ভোট দিলে তরতরাইয়া জান্নাতে যাবে। তার আগে ইহকালে কীভাবে চলব, এর কোনো বক্তব্য নাই।’
নির্বাচন মৌসুমে একাত্তরকে সামনে নিয়ে আসায় বিব্রত জামায়াতে ইসলামী। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বক্তব্যকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না দলটির নেতারা। জামায়াতের নীতিনির্ধারকেরা বলেছেন, এত বড় দলের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে এমন ‘দায়িত্বহীন বক্তব্য’ প্রত্যাশিত নয়।
গতকাল সন্ধ্যায় এ প্রসঙ্গে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বক্তব্যকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় বলে জনগণ মনে করে না। জনগণ মনে করে না, এটা সমীচীন কোনো বক্তব্য।’
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জামায়াতের বিতর্কিত অবস্থানের বিষয়টি ভোট এগিয়ে এলে প্রচারণার মাঠে আরও বেশি করে আলোচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে দলের অবস্থান কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সময় কথা বলবে। আমরা সেই সময়ের অপেক্ষা করি। তখন সামাল দেওয়ার বিষয়টি সবাই দেখবে।’
বিএনপি রাজনৈতিকভাবে হীনম্মন্যতায় ভুগে একাত্তরের বিষয় সামনে এনেছে বলেও মন্তব্য করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল। তিনি বলেন, ‘এ ইস্যুটি পুরোনো হয়ে গেছে। বিষয়টি মীমাংসিত হয়ে গেছে। এখন নতুন করে বিষয়টি সামনে আনার অর্থই হচ্ছে, তারা রাজনৈতিক হীনম্মন্যতায় ভুগছে।’
কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে ‘১৯৪৭ থেকে শুরু করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ এখন পর্যন্ত’ করা যেকোনো অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান।
বিজয় দিবস সামনে রেখে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটি ক্ষমা চাইবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে দলের পক্ষ থেকে একাধিকবার অবস্থান ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। সর্বশেষ আমাদের আমির বলেছিলেন, শুধু একাত্তর না, ১৯৪৭ থেকে শুরু করে অদ্যাবধি কেউ আমাদের দ্বারা কষ্ট পেয়ে থাকলে, ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে আমরা ক্ষমা চেয়েছি, ক্ষমা চাইতেই থাকব। আমরা মনে করি, বিষয়টি জাতির কাছে স্পষ্ট হয়েছে।’
আগামী নির্বাচনে একাত্তরের বিষয়টি সামনে এনে প্রতিপক্ষ খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না বলে মনে করছেন জামায়াতের নেতারা। ভোটে এ নিয়ে জামায়াত কতটুকু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ফ্যাসিস্টদের মুখেও এ নিয়ে ফেনা উঠেছিল। জাতি তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, নিজস্ব ভোটব্যাংক প্রতিটি দলেরই আছে। এর বাইরে বড় সংখ্যার দোদুল্যমান ভোটার রয়েছেন, যাঁরা সিদ্ধান্তহীনতায় থাকেন। এমন ভোটারদের নিজেদের দিকে টানতে দলগুলোর কথার যুদ্ধ স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। নির্বাচন মৌসুমে দলগুলোর বাগ্যুদ্ধে দোদুল্যমান ভোটারদের একটা বড় অংশ প্রভাবিত হয়। কিছুটা এরই অংশ হিসেবে ভোটের মাঠে মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকাকে সামনে এনেছে বিএনপি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া রাজনীতির ময়দানে জামায়াত এখন বড় ফ্যাক্টর। জামায়াত যেহেতু বিপক্ষে চলে গেছে, সংগত কারণেই একাত্তর দিয়ে জামায়াতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করবে বিএনপি। এটা খুবই স্বাভাবিক।...অন্যদিকে একাত্তরের বিষয়ে জামায়াত সংযত না হয়ে উল্টো আরও ১০ ডিগ্রি ওপর দিয়ে কথা বলছে। একাত্তরকে অস্বীকার করা, একে-ওকে বিশ্বাসঘাতক বলা—এগুলো জামায়াতের জন্য খুবই নেতিবাচক হবে। মানুষ এগুলো ভালোভাবে নেবে না।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. আল মাসুদ হাসানুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিজয় নিশ্চিত করতে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়িয়ে পড়েছে দল দুটি। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতেই তারা স্পর্শকাতর বিষয় সামনে আনছে।’

মুজিবনগর সরকারের ঘোষিত অঙ্গীকার—সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার—প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ১৯৭১ সালের মধ্য দিয়ে প্রথম সংবিধানে আমরা যে একটা ঐক্যের ভিত্তি তৈরি করলাম, তাকেই একভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। সেটা এমনকি সংবিধানে স্থান পায়নি।
২৭ এপ্রিল ২০২৫
তিনি আরও লেখেন, টিআইবির জরিপেও দেখা গেছে ২০০২ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে, মানুষ নিজেরাই বলেছে—দুর্নীতি কমেছে, এটা কোনো গল্প নয়, এটা তখনকার সংস্কারের প্রমাণ।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বে তিনটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে সদ্য গঠিত ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’-এর পরিধি আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এ জন্য ডান ও বাম ঘরানার বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে চলছে আলোচনা। জেএসডি (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল), নাগরিক ঐক্য, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশ এবং গণঅধিকার পরিষদের একাংশ গণ
১২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ মঙ্গলবার ঢাকায় আসছে না। তাঁকে আপাতত লন্ডন নেওয়া হচ্ছে না। তাঁকে কবে নাগাদ চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ মঙ্গলবার ঢাকায় আসছে না। তাঁকে আপাতত লন্ডন নেওয়া হচ্ছে না। তাঁকে কবে নাগাদ চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
চিকিৎসকদের সূত্র বলেছে, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া নির্ভর করছে তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপর। তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান গতকাল সোমবারও হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান। তিনিও চিকিৎসা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
