Ajker Patrika

দেশকে অশান্ত করার নতুন ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশকে অশান্ত করার নতুন ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি: কাদের

এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপি বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপিই এদেশের মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা ও অগ্রগতির প্রধান অন্তরায়। বিএনপি আন্তর্জাতিক আদালত কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। সন্ত্রাস-নৈরাজ্য দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের বরপুত্র, একুশে আগস্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলার মাস্টার মাইন্ড, আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমানের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে বিএনপি আবারও দেশকে অশান্ত করার নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।’

আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। 

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিএনপি দলগতভাবে মিথ্যাচার উৎপাদন করে এবং তার বিস্তার ঘটিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। গতকাল (রোববার) তাঁদের মিটিং থেকে একইভাবে মিথ্যাচার করা হয়েছে। তাঁদের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের মিথ্যা ও কল্পিত বয়ান তুলে ধরে বিএনপি সিমপ্যাথি-কার্ড খেলতে চাচ্ছে। আওয়ামী লীগ বিরোধী দল ও মতকে দমন-পীড়নের রাজনীতি করে না। যারা নিরীহ মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে, সেসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশবাসী ভুলে যায়নি, বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল, লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মীর ওপর মামলা-হামলা অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হয়েছিল। দেশের মানুষ বিএনপির প্রকৃত চেহারা চেনে। তাই বিএনপি মিথ্যাচারের মাধ্যমে যতই সিমপ্যাথি-কার্ড খেলার চেষ্টা করুক না কেন, জনগণ তাতে সাড়া দেবে না। ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ও মিথ্যাচারের অপরাজনীতি পরিহার না করলে, রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া বিএনপি ব্যর্থতার ভারে ন্যুব্জ হতে হতে ইতিহাসের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে মানুষ যখন উৎসবের আমেজে রয়েছে, বিএনপি নেতারা তখন মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য প্রদান করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। 

কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির নেতারাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছে। একই সঙ্গে তাঁরা সীমান্ত অরক্ষিত থাকার কথা বলেছেন! সীমান্ত অরক্ষিত থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অক্ষুন্ন রাখতে সর্বদা বদ্ধপরিকর। 

তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে যে ঘটনা ঘটেছে সরকার সার্বক্ষণিক সুনিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ইতোমধ্যে পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর অপতৎপরতার বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। অতি সীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তস্নাত বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদের কোনো ঠাঁই নেই। 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অবৈধভাবে ও অসাংবিধানিক পন্থায় রাষ্ট্র ক্ষমতাদখলকারী সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান এবং তার দল বিএনপি পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভয়াবহ রক্তাক্ষয়ী পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। অন্যদিকে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে রক্তপাতহীন ও শান্তিপূর্ণভাবে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি স্থাপন করেছিলেন। 

বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতা গ্রহণের পর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আবারও সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয় বাংলাদেশ বলে দাবি করেন কাদের। তিনি বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সন্ত্রাসী সংগঠনসমূহের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দশ ট্রাক অস্ত্রের চালানসহ অসংখ্য সন্ত্রাসী অপতৎপরতা প্রত্যক্ষ করে দেশবাসী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের বাড়ি-গাড়ি নেই, আছে ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার সম্পদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নগদ ও ব্যাংকে জমা আছে ৩১ লাখ ৫৮ হাজার ৪২৮ টাকা। স্ত্রী জুবাইদা রহমানের আছে ৬৬ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪৭ টাকা। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ ও ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী হিসেবে জমা দেওয়া হলফনামায় অস্থাবর সম্পদের তিনি এমন হিসাব দিয়েছেন।

হলফনামায় পেশা হিসেবে তারেক রহমান রাজনীতি উল্লেখ করেছেন। স্ত্রী জুবাইদা রহমান পেশায় চিকিৎসক। মেয়ে জাইমা জারনাজ রহমান ছাত্রী।

হলফনামা অনুযায়ী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আয়কর রিটার্নে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৮০ হাজার ১৮৫ টাকার সম্পদের হিসাব দিয়েছেন। আর আয়কর দিয়েছেন ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭১৩ টাকা।

দেশে-বিদেশে আয়ের উৎসে দেখিয়েছেন, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও বাণিজ্যিক স্থান নেই। শেয়ার, বন্ড/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে বছরে আয় করেন ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫৩ টাকা।

অস্থাবর সম্পদে তারেক রহমান আরও উল্লেখ করেছেন, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির অর্জনকালীন সময়ে শেয়ার আছে ৫ লাখ টাকার, কোম্পানির শেয়ার ৪৫ লাখ টাকার, কোম্পানি আছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার।

তারেক রহমানের ব্যাংকে নিজ নামে ৯০ লাখ ২৪ হাজার ৩০৭ টাকার এফডিআর, সঞ্চয়ী আমানত ২০ হাজার ও অন্যান্য আমানত আছে ১ লাখ টাকার। স্ত্রীর নামে আছে ৩৫ লাখ টাকার এফডিআর, সঞ্চয়ী আমানত আছে ১৫ হাজার ২৬০ টাকার।

অর্জনকালীন ২ হাজার ৯৫০ টাকা মূল্যের গয়না ও ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকার আসবাবপত্র আছে।

স্থাবর সম্পদে উল্লেখ করেছেন, নিজের কোনো কৃষিজমি নেই। ২ দশমিক ০১ একর ও ১ দশমিক ৪ শতাংশ অকৃষিজমি আছে; যার অর্জনকালীন মূল্য ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। উপহারের আবাসস্থলের জমি আছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ ৷ স্ত্রীর আছে যৌথ মালিকানার ১১১ দশমিক ২৫ শতাংশ জমি ও ৮০০ বর্গফুট দোতলা ভবন; যার মূল্য অজানা।

তারেক রহমান তাঁর হলফনামায় আরও উল্লেখ করেছেন, তিনি দ্বৈত নাগরিক নন। শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক। বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। ২০০৭ সাল থেকে তাঁর নামে ৭৭টি মামলা করা হয়েছিল, যার কোনোটি থেকে খালাস, কোনোটি প্রত্যাহার, কোনোটি খারিজ, কোনোটি থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। বাছাই চলবে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। প্রচার চালানো যাবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আর একই সঙ্গে সংসদ ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাসনাতের বছরে আয় সাড়ে ১২ লাখ টাকা, ব্যাংকে ২৬ লাখ টাকার সোনা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর বছরে আয় ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৫৩৯ টাকা। তাঁর পেশা ব্যবসা। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হলফনামায় এসব তথ্য উল্লেখ করেন তিনি।

হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ। তিনি উল্লেখ করেছেন স্ত্রী সাবরিনা জাহান নুসরাত পেশায় গৃহিণী। হাম্মাম আব্দুল্লাহ হামজা নামে এক পুত্রসন্তান রয়েছে।

অস্থাবর সম্পদে হাসনাত উল্লেখ করেছেন, নগদ আছে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ব্যাংকে আছে ৩ লাখ ৩ হাজার টাকা। গয়না আছে ২৬ লাখ টাকার। ইলেকট্রনিক পণ্য আছে ৬৫ হাজার টাকার। আসবাব আছে ১ লাখ টাকার।

স্থাবর সম্পদে তিনি কোনো কিছু উল্লেখ করেননি। লিখেছেন, ‘প্রযোজ্য নয়’।

আয়কর রিটার্নে তিনি ৩১ লাখ ৬৭ হাজার ৬১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়েছেন। আয়কর দিয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার ৫৩১ টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার প্রয়াণে ছায়ানট ও উদীচীর শোক প্রকাশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
খালেদা জিয়ার প্রয়াণে ছায়ানট ও উদীচীর শোক প্রকাশ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছে দেশের সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ও বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।

এক বিজ্ঞপ্তিতে ছায়ানট জানায়, দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য সংগঠনটি কৃতজ্ঞচিত্তে তাঁকে স্মরণ করছে। শোকবার্তায় ছায়ানটের সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণ জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

এদিকে, এক পৃথক শোকবার্তায় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদ সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যু দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি বর্ণিল অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছে।

শোকবার্তায় উদীচীর নেতারা উল্লেখ করেন, ১৯৮০–এর দশকে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়া অনন্য ভূমিকা পালন করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর তিনি বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সক্রিয় হন। ধারাবাহিক গণ-আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী এরশাদের পতনের পর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর নেতারা বেগম খালেদা জিয়ার শোকসন্তপ্ত পরিবার ও তাঁর রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়াকে হত্যার দায় থেকে হাসিনা কখনোই মুক্তি পাবেন না: নজরুল ইসলাম খান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৪
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ফাইল ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা নিতে না দিয়ে ‘হত্যা করা হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এ হত্যার দায় থেকে সাবেক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনোই মুক্তি পাবেন না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকাল পৌনে ৩টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় খালেদা জিয়ার জানাজার আগে তাঁর জীবন ও কর্ম তুলে ধরেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সে সময় এসব কথা বলেন তিনি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) বলতেন, বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, কোনো প্রভু নেই।’

নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী হাসিনার ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মিথ্যা মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই বছরের বেশি সময় কারাগারে আবদ্ধ ছিলেন খালেদা জিয়া। চিকিৎসার অভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন দেশনেত্রী। সমগ্র দেশবাসী সাক্ষী যে, হেঁটে তিনি কারাগারে প্রবেশ করেছিলেন, কিন্তু নির্জন কারাগার থেকে তিনি বের হলেন চরম অসুস্থতা নিয়ে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, ‘দেশ-বিদেশের চিকিৎসকদের মতে, গৃহবন্দি থাকা চার বছরে তাঁকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা না দেওয়ায় তাঁর অসুস্থতা ক্রমে বেড়েছে। ফলে এভাবে মৃত্যুর কাছে হার মানতে হলো এ অপরাজেয় নেত্রীর। তাই এ মৃত্যুর দায় থেকে ফ্যাসিবাদী হাসিনা কখনো মুক্তি পাবেন না।’

বক্তব্যে খালেদা জিয়ার জন্ম, পারিবারিক পরিস্থিতি, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া, রাজনীতিতে উঠে আসাসহ বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন নজরুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত