Ajker Patrika

তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানের সিলেটে অবতরণ

বিশেষ প্রতিনিধি ও  নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ০২
তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইটটি সিলেটে অবতরণ করেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইটটি সিলেটে অবতরণ করেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। আজ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে বিমানটি অবতরণ করে।

তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি আজ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এই ফ্লাইটটি সেখানে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে। বিরতির সময়ে তারেক রহমান বিমানের ভেতরেই অবস্থান করবেন।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, যাত্রাবিরতি শেষে উড়োজাহাজটি সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটির অবতরণের কথা রয়েছে। তারেক রহমানকে বহনকারী উড়োজাহাজটি গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাতে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

এর আগে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দীর্ঘ বিরতির পর মাতৃভূমিতে ফেরার অনুভূতির কথা জানান তারেক রহমান। ছবির ক্যাপশনে লেখেন—‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩শ ১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’

বিমানের ভেতরে তারকে রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদার রহমান এবং কন্যা জাইমা রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিমানের ভেতরে তারকে রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদার রহমান এবং কন্যা জাইমা রহমান। ছবি: সংগৃহীত

একই পোস্ট শেয়ার করেছেন তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমান। তিনিও একটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩শ ১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’

১৭ বছর ৩ মাস ১৪ দিন। শুধু দিনের হিসাবে ৬ হাজার ৩১৪ দিন। মাতৃভূমি ছেড়ে থাকা দীর্ঘ এই সময়ের নির্বাসিত জীবনের ক্লান্তি চোখেমুখে লেগে আছে। অন্যদিকে সেই নির্বাসিত জীবনের ইতি টেনে নতুন প্রত্যাশার এক সকালের ঘোর লাগা অনুভূতি। ক্লান্তি আর তীব্র ভালোবাসার অনুভূতির মিশেলে দৃষ্টি দিয়েছেন উড়োজাহাজের জানালায়। এমন এক ছবি দিয়েই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দীর্ঘ বিরতির পর মাতৃভূমিতে ফেরার অনুভূতির কথা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন—‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩শ ১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’

এক-এগারোর সময় প্রায় ১৮ মাস কারান্তরীণ থাকার পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য সপরিবার যুক্তরাজ্যে যান। সেই যাওয়ার পর এরই মধ্যে কেটে গেছে ১৭ বছর ৩ মাস। ২৫ ডিসেম্বর দিনের হিসাবে ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর দেশে ফিরতে যাচ্ছেন তারেক। দীর্ঘ নির্বাসন জীবন শেষে তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন ঘিরে দল ও দলের বাইরে প্রবল আগ্রহ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে। একই সঙ্গে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনীতির মাঠে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরা। দলের নেতা-কর্মীদের বাইরে সাধারণ মানুষ তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন: স্টেজের সামনে যেতে না পেরে ডিজিটাল স্ক্রিনের সামনে হাজারো মানুষ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ডিজিটাল স্ক্রিনের সামনে বসে আছেন হাজার হাজার মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা।
ডিজিটাল স্ক্রিনের সামনে বসে আছেন হাজার হাজার মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা।

দীর্ঘ ১৭ বছর তিন মাস পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলের শীর্ষ নেতাকে একনজর দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রাজধানীর ৩০০ ফুট সড়কে সংবর্ধনাস্থলে এসেছেন হাজার হাজার মানুষ। স্টেজের পাশে মানুষের ঢল নামায় নেতাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না অনেকেই। তাই স্টেজের আশপাশের ডিজিটাল স্ক্রিনের সামনে ভিড় করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্টেজ থেকে প্রায় কয়েকশ গজ দূর পর্যন্ত মানুষের উপচেপড়া ভিড়। অনেকে নানাভাবে স্টেজ দেখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু মঞ্চের সামনে যেতে না পেরে ডিজিটাল স্ক্রিনের সামনে হাজার হাজার মানুষ। কেউ দাঁড়িয়ে আছেন, কেউ বসে পড়েছেন। সবার অপেক্ষা দলের শীর্ষ নেতা তারেক রহমানকে দেশের মাটিতে একনজর দেখা।