সূত্র বলেছে, খালেদা জিয়াকে লন্ডনের হাসপাতালে নিতে কাতারের ব্যবস্থা করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির আজ সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। গতকাল সেই অনুমতি প্রত্যাহার চেয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে আবেদন করা হয়। অর্থাৎ আজ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আসছে না এবং খালেদা জিয়াকেও লন্ডনে নেওয়া হচ্ছে না।
বেবিচকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, জার্মানভিত্তিক এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ তাদের স্থানীয় সমন্বয়কারী সংস্থার মাধ্যমে স্লট অনুমোদন প্রত্যাহারের আবেদন করেছে। তিনি বলেন, বাতিলের অনুরোধটি বেবিচক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠাবে।
গত রোববার জমা দেওয়া প্রাথমিক আবেদনের ভিত্তিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির আজ সকাল ৮টায় অবতরণ এবং রাত ৯টার দিকে উড্ডয়নের অনুমতি দিয়েছিল বেবিচক।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে গত ২৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। ২৭ নভেম্বর তাঁকে হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। লিভার, কিডনি, ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর জটিলতায় ভুগছেন তিনি। বর্তমানে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। লন্ডন থেকে শুক্রবার এসে তাঁর চিকিৎসায় যুক্ত হয়েছেন পুত্রবধূ জুবাইদা রহমানও। রোববার খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যানসহ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছে। এগুলোর রিপোর্ট ভালো এসেছে বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ডের একটি সূত্র।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ গত শনিবার জানান, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত আছে। চিকিৎসকেরা বললেই তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থাই বলে দেবে, কখন তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া যাবে।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ মঙ্গলবার ঢাকায় আসছে না। তাঁকে আপাতত লন্ডন নেওয়া হচ্ছে না। তাঁকে কবে নাগাদ চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
চিকিৎসকদের সূত্র বলেছে, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া নির্ভর করছে তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপর। তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান গতকাল সোমবারও হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান। তিনিও চিকিৎসা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
সূত্র বলেছে, খালেদা জিয়াকে লন্ডনের হাসপাতালে নিতে কাতারের ব্যবস্থা করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির আজ সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। গতকাল সেই অনুমতি প্রত্যাহার চেয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে আবেদন করা হয়। অর্থাৎ আজ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আসছে না এবং খালেদা জিয়াকেও লন্ডনে নেওয়া হচ্ছে না।
বেবিচকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, জার্মানভিত্তিক এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ তাদের স্থানীয় সমন্বয়কারী সংস্থার মাধ্যমে স্লট অনুমোদন প্রত্যাহারের আবেদন করেছে। তিনি বলেন, বাতিলের অনুরোধটি বেবিচক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠাবে।
গত রোববার জমা দেওয়া প্রাথমিক আবেদনের ভিত্তিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির আজ সকাল ৮টায় অবতরণ এবং রাত ৯টার দিকে উড্ডয়নের অনুমতি দিয়েছিল বেবিচক।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে গত ২৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। ২৭ নভেম্বর তাঁকে হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। লিভার, কিডনি, ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর জটিলতায় ভুগছেন তিনি। বর্তমানে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। লন্ডন থেকে শুক্রবার এসে তাঁর চিকিৎসায় যুক্ত হয়েছেন পুত্রবধূ জুবাইদা রহমানও। রোববার খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যানসহ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছে। এগুলোর রিপোর্ট ভালো এসেছে বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ডের একটি সূত্র।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ গত শনিবার জানান, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত আছে। চিকিৎসকেরা বললেই তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থাই বলে দেবে, কখন তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া যাবে।

মুজিবনগর সরকারের ঘোষিত অঙ্গীকার—সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার—প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ১৯৭১ সালের মধ্য দিয়ে প্রথম সংবিধানে আমরা যে একটা ঐক্যের ভিত্তি তৈরি করলাম, তাকেই একভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। সেটা এমনকি সংবিধানে স্থান পায়নি।
২৭ এপ্রিল ২০২৫
তিনি আরও লেখেন, টিআইবির জরিপেও দেখা গেছে ২০০২ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে, মানুষ নিজেরাই বলেছে—দুর্নীতি কমেছে, এটা কোনো গল্প নয়, এটা তখনকার সংস্কারের প্রমাণ।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বে তিনটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে সদ্য গঠিত ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’-এর পরিধি আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এ জন্য ডান ও বাম ঘরানার বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে চলছে আলোচনা। জেএসডি (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল), নাগরিক ঐক্য, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশ এবং গণঅধিকার পরিষদের একাংশ গণ
১২ ঘণ্টা আগে
চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দেশের রাজনৈতিক চালচিত্র অনেকটাই বদলে দিয়েছে। পাল্টে যাওয়া দৃশ্যপটের একটি চিত্র দীর্ঘদিনের বন্ধু বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর এখনকার দুই মেরুতে অবস্থান। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে দল দুটি এখন একে অপরের মূল প্রতিপক্ষ।
১৩ ঘণ্টা আগে