Ajker Patrika

৯ বাম দলের নতুন জোট ‘গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪৮
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাংলাদেশ জাসদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় কনভেনশনে নতুন জোট ‘গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট’ ঘোষণা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাংলাদেশ জাসদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় কনভেনশনে নতুন জোট ‘গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট’ ঘোষণা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে একটি তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বামপন্থী, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক ধারার ৯টি দলের সমন্বয়ে নতুন জোট ‘গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট’-এর ঘোষণা দিয়েছে। নতুন এই জোট আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বিভিন্ন দাবিদাওয়ার আন্দোলনে সম্মিলিতভাবে ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে দলগুলোর নেতারা।

আজ শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাংলাদেশ জাসদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় কনভেনশন থেকে এ জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়। বেলা ১১টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে দিনব্যাপী কনভেনশনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়।

কনভেনশনে দেশের বাম, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল উদারনৈতিক রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, ছাত্র-শ্রমিক, কৃষক, নারী, ডাক্তার, আইনজীবী, কৃষিবিদ, প্রকৌশলী, স্থপতি, দলিত, হরিজন, সুফি, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ দেড় হাজার নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।

কনভেনশনে অংশ নিয়ে নতুন এই জোটে থাকার বিষয়ে জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন, বাসদ (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ-মাহবুব) ও সোনার বাংলা পার্টি। এ ছাড়া প্রয়াত বামপন্থী নেতা পংকজ ভট্টাচার্য প্রতিষ্ঠিত ঐক্য ন্যাপ, গণমুক্তি ইউনিয়ন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন ও নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা এই জোটে শিগগিরই যুক্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

কনভেনশনের খসড়া ঘোষণাপত্র পাঠ করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ কাফী রতন। তিনি বলেন, ‘দেশ ও দেশবাসীর জন্য সুখ-শান্তি-স্বস্তি ও প্রতিশ্রুতিময় নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হলে প্রগতিমুখী গণতান্ত্রিক ধারার সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশের সকল দেশপ্রেমিক-গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল-বাম রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিবর্গ, আদিবাসী তথা বিভিন্ন জাতিসত্তা, নারী সংগঠনসমূহ, শ্রম-কর্ম-পেশার সংগঠনসমূহ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহসহ অধিকার আন্দোলনের কর্মী এবং অপরাপর সব শক্তির সম্মিলনে আমরা “জনগণের নিজস্ব রাজনৈতিক শক্তি” গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’

কাফী রতন বলেন, ‘এই কনভেনশন থেকে আমরা সকলের অংশগ্রহণে “গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট” গঠনের প্রস্তাব করছি এবং ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মূল অঙ্গীকার হিসাবে খসড়া ঘোষণা ও কর্মসূচি অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করছি। আমরা আশা করছি, আপনারা এ প্রস্তাব অনুমোদন করবেন।’

কাফী রতন জানান, অংশগ্রহণকারী দল-সংগঠনের প্রতিনিধি ও প্রগতিশীল ব্যক্তবর্গের সমন্বয়ে গঠিত “পরিচালনা কমিটি” কর্তৃক যুক্তফ্রন্ট পরিচালিত হবে। যৌথ নেতৃত্বের ধারায় পরিচালনা কমিটি তার কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করবে।

কনভেনশনে লেখক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আজকের যুক্তফ্রন্ট হবে সমাজ বিপ্লবের যুক্তফ্রন্ট। যে যুক্তফ্রন্ট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন তার ওপরেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। এই গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট নিয়ে কাজে নেমে পড়লে দেশে একটা জাগরণ আসবে।’

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, ‘মানুষ এই রাজনীতিকদের বিশ্বাস করে না। তাদের তারা দেখেছে। তারা অত্যাচারী, জুলুম-লুণ্ঠনকারী। মানুষ বিকল্প পাচ্ছে না। সেই বিকল্প যদি আমরা উপস্থিত করতে পারি, তাহলে দেখবেন মানুষ কীভাবে সাড়া দিচ্ছে এবং কীভাবে নেতৃত্ব গড়ে উঠছে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সেই সুযোগ আমাদের সামনে আছে।’

গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে—এমন প্রত্যাশা জানিয়ে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘জনগণ চায় পরিবর্তন, এটা করতে পারবে বাস্তবে বামপন্থীরা। বামপন্থীরা জন-আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে বলেই তাদের ওপর শাসকদের এত রাগ।’

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, এই যুক্তফ্রন্টে সবাইকে যুক্ত করতে হবে। সারা দেশে দলীয় রাজনীতি করে না; কিন্তু সমাজের নানা অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা থাকে। তাদের এই সংগ্রামে যুক্ত করতে হবে।’

সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘রাজনীতিতে এখন নানা হিসাব-নিকাশ চলছে। কে কার সঙ্গে মিলছে, তা নিয়ে হইচই চলছে। বাজারদর যেভাবে বাড়ায় বিক্রেতা—ঠিক সেভাবেই রাজনৈতিক দলগুলো এখন সিট নিয়ে বার্গেনিং করছে। এখন একটা গোলমেলে পরিস্থিতি।’

বাম দলগুলোর নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কঠিন সময় চলছে। এখন আমরা যদি বরফ ভেঙে সামনে এগিয়ে যেতে পারি, তবে জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারব। ন্যায় ও সত্যের ধারায় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তাদের ক্ষমতা অর্জন করার পথ দেখাতে হবে। ক্ষমতাসীন হয়ে ক্ষমতা পরিচালনা করার শিক্ষাও জনগণকে দিতে হবে।’

বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, ‘আজ থেকে বাম দলগুলোর কর্মীদের একটাই পরিচয় হবে তা হলো আমরা সবাই গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্টের মানুষ।’ এ সময় তিনি গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট গড়ে তোলার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন তিনি।

শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পরে যেসব ঘটনা ঘটে চলেছে, যেভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে; এখন শিল্পী, কৃষক, শ্রমিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক পেশার মানুষকে একতাবদ্ধ হতে হবে।’

কনভেনশনে সভাপতিত্ব করেন বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। তিনি বলেন, জুলাই সনদে বাহাত্তরের সংবিধানের চার মূলনীতি বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধকে এই অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিস্থাপন করতে চায়। এখনো সেই লুটপাট ও দুর্নীতির ধারায় দেশ পরিচালিত হচ্ছে। এ কারণে এখন জনগণের নিজস্ব রাজনৈতিক উত্থান জরুরি।

কনভেনশনে আরও বক্তব্য দেন সাংবাদিক সোহরাব হোসেন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি এস এ সবুর, বাসদ (মাহবুব) সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ ভূঁইয়া, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, সিপিবির সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সোনার বাংলা পার্টির আহ্বায়ক সৈয়দ হারুন, বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসদু রানা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী, গণতান্ত্রিক ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. হারুন অর রশীদ, নারী নেত্রী সীমা দত্ত, জলি তালুকদার, সাংস্কৃতিক ঐক্যের সমন্বয়ক মফিজুর রহমান লাল্টু, শ্রমিকনেতা শামীম ইমাম, সুফি সৈয়দ মুহাম্মদ রায়হান শাহ, শিপন রবিদাস প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আত্মসমর্পণ করে দুই মামলায় জামিন পেলেন এনসিপির আখতার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আখতার হোসেন। ফাইল ছবি
আখতার হোসেন। ফাইল ছবি

হত্যাচেষ্টা, বেআইনি সমাবেশ, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানার পৃথক দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ ও জশিতা ইসলাম তাঁকে জামিন দেন।

আখতার হোসেনের আইনজীবী মো. মুজাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেছেন, ‘২০২১ সালে পৃথক দুই থানার মামলায় এনসিপির নেতা আখতার হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে পৃথক দুই আদালত দুই মামলায় তাঁকে জামিন দেন।’

এ বিষয়ে আখতার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে আমার বিরুদ্ধে মোট ছয়টি মামলা করা হয়েছিল। এর মধ্যে চারটিতে অব্যাহতি পেয়েছি। অন্য দুটিতে আজকে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছি।’

মামলা দুটির অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শাহবাগ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়। অন্যান্য থানায় আরও তিনটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে চারটি মামলায় তিনি আগেই অব্যাহতি পেয়েছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জামায়াত-এনসিপির প্রার্থী হওয়ার চেয়ে লং স্ট্যান্ডিং পজিশন ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ: মাহফুজ আলম

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ০২
অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: ফেসবুক
অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: ফেসবুক

জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যকার নতুন রাজনৈতিক জোট ও আসন সমঝোতা নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, জামায়াত-এনসিপি জোটের প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব থাকলেও তিনি তা গ্রহণ করছেন না।

তাঁর মতে, কোনো নির্দিষ্ট আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার চেয়ে দীর্ঘমেয়াদী নীতি ও আদর্শ (লং স্টান্ডিং পজিশন) ধরে রাখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

মাহফুজ আলম তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, নাগরিক কমিটি ও এনসিপি মূলত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির নেতাদের মাধ্যমে সংগঠিত হয়েছিল। এই সহযোদ্ধাদের তিনি বিভিন্ন সময় পলিসিগত সহযোগিতা দিলেও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তিনি এনসিপির অংশ হচ্ছেন না।

‘আমার রাজনৈতিক অবস্থান’ শীর্ষক ওই পোস্টটি পাঠকদের জন্য সরাসরি তুলে দেওয়া হলো

আমার রাজনৈতিক অবস্থান

১. নাগরিক কমিটি ও এনসিপি জুলাইয়ের সম্মুখসারির নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছিল। এ দুটি সংগঠনে আমার জুলাই সহযোদ্ধারা থাকায় গত দেড় বছর আমি চাহিবামাত্র তাদেরকে পরামর্শ, নির্দেশনা এবং পলিসিগত জায়গায় সহযোগিতা করেছি।

২. আমার অবস্থান স্পষ্ট। নূতন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক লড়াই, সামাজিক ফ্যাসিবাদ মোকাবেলা, রিকন্সিলিয়েশন, দায়-দরদের সমাজ সহ- অনেক কথাই আমি বলেছি। যেগুলো আমার জুলাই সহযোদ্ধারা উক্ত দুটি সংগঠন থেকে বারবার বলেছেন। কিন্তু, তারা এগুলো ধারণ করতেন? এনসিপিকে একটা বিগ জুলাই আম্ব্রেলা আকারে স্বতন্ত্র উপায়ে দাঁড় করানোর জন্য আমি সকল চেষ্টাই করেছি। কিন্তু, অনেক কারণেই সেটা সম্ভব হয়নি।

. বিদ্যমান বাস্তবতায় আমার জুলাই সহযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান, স্নেহ এবং বন্ধুত্ব মুছে যাবে না। কিন্তু, আমি এ এনসিপির অংশ হচ্ছি না। আমাকে জামায়াত-এনসিপি জোট থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়নি, এটা সত্য নয়। কিন্তু ঢাকার কোন একটা আসনে জামায়াত-এনসিপি জোটের প্রার্থী হওয়ার চাইতে আমার লং স্টান্ডিং পজিশন ধরে রাখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

৪. ইতিহাসের এ চলতি পর্বে বাংলাদেশ একটা শীতল যুদ্ধে আছে। এ পর্বে কোন পক্ষ না নিয়ে নিজেদের বক্তব্য ও নীতিতে অটল থাকাই শ্রেয়। বিকল্প তরুণ/ জুলাই শক্তির সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বরং, আমি গত দেড় বছরে যা বলেছি, যে নীতিতে বিশ্বাস রেখেছি, তা অব্যাহত রাখব। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সকল উপায়ে। If you care to join me, you are most welcome.

নূতন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত সম্ভব ও বাস্তব। বিকল্প ও মধ্যপন্থী তরুণ/ জুলাই শক্তির উত্থান অত্যাসন্ন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন নাহিদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ ইসলামপন্থী দলের সঙ্গে একজোট হয়ে এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার ব্যাখ্যা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

আজ রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে দলের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে এবং আধিপত্যবাদী কোনো শক্তি আমাদের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী অগ্রযাত্রাকে যাতে ঠেকাতে না পারে, এজন্য বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন। সেই জায়গা থেকে আমরা জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের যে সমমনা ৮ দল রয়েছে, তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি এবং তাদের যে নির্বাচনী সমঝোতা, জাতীয় নাগরিক পার্টি তাতে সম্মত হয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং এই সমমনা দলের সঙ্গে আমরা একত্রে নির্বাচন করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এর আগে আজ বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ যখন জাতীয় জীবনের এক কঠিন বাঁকে এসে দাঁড়িয়েছে, সে সময় দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য, দুর্নীতিমুক্ত ইনসাফের বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে এত দিন আট দল কাজ করে আসছে। তার সঙ্গে আরও দুটি দল সম্পৃক্ত হয়েছে। কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি ও এনসিপি। আট দল একসঙ্গে ছিল। আর দুটি দল তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-১৭ ও বগুড়া-৬ আসনের মনোনয়নপত্রে তারেক রহমানের সই

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৫০
মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করেন তারেক রহমান। ছবি: বিএনপি
মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করেন তারেক রহমান। ছবি: বিএনপি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ ও বগুড়া-৬ আসনে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট দুই আসনের দলীয় সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে তিনি মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করেন। এ সময় উপস্থিত নেতারা তারেক রহমানকে শুভেচ্ছা জানান এবং নির্বাচনী প্রস্তুতি ও সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী হতে আজ ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে তারেক রহমানের তরফে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার। এর আগে তারেক রহমানের তরফে বগুড়া-৬ (সদর) আসনেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।

এদিকে, আজ ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) রুহুল আমিন মল্লিক জানান, তারেক রহমানকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। সে হিসেবে গুলশান এলাকার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনে ভোটার হিসেবে তারেক রহমানের নাম নিবন্ধন করা হয়েছে।

এর আগে, গতকাল শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গিয়ে ভোটার নিবন্ধনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে গিয়ে আঙুলের ছাপ, আইরিশের প্রতিচ্ছবি ও বায়োমেট্রিক তথ্য দেন। পরে ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে এক দিনের মধ্যেই তাঁর নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত বৃহস্পতিবার দেশে ফেরা তারেক রহমান সেদিন সংবর্ধনা ও বক্তৃতা শেষে মা খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। পরদিন তিনি তাঁর বাবা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর গতকাল ভোটার হওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সারার পাশাপাশি ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদি, ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোসহ বেশ কয়েকটি কবর জিয়ারত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত