
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিনজন প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। সব মিলিয়ে এবার নৌকার মনোনয়ন খুইয়েছেন ৭১ জন এমপি। এর মধ্যে অনেকেই একাদশ সংসদের মেয়াদকালে নানা ঘটনায় আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছেন। বিতর্কিতদের বেশির ভাগই এবার মনোনয়ন পাননি।
এর মধ্যে অন্যতম খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, মুরাদ হাসান, পঙ্কজ নাথ, জাকির হোসেন, সাইফুজ্জামান শিখর, নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
বাদ পড়া প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন—ময়মনসিংহ–৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম খালিদ, খুলনা–৩ আসনের সংসদ সদস্য, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এবং কুড়িগ্রাম–৪ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এরই মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। খুলনা–৩ শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেছেন। তাঁরা টায়ার জ্বালিয়ে, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সমর্থক এবং তাঁর আসনে মনোনয়ন পাওয়া এসএম কামাল হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
নানা কারণে সমালোচিত হয়েছেন খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়ম, নিয়োগ–বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর ছোট ভাইকে নিজের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) এবং ভাতিজিকে মন্ত্রণালয়ের অধীন কেন্দ্রীয় তহবিলে সহকারী পরিচালক (এডি) পদে চাকরি দেওয়া নিয়েও সমালোচিত হয়েছেন তিনি।
বাদ পড়াদের অনেককে নিয়েই বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল—তাঁরা আর আওয়ামী লীগের টিকিট পাবেন না। চাঁদাবাজি, লুটপাট, দখল, দুর্নীতি, স্থানীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখা, বিতর্কিত মন্তব্যসহ নানা কারণে তাঁরা বিভিন্ন সময় সমালোচিত হয়েছেন।
এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় ছিলেন জামালপুর–৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। শোবিজ তারকাদের সঙ্গে তাঁর অশ্লীল ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর সারা দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর জেরে মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ হারিয়ে তিনি এলাকায় গিয়ে জনসংযোগে মনোনিবেশ করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শিকে ছিঁড়ল না।
জামালপুর–৪ আসনে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের মৎস্য ও প্রাণিবিষয়ক সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান। তাঁর বাবা আবদুল মালেক একসময় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফরিদপুর–৩ আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আওয়ামী লীগ সরকারের পরপর দুই মেয়াদে মন্ত্রী ছিলেন। বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় অবশ্য ছিলেন না। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব, নির্যাতন ও অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। ফরিদপুরের স্থানীয় দুই আওয়ামী লীগ নেতা রুবেল–বরকতের হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ নিয়ে মোশাররফ হোসেন আলোচনায় আসেন। এ ছাড়া কিছু স্পর্শকাতর বিষয় নিয়েও তিনি বারবার আলোচনায় এসেছেন।
ফরিদপুর–৩ আসনে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক।
খন্দকার মোশাররফ হোসেনের জামাতা হাবিবে মিল্লাতও মনোনয়ন পাননি। তিনি সিরাজগঞ্জ–২ আসনের সংসদ সদস্য। এবার সেখানে নৌকার টিকিট পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জান্নাত আরা হেনরী।
নানা সময় বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচিত–সমালোচিত হয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। নির্বাচনী এলাকার নেতা–কর্মীরাও তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ। প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে মনোনয়ন না দিতে অনুরোধ জানিয়ে দলীয় সভাপতি বরাবর আবেদন করেছিলেন কুড়িগ্রাম–৪ আসনভুক্ত রৌমারী, চিলমারী ও রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ১৬ নেতা। তাঁরা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে ‘দুর্নীতিবাজ, গণবিচ্ছিন্ন ও বিতর্কিত’ আখ্যা দিয়ে অভিযোগে বলেন, ‘সংসদ সদস্য জাকির হোসেন একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি। তিনি রৌমারী, চিলমারী ও রাজিবপুর এলাকায় ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নাম ব্যবহার করে ভূমি দখল করেছেন।’
জাকির হোসেনের নির্বাচনী এলাকা কুড়িগ্রাম-৪ আসনে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মো. বিপ্লব হাসান। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিপ্লব ছাত্রলীগের সোহাগ–নাজমুল কমিটির উপ–আইনবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
আলোচিত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও একাদশ সংসদের সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীরও এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন না। ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকাকালে মহিউদ্দিন খান আলমগীরের বিরুদ্ধে ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। অনিয়ম–জালিয়াতির কারণে ব্যাংকটি আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়। এটি বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কচুয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত চাঁদপুর–১ আসনে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ।
হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত বরিশাল–৪ আসনে পরপর দুবার সংসদ সদস্য হয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ নাথ। সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকেই নিজস্ব বলয় তৈরি করেন পঙ্কজ নাথ। গত ১০ বছর নানাভাবে দমন–পীড়নের শিকার হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। তাঁর বিরুদ্ধে দলের প্রার্থীর বিপক্ষে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী দাঁড় করানো, বিপক্ষে গেলে হামলা চালিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া ও কোপানোর হুমকিসহ নানা অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
এবারও দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন পঙ্কজ। তবে বাদ পড়েছেন। এ আসনে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ।
ঢাকা–১০সহ তিনটি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। মাগুরা–১ আসনে তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
মাগুরা–১ আসন থেকে বর্তমানে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন সাইফুজ্জামান শিখর। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সহকারী একান্ত সচিব। তাঁর বাবা চারবার সংসদ সদস্য ছিলেন। বহিষ্কৃত যুবলীগ নেত্রী পাপিয়াকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় মানবজমিনের সম্পাদক ও আলোকচিত্রী শফিকুল ইসলাম কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে আলোচনায় ছিলেন সাইফুজ্জামান শিখর।
মানিকগঞ্জ–১ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়ও দলীয় মনোনয়ন হারিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে দুর্জয় ও তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি, বখরাবাজি নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় জমি দখলের অভিযোগও ওঠে। এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুস সালাম।
আবাসন ব্যবসায়ী এনামুল হক নানা কারণে বারবার আলোচনায় এসেছেন। ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবসাও রয়েছে তাঁর। রাজশাহী–৪ আসন থেকে তিনবারের সংসদ সদস্য এনামুল হক কোটি কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। একাধিকবার নারী কেলেঙ্কারির অডিও ফাঁস হয়েছে। যদিও তিনি বরাবর অস্বীকার করেছেন।
রাজশাহী–৪ আসনে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ।
রাজধানীর ধানমন্ডি–নিউমার্কেট এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা–১০ আসনে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হন ব্যবসায়ী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি। দলীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিতি নিয়ে শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও উষ্মা প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় নেতা–কর্মীরা তাঁকে নিয়ে অসন্তুষ্ট। এ আসনে এবার নৌকা প্রতীক পেয়েছে চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক ও কিশোরগঞ্জ–২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ এবার দলীয় মনোনয়ন খোয়ালেন পুলিশের আরেক সাবেক কর্মকর্তা আবদুল কাহার আকন্দের কাছে। আবদুল কাহার আকন্দ বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে তাঁর বিরোধের খবর বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমাম এবার মনোনয়ন পাননি। তাঁর নির্বাচনী এলাকা সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে এবার নৌকা পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম। তিনি উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন, সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন। তানভীর ইমামের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে দলীয় কর্মীদের নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
নানা কারণে আলোচিত ছিলেন বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান (রিমন)। দলীয় নেতা–কর্মী, সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারী ও সংখ্যালঘু নারীকে মারধর, সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি দখলের অভিযোগসহ নানা কারণে বিতর্কিত তিনি। রিমনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে লড়তে মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন ১৩ জন নেতা। এবার সেখানে মনোনয়ন পেয়েছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা।
নেত্রকোনা–৫ আসনের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল সম্প্রতি আলোচনায় আসেন তাঁর স্ত্রীর করা একটি মামলা নিয়ে। কলেজপড়ুয়া এক তরুণীকে প্রধান আসামি করে মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৭৫ বছর বয়সী এই সংসদ সদস্যকে অপহরণ, তাঁর স্বাক্ষর জাল ও নাম ভাঙিয়ে টাকা আদায় করা হয়েছে। এই আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।
মোহাম্মদপুর এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা–১৩ আসনে একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়ে আলোচনায় আসেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা সাদেক খান। ২০১৮ সালে এমপি হওয়ার পর রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিসংলগ্ন প্রধান বেড়িবাঁধ সড়কের দুই পাশের সরকারি জায়গা দখল করে ভাড়া দেওয়া, চাঁদাবাজি ও ছেলে ফাহিম খানের আধিপত্য বিস্তারের খবর গণমাধ্যমে এসেছে। এবার তাঁকে সরিয়ে এ আসনের পুরোনো সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
হাওরে দখল, দুর্নীতির জন্য সমালোচিত হন সুনামগঞ্জ–১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন (রতন)। এবার তাঁকে সরিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রণজিৎ চন্দ্র সরকারকে।
এমপি হওয়ার পর ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে তলব করেছিল দুদক। জমি দখল, বিলাসবহুল বাড়ি, স্থানীয় নেতা–কর্মীদের অবমূল্যায়ন ইত্যাদি অভিযোগ নিয়ে আলোচিত ছিলেন তিনি।
সুনামগঞ্জ–২ আসনের সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্ত মনোনয়ন হারিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের নেতা প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের স্ত্রী। পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনের ভাই চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ এ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন।
সরকারি জমি দখলসহ নানা অভিযোগে বিতর্কিত হয়ে পড়েন কুমিল্লা–১ আসনের সংসদ সদস্য সুবিদ আলী ভূঁইয়া। এখানে এবার নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর। বিএনপি সরকারের সামরিক সচিব ছিলেন সুবিদ আলী। বিএনপির প্রতি তাঁর দুর্বলতার অভিযোগ তোলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
বনের জমি দখল ও অস্ত্রধারী নিয়ে মিছিল করে সমালোচিত হন কক্সবাজার–১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম। এবার সেখানে মনোনয়ন পেয়েছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দীন আহমদ। ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাফর ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সরকারি এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিদখল, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও তা বিক্রি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে দুদকে অভিযোগ জমা পড়েছে। পুরো পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকাও হয়।
চট্টগ্রাম এলাকার বিতর্কিত কয়েকজনও মনোনীতদের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। বর্তমান সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী বেশ কয়েকবার বিতর্কের মুখে পড়েন। চট্টগ্রাম–১২ আসনে এবার সেখানে মনোনয়ন পেয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন। চট্টগ্রাম–৪ আসনে গত দুবারের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম। পাহাড় কেটে ইস্পাত কারখানা স্থাপনসহ বিভিন্ন অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এবার সেখানে মনোনয়ন পেয়েছেন সম্প্রতি পদত্যাগ করা সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন। তাঁর বাবাও একসময় এখানে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিনজন প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। সব মিলিয়ে এবার নৌকার মনোনয়ন খুইয়েছেন ৭১ জন এমপি। এর মধ্যে অনেকেই একাদশ সংসদের মেয়াদকালে নানা ঘটনায় আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছেন। বিতর্কিতদের বেশির ভাগই এবার মনোনয়ন পাননি।
এর মধ্যে অন্যতম খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, মুরাদ হাসান, পঙ্কজ নাথ, জাকির হোসেন, সাইফুজ্জামান শিখর, নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
বাদ পড়া প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন—ময়মনসিংহ–৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম খালিদ, খুলনা–৩ আসনের সংসদ সদস্য, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এবং কুড়িগ্রাম–৪ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এরই মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। খুলনা–৩ শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেছেন। তাঁরা টায়ার জ্বালিয়ে, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সমর্থক এবং তাঁর আসনে মনোনয়ন পাওয়া এসএম কামাল হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
নানা কারণে সমালোচিত হয়েছেন খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়ম, নিয়োগ–বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর ছোট ভাইকে নিজের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) এবং ভাতিজিকে মন্ত্রণালয়ের অধীন কেন্দ্রীয় তহবিলে সহকারী পরিচালক (এডি) পদে চাকরি দেওয়া নিয়েও সমালোচিত হয়েছেন তিনি।
বাদ পড়াদের অনেককে নিয়েই বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল—তাঁরা আর আওয়ামী লীগের টিকিট পাবেন না। চাঁদাবাজি, লুটপাট, দখল, দুর্নীতি, স্থানীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখা, বিতর্কিত মন্তব্যসহ নানা কারণে তাঁরা বিভিন্ন সময় সমালোচিত হয়েছেন।
এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় ছিলেন জামালপুর–৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। শোবিজ তারকাদের সঙ্গে তাঁর অশ্লীল ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর সারা দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর জেরে মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ হারিয়ে তিনি এলাকায় গিয়ে জনসংযোগে মনোনিবেশ করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শিকে ছিঁড়ল না।
জামালপুর–৪ আসনে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের মৎস্য ও প্রাণিবিষয়ক সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান। তাঁর বাবা আবদুল মালেক একসময় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফরিদপুর–৩ আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আওয়ামী লীগ সরকারের পরপর দুই মেয়াদে মন্ত্রী ছিলেন। বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় অবশ্য ছিলেন না। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব, নির্যাতন ও অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। ফরিদপুরের স্থানীয় দুই আওয়ামী লীগ নেতা রুবেল–বরকতের হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ নিয়ে মোশাররফ হোসেন আলোচনায় আসেন। এ ছাড়া কিছু স্পর্শকাতর বিষয় নিয়েও তিনি বারবার আলোচনায় এসেছেন।
ফরিদপুর–৩ আসনে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক।
খন্দকার মোশাররফ হোসেনের জামাতা হাবিবে মিল্লাতও মনোনয়ন পাননি। তিনি সিরাজগঞ্জ–২ আসনের সংসদ সদস্য। এবার সেখানে নৌকার টিকিট পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জান্নাত আরা হেনরী।
নানা সময় বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচিত–সমালোচিত হয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। নির্বাচনী এলাকার নেতা–কর্মীরাও তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ। প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে মনোনয়ন না দিতে অনুরোধ জানিয়ে দলীয় সভাপতি বরাবর আবেদন করেছিলেন কুড়িগ্রাম–৪ আসনভুক্ত রৌমারী, চিলমারী ও রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ১৬ নেতা। তাঁরা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে ‘দুর্নীতিবাজ, গণবিচ্ছিন্ন ও বিতর্কিত’ আখ্যা দিয়ে অভিযোগে বলেন, ‘সংসদ সদস্য জাকির হোসেন একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি। তিনি রৌমারী, চিলমারী ও রাজিবপুর এলাকায় ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নাম ব্যবহার করে ভূমি দখল করেছেন।’
জাকির হোসেনের নির্বাচনী এলাকা কুড়িগ্রাম-৪ আসনে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মো. বিপ্লব হাসান। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিপ্লব ছাত্রলীগের সোহাগ–নাজমুল কমিটির উপ–আইনবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
আলোচিত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও একাদশ সংসদের সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীরও এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন না। ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকাকালে মহিউদ্দিন খান আলমগীরের বিরুদ্ধে ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। অনিয়ম–জালিয়াতির কারণে ব্যাংকটি আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়। এটি বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কচুয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত চাঁদপুর–১ আসনে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ।
হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত বরিশাল–৪ আসনে পরপর দুবার সংসদ সদস্য হয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ নাথ। সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকেই নিজস্ব বলয় তৈরি করেন পঙ্কজ নাথ। গত ১০ বছর নানাভাবে দমন–পীড়নের শিকার হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। তাঁর বিরুদ্ধে দলের প্রার্থীর বিপক্ষে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী দাঁড় করানো, বিপক্ষে গেলে হামলা চালিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া ও কোপানোর হুমকিসহ নানা অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
এবারও দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন পঙ্কজ। তবে বাদ পড়েছেন। এ আসনে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ।
ঢাকা–১০সহ তিনটি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। মাগুরা–১ আসনে তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
মাগুরা–১ আসন থেকে বর্তমানে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন সাইফুজ্জামান শিখর। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সহকারী একান্ত সচিব। তাঁর বাবা চারবার সংসদ সদস্য ছিলেন। বহিষ্কৃত যুবলীগ নেত্রী পাপিয়াকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় মানবজমিনের সম্পাদক ও আলোকচিত্রী শফিকুল ইসলাম কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে আলোচনায় ছিলেন সাইফুজ্জামান শিখর।
মানিকগঞ্জ–১ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়ও দলীয় মনোনয়ন হারিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে দুর্জয় ও তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি, বখরাবাজি নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় জমি দখলের অভিযোগও ওঠে। এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুস সালাম।
আবাসন ব্যবসায়ী এনামুল হক নানা কারণে বারবার আলোচনায় এসেছেন। ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবসাও রয়েছে তাঁর। রাজশাহী–৪ আসন থেকে তিনবারের সংসদ সদস্য এনামুল হক কোটি কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। একাধিকবার নারী কেলেঙ্কারির অডিও ফাঁস হয়েছে। যদিও তিনি বরাবর অস্বীকার করেছেন।
রাজশাহী–৪ আসনে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ।
রাজধানীর ধানমন্ডি–নিউমার্কেট এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা–১০ আসনে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হন ব্যবসায়ী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি। দলীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিতি নিয়ে শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও উষ্মা প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় নেতা–কর্মীরা তাঁকে নিয়ে অসন্তুষ্ট। এ আসনে এবার নৌকা প্রতীক পেয়েছে চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক ও কিশোরগঞ্জ–২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ এবার দলীয় মনোনয়ন খোয়ালেন পুলিশের আরেক সাবেক কর্মকর্তা আবদুল কাহার আকন্দের কাছে। আবদুল কাহার আকন্দ বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে তাঁর বিরোধের খবর বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমাম এবার মনোনয়ন পাননি। তাঁর নির্বাচনী এলাকা সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে এবার নৌকা পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম। তিনি উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন, সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন। তানভীর ইমামের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে দলীয় কর্মীদের নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
নানা কারণে আলোচিত ছিলেন বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান (রিমন)। দলীয় নেতা–কর্মী, সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারী ও সংখ্যালঘু নারীকে মারধর, সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি দখলের অভিযোগসহ নানা কারণে বিতর্কিত তিনি। রিমনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে লড়তে মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন ১৩ জন নেতা। এবার সেখানে মনোনয়ন পেয়েছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা।
নেত্রকোনা–৫ আসনের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল সম্প্রতি আলোচনায় আসেন তাঁর স্ত্রীর করা একটি মামলা নিয়ে। কলেজপড়ুয়া এক তরুণীকে প্রধান আসামি করে মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৭৫ বছর বয়সী এই সংসদ সদস্যকে অপহরণ, তাঁর স্বাক্ষর জাল ও নাম ভাঙিয়ে টাকা আদায় করা হয়েছে। এই আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।
মোহাম্মদপুর এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা–১৩ আসনে একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়ে আলোচনায় আসেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা সাদেক খান। ২০১৮ সালে এমপি হওয়ার পর রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিসংলগ্ন প্রধান বেড়িবাঁধ সড়কের দুই পাশের সরকারি জায়গা দখল করে ভাড়া দেওয়া, চাঁদাবাজি ও ছেলে ফাহিম খানের আধিপত্য বিস্তারের খবর গণমাধ্যমে এসেছে। এবার তাঁকে সরিয়ে এ আসনের পুরোনো সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
হাওরে দখল, দুর্নীতির জন্য সমালোচিত হন সুনামগঞ্জ–১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন (রতন)। এবার তাঁকে সরিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রণজিৎ চন্দ্র সরকারকে।
এমপি হওয়ার পর ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে তলব করেছিল দুদক। জমি দখল, বিলাসবহুল বাড়ি, স্থানীয় নেতা–কর্মীদের অবমূল্যায়ন ইত্যাদি অভিযোগ নিয়ে আলোচিত ছিলেন তিনি।
সুনামগঞ্জ–২ আসনের সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্ত মনোনয়ন হারিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের নেতা প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের স্ত্রী। পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনের ভাই চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ এ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন।
সরকারি জমি দখলসহ নানা অভিযোগে বিতর্কিত হয়ে পড়েন কুমিল্লা–১ আসনের সংসদ সদস্য সুবিদ আলী ভূঁইয়া। এখানে এবার নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর। বিএনপি সরকারের সামরিক সচিব ছিলেন সুবিদ আলী। বিএনপির প্রতি তাঁর দুর্বলতার অভিযোগ তোলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
বনের জমি দখল ও অস্ত্রধারী নিয়ে মিছিল করে সমালোচিত হন কক্সবাজার–১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম। এবার সেখানে মনোনয়ন পেয়েছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দীন আহমদ। ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাফর ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সরকারি এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিদখল, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও তা বিক্রি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে দুদকে অভিযোগ জমা পড়েছে। পুরো পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকাও হয়।
চট্টগ্রাম এলাকার বিতর্কিত কয়েকজনও মনোনীতদের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। বর্তমান সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী বেশ কয়েকবার বিতর্কের মুখে পড়েন। চট্টগ্রাম–১২ আসনে এবার সেখানে মনোনয়ন পেয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন। চট্টগ্রাম–৪ আসনে গত দুবারের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম। পাহাড় কেটে ইস্পাত কারখানা স্থাপনসহ বিভিন্ন অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এবার সেখানে মনোনয়ন পেয়েছেন সম্প্রতি পদত্যাগ করা সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন। তাঁর বাবাও একসময় এখানে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ৩০০ সংসদীয় আসনে রাজনৈতিক দল মনোনীত ও স্বতন্ত্র হিসেবে ২ হাজার ৫৬৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপির হয়ে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৩৩১টি। জামায়াতে ইসলামীর ২৭৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর বাইরে ৩০০ সংসদীয় আসনে লড়তে চাইছেন
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির মা অসুস্থ হয়ে রাজধানীর অরোরা স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে তাঁকে দেখতে যান জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশেষ দূত ও প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসছেন। আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে। তাঁদের ভাষ্যে উঠে এসেছে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব, নির্যাতনের মুখেও অবিচল থাকা এবং শেষ দিন পর্যন্ত গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার এক অনন্য রাজনৈতিক জীবন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রামরত এক আপসহীন নেত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন যে, নেত্রী (খালেদা জিয়া) দীর্ঘদিন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রায় সমস্ত অংশই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং গণতন্ত্রের মূল্যবোধগুলোকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তখন গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য তিনি কাজ করেছেন। জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। আর যখন বিরোধী ছিলেন, তখনো তিনি একইভাবে সেই গণতন্ত্রকেই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বিএনপির রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্ট এবং দলকে গণমানুষের কাতারে নিয়ে যাওয়া নেতা। তিনি বলেন, ‘গৃহবধূ থেকে ম্যাডামের রাজনীতিতে আসাটা ছিল বিএনপির রাজনীতির জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট। দলের নেতৃত্বে এসে তিনিই বিএনপিকে একটি জনপ্রিয় দলে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা এক নেত্রী। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপরে জুলুম হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে; কিন্তু তিনি কোনো দিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি কোনো দিন আপস করেননি। গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজেকে বিজয়ী প্রমাণ করতে পেরেছেন। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগপর্যন্ত তিনি স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে গেছেন। তিনি সেই যুদ্ধে নিজেকে বিজয়ী বলে প্রমাণ করেছেন।
ড. আবদুল মঈন খান আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া রাজপথে যুদ্ধ করেছেন। ২০০৯ সালের পরে যখন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নির্যাতন, অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা তাঁর ওপরে নেমে এসেছিল...তখন অনেকে পরামর্শ দিয়েছিল—আপনি কেন এই কষ্ট সহ্য করছেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি ন্যায় ও সত্যের জন্য সংগ্রাম করছি। আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের মানুষের জন্য, আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’’’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একই সঙ্গে রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল অভিভাবক। তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এমন একজন মানুষ ছিলেন, আমাদের যাদের উনার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে মেশার সুযোগ হয়েছে...আমরা দেখেছি, উনি একদিকে যেমন সত্যি সত্যি অভিভাবক, আরেক দিকে মাতৃস্নেহে উনি আমাদের দেখতেন। কোনো দিন বাসায় যাওয়ার পরে কোনো কিছু না খেয়ে বাসা থেকে কেউ যেতে পারত না।’
চিকিৎসাধীন অবস্থার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসকদের কী খাইয়েছেন? এগুলো সব সময় উনার যাঁরা কাজের সহকর্মী ছিলেন, সহায়তা করতেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করতেন। উনি বলে দিতেন, আজকে এটা দিবা। কোনো দিন (চিকিৎসক) যেতে একটু দেরি হলে জিজ্ঞাসা করতেন...এত দেরি কেন হলো? আমি তো বসে আছি। অর্থাৎ চিকিৎসকেরা কখন যাবেন...উনি যখন বাসায় থাকতেন, তখন প্রতিদিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর বাসায় যেতেন। উনি সবার সঙ্গে কথা বলতেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘গণতন্ত্রের লড়াই করতে করতেই বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুপথযাত্রী হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া ছিলেন আমাদের আকাঙ্ক্ষা। বাংলাদেশে দলমত-নির্বিশেষে সবাই তাঁর নামে ঐক্যবদ্ধ ছিল। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে বাংলাদেশ গণতন্ত্র ফেরত পেত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, সেই স্বপ্ন পূরণ হতো।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি ছায়া থেকে বঞ্চিত হলো বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন, এই সংকট কাটিয়ে ওঠা জাতির জন্য কঠিন।

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে। তাঁদের ভাষ্যে উঠে এসেছে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব, নির্যাতনের মুখেও অবিচল থাকা এবং শেষ দিন পর্যন্ত গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার এক অনন্য রাজনৈতিক জীবন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রামরত এক আপসহীন নেত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন যে, নেত্রী (খালেদা জিয়া) দীর্ঘদিন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রায় সমস্ত অংশই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং গণতন্ত্রের মূল্যবোধগুলোকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তখন গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য তিনি কাজ করেছেন। জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। আর যখন বিরোধী ছিলেন, তখনো তিনি একইভাবে সেই গণতন্ত্রকেই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বিএনপির রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্ট এবং দলকে গণমানুষের কাতারে নিয়ে যাওয়া নেতা। তিনি বলেন, ‘গৃহবধূ থেকে ম্যাডামের রাজনীতিতে আসাটা ছিল বিএনপির রাজনীতির জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট। দলের নেতৃত্বে এসে তিনিই বিএনপিকে একটি জনপ্রিয় দলে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা এক নেত্রী। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপরে জুলুম হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে; কিন্তু তিনি কোনো দিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি কোনো দিন আপস করেননি। গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজেকে বিজয়ী প্রমাণ করতে পেরেছেন। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগপর্যন্ত তিনি স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে গেছেন। তিনি সেই যুদ্ধে নিজেকে বিজয়ী বলে প্রমাণ করেছেন।
ড. আবদুল মঈন খান আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া রাজপথে যুদ্ধ করেছেন। ২০০৯ সালের পরে যখন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নির্যাতন, অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা তাঁর ওপরে নেমে এসেছিল...তখন অনেকে পরামর্শ দিয়েছিল—আপনি কেন এই কষ্ট সহ্য করছেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি ন্যায় ও সত্যের জন্য সংগ্রাম করছি। আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের মানুষের জন্য, আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’’’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একই সঙ্গে রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল অভিভাবক। তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এমন একজন মানুষ ছিলেন, আমাদের যাদের উনার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে মেশার সুযোগ হয়েছে...আমরা দেখেছি, উনি একদিকে যেমন সত্যি সত্যি অভিভাবক, আরেক দিকে মাতৃস্নেহে উনি আমাদের দেখতেন। কোনো দিন বাসায় যাওয়ার পরে কোনো কিছু না খেয়ে বাসা থেকে কেউ যেতে পারত না।’
চিকিৎসাধীন অবস্থার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসকদের কী খাইয়েছেন? এগুলো সব সময় উনার যাঁরা কাজের সহকর্মী ছিলেন, সহায়তা করতেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করতেন। উনি বলে দিতেন, আজকে এটা দিবা। কোনো দিন (চিকিৎসক) যেতে একটু দেরি হলে জিজ্ঞাসা করতেন...এত দেরি কেন হলো? আমি তো বসে আছি। অর্থাৎ চিকিৎসকেরা কখন যাবেন...উনি যখন বাসায় থাকতেন, তখন প্রতিদিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর বাসায় যেতেন। উনি সবার সঙ্গে কথা বলতেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘গণতন্ত্রের লড়াই করতে করতেই বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুপথযাত্রী হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া ছিলেন আমাদের আকাঙ্ক্ষা। বাংলাদেশে দলমত-নির্বিশেষে সবাই তাঁর নামে ঐক্যবদ্ধ ছিল। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে বাংলাদেশ গণতন্ত্র ফেরত পেত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, সেই স্বপ্ন পূরণ হতো।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি ছায়া থেকে বঞ্চিত হলো বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন, এই সংকট কাটিয়ে ওঠা জাতির জন্য কঠিন।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিনজন প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। সব মিলিয়ে এবার নৌকার মনোনয়ন খুইয়েছেন ৭১ জন এমপি। এর মধ্যে অনেকেই একাদশ সংসদের মেয়াদকালে নানা ঘটনায় আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছেন। বিতর্কিতদের বেশির ভাগই এবার মনোনয়ন পাননি।
২৬ নভেম্বর ২০২৩
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ৩০০ সংসদীয় আসনে রাজনৈতিক দল মনোনীত ও স্বতন্ত্র হিসেবে ২ হাজার ৫৬৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপির হয়ে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৩৩১টি। জামায়াতে ইসলামীর ২৭৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর বাইরে ৩০০ সংসদীয় আসনে লড়তে চাইছেন
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির মা অসুস্থ হয়ে রাজধানীর অরোরা স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে তাঁকে দেখতে যান জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশেষ দূত ও প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসছেন। আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ৩০০ সংসদীয় আসনে রাজনৈতিক দল মনোনীত ও স্বতন্ত্র হিসেবে ২ হাজার ৫৬৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপির হয়ে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৩৩১টি। জামায়াতে ইসলামীর ২৭৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর বাইরে ৩০০ সংসদীয় আসনে লড়তে চাইছেন ৪৭৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক আজ মঙ্গলবার রাতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নিবন্ধন স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ ছাড়া বর্তমানে ইসির নিবন্ধনে আরও ৫৯টি দল রয়েছে। এ দলগুলোর মধ্যে ৫১টির মনোনীত প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসি।
এর মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ২৪টি, গণফোরাম ২৩টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ৬৫টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ৯৪, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২৬৮, জাতীয় পার্টি ২২৪, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ৪৪, গণঅধিকার পরিষদ ১০৪, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ৫৩, জাতীয় পার্টি (জেপি) ১৩ ও খেলাফত মজলিস ৬৮টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।
একটি করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) ও বাংলাদেশ সমঅধিকার পার্টি।
ইসি জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে আটটি দল থেকে কোনো মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি। দলগুলো হলো—বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও তৃণমূল বিএনপি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ৩০০ সংসদীয় আসনে রাজনৈতিক দল মনোনীত ও স্বতন্ত্র হিসেবে ২ হাজার ৫৬৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপির হয়ে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৩৩১টি। জামায়াতে ইসলামীর ২৭৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর বাইরে ৩০০ সংসদীয় আসনে লড়তে চাইছেন ৪৭৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক আজ মঙ্গলবার রাতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নিবন্ধন স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ ছাড়া বর্তমানে ইসির নিবন্ধনে আরও ৫৯টি দল রয়েছে। এ দলগুলোর মধ্যে ৫১টির মনোনীত প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসি।
এর মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ২৪টি, গণফোরাম ২৩টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ৬৫টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ৯৪, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২৬৮, জাতীয় পার্টি ২২৪, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ৪৪, গণঅধিকার পরিষদ ১০৪, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ৫৩, জাতীয় পার্টি (জেপি) ১৩ ও খেলাফত মজলিস ৬৮টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।
একটি করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) ও বাংলাদেশ সমঅধিকার পার্টি।
ইসি জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে আটটি দল থেকে কোনো মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি। দলগুলো হলো—বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও তৃণমূল বিএনপি।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিনজন প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। সব মিলিয়ে এবার নৌকার মনোনয়ন খুইয়েছেন ৭১ জন এমপি। এর মধ্যে অনেকেই একাদশ সংসদের মেয়াদকালে নানা ঘটনায় আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছেন। বিতর্কিতদের বেশির ভাগই এবার মনোনয়ন পাননি।
২৬ নভেম্বর ২০২৩
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির মা অসুস্থ হয়ে রাজধানীর অরোরা স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে তাঁকে দেখতে যান জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশেষ দূত ও প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসছেন। আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির মা অসুস্থ হয়ে রাজধানীর অরোরা স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে তাঁকে দেখতে যান জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
জামায়াতের প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জামায়াত আমির হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছ থেকে শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির মায়ের চিকিৎসার সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং সর্বোচ্চ ও যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসকদের অনুরোধ জানান। এ ছাড়াও তিনি মহান আল্লাহর কাছে শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির মায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া করেন।
জামায়াত আমিরের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাড. ড. হেলাল উদ্দিন এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের এনডিএফের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, শরিফ ওসমান হাদি ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক। ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তিনি প্রচার চালাচ্ছিলেন। ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের কিছু পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেল থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে মাথায় গুলি করার পর আততায়ীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর মারা যান তিনি।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির মা অসুস্থ হয়ে রাজধানীর অরোরা স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে তাঁকে দেখতে যান জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
জামায়াতের প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জামায়াত আমির হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছ থেকে শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির মায়ের চিকিৎসার সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং সর্বোচ্চ ও যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসকদের অনুরোধ জানান। এ ছাড়াও তিনি মহান আল্লাহর কাছে শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির মায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া করেন।
জামায়াত আমিরের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাড. ড. হেলাল উদ্দিন এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের এনডিএফের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, শরিফ ওসমান হাদি ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক। ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তিনি প্রচার চালাচ্ছিলেন। ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের কিছু পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেল থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে মাথায় গুলি করার পর আততায়ীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর মারা যান তিনি।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিনজন প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। সব মিলিয়ে এবার নৌকার মনোনয়ন খুইয়েছেন ৭১ জন এমপি। এর মধ্যে অনেকেই একাদশ সংসদের মেয়াদকালে নানা ঘটনায় আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছেন। বিতর্কিতদের বেশির ভাগই এবার মনোনয়ন পাননি।
২৬ নভেম্বর ২০২৩
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ৩০০ সংসদীয় আসনে রাজনৈতিক দল মনোনীত ও স্বতন্ত্র হিসেবে ২ হাজার ৫৬৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপির হয়ে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৩৩১টি। জামায়াতে ইসলামীর ২৭৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর বাইরে ৩০০ সংসদীয় আসনে লড়তে চাইছেন
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশেষ দূত ও প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসছেন। আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশেষ দূত ও প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসছেন। আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জানাজায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। বিষয়টিকে বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সৌজন্য ও রাজনৈতিক শ্রদ্ধা প্রদর্শনের অংশ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডি এন ধুংগিয়েল, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত ও দেশটির উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আলী হায়দার আহমেদ, নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দা শর্মা ও শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিজিতা হেরাথের ঢাকায় আসার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের প্রতিনিধির খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এবং জানাজায় অংশ নিতে আসার কথা রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের অংশগ্রহণের তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে খালেদা জিয়ার জানাজায় পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার যোগ দেবেন বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশন। হাইকমিশনের একটি সূত্র জানায়, ইসহাক দার আগামীকাল ঢাকায় এসে সরাসরি জানাজায় অংশ নেবেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, একাধিক দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবস্থান এবং দীর্ঘদিনের রাষ্ট্রীয় ভূমিকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তিনি তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী হিসেবে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন।
এদিকে, জানাজা ঘিরে ঢাকায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, দেশি-বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোও জানাজা এবং সংশ্লিষ্ট আনুষ্ঠানিকতায় ব্যাপক জনসমাগমের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
খালেদা জিয়ার জানাজাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মতভেদ ছাপিয়ে দেশজুড়ে শোক ও শ্রদ্ধার আবহ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশেষ দূত ও প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসছেন। আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জানাজায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। বিষয়টিকে বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সৌজন্য ও রাজনৈতিক শ্রদ্ধা প্রদর্শনের অংশ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডি এন ধুংগিয়েল, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত ও দেশটির উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আলী হায়দার আহমেদ, নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দা শর্মা ও শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিজিতা হেরাথের ঢাকায় আসার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের প্রতিনিধির খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এবং জানাজায় অংশ নিতে আসার কথা রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের অংশগ্রহণের তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে খালেদা জিয়ার জানাজায় পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার যোগ দেবেন বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশন। হাইকমিশনের একটি সূত্র জানায়, ইসহাক দার আগামীকাল ঢাকায় এসে সরাসরি জানাজায় অংশ নেবেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, একাধিক দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবস্থান এবং দীর্ঘদিনের রাষ্ট্রীয় ভূমিকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তিনি তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী হিসেবে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন।
এদিকে, জানাজা ঘিরে ঢাকায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, দেশি-বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোও জানাজা এবং সংশ্লিষ্ট আনুষ্ঠানিকতায় ব্যাপক জনসমাগমের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
খালেদা জিয়ার জানাজাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মতভেদ ছাপিয়ে দেশজুড়ে শোক ও শ্রদ্ধার আবহ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিনজন প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। সব মিলিয়ে এবার নৌকার মনোনয়ন খুইয়েছেন ৭১ জন এমপি। এর মধ্যে অনেকেই একাদশ সংসদের মেয়াদকালে নানা ঘটনায় আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছেন। বিতর্কিতদের বেশির ভাগই এবার মনোনয়ন পাননি।
২৬ নভেম্বর ২০২৩
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ৩০০ সংসদীয় আসনে রাজনৈতিক দল মনোনীত ও স্বতন্ত্র হিসেবে ২ হাজার ৫৬৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপির হয়ে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৩৩১টি। জামায়াতে ইসলামীর ২৭৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর বাইরে ৩০০ সংসদীয় আসনে লড়তে চাইছেন
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির মা অসুস্থ হয়ে রাজধানীর অরোরা স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে তাঁকে দেখতে যান জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
২ ঘণ্টা আগে