
ঢাকার সব কূটনীতিক, মন্ত্রী, সচিব ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার চলাচলের সময় নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে পুলিশকে সরিয়ে আনসার সদস্যদের দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত জানানোর পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, সৌদি আরবসহ ছয় দেশের রাষ্ট্রদূতদের জন্য বাড়তি পুলিশি নিরাপত্তাও থাকছে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে এই রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। এখন সেই পরিস্থিতি নাই, তাই বাড়তি সুবিধারও প্রয়োজন নাই।
২০১৬ সালে ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় বিদেশিসহ ২০ জনের প্রাণহানির প্রেক্ষাপটে পুলিশের কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগ চালু করা হয়। তখন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত, জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বাড়তি প্রটোকল পেতেন।
সেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে প্রটোকলেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। কারণ, প্রটোকলের জন্য কয়েক হাজার পুলিশ সদস্য রাখতে হয়। সেই জন্য আনসার সদস্য দিয়ে প্রটোকল ইউনিট গঠন করা হচ্ছে। অবশ্য কোনো দূতাবাস চাইলে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে পুলিশের নিরাপত্তা সুবিধা নিতে পারবেন।
কূটনীতিকদের পুলিশি নিরাপত্তা প্রত্যাহারে আন্তর্জাতিক কোনো বিধির ব্যত্যয় হয়নি বলে সরকারের দাবি। তবে বিরোধী দল বিএনপি বলছে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এ বিষয়ে অন্য কোনো দেশের প্রতিক্রিয়া জানা না গেলেও যুক্তরাষ্ট্র মন্তব্য করেছে। সরাসরি বিষয়টি নিয়ে কোনো আপত্তি তুলেনি দেশটি। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ২০১৮ সালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট ব্লুমের গাড়িবহরে হামলা এবং এ বছর নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাড়িতে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার প্রসঙ্গও ওঠে আসে।
তবে বেদান্ত প্যাটেল বাংলাদেশকে ভিয়েনা কনভেনশন প্রতিপালনের আহ্বান জানান। এই কনভেনশনে কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কী বলা হয়েছে, তা পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো।
ভিয়েনা কনভেনশন কী?
১৯৬১ সালে ভিয়েনায় জাতিসংঘে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ে এক চুক্তি হয়। যা ‘ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স’ বা ভিয়েনা কনভেনশন হিসেবে পরিচিত।
স্বাধীন দেশগুলো তখন চুক্তিতে সই করেছিল। পরে ধাপে ধাপে যেসব দেশ স্বাধীন হতে থাকে তারাও এই চুক্তিতে নিজেদের অন্তর্ভূক্ত করে। বাংলাদেশ ১৯৭৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর এই চুক্তিতে সই করে ।
বহুকাল থেকেই এক দেশের কূটনীতিকেরা আরেক দেশে অবস্থান করে আসছেন। কিন্তু তাঁরা কী ধরণের সুবিধা পাবেন বা তাঁদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হবে—সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত নীতি ছিল না।
ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, কূটনীতিকদের নিরাপত্তা, বাসস্থান ও আইন প্রয়োগসহ নানা সুবিধা নিশ্চিত করে থাকে গ্রাহক দেশ।
কূটনীতিক মিশন প্রেরণকারী দেশ মিশনের জন্য বরাদ্দকৃত অফিস সীমার বাইরে অন্য কোনো জায়গায় কোনো অফিস স্থাপন করতে পারবে না।
মিশনের প্রধানকে ওই মিশন এলাকা-সম্পর্কিত বিষয়ে সব ধরনের জাতীয়, আঞ্চলিক বা মিউনিসিপ্যালের বকেয়া ও করের বাইরে রাখতে হবে অর্থাৎ তাদের এ-সম্পর্কিত কোনো কর দিতে হয় না।
কূটনীতিক মিশনের দাপ্তরিক কাজে ব্যবহার এবং কূটনীতিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের গৃহকর্মে ব্যবহৃত যেকোনো পণ্য আনা হলে তা সব ধরনের শুল্ক ও করের বাইরে থাকবে।
নিরাপত্তা নিয়ে ভিয়েনা কনভেনশনে যা আছে
ভিয়েনা কনভেনশনের ২২ ধারায় আছে, বিদেশি কূটনীতিক মিশনের অফিস এলাকায় মিশনপ্রধানের অনুমতি ছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের প্রতিনিধি প্রবেশ করতে পারবে না।
তবে কূটনীতিক মিশনের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে গ্রাহক দেশকেই। কোনো অনুপ্রেবশ বা ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা এবং মিশনের শান্তিহানি ও মর্যাদাহানি প্রতিরোধ করতে হবে। কূটনীতিক মিশনের প্রাঙ্গণ এবং তাদের যানবাহনে তল্লাশি, সেটি ব্যবহার, বাজেয়াপ্ত বা সংযুক্তি কোনো কিছুই করা যাবে না। মারাত্মক কোনো অভিযোগ থাকলে কূটনীতিক এজেন্টদের ব্যাগ তল্লাশি করা যাবে।
২৬ ধারায় বলা হয়েছে, কূটনীতিক মিশনের সব সদস্য গ্রহীতা দেশের সবখানে স্বাধীন ও অবাধে চলাচল করতে পারবেন। শুধু জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সংরক্ষিত এলাকায় তাঁদের প্রবেশ সীমাবদ্ধ হবে।
২৭ ধারায় বলা হয়েছে, সব ধরনের দাপ্তরিক উদ্দেশ্যে মিশনের দিক থেকে অবাধ যোগাযোগ গ্রহীতা রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে। মিশন প্রেরক রাষ্ট্রের সরকার, অন্য মিশন ও কনস্যুলেটে—অবস্থান যেখানেই থাকুক না কেন—ডিপ্লোম্যাটিক কুরিয়ার, কোডে বার্তা বা সাইফারসহ যেকোনো যথার্থ মাধ্যম মিশন ব্যবহার করতে পারবে এবং এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তা দিতে হবে। তবে অয়ারলেস ট্রান্সমিটার ব্যবহারে মিশন গ্রহীতা রাষ্ট্রের অনুমতি নিতে হবে।
২৯ ধারা অনুযায়ী, বিদেশি কূটনীতিকদের আটক বা গ্রেপ্তার করা যাবে না। তাঁরা গ্রাহক দেশের ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার বাইরে থাকবে। এমনকি তাঁরা কোনো ঘটনায় সাক্ষ্য দিতে বাধ্য থাকবেন না।
৩০ ধারায় বলা হয়েছে, মিশন প্রাঙ্গণের মতোই কূটনীতিকদের বাসভবন এবং নথিপত্র, আদান-প্রদান ও সম্পত্তিও একই রকম নিরাপত্তা পাবে।
৪৫ ধারায় বলা হয়েছে, কূটনৈতিক সম্পর্কোচ্ছেদ বা মিশন প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে—সশস্ত্র সংঘাতের ক্ষেত্রেও মিশন প্রাঙ্গণ, সম্পত্তি ও আর্কাইভ রক্ষার দায়িত্ব গ্রহীতা রাষ্ট্রের। এ ক্ষেত্রে গ্রহীতা রাষ্ট্রের সম্মতিক্রমে তৃতীয় কোনো দেশকে মিশনের রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দিতে পারবে প্রেরক রাষ্ট্র।
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ যেকোনো রাজনৈতিক সংকট এলেই তৎপর হতে দেখা যায় বিদেশি কূটনীতিকদের।
কূটনীতিকদের নানা মন্তব্যকে সরকারি দল বিভিন্ন সময়ে পাত্তা না দিলেও বিরোধী দলগুলো বরাবরই তাঁদের মন্তব্যকে সমর্থন করে থাকে। এমন অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে ভিয়েনা কনভেনশনের যে ধারার কথা বলা হয়, তা চুক্তির ৪১ নম্বর ধারা।
এই ধারায় বলা হয়েছে, যেসব ব্যক্তি অন্য কোনো দেশে কূটনীতিকের মর্যাদা ও সুবিধা ভোগ করেন; তাঁরা ওই দেশের আইন ও নীতি মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন। তাঁরা ওই দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না।
এই ধারায় আরও দুটি উপধারা রয়েছে। যেমন ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, প্রেরক দেশ কূটনীতিক মিশনের ওপর ন্যস্ত সব ধরনের দাপ্তরিক কাজ গ্রাহক দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা এ-সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হতে হবে।
মিশন অফিসের প্রাঙ্গণ মিশনের কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়—এমন কোনো উদ্দেশ্যে কূটনীতিকেরা ব্যবহার করতে পারবেন না।
সূত্র: জাতিসংঘের ‘ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স’
আরও পড়ুন:

ঢাকার সব কূটনীতিক, মন্ত্রী, সচিব ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার চলাচলের সময় নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে পুলিশকে সরিয়ে আনসার সদস্যদের দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত জানানোর পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, সৌদি আরবসহ ছয় দেশের রাষ্ট্রদূতদের জন্য বাড়তি পুলিশি নিরাপত্তাও থাকছে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে এই রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। এখন সেই পরিস্থিতি নাই, তাই বাড়তি সুবিধারও প্রয়োজন নাই।
২০১৬ সালে ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় বিদেশিসহ ২০ জনের প্রাণহানির প্রেক্ষাপটে পুলিশের কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগ চালু করা হয়। তখন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত, জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বাড়তি প্রটোকল পেতেন।
সেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে প্রটোকলেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। কারণ, প্রটোকলের জন্য কয়েক হাজার পুলিশ সদস্য রাখতে হয়। সেই জন্য আনসার সদস্য দিয়ে প্রটোকল ইউনিট গঠন করা হচ্ছে। অবশ্য কোনো দূতাবাস চাইলে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে পুলিশের নিরাপত্তা সুবিধা নিতে পারবেন।
কূটনীতিকদের পুলিশি নিরাপত্তা প্রত্যাহারে আন্তর্জাতিক কোনো বিধির ব্যত্যয় হয়নি বলে সরকারের দাবি। তবে বিরোধী দল বিএনপি বলছে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এ বিষয়ে অন্য কোনো দেশের প্রতিক্রিয়া জানা না গেলেও যুক্তরাষ্ট্র মন্তব্য করেছে। সরাসরি বিষয়টি নিয়ে কোনো আপত্তি তুলেনি দেশটি। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ২০১৮ সালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট ব্লুমের গাড়িবহরে হামলা এবং এ বছর নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাড়িতে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার প্রসঙ্গও ওঠে আসে।
তবে বেদান্ত প্যাটেল বাংলাদেশকে ভিয়েনা কনভেনশন প্রতিপালনের আহ্বান জানান। এই কনভেনশনে কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কী বলা হয়েছে, তা পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো।
ভিয়েনা কনভেনশন কী?
১৯৬১ সালে ভিয়েনায় জাতিসংঘে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ে এক চুক্তি হয়। যা ‘ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স’ বা ভিয়েনা কনভেনশন হিসেবে পরিচিত।
স্বাধীন দেশগুলো তখন চুক্তিতে সই করেছিল। পরে ধাপে ধাপে যেসব দেশ স্বাধীন হতে থাকে তারাও এই চুক্তিতে নিজেদের অন্তর্ভূক্ত করে। বাংলাদেশ ১৯৭৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর এই চুক্তিতে সই করে ।
বহুকাল থেকেই এক দেশের কূটনীতিকেরা আরেক দেশে অবস্থান করে আসছেন। কিন্তু তাঁরা কী ধরণের সুবিধা পাবেন বা তাঁদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হবে—সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত নীতি ছিল না।
ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, কূটনীতিকদের নিরাপত্তা, বাসস্থান ও আইন প্রয়োগসহ নানা সুবিধা নিশ্চিত করে থাকে গ্রাহক দেশ।
কূটনীতিক মিশন প্রেরণকারী দেশ মিশনের জন্য বরাদ্দকৃত অফিস সীমার বাইরে অন্য কোনো জায়গায় কোনো অফিস স্থাপন করতে পারবে না।
মিশনের প্রধানকে ওই মিশন এলাকা-সম্পর্কিত বিষয়ে সব ধরনের জাতীয়, আঞ্চলিক বা মিউনিসিপ্যালের বকেয়া ও করের বাইরে রাখতে হবে অর্থাৎ তাদের এ-সম্পর্কিত কোনো কর দিতে হয় না।
কূটনীতিক মিশনের দাপ্তরিক কাজে ব্যবহার এবং কূটনীতিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের গৃহকর্মে ব্যবহৃত যেকোনো পণ্য আনা হলে তা সব ধরনের শুল্ক ও করের বাইরে থাকবে।
নিরাপত্তা নিয়ে ভিয়েনা কনভেনশনে যা আছে
ভিয়েনা কনভেনশনের ২২ ধারায় আছে, বিদেশি কূটনীতিক মিশনের অফিস এলাকায় মিশনপ্রধানের অনুমতি ছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের প্রতিনিধি প্রবেশ করতে পারবে না।
তবে কূটনীতিক মিশনের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে গ্রাহক দেশকেই। কোনো অনুপ্রেবশ বা ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা এবং মিশনের শান্তিহানি ও মর্যাদাহানি প্রতিরোধ করতে হবে। কূটনীতিক মিশনের প্রাঙ্গণ এবং তাদের যানবাহনে তল্লাশি, সেটি ব্যবহার, বাজেয়াপ্ত বা সংযুক্তি কোনো কিছুই করা যাবে না। মারাত্মক কোনো অভিযোগ থাকলে কূটনীতিক এজেন্টদের ব্যাগ তল্লাশি করা যাবে।
২৬ ধারায় বলা হয়েছে, কূটনীতিক মিশনের সব সদস্য গ্রহীতা দেশের সবখানে স্বাধীন ও অবাধে চলাচল করতে পারবেন। শুধু জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সংরক্ষিত এলাকায় তাঁদের প্রবেশ সীমাবদ্ধ হবে।
২৭ ধারায় বলা হয়েছে, সব ধরনের দাপ্তরিক উদ্দেশ্যে মিশনের দিক থেকে অবাধ যোগাযোগ গ্রহীতা রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে। মিশন প্রেরক রাষ্ট্রের সরকার, অন্য মিশন ও কনস্যুলেটে—অবস্থান যেখানেই থাকুক না কেন—ডিপ্লোম্যাটিক কুরিয়ার, কোডে বার্তা বা সাইফারসহ যেকোনো যথার্থ মাধ্যম মিশন ব্যবহার করতে পারবে এবং এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তা দিতে হবে। তবে অয়ারলেস ট্রান্সমিটার ব্যবহারে মিশন গ্রহীতা রাষ্ট্রের অনুমতি নিতে হবে।
২৯ ধারা অনুযায়ী, বিদেশি কূটনীতিকদের আটক বা গ্রেপ্তার করা যাবে না। তাঁরা গ্রাহক দেশের ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার বাইরে থাকবে। এমনকি তাঁরা কোনো ঘটনায় সাক্ষ্য দিতে বাধ্য থাকবেন না।
৩০ ধারায় বলা হয়েছে, মিশন প্রাঙ্গণের মতোই কূটনীতিকদের বাসভবন এবং নথিপত্র, আদান-প্রদান ও সম্পত্তিও একই রকম নিরাপত্তা পাবে।
৪৫ ধারায় বলা হয়েছে, কূটনৈতিক সম্পর্কোচ্ছেদ বা মিশন প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে—সশস্ত্র সংঘাতের ক্ষেত্রেও মিশন প্রাঙ্গণ, সম্পত্তি ও আর্কাইভ রক্ষার দায়িত্ব গ্রহীতা রাষ্ট্রের। এ ক্ষেত্রে গ্রহীতা রাষ্ট্রের সম্মতিক্রমে তৃতীয় কোনো দেশকে মিশনের রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দিতে পারবে প্রেরক রাষ্ট্র।
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ যেকোনো রাজনৈতিক সংকট এলেই তৎপর হতে দেখা যায় বিদেশি কূটনীতিকদের।
কূটনীতিকদের নানা মন্তব্যকে সরকারি দল বিভিন্ন সময়ে পাত্তা না দিলেও বিরোধী দলগুলো বরাবরই তাঁদের মন্তব্যকে সমর্থন করে থাকে। এমন অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে ভিয়েনা কনভেনশনের যে ধারার কথা বলা হয়, তা চুক্তির ৪১ নম্বর ধারা।
এই ধারায় বলা হয়েছে, যেসব ব্যক্তি অন্য কোনো দেশে কূটনীতিকের মর্যাদা ও সুবিধা ভোগ করেন; তাঁরা ওই দেশের আইন ও নীতি মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন। তাঁরা ওই দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না।
এই ধারায় আরও দুটি উপধারা রয়েছে। যেমন ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, প্রেরক দেশ কূটনীতিক মিশনের ওপর ন্যস্ত সব ধরনের দাপ্তরিক কাজ গ্রাহক দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা এ-সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হতে হবে।
মিশন অফিসের প্রাঙ্গণ মিশনের কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়—এমন কোনো উদ্দেশ্যে কূটনীতিকেরা ব্যবহার করতে পারবেন না।
সূত্র: জাতিসংঘের ‘ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স’
আরও পড়ুন:

ঢাকার সব কূটনীতিক, মন্ত্রী, সচিব ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার চলাচলের সময় নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে পুলিশকে সরিয়ে আনসার সদস্যদের দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত জানানোর পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, সৌদি আরবসহ ছয় দেশের রাষ্ট্রদূতদের জন্য বাড়তি পুলিশি নিরাপত্তাও থাকছে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে এই রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। এখন সেই পরিস্থিতি নাই, তাই বাড়তি সুবিধারও প্রয়োজন নাই।
২০১৬ সালে ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় বিদেশিসহ ২০ জনের প্রাণহানির প্রেক্ষাপটে পুলিশের কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগ চালু করা হয়। তখন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত, জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বাড়তি প্রটোকল পেতেন।
সেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে প্রটোকলেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। কারণ, প্রটোকলের জন্য কয়েক হাজার পুলিশ সদস্য রাখতে হয়। সেই জন্য আনসার সদস্য দিয়ে প্রটোকল ইউনিট গঠন করা হচ্ছে। অবশ্য কোনো দূতাবাস চাইলে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে পুলিশের নিরাপত্তা সুবিধা নিতে পারবেন।
কূটনীতিকদের পুলিশি নিরাপত্তা প্রত্যাহারে আন্তর্জাতিক কোনো বিধির ব্যত্যয় হয়নি বলে সরকারের দাবি। তবে বিরোধী দল বিএনপি বলছে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এ বিষয়ে অন্য কোনো দেশের প্রতিক্রিয়া জানা না গেলেও যুক্তরাষ্ট্র মন্তব্য করেছে। সরাসরি বিষয়টি নিয়ে কোনো আপত্তি তুলেনি দেশটি। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ২০১৮ সালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট ব্লুমের গাড়িবহরে হামলা এবং এ বছর নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাড়িতে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার প্রসঙ্গও ওঠে আসে।
তবে বেদান্ত প্যাটেল বাংলাদেশকে ভিয়েনা কনভেনশন প্রতিপালনের আহ্বান জানান। এই কনভেনশনে কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কী বলা হয়েছে, তা পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো।
ভিয়েনা কনভেনশন কী?
১৯৬১ সালে ভিয়েনায় জাতিসংঘে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ে এক চুক্তি হয়। যা ‘ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স’ বা ভিয়েনা কনভেনশন হিসেবে পরিচিত।
স্বাধীন দেশগুলো তখন চুক্তিতে সই করেছিল। পরে ধাপে ধাপে যেসব দেশ স্বাধীন হতে থাকে তারাও এই চুক্তিতে নিজেদের অন্তর্ভূক্ত করে। বাংলাদেশ ১৯৭৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর এই চুক্তিতে সই করে ।
বহুকাল থেকেই এক দেশের কূটনীতিকেরা আরেক দেশে অবস্থান করে আসছেন। কিন্তু তাঁরা কী ধরণের সুবিধা পাবেন বা তাঁদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হবে—সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত নীতি ছিল না।
ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, কূটনীতিকদের নিরাপত্তা, বাসস্থান ও আইন প্রয়োগসহ নানা সুবিধা নিশ্চিত করে থাকে গ্রাহক দেশ।
কূটনীতিক মিশন প্রেরণকারী দেশ মিশনের জন্য বরাদ্দকৃত অফিস সীমার বাইরে অন্য কোনো জায়গায় কোনো অফিস স্থাপন করতে পারবে না।
মিশনের প্রধানকে ওই মিশন এলাকা-সম্পর্কিত বিষয়ে সব ধরনের জাতীয়, আঞ্চলিক বা মিউনিসিপ্যালের বকেয়া ও করের বাইরে রাখতে হবে অর্থাৎ তাদের এ-সম্পর্কিত কোনো কর দিতে হয় না।
কূটনীতিক মিশনের দাপ্তরিক কাজে ব্যবহার এবং কূটনীতিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের গৃহকর্মে ব্যবহৃত যেকোনো পণ্য আনা হলে তা সব ধরনের শুল্ক ও করের বাইরে থাকবে।
নিরাপত্তা নিয়ে ভিয়েনা কনভেনশনে যা আছে
ভিয়েনা কনভেনশনের ২২ ধারায় আছে, বিদেশি কূটনীতিক মিশনের অফিস এলাকায় মিশনপ্রধানের অনুমতি ছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের প্রতিনিধি প্রবেশ করতে পারবে না।
তবে কূটনীতিক মিশনের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে গ্রাহক দেশকেই। কোনো অনুপ্রেবশ বা ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা এবং মিশনের শান্তিহানি ও মর্যাদাহানি প্রতিরোধ করতে হবে। কূটনীতিক মিশনের প্রাঙ্গণ এবং তাদের যানবাহনে তল্লাশি, সেটি ব্যবহার, বাজেয়াপ্ত বা সংযুক্তি কোনো কিছুই করা যাবে না। মারাত্মক কোনো অভিযোগ থাকলে কূটনীতিক এজেন্টদের ব্যাগ তল্লাশি করা যাবে।
২৬ ধারায় বলা হয়েছে, কূটনীতিক মিশনের সব সদস্য গ্রহীতা দেশের সবখানে স্বাধীন ও অবাধে চলাচল করতে পারবেন। শুধু জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সংরক্ষিত এলাকায় তাঁদের প্রবেশ সীমাবদ্ধ হবে।
২৭ ধারায় বলা হয়েছে, সব ধরনের দাপ্তরিক উদ্দেশ্যে মিশনের দিক থেকে অবাধ যোগাযোগ গ্রহীতা রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে। মিশন প্রেরক রাষ্ট্রের সরকার, অন্য মিশন ও কনস্যুলেটে—অবস্থান যেখানেই থাকুক না কেন—ডিপ্লোম্যাটিক কুরিয়ার, কোডে বার্তা বা সাইফারসহ যেকোনো যথার্থ মাধ্যম মিশন ব্যবহার করতে পারবে এবং এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তা দিতে হবে। তবে অয়ারলেস ট্রান্সমিটার ব্যবহারে মিশন গ্রহীতা রাষ্ট্রের অনুমতি নিতে হবে।
২৯ ধারা অনুযায়ী, বিদেশি কূটনীতিকদের আটক বা গ্রেপ্তার করা যাবে না। তাঁরা গ্রাহক দেশের ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার বাইরে থাকবে। এমনকি তাঁরা কোনো ঘটনায় সাক্ষ্য দিতে বাধ্য থাকবেন না।
৩০ ধারায় বলা হয়েছে, মিশন প্রাঙ্গণের মতোই কূটনীতিকদের বাসভবন এবং নথিপত্র, আদান-প্রদান ও সম্পত্তিও একই রকম নিরাপত্তা পাবে।
৪৫ ধারায় বলা হয়েছে, কূটনৈতিক সম্পর্কোচ্ছেদ বা মিশন প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে—সশস্ত্র সংঘাতের ক্ষেত্রেও মিশন প্রাঙ্গণ, সম্পত্তি ও আর্কাইভ রক্ষার দায়িত্ব গ্রহীতা রাষ্ট্রের। এ ক্ষেত্রে গ্রহীতা রাষ্ট্রের সম্মতিক্রমে তৃতীয় কোনো দেশকে মিশনের রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দিতে পারবে প্রেরক রাষ্ট্র।
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ যেকোনো রাজনৈতিক সংকট এলেই তৎপর হতে দেখা যায় বিদেশি কূটনীতিকদের।
কূটনীতিকদের নানা মন্তব্যকে সরকারি দল বিভিন্ন সময়ে পাত্তা না দিলেও বিরোধী দলগুলো বরাবরই তাঁদের মন্তব্যকে সমর্থন করে থাকে। এমন অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে ভিয়েনা কনভেনশনের যে ধারার কথা বলা হয়, তা চুক্তির ৪১ নম্বর ধারা।
এই ধারায় বলা হয়েছে, যেসব ব্যক্তি অন্য কোনো দেশে কূটনীতিকের মর্যাদা ও সুবিধা ভোগ করেন; তাঁরা ওই দেশের আইন ও নীতি মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন। তাঁরা ওই দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না।
এই ধারায় আরও দুটি উপধারা রয়েছে। যেমন ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, প্রেরক দেশ কূটনীতিক মিশনের ওপর ন্যস্ত সব ধরনের দাপ্তরিক কাজ গ্রাহক দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা এ-সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হতে হবে।
মিশন অফিসের প্রাঙ্গণ মিশনের কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়—এমন কোনো উদ্দেশ্যে কূটনীতিকেরা ব্যবহার করতে পারবেন না।
সূত্র: জাতিসংঘের ‘ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স’
আরও পড়ুন:

ঢাকার সব কূটনীতিক, মন্ত্রী, সচিব ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার চলাচলের সময় নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে পুলিশকে সরিয়ে আনসার সদস্যদের দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত জানানোর পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, সৌদি আরবসহ ছয় দেশের রাষ্ট্রদূতদের জন্য বাড়তি পুলিশি নিরাপত্তাও থাকছে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে এই রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। এখন সেই পরিস্থিতি নাই, তাই বাড়তি সুবিধারও প্রয়োজন নাই।
২০১৬ সালে ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় বিদেশিসহ ২০ জনের প্রাণহানির প্রেক্ষাপটে পুলিশের কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগ চালু করা হয়। তখন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত, জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বাড়তি প্রটোকল পেতেন।
সেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে প্রটোকলেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। কারণ, প্রটোকলের জন্য কয়েক হাজার পুলিশ সদস্য রাখতে হয়। সেই জন্য আনসার সদস্য দিয়ে প্রটোকল ইউনিট গঠন করা হচ্ছে। অবশ্য কোনো দূতাবাস চাইলে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে পুলিশের নিরাপত্তা সুবিধা নিতে পারবেন।
কূটনীতিকদের পুলিশি নিরাপত্তা প্রত্যাহারে আন্তর্জাতিক কোনো বিধির ব্যত্যয় হয়নি বলে সরকারের দাবি। তবে বিরোধী দল বিএনপি বলছে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এ বিষয়ে অন্য কোনো দেশের প্রতিক্রিয়া জানা না গেলেও যুক্তরাষ্ট্র মন্তব্য করেছে। সরাসরি বিষয়টি নিয়ে কোনো আপত্তি তুলেনি দেশটি। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ২০১৮ সালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট ব্লুমের গাড়িবহরে হামলা এবং এ বছর নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাড়িতে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার প্রসঙ্গও ওঠে আসে।
তবে বেদান্ত প্যাটেল বাংলাদেশকে ভিয়েনা কনভেনশন প্রতিপালনের আহ্বান জানান। এই কনভেনশনে কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কী বলা হয়েছে, তা পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো।
ভিয়েনা কনভেনশন কী?
১৯৬১ সালে ভিয়েনায় জাতিসংঘে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ে এক চুক্তি হয়। যা ‘ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স’ বা ভিয়েনা কনভেনশন হিসেবে পরিচিত।
স্বাধীন দেশগুলো তখন চুক্তিতে সই করেছিল। পরে ধাপে ধাপে যেসব দেশ স্বাধীন হতে থাকে তারাও এই চুক্তিতে নিজেদের অন্তর্ভূক্ত করে। বাংলাদেশ ১৯৭৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর এই চুক্তিতে সই করে ।
বহুকাল থেকেই এক দেশের কূটনীতিকেরা আরেক দেশে অবস্থান করে আসছেন। কিন্তু তাঁরা কী ধরণের সুবিধা পাবেন বা তাঁদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হবে—সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত নীতি ছিল না।
ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, কূটনীতিকদের নিরাপত্তা, বাসস্থান ও আইন প্রয়োগসহ নানা সুবিধা নিশ্চিত করে থাকে গ্রাহক দেশ।
কূটনীতিক মিশন প্রেরণকারী দেশ মিশনের জন্য বরাদ্দকৃত অফিস সীমার বাইরে অন্য কোনো জায়গায় কোনো অফিস স্থাপন করতে পারবে না।
মিশনের প্রধানকে ওই মিশন এলাকা-সম্পর্কিত বিষয়ে সব ধরনের জাতীয়, আঞ্চলিক বা মিউনিসিপ্যালের বকেয়া ও করের বাইরে রাখতে হবে অর্থাৎ তাদের এ-সম্পর্কিত কোনো কর দিতে হয় না।
কূটনীতিক মিশনের দাপ্তরিক কাজে ব্যবহার এবং কূটনীতিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের গৃহকর্মে ব্যবহৃত যেকোনো পণ্য আনা হলে তা সব ধরনের শুল্ক ও করের বাইরে থাকবে।
নিরাপত্তা নিয়ে ভিয়েনা কনভেনশনে যা আছে
ভিয়েনা কনভেনশনের ২২ ধারায় আছে, বিদেশি কূটনীতিক মিশনের অফিস এলাকায় মিশনপ্রধানের অনুমতি ছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের প্রতিনিধি প্রবেশ করতে পারবে না।
তবে কূটনীতিক মিশনের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে গ্রাহক দেশকেই। কোনো অনুপ্রেবশ বা ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা এবং মিশনের শান্তিহানি ও মর্যাদাহানি প্রতিরোধ করতে হবে। কূটনীতিক মিশনের প্রাঙ্গণ এবং তাদের যানবাহনে তল্লাশি, সেটি ব্যবহার, বাজেয়াপ্ত বা সংযুক্তি কোনো কিছুই করা যাবে না। মারাত্মক কোনো অভিযোগ থাকলে কূটনীতিক এজেন্টদের ব্যাগ তল্লাশি করা যাবে।
২৬ ধারায় বলা হয়েছে, কূটনীতিক মিশনের সব সদস্য গ্রহীতা দেশের সবখানে স্বাধীন ও অবাধে চলাচল করতে পারবেন। শুধু জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সংরক্ষিত এলাকায় তাঁদের প্রবেশ সীমাবদ্ধ হবে।
২৭ ধারায় বলা হয়েছে, সব ধরনের দাপ্তরিক উদ্দেশ্যে মিশনের দিক থেকে অবাধ যোগাযোগ গ্রহীতা রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে। মিশন প্রেরক রাষ্ট্রের সরকার, অন্য মিশন ও কনস্যুলেটে—অবস্থান যেখানেই থাকুক না কেন—ডিপ্লোম্যাটিক কুরিয়ার, কোডে বার্তা বা সাইফারসহ যেকোনো যথার্থ মাধ্যম মিশন ব্যবহার করতে পারবে এবং এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তা দিতে হবে। তবে অয়ারলেস ট্রান্সমিটার ব্যবহারে মিশন গ্রহীতা রাষ্ট্রের অনুমতি নিতে হবে।
২৯ ধারা অনুযায়ী, বিদেশি কূটনীতিকদের আটক বা গ্রেপ্তার করা যাবে না। তাঁরা গ্রাহক দেশের ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার বাইরে থাকবে। এমনকি তাঁরা কোনো ঘটনায় সাক্ষ্য দিতে বাধ্য থাকবেন না।
৩০ ধারায় বলা হয়েছে, মিশন প্রাঙ্গণের মতোই কূটনীতিকদের বাসভবন এবং নথিপত্র, আদান-প্রদান ও সম্পত্তিও একই রকম নিরাপত্তা পাবে।
৪৫ ধারায় বলা হয়েছে, কূটনৈতিক সম্পর্কোচ্ছেদ বা মিশন প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে—সশস্ত্র সংঘাতের ক্ষেত্রেও মিশন প্রাঙ্গণ, সম্পত্তি ও আর্কাইভ রক্ষার দায়িত্ব গ্রহীতা রাষ্ট্রের। এ ক্ষেত্রে গ্রহীতা রাষ্ট্রের সম্মতিক্রমে তৃতীয় কোনো দেশকে মিশনের রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দিতে পারবে প্রেরক রাষ্ট্র।
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ যেকোনো রাজনৈতিক সংকট এলেই তৎপর হতে দেখা যায় বিদেশি কূটনীতিকদের।
কূটনীতিকদের নানা মন্তব্যকে সরকারি দল বিভিন্ন সময়ে পাত্তা না দিলেও বিরোধী দলগুলো বরাবরই তাঁদের মন্তব্যকে সমর্থন করে থাকে। এমন অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে ভিয়েনা কনভেনশনের যে ধারার কথা বলা হয়, তা চুক্তির ৪১ নম্বর ধারা।
এই ধারায় বলা হয়েছে, যেসব ব্যক্তি অন্য কোনো দেশে কূটনীতিকের মর্যাদা ও সুবিধা ভোগ করেন; তাঁরা ওই দেশের আইন ও নীতি মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন। তাঁরা ওই দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না।
এই ধারায় আরও দুটি উপধারা রয়েছে। যেমন ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, প্রেরক দেশ কূটনীতিক মিশনের ওপর ন্যস্ত সব ধরনের দাপ্তরিক কাজ গ্রাহক দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা এ-সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হতে হবে।
মিশন অফিসের প্রাঙ্গণ মিশনের কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়—এমন কোনো উদ্দেশ্যে কূটনীতিকেরা ব্যবহার করতে পারবেন না।
সূত্র: জাতিসংঘের ‘ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স’
আরও পড়ুন:

বাংলাদেশে আর কখনোই ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা যাবে না। একই সঙ্গে বিতর্কিত ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করে একটি জবাবদিহিমূলক কাঠামো গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব বিষয় রেখে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর
১৭ মিনিট আগে
প্রেস সচিবের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ গত বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। সে অনুযায়ী সংশোধিত বাজেটে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা।
১ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, তিনি ওই চিঠি দেখেননি এবং এ বিষয়ে অবগত নন। আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করেছে, সেহেতু আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।’
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে আর কখনোই ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা যাবে না। একই সঙ্গে বিতর্কিত ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করে একটি জবাবদিহিমূলক কাঠামো গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব বিষয় রেখে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, এর মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতে রাষ্ট্রের নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের ধরনে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন এই সংশোধনীর মাধ্যমে নাগরিক অধিকার রক্ষা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রধান পরিবর্তনগুলো হলো—কোনো পরিস্থিতিতেই রাষ্ট্র বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করতে পারবে না।
নজরদারির বিতর্কিত সংস্থা এনটিএমসি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এর বদলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারিগরি সহায়তার জন্য ‘সেন্টার ফর ইনফরমেশন সাপোর্ট (সিআইএস)’ গঠন করা হয়েছে। এটি ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ মেনে পরিচালিত হবে।
সিম বা ডিভাইস রেজিস্ট্রেশনের তথ্য ব্যবহার করে কোনো নাগরিককে নজরদারি বা হয়রানি করা এখন থেকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। কেবল জাতীয় নিরাপত্তা বা সুনির্দিষ্ট বিচারিক প্রয়োজনে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রেখে ইন্টারসেপশন করা যাবে।
লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা বিটিআরসির কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু লাইসেন্স বাদে বাকি সব লাইসেন্স বিটিআরসি নিজেই ইস্যু করতে পারবে।
টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বেশ কিছু নতুন কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। জবাবদিহিতা কমিটি—ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গণশুনানি—বিটিআরসিকে প্রতি চার মাস অন্তর গণশুনানি করতে হবে এবং তার ফলোআপ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
আধা-বিচারিক কাউন্সিল—আইনানুগ ইন্টারসেপশনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আইনমন্ত্রী, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে নিয়ে একটি কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। বেআইনি নজরদারির বিরুদ্ধে এখানে অভিযোগ করা যাবে।
সংশোধিত আইনে পূর্বের উচ্চ জরিমানা ও রিকারিং (পুনঃপুন) জরিমানার হার কমানো হয়েছে, যা এই খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তা করবে। এছাড়া, ‘স্পিচ অফেন্স’ বা কথা বলার অপরাধ সংক্রান্ত নিবর্তনমূলক ধারাগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে কেবল সহিংসতার আহ্বানকেই অপরাধ হিসেবে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই অধ্যাদেশটি গত ২০ নভেম্বর নীতিগত অনুমোদন পেয়েছিল। অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই শেষে আজ এটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেল। সরকার জানিয়েছে, এই পুরো ব্যবস্থাপনা জাতিসংঘ এবং আইটিইউ-এর আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

বাংলাদেশে আর কখনোই ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা যাবে না। একই সঙ্গে বিতর্কিত ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করে একটি জবাবদিহিমূলক কাঠামো গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব বিষয় রেখে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, এর মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতে রাষ্ট্রের নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের ধরনে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন এই সংশোধনীর মাধ্যমে নাগরিক অধিকার রক্ষা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রধান পরিবর্তনগুলো হলো—কোনো পরিস্থিতিতেই রাষ্ট্র বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করতে পারবে না।
নজরদারির বিতর্কিত সংস্থা এনটিএমসি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এর বদলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারিগরি সহায়তার জন্য ‘সেন্টার ফর ইনফরমেশন সাপোর্ট (সিআইএস)’ গঠন করা হয়েছে। এটি ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ মেনে পরিচালিত হবে।
সিম বা ডিভাইস রেজিস্ট্রেশনের তথ্য ব্যবহার করে কোনো নাগরিককে নজরদারি বা হয়রানি করা এখন থেকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। কেবল জাতীয় নিরাপত্তা বা সুনির্দিষ্ট বিচারিক প্রয়োজনে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রেখে ইন্টারসেপশন করা যাবে।
লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা বিটিআরসির কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু লাইসেন্স বাদে বাকি সব লাইসেন্স বিটিআরসি নিজেই ইস্যু করতে পারবে।
টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বেশ কিছু নতুন কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। জবাবদিহিতা কমিটি—ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গণশুনানি—বিটিআরসিকে প্রতি চার মাস অন্তর গণশুনানি করতে হবে এবং তার ফলোআপ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
আধা-বিচারিক কাউন্সিল—আইনানুগ ইন্টারসেপশনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আইনমন্ত্রী, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে নিয়ে একটি কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। বেআইনি নজরদারির বিরুদ্ধে এখানে অভিযোগ করা যাবে।
সংশোধিত আইনে পূর্বের উচ্চ জরিমানা ও রিকারিং (পুনঃপুন) জরিমানার হার কমানো হয়েছে, যা এই খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তা করবে। এছাড়া, ‘স্পিচ অফেন্স’ বা কথা বলার অপরাধ সংক্রান্ত নিবর্তনমূলক ধারাগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে কেবল সহিংসতার আহ্বানকেই অপরাধ হিসেবে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই অধ্যাদেশটি গত ২০ নভেম্বর নীতিগত অনুমোদন পেয়েছিল। অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই শেষে আজ এটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেল। সরকার জানিয়েছে, এই পুরো ব্যবস্থাপনা জাতিসংঘ এবং আইটিইউ-এর আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

কূটনীতিকদের পুলিশি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বাংলাদেশকে ভিয়েনা কনভেনশন প্রতিপালনের আহ্বান জানিয়েছেন। ওই কনভেনশনে কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কী বলা হয়েছে তা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
১৭ মে ২০২৩
প্রেস সচিবের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ গত বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। সে অনুযায়ী সংশোধিত বাজেটে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা।
১ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, তিনি ওই চিঠি দেখেননি এবং এ বিষয়ে অবগত নন। আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করেছে, সেহেতু আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।’
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নতুন সংশোধিত বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, নতুন সংশোধিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত দুটি বৈঠকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা ছিল সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন। পাশাপাশি আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া সংশোধিত বাজেট কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
প্রেস সচিব জানান, নতুন সংশোধিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে এবং শীতকালে সবজির মূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমে যাওয়ায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের কাছাকাছি নামার আশা করা হচ্ছে।
প্রেস সচিবের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ গত বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। সে অনুযায়ী সংশোধিত বাজেটে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা।
সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। মোট সরকারি ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা এবং বাজেট ঘাটতি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৩ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে এবং ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে পূরণ করা হবে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় বাজেটে স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি, মানসম্মত শিক্ষা, গ্রামীণ উন্নয়ন, তরুণ ও নারীর ক্ষমতায়ন, স্থানীয় উৎপাদন এবং স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
শফিকুল আলম জানান, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন সংশোধন অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রযুক্তিগতভাবে আধুনিক ও যুববান্ধব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের টেলিকমিউনিকেশন ও ইন্টারনেট অবকাঠামোকে আরও স্থিতিশীল ও নিরাপদ করা হবে। অধ্যাদেশে বিটিআরসির ক্ষমতা, কার্যকারিতা ও জবাবদিহি সুসংহত করা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকের তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করা এবং প্রতারণা ও অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধের ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নতুন সংশোধিত বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, নতুন সংশোধিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত দুটি বৈঠকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা ছিল সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন। পাশাপাশি আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া সংশোধিত বাজেট কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
প্রেস সচিব জানান, নতুন সংশোধিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে এবং শীতকালে সবজির মূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমে যাওয়ায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের কাছাকাছি নামার আশা করা হচ্ছে।
প্রেস সচিবের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ গত বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। সে অনুযায়ী সংশোধিত বাজেটে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা।
সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। মোট সরকারি ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা এবং বাজেট ঘাটতি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৩ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে এবং ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে পূরণ করা হবে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় বাজেটে স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি, মানসম্মত শিক্ষা, গ্রামীণ উন্নয়ন, তরুণ ও নারীর ক্ষমতায়ন, স্থানীয় উৎপাদন এবং স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
শফিকুল আলম জানান, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন সংশোধন অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রযুক্তিগতভাবে আধুনিক ও যুববান্ধব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের টেলিকমিউনিকেশন ও ইন্টারনেট অবকাঠামোকে আরও স্থিতিশীল ও নিরাপদ করা হবে। অধ্যাদেশে বিটিআরসির ক্ষমতা, কার্যকারিতা ও জবাবদিহি সুসংহত করা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকের তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করা এবং প্রতারণা ও অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধের ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।

কূটনীতিকদের পুলিশি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বাংলাদেশকে ভিয়েনা কনভেনশন প্রতিপালনের আহ্বান জানিয়েছেন। ওই কনভেনশনে কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কী বলা হয়েছে তা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
১৭ মে ২০২৩
বাংলাদেশে আর কখনোই ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা যাবে না। একই সঙ্গে বিতর্কিত ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করে একটি জবাবদিহিমূলক কাঠামো গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব বিষয় রেখে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর
১৭ মিনিট আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, তিনি ওই চিঠি দেখেননি এবং এ বিষয়ে অবগত নন। আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করেছে, সেহেতু আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।’
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ আইনপ্রণেতা। চিঠিতে তাঁরা আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন তিনি এ চিঠির বিষয়ে জানেন না।

আজ বুধবার বিকেলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম জানান, তিনি ওই চিঠি দেখেননি এবং এ বিষয়ে অবগত নন। আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করেছে, সেহেতু আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।’
এদিকে মার্কিন কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে যে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের আমলে ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। গত বছরের জুলাইয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ১ হাজার ৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই অপরাধগুলো ব্যক্তিগত গণ্য করে গণতন্ত্রের স্বার্থে, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি যেনো পুনর্বিবেচনা করা হয়।
এই পাঁচ মার্কিন আইনপ্রণেতা হলেন গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস, বিল হুইজেঙ্গা, সিডনি কামলাগার-ডোভ, জুলি জনসন এবং থমাস আর সুওজি। তাঁরা চিঠিতে লিখেছেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত রাজনৈতিক অঙ্গনের সব দলের সঙ্গে মিলে কাজ করা। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষের কণ্ঠস্বর ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিফলিত হওয়া সম্ভব।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সততা ও নিরপেক্ষতার ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনার সংস্কারগুলোও জরুরি। আমরা শঙ্কিত যে সরকার যদি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম স্থগিত করে কিংবা ত্রুটিপূর্ণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আবারও চালু করে, তবে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী এ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ আইনপ্রণেতা। চিঠিতে তাঁরা আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন তিনি এ চিঠির বিষয়ে জানেন না।

আজ বুধবার বিকেলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম জানান, তিনি ওই চিঠি দেখেননি এবং এ বিষয়ে অবগত নন। আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করেছে, সেহেতু আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।’
এদিকে মার্কিন কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে যে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের আমলে ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। গত বছরের জুলাইয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ১ হাজার ৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই অপরাধগুলো ব্যক্তিগত গণ্য করে গণতন্ত্রের স্বার্থে, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি যেনো পুনর্বিবেচনা করা হয়।
এই পাঁচ মার্কিন আইনপ্রণেতা হলেন গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস, বিল হুইজেঙ্গা, সিডনি কামলাগার-ডোভ, জুলি জনসন এবং থমাস আর সুওজি। তাঁরা চিঠিতে লিখেছেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত রাজনৈতিক অঙ্গনের সব দলের সঙ্গে মিলে কাজ করা। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষের কণ্ঠস্বর ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিফলিত হওয়া সম্ভব।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সততা ও নিরপেক্ষতার ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনার সংস্কারগুলোও জরুরি। আমরা শঙ্কিত যে সরকার যদি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম স্থগিত করে কিংবা ত্রুটিপূর্ণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আবারও চালু করে, তবে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী এ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

কূটনীতিকদের পুলিশি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বাংলাদেশকে ভিয়েনা কনভেনশন প্রতিপালনের আহ্বান জানিয়েছেন। ওই কনভেনশনে কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কী বলা হয়েছে তা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
১৭ মে ২০২৩
বাংলাদেশে আর কখনোই ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা যাবে না। একই সঙ্গে বিতর্কিত ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করে একটি জবাবদিহিমূলক কাঠামো গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব বিষয় রেখে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর
১৭ মিনিট আগে
প্রেস সচিবের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ গত বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। সে অনুযায়ী সংশোধিত বাজেটে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সচিব বলেন, ‘আমাদের পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। এটা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। যারা নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় এখনো অংশগ্রহণ করেননি তাঁরা অনুগ্রহ করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।’
সচিব আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করেছি আগামী শনিবার তফসিলি ব্যাংকগুলোকে খোলা রাখতে। যাতে নমিনেশন পেপার সাবমিশনের সাথে প্রাসঙ্গিক বিষয়, ব্যাংকের ট্রানজেকশনের কোনো বিষয় থাকলে সেটা যেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা বা তাঁদের এজেন্টরা ঠিকমত সম্পন্ন করতে পারেন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সংবর্ধনায় আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে কিনা? সেইগুলো নির্বাচন কমিশন দেখভাল করবেন কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘সেটি রিটার্নিং অফিসার দেখবেন।’
এদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দিতে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৭২ হাজার ১২ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরা ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করছেন।
ইতিমধ্যে প্রবাসীদের কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত পাঁচ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯০০ জন প্রবাসী ভোটারের কাছে ব্যালট পাঠানো হয়েছে।
ইসির ওয়েবসাইটে আজ বুধবার সকাল ১১টার তথ্য অনুযায়ী, নিবন্ধনকারীদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ২১ হাজার ৮০০ জন এবং নারী ভোটার ৫০ হাজার ২১০ জন।
প্রবাসীদের মধ্যে সৌদি আরব থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৬ জন নিবন্ধন করেছেন। এছাড়া কাতারে ৫৬ হাজার ১৪৪ জন, ওমানে ৪১ হাজার ৭৩৭ জন, মালয়েশিয়ায় ৩৯ হাজার ১০৫ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩০ হাজার ১০০ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ হাজার ৮৪৯ জন, কুয়েতে ২২ হাজার ১২৩ জন, যুক্তরাজ্যে ২০ হাজার ২০৯ জন ও সিঙ্গাপুরে ১৭ হাজার ৩৪৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
অন্যদিকে, দেশে অবস্থানরত ভোটারদের মধ্যে ‘ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫০ জন।
জেলা ও আসনভিত্তিক নিবন্ধন
জেলাভিত্তিক নিবন্ধনে শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, ৬৪ হাজার ১৩২ জন। ঢাকায় ৫৫ হাজার ৬৪০ জন, চট্টগ্রামে ৫৪ হাজার ৭৬৯ জন, নোয়াখালীতে ৩৬ হাজার ৫৯০ জন, সিলেটে ২৬ হাজার ৭৪৯ জন ও চাঁদপুরে ২৫ হাজার ৩১৮ জন নিবন্ধন করেছেন।
আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে ৯ হাজার ৬১১ জন নিবন্ধন করেছেন, যা সর্বোচ্চ।
এছাড়া, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ৮ হাজার ৯৩০ জন, কুমিল্লা-১০ আসনে ৮ হাজার ৪৩৮ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ৮ হাজার ৩৮৪ জন ভোটার পোস্টাল ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রবাসীদের কাছে ব্যালট পাঠানো শুরু হয়েছে। আগামী ২১ জানুয়ারি প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবে ইসি। প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটাররা অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রার্থীর তালিকা দেখতে পাবেন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যালট পেপারে প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে পারবেন।
সালীম আহমাদ খান জানান, প্রবাসীদের কেউ যদি (আগে থেকে প্রার্থীর বিষয় নিশ্চিত হয়ে) প্রতীক বরাদ্দের আগে ভোট দেন সেক্ষেত্রে তার ভোট বাতিল হবে না। তবে নিয়ম অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন প্রবাসীরা।
তিনি আরও জানান, প্রবাসীদের নিবন্ধনের শেষ সময় ২৫ ডিসেম্বর। এর পর আর সময় বাড়ানো হবে না।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রবাসীদের কাছে ব্যালট পাঠানো শুরু হয়েছে। আগামী ২১ জানুয়ারি প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবে ইসি। প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটাররা অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রার্থীর তালিকা দেখতে পাবেন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যালট পেপারে প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে পারবেন।
সালীম আহমাদ খান জানান, প্রবাসীদের কেউ যদি (আগে থেকে প্রার্থীর বিষয় নিশ্চিত হয়ে) প্রতীক বরাদ্দের আগে ভোট দেন সেক্ষেত্রে তার ভোট বাতিল হবে না। তবে নিয়ম অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন প্রবাসীরা।
তিনি আরও জানান, প্রবাসীদের নিবন্ধনের শেষ সময় ২৫ ডিসেম্বর। এর পর আর সময় বাড়ানো হবে না।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার কাতারে ২১ হাজার, ওমানে ৩ হাজার ৬০০, সৌদি আরবে ১০ হাজার ৫০০, কুয়েতে ১ হাজার, ইতালিতে ৫ হাজার, পর্তুগালে ১ হাজার ৫০০, ফ্রান্সে ১ হাজার এবং জার্মানিতে ১ হাজার ব্যালট পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, গত সোমবার অস্ট্রেলিয়ায় ৬ হাজার ৭৭৯, মালয়েশিয়ায় ১৬ হাজার ৫৬৮, ওমানে ১৮ হাজার এবং কাতারে ১১ হাজার ব্যালট পাঠানো হয়।
গত শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ায় ৮৯২, যুক্তরাজ্যে ৫৭৩ এবং মালয়েশিয়ায় ৬ হাজার ২৪৬ ব্যালট পাঠানো হয়।
গত শনিবার সন্ধ্যায় মোট সাতটি দেশে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৪৮০, চীনে ৬৮১, কুয়েতে ১ হাজার ৩১০, কাতারে ২ হাজার ৭৩৭, সৌদি আরবে ৭ হাজার ৩৪৩, জাপানে ৫ হাজার ৬০০ এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ৭ হাজার ৬৮১টি ব্যালট পাঠানো হয়।
এছাড়া, গত রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১ হাজার ১১৬, যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৭১৮, কানাডায় ৯ হাজার ৪৪৩, ইতালিতে ৫ হাজার ৬৮৬, জার্মানিতে ২ হাজার ১২৬ এবং ফ্রান্সে ৩ হাজার ৩২১টি ব্যালট পাঠানো হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সচিব বলেন, ‘আমাদের পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। এটা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। যারা নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় এখনো অংশগ্রহণ করেননি তাঁরা অনুগ্রহ করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।’
সচিব আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করেছি আগামী শনিবার তফসিলি ব্যাংকগুলোকে খোলা রাখতে। যাতে নমিনেশন পেপার সাবমিশনের সাথে প্রাসঙ্গিক বিষয়, ব্যাংকের ট্রানজেকশনের কোনো বিষয় থাকলে সেটা যেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা বা তাঁদের এজেন্টরা ঠিকমত সম্পন্ন করতে পারেন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সংবর্ধনায় আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে কিনা? সেইগুলো নির্বাচন কমিশন দেখভাল করবেন কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘সেটি রিটার্নিং অফিসার দেখবেন।’
এদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দিতে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৭২ হাজার ১২ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরা ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করছেন।
ইতিমধ্যে প্রবাসীদের কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত পাঁচ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯০০ জন প্রবাসী ভোটারের কাছে ব্যালট পাঠানো হয়েছে।
ইসির ওয়েবসাইটে আজ বুধবার সকাল ১১টার তথ্য অনুযায়ী, নিবন্ধনকারীদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ২১ হাজার ৮০০ জন এবং নারী ভোটার ৫০ হাজার ২১০ জন।
প্রবাসীদের মধ্যে সৌদি আরব থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৬ জন নিবন্ধন করেছেন। এছাড়া কাতারে ৫৬ হাজার ১৪৪ জন, ওমানে ৪১ হাজার ৭৩৭ জন, মালয়েশিয়ায় ৩৯ হাজার ১০৫ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩০ হাজার ১০০ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ হাজার ৮৪৯ জন, কুয়েতে ২২ হাজার ১২৩ জন, যুক্তরাজ্যে ২০ হাজার ২০৯ জন ও সিঙ্গাপুরে ১৭ হাজার ৩৪৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
অন্যদিকে, দেশে অবস্থানরত ভোটারদের মধ্যে ‘ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫০ জন।
জেলা ও আসনভিত্তিক নিবন্ধন
জেলাভিত্তিক নিবন্ধনে শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, ৬৪ হাজার ১৩২ জন। ঢাকায় ৫৫ হাজার ৬৪০ জন, চট্টগ্রামে ৫৪ হাজার ৭৬৯ জন, নোয়াখালীতে ৩৬ হাজার ৫৯০ জন, সিলেটে ২৬ হাজার ৭৪৯ জন ও চাঁদপুরে ২৫ হাজার ৩১৮ জন নিবন্ধন করেছেন।
আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে ৯ হাজার ৬১১ জন নিবন্ধন করেছেন, যা সর্বোচ্চ।
এছাড়া, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ৮ হাজার ৯৩০ জন, কুমিল্লা-১০ আসনে ৮ হাজার ৪৩৮ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ৮ হাজার ৩৮৪ জন ভোটার পোস্টাল ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রবাসীদের কাছে ব্যালট পাঠানো শুরু হয়েছে। আগামী ২১ জানুয়ারি প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবে ইসি। প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটাররা অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রার্থীর তালিকা দেখতে পাবেন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যালট পেপারে প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে পারবেন।
সালীম আহমাদ খান জানান, প্রবাসীদের কেউ যদি (আগে থেকে প্রার্থীর বিষয় নিশ্চিত হয়ে) প্রতীক বরাদ্দের আগে ভোট দেন সেক্ষেত্রে তার ভোট বাতিল হবে না। তবে নিয়ম অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন প্রবাসীরা।
তিনি আরও জানান, প্রবাসীদের নিবন্ধনের শেষ সময় ২৫ ডিসেম্বর। এর পর আর সময় বাড়ানো হবে না।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রবাসীদের কাছে ব্যালট পাঠানো শুরু হয়েছে। আগামী ২১ জানুয়ারি প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবে ইসি। প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটাররা অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রার্থীর তালিকা দেখতে পাবেন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যালট পেপারে প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে পারবেন।
সালীম আহমাদ খান জানান, প্রবাসীদের কেউ যদি (আগে থেকে প্রার্থীর বিষয় নিশ্চিত হয়ে) প্রতীক বরাদ্দের আগে ভোট দেন সেক্ষেত্রে তার ভোট বাতিল হবে না। তবে নিয়ম অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন প্রবাসীরা।
তিনি আরও জানান, প্রবাসীদের নিবন্ধনের শেষ সময় ২৫ ডিসেম্বর। এর পর আর সময় বাড়ানো হবে না।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার কাতারে ২১ হাজার, ওমানে ৩ হাজার ৬০০, সৌদি আরবে ১০ হাজার ৫০০, কুয়েতে ১ হাজার, ইতালিতে ৫ হাজার, পর্তুগালে ১ হাজার ৫০০, ফ্রান্সে ১ হাজার এবং জার্মানিতে ১ হাজার ব্যালট পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, গত সোমবার অস্ট্রেলিয়ায় ৬ হাজার ৭৭৯, মালয়েশিয়ায় ১৬ হাজার ৫৬৮, ওমানে ১৮ হাজার এবং কাতারে ১১ হাজার ব্যালট পাঠানো হয়।
গত শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ায় ৮৯২, যুক্তরাজ্যে ৫৭৩ এবং মালয়েশিয়ায় ৬ হাজার ২৪৬ ব্যালট পাঠানো হয়।
গত শনিবার সন্ধ্যায় মোট সাতটি দেশে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৪৮০, চীনে ৬৮১, কুয়েতে ১ হাজার ৩১০, কাতারে ২ হাজার ৭৩৭, সৌদি আরবে ৭ হাজার ৩৪৩, জাপানে ৫ হাজার ৬০০ এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ৭ হাজার ৬৮১টি ব্যালট পাঠানো হয়।
এছাড়া, গত রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১ হাজার ১১৬, যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৭১৮, কানাডায় ৯ হাজার ৪৪৩, ইতালিতে ৫ হাজার ৬৮৬, জার্মানিতে ২ হাজার ১২৬ এবং ফ্রান্সে ৩ হাজার ৩২১টি ব্যালট পাঠানো হয়।

কূটনীতিকদের পুলিশি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বাংলাদেশকে ভিয়েনা কনভেনশন প্রতিপালনের আহ্বান জানিয়েছেন। ওই কনভেনশনে কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কী বলা হয়েছে তা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
১৭ মে ২০২৩
বাংলাদেশে আর কখনোই ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা যাবে না। একই সঙ্গে বিতর্কিত ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করে একটি জবাবদিহিমূলক কাঠামো গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব বিষয় রেখে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর
১৭ মিনিট আগে
প্রেস সচিবের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ গত বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। সে অনুযায়ী সংশোধিত বাজেটে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা।
১ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, তিনি ওই চিঠি দেখেননি এবং এ বিষয়ে অবগত নন। আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করেছে, সেহেতু আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।’
২ ঘণ্টা আগে