Ajker Patrika

যে কারণে বিচারিক ক্ষমতা হারালেন সেই বিচারক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ২৮
যে কারণে বিচারিক ক্ষমতা হারালেন সেই বিচারক

‘ধর্ষণ মামলার রায়ে অসাংবিধানিক পর্যবেক্ষণ দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ভুল বার্তা দেওয়ায়’ ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

মোছা. কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার পর আজ রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তবে তাঁকে বিচারিক ক্ষমতা থেকে সরাতে প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিলেও সেই চিঠি এখানো আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছায়নি জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, (ওই বিচারকের) কিছুই কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না। আইনে যে প্রভিশনস দেওয়া আছে, আইনানুগভাবে তা করা হচ্ছে। এমন ঘটনা ঘটলে প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা আছে, কিছুদিনের জন্য বিচারিক দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখা।

আনিসুল হক বলেন, বিজ্ঞ বিচারকেরা প্রতিদিনই রায় দেন। রায়ে কেউ সন্তুষ্ট হন, কেউ অসন্তুষ্ট হন। যাঁরা অসন্তুষ্ট হন,, ফৌজদারি কার্যবিধি ও সংবিধান অনুযায়ী তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারেন। সর্বোচ্চ আদালত হচ্ছে আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের সাংবিধানিক কিছু বাড়তি ক্ষমতা আছে, সেগুলো তাঁরা প্রয়োগ করেন। রায় দিলেই যে কোনো বিচারকের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তা নয়। মেরিটের ওপর, আইনের ওপর তাঁরা রায় দেওয়ার ব্যাপারে সম্পূর্ণ স্বাধীন।

‘কিন্তু এখানে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা হচ্ছে, একজন বিজ্ঞ বিচারক তিনি ওপেন কোর্টে রায় দেওয়ার সময় তাঁর পর্যবেক্ষণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলেছেন যে, ৭২ ঘণ্টা পরে কোনো ধর্ষণ মামলা যদি কেউ করতে আসে তাহলে সেই মামলা গ্রহণ না করতে। এটাই হচ্ছে আপত্তির জায়গা। কোনো ফৌজদারি অপরাধে মামলা করার ব্যাপারে তামাদি বারিত হয় না। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে মামলা হয়নি। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর এই মামলা হয়। তিনি সে ক্ষেত্রে বলেছেন, ৭২ ঘণ্টা পরে এ মামলা নিয়েন না। সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদে এটা পরিষ্কার বলা আছে, বাংলাদেশের একজন নাগরিক বা আপাতত বাংলাদেশে বসবাসরত একজন ব্যক্তি তিনি একমাত্র আইন দ্বারা এবং আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিজ্ঞ বিচারক যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। ফৌজদারি অপরাধে বিচার চাওয়ার ব্যাপারে, মামলা করার ব্যাপারে কখনো তামাদি বারিত হয় না। এ দুটো তিনি ভায়োলেট করেছেন।’

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, `অনেক রায় আছে, যেগুলো হয়তো বেআইনি হয়, আপিলে গিয়ে রায়টা সেট অ্যাসাইড (বাতিল) হয়। এখানে তিনি যে কথাটা বলেছেন, সেটার একটা ইমপ্লিকেশন আছে, কনসিকুয়েন্স আছে। সে কারণে আজকে বিচার বিভাগের প্রধানকে ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। আইনমন্ত্রী হিসেবে নির্বাহী বিভাগ থেকেও আমি প্রধান বিচারপতির কাছেই বিচার চাইতে পারি। কারণ বিচার বিভাগ স্বাধীন। সে কারণে এই বক্তব্য বিজ্ঞ বিচারকদের জন্য বিব্রতকর। এটা একটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি ভুল নির্দেশনা দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা নেওয়াটা প্রয়োজনীয় ছিল। সে জন্য তাঁর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ আইনানুগভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁকে শোকজ করা হবে, তিনি কেন বলেছেন তার ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।'

নিয়মানুযায়ী প্রধান বিচারপতি ওই বিচারককে শোকজ পাঠাবেন জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, `সেই শোকজ যখন আমাদের কাছে পাঠানো হবে আমরা সেটা তাঁর (বিচারকের) কাছে পাঠাব, চিঠি এখনো পাইনি। তাঁর বিচারিক কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির এই নির্দেশের আমরা প্রজ্ঞাপন করব। স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রধান বিচারপতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।'

বিচারক প্রভাবিত হয়ে রেইনট্রি হোটেলে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার রায় দিয়েছেন কি না, সেই প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, `রায়ের ব্যাপারে আমি কোনো বক্তব্য দেব না। রায়ে যাঁরা সংক্ষুব্ধ হন তাঁদের কিন্তু বিচারব্যবস্থার মধ্যেই আপিল করা সুযোগ থাকে। যেহেতু তাঁদের আপিল করার সুযোগ আছে, আমি বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলব না।' 

আলোচিত এই মামলার রায়ে বিচারক যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, সেটি সরকার যদি পরিষ্কার না করত এবং বিচার বিভাগ যদি পদক্ষেপ না নিত, তাহলে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যেত বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী। নির্বাহী ও বিচার বিভাগ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাক্ষাৎকার

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার। ছবি: প্রেস উইং
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।

পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজ রাতে চাঁদপুর ও দক্ষিণাঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এমভি কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চ। ছবি: সংগৃহীত
এমভি কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চ। ছবি: সংগৃহীত

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

আজ বিআইডব্লিউটিএর জারি করা এক বিশেষ নৌ চলাচল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে, সেসবসহ অন্য সব নৌযানকে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বিধিমালা, ১৯৭৬ অনুসরণ করে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৬ শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
৬ শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ

৪১তম বিসিএস ব্যাচে নিয়োগ পাওয়া ছয় শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) চাকরি থেকে অপসারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অপসারণ করা এএসপিরা হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, মাহমুদুল হক, মো. ইসহাক হোসেন, মো. মশিউর রহমান, মুহাম্মদ রাকিব আনোয়ার ও সাঈদ করিম মুগ্ধ।

আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

বিধিতে বলা আছে, শিক্ষানবিশ মেয়াদ চলাকালে কেউ সংশ্লিষ্ট চাকরিতে বহাল থাকার অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হলে সরকারি কর্ম কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ না করেই সরাসরি নিয়োগ অবসান করতে পারবে সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের ‘অতিরঞ্জিত’ মন্তব্য প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৬
সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের ‘অতিরঞ্জিত’ মন্তব্য প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তিনি বিকেলে সাংবাদিকদের এই বিবৃতির কথা জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তাঁর মন্তব্য বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন নয়। বাংলাদেশ সরকারের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে এমন কোনো বিভ্রান্তিকর, অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বর্ণনা বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’

বিচ্ছিন্ন কিছু অপরাধমূলক ঘটনাকে পরিকল্পিতভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়ন হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। এতে আরও বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশবিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে দিতে সেটার অপব্যবহার করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু মহলে বাছাই করা ও পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে অতিরঞ্জিত ও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সাধারণ ভারতীয় জনগণকে বাংলাদেশ, ভারতের বাংলাদেশি কূটনৈতিক মিশন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যে ব্যক্তির উদাহরণ দিয়েছেন, তিনি ছিলেন তালিকাভুক্ত অপরাধী। চাঁদাবাজির সময় তাঁর মুসলিম সহযোগীর সঙ্গে থাকা অবস্থায় তাঁর দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু ঘটে, যাঁকে পরে গ্রেপ্তার করা হয়। এই অপরাধমূলক ঘটনাকে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা বাস্তবসম্মত নয়, বরং বিভ্রান্তিকর।

বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ভারতের বিভিন্ন মহলকে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে, যা সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক ও পারস্পরিক আস্থার চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত