গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের গৌরীপুর এবং কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মোট ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পাশাপাশি অনেক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য। অবসর, মৃত্যু ও মামলার কারণে এই পদগুলো শূন্য হয়েছে বলে শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে। এতে জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকমে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান চলছে এসব প্রতিষ্ঠানে। ব্যাহত হচ্ছে প্রশাসনিক কার্যক্রমও।
গৌরীপুরে অভিভাবকশূন্য ৭৯ বিদ্যালয়
গৌরীপুরে ৭৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। পাশাপাশি সহকারী শিক্ষকের ৪৭টি পদও শূন্য রয়েছে উপজেলার ৩১টি বিদ্যালয়ে। এগুলোর মধ্যে কোনো কোনো বিদ্যালয়ে তিন-চারজন করে সহকারী শিক্ষকের পদ ফাঁকা। শিক্ষকশূন্য এসব বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে শিক্ষক দেওয়ার কথা বললেও চাহিদার তুলনায় তা নগণ্য।
গৌরীপুরে প্রধান শিক্ষক না থাকা বিদ্যালয়গুলো হলো শ্যামগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লামাপাড়া, ডেংগা, চান্দের সাটিয়া, রামচন্দ্র নগর, শাহগঞ্জ, ছিলিমপুর, খলতবাড়ী, কড়েহা, নহাটা, আমুদপুর, ভুটিয়ারকোনা, ঘাটেরকোনা, সোনাকান্দি, সহনাটি, ধোপাজাঙ্গালিয়া, পল্টীপাড়া, ভালুকাপুর, কাশীচরণ, টেংগাপাড়া, বড়ভাগ, দাড়িয়াপুর, গোবিন্দনগর, পশ্চিমপাড়া, বিশ্বনাথপুর, ধুরুয়া, ডাউকী, নওয়াগাঁও, আহছানপুর, সরযুবালা পৌর, গিধাউষা, লক্ষ্মীপুর, বেলতলী, উখাকান্দা, শৌলঘাই, সাতপাই, পশ্চিম কাউরাট, বেকারকান্দা, গাভীশিমুল, ইছুলিয়া, মুখুরিয়া, মহিশ্বরণ, সিংরাউন্দ, সহরবানু, ধারাকান্দি, বিষমপুর নিউ, নিজ মাওহা, কুমড়ি, চল্লিশা কড়েহা, কুমড়ি, মাওহা নয়ানগর, দৌলতাবাদ, বহেড়াতলা, বড়ইবাড়ী, সহনাটি আব্বাসিয়া, বেতন্দর আদর্শ সংসদ, আব্দুর রহমান, গুজিখা, দামগাঁও, পাঁচাশি, আগপাড়া, কান্দুলিয়া, পশ্চিমপাড়া, বৈরাটি আজমত আলী, হিরন সনখিলা, সাবদুল সরকার, আজমত আলী মণ্ডল, নাপ্তের আলগী, সিধলা চারআনি, গোবরা, হাসানপুর উত্তর পাড়া, পূর্ব পুনারিয়া, চিতরাটিয়া, চানপুর, আব্দুল শেখ মেমোরিয়াল, শৌলঘাই, সুতিরপায়া, শাহবাজপুর ও নন্দুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর মধ্যে চল্লিশা কড়েহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বড়ইবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনজন করে এবং গোবরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চারজন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদও শূন্য। এ ছাড়া মাওহা, কড়েহা, সহনাটি, ধোপাজাঙ্গালিয়া, উখাকান্দা, যোগীর ডাংগুলি, বহেড়াতলা, পেচাংগীয়া এবং পূর্ব পুবারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুজন করে সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় পড়াশোনায় অনেক ক্ষতি হচ্ছে। শিক্ষকেরা যথাসময়ে স্কুলে আসেন না, আবার নির্দিষ্ট সময়ের আগে ছুটি দিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে একাধিক। এতে বিদ্যালয় থেকে ঝরে যাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী।
গৌরীপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবসর, মৃত্যু ও মামলার কারণে প্রধান শিক্ষককের পদগুলো শূন্য হয়েছে। সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য থাকা বিদ্যালয়গুলোর বেশির ভাগই প্রত্যন্ত অঞ্চলের। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পোস্টিং দিলে তাঁরা বিভিন্ন প্রভাবশালীর মাধ্যমে তুলনামূলক সুবিধাজনক বিদ্যালয়ে চলে যান। এতে বিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। এসব প্রতিবন্ধকতা নিয়েই পাঠদান চলছে। বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত আছে।’
ব্রাহ্মণপাড়া ও বুড়িচংয়ে ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম
কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মোট ১০৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এতে প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে শুরু করে শিক্ষাদান প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বুড়িচং উপজেলার ১৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৩টিতে এবং ব্রাহ্মণপাড়ার ১০৮টির মধ্যে ৫৬টিতে প্রধান শিক্ষক নেই। শুধু তা-ই নয়, বুড়িচংয়ে ৩২টি ও ব্রাহ্মণপাড়ায় ২১টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে।
এ ছাড়া, বুড়িচংয়ের কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদসংক্রান্ত মামলা চলমান রয়েছে। বিদ্যালয়গুলো হলো বাজেবাহেরচর, বাহিড়ীপাড়া, হাসনাবাদ, পাইকোঠা, রাজাপুর পূর্বপাড়া লালমিয়া, নামতলা ও পরিহলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
অন্য দিকে নতুন পদ সৃষ্টি হলেও এখনো নিয়োগ না হওয়ায় শূন্য রয়েছে—ইছাপুরা-২, উত্তর পশ্চিম গোবিন্দপুর, বাকশীমুল উত্তরপাড়া, উত্তর জরুইন ও বুড়িচং হাজী ফজর আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
শিক্ষার মান নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি কামরুল হাসান বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকলে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। একজন প্রধান শিক্ষক শুধু ক্লাসই নেন না, তিনি সহকারী শিক্ষকদের তদারকির পাশাপাশি দাপ্তরিক কাজও পরিচালনা করেন। সহকারী শিক্ষক দিয়ে ওই দায়িত্ব পালন করালে উভয় ক্ষেত্রেই সমস্যা হয়।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দা হালিমা পারভীন বলেন, ‘শূন্য পদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে সংকট নিরসন হবে।’
বুড়িচং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফওজিয়া আক্তার বলেন, চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। নতুন নিয়োগ হলে সংকট কেটে যাবে।

ময়মনসিংহের গৌরীপুর এবং কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মোট ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পাশাপাশি অনেক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য। অবসর, মৃত্যু ও মামলার কারণে এই পদগুলো শূন্য হয়েছে বলে শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে। এতে জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকমে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান চলছে এসব প্রতিষ্ঠানে। ব্যাহত হচ্ছে প্রশাসনিক কার্যক্রমও।
গৌরীপুরে অভিভাবকশূন্য ৭৯ বিদ্যালয়
গৌরীপুরে ৭৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। পাশাপাশি সহকারী শিক্ষকের ৪৭টি পদও শূন্য রয়েছে উপজেলার ৩১টি বিদ্যালয়ে। এগুলোর মধ্যে কোনো কোনো বিদ্যালয়ে তিন-চারজন করে সহকারী শিক্ষকের পদ ফাঁকা। শিক্ষকশূন্য এসব বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে শিক্ষক দেওয়ার কথা বললেও চাহিদার তুলনায় তা নগণ্য।
গৌরীপুরে প্রধান শিক্ষক না থাকা বিদ্যালয়গুলো হলো শ্যামগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লামাপাড়া, ডেংগা, চান্দের সাটিয়া, রামচন্দ্র নগর, শাহগঞ্জ, ছিলিমপুর, খলতবাড়ী, কড়েহা, নহাটা, আমুদপুর, ভুটিয়ারকোনা, ঘাটেরকোনা, সোনাকান্দি, সহনাটি, ধোপাজাঙ্গালিয়া, পল্টীপাড়া, ভালুকাপুর, কাশীচরণ, টেংগাপাড়া, বড়ভাগ, দাড়িয়াপুর, গোবিন্দনগর, পশ্চিমপাড়া, বিশ্বনাথপুর, ধুরুয়া, ডাউকী, নওয়াগাঁও, আহছানপুর, সরযুবালা পৌর, গিধাউষা, লক্ষ্মীপুর, বেলতলী, উখাকান্দা, শৌলঘাই, সাতপাই, পশ্চিম কাউরাট, বেকারকান্দা, গাভীশিমুল, ইছুলিয়া, মুখুরিয়া, মহিশ্বরণ, সিংরাউন্দ, সহরবানু, ধারাকান্দি, বিষমপুর নিউ, নিজ মাওহা, কুমড়ি, চল্লিশা কড়েহা, কুমড়ি, মাওহা নয়ানগর, দৌলতাবাদ, বহেড়াতলা, বড়ইবাড়ী, সহনাটি আব্বাসিয়া, বেতন্দর আদর্শ সংসদ, আব্দুর রহমান, গুজিখা, দামগাঁও, পাঁচাশি, আগপাড়া, কান্দুলিয়া, পশ্চিমপাড়া, বৈরাটি আজমত আলী, হিরন সনখিলা, সাবদুল সরকার, আজমত আলী মণ্ডল, নাপ্তের আলগী, সিধলা চারআনি, গোবরা, হাসানপুর উত্তর পাড়া, পূর্ব পুনারিয়া, চিতরাটিয়া, চানপুর, আব্দুল শেখ মেমোরিয়াল, শৌলঘাই, সুতিরপায়া, শাহবাজপুর ও নন্দুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর মধ্যে চল্লিশা কড়েহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বড়ইবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনজন করে এবং গোবরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চারজন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদও শূন্য। এ ছাড়া মাওহা, কড়েহা, সহনাটি, ধোপাজাঙ্গালিয়া, উখাকান্দা, যোগীর ডাংগুলি, বহেড়াতলা, পেচাংগীয়া এবং পূর্ব পুবারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুজন করে সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় পড়াশোনায় অনেক ক্ষতি হচ্ছে। শিক্ষকেরা যথাসময়ে স্কুলে আসেন না, আবার নির্দিষ্ট সময়ের আগে ছুটি দিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে একাধিক। এতে বিদ্যালয় থেকে ঝরে যাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী।
গৌরীপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবসর, মৃত্যু ও মামলার কারণে প্রধান শিক্ষককের পদগুলো শূন্য হয়েছে। সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য থাকা বিদ্যালয়গুলোর বেশির ভাগই প্রত্যন্ত অঞ্চলের। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পোস্টিং দিলে তাঁরা বিভিন্ন প্রভাবশালীর মাধ্যমে তুলনামূলক সুবিধাজনক বিদ্যালয়ে চলে যান। এতে বিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। এসব প্রতিবন্ধকতা নিয়েই পাঠদান চলছে। বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত আছে।’
ব্রাহ্মণপাড়া ও বুড়িচংয়ে ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম
কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মোট ১০৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এতে প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে শুরু করে শিক্ষাদান প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বুড়িচং উপজেলার ১৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৩টিতে এবং ব্রাহ্মণপাড়ার ১০৮টির মধ্যে ৫৬টিতে প্রধান শিক্ষক নেই। শুধু তা-ই নয়, বুড়িচংয়ে ৩২টি ও ব্রাহ্মণপাড়ায় ২১টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে।
এ ছাড়া, বুড়িচংয়ের কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদসংক্রান্ত মামলা চলমান রয়েছে। বিদ্যালয়গুলো হলো বাজেবাহেরচর, বাহিড়ীপাড়া, হাসনাবাদ, পাইকোঠা, রাজাপুর পূর্বপাড়া লালমিয়া, নামতলা ও পরিহলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
অন্য দিকে নতুন পদ সৃষ্টি হলেও এখনো নিয়োগ না হওয়ায় শূন্য রয়েছে—ইছাপুরা-২, উত্তর পশ্চিম গোবিন্দপুর, বাকশীমুল উত্তরপাড়া, উত্তর জরুইন ও বুড়িচং হাজী ফজর আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
শিক্ষার মান নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি কামরুল হাসান বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকলে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। একজন প্রধান শিক্ষক শুধু ক্লাসই নেন না, তিনি সহকারী শিক্ষকদের তদারকির পাশাপাশি দাপ্তরিক কাজও পরিচালনা করেন। সহকারী শিক্ষক দিয়ে ওই দায়িত্ব পালন করালে উভয় ক্ষেত্রেই সমস্যা হয়।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দা হালিমা পারভীন বলেন, ‘শূন্য পদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে সংকট নিরসন হবে।’
বুড়িচং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফওজিয়া আক্তার বলেন, চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। নতুন নিয়োগ হলে সংকট কেটে যাবে।
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের গৌরীপুর এবং কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মোট ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পাশাপাশি অনেক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য। অবসর, মৃত্যু ও মামলার কারণে এই পদগুলো শূন্য হয়েছে বলে শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে। এতে জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকমে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান চলছে এসব প্রতিষ্ঠানে। ব্যাহত হচ্ছে প্রশাসনিক কার্যক্রমও।
গৌরীপুরে অভিভাবকশূন্য ৭৯ বিদ্যালয়
গৌরীপুরে ৭৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। পাশাপাশি সহকারী শিক্ষকের ৪৭টি পদও শূন্য রয়েছে উপজেলার ৩১টি বিদ্যালয়ে। এগুলোর মধ্যে কোনো কোনো বিদ্যালয়ে তিন-চারজন করে সহকারী শিক্ষকের পদ ফাঁকা। শিক্ষকশূন্য এসব বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে শিক্ষক দেওয়ার কথা বললেও চাহিদার তুলনায় তা নগণ্য।
গৌরীপুরে প্রধান শিক্ষক না থাকা বিদ্যালয়গুলো হলো শ্যামগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লামাপাড়া, ডেংগা, চান্দের সাটিয়া, রামচন্দ্র নগর, শাহগঞ্জ, ছিলিমপুর, খলতবাড়ী, কড়েহা, নহাটা, আমুদপুর, ভুটিয়ারকোনা, ঘাটেরকোনা, সোনাকান্দি, সহনাটি, ধোপাজাঙ্গালিয়া, পল্টীপাড়া, ভালুকাপুর, কাশীচরণ, টেংগাপাড়া, বড়ভাগ, দাড়িয়াপুর, গোবিন্দনগর, পশ্চিমপাড়া, বিশ্বনাথপুর, ধুরুয়া, ডাউকী, নওয়াগাঁও, আহছানপুর, সরযুবালা পৌর, গিধাউষা, লক্ষ্মীপুর, বেলতলী, উখাকান্দা, শৌলঘাই, সাতপাই, পশ্চিম কাউরাট, বেকারকান্দা, গাভীশিমুল, ইছুলিয়া, মুখুরিয়া, মহিশ্বরণ, সিংরাউন্দ, সহরবানু, ধারাকান্দি, বিষমপুর নিউ, নিজ মাওহা, কুমড়ি, চল্লিশা কড়েহা, কুমড়ি, মাওহা নয়ানগর, দৌলতাবাদ, বহেড়াতলা, বড়ইবাড়ী, সহনাটি আব্বাসিয়া, বেতন্দর আদর্শ সংসদ, আব্দুর রহমান, গুজিখা, দামগাঁও, পাঁচাশি, আগপাড়া, কান্দুলিয়া, পশ্চিমপাড়া, বৈরাটি আজমত আলী, হিরন সনখিলা, সাবদুল সরকার, আজমত আলী মণ্ডল, নাপ্তের আলগী, সিধলা চারআনি, গোবরা, হাসানপুর উত্তর পাড়া, পূর্ব পুনারিয়া, চিতরাটিয়া, চানপুর, আব্দুল শেখ মেমোরিয়াল, শৌলঘাই, সুতিরপায়া, শাহবাজপুর ও নন্দুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর মধ্যে চল্লিশা কড়েহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বড়ইবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনজন করে এবং গোবরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চারজন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদও শূন্য। এ ছাড়া মাওহা, কড়েহা, সহনাটি, ধোপাজাঙ্গালিয়া, উখাকান্দা, যোগীর ডাংগুলি, বহেড়াতলা, পেচাংগীয়া এবং পূর্ব পুবারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুজন করে সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় পড়াশোনায় অনেক ক্ষতি হচ্ছে। শিক্ষকেরা যথাসময়ে স্কুলে আসেন না, আবার নির্দিষ্ট সময়ের আগে ছুটি দিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে একাধিক। এতে বিদ্যালয় থেকে ঝরে যাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী।
গৌরীপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবসর, মৃত্যু ও মামলার কারণে প্রধান শিক্ষককের পদগুলো শূন্য হয়েছে। সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য থাকা বিদ্যালয়গুলোর বেশির ভাগই প্রত্যন্ত অঞ্চলের। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পোস্টিং দিলে তাঁরা বিভিন্ন প্রভাবশালীর মাধ্যমে তুলনামূলক সুবিধাজনক বিদ্যালয়ে চলে যান। এতে বিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। এসব প্রতিবন্ধকতা নিয়েই পাঠদান চলছে। বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত আছে।’
ব্রাহ্মণপাড়া ও বুড়িচংয়ে ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম
কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মোট ১০৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এতে প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে শুরু করে শিক্ষাদান প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বুড়িচং উপজেলার ১৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৩টিতে এবং ব্রাহ্মণপাড়ার ১০৮টির মধ্যে ৫৬টিতে প্রধান শিক্ষক নেই। শুধু তা-ই নয়, বুড়িচংয়ে ৩২টি ও ব্রাহ্মণপাড়ায় ২১টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে।
এ ছাড়া, বুড়িচংয়ের কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদসংক্রান্ত মামলা চলমান রয়েছে। বিদ্যালয়গুলো হলো বাজেবাহেরচর, বাহিড়ীপাড়া, হাসনাবাদ, পাইকোঠা, রাজাপুর পূর্বপাড়া লালমিয়া, নামতলা ও পরিহলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
অন্য দিকে নতুন পদ সৃষ্টি হলেও এখনো নিয়োগ না হওয়ায় শূন্য রয়েছে—ইছাপুরা-২, উত্তর পশ্চিম গোবিন্দপুর, বাকশীমুল উত্তরপাড়া, উত্তর জরুইন ও বুড়িচং হাজী ফজর আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
শিক্ষার মান নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি কামরুল হাসান বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকলে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। একজন প্রধান শিক্ষক শুধু ক্লাসই নেন না, তিনি সহকারী শিক্ষকদের তদারকির পাশাপাশি দাপ্তরিক কাজও পরিচালনা করেন। সহকারী শিক্ষক দিয়ে ওই দায়িত্ব পালন করালে উভয় ক্ষেত্রেই সমস্যা হয়।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দা হালিমা পারভীন বলেন, ‘শূন্য পদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে সংকট নিরসন হবে।’
বুড়িচং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফওজিয়া আক্তার বলেন, চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। নতুন নিয়োগ হলে সংকট কেটে যাবে।

ময়মনসিংহের গৌরীপুর এবং কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মোট ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পাশাপাশি অনেক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য। অবসর, মৃত্যু ও মামলার কারণে এই পদগুলো শূন্য হয়েছে বলে শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে। এতে জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকমে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান চলছে এসব প্রতিষ্ঠানে। ব্যাহত হচ্ছে প্রশাসনিক কার্যক্রমও।
গৌরীপুরে অভিভাবকশূন্য ৭৯ বিদ্যালয়
গৌরীপুরে ৭৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। পাশাপাশি সহকারী শিক্ষকের ৪৭টি পদও শূন্য রয়েছে উপজেলার ৩১টি বিদ্যালয়ে। এগুলোর মধ্যে কোনো কোনো বিদ্যালয়ে তিন-চারজন করে সহকারী শিক্ষকের পদ ফাঁকা। শিক্ষকশূন্য এসব বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে শিক্ষক দেওয়ার কথা বললেও চাহিদার তুলনায় তা নগণ্য।
গৌরীপুরে প্রধান শিক্ষক না থাকা বিদ্যালয়গুলো হলো শ্যামগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লামাপাড়া, ডেংগা, চান্দের সাটিয়া, রামচন্দ্র নগর, শাহগঞ্জ, ছিলিমপুর, খলতবাড়ী, কড়েহা, নহাটা, আমুদপুর, ভুটিয়ারকোনা, ঘাটেরকোনা, সোনাকান্দি, সহনাটি, ধোপাজাঙ্গালিয়া, পল্টীপাড়া, ভালুকাপুর, কাশীচরণ, টেংগাপাড়া, বড়ভাগ, দাড়িয়াপুর, গোবিন্দনগর, পশ্চিমপাড়া, বিশ্বনাথপুর, ধুরুয়া, ডাউকী, নওয়াগাঁও, আহছানপুর, সরযুবালা পৌর, গিধাউষা, লক্ষ্মীপুর, বেলতলী, উখাকান্দা, শৌলঘাই, সাতপাই, পশ্চিম কাউরাট, বেকারকান্দা, গাভীশিমুল, ইছুলিয়া, মুখুরিয়া, মহিশ্বরণ, সিংরাউন্দ, সহরবানু, ধারাকান্দি, বিষমপুর নিউ, নিজ মাওহা, কুমড়ি, চল্লিশা কড়েহা, কুমড়ি, মাওহা নয়ানগর, দৌলতাবাদ, বহেড়াতলা, বড়ইবাড়ী, সহনাটি আব্বাসিয়া, বেতন্দর আদর্শ সংসদ, আব্দুর রহমান, গুজিখা, দামগাঁও, পাঁচাশি, আগপাড়া, কান্দুলিয়া, পশ্চিমপাড়া, বৈরাটি আজমত আলী, হিরন সনখিলা, সাবদুল সরকার, আজমত আলী মণ্ডল, নাপ্তের আলগী, সিধলা চারআনি, গোবরা, হাসানপুর উত্তর পাড়া, পূর্ব পুনারিয়া, চিতরাটিয়া, চানপুর, আব্দুল শেখ মেমোরিয়াল, শৌলঘাই, সুতিরপায়া, শাহবাজপুর ও নন্দুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর মধ্যে চল্লিশা কড়েহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বড়ইবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনজন করে এবং গোবরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চারজন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদও শূন্য। এ ছাড়া মাওহা, কড়েহা, সহনাটি, ধোপাজাঙ্গালিয়া, উখাকান্দা, যোগীর ডাংগুলি, বহেড়াতলা, পেচাংগীয়া এবং পূর্ব পুবারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুজন করে সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় পড়াশোনায় অনেক ক্ষতি হচ্ছে। শিক্ষকেরা যথাসময়ে স্কুলে আসেন না, আবার নির্দিষ্ট সময়ের আগে ছুটি দিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে একাধিক। এতে বিদ্যালয় থেকে ঝরে যাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী।
গৌরীপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবসর, মৃত্যু ও মামলার কারণে প্রধান শিক্ষককের পদগুলো শূন্য হয়েছে। সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য থাকা বিদ্যালয়গুলোর বেশির ভাগই প্রত্যন্ত অঞ্চলের। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পোস্টিং দিলে তাঁরা বিভিন্ন প্রভাবশালীর মাধ্যমে তুলনামূলক সুবিধাজনক বিদ্যালয়ে চলে যান। এতে বিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। এসব প্রতিবন্ধকতা নিয়েই পাঠদান চলছে। বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত আছে।’
ব্রাহ্মণপাড়া ও বুড়িচংয়ে ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম
কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মোট ১০৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এতে প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে শুরু করে শিক্ষাদান প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বুড়িচং উপজেলার ১৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৩টিতে এবং ব্রাহ্মণপাড়ার ১০৮টির মধ্যে ৫৬টিতে প্রধান শিক্ষক নেই। শুধু তা-ই নয়, বুড়িচংয়ে ৩২টি ও ব্রাহ্মণপাড়ায় ২১টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে।
এ ছাড়া, বুড়িচংয়ের কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদসংক্রান্ত মামলা চলমান রয়েছে। বিদ্যালয়গুলো হলো বাজেবাহেরচর, বাহিড়ীপাড়া, হাসনাবাদ, পাইকোঠা, রাজাপুর পূর্বপাড়া লালমিয়া, নামতলা ও পরিহলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
অন্য দিকে নতুন পদ সৃষ্টি হলেও এখনো নিয়োগ না হওয়ায় শূন্য রয়েছে—ইছাপুরা-২, উত্তর পশ্চিম গোবিন্দপুর, বাকশীমুল উত্তরপাড়া, উত্তর জরুইন ও বুড়িচং হাজী ফজর আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
শিক্ষার মান নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি কামরুল হাসান বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকলে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। একজন প্রধান শিক্ষক শুধু ক্লাসই নেন না, তিনি সহকারী শিক্ষকদের তদারকির পাশাপাশি দাপ্তরিক কাজও পরিচালনা করেন। সহকারী শিক্ষক দিয়ে ওই দায়িত্ব পালন করালে উভয় ক্ষেত্রেই সমস্যা হয়।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দা হালিমা পারভীন বলেন, ‘শূন্য পদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে সংকট নিরসন হবে।’
বুড়িচং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফওজিয়া আক্তার বলেন, চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। নতুন নিয়োগ হলে সংকট কেটে যাবে।

বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৪ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৪ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তফাপত্রটি আগামীকাল রোববার সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তফাপত্রটি আগামীকাল রোববার সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

ময়মনসিংহের গৌরীপুর এবং কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মোট ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পাশাপাশি অনেক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য। অবসর, মৃত্যু ও মামলার কারণে এই পদগুলো শূন্য হয়েছে বলে শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে। এতে জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকমে...
৩১ জুলাই ২০২৫
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৪ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৪ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

ময়মনসিংহের গৌরীপুর এবং কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মোট ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পাশাপাশি অনেক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য। অবসর, মৃত্যু ও মামলার কারণে এই পদগুলো শূন্য হয়েছে বলে শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে। এতে জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকমে...
৩১ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৪ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৪ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

ময়মনসিংহের গৌরীপুর এবং কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মোট ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পাশাপাশি অনেক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য। অবসর, মৃত্যু ও মামলার কারণে এই পদগুলো শূন্য হয়েছে বলে শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে। এতে জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকমে...
৩১ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৪ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৪ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার খুবই সিরিয়াস। কারণ মানুষ দীর্ঘদিন তাদের ভোট দিতে পারেনি। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। তাই প্রত্যেক দলের কাজ হচ্ছে, মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করা।’
আজ শনিবার ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তারপরে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ, যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে বা তার আশপাশে, যারা বিগত বছরগুলোতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যাতে মানুষ তাদের ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সরকার আপনাদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য করবে না, যতক্ষণ আপনারা না চাইবেন। কেউ যাতে কোনোপ্রকার গণ্ডগোল করতে না পারে। আর যদিওবা করে, তা হলে তাকে কী করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায়, সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনো স্থানে সমস্যা হয়, সেখানে ভোট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা মানুষের কাছে যাবেন, বক্তব্য তুলে ধরবেন। তবে কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। সবাই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকুন এবং একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। সেই আন্দোলনে আমাদের ছেলেমেয়েরা জীবন দিয়েছে। যে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তারা জীবন দিয়েছে, তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলোর সমন্বয় করে আমরা একটি ছোট্ট তালিকা করেছি। পুরোপুরি শতভাগ যে করতে পেরেছি, তা নয়। আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব নিয়ে আসার।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার কোনো দলের পক্ষে না। আপনারা জানেন, কে কোন দলের পক্ষে নির্বাচন করছে। আপনারা আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন।’
ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বেল্লাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার খুবই সিরিয়াস। কারণ মানুষ দীর্ঘদিন তাদের ভোট দিতে পারেনি। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। তাই প্রত্যেক দলের কাজ হচ্ছে, মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করা।’
আজ শনিবার ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তারপরে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ, যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে বা তার আশপাশে, যারা বিগত বছরগুলোতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যাতে মানুষ তাদের ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সরকার আপনাদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য করবে না, যতক্ষণ আপনারা না চাইবেন। কেউ যাতে কোনোপ্রকার গণ্ডগোল করতে না পারে। আর যদিওবা করে, তা হলে তাকে কী করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায়, সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনো স্থানে সমস্যা হয়, সেখানে ভোট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা মানুষের কাছে যাবেন, বক্তব্য তুলে ধরবেন। তবে কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। সবাই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকুন এবং একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। সেই আন্দোলনে আমাদের ছেলেমেয়েরা জীবন দিয়েছে। যে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তারা জীবন দিয়েছে, তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলোর সমন্বয় করে আমরা একটি ছোট্ট তালিকা করেছি। পুরোপুরি শতভাগ যে করতে পেরেছি, তা নয়। আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব নিয়ে আসার।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার কোনো দলের পক্ষে না। আপনারা জানেন, কে কোন দলের পক্ষে নির্বাচন করছে। আপনারা আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন।’
ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বেল্লাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

ময়মনসিংহের গৌরীপুর এবং কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মোট ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পাশাপাশি অনেক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য। অবসর, মৃত্যু ও মামলার কারণে এই পদগুলো শূন্য হয়েছে বলে শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে। এতে জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকমে...
৩১ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৪ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৪ ঘণ্টা আগে