স্টেজের পাশের একটি ডিজিটাল স্ক্রিনের সামনে বসা মো. কবির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টাঙ্গাইল থেকে রাত ২টায় সংবর্ধনাস্থলে এসেছি। এরপর স্টেজের সামনে গিয়েছিলাম। কিন্তু সকালে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। সেখানে আর দাঁড়িয়ে থাকা যায়নি। তাই পেছনে এসে ডিজিটাল স্ক্রিনের সামনে বসেছি।’

মো. জামুরুল ইসলাম নামের আরেকজন বলেন, ‘স্টেজের সামনে থেকে ধাক্কাধাক্কিতে দাঁড়িয়ে থাকতে পারিনি। তাই নেতাকে দেখতে পাশের ডিজিটাল স্ক্রিনের সামনে বসেছি।’

এদিকে অনেকে গতকাল রাতেই সংবর্ধনাস্থলে এসেছেন। তাই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আসা অনেককে সড়কেই ঘুমিয়ে থাকতে দেখা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন: এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল ফ্রি যাতায়াত শুরু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল ফ্রি যাতায়াত শুরু হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল ফ্রি যাতায়াত শুরু হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

সরকারের নির্দেশনায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সব টোলপ্লাজা দিয়ে শহরে প্রবেশকারী যানবাহনের কাছ থেকে কোনো টোল আদায় করা হচ্ছে না।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ ও পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেডের অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) হাসিব হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সকাল ১১টা থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সবগুলো বুথ টোল ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিকেল ৩টা পর্যন্ত এই সুবিধা বহাল থাকবে। আপাতত সকালের দিকে গাড়ির চাপ কম রয়েছে এবং যান চলাচল স্বাভাবিকভাবে চলছে।’

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, টোল ফ্রি সুবিধার কারণে এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল স্বস্তিদায়ক রয়েছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো মাঠে রয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দরে টোল বুথের কাছে সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তার জন্য।

তবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল এবং সিএনজি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন, সব পথ মিশেছে পূর্বাচলে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৩৮
লাখো মানুষের স্লোগানে মুখরিত হয়ে আছে ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে এলাকা। ছবি: আজকের পত্রিকা
লাখো মানুষের স্লোগানে মুখরিত হয়ে আছে ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে এলাকা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। সবার পথ যেন মিশেছে ৩০০ ফুট নামের এই সড়কে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এই সড়ক জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। লাখো মানুষের স্লোগানে মুখরিত হয়ে আছে ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে এলাকা। তারেক রহমানের সংবর্ধনা মঞ্চের আশপাশের এলাকায় দাঁড়ানোরও কোনো জায়গা নেই। সংবর্ধনা মঞ্চে ১৯টি সাজানো আছে। মঞ্চের চারপাশ ঘিরে রেখেছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

লাখো মানুষের স্লোগানে মুখরিত হয়ে আছে ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে এলাকা। ছবি: আজকের পত্রিকা
লাখো মানুষের স্লোগানে মুখরিত হয়ে আছে ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে এলাকা। ছবি: আজকের পত্রিকা

১৭ বছরের নির্বাসন জীবন কাটিয়ে দেশের ফিরেছেন তারেক রহমান। সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে তারেক রহমানের ফ্লাইট সিলেট বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ বিমানের লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটে বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় লন্ডনের হিথ্ররো বিমান বন্দর ছাড়েন তিনি। সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে ফ্লাইটটির ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ঢাকায় পৌঁছে এয়ারপোর্ট থেকে পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। এরপর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর মা খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন।

লাখো মানুষের স্লোগানে মুখরিত হয়ে আছে ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে এলাকা। ছবি: আজকের পত্রিকা
লাখো মানুষের স্লোগানে মুখরিত হয়ে আছে ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে এলাকা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গতকাল বুধবার রাতেই অনেকে ৩০০ ফুট সড়কে অবস্থান নেন। শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মানুষ সেখানে পৌঁছান। ঢাকা এবং এর আশপাশের এলাকার লোকজন বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ৩০০ ফুট সড়কের উদ্দেশে রওনা দেন। বরিশাল, রাজশাহী, দিনাজপুর, চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহ থেকে বিশেষ ট্রেনগুলোতে নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন সময় ঢাকায় পৌঁছেছেন।

সকালে দেখা যায়, মাথায় রঙিন ক্যাপ, গায়ে একই রঙের টি-শার্ট পরে মিছিল নিয়ে পায়ে হেঁটেই পূর্বাচলের দিকে রওনা হয়েছেন লাখো মানুষ। বেশিরভাগ মানুষের হাতে রয়েছে তারেক রহমান ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মানুষও বিশ্বরোডের আশপাশে তাদের গাড়ি রেখে পায়ে হেঁটে পূর্বাচলের দিকে রওনা হয়েছেন।

রংপুর থেকে ঢাকায় আসা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘অনেক বছর পর নেতাকে নিজের চোখে দেখার লোভ সামলাতে পারিনি।’

ঢাকার পল্লবী এলাকার শরীফুল ইসলাম সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অন্যদের সঙ্গে মিছিল নিয়ে পূর্বাচলের দিকে যাচ্ছিলেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এমন দিন জীবনে খুব কম আসবে। তাই নেতার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাচ্ছি।’

বসুন্ধরায় ৩০০ ফুটের সংবর্ধনাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। বিমানবন্দর, পূর্বাচল, বনানী, যমুনা ফিউচার পার্ক পয়েন্টে নেতা-কর্মীরা তারেক রহমানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মিছিল করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঢাকায় ১১টি বিশেষ ট্রেন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৩৫
নেতাকর্মীদের নিয়ে মোট ১১টি বিশেষ ট্রেন ঢাকায় পৌঁছেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
নেতাকর্মীদের নিয়ে মোট ১১টি বিশেষ ট্রেন ঢাকায় পৌঁছেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে দলটির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে ১১টি বিশেষ ট্রেন ঢাকায় পৌঁছেছে। নেতা-কর্মীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ের মাধ্যমে বিশেষ ট্রেন সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। দলটির পক্ষ থেকে ভাড়া নেওয়া এসব ট্রেনে করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় আসছেন।

রেলওয়ের ঢাকা কন্ট্রোল অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশেষ ট্রেনগুলো ঢাকায় আসতে শুরু করে। এদিন সকাল পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের নিয়ে ১১টি বিশেষ ট্রেন ঢাকায় এসেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় ১১টি বিশেষ ট্রেন ইতিমধ্যে ঢাকায় এসেছে। এসব ট্রেনের যাত্রীরা মূলত বিমানবন্দর ও ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে নেমেছেন। কারণ, এসব স্টেশন থেকে তাঁদের কাঙ্ক্ষিত ভেন্যুগুলো কাছাকাছি। রেলওয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে আমরা মাঠে আছি। এখন পর্যন্ত রেলওয়ের নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিটি ট্রেন চলাচল করছে। পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীদের চলাচলেও তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের তেমন ভিড় নেই এবং ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড়ের খবর পাওয়া গেছে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের ট্রেনে আগমন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, যেসব রুটে বিশেষ ট্রেন চলাচল করছে সেগুলো হলো—

কক্সবাজার-ঢাকা-কক্সবাজার, জামালপুর-ময়মনসিংহ-ঢাকা-জামালপুর, টাঙ্গাইল-ঢাকা-টাঙ্গাইল,

ভৈরববাজার-নরসিংদী-ঢাকা, জয়দেবপুর-ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট-জয়দেবপুর (গাজীপুর),

পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড়, খুলনা-ঢাকা-খুলনা,

চাটমোহর-ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট-চাটমোহর,

রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী এবং

যশোর-ঢাকা-যশোর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত