উপসম্পাদকীয়
হিমালয়ের চূড়ায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেন অনেকেই, কিন্তু বাস্তবে যাঁরা ওঠেন, তাঁদের মধ্যে সাধারণত রাজনীতিবিদ দেখা যায় না। তবে একবার ব্যতিক্রম হলো। ৯ জন মার্কিন পণ্ডিত আর একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ রওনা দিলেন হিমালয় জয় করতে। পথে শুরু হলো দড়ির নাটক। একটা পুরোনো, ক্ষয়ে যাওয়া দড়িতে ঝুলে আছেন দশজন। একজনকে ফেলতেই হবে, না হলে সবাই পড়বেন অতল গহ্বরে।
৯ জন মার্কিন পণ্ডিত মিলে ঠিক করলেন, ‘ওই যে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ, ওকেই ফেলতে হবে!’ রাজনীতিবিদ বোঝেন, এ দেশে আবেগই শেষ হাতিয়ার। শুরু করলেন বক্তৃতা—‘প্রিয় পণ্ডিতগণ, আপনারা মানবসভ্যতার আলোকবর্তিকা। আমার মতন গরিব দেশের তুচ্ছ এক রাজনীতিবিদের জীবন আপনাদের তুলনায় কিছুই নয়। আমি ধন্য হব যদি আপনাদের জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করতে পারি...’
বক্তৃতা এত আবেগপূর্ণ হলো যে পণ্ডিতরা হাততালি দিতে গিয়ে নিজেরাই দড়ি থেকে হাত ছেড়ে দিলেন। রাজনীতিবিদ চূড়ায় উঠলেন। পরে বললেন, ‘বক্তৃতা দিয়ে যদি জীবন বাঁচানো যায়, তাহলে গরিবের ভোটের কেন দরকার?’
আরেক দিন, সেই রাজনীতিবিদ তাঁর ছেলেকে বলছেন, ‘তুমি প্রতিদিন মিথ্যা বলো, চালাকি করো। জানো এর পরিণাম কী?’
ছেলে মাথা চুলকে উত্তর দিল, ‘জানি বাবা, তখন আমাকে আজীবন মন্ত্রী হয়ে থাকতে হবে...’
২.
একজন কমিউনিস্ট নেতা জনসভায় গলা উঁচিয়ে বলছেন, ‘সমাজতন্ত্র আসছে, দরজায় কড়া নাড়ছে! তখন আমাদের ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন, আইফোন সব থাকবে!’
পেছন থেকে কেউ চিৎকার করে জিজ্ঞেস করল, ‘আর আমাদের?’
কমরেড নেতা বললেন, ‘তোমরা তো শ্রমিক শ্রেণি, তোমাদের জন্য থাকবে গর্ব!’
৩.
এক সাংবাদিক একজন রাজনৈতিক নেতাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনারা তো সব সময় মিথ্যা বলেন। ছোট মিথ্যা আর বড় মিথ্যার পার্থক্য কী?’ রাজনীতিবিদ হেসে উত্তর দিলেন, ‘ছোট মিথ্যা হলো—আপনার বাসায় এসেছি চা খেতে। আর বড় মিথ্যা হলো—জনগণের কল্যাণে কাজ করছি!’
৪.
এক আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সেমিনারে তিন দেশের ডাক্তার তাঁদের সাফল্যের কীর্তি বলছিলেন।
ইংল্যান্ডের ডাক্তার বললেন, ‘আমরা এক পা-না-থাকা শিশুকে কৃত্রিম পা লাগিয়ে অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছি!’
জার্মানির ডাক্তার বললেন, ‘আমরা দুটো হাত না-থাকা শিশুকে মুষ্টিযোদ্ধা বানিয়েছি!’
বাংলাদেশের ডাক্তার হাসতে হাসতে বললেন, ‘আমরা একবার দুই শিশুর মাথায় মগজ না পেয়ে সেখানে গোবর ভরে দিয়েছিলাম। এখন দেখছি, দুজনই দেশের শীর্ষপদে বসে আছে—একজন চায়ের দাম ঠিক করে, আরেকজন ভবিষ্যৎ ঠিক করে!’
৫.
গোরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে যেভাবে উত্তর দেন।
প্রশ্ন: সেদিন সংসদে আপনাকে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে গালাগাল করা হলো কেন?
মন্ত্রী: আমি জানি না।
প্রশ্ন: আপনার বেকার ছেলের কোটি টাকার গাড়ি হলো কীভাবে?
মন্ত্রী: এটা আমার জানা নেই। আমি খোঁজ
নিয়ে দেখব।
প্রশ্ন: আপনার স্ত্রীর নামে মালয়েশিয়ায় তিনটি আলিসান বাড়ি আছে?
