Ajker Patrika

বাঙলা কলেজে কেমন দৌড়ানি খাইলেন ভাইয়েরা, আ.লীগের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস  

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৩, ২২: ৫৯
বাঙলা কলেজে কেমন দৌড়ানি খাইলেন ভাইয়েরা, আ.লীগের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস  

বিএনপির পদযাত্রার সময় মিরপুর বাঙলা কলেজের ঘটনা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগকে হুঁশিয়ার করলেন মির্জা আব্বাস ৷ বাংলা কলেজে কেমন দৌড়ানি খাইলেন ভাইয়েরা? এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতারা তাদেরকে ভালো একটা দৌড়ানি দিছে। আর যারা দৌড়ানি দিছে তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই আমরা আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে মোকাবিলা করব। কিন্তু আমরা কোনো সন্ত্রাস করব না।’

এক দফা দাবিতে বিএনপি পদযাত্রা শেষে পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারে সংক্ষিপ্ত পথসভায় মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। বিএনপি কখনো সন্ত্রাস করবে না উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘জনগণের মুক্তি আদায়ের জন্য আজকে সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় এই পদযাত্রা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আপনারা হামলা করেছেন। তবে পাল্টা হামলায় কিন্তু আপনারা পালাতে বাধ্য হয়েছেন। বাংলা কলেজের সামনে কেমন দৌড়ানিটা খাইছেন ভাই। বিএনপির নেতারা তাদেরকে ভালো একটা দৌড়ানি দিছে। আর যারা দৌড়ানি দিছে তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই আমরা আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে মোকাবিলা করব। কিন্তু আমরা কোনো সন্ত্রাস করব না। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব। তবে এই শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কেউ যদি বাধা দেয় তাকে আমরা ছাড়ব না।’

সকাল ১০টায় বিএনপির এক দফা দাবি নিয়ে পদযাত্রা শুরু হয় রাজধানীর গাবতলী থেকে। বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে এসে পৌঁছায় রায়সাহেব বাজার মোড়ে৷ আগে থেকেই এখানে ছোট পথসভার জন্য মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। এই মঞ্চে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি জ্যেষ্ঠ নেতা ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ৷ এর আগে বিএনপির পদযাত্রা রাজধানীর মিরপুর, কারওয়ান বাজার, মগবাজার, মৌচাক, কাকরাইল, নয়াপল্টন, ইত্তেফাক মোড়, দয়াগঞ্জ প্রদক্ষিণ করে৷ পদযাত্রা থেকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করে মুহুর্মুহু স্লোগান দেন নেতা-কর্মীরা। বর্তমান সরকার এবং সরকারি দলের শীর্ষ নেতাদের ভোট চোর বলে গালি দিয়ে স্লোগানে স্লোগানে ক্ষমতা ছাড়ার দাবি তোলেন পদযাত্রা শেষে পথসভায় যোগ দেওয়া নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা।  

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘বিএনপির ওপর আল্লাহর অশেষ রহমত। গাবতলী থেকে শুরু করে রায়সাহেব বাজার মোড় পর্যন্ত এত বড় পদযাত্রা এই প্রথম। আমার আগে কখনো এর অভিজ্ঞতা ছিল না। সারা বিশ্বে এত বড় মিছিল কেউ কখনো করতে পারেনি। রাজনৈতিক মিছিল, গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার মিছিল, অধিকার আদায়ের মিছিল আজকে হয়েছে। জনগণ জবাব দিয়েছে। আমরা গ্রেপ্তার পছন্দ করি না, মারধর পছন্দ করিনা, আমরা পরিষ্কার ভোট চাই। কারও চোখ রাঙানিতে আমরা ভয় পাই না।’

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ-পূর্ব সভাকে ক্ষমতায় থাকার সভা উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা গণমিছিল করছি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য। আর আপনারা কী করছেন শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা। এ শোভাযাত্রা আপনারা কার জন্য করছেন। আমরা তো মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য করছি। আর আমি বলব আপনারা শোভাযাত্রা করছেন আপনারা ক্ষমতায় থাকতে চান এ জন্য। মানুষের রক্ত চুষে খাবার জন্য।’

