আজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
আজ রোববার বাংলামোটরে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ছাড়াই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রতিবাদে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে সামান্তা শারমিন বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে প্রণীত বিতর্কিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২ এর অধীনে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের আগেই নিয়োগ দেওয়ায় প্রতিবাদ জানাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এই আইন বাতিল করাটাই যুক্তিযুক্ত হতো।
তিনি বলেন, ‘নতুন সার্চ কমিটি গঠিত হয়ে যাওয়ায় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের আইনটি বদলের পক্ষের যে ইচ্ছা সেটাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আমরা জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়েছি এবং তাদের এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, এই সরকার গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী জনগণের অভিপ্রায়কে পুরোপুরি ধারণ করতে পারছে না।’
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আমরা জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে অবৈধ রাষ্ট্রপতির অধীনে ফ্যাসিস্ট আইনি কাঠামোয় গঠিত নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান করছি এবং অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনসহ আইনটি বাতিল করে নতুন আইনের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ ও অবিতর্কিত নির্বাচন কমিশন গঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট লক্ষ করছি, নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর চাপের কাছে নতি স্বীকার করে সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন করতে বাধ্য হয়েছে। এ কাজ গণ-অভ্যুত্থানের কমিটমেন্টের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল! আমরা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের সর্বস্তরের ছাত্র ও জনগণ গণ-অভ্যুত্থানের শরিক। কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আমরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্যান্য উপদেষ্টাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন দেখতে চাই।’
মুখপাত্র বলেন, ড. ইউনূসকে মনে রাখতে হবে, ‘তিনি ছাত্র-জনতার দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত। তরুণ শিক্ষার্থী সমাজসহ আপামর জনগণের কাছেই তিনি দায়বদ্ধ। রাজনৈতিক দলগুলো না চাইলে সংস্কার হবে না, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য আমরা তাঁর কাছ থেকে শুনতে চাই না।’
এ সময় তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, ‘অতি দ্রুত গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ করতে হবে। ২০২২ সালের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশন আইন বাতিল করতে হবে এবং তার (সাহাবুদ্দিন) অধীনে গঠিত নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
আজ রোববার বাংলামোটরে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ছাড়াই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রতিবাদে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে সামান্তা শারমিন বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে প্রণীত বিতর্কিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২ এর অধীনে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের আগেই নিয়োগ দেওয়ায় প্রতিবাদ জানাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এই আইন বাতিল করাটাই যুক্তিযুক্ত হতো।
তিনি বলেন, ‘নতুন সার্চ কমিটি গঠিত হয়ে যাওয়ায় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের আইনটি বদলের পক্ষের যে ইচ্ছা সেটাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আমরা জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়েছি এবং তাদের এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, এই সরকার গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী জনগণের অভিপ্রায়কে পুরোপুরি ধারণ করতে পারছে না।’
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আমরা জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে অবৈধ রাষ্ট্রপতির অধীনে ফ্যাসিস্ট আইনি কাঠামোয় গঠিত নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান করছি এবং অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনসহ আইনটি বাতিল করে নতুন আইনের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ ও অবিতর্কিত নির্বাচন কমিশন গঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট লক্ষ করছি, নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর চাপের কাছে নতি স্বীকার করে সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন করতে বাধ্য হয়েছে। এ কাজ গণ-অভ্যুত্থানের কমিটমেন্টের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল! আমরা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের সর্বস্তরের ছাত্র ও জনগণ গণ-অভ্যুত্থানের শরিক। কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আমরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্যান্য উপদেষ্টাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন দেখতে চাই।’
মুখপাত্র বলেন, ড. ইউনূসকে মনে রাখতে হবে, ‘তিনি ছাত্র-জনতার দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত। তরুণ শিক্ষার্থী সমাজসহ আপামর জনগণের কাছেই তিনি দায়বদ্ধ। রাজনৈতিক দলগুলো না চাইলে সংস্কার হবে না, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য আমরা তাঁর কাছ থেকে শুনতে চাই না।’
এ সময় তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, ‘অতি দ্রুত গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ করতে হবে। ২০২২ সালের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশন আইন বাতিল করতে হবে এবং তার (সাহাবুদ্দিন) অধীনে গঠিত নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
আজ রোববার বাংলামোটরে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ছাড়াই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রতিবাদে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে সামান্তা শারমিন বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে প্রণীত বিতর্কিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২ এর অধীনে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের আগেই নিয়োগ দেওয়ায় প্রতিবাদ জানাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এই আইন বাতিল করাটাই যুক্তিযুক্ত হতো।
তিনি বলেন, ‘নতুন সার্চ কমিটি গঠিত হয়ে যাওয়ায় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের আইনটি বদলের পক্ষের যে ইচ্ছা সেটাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আমরা জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়েছি এবং তাদের এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, এই সরকার গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী জনগণের অভিপ্রায়কে পুরোপুরি ধারণ করতে পারছে না।’
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আমরা জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে অবৈধ রাষ্ট্রপতির অধীনে ফ্যাসিস্ট আইনি কাঠামোয় গঠিত নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান করছি এবং অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনসহ আইনটি বাতিল করে নতুন আইনের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ ও অবিতর্কিত নির্বাচন কমিশন গঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট লক্ষ করছি, নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর চাপের কাছে নতি স্বীকার করে সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন করতে বাধ্য হয়েছে। এ কাজ গণ-অভ্যুত্থানের কমিটমেন্টের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল! আমরা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের সর্বস্তরের ছাত্র ও জনগণ গণ-অভ্যুত্থানের শরিক। কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আমরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্যান্য উপদেষ্টাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন দেখতে চাই।’
মুখপাত্র বলেন, ড. ইউনূসকে মনে রাখতে হবে, ‘তিনি ছাত্র-জনতার দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত। তরুণ শিক্ষার্থী সমাজসহ আপামর জনগণের কাছেই তিনি দায়বদ্ধ। রাজনৈতিক দলগুলো না চাইলে সংস্কার হবে না, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য আমরা তাঁর কাছ থেকে শুনতে চাই না।’
এ সময় তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, ‘অতি দ্রুত গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ করতে হবে। ২০২২ সালের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশন আইন বাতিল করতে হবে এবং তার (সাহাবুদ্দিন) অধীনে গঠিত নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
আজ রোববার বাংলামোটরে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ছাড়াই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রতিবাদে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে সামান্তা শারমিন বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে প্রণীত বিতর্কিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২ এর অধীনে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের আগেই নিয়োগ দেওয়ায় প্রতিবাদ জানাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এই আইন বাতিল করাটাই যুক্তিযুক্ত হতো।
তিনি বলেন, ‘নতুন সার্চ কমিটি গঠিত হয়ে যাওয়ায় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের আইনটি বদলের পক্ষের যে ইচ্ছা সেটাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আমরা জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়েছি এবং তাদের এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, এই সরকার গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী জনগণের অভিপ্রায়কে পুরোপুরি ধারণ করতে পারছে না।’
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আমরা জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে অবৈধ রাষ্ট্রপতির অধীনে ফ্যাসিস্ট আইনি কাঠামোয় গঠিত নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান করছি এবং অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনসহ আইনটি বাতিল করে নতুন আইনের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ ও অবিতর্কিত নির্বাচন কমিশন গঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট লক্ষ করছি, নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর চাপের কাছে নতি স্বীকার করে সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন করতে বাধ্য হয়েছে। এ কাজ গণ-অভ্যুত্থানের কমিটমেন্টের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল! আমরা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের সর্বস্তরের ছাত্র ও জনগণ গণ-অভ্যুত্থানের শরিক। কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আমরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্যান্য উপদেষ্টাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন দেখতে চাই।’
মুখপাত্র বলেন, ড. ইউনূসকে মনে রাখতে হবে, ‘তিনি ছাত্র-জনতার দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত। তরুণ শিক্ষার্থী সমাজসহ আপামর জনগণের কাছেই তিনি দায়বদ্ধ। রাজনৈতিক দলগুলো না চাইলে সংস্কার হবে না, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য আমরা তাঁর কাছ থেকে শুনতে চাই না।’
এ সময় তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, ‘অতি দ্রুত গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ করতে হবে। ২০২২ সালের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশন আইন বাতিল করতে হবে এবং তার (সাহাবুদ্দিন) অধীনে গঠিত নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তাঁকে বহন করতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসার কথা রয়েছে আগামীকাল মঙ্গলবার। পরদিন বুধবার ওই অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।
৩ ঘণ্টা আগে
ভোটের সময় প্রার্থী আর তাঁর কর্মীদের নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না। ছুটতে থাকেন ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। যে করেই হোক প্রার্থীর কথা পৌঁছে দিতে হবে প্রতিটি ভোটারের কানে। কিন্তু প্রচলিত পদ্ধতির সভা-সমাবেশ, লিফলেট-পোস্টারে হয়তো আর সেটা শতভাগ সম্ভব হতো না।
৩ ঘণ্টা আগে
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামী মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানীতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ রোববার এসব পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। এতে তাঁর ‘স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটার’ ভালো অবস্থায় রয়েছে বলে তাঁর চিকিৎসক জানিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তাঁকে বহন করতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসার কথা রয়েছে আগামীকাল মঙ্গলবার। পরদিন বুধবার ওই অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর। তবে শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি না হওয়ায় তাঁর লন্ডনযাত্রা নিয়ে সংশয় কাটেনি এখনো। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল রোববার রাতে মেডিকেল বোর্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র বলেছে, খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান হয়েছে এবং তাতে ‘স্বাভাবিক’ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে মেডিকেল বোর্ড গণমাধ্যমকে কিছু জানায়নি।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। লিভার, কিডনি, ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর জটিলতায় ভুগছেন তিনি। ১২ দিন ধরে সংকটাপন্ন অবস্থায় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসা চলছে। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে তাঁর চিকিৎসায় লন্ডন থেকে গত শুক্রবার এসে যুক্ত হয়েছেন পুত্রবধূ জুবাইদা রহমানও।
গতকাল রাতে একটি সূত্র জানায়, মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক বলেছেন, ‘রোববার খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যানসহ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছে। এগুলোর রিপোর্ট ভালো এসেছে। আমরা চেষ্টা করছি দেশেই চিকিৎসা দিতে। আমাদের বিশ্বাস, তিনি দেশের চিকিৎসায় সেরে উঠবেন।’
খালেদা জিয়া কথা বলতে পারছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ওই চিকিৎসক বলেন, ‘কিছুটা বলার চেষ্টা করছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। উনার ছোট ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, দুই পুত্রবধূ সার্বক্ষণিক পাশে আছেন। তাঁদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে কথা বলার চেষ্টা করেন।’
সিটি স্ক্যানের খবরটি প্রচারিত হওয়ার পর এ নিয়ে রাত ৯টার পর এই প্রতিবেদক বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। শায়রুল কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাত ৮টা ৪৫ মিনিটেই তাঁর সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের কথা হয়। তিনি তখন বলেছেন, এ বিষয়ে নতুন করে বলার মতো কোনো সিদ্ধান্ত হলে জানাবেন। ‘নিজেদের অনুমান বা অন্য কারও তথ্য দিয়ে’ খবর প্রচার না করার জন্য ডাক্তার জাহিদ হোসেন একাধিকবার অনুরোধ করেছেন।
এর কিছু আগে সন্ধ্যায় মেডিকেল বোর্ডের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, তখন পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি বা অবনতি কিছুই হয়নি। আর এখন তিনি যে অবস্থায় আছেন, তাতে উড়োজাহাজে দীর্ঘ ১২-১৩ ঘণ্টার যাত্রাকে উপযুক্ত মনে করছে না মেডিকেল বোর্ড। এরপরও এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনা হচ্ছে। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেই খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দেবে বোর্ড।
সম্প্রতি দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. জাহিদ হোসেনই মূলত তাঁর অবস্থা সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করবেন।
কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে গত শুক্রবার সকাল বা দুপুরের মধ্যেই লন্ডনের পথে যাত্রা শুরু করার কথা ছিল খালেদা জিয়ার। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আসতে না পারায় সেদিন যাত্রা সম্ভব হয়নি বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়। গত শনিবার মেডিকেল বোর্ডের তরফে বলা হয়, উড়োজাহাজের যান্ত্রিক ত্রুটির পাশাপাশি খালেদা জিয়ার শরীরের অবস্থাও লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হওয়ার কারণ। ৯-১০ ডিসেম্বরের দিকে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তাঁকে লন্ডনে নেওয়া হবে।
অ্যাম্বুলেন্স অবতরণের অনুমতি
আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি জানান, খালেদা জিয়ার জন্য কাতার কর্তৃপক্ষের ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামী মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বেবিচকের একজন কর্মকর্তা জানান, উড়োজাহাজটিকে সকাল ৮টায় অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, খালেদা জিয়াকে নিয়ে একই দিন রাত ৯টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা ত্যাগ করবে। তবে ওই কর্মকর্তা এ-ও উল্লেখ করেন, মেডিকেল টিমের মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির ওপর ভিত্তি করে সময়সূচিতে পরিবর্তন আসতে পারে।
কাতার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় জার্মানিভিত্তিক এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ভাড়া করা হয়েছে। ঢাকা-লন্ডন দীর্ঘ রুটে গুরুতর রোগী পরিবহনের উপযোগী এই বিশেষায়িত বিমানে সব ধরনের জরুরি চিকিৎসার সুবিধা রয়েছে।
শনিবার বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদও গণমাধ্যমকে জানান, খালেদা জিয়াকে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি মঙ্গলবার আসবে। ভিভিআইপি মুভমেন্ট হিসেবে এই ফ্লাইটের অবতরণ থেকে উড্ডয়ন পর্যন্ত সব ধরনের নিরাপত্তা ও অপারেশনাল প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা করে গতকালও সারা দেশে দোয়া ও মোনাজাত হয়েছে। তবে এদিন এভারকেয়ার হাসপাতালসংলগ্ন এলাকায় আগের মতো দলীয় নেতা-কর্মীদের ভিড় দেখা যায়নি।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন চিকিৎসা চলে তাঁর। তার পর থেকে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় লন্ডন ক্লিনিকের দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন। ৬ মে দেশে ফেরেন তিনি।

হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তাঁকে বহন করতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসার কথা রয়েছে আগামীকাল মঙ্গলবার। পরদিন বুধবার ওই অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর। তবে শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি না হওয়ায় তাঁর লন্ডনযাত্রা নিয়ে সংশয় কাটেনি এখনো। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল রোববার রাতে মেডিকেল বোর্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র বলেছে, খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান হয়েছে এবং তাতে ‘স্বাভাবিক’ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে মেডিকেল বোর্ড গণমাধ্যমকে কিছু জানায়নি।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। লিভার, কিডনি, ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর জটিলতায় ভুগছেন তিনি। ১২ দিন ধরে সংকটাপন্ন অবস্থায় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসা চলছে। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে তাঁর চিকিৎসায় লন্ডন থেকে গত শুক্রবার এসে যুক্ত হয়েছেন পুত্রবধূ জুবাইদা রহমানও।
গতকাল রাতে একটি সূত্র জানায়, মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক বলেছেন, ‘রোববার খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যানসহ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছে। এগুলোর রিপোর্ট ভালো এসেছে। আমরা চেষ্টা করছি দেশেই চিকিৎসা দিতে। আমাদের বিশ্বাস, তিনি দেশের চিকিৎসায় সেরে উঠবেন।’
খালেদা জিয়া কথা বলতে পারছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ওই চিকিৎসক বলেন, ‘কিছুটা বলার চেষ্টা করছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। উনার ছোট ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, দুই পুত্রবধূ সার্বক্ষণিক পাশে আছেন। তাঁদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে কথা বলার চেষ্টা করেন।’
সিটি স্ক্যানের খবরটি প্রচারিত হওয়ার পর এ নিয়ে রাত ৯টার পর এই প্রতিবেদক বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। শায়রুল কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাত ৮টা ৪৫ মিনিটেই তাঁর সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের কথা হয়। তিনি তখন বলেছেন, এ বিষয়ে নতুন করে বলার মতো কোনো সিদ্ধান্ত হলে জানাবেন। ‘নিজেদের অনুমান বা অন্য কারও তথ্য দিয়ে’ খবর প্রচার না করার জন্য ডাক্তার জাহিদ হোসেন একাধিকবার অনুরোধ করেছেন।
এর কিছু আগে সন্ধ্যায় মেডিকেল বোর্ডের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, তখন পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি বা অবনতি কিছুই হয়নি। আর এখন তিনি যে অবস্থায় আছেন, তাতে উড়োজাহাজে দীর্ঘ ১২-১৩ ঘণ্টার যাত্রাকে উপযুক্ত মনে করছে না মেডিকেল বোর্ড। এরপরও এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনা হচ্ছে। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেই খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দেবে বোর্ড।
সম্প্রতি দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. জাহিদ হোসেনই মূলত তাঁর অবস্থা সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করবেন।
কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে গত শুক্রবার সকাল বা দুপুরের মধ্যেই লন্ডনের পথে যাত্রা শুরু করার কথা ছিল খালেদা জিয়ার। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আসতে না পারায় সেদিন যাত্রা সম্ভব হয়নি বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়। গত শনিবার মেডিকেল বোর্ডের তরফে বলা হয়, উড়োজাহাজের যান্ত্রিক ত্রুটির পাশাপাশি খালেদা জিয়ার শরীরের অবস্থাও লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হওয়ার কারণ। ৯-১০ ডিসেম্বরের দিকে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তাঁকে লন্ডনে নেওয়া হবে।
অ্যাম্বুলেন্স অবতরণের অনুমতি
আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি জানান, খালেদা জিয়ার জন্য কাতার কর্তৃপক্ষের ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামী মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বেবিচকের একজন কর্মকর্তা জানান, উড়োজাহাজটিকে সকাল ৮টায় অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, খালেদা জিয়াকে নিয়ে একই দিন রাত ৯টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা ত্যাগ করবে। তবে ওই কর্মকর্তা এ-ও উল্লেখ করেন, মেডিকেল টিমের মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির ওপর ভিত্তি করে সময়সূচিতে পরিবর্তন আসতে পারে।
কাতার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় জার্মানিভিত্তিক এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ভাড়া করা হয়েছে। ঢাকা-লন্ডন দীর্ঘ রুটে গুরুতর রোগী পরিবহনের উপযোগী এই বিশেষায়িত বিমানে সব ধরনের জরুরি চিকিৎসার সুবিধা রয়েছে।
শনিবার বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদও গণমাধ্যমকে জানান, খালেদা জিয়াকে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি মঙ্গলবার আসবে। ভিভিআইপি মুভমেন্ট হিসেবে এই ফ্লাইটের অবতরণ থেকে উড্ডয়ন পর্যন্ত সব ধরনের নিরাপত্তা ও অপারেশনাল প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা করে গতকালও সারা দেশে দোয়া ও মোনাজাত হয়েছে। তবে এদিন এভারকেয়ার হাসপাতালসংলগ্ন এলাকায় আগের মতো দলীয় নেতা-কর্মীদের ভিড় দেখা যায়নি।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন চিকিৎসা চলে তাঁর। তার পর থেকে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় লন্ডন ক্লিনিকের দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন। ৬ মে দেশে ফেরেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