মন্ত্রী: এ প্রশ্নের উত্তর আমার স্ত্রী দিতে পারবেন। আমি জানি না।
প্রশ্ন: আপনি ঠিক কী জানেন?
মন্ত্রী: ‘আমি দায়িত্ব পালন করতে জানি, আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে জানি না।’
৬.
এক মন্ত্রীসাহেব প্রতিদিন নতুন কোনো সড়ক, ব্রিজ, ভবন বা টয়লেট উদ্বোধন করেন। প্রতিদিন ফিতা কাটেন। একদিন সকাল ৭টায় ফিতা কেটেই বলেন, ‘এই রাস্তা উদ্বোধন করছি, এটা জনগণের জন্য উৎসর্গ করলাম।’
এক পথচারী কাঁদতে কাঁদতে এগিয়ে এসে বলল, ‘স্যার, এই রাস্তা তো গত মাসে আমার মামা উদ্বোধন করেছিলেন। তিনি তো আপনার দলেরই!’
মন্ত্রী কিছু না বলে ফিতা পকেটে ভরে বললেন, ‘এটা ছিল রি-উদ্বোধন। উন্নয়নের কোনো শেষ নেই।’
হিমালয়ের চূড়ায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেন অনেকেই, কিন্তু বাস্তবে যাঁরা ওঠেন, তাঁদের মধ্যে সাধারণত রাজনীতিবিদ দেখা যায় না। তবে একবার ব্যতিক্রম হলো। ৯ জন মার্কিন পণ্ডিত আর একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ রওনা দিলেন হিমালয় জয় করতে। পথে শুরু হলো দড়ির নাটক। একটা পুরোনো, ক্ষয়ে যাওয়া দড়িতে ঝুলে আছেন দশজন। একজনকে ফেলতেই হবে, না হলে সবাই পড়বেন অতল গহ্বরে।
৯ জন মার্কিন পণ্ডিত মিলে ঠিক করলেন, ‘ওই যে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ, ওকেই ফেলতে হবে!’ রাজনীতিবিদ বোঝেন, এ দেশে আবেগই শেষ হাতিয়ার। শুরু করলেন বক্তৃতা—‘প্রিয় পণ্ডিতগণ, আপনারা মানবসভ্যতার আলোকবর্তিকা। আমার মতন গরিব দেশের তুচ্ছ এক রাজনীতিবিদের জীবন আপনাদের তুলনায় কিছুই নয়। আমি ধন্য হব যদি আপনাদের জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করতে পারি...’
বক্তৃতা এত আবেগপূর্ণ হলো যে পণ্ডিতরা হাততালি দিতে গিয়ে নিজেরাই দড়ি থেকে হাত ছেড়ে দিলেন। রাজনীতিবিদ চূড়ায় উঠলেন। পরে বললেন, ‘বক্তৃতা দিয়ে যদি জীবন বাঁচানো যায়, তাহলে গরিবের ভোটের কেন দরকার?’
আরেক দিন, সেই রাজনীতিবিদ তাঁর ছেলেকে বলছেন, ‘তুমি প্রতিদিন মিথ্যা বলো, চালাকি করো। জানো এর পরিণাম কী?’
ছেলে মাথা চুলকে উত্তর দিল, ‘জানি বাবা, তখন আমাকে আজীবন মন্ত্রী হয়ে থাকতে হবে...’
২.
একজন কমিউনিস্ট নেতা জনসভায় গলা উঁচিয়ে বলছেন, ‘সমাজতন্ত্র আসছে, দরজায় কড়া নাড়ছে! তখন আমাদের ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন, আইফোন সব থাকবে!’
পেছন থেকে কেউ চিৎকার করে জিজ্ঞেস করল, ‘আর আমাদের?’
কমরেড নেতা বললেন, ‘তোমরা তো শ্রমিক শ্রেণি, তোমাদের জন্য থাকবে গর্ব!’
৩.
এক সাংবাদিক একজন রাজনৈতিক নেতাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনারা তো সব সময় মিথ্যা বলেন। ছোট মিথ্যা আর বড় মিথ্যার পার্থক্য কী?’ রাজনীতিবিদ হেসে উত্তর দিলেন, ‘ছোট মিথ্যা হলো—আপনার বাসায় এসেছি চা খেতে। আর বড় মিথ্যা হলো—জনগণের কল্যাণে কাজ করছি!’
৪.
এক আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সেমিনারে তিন দেশের ডাক্তার তাঁদের সাফল্যের কীর্তি বলছিলেন।
ইংল্যান্ডের ডাক্তার বললেন, ‘আমরা এক পা-না-থাকা শিশুকে কৃত্রিম পা লাগিয়ে অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছি!’
জার্মানির ডাক্তার বললেন, ‘আমরা দুটো হাত না-থাকা শিশুকে মুষ্টিযোদ্ধা বানিয়েছি!’
বাংলাদেশের ডাক্তার হাসতে হাসতে বললেন, ‘আমরা একবার দুই শিশুর মাথায় মগজ না পেয়ে সেখানে গোবর ভরে দিয়েছিলাম। এখন দেখছি, দুজনই দেশের শীর্ষপদে বসে আছে—একজন চায়ের দাম ঠিক করে, আরেকজন ভবিষ্যৎ ঠিক করে!’
৫.
গোরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে যেভাবে উত্তর দেন।
প্রশ্ন: সেদিন সংসদে আপনাকে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে গালাগাল করা হলো কেন?
মন্ত্রী: আমি জানি না।
প্রশ্ন: আপনার বেকার ছেলের কোটি টাকার গাড়ি হলো কীভাবে?
মন্ত্রী: এটা আমার জানা নেই। আমি খোঁজ
নিয়ে দেখব।
প্রশ্ন: আপনার স্ত্রীর নামে মালয়েশিয়ায় তিনটি আলিসান বাড়ি আছে?
মন্ত্রী: এ প্রশ্নের উত্তর আমার স্ত্রী দিতে পারবেন। আমি জানি না।
প্রশ্ন: আপনি ঠিক কী জানেন?
মন্ত্রী: ‘আমি দায়িত্ব পালন করতে জানি, আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে জানি না।’
৬.
এক মন্ত্রীসাহেব প্রতিদিন নতুন কোনো সড়ক, ব্রিজ, ভবন বা টয়লেট উদ্বোধন করেন। প্রতিদিন ফিতা কাটেন। একদিন সকাল ৭টায় ফিতা কেটেই বলেন, ‘এই রাস্তা উদ্বোধন করছি, এটা জনগণের জন্য উৎসর্গ করলাম।’
এক পথচারী কাঁদতে কাঁদতে এগিয়ে এসে বলল, ‘স্যার, এই রাস্তা তো গত মাসে আমার মামা উদ্বোধন করেছিলেন। তিনি তো আপনার দলেরই!’
মন্ত্রী কিছু না বলে ফিতা পকেটে ভরে বললেন, ‘এটা ছিল রি-উদ্বোধন। উন্নয়নের কোনো শেষ নেই।’
অভূতপূর্ব সুবিধায় থাকা অন্তর্বর্তী সরকার সম্ভবত প্রথমবারের মতো কিছুটা ঝামেলায় পড়তে যাচ্ছে। তবে এ ঝামেলাটা অন্য কেউ তৈরি করেনি, অতি আত্মবিশ্বাসের কারণে সরকার নিজেই সৃষ্টি করেছে। একটু ডিটেইলে যাই। আগে সুবিধার থাকার বিষয়টা বলি। সেই বঙ্গবন্ধুর সরকার থেকে শুরু করে, এত বছরে যখনই যে সরকার দায়িত্বে বসেছে,
১ দিন আগেরাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এমনটাই বলছিলেন যে, ১৫ বছর ধরে অভিনয় ও গানে ফ্যাসিস্ট সরকারকে যাঁরা সহায়তা করেছেন, তাঁদের মধ্যে নুসরাত ফারিয়া একজন। তিনি ‘মুজিব’ চলচ্চিত্রে হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে খুশি করতে চেয়েছেন। আবার ১৫ বছরের প্রসঙ্গে অনেকের মনে প্রশ্ন উদয় হয়েছে যে, নুসরাত ফারিয়ার আসলে
১ দিন আগেধানমন্ডিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয়ে পুলিশের সঙ্গে যে আচরণ করলেন কয়েক তরুণ, তাঁরা হয়তো এখনো মোহের ঘোরে আছেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, তাঁরা সমন্বয়ক হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছেন। ইচ্ছে হলেই সমন্বয়ক পরিচয়ে যে কারও ওপর চড়াও হওয়া যাবে—এমন অঘটন আর কত দিন দেখতে হবে?
১ দিন আগেসম্প্রতি বিমানবন্দরে অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের উদয় হয়েছে। মামলার নথিপত্র প্রকাশ হওয়ায় বিষয়টি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। হত্যাচেষ্টাটি হয়েছে ১৯ জুলাই, ২০২৪ আর মামলাটি হয়েছে ২০২৫ সালের ৩ মে। একটি হত্যাচেষ্টা মামলা এত বিলম্বে করা যায় কি না, তা অবশ্য আইনি প্রক্রিয়ার বিষ
২ দিন আগে