পদযাত্রার পরে পথসভার সময় পুরো এলাকায় পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। সতর্ক থাকলেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বাধা দিতে দেখা যায়নি। সভায় উপস্থিত কাউকে কোনো ধরনের উসকানি বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়নি। শান্তিপূর্ণভাবেই এই সভা শেষ হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন ও বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের জ্যেষ্ঠ নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক  আমান উল্লাহ আমান, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ বিএনপির অন্য নেতারা। অন্য নেতারা তাঁদের বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জাইমা রহমানের সেলফিতে যে বই নিয়ে আলোচনায় মেতেছে নেটিজেনরা

গণসংবর্ধনা মঞ্চ থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের পথে তারেক রহমান

পিরোজপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক ভিপি মাহমুদ হোসেন

বিমানবন্দরে পরিবারের সঙ্গে আবেগাপ্লুত তারেক রহমান

‎টঙ্গীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে জুলাই যোদ্ধা তাহরিমা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে চাই: তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর ৩০০ ফুট এলাকায় আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনা মঞ্চে তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর ৩০০ ফুট এলাকায় আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনা মঞ্চে তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে বীরের বেশে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ৩০০ ফুট এলাকায় আয়োজিত এক বিশাল গণসংবর্ধনা মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তাঁর বক্তৃতায় উঠে এসেছে শহীদ ওসমান হাদির স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়।

বিমানবন্দর থেকে বাসে করে আসার পুরো পথ দাঁড়িয়ে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছার জবাব দিলেও তারেক রহমানের চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ ছিল না। কালো প্যান্ট ও সাদা শার্ট পরা তারেক রহমান কোনো লিখিত বক্তব্য (স্ক্রিপ্ট) ছাড়াই ১৬ মিনিট আপসহীন ভাষণ দেন।

বক্তব্যের শুরুতে তারেক রহমান চব্বিশের আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা শহীদ ওসমান হাদির স্মৃতি চারণ করেন। তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে আমাদের এক সাহসী প্রজন্মের সদস্য ওসমান হাদিকে হত্যা করা হয়েছে। সে চেয়েছিল এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে আসুক। ওসমান হাদিসহ ৭১-এর শহীদ এবং স্বৈরাচারের হাতে গুম-খুনের শিকার হওয়া প্রতিটি মানুষের রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে।

শহীদদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে দলমত-নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

তারেক রহমান দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ষড়যন্ত্রের বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন আধিপত্যবাদী শক্তির গুপ্তচরেরা নানাভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যেকোনো উসকানির মুখে আমাদের ধীর ও শান্ত থাকতে হবে। আমাদের দেশে শান্তি চাই।

তরুণ প্রজন্মকে আগামীর কর্ণধার উল্লেখ করে তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মকেই দেশকে শক্ত গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর দায়িত্ব নিতে হবে।

কিংবদন্তি মার্টিন লুথার কিংয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘মার্টিন লুথার কিং বলেছিলেন—আই হ্যাভ আ ড্রিম। আজ এই বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সদস্য হিসেবে আমারও একটি স্বপ্ন আছে—অব মাই কান্ট্রি, ফর মাই কান্ট্রি।’

তিনি স্পষ্ট করেন, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন এবং উন্নয়নের জন্য তাঁর কাছে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও কার্যক্রম রয়েছে, যা তিনি দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বাস্তবায়ন করতে চান।

সংবর্ধনা মঞ্চে তারেক রহমানের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ছাড়াও জোট শরিক দলের প্রধান নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে তিনি উপস্থিত জনতাকে সঙ্গে নিয়ে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করেন। তাঁর এই প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জাইমা রহমানের সেলফিতে যে বই নিয়ে আলোচনায় মেতেছে নেটিজেনরা

গণসংবর্ধনা মঞ্চ থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের পথে তারেক রহমান

পিরোজপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক ভিপি মাহমুদ হোসেন

বিমানবন্দরে পরিবারের সঙ্গে আবেগাপ্লুত তারেক রহমান

‎টঙ্গীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে জুলাই যোদ্ধা তাহরিমা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আই হ্যাভ আ প্ল্যান ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি: তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২২
গণসংবর্ধনা মঞ্চে তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
গণসংবর্ধনা মঞ্চে তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে দেশে ফিরে দেশবাসীর উদ্দেশে নিজের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি কিংবদন্তি মার্টিন লুথার কিংয়ের অনুকরণে বলছেন, ‘আই হ্যাভ আ প্ল্যান ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি, ফর মাই কান্ট্রি।’ আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ৩০০ ফুটে গণসংবর্ধনা মঞ্চে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।

দীর্ঘ পথ ভ্রমণের কোনো ক্লান্তিই যেন কাবু করতে পারেনি তারেক রহমানকে। বিমানবন্দর থেকে বাসে পুরোটা পথ দাঁড়িয়ে নেতা–কর্মীদের শুভেচ্ছার জবাব দিতে দিতে সংবর্ধনা মঞ্চে পৌঁছান তিনি। কোনো ধরনের ক্রিপ্ট ছাড়াই ১৬ মিনিট ভাষণ দেন তারেক রহমান।

কালো প্যান্টের সঙ্গে সাদ শার্ট পরা তারেক রহমানের চোখে ছিল চশমা। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ছাড়াও দলটির জোট শরিক দলের শীর্ষ নেতারা সংবর্ধনা মঞ্চে ছিলেন।

তারেক রহমান তাঁর ভাষণে বলেন, ‘এই পরিকল্পনা দেশের মানুষের স্বার্থে, দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য। সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দেশের গণতন্ত্রকামী সব মানুষের সহযোগিতা আমার লাগবে। আপনারা যদি আমাদের সহযোগিতা করেন, পাশে থাকেন, সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।’

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আজ আমরা যদি সকলে ঐক্যবদ্ধ হই, প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, লক্ষ-কোটি মানুষের পরিকল্পনা পূরণ করতে পারি।’ তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার। আমরা চাই, সকলে মিলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব আমরা, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন একজন মা দেখেন। অর্থাৎ একটি নিরাপদ বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই; যে বাংলাদেশে নিরাপদে ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে আবার ফিরে আসবে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ চায়, তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যায্য অধিকার।

বক্তৃতার শুরুতে তারেক রহমান বলেন, ‘রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে আজ আমি আমার প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে পেরেছি আপনাদের মাঝে। ১৯৭১-এ আমাদের এই মাতৃভূমি লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল। ঠিক একইভাবে ১৯৭৫ সালে সিপাহি বিপ্লবের মাধ্যমে আধিপত্যবাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা হয়েছিল। একইভাবে পরে ৯০-এ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে এ দেশের মানুষ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতাসহ এ দেশের সর্বস্তরের মানুষ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জাইমা রহমানের সেলফিতে যে বই নিয়ে আলোচনায় মেতেছে নেটিজেনরা

গণসংবর্ধনা মঞ্চ থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের পথে তারেক রহমান

পিরোজপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক ভিপি মাহমুদ হোসেন

বিমানবন্দরে পরিবারের সঙ্গে আবেগাপ্লুত তারেক রহমান

‎টঙ্গীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে জুলাই যোদ্ধা তাহরিমা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিমানবন্দর থেকে তিন ঘণ্টায় সংবর্ধনা মঞ্চে তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৭
বিমানবন্দর থেকে বাসে চড়ে সংবর্ধনা মঞ্চে পৌঁছান তারেক রহমান। ছবি: ফোকাস বাংলা
বিমানবন্দর থেকে বাসে চড়ে সংবর্ধনা মঞ্চে পৌঁছান তারেক রহমান। ছবি: ফোকাস বাংলা

নেতা-কর্মী-সমর্থকদের জনসমুদ্র পেরিয়ে বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফুট এলাকায় সংবর্ধনা মঞ্চে পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জাতীয় পতাকার রঙে সাজানো বাসে চড়ে এ পথ অতিক্রম করতে সময় লেগেছে তিন ঘণ্টার বেশি। বাসটির সামনের দিকে চালকের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি হাত নেড়ে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। এ সময় স্লোগান ও সেলফিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো পথ।

দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে লাল-সবুজ রঙের বুলেটপ্রুফ বাসে ধীর গতিতে এগোচ্ছিল তাঁর বহর। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় চলছিল বাসটি।

এর আগে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫৪ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন তারেক রহমান। আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রথমে তিনি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। ভিআইপি লাউঞ্জে তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান দলের শীর্ষ নেতারা। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান।

বিমানবন্দরে তাঁর শাশুড়ি ফুলের মালা পরিয়ে তাঁকে বরণ করে নেন এবং নাতনি জাইমাকে আদর করেন। কিছু সময় পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে সাদা রঙের একটি জিপে করে গুলশানের বাসভবনের উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা।

পরে দুপুর ১২টা ৩২ মিনিটে দলের নেতাদের সঙ্গে লাল-সবুজ রঙের বুলেটপ্রুফ বাসে ওঠেন তারেক রহমান। দুই মিনিট পর বাসটি বিমানবন্দর ত্যাগ করে পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যাত্রা শুরু করে। বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে তিনি মঞ্চের কাছাকাছি পৌঁছান। বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে তিনি মঞ্চে উঠে দাঁড়ান।

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে ফেরার দিনে বিমানবন্দর থেকে কুড়িল হয়ে ৩০০ ফুট সড়ক পর্যন্ত এলাকাটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়। শীত উপেক্ষা করে রাত ও ভোর থেকেই নেতা-কর্মীরা সড়কের দুই পাশে অবস্থান নেন।

সমাবেশস্থলের আশপাশেও আর কোনো ফাঁকা জায়গা দেখা যায়নি। মানুষের এই উচ্ছ্বাসে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সংক্ষিপ্ত এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জাইমা রহমানের সেলফিতে যে বই নিয়ে আলোচনায় মেতেছে নেটিজেনরা

গণসংবর্ধনা মঞ্চ থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের পথে তারেক রহমান

পিরোজপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক ভিপি মাহমুদ হোসেন

বিমানবন্দরে পরিবারের সঙ্গে আবেগাপ্লুত তারেক রহমান

‎টঙ্গীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে জুলাই যোদ্ধা তাহরিমা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে গুলশানের বাসভবনের সামনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে গুলশানে তাঁর বাসভবনের সামনে জড়ো হয়েছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে গুলশানে তাঁর বাসভবনের সামনে জড়ো হয়েছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফেরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে রাজধানীর গুলশানে তাঁর বাসভবনের সামনে জড়ো হয়েছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাসভবনের সামনের সড়কে জড়ো হওয়া বিএনপি নেতা-কর্মীরা নানা স্লোগান দিচ্ছেন।

গুলশানে তারেক রহমানের বাসভবনের সামনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
গুলশানে তারেক রহমানের বাসভবনের সামনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকঢোল পিটিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে এসেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত হয়েছেন তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে।

এদিকে তারেক রহমানের বাসভবনে সামনের সড়ক বন্ধ করে দিয়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

এর আগে, বেলা ১টার দিকে তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডন থেকে ঢাকায় আসা তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাসভবনে পৌঁছান। পরে তারেক রহমানের লাগেজ ও মালামালও আনা হয়েছে এখানে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জাইমা রহমানের সেলফিতে যে বই নিয়ে আলোচনায় মেতেছে নেটিজেনরা

গণসংবর্ধনা মঞ্চ থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের পথে তারেক রহমান

পিরোজপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক ভিপি মাহমুদ হোসেন

বিমানবন্দরে পরিবারের সঙ্গে আবেগাপ্লুত তারেক রহমান

‎টঙ্গীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে জুলাই যোদ্ধা তাহরিমা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত