Ajker Patrika

ভারত, আওয়ামী লীগ ও জামায়াত—এই তিনটি দেশের মূল শত্রু: মুক্তিযোদ্ধা দল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

পার্শ্ববর্তী একটি দেশ ও দুটি রাজনৈতিক দলকে দেশের মূল শক্র বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। এর মধ্যে প্রথমে ভারত, তারপর আওয়ামী লীগ এবং শেষে জামায়াতে ইসলামীর কথা বলেছেন তিনি। এরা সুযোগ পেলেই যে কারও কাঁধে ভর করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান ও ভূমিকা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ইশতিয়াক আজিজ উলফাত এ মন্তব্য করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

ইশতিয়াক আজিজ উলফাত বলেছেন, ‘এই দেশের তিনটি পক্ষ মূল শত্রু। প্রথমটি হলো ভারত, তারপর আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতে ইসলামী। তারা সুযোগ পেলে যে কারও কাঁধে ভর করে। তাদের থেকে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামী দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। জামায়াত স্বাধীন দেশ চায়নি, দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। মা-বোনদের পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে, তাদের এখন কত বড় গলা। তাদের কথা আপনারা ভুলবেন না।’

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা দলের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নিবন্ধিত প্রথম কমিটি ও বর্তমান অ্যাডহক কমিটি গঠনে অনিয়ম এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অর্থ আত্মসাৎ ও জেলা কমিটিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সদস্য অন্তর্ভুক্তিসহ ছয়টি অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়। এই নেতা বলেন, টাকার বিনিময়ে দেশের প্রায় অর্ধশত জেলায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমিটি দেওয়া হয়েছে। এসব কমিটিতে স্থান পেয়েছে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সদস্য ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অ্যাডহক কমিটি গঠনে মুক্তিযোদ্ধাদের মতামত না নেওয়া ও দেশজুড়ে অর্থের বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা কমিটি দেওয়া নিয়ে অভিযোগ তোলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। তিনি বলেন, এসব অনিয়মের পেছনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মুনিবুর রহমান ও সদস্যসচিব সাদেক আহমেদ খান জড়িত। জেলা কমিটিতে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সমর্থকেরা সদস্যপদ থেকে তাঁদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এসব অনিয়ম বন্ধ করা না হলে তাঁরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সহসভাপতি এম এ শহীদ, শাহাবুদ্দিন রেজা, মোবারক হোসেন, এম এ হালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, শরীফ হোসেন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাসায় পৌঁছেছেন ডা. জুবাইদা ও জাইমা রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান তাদের গুলশানের বাসায় পৌঁছেছেন। আজ বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে গুলশানের উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা। দুপুর সোয়া ১টার দিকে তাদের বহনকারী গাড়িটি গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাসায় পৌঁছায়।

বিমানবন্দরে নেমে দলীয় নেতাকর্মী এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর লাল-সবুজ রঙের বাসে চড়ে সংবর্ধনা মঞ্চের উদ্দেশে রওনা দেন তারেক রহমান।

তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং মেয়ে জাইমা রহমান বিমানবন্দর থেকে পুলিশ ও সিএসএফ প্রটোকলে বাসায় উদ্দেশে রওনা হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন: বিমানবন্দর সড়কে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা, গণপরিবহন শূন্য মহাসড়ক

নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা)
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিমানবন্দর সড়কে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মহাসড়কটিতে যানচলাচল শূন্য করা হয়েছে। সরেজমিনে রাজধানীর হাউজবিল্ডিং থেকে বিমানবন্দর হয়ে খিলক্ষেতের ৩০০ ফিট সড়ক পর্যন্ত আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এমন দৃশ্য দেখা যায়।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশসহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকতে দেখা যায়।

এদিকে, তারেক রহমানের নিরাপত্তার স্বার্থে বিমানবন্দর টু ৩০০ ফিট সড়কে গণ পরিবহন চলাচল তো দূরের কথা কোনো মোটরসাইকেলও চলাচল করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার জসিম সড়কে রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। তাদের সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‍্যাব।

এ ছাড়া, বিমানবন্দরসহ এর আশপাশ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়। শুধু বিমানবন্দরেই নয় বিমানবন্দর টু ৩০০ ফিট সড়ক কয়েক হাত পর পরই রয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সশস্ত্র সদস্যরা। একটু পর রয়েছে বিবিজি ও র‍্যাবের সদস্যরা।

জসিম উদ্দিনে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, তারেক রহমানের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সড়কটিতে গণ পরিবহন চলাচল বন্ধ করে রাখা হয়েছে। যারা সংবর্ধনাস্থলে যাচ্ছেন, তারা সবাই পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন।

সড়কে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মকর্তারা জানান, গণপরিবহন তো দূরের কথা মোটরসাইকেলও সড়কে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। যারা মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা হয়েছেন, তাদের ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। না হলে অন্যত্র মোটরসাইকেল রেখে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডন থেকে সর্বপ্রথম সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাঁকে বহনকারী বিমান। সেখান থেকে বিমানে করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। পরবর্তীতে ৩০০ ফিট সড়কের সংবর্ধনা মঞ্চে যোগ দেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এভারকেয়ারের সামনে কড়া নিরাপত্তা, ভীড় বাড়ছে নেতাকর্মীদের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এভারকেয়ার হসপিটালের সামনে বিএনপি নেতা–কর্মীদের ভিড় বাড়ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
এভারকেয়ার হসপিটালের সামনে বিএনপি নেতা–কর্মীদের ভিড় বাড়ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীতে মানুষের ঢল নেমেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে রওনা দিয়েছে দলটির নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

এতে রামপুরা এলাকা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে স্বাভাবিক যান চলাচল। কুড়িল থেকে বিমানবন্দর এবং ৩০০ ফিট এলাকায় রাত থেকেই অবস্থান নিয়েছেন অনেকেই। আবার দুপুর থেকে অনেকেই অবস্থান নিয়েছেন এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে।

বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারেক রহমান রাজধানীর পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে তারেক রহমান রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা তাঁর মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকায় নিরপাত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হাসপাতালের সামনে থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের। সকালে হাসপাতালের সামনের সড়কে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিলেও নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের সরিয়ে রাস্তা ফাঁকা করা হয়।

এভারকেয়ারের সামনে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীরা জানান, দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ীই তারা এখানে অবস্থান নিয়েছেন। ভোর ৫টা থেকেই অনেকে এখানে অবস্থান শুরু করেছেন।

বিএনপির ঢাকা-১১ আসনের প্রার্থী এমএ কাইয়ুমের অনুসারী মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মায়ের কোলে ছেলে ফিরে আসছে। এতে শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরা না পুরো দেশবাসী খুশি।’ তিনি আরও বলেন, দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ভোর ৫টা থেকে এখানে অবস্থান নিয়েছি।

সকাল থেকে এভারকেয়ারের সামনে নেতাকর্মীদের ভীড় কিছুটা কম থাকলেও ৷ দুপুর বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নেতাকর্মীদের ভীড় ৷ হাসপাতালের মূল ফটকের প্রায় ১০০ মিটার এলাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তার একপাশে অবস্থান নিয়েছেন নেতাকর্মীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের ফেরা উপলক্ষে ন্যান্সির গান ‘নেতা আসছে’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
তারেক রহমানের ফেরা উপলক্ষে ন্যান্সির গান ‘নেতা আসছে’

প্রায় ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই খবরে রাজনৈতিক অঙ্গনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও তৈরি হয়েছে বিশেষ আবেগ। সেই আবেগকে সুর ও কথায় বেঁধে নতুন গান প্রকাশ করলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি।

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে নতুন গান ‘নেতা আসছে’। গানটির কথা লিখেছেন মিজানুর রহমান। পলক হাসান সুমনের সুরে এর সঙ্গীতায়োজন করেছেন এ এন ফরহাদ। গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন চিত্রনায়ক হেলাল খান। গানটি প্রকাশ করা হয়েছে বিএনপির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে।

গানের কথায় উঠে এসেছে প্রত্যাবর্তনের প্রতীক্ষা ও আশাবাদের বার্তা—‘নেতা আসছে, নেতা আসছে, মা-মাটি মানুষের কাছে। যেন বাংলাদেশ হাসছে, তার সূর্যসন্তান আসছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত