Ajker Patrika

এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যেতে বিএনপি-গণ অধিকার পরিষদের ঐকমত্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যেতে বিএনপি-গণ অধিকার পরিষদের ঐকমত্য

চলমান রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপে বসে বিএনপি। আলোচনায় সরকার পতনের মাধ্যমে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে ব্যালট ব্যবস্থায় নির্বাচন করতে হবে এবং এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয় এমন কয়েকটি বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করে দল দুটি। আজ বুধবার রাজধানীর পল্টনে গণ অধিকার পরিষদের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান দুই দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।

মোট দশটি প্রস্তাবনা নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসে গণ অধিকার পরিষদ। এ সময় সরকার পতন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, ইভিএম বাতিল করে স্বচ্ছ ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা এবং খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তির বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়।

গণ অধিকার পরিষদের প্রস্তাবনার সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করে একসঙ্গে আন্দোলন সংগ্রামের আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘গণ অধিকার পরিষদের প্রস্তাবনার বা চাওয়ার সঙ্গে আমাদের মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই। তাদের সঙ্গে আলোচনায় অত্যন্ত সন্তুষ্ট হয়েছি, খুশি হয়েছি যে তাঁরা আমাদের সবগুলো বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বিশেষ করে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয় সেই ব্যাপারে একমত। আমরা এ বিষয়েও একমত হয়েছি যে, আর এই সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায় না। কারণ এই সরকার অত্যন্ত সুচতুর এবং সচেতনভাবে বাংলাদেশের অর্জিত—আমাদের গণতন্ত্র, আমাদের বাক স্বাধীনতা, আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা, সাম্য ও সামাজিক মূল্যবোধ সেই সঙ্গে ন্যায় বিচারের অধিকার–এগুলো সব ধ্বংস করে দিয়েছে।’

বর্তমান সরকারকে সরানোর জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ব্যাপারে একমত দুই দল। এই আন্দোলন যুগপৎ হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি জনগণের পার্লামেন্ট ও একটি সরকার গঠন করা যে সরকার সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে। তারপরে আমরা রাষ্ট্র মেরামতের জন্য সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন করব। এ বিষয়টি আলোচনা মধ্যে আছে। যে বিষয়গুলো আমরা মনে করি পরিবর্তন হওয়া দরকার, সংস্কার হওয়া দরকার মেরামত করার জন্য সেগুলো মেরামত করার জন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

দুই দলের আলোচনা খুবই ইতিবাচক হয়েছে এবং এই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন যে সুষ্ঠু হবে না—এ বিষয়ে গণ অধিকার পরিষদ এবং বিএনপি একমত উল্লেখ করে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমাদের এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই এবং আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয় আমরা সেটা মনে করি না। অনেক দলের সাথে আলোচনা হচ্ছে, আরও হবে। একটা জাতীয় ঐক্য এই ব্যাপারে তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমাদের দুই দলের অবস্থান খুব কাছাকাছি এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করব এই স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে। যারা দেশে গণতন্ত্র চায় তাঁরা সবাই একই ব্যানারে একসঙ্গে কাজ করব।’

গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নূর বলেন, ‘দেশের চলমান সংকটে রাজনৈতিক দলগুলোর করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চলমান সংকটকে যেভাবে আমরা দেখি তাতে বিএনপির সাথে আমাদের খুব একটা পার্থক্য নাই যে, সংকট থেকে উত্তরণের আমাদের করণীয় নিয়ে। আজকের আলোচনায় আমাদের ১০টা বিষয় ছিল সেই ১০টা বিষয়ে আমরা একমত পোষণ করেছি। ফ্যাসিবাদী সরকারকে হটাতে যুগপৎ কিংবা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে বিএনপির দাবির সাথে আমরাও একমত। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা, সংসদ বিলুপ্ত করা, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিকে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা এবং এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং ইভিএম বাতিল করে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা।’

নুরুল হক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় ৩৬ লক্ষ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মামলা দেওয়া হয়েছে। আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ অনেক ধর্মীয় নেতা, বরেণ্য ব্যক্তিদের মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করে রাখা হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীদের মুক্তি এবং ধর্মীয় নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।’

বেলা ১১টায় শুরু হয়ে এই সংলাপ শেষ হয় দুপুর একটায়। প্রায় দুই ঘণ্টার এই সংলাপে বিএনপির প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মিডিয়া সেলের সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন। সংলাপে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন সদস্যসচিব নুরুল হক নূর, যুগ্ম আহ্বায়ক মিয়া মশিউজ্জামান, হাবিবুর রহমান, রাশেদ খান, ফারুক হাসান ও জিসান মহসিন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করলেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় সফররত শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিজিথা হেরাথ। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় সফররত শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিজিথা হেরাথ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় সফররত শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিজিথা হেরাথ। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধর্মপাল বিরাক্কোডি।