২৪ নভেম্বর ২০২৪
ভোটের সময় প্রার্থী আর তাঁর কর্মীদের নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না। ছুটতে থাকেন ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। যে করেই হোক প্রার্থীর কথা পৌঁছে দিতে হবে প্রতিটি ভোটারের কানে। কিন্তু প্রচলিত পদ্ধতির সভা-সমাবেশ, লিফলেট-পোস্টারে হয়তো আর সেটা শতভাগ সম্ভব হতো না।
৩ ঘণ্টা আগে
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামী মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানীতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ রোববার এসব পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। এতে তাঁর ‘স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটার’ ভালো অবস্থায় রয়েছে বলে তাঁর চিকিৎসক জানিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেঅর্চি হক, ঢাকা

ভোটের সময় প্রার্থী আর তাঁর কর্মীদের নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না। ছুটতে থাকেন ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। যে করেই হোক প্রার্থীর কথা পৌঁছে দিতে হবে প্রতিটি ভোটারের কানে। কিন্তু প্রচলিত পদ্ধতির সভা-সমাবেশ, লিফলেট-পোস্টারে হয়তো আর সেটা শতভাগ সম্ভব হতো না।
যুগটা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের। হাতের এক মোবাইল ফোনের মধ্যে যেন গোটা জগৎ-সংসার। রাজনীতি কিংবা ভোটও তাই বাদ যাচ্ছে না। আগামী সংসদ নির্বাচনে দল ও প্রার্থীদের একটি বড় অংশ এ সুযোগ নেবে। যুগের গুরুত্ব বুঝে নির্বাচন কমিশনও আচরণবিধিতে প্রথমবারের মতো সংযুক্ত করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের বিষয়টি।
আচরণবিধি কার্যকর হবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই। তার আগেই অবশ্য কিছু দল ও প্রার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। দল-আদর্শ আর নিজের রাজনৈতিক বার্তা দিয়ে ভোটারদের কাছে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা শুরু করেছেন।
কড়ি ছাড়া কি আর ভোটারের দরজায় কড়া নাড়ার সুযোগ মিলবে। কাজটা করতে তাই গুনতে হচ্ছে অর্থ। বিজ্ঞাপন দিতে হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মধ্যে এ দেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার ফেসবুকের। ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ফেসবুকে রাজনৈতিক নেতাদের বিজ্ঞাপনের পরিমাণও তত বাড়ছে। ফেসবুকে ‘সামাজিক বিষয়, নির্বাচন এবং রাজনীতি’ সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন নিয়ে তথ্য থাকে মেটা অ্যাড লাইব্রেরিতে। এই অংশে গত তিন মাসে (৪ সেপ্টেম্বর-২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ থেকে বুস্টিংয়ের (বিজ্ঞাপন) শীর্ষে থাকা ২০টি পেজের মধ্যে অন্তত ১০টিতেই সরাসরি রাজনৈতিক দল ও নেতা সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়েছে। এই ১০টি পেজের মধ্যে আটটি থেকে আবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং এই দলের নেতাদের সম্পর্কে বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে। বাকি দুটি পেজে জামায়াতে ইসলামী এবং এই দলের নেতাদের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। অপর ১০টি পেজ রাজনীতিসংশ্লিষ্ট কি না, তা শনাক্ত করা যায়নি যথাযথ তথ্য না থাকায়।
১০টির মধ্যে ৮টি বিএনপি-সম্পর্কিত
মেটা অ্যাড লাইব্রেরির তথ্য বলছে, বিজ্ঞাপনে তিন মাসে ফেসবুক বুস্টিংয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ‘Bangladesh Nationalist Party-BNP’। তিন মাসে এই পেজের খরচ ৪ হাজার ৮৮৫ ডলার। ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে ‘BNP Media Cell’। গত তিন মাসে এই পেজের খরচ ৪ হাজার ৭২৯ ডলার। তাদের ২০টি বিজ্ঞাপন মেটা অ্যাড লাইব্রেরিতে রয়েছে।
গত তিন মাসে ফেসবুক বুস্টিংয়ে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ নামের পেজ। এই পেজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের নেতারা পরিচালনা করেন। তিন মাসে তাঁরা বিজ্ঞাপনে খরচ করেছেন ৪ হাজার ২১৫ ডলার।
সপ্তম অবস্থানে রয়েছে ‘Tarique Rahman’ নামের পেজ। এই পেজ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ। গত তিন মাসে এই পেজ থেকে বিজ্ঞাপনে খরচ হয়েছে ২ হাজার ৫৪৭ ডলার।
১১তম অবস্থানে রয়েছে ‘Rafiqul Amin Bhuiyan’ নামের পেজ। তিন মাসে এই পেজের খরচ ১ হাজার ৫৪৯ টাকা। জানা গেছে, পেজটি নরসিংদী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল আমিন ভুঁইয়া রুহেলের।
‘মাহবুবুর রহমান ডাবলু’ নামের একটি পেজ রয়েছে ১৬তম স্থানে। এটি নওগাঁ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মাহবুবুর রহমানের বলে জানা যায়। গত তিন মাসে এই পেজ থেকে বুস্টিং হয়েছে ১ হাজার ৪১৩ ডলার।
১৭তম স্থানে রয়েছে ‘Shah Reazul Hannan-শাহ্ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ’ নামের পেজ। এটি গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শাহ্ রিয়াজুল হান্নানের পেজ। তিনি বিএনপির প্রয়াত নেতা হান্নান শাহর ছেলে। তাঁর পেজ থেকে গত তিন মাসে ১ হাজার ৩৮৭ ডলার খরচ হয়েছে বিজ্ঞাপনে।
মেটা অ্যাড লাইব্রেরির শীর্ষ বিশে থাকা একমাত্র নারীর পেজ ‘Syeda Adiba Hussain-সৈয়দা আদিবা হোসেন’। এই পেজ থেকে তিন মাসে ১ হাজার ২৭৮ ডলার খরচ হয়েছে। পেজটি সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সৈয়দা আদিবা হোসেনের বলে জানা গেছে।
সবচেয়ে বেশি খরচ জামায়াত নেতার
মেটা অ্যাড লাইব্রেরির তথ্য অনুযায়ী, গত তিন মাসে ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি ডলার খরচ হয়েছে ‘Dr. Khaliduzzaman SM’ নামের পেজ থেকে। এটি জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী ডা. এস এম খালিদুজ্জামানের পেজ বলে জানা যায়। গত তিন মাসে এই পেজ থেকে বিজ্ঞাপনে খরচ করা হয়েছে ১২ হাজার ২৭৪ ডলার।
আর ১৪তম স্থানে আছে ‘Just Hasib’ নামের পেজ। তিন মাসে এই পেজ থেকে ১ হাজার ৫০৩ ডলার খরচ হয়েছে। এখানে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে ভোট চাওয়ার কিছু পোস্ট রয়েছে।
ফেসবুকে প্রচারের বিষয়ে বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান ডাবলুর প্রচারণা সহকারী মোহাম্মদ রাজীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমান সময়ে অনলাইন প্রচারের মাধ্যমে কম সময়ে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। তাই আমরা ফেসবুকে প্রচারে গুরুত্ব দিচ্ছি। অফলাইনে যে প্রচার চলে, সেগুলোও আমরা অনলাইনে তুলে ধরছি, যাতে বেশিসংখ্যক মানুষকে সংযুক্ত করা যায়।
বিজ্ঞাপন দিয়েছে ইসিও
বিজ্ঞাপন খরচের হিসাবটা যদি শুধু এক দিনের ধরা হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে, তালিকার একেবারে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ। ৩ ডিসেম্বর এই পেজ থেকে খরচ হয়েছে ১৬০ ডলার।
ইসির আচরণ বিধিমালা কী বলছে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার গেজেট গত ১১ নভেম্বর প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেখানে প্রথমবারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবে। তবে তাদের সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নাম, অ্যাকাউন্ট আইডি, ই-মেইল আইডিসহ অন্যান্য শনাক্তকরণ তথ্য আগেই রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা যাবে তফসিল ঘোষণার পর থেকে এবং ভোট গ্রহণ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে তা বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে ঘৃণাত্মক বক্তব্য, ভুল তথ্য ও নির্বাচনসংক্রান্ত বানোয়াট তথ্যসহ সব ধরনের ক্ষতিকর কনটেন্ট বানানো ও প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংখ্যালঘু বা অন্য কোনো জনগোষ্ঠীকে আঘাত করা যাবে না। ধর্মীয় বা জাতিগত অনুভূতির অপব্যবহার নিষেধ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
ফেসবুকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন এখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মাঠের রাজনীতি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ‘নিউজ ফিডের রাজনীতি’। স্বচ্ছতা, নিয়ম মেনে চলা এবং তথ্যের সঠিকতা নিশ্চিত করা গেলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন গণতান্ত্রিক আলোচনাকে সমৃদ্ধ করতে পারে। কিন্তু নীতি লঙ্ঘন, বিভ্রান্তিকর প্রচার ও অজানা উৎসের বিজ্ঞাপন রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্থিতিশীলও করতে পারে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডিজিটালি রাইটের প্রতিষ্ঠাতা মিরাজ আহমেদ চৌধুরী জানান, কিছু বিজ্ঞাপন রাজনৈতিক হলেও তা মেটার অ্যাড লাইব্রেরিতে থাকে না। আবার অনেক বিজ্ঞাপনের আধেয় অরাজনৈতিক হওয়ার পরও রাজনৈতিক বলে চিহ্নিত হয়। রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে, যিনি টাকা খরচ করছেন, তাঁকে ‘পেইড ফর বাই’ ডিসক্লেইমার দিতে হয়। এখানে ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেইলসহ বেশ কিছু তথ্য দিতে হয়। অনেকে অসম্পূর্ণ তথ্য দেন। মেটাও মাথা ঘামায় না। তাই মানুষও কে টাকা খরচ করছে তার প্রকৃত তথ্য পায় না।
মিরাজ আহমেদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ইসির নজরদারি দরকার যে আসলে প্রার্থী বা দলের পক্ষে প্রচারটা কীভাবে হচ্ছে এবং সেখানে কত টাকা ব্যয় হচ্ছে।’

ভোটের সময় প্রার্থী আর তাঁর কর্মীদের নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না। ছুটতে থাকেন ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। যে করেই হোক প্রার্থীর কথা পৌঁছে দিতে হবে প্রতিটি ভোটারের কানে। কিন্তু প্রচলিত পদ্ধতির সভা-সমাবেশ, লিফলেট-পোস্টারে হয়তো আর সেটা শতভাগ সম্ভব হতো না।
যুগটা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের। হাতের এক মোবাইল ফোনের মধ্যে যেন গোটা জগৎ-সংসার। রাজনীতি কিংবা ভোটও তাই বাদ যাচ্ছে না। আগামী সংসদ নির্বাচনে দল ও প্রার্থীদের একটি বড় অংশ এ সুযোগ নেবে। যুগের গুরুত্ব বুঝে নির্বাচন কমিশনও আচরণবিধিতে প্রথমবারের মতো সংযুক্ত করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের বিষয়টি।
আচরণবিধি কার্যকর হবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই। তার আগেই অবশ্য কিছু দল ও প্রার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। দল-আদর্শ আর নিজের রাজনৈতিক বার্তা দিয়ে ভোটারদের কাছে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা শুরু করেছেন।
কড়ি ছাড়া কি আর ভোটারের দরজায় কড়া নাড়ার সুযোগ মিলবে। কাজটা করতে তাই গুনতে হচ্ছে অর্থ। বিজ্ঞাপন দিতে হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মধ্যে এ দেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার ফেসবুকের। ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ফেসবুকে রাজনৈতিক নেতাদের বিজ্ঞাপনের পরিমাণও তত বাড়ছে। ফেসবুকে ‘সামাজিক বিষয়, নির্বাচন এবং রাজনীতি’ সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন নিয়ে তথ্য থাকে মেটা অ্যাড লাইব্রেরিতে। এই অংশে গত তিন মাসে (৪ সেপ্টেম্বর-২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ থেকে বুস্টিংয়ের (বিজ্ঞাপন) শীর্ষে থাকা ২০টি পেজের মধ্যে অন্তত ১০টিতেই সরাসরি রাজনৈতিক দল ও নেতা সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়েছে। এই ১০টি পেজের মধ্যে আটটি থেকে আবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং এই দলের নেতাদের সম্পর্কে বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে। বাকি দুটি পেজে জামায়াতে ইসলামী এবং এই দলের নেতাদের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। অপর ১০টি পেজ রাজনীতিসংশ্লিষ্ট কি না, তা শনাক্ত করা যায়নি যথাযথ তথ্য না থাকায়।
১০টির মধ্যে ৮টি বিএনপি-সম্পর্কিত
মেটা অ্যাড লাইব্রেরির তথ্য বলছে, বিজ্ঞাপনে তিন মাসে ফেসবুক বুস্টিংয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ‘Bangladesh Nationalist Party-BNP’। তিন মাসে এই পেজের খরচ ৪ হাজার ৮৮৫ ডলার। ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে ‘BNP Media Cell’। গত তিন মাসে এই পেজের খরচ ৪ হাজার ৭২৯ ডলার। তাদের ২০টি বিজ্ঞাপন মেটা অ্যাড লাইব্রেরিতে রয়েছে।
গত তিন মাসে ফেসবুক বুস্টিংয়ে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ নামের পেজ। এই পেজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের নেতারা পরিচালনা করেন। তিন মাসে তাঁরা বিজ্ঞাপনে খরচ করেছেন ৪ হাজার ২১৫ ডলার।
সপ্তম অবস্থানে রয়েছে ‘Tarique Rahman’ নামের পেজ। এই পেজ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ। গত তিন মাসে এই পেজ থেকে বিজ্ঞাপনে খরচ হয়েছে ২ হাজার ৫৪৭ ডলার।
১১তম অবস্থানে রয়েছে ‘Rafiqul Amin Bhuiyan’ নামের পেজ। তিন মাসে এই পেজের খরচ ১ হাজার ৫৪৯ টাকা। জানা গেছে, পেজটি নরসিংদী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল আমিন ভুঁইয়া রুহেলের।
‘মাহবুবুর রহমান ডাবলু’ নামের একটি পেজ রয়েছে ১৬তম স্থানে। এটি নওগাঁ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মাহবুবুর রহমানের বলে জানা যায়। গত তিন মাসে এই পেজ থেকে বুস্টিং হয়েছে ১ হাজার ৪১৩ ডলার।
১৭তম স্থানে রয়েছে ‘Shah Reazul Hannan-শাহ্ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ’ নামের পেজ। এটি গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শাহ্ রিয়াজুল হান্নানের পেজ। তিনি বিএনপির প্রয়াত নেতা হান্নান শাহর ছেলে। তাঁর পেজ থেকে গত তিন মাসে ১ হাজার ৩৮৭ ডলার খরচ হয়েছে বিজ্ঞাপনে।
মেটা অ্যাড লাইব্রেরির শীর্ষ বিশে থাকা একমাত্র নারীর পেজ ‘Syeda Adiba Hussain-সৈয়দা আদিবা হোসেন’। এই পেজ থেকে তিন মাসে ১ হাজার ২৭৮ ডলার খরচ হয়েছে। পেজটি সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সৈয়দা আদিবা হোসেনের বলে জানা গেছে।
সবচেয়ে বেশি খরচ জামায়াত নেতার
মেটা অ্যাড লাইব্রেরির তথ্য অনুযায়ী, গত তিন মাসে ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি ডলার খরচ হয়েছে ‘Dr. Khaliduzzaman SM’ নামের পেজ থেকে। এটি জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী ডা. এস এম খালিদুজ্জামানের পেজ বলে জানা যায়। গত তিন মাসে এই পেজ থেকে বিজ্ঞাপনে খরচ করা হয়েছে ১২ হাজার ২৭৪ ডলার।
আর ১৪তম স্থানে আছে ‘Just Hasib’ নামের পেজ। তিন মাসে এই পেজ থেকে ১ হাজার ৫০৩ ডলার খরচ হয়েছে। এখানে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে ভোট চাওয়ার কিছু পোস্ট রয়েছে।
ফেসবুকে প্রচারের বিষয়ে বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান ডাবলুর প্রচারণা সহকারী মোহাম্মদ রাজীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমান সময়ে অনলাইন প্রচারের মাধ্যমে কম সময়ে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। তাই আমরা ফেসবুকে প্রচারে গুরুত্ব দিচ্ছি। অফলাইনে যে প্রচার চলে, সেগুলোও আমরা অনলাইনে তুলে ধরছি, যাতে বেশিসংখ্যক মানুষকে সংযুক্ত করা যায়।
বিজ্ঞাপন দিয়েছে ইসিও
বিজ্ঞাপন খরচের হিসাবটা যদি শুধু এক দিনের ধরা হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে, তালিকার একেবারে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ। ৩ ডিসেম্বর এই পেজ থেকে খরচ হয়েছে ১৬০ ডলার।
ইসির আচরণ বিধিমালা কী বলছে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার গেজেট গত ১১ নভেম্বর প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেখানে প্রথমবারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবে। তবে তাদের সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নাম, অ্যাকাউন্ট আইডি, ই-মেইল আইডিসহ অন্যান্য শনাক্তকরণ তথ্য আগেই রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা যাবে তফসিল ঘোষণার পর থেকে এবং ভোট গ্রহণ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে তা বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে ঘৃণাত্মক বক্তব্য, ভুল তথ্য ও নির্বাচনসংক্রান্ত বানোয়াট তথ্যসহ সব ধরনের ক্ষতিকর কনটেন্ট বানানো ও প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংখ্যালঘু বা অন্য কোনো জনগোষ্ঠীকে আঘাত করা যাবে না। ধর্মীয় বা জাতিগত অনুভূতির অপব্যবহার নিষেধ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
ফেসবুকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন এখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মাঠের রাজনীতি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ‘নিউজ ফিডের রাজনীতি’। স্বচ্ছতা, নিয়ম মেনে চলা এবং তথ্যের সঠিকতা নিশ্চিত করা গেলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন গণতান্ত্রিক আলোচনাকে সমৃদ্ধ করতে পারে। কিন্তু নীতি লঙ্ঘন, বিভ্রান্তিকর প্রচার ও অজানা উৎসের বিজ্ঞাপন রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্থিতিশীলও করতে পারে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডিজিটালি রাইটের প্রতিষ্ঠাতা মিরাজ আহমেদ চৌধুরী জানান, কিছু বিজ্ঞাপন রাজনৈতিক হলেও তা মেটার অ্যাড লাইব্রেরিতে থাকে না। আবার অনেক বিজ্ঞাপনের আধেয় অরাজনৈতিক হওয়ার পরও রাজনৈতিক বলে চিহ্নিত হয়। রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে, যিনি টাকা খরচ করছেন, তাঁকে ‘পেইড ফর বাই’ ডিসক্লেইমার দিতে হয়। এখানে ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেইলসহ বেশ কিছু তথ্য দিতে হয়। অনেকে অসম্পূর্ণ তথ্য দেন। মেটাও মাথা ঘামায় না। তাই মানুষও কে টাকা খরচ করছে তার প্রকৃত তথ্য পায় না।
মিরাজ আহমেদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ইসির নজরদারি দরকার যে আসলে প্রার্থী বা দলের পক্ষে প্রচারটা কীভাবে হচ্ছে এবং সেখানে কত টাকা ব্যয় হচ্ছে।’

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
২৪ নভেম্বর ২০২৪
হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তাঁকে বহন করতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসার কথা রয়েছে আগামীকাল মঙ্গলবার। পরদিন বুধবার ওই অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।
৩ ঘণ্টা আগে
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামী মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানীতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ রোববার এসব পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। এতে তাঁর ‘স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটার’ ভালো অবস্থায় রয়েছে বলে তাঁর চিকিৎসক জানিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার উদ্দেশ্যে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামী মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বেবিচকের একজন কর্মকর্তা জানান, উড়োজাহাজটিকে সকাল ৮টায় অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে নেওয়ার পর একই দিন রাত ৯টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়ার মেডিকেল টিমের মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির ওপর ভিত্তি করে সময়সূচিতে পরিবর্তন আসতে পারে।
জানা গেছে, কাতার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় জার্মানভিত্তিক এফএআই অ্যাভিয়েশন গ্রুপ থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। ঢাকা–লন্ডন দীর্ঘ রুটের মেডিকেল ট্রান্সফারের জন্য উপযোগী এই বিশেষায়িত বিমান সব ধরনের জরুরি চিকিৎসা-সুবিধা নিয়ে আসছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার উদ্দেশ্যে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামী মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বেবিচকের একজন কর্মকর্তা জানান, উড়োজাহাজটিকে সকাল ৮টায় অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে নেওয়ার পর একই দিন রাত ৯টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়ার মেডিকেল টিমের মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির ওপর ভিত্তি করে সময়সূচিতে পরিবর্তন আসতে পারে।
জানা গেছে, কাতার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় জার্মানভিত্তিক এফএআই অ্যাভিয়েশন গ্রুপ থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। ঢাকা–লন্ডন দীর্ঘ রুটের মেডিকেল ট্রান্সফারের জন্য উপযোগী এই বিশেষায়িত বিমান সব ধরনের জরুরি চিকিৎসা-সুবিধা নিয়ে আসছে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
২৪ নভেম্বর ২০২৪
হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তাঁকে বহন করতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসার কথা রয়েছে আগামীকাল মঙ্গলবার। পরদিন বুধবার ওই অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।
৩ ঘণ্টা আগে
ভোটের সময় প্রার্থী আর তাঁর কর্মীদের নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না। ছুটতে থাকেন ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। যে করেই হোক প্রার্থীর কথা পৌঁছে দিতে হবে প্রতিটি ভোটারের কানে। কিন্তু প্রচলিত পদ্ধতির সভা-সমাবেশ, লিফলেট-পোস্টারে হয়তো আর সেটা শতভাগ সম্ভব হতো না।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানীতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ রোববার এসব পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। এতে তাঁর ‘স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটার’ ভালো অবস্থায় রয়েছে বলে তাঁর চিকিৎসক জানিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ রোববার এসব পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। এতে তাঁর ‘স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটার’ ভালো অবস্থায় রয়েছে বলে তাঁর চিকিৎসক জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করে এক চিকিৎসক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটার ভালো কাজ করছে। উনার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান শয্যার পাশে থেকে চিকিৎসার বিষয়গুলো সমন্বয় করছেন। তিনি বেশ কয়েক দিন দেশেই থাকবেন।’
খালেদা জিয়া কথা বলতে পারছেন কি না—জানতে চাইলে ওই চিকিৎসক বলেন, ‘কিছুটা বলার চেষ্টা করছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। উনার ছোট ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী ও দুই পুত্রবধূ সার্বক্ষণিক পাশে আছেন। তাঁদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে কথা বলার চেষ্টা করেন।’

রাজধানীতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ রোববার এসব পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। এতে তাঁর ‘স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটার’ ভালো অবস্থায় রয়েছে বলে তাঁর চিকিৎসক জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করে এক চিকিৎসক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটার ভালো কাজ করছে। উনার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান শয্যার পাশে থেকে চিকিৎসার বিষয়গুলো সমন্বয় করছেন। তিনি বেশ কয়েক দিন দেশেই থাকবেন।’
খালেদা জিয়া কথা বলতে পারছেন কি না—জানতে চাইলে ওই চিকিৎসক বলেন, ‘কিছুটা বলার চেষ্টা করছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। উনার ছোট ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী ও দুই পুত্রবধূ সার্বক্ষণিক পাশে আছেন। তাঁদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে কথা বলার চেষ্টা করেন।’

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
২৪ নভেম্বর ২০২৪
হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তাঁকে বহন করতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসার কথা রয়েছে আগামীকাল মঙ্গলবার। পরদিন বুধবার ওই অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।
৩ ঘণ্টা আগে
ভোটের সময় প্রার্থী আর তাঁর কর্মীদের নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না। ছুটতে থাকেন ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। যে করেই হোক প্রার্থীর কথা পৌঁছে দিতে হবে প্রতিটি ভোটারের কানে। কিন্তু প্রচলিত পদ্ধতির সভা-সমাবেশ, লিফলেট-পোস্টারে হয়তো আর সেটা শতভাগ সম্ভব হতো না।
৩ ঘণ্টা আগে
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামী মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
৫ ঘণ্টা আগে