আজ বুধবার রাত ৮টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপির মিডিয়া সেল সূত্রে জানানো হয়, সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আঞ্চলিক রাজনীতি এবং পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে মতবিনিময় হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও দলের যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার

ভারতের কূটনীতিকের সঙ্গে ‘গোপন’ বৈঠকের কথা জানালেন জামায়াত আমির

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৩
ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি
ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ভারতীয় কূটনীতিকের সঙ্গে বৈঠক করার কথা জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, ভারতের ওই কূটনীতিক তাঁকে বৈঠকটি গোপন রাখতে বলেছেন। এ জন্য এটি গোপন রাখা হয়েছে। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামী আগামী নির্বাচনে ঐক্য সরকার গঠনের কথা চিন্তা করছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

সম্প্রতি এনসিপির সঙ্গে জোটে ভেড়ানোর পরপরই জামায়াত আমির রয়টার্সকে এ সাক্ষাৎকার দেন। আজ বুধবার ওই সাক্ষাৎকার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থাটি।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ১৭ বছর পর নির্বাচনে ফিরতে যাওয়া জামায়াত এবার দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

জনমত জরিপ অনুযায়ী, দলটি বিএনপির পর দ্বিতীয় জনপ্রিয় অবস্থানে রয়েছে। সর্বশেষ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জামায়াত বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের শরিক ছিল। সম্প্রতি জেন-জি বা তরুণ প্রজন্মের নতুন দল এনসিপির সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করে জামায়াত রাজনৈতিক মহলেও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

সাক্ষাৎকারে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সাধারণ নির্বাচনের পর একটি ‘জাতীয় ঐক্যের সরকার’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।

জামায়াত আমির জানান, নতুন সরকার গঠন করতে পারে—এমন দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর অংশ হিসেবে চলতি বছরের শুরুতে একজন ভারতীয় কূটনীতিক তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

জামায়াত আমির বলেন, অন্য দেশের কূটনীতিকেরা প্রকাশ্যে দেখা করলেও ভারতীয় ওই কর্মকর্তা বৈঠকটি গোপন রাখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এ কারণে বিষয়টি আগে প্রকাশ করা হয়নি।

ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্কের অবসানের ইঙ্গিত দিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সবার প্রতি খোলামেলা হতে হবে। আমাদের সম্পর্ক উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।’

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জানতে রয়টার্স ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল। তবে এ নিয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও দিল্লির সরকারি একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে।

শফিকুর রহমান আগামী নির্বাচনের পর অন্তত পাঁচ বছরের জন্য একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্র গড়ার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, সব দল একত্র হয়ে সরকার পরিচালনা করুক। এই সরকারের প্রধান লক্ষ্য হতে হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান।’

প্রধানমন্ত্রী কে হবেন—এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াত আমির বলেন, সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া দল থেকেই প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হবেন। জামায়াত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে তিনি নিজে প্রার্থী হবেন কি না—জানতে চাইলে শফিকুর রহমান বলেন, তা দল সিদ্ধান্ত নেবে।

বর্তমানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদে থাকা মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে স্পষ্ট অনীহা প্রকাশ করেছেন জামায়াতপ্রধান। তিনি বলেন, জামায়াতকে অন্তর্ভুক্ত করে কোনো সরকার গঠিত হলে তাঁরা বর্তমান রাষ্ট্রপতির অধীনে কাজ করতে ‘স্বস্তিবোধ করবেন না’।

এ বিষয়ে রয়টার্সের পক্ষ থেকে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি কেবল বলেন, ‘আমি বিষয়টি আর জটিল করতে চাই না।’

এদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে ঐতিহাসিক ঘনিষ্ঠতা নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত কোনো নির্দিষ্ট দেশের দিকে ঝুঁকতে আগ্রহী নয়, বরং সবার সঙ্গে একটি ‘ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক’ বজায় রাখতে চায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নাহিদ শিক্ষকতা ও পরামর্শ দিয়ে বছরে আয় করেন ১৬ লাখ টাকা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৪৫
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম তাঁর হলফনামায় বর্তমান পেশা হিসেবে পরামর্শক ও আগের পেশা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা উল্লেখ করেছেন। আর তিনি শিক্ষকতা ও পরামর্শ দিয়ে বছরে আয় করেন ১৬ লাখ টাকা। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১১ আসনে প্রার্থী হিসেবে হলফনামায় এমন তথ্য দিয়েছেন তিনি।

শিক্ষাগত যোগ্যতায় উল্লেখ করেছেন স্নাতক। তাঁর স্ত্রী ফাতিমাতুজ জোহরা পেশায় গৃহিণী।

অস্থাবর সম্পদে নাহিদ উল্লেখ করেছেন, নগদ অর্থ আছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্ত্রীর কাছে আছে ২ লাখ টাকা। ব্যাংকে আছে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৩৬৩ টাকা ৫৭ পয়সা। নিজের কাছে অর্জনকালীন পৌনে ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকার গয়না আছে। স্ত্রীর কাছে আছে অর্জনকালীন ১০ লাখ টাকা মূল্যের গয়না। এ ছাড়া ১ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক পণ্য আছে এবং আসবাবপত্র আছে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার।

আয়কর রিটার্নে নাহিদ ৩২ লাখ ১৬ হাজার ১২২ টাকার সম্পদের হিসাব দিয়েছেন। আয়কর দিয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ২৭৪ টাকা।

স্থাবর সম্পদে তিনি কোনো কিছু উল্লেখ করেননি। সব ঘরে প্রযোজ্য নয় লিখেছেন। ঋণের তথ্যে তিনি উল্লেখ করেছেন, নির্ভরশীল ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ (স্ত্রী) ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের রামপুরা শাখা থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের বাড়ি-গাড়ি নেই, আছে ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার সম্পদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৪৬
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নগদ ও ব্যাংকে জমা আছে ৩১ লাখ ৫৮ হাজার ৪২৮ টাকা। স্ত্রী জুবাইদা রহমানের আছে ৬৬ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪৭ টাকা। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ ও ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী হিসেবে জমা দেওয়া হলফনামায় অস্থাবর সম্পদের তিনি এমন হিসাব দিয়েছেন।

হলফনামায় পেশা হিসেবে তারেক রহমান রাজনীতি উল্লেখ করেছেন। স্ত্রী জুবাইদা রহমান পেশায় চিকিৎসক। মেয়ে জাইমা জারনাজ রহমান ছাত্রী।

হলফনামা অনুযায়ী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আয়কর রিটার্নে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৮০ হাজার ১৮৫ টাকার সম্পদের হিসাব দিয়েছেন। আর আয়কর দিয়েছেন ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭১৩ টাকা।

দেশে-বিদেশে আয়ের উৎসে দেখিয়েছেন, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও বাণিজ্যিক স্থান নেই। শেয়ার, বন্ড/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে বছরে আয় করেন ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫৩ টাকা।

অস্থাবর সম্পদে তারেক রহমান আরও উল্লেখ করেছেন, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির অর্জনকালীন সময়ে শেয়ার আছে ৫ লাখ টাকার, কোম্পানির শেয়ার ৪৫ লাখ টাকার, কোম্পানি আছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার।

তারেক রহমানের ব্যাংকে নিজ নামে ৯০ লাখ ২৪ হাজার ৩০৭ টাকার এফডিআর, সঞ্চয়ী আমানত ২০ হাজার ও অন্যান্য আমানত আছে ১ লাখ টাকার। স্ত্রীর নামে আছে ৩৫ লাখ টাকার এফডিআর, সঞ্চয়ী আমানত আছে ১৫ হাজার ২৬০ টাকার।

অর্জনকালীন ২ হাজার ৯৫০ টাকা মূল্যের গয়না ও ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকার আসবাবপত্র আছে।

স্থাবর সম্পদে উল্লেখ করেছেন, নিজের কোনো কৃষিজমি নেই। ২ দশমিক ০১ একর ও ১ দশমিক ৪ শতাংশ অকৃষিজমি আছে; যার অর্জনকালীন মূল্য ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। উপহারের আবাসস্থলের জমি আছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ ৷ স্ত্রীর আছে যৌথ মালিকানার ১১১ দশমিক ২৫ শতাংশ জমি ও ৮০০ বর্গফুট দোতলা ভবন; যার মূল্য অজানা।

তারেক রহমান তাঁর হলফনামায় আরও উল্লেখ করেছেন, তিনি দ্বৈত নাগরিক নন। শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক। বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। ২০০৭ সাল থেকে তাঁর নামে ৭৭টি মামলা করা হয়েছিল, যার কোনোটি থেকে খালাস, কোনোটি প্রত্যাহার, কোনোটি খারিজ, কোনোটি থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। বাছাই চলবে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। প্রচার চালানো যাবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আর একই সঙ্গে সংসদ